ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বৈশ্বিক মতবিভেদ, একমত নয় যুক্তরাষ্ট্র-ভারত

প্রকাশ: ০৯:২০ এএম, ১২ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বৈশ্বিক রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ব্যাপক মতবিভেদ দেখা দিয়েছে। একদিকে যখন ভারত, চীন ও রাশিয়া নির্বাচনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মনে করে, অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে একরকম উঠেপড়ে লেগেছে। তারা একটি দেশের নির্বাচনকে সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মনে করেন না বলেই হয়তো এহেন হস্তক্ষেপ তারা করেই যাচ্ছেন।

বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করার লক্ষ্য অর্জনে যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতিসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলো আবার এদিকে মধ্যপন্থা অবলম্বন করছে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিদেশে আলোচনাকে সম্মানজনক নয় বলে অভিহিত করেন। তারা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় অভ্যন্তরীণভাবে আলোচনা করে সংকট সমাধানের তাগিদ দিয়েছেন।

তারা বলছেন, ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থে দেশগুলোর মধ্যে বৈশ্বিক মেরুকরণ রয়েছে। বাংলাদেশকে তাদের সেই লড়াইয়ের ক্ষেত্র বানানো হচ্ছে। একপ্রকার দেশটিকে নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করার চেষ্টাই চালাচ্ছে তারা। এ কারণেই জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা প্রয়োজন।

এর আগে, বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট ছিল না।  তবে দিল্লিতে শুক্রবার ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ২+২ বৈঠকের পর ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা এ নিওর্বাচন নিয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে নির্বাচন কেমন হবে সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তাদের এভাবেই মত বিনিময়ের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলো দেশটি

উল্লেখ্য, সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে ২+২ বৈঠকে অংশ নেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব জানান, বৈঠকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে দুদেশের নেতারা আলোচনা করেছেন।

বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে বিনয় কোয়াত্রার কাছে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা।

উত্তরে তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়া ও বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে। তাই বাংলাদেশের বিষয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট তুলে ধরেছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই স্পষ্ট করে তুলে ধরেছি। তৃতীয় কোনো দেশের নীতিমালা নিয়ে আমাদের মন্তব্য করার জায়গা নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সে দেশের মানুষ তাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

তিনি আরও বলেন, এক বন্ধু এবং সঙ্গী দেশ হিসাবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আমরা সম্মান জানাই। একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশকে সে দেশের মানুষ যেভাবে দেখতে চায়, সেই ভিশনকে ভারত কঠোরভাবে সমর্থন করে। বাংলাদেশকে স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধশালী করে তুলতে সে দেশের দৃষ্টিভঙ্গিকে ভারত বরাবর সমর্থন করে আসছে। এই সমর্থন অব্যাহত থাকবে।

এদিকে ভারতের এ অবস্থানের একদম উল্টো পথে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রচীনের প্রভাব মোকাবিলার লক্ষ্যে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু থাকা প্রয়োজন হলেও বাংলাদেশের প্রসঙ্গে তারা একমত নন। বরং দিল্লি ও ওয়াশিংটন এই ক্ষেত্রে তাদের নিজ নিজ অবস্থানে অনড়।

ভারতের বক্তব্যের একদিন আগে ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়ো ওয়েন বলেছেন, বাংলাদেশে সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে এই দেশের আইন মেনে নির্বাচন প্রত্যাশা করে চীন। এই ক্ষেত্রে বাইরের চাপ কিংবা হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। কিছুদিন আগে রাশিয়াও প্রায় একই ধরনের মতামত ব্যক্ত করেছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার সমালোচনা করেন।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় বলে জানিয়েছে। দেশগুলো সংকট নিরসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সমঝোতার লক্ষ্যে পর্দার আড়ালে তৎপরতা চালাচ্ছে।

যদিও বাংলাদেশে সংকট নিরসনে বিদেশি তৎপরতা সফল হওয়ার ঘটনা দৃশ্যমান নয়। তবে বাংলাদেশে এই সব দেশের রাষ্ট্রদূতরা দৌড়ঝাঁপ করছেন। তারা বলছেন, রাজনৈতিক সমঝোতার লক্ষ্যে তাদের মধ্যস্থতা দুই পক্ষের দূরত্ব কমাবে বলে আশা করেন। সবাই তাই তফশিলের আগেই সংলাপ চান।

বাংলাদেশের নির্বাচন বিষয়ে পশ্চিমা দেশ, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের আলোচনা প্রসঙ্গে সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেন, প্রতিটি দেশ তাদের দৃষ্টিভঙ্গি, জাতীয় স্বার্থের আলোকে পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করে। আমি মনে করি যে, বাংলাদেশ নিয়ে যে ধরনের আলোচনা বাইরে হয়েছে, সেটি না হওয়াটাই ভালো হতো।

কারণ, আমরা যদি আমাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা নিজেরাই সমাধান করতে পারতাম তাহলে সেটি সবচেয়ে বেশি সম্মানজনক হতো। আমাদের একেবারেই নিজেদের বিষয়গুলো নিয়ে বাইরে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। তারা তাদের অবস্থান জানাচ্ছে, এতে খুব সাচ্ছন্দ্য বোধ করি না। এটি আত্মসম্মানজনক বিষয় বলেও মনে হয় না।

দেশের একজন সাধারণ নাগিরক হিসাবে মনে করি, বাইরে কে কি করবে তাতে মনোযোগী না হয়ে আমাদের রাজনৈতিক নেতা যারা আছেন, যারা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা রাখেন। তারা এখানকার মানুষের প্রত্যাশা, মানুষ কি চায় তার প্রতি দৃষ্টি রাখতে পারেন। সেটাকে মূল্য দিয়ে তারা নিজেরা আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে এ সমস্যাগুলো সমাধান করলেই আমরা যে প্রত্যাশিত পর্যায়ের সম্মান নিয়ে থাকা দরকার সে সম্মানটা নিয়ে থাকতে পারতাম।

তিনি বলেন, আমরা যদি শুভবুদ্ধি প্রয়োগ করে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে নিজেরাই নিজেদের সমস্যার সমাধান করতে পারতাম তাহলে সবেচেয় উত্তম ব্যবস্থা হতো। যে আত্মসম্মানের জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম সে আত্মসম্মান হয়তো সমুন্নত থাকত।

তিনি বলেন, এই সংঘাতময় পরিস্থিতি যদি অব্যাহত থাকে বা এটি যদি দীর্ঘায়িত হয়, নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে যদি প্রশ্ন তৈরি হয় সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, আলাদাভাবে আমেরিকা এবং কিছুটা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়া বাকি দেশগুলো সব সময় বলে এসেছে যে, এই নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমাদের নাক গলানোর কোনো বিষয় নয়। যে ঘাটতি আছে সেটি আমাদের দ্বারা মেটানো সম্ভব নয়, সেটা বাংলাদেশে জনগণকেই ঠিক করতে হবে। সেখানে মূলত বাংলাদেশের নির্বাচনের বিষয়ে আমেরিকাই তার বেশি অতি উৎসাহ দেখিয়েছে। যদিও আগেও কম-বেশি হয়েছে এমনটা।

তিনি আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে আমেরিকার আলোচনায় ভারত তার অবস্থান স্পষ্ট করতে পেরেছে। আগেও করেছে। তারা বলেছে, নির্র্বাচন বাংলাদেশর অভ্যন্তরীণ বিষয়। তারাই ঠিক করবে কিভাবে সেটি পরিচালনা করবে।

এখানে মনে রাখতে হবে, ভারত এই সময়ে এই কথা বলার বড় কারণ, স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশে তারা একটি বন্ধু রাষ্ট্র হিসাবে চাইবে। সেদিক এই সরকার সন্দেহাতীতভাবে ভারতের বড় মাথাব্যথা নর্থ-ইস্ট যে নিরাপত্তা সেটি বড় আকারে সমাধান করেছে। দেখিয়েছে এটা করা সম্ভব। তাই ভারত কেন আবার তাকে নতুন ঝুঁকিতে ফেলবে। বিরোধী দল যারা এক সময় ক্ষমতায় ছিলেন তখন বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছিল। বিশেষ করে দশ ট্রাক অস্ত্র, উলফার কথা আমরা জানি।

তিনি বলেন, একইসঙ্গে ভারত কখনো চাইবে না বাংলাদেশে আমেরিকার একটা নিরাপত্তা কাঠামো তৈরি হোক। কারণ, পাকিস্তানে যে কাঠামো তৈরি করেছে আমেরিকা সেটার ভুক্তভোগী তারা। তাই ভারত চাইবে না এখানেও আমেরিকা তার ইন্টেলিজেন্স, তার অস্ত্র নিয়ে একটা নিরাপত্তা কাঠামো তৈরি করুক। আজকে হয়তো এই সরকার আছে, কিন্তু সেটা কখনো পরিবর্তন হতে পারে। তখন হয়তো ওই কাঠামো দিল্লির জন্য আরেকটা বড় মাথাব্যথা হয়ে যাবে। ভারতও বড় শক্তি। তাই তারও আমেরিকাকে হয়তো বলেছে, তোমার সঙ্গে আমার যতই বন্ধুত্ব থাকুক আমি চাইব এই অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলো যেন আমার সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখে।

সাবেক রাষ্ট্রদূত এম সফিউল্লাহ বলেন, ভারত বলেছে, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতি তারা শ্রদ্ধাশীল। আবার এটাও বলার চেষ্টা করছে যে নির্বাচনে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হতে পারে এবং এখানে জঙ্গিবাদের উত্থান হবে। এই অঞ্চলে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ভুটানে, নেপালে, শ্রীলংকা, সদ্য মালদ্বীপে হয়েছে। এতে তো আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়নি। বাংলাদেশে মানুষ কারও হস্তক্ষেপই পছন্দ করে না।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন হবে। সেখানে ভারত কেন যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পর্কে বোঝানোর চেষ্টা করছে। ভারত চাইছে বাংলাদেশে ‘স্ট্যাবিলিটি’ বা এই সরকারই থাকুক। যেভাবেই হোক এই সরকারই থাকুক তাদের স্বার্থে।


বাংলাদেশ নির্বাচন   বৈশ্বিক মতবিভেদ   একমত নয়   যুক্তরাষ্ট্র-ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাফায় হামলা নিয়ে বাইডেনের কড়া হুঁশিয়ারি

প্রকাশ: ০২:০৪ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বেশিরভাগই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে আগেই। এখন বাকি রয়েছে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির রাফা শহর। তবে লাখ লাখ ফিলিস্তিনির আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠা এই শহরে বড় ধরনের হামলার বিরোধিতা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

ফিলিস্তিনিদের হত্যায় ইসরায়েলকে শক্তি যুগিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই তিনিই এখন রাফায় অবস্থানকারী ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য মানবিকতার বুলি প্রকাশ করলেন। 

বুধবার (৯ মে) তিনি জনসম্মুখে ঘোষণা করেন, ইসরায়েলি যদি রাফায় অভিযান চালায় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের কোনো অস্ত্র সরবরাহ করবে না। খবর রয়টার্সের 

সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘এটা স্পষ্ট করতে চাই, যদি ইসরায়েল রাফাতে হামলা চালায় তাহলে আমি তাদের কোনো অস্ত্র সরবরাহ করবো না। 

গাজায় ইসরায়েল অভিযান চালানোর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই প্রথম তেল আবিবের বিরুদ্ধে জনসম্মুখে শক্ত ভাষায় কথা বললেন। 

তিনি স্বীকার করেছেন, গাজায় বেসরকারি নাগরিকদের হত্যায় ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ব্যবহার করছে। গত সাত মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েল বাহিনী হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। আর এ সময়ের মধ্যে তারা ৩৪ হাজার ৭৮৯ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। 

ইসরায়েলকে ২ হাজার পাউন্ড বোমা দেওয়ার বিষয়ে বাইডেনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, এসব বোমা এবং অন্য উপায়ে গাজার বেসরকারি নাগরিকদের হত্যা করা হয়েছে। 

মার্কিন সরকারের একজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, রাফাতে হামালার বিষয়ে ওয়াশিংটন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। এরই অংশ হিসেবে বোমার একটি চালায় আটকে দেওয়া হয়েছে। 

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাড এরদান ওয়াশিংটনের এ পদক্ষেপকে হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, বিশ্বাস হচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ রাখতে পারে।


রাফা   হামলা   বাইডেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মিসরে ইসরায়েলি গোয়েন্দাকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশ: ০১:২৫ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মিশরের বন্দরনগরী আলেক্সান্দ্রিয়ায় ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশী জিব কিপার নামে এক ইসরায়েলি গোয়েন্দাকে গুলি করে করা হয়েছে। ফিলিস্তিনপন্থি মিসরীয় একটি সশস্ত্র গ্রুপ এ হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করা হচ্ছে।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ওই ইহুদিবাদী ব্যবসায়ীকে মঙ্গলবার (৭ মে) আলেক্সান্দ্রিয়ায় হত্যা করা হয়। খবর টাইমস অব ইসরাইল ও আল-মায়াদিন টিভির।

ইরানি সংবাদমাধ্যম পার্স টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মিসরের বন্দরনগরী আলেক্সান্দ্রিয়ায় ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে থাকা ইহুদি সেনাদের হয়ে কাজ করা গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করেছে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। তবে ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ওই ইসরায়েলি ব্যবসায়ী ছিলেন। তাকে গত মঙ্গলবার হত্যা করা হয়।

গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের শুরু থেকেই তেলআবিবের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আছে ফিলিস্তিনপন্থি বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী। শুধু তাই নয় লেবানন, ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলি বাহিনীকে লক্ষ্য করে নিয়মিত হামলাও চালিয়ে আসছে তারা। সবশেষ গাজার সীমান্তবর্তী শহর রাফাহতে স্থল অভিযানকে কেন্দ্র করে নেতানিয়াহু প্রশাসনকে সতর্ক করে মিসর।

জানা যাচ্ছে, সেই সতর্কবার্তা উপেক্ষা করায় ইহুদি সেনাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে মিসরভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠনগুলো। নিজেদের গোয়েন্দা দক্ষতা কাজে লাগিয়ে তারা ছদ্মবেশী ওই ইসরায়েলিকে হত্যা করেছে।

নিহত জিব কিপার ছিলে এলএলসি গ্রুপ নামক একটি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ওই কোম্পানি মিসর থেকে সবজি ও ফল রপ্তানি করে। মিসরের আলেক্সান্দ্রিয়ায় গ্রুপটির সদরদপ্তর অবস্থিত এবং ইসরাইল ও ইউক্রেনে এটির দপ্তর রয়েছে।

ইসরাইলি ওয়াইনেট নিউজ ওয়েবসাইট জানিয়েছে, জিব কিপার কানাডার পাসপোর্ট নিয়ে মিসরে প্রবেশ করেছিল। সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ‘ভ্যানগার্ডস অব লিবারেশন’ নামের একটি সংগঠন এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। ‘ভ্যানগার্ডস অব লিবারেশন’ নিজেদের গত বছর জুন মাসে তিন ইসরাইলি সেনাকে হত্যা করে মৃত্যুবরণকারী মিসরীয় যুবক মোহাম্মাদ সালাহ’র অনুসারী বলে দাবি করে।

সংগঠনটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা একজন ‘অপরাধী ইসরায়েলি এজেন্টকে’ হত্যা করেছে। নিহত ইহুদিবাদী মিসর থেকে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করার পাশাপাশি ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের পক্ষে লোক নিয়োগ করত বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। ভ্যানগার্ডস অব লিবারেশনের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইহুদিবাদী শত্রুর বিরুদ্ধে মিসরীয় জনগণের সংগ্রামের পথে কিপারের হত্যাকাণ্ড একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।

মিশরীয় পুলিশ বাহিনীর সদস্য ২৩ বছর বয়সি মোহাম্মাদ সালাহ গত বছরের জুন মাসে সীমান্ত অতিক্রম করে ইসরায়েলে প্রবেশ করে ইহুদিবাদী সেনাদের বিরুদ্ধে এক বীরোচিত অভিযান চালান। তার হামলায় তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার পর দখলদার সেনাদের পাল্টা হামলায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।


মিসর   ইসরায়েল   গোয়েন্দা   গুলি   হত্যা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তানে অর্থনীতির চাকা ঘুরাতে গাঁজার চাষ

প্রকাশ: ০১:০৪ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানি আইনে গাঁজার চাষ নিষিদ্ধ হলেও দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে হাজার হাজার হেক্টর জমি রয়েছে যেখানে শত শত বছর ধরে গাঁজার চাষ হচ্ছে। 

দীর্ঘ সময় ধরে চরম অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। রাজনৈতিক অস্থিরতা, প্রাতিষ্ঠানিক অনিয়ম ও দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, করোনা মহামারি, বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্রমবর্ধমান প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেশটির অর্থনীতিকে নাজুক করে তুলেছে। সংকট মোকাবিলায় বিদেশি সাহায্যের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে উচ্চসুদে ঋণও নিতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিকল্প চিন্তা-ভাবনা করছে পাক কর্তৃপক্ষ। পরিকল্পনা করা হচ্ছে গাঁজা চাষের। 

গাঁজা সাধারণত মাদক হিসেবেই বেশি পরিচিত। তবে এর কিছু ভেষজ গুণ রয়েছে এবং ওষুধ হিসেবেও এর প্রয়োগ হয়। মাদক হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় অনেক দেশেই এটি নিষিদ্ধ। আবার ওষুধি ব্যবহারের জন্য অনেক দেশই এর ব্যবহার বৈধ করেছে। এমনকি বহুদিন নিষিদ্ধ থাকলেও সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও গাঁজা দিয়ে ওষুধ তৈরির অনুমতি দিয়েছে। দিনদিন এর চাহিদা বাড়ায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর একটা বড় বাজার তৈরি হয়েছে। অর্থনীতি চাঙ্গা করতে বিকাশমান সেই বাজারের সুযোগ নিতে চাচ্ছে পাকিস্তান। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে গাঁজা চাষ বিষয়ক একটি অধ্যাদেশও জারি করেছে দেশটি।


গাঁজা   পাকিস্তান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শিক্ষার্থী ভিসায় কঠিন শর্ত আরোপ অস্ট্রেলিয়ার

প্রকাশ: ১১:৪৬ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগমন নিয়ন্ত্রণে এবার নতুন পদক্ষেপ নিলো অস্ট্রেলিয়া। ভিসার আবেদন করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের প্রদর্শনের জন্য সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে অস্ট্রেলিয়ার সরকার। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে এই তথ্য।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যেসব বিদেশি শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় ভিসার জন্য আবেদন করবেন, তাদের অবশ্যই ন্যূনতম ২৯ হাজার ৭১০ অস্ট্রেলীয় ডলারের বাংলাদেশি মুদ্রায় (২১ লাখ ৪৬ হাজার ৯২২ টাকা) সমপরিমাণ অর্থ সঞ্চিত থাকতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই সঞ্চিত অর্থ সংক্রান্ত ব্যাংক নথি প্রদর্শন করতে হবে।

অস্ট্রেলিয়ায় শিক্ষার্থী ভিসার আবেদনের জন্য আগে প্রদর্শনযোগ্য সঞ্চিত অর্থের বাধ্যবাধকতা ছিল ন্যূনতম ২১ হাজার ৪১ অস্ট্রেলীয় ডলার, পরে ২০২৩ সালের অক্টোবরে তা বৃদ্ধি করে ২৪ হাজার ৫০৫ অস্ট্রেলীয় ডলারে উন্নীত করা হয়। সেই হিসেবে এবার দ্বিতীয় দফায় বাড়ানো হলো প্রদর্শনযোগ্য সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ। আগামীকাল শুক্রবার থেকে নতুন এই নিয়ম কার্যকর করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সরকারি বিবৃতিতে।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ায় শিক্ষার্থী ভিসায় আবেদনে যেসব কাগজপত্র-নথি সংযুক্ত করা বাধ্যতামূলক, সেসবের মধ্যে ব্যাংকে সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ বিষয়ক নথিও অন্তর্ভুক্ত। এই নথি অন্তর্ভুক্ত করা না হলে আবেদন গ্রহণ করার নিয়ম নেই।


শিক্ষার্থী ভিসা   অস্ট্রেলিয়া  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ১০০

প্রকাশ: ১১:০৬ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বুধবার (৮ মে) পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসনের হিসাবে মৃত্যু ১০০ ছুঁয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন ডজনখানেক। তাদের অনেকেই মারা গেছেন বলে ধারণা করছে স্থানীয় সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি।

আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে সীমান্তবর্তী রিও গ্রান্দে দো সুল রাজ্যের ৪০০টি পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। তাদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

রাজ্যটির গুয়াইবা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে বইছে। এতে তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তাই এর আশপাশের এলাকা থেকে নতুন করে লোকজনকে সরানো হচ্ছে। ব্রাজিলের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলায় ন্যাশনাল সেন্টার বলেছে, রাজ্যের দক্ষিণ অংশ আরও ভয়াবহ বন্যার উচ্চঝুঁকির মধ্যে ছিল। ওই এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে বিদ্যুতের মতো পরিষেবাগুলো। এ ছাড়া পথঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উদ্ধারকাজ খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা দফায় দফায় বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, দুর্গত এলাকায় উদ্ধারকাজে খুব গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন নিয়ে তার মন্ত্রিসভা পরিকল্পনা করছে বলে জানান তিনি।


ব্রাজিল   বন্যা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন