ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাংলাদেশ নিয়ে কি বাড়াবাড়ি করছে পশ্চিমা রাষ্ট্র ও জাতিসংঘ?

প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ১০ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ইউরোপ আমেরিকার মত দেশগুলো যেমন বর্তমানে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ যেকোনো বিষয় নিয়ে বেশ সক্রিয়, তেমনি শান্তিরক্ষার দূত হিসেবে পরিচিত আন্তজার্তিক সংস্থা জাতিসংঘও এর ব্যতিক্রম নয়। পশ্চিমা দেশগুলোর মত জাতিসংঘেরও যেন বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন থেকে শুরু করে মানবাধিকার সম্পর্কিত, বলা যায় ক্ষুদ্র বৃহৎ একপ্রকার সকল রকম সমস্যা নিয়েই উদ্বেগের শেষ নেই। কিন্তু বাংলাদেশে কি আদৌ সেরকম কোনো অবস্থা বিরাজমান রয়েছে যে কারণে জাতিসংঘ দেশটির ছোট বড় সকল ইস্যু নিয়ে এমন উদ্বেগ প্রকাশ করবে? কি এমন হচ্ছে বাংলাদেশে যাতে করে জাতিসংঘের মত একটি বৈশ্বিক শান্তি রক্ষক আন্তজার্তিক সংস্থা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ যেকোনো সমস্যা নিয়ে প্রতিনিয়ত হস্তক্ষেপ করবে?

আগামী ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশের মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ (ইউপিআর) ওয়ার্কিং গ্রুপ পর্যালোচনা করবে বলে জানা গেছে। জেনেভায় চলমান এ বৈঠকে চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে। এর আগে বাংলাদেশ নিয়ে ইউপিআরে পর্যালোচনা হয়েছিল ২০০৯, ২০১৩ ও ২০১৮ সালে।

এছাড়া গত ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে জরুরি চিকিৎসার জন্য মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক।

এরও আগে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে করতে প্রস্তাব উত্থাপন করার জন্য জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধির কাছে মার্কিন কংগ্রেসের ১৪ জন একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। এরপর থেকেই বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে শুরু হয়ে গেছে বিভিন্ন বিতর্ক। পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর মত জাতিসংঘও বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে করছে হস্তক্ষেপ। কিন্তু এই হস্তক্ষেপের ব্যাপারে জাতিসংঘের ম্যান্ডেট কি বলে? জাতিসংঘ কি পারে কোনো দেশের যেকোনো পরিস্থিতিতে, যেকোনো সময়েই এমনিভাবে দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে?

এছাড়া, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে কোনো দেশের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে কেন? চাইলেই কি জাতিসংঘ এমন নির্বাচন সম্পাদন করতে পারে? পারলে সেসবের ভিত্তি কি? কোন কোন ক্ষেত্রে জাতিসংঘ এমন নির্বাচন করতে পারে?


কোন দেশের নির্বাচনে জাতিসংঘের ভূমিকা কী হতে পারে এ নিয়ে জাতিসংঘের নিজস্ব একটি নীতিমালা রয়েছে।

জাতিসংঘের নির্বাচনে সহায়তা সংক্রান্ত দলিলপত্রে বলা হয়েছে, ‘কোন দেশের নির্বাচন জাতিসংঘ শুধুমাত্র তখনি তত্ত্বাবধান করতে যাবে যদি ওই দেশ সহায়তার অনুরোধ করে অথবা নিরাপত্তা পরিষদে বা সাধারণ পরিষদে এ সংক্রান্ত কোন প্রস্তাব পাস করা হয়, এবং চাইলেই জাতিসংঘ এসব করতে পারবে না, সেজন্য অবশ্যই নিরাপত্তা পরিষদ বা সাধারণ পরিষদের ম্যান্ডেট লাগবে।‘

এছাড়াও জাতিসংঘের দলিলে বলা হয়েছে, ‘কোন দেশের রাজনৈতিক জটিলতার কারণে সেদেশের নির্বাচন আয়োজনে সরকার জাতিসংঘের সহায়তা চাইলেই হবে না, সেজন্য অবশ্যই ওই দেশে জাতিসংঘের এরকম দায়িত্ব পালনে জনগণের সমর্থন থাকতে হবে।‘

অর্থাৎ, জাতিসংঘ যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করে তা হলো প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী করা, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, নির্বাচন অনুষ্ঠান, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও নতুনভাবে যেন কনফ্লিক্ট ও ভায়োলেন্স পুনর্জীবিত না হতে পারে সে বিষয়ে বিশেষ নজর প্রদান করা। জাতিসংঘ এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে, যাতে সংঘাত-পরবর্তী সমাজে নতুন করে সংঘাত সৃষ্টি না হয়।

 কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কোন কোন দেশের ক্ষেত্রে জাতিসংঘ এসকল ভূমিকা রাখে?

আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন উদাহরণ পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় যুদ্ধবিধ্বস্ত বা যেসকল দেশে গৃহযুদ্ধ বর্তমান বা জাতিগত বিভেদ বা বহির্বিশ্বের আক্রমণে বিপর্যস্ত ও নানা ধরণের সমস্যায় জর্জরিত দেশগুলোতে মূলত জাতিসংঘের এসকল হস্তক্ষেপগুলো দেখা যায়। এছাড়াও জাতিসংঘ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে যুদ্ধ ও সংঘাত বন্ধ করার পাশাপাশি সংঘাত-পরবর্তী সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলা আনয়ন করার বিভিন্ন পন্থা গ্রহণ করে থাকে বা সেসব দেশকে পরামর্শ প্রদান করে থাকে।

উদাহরণ হিসেবে দেখা যায় এই লক্ষ্যে জাতিসংঘ মালি, সুদান, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ও কঙ্গোতে নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিল। দেশগুলোতে দীর্ঘদিন গৃহযুদ্ধসহ নানা ধরনের সংঘাতে নিমজ্জিত ছিল। আফগানিস্তান বা ইরাকের মতো দেশগুলোয় সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে প্রয়োজনীয় কারিগরী সহায়তা, প্রশিক্ষণও দিয়েছিল জাতিসংঘ। আফগানিস্তানে ২০০৪-২০০৫ সালের নির্বাচন এবং ইরাকে ২০০৫ সালের নির্বাচনে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ মিশন সহায়তা করেছিল। দুই বছর আগে ইরাকে যখন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও নির্বাচন নিয়ে অবিশ্বাস আর অনাস্থা চূড়ান্ত আকার ধারন করেছিল, তখনো সেদেশের অনেক রাজনৈতিক দল নির্বাচন বিশেষজ্ঞ প্যানেল আহবান জানিয়েছিল।

সর্বশেষ ভেনেজুয়েলার ২০২১ সালের নির্বাচনে এরকম বিশেষজ্ঞ প্যানেল পাঠিয়েছে জাতিসংঘ।

কিন্তু উদ্বেগের বিষয় এই যে উদাহরণস্বরূপ উপরোক্ত দেশগুলোর সাথে কি কোনোভাবে বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটের আদৌ কোনো মিল রয়েছে? একটি যুদ্ধগ্রস্ত, অগণতান্ত্রিক অথবা নানা রকম বিদ্রোহ গৃহযুদ্ধে জর্জরিত দেশগুলোর নির্বাচন বা মানবাধিকার সমস্যা নিয়ে জাতিসংঘ মূলত কাজ করে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের মতো গণতান্ত্রিক, যুদ্ধবিগ্রহ বিহীন, অর্থনৈতিকভাবে স্থিতিশীল একটি দেশ নিয়ে কেন জাতিসংঘ বা যুক্তরাষ্টের এত মাথাব্যথা হবে? এ মাথাব্যাথার কারণ কি?


যেসকল কারণে বা প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ একটি দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে সেসকল কারণ উদাহরণস্বরুপ উল্লেখকৃত দেশগুলোর মধ্যে কতটা বিদ্যমান ছিল কিংবা আছে সেটি কমবেশি আমাদের সকলেরই জানা। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান, ইরাক, মালি, সুদান এসব দেশগুলোর সাথে কি বর্তমান বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কোনো সমস্যার দূর দুরান্তেও কোনো মিল আছে? গৃহযুদ্ধে জর্জরিত একটি দেশের সমস্যা আর গণতান্ত্রিকভাবে উন্নয়নশীল শক্তিশালী বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা কখনোই এক নয়। তাই এসকল হস্তক্ষেপের কারণ মূলত ভিত্তিহীন এবং বাড়াবাড়ি।

একটি উন্নয়নকামী ও গণতান্ত্রিক দেশে জাতিসংঘকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান করা এছাড়া বার বার আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আমাদের দেশের আভ্যন্তরীণ যেকোনো সমস্যা নিয়ে আলোচনা কর কোনোভাবেই সমীচীন নয়। এটি বরং আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে আমাদের দেশের সম্মানকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছেএ ধরনের আহ্বান একটি দেশকে গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দেওয়ার পাঁয়তারা ছাড়া আর কিছু নয়।


জাতিসংঘ   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আফগানিস্তানে বন্দুকধারীর গুলিতে ৩ পর্যটকসহ নিহত ৬

প্রকাশ: ০৯:২১ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আফগানিস্তানের মধ্যাঞ্চলীয় বামিয়ান প্রদেশে বন্দুকধারীদের গুলিতে স্পেনের ৩জন পর্যটক ও ৩ জন আফগান নাগরিক নিহত হয়েছে। তালেবান সরকার এই তথ্য জানিয়েছে। 

তিন আফগান ও তিন স্প্যানিশ পর্যটকের মরদেহ রাজধানী কাবুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আফগান সরকার।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার কাবুল থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ি শহর বামিয়ানের একটি বাজারের ভেতর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল মতিন কানি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, নিহত ও আহতদের মধ্যে নারীও রয়েছেন। মৃতদেহগুলো কাবুলে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং ফরেনসিক বিভাগে রাখা হয়েছে। আহতরাও কাবুলে রয়েছেন। 

আহত আটজনের মধ্যে চারজন বিদেশি। একজন বয়স্ক বিদেশি নারীর অবস্থা গুরুতর। বামিয়ানের হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহতরা নরওয়ে, অস্ট্রেলিয়া, লিথুয়ানিয়া এবং স্পেনের বাসিন্দা।

আবদুল মতিন কানি জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে একজন তালেবান সদস্যও রয়েছেন। কোনো অস্ত্রধারী গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি। 

সাতজন সন্দেহভাজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং তাদের মধ্যে একজন আহত অবস্থায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন কানি। 


আফগানিস্তান   গুলি   পর্যটক   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা, নিহত অন্তত ১৭

প্রকাশ: ০৮:৪৪ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

এছাড়া উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েল বিমান হামলা চালানোর পর অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন। রোববার (১৯ মে) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, নুসেইরাতের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে।

আল জাজিরা আরও জানিয়েছে, উত্তর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত এবং কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে।

এদিকে শনিবার গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকা জুড়ে আক্রমণ আরও জোরদার করেছে এবং শনিবার কমপক্ষে ৬৪ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে আমাদের সংবাদদাতারা জানিয়েছেন।

এর মধ্যে উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কাছে একটি আবাসিক ভবনে হামলায় ২৮ জন নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। এছাড়া উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের একটি আশ্রয়কেন্দ্রের গেটে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার ঘটনায় ১২ জন নিহত এবং আরও ২৫ জন আহত হয়েছেন।

জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের পশ্চিমে ফালুজাহতে পানির জন্য লাইনে দাঁড়ানো একদল লোকের ওপর ইসরায়েল আর্টিলারি হামলা চালালে আটজন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরের একটি বাড়িতে হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। খান ইউনিসের পূর্বে অবস্থিত আবাসান আল-কাবিরা শহরের আল-ফারহিন এলাকায় হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন।

এছাড়া দক্ষিণ গাজার রাফা শহরের একটি বাড়িতে হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। উত্তর-পশ্চিম রাফাতে একটি গাড়িতে পৃথক হামলায় শনিবার আরও একজন নিহত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি এই আক্রমণের ফলে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৩৮৬ জন নিহত এবং আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।


গাজা   শরণার্থী   শিবির   হামলা   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ট্রাম্পের খোঁচায় বাইডেন, মাদক পরীক্ষার দাবি

প্রকাশ: ১০:৩৪ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে আগামী ২৭ জুন প্রথম দফায় বিতর্কে অংশ নিতে রাজি হয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং নির্বাচনে তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এ বিতর্কের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মাদক নিচ্ছেন কি না, তা পরীক্ষার দাবি করেছেন ট্রাম্প। গত শুক্রবার মিনেসোটায় দলীয় এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প তাঁর বক্তব্যে এ দাবি করেন।

গত মার্চে বাইডেনের স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের ভাষণ উল্লেখ করে সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট মাদক পরীক্ষার দাবি তোলেন। তিনি বলেন, স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের ভাষণের সময় বাইডেন যেন ঘুড়ির মতো উড়ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি এই ব্যক্তির সঙ্গে বিতর্কে অংশ নিতে চাই। কিন্তু তার আগে আমি তাঁর মাদক পরীক্ষা করার দাবি করব।’ ট্রাম্প অবশ্য নিজে এ পরীক্ষা করাবেন কি না, তা বলেননি।

স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের দীর্ঘ ভাষণের সময় ৮১ বছর বয়সী বাইডেন জোরে ও দ্রুত কথা বলছিলেন। ওই বক্তব্যের পর রিপাবলিকানদের ডক্টরস ককাসের কো-চেয়ার গ্রেগ মারফি বাইডেনের সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্পের পক্ষ থেকে অবশ্য বাইডেনের মাদক পরীক্ষা চাওয়ার বিষয়টি নতুন নয়।

এর আগে, ২০২০ সালে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে অভিযোগ তুলে বলা হয়, ডেমোক্র্যাটদের দলীয় নির্বাচনের সময় বাইডেনের আচরণ স্বাভাবিক ছিল না। তিনি বাইডেনের সঙ্গে বিতর্কের আগে তাই তাঁর মাদক পরীক্ষা করার দাবি করেছিলেন। অবশ্য ওই সময় ট্রাম্প বা বাইডেন কেউই মাদক পরীক্ষা করাননি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে ২৭ জুন এবং ১০ সেপ্টেম্বরের দুই বিতর্ক অত্যন্ত উত্তেজনাকর মুহূর্ত হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলেছে, তাদের আটলান্টা স্টুডিওতে প্রথম বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে কোনো দর্শকের উপস্থিতি থাকবে না। বিতর্কটি উপস্থাপনা করবেন জেক ট্যাপার ও ডানা ব্যাশ। ট্রাম্প অবশ্য জেক ট্যাপারের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন।

মার্কিন নির্বাচন সামনে রেখে দ্বিতীয় বিতর্কটির আয়োজন করছে সংবাদমাধ্যম এবিসি। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর এ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। বিতর্কে অংশ নেওয়ার জন্য ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। দুই প্রার্থীই সে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।


যুক্তরাষ্ট্র   প্রেসিডেন্ট নির্বাচন   ডোনাল্ড ট্রাম্প   জো বাইডেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাড়িতে বসেই ভোট দিলেন মনমোহন সিং

প্রকাশ: ০৮:২৯ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে লোকসভার নির্বাচন। গত ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এ নির্বাচন চলবে আগামী ১ জুন পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে দেশটির বৃদ্ধ নাগরিকরা বাড়ি থেকে ভোট দিচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে বাড়িতে বসে ভোট দিয়েছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।

দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ভোট দেওয়ার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে ভোট দিয়ে নিজের হাতের আঙ্গুলের কালি দেখাচ্ছেন তিনি। তবে ছবিটিতে মনমোহনকে দেখে শুরুতে চেনাই যাচ্ছিল না।

বৃদ্ধ বয়সের পুরো ছাপ পড়েছে তার শরীরে। ৯২ বছর বয়সী মনমোহন বয়সের ভারে যেন নুয়ে পড়ছেন। তবে তা সত্ত্বেও নিজের ভোটাধিকারটি প্রয়োগ করেছেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ৯২ বছর বয়সেও নিজের ভোট দিচ্ছেন মনমোহন। তাকে দেখে তরুণদের অনুপ্রাণিত হওয়া উচিত।

এদিকে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) থেকে দিল্লির প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা বাড়ি থেকে ভোট গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেন। এই প্রক্রিয়ায় ভোট দিচ্ছেন বয়স্ক ও শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিরা। এটি আগামী ২৪ মে পর্যন্ত চলবে।


ভোট   মনমোহন সিং  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আট মাসের বেতনের সমান বোনাস দিচ্ছে বিশ্বের সেরা এয়ারলাইনস

প্রকাশ: ০৬:৪১ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

কর্মীদের বোনাস দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে বিশ্বের সেরা বিমান কোম্পানি সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস। সিএনএনের সংবাদে বলা হয়েছে, যে মানদণ্ড তারা স্থাপন করেছে, তার উচ্চতা অনেক বেশি।

বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের এক কর্মী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মী সিএনএনকে এ তথ্য দিয়েছেন যে, ভালো মুনাফা করার কারণে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ তার কর্মীদের আট মাসের বেতনের সমান বোনাস দেবে। কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, এ তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশিত হওয়ার নয়।

এ বিষয়ে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের সঙ্গে সিএনএন যোগাযোগ করলেও তাৎক্ষণিকভাবে তারা মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

গত বুধবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আর্থিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস। সেখানে তারা বলেছে, সেই অর্থবছরে বিমান সংস্থাটি ১৯৮ কোটি ডলার নিট মুনাফা করেছে।

আয়ের বিবরণীতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস বলেছে, উত্তর এশিয়ার দেশগুলো, যেমন চীন, হংকং, জাপান ও তাইওয়ানের মতো দেশ মহামারির পর তাদের সীমান্ত পুরোপুরি খুলে দিয়েছে। সে কারণে এসব দেশে ভ্রমণ বেড়েছে। মানুষের ভ্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসও বড় অঙ্কের মুনাফা করেছে।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস গত অর্থবছরের জন্য স্ক্রাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইনস অ্যাওয়ার্ডস প্রণীত ক্রমতালিকায় বিশ্বের সেরা বিমান সংস্থার পুরস্কার পেয়েছে। সংস্থাটির প্রণীত ক্রমতালিকায় গত ২৩ বছরের মধ্যে এ নিয়ে পঞ্চমবার তারা শীর্ষস্থান পেয়েছে।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোহ চুন ফং বলেছেন, প্রতিষ্ঠানটির সব কর্মী নিরন্তর কাজ করায় এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তাঁদের এই শ্রম–ঘামের কারণে মহামারির পর সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস বাজারে খুব ভালোভাবে ফিরে আসতে পেরেছে।

তবে শুধু সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস নয়, আরও বেশ কয়েকটি এয়ারলাইনস কর্মীদের উদার হস্তে বোনাস দিচ্ছে। জানা গেছে, দুবাইয়ের এমিরেটস এয়ারলাইনস তার কর্মীদের ২০ সপ্তাহের বেতনের সমপরিমাণ বোনাস দিচ্ছে। সিএনএন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

আয় বিবরণীতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস অবশ্য বলেছে, আগামী অর্থবছরে ব্যবসার জগতে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হতে পারে। তারা বলেছে, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা, সামষ্টিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, মূল্যস্ফীতির চাপ ও সরবরাহব্যবস্থায় নানা ধরনের বাধা বৈশ্বিক বিমান পরিবহন শিল্পের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।

মহামারির সময় মানুষের যাতায়াতে বিধিনিষেধের কারণে বিমান সংস্থাগুলো বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছিল। সেই বাস্তবতা এখন আর নেই। বিধিনিষেধ প্রায় সবই উঠে গেছে। ফলে বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোও বড় অঙ্কের মুনাফার মুখ দেখছে।


সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস   সিএনএন সংবাদ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন