এবার জাতিসংঘের চিঠির কড়া জবাব দিল বাংলাদেশ।
২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সহিংসতার পর জাতিসংঘের পাঠানো চিঠির কড়া জবাব দিয়েছে
বাংলাদেশ। পর্যাপ্ত তথ্য সন্নিবেশ না করে কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়াই জাতিসংঘ চিঠিটি
তাড়াহুড়ো করে পাঠিয়েছে বলে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। আর বাংলাদেশ
থেকে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি জাতিসংঘের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
১ নভেম্বর বাংলাদেশ সরকারের কাছে জাতিসংঘের একটি চিঠি পাঠানো হয়। এতে আসন্ন নির্বাচন ঘিরে তাদের উদ্বেগ এবং বিরোধীদলীয় নেতা কর্মীদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারেও আলোকপাত করা হয়। এবার ওই চিঠির জবাব দিয়েছে বাংলাদেশ। এতে বলা হয়, জাতিসংঘের পাঠানো চিঠির তথ্য যাচাইকৃত নয়। চিঠিটি পূর্ণাঙ্গ তথ্য ও তথ্য প্রকাশের অপেক্ষা না করে পর্যাপ্ত সময় না নিয়ে তাড়াহুড়ো করে লেখা হয়েছে। বাংলাদেশের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, প্রকৃত অর্থেই বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনায় জাতিসংঘের সম্পৃক্ততা প্রশংসার দাবিদার।
যেহেতু মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে
জাতিসংঘ গৃহীত ব্যবস্থাপনার সঙ্গে বাংলাদেশ গঠনমূলক ও ধারাবাহিকভাবে সম্পৃক্ত, তাই
বাংলাদেশ প্রত্যাশা করে, আমাদের এই দৃঢ় প্রতিশ্রুতি সহযোগিতা ও ভারসাম্যপূর্ণ মনোভাবের
সঙ্গে মূল্যায়িত হবে। এটি বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে, পর্যাপ্ত তথ্য সন্নিবেশ ও কোনো ধরনের
যাচাই-বাছাই ছাড়াই জাতিসংঘের চিঠিটি তাড়াহুড়ো করে লেখা হয়েছে। একইভাবে, বাংলাদেশ
সরকারের সঙ্গে পরামর্শ না করে তড়িঘড়ি করে প্রেস নোটও প্রকাশ করা হয়, যেখানে আমাদের
সরবরাহ করা তথ্য ও পরিসংখ্যান এবং সহিংসতার ভয়ংকর চিত্র ও ভিডিও ফুটেজগুলো বিবেচনা
করা হয়নি, যা নিরপেক্ষ উৎস থেকে প্রাপ্ত।
সাংবিধানিক চেতনাকে ধারণ করেই চলতি বছরের
২৮ অক্টোবর সরকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে গণসমাবেশ আয়োজনের অনুমতি দিয়েছিল। যদিও বাংলাদেশের
প্রধান একটি বিরোধী দল—বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) উদ্দেশ্য ছিল এদিন চাপ প্রয়োগের কৌশল
হিসেবে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে রাজধানী ঢাকাকে বাংলাদেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন
করা।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ২৮-২৯ অক্টোবর সমাবেশ
ও ধর্মঘটের সময় বিএনপির উচ্ছৃঙ্খল কর্মীরা তাদের নেতাদের প্ররোচনায় বিভ্রান্ত হয়ে
সহিংসতার আশ্রয় নেয়। তাদের সহিংসতা থেকে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ফায়ার সার্ভিসের
গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, সিসিটিভি ক্যামেরা, থানা, গণমাধ্যমকর্মী, নিরীহ সাধারণ মানুষসহ
কোনো কিছুই রেহাই পায়নি। তারা পুলিশের একজন সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করে, তাদের আক্রমণে
শতাধিক পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন, জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয় একজন বাসচালকের সহকারীকে,
তারা বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালায়।
এ ছাড়াও পরবর্তী দিনগুলোতেও সারা বাংলাদেশে
বিএনপির অগ্নিসংযোগ ও সন্ত্রাসের কারণে আরও কয়েকজন নিহত হয় (ভিডিও ক্লিপ ও ছবি সংযুক্ত
করা হয়েছে)। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে, বিএনপি দায়িত্বরত মিডিয়াকর্মীদের ওপরও
সহিংস আক্রমণ চালিয়েছে। বিএনপির আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহের সময় টিভি ক্যামেরা ছিনিয়ে
নেওয়া হয় এবং অন্তত ২৫ জন সাংবাদিকের ওপর হামলা হয়, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়।
বিএনপি নেতাকর্মীদের এসব হামলার নিন্দা জানিয়েছে
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)। জাতিসংঘের উচিত বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম,
যা এদেশের মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে তুলে ধরছে, তাকে লক্ষ্যবস্তু করে বিএনপি
যে হামলা চালিয়েছে তার একটি নিরপেক্ষ মূল্যায়ন করা।
এতে আরও বলা হয় বাংলাদেশ আশ্বস্ত করে জানাচ্ছে
যে, আমাদের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ন্যূনতম এবং সর্বোত্তম শক্তি প্রয়োগ করার জন্য
প্রশিক্ষিত, কারণ তারা সাধারণ জনগণের জানমালের ক্ষতি প্রতিরোধ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। পুলিশের
এক সদস্যকে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে হত্যা করা সত্ত্বেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যুক্তিসংগত ও
সংযত থাকায় এটি প্রশংসার দাবিদার।
বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত,
আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে এবং শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ২৮
অক্টোবরের ঘটনার পর সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার
করা হয়েছে। কোনোভাবেই নির্বিচারে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়নি। দেশের প্রচলিত আইনের
আশ্রয় নেওয়ার অধিকারের নিশ্চয়তা তাদের দেওয়া হচ্ছে।
খালেদা জিয়া দুটি মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন এবং আরও কয়েকটি মামলা চলমান, যার সবকটি ২০০৭-০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দায়ের করা হয়েছিল। তবে তার স্বাস্থ্যগত অবস্থা বিবেচনা করে তার পরিবারের সদস্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আইনি বিধানে তার সাজা স্থগিত করেছেন।
খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশে চিকিৎসা নেওয়া এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে ছয় মাসের জন্য মুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সালের ২০ মার্চ যে শর্তে তাকে মুক্তি দেওয়া হয় সেগুলো তিনি মেনে নিয়েছিলেন, তাই তার মুক্তির মেয়াদ কয়েকবার বাড়ানো হয়েছে। তিনি তার পছন্দ অনুযায়ী এভারকেয়ার হাসপাতালে সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা নিচ্ছেন—এটি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা হাসপাতাল। সম্প্রতি তার চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে চিকিৎসক আনার জন্য তার পরিবারের সদস্যরা এবং বিএনপির নেতৃত্ব সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন। সরকার সেই অনুমতি দিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি যে, উল্লেখিত তথ্য-উপাত্ত জাতিসংঘকে আশ্বস্ত ও সহযোগিতা করবে, যাতে মানবাধিকার সংস্থাগুলো যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে গুজব ও অযাচাইকৃত তথ্য দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার আগে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে প্রকৃত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেয়।
মন্তব্য করুন
স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিৎসোকে হত্যাচেষ্টার ঘটনা মধ্য ইউরোপের দেশটিতে আলোড়ন তৈরি করেছে। চলছে এ ঘটনার চুলচেরা বিশ্লেষণ।
প্রধানমন্ত্রী ফিৎসোকে গুলি করার ঘটনায় যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তার নাম এখনো প্রকাশ করেনি স্লোভাকিয়া সরকার। তবে দেশটির গণমাধ্যমে তার পরিচয় দেওয়া হয়েছে ৭১ বছর বয়সী জুরাজ সিন্টুলা হিসেবে।
স্লোভাকিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় শহর লেভিসের উপকণ্ঠে একটি অ্যাপার্টমেন্টে ব্লকে থাকতেন জুরাজ সিন্টুলা। ওই ব্লকের অন্যান্য বাসিন্দার মতো মাইল লুডোভিটও সিন্টুলাকে একজন আস্থাভাজন প্রতিবেশী ও বন্ধু হিসেবে দেখতেন। ৪০ বছরের বেশি সময় তাঁরা পাশাপাশি বসবাস করছেন। লুডোভিট কখনো কল্পনাও করতে পারেননি যে ৭১ বছর বয়সী সাবেক নিরাপত্তারক্ষী ও কবি সিন্টুলা আধুনিক স্লোভাকিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ রাজনৈতিক হামলার জন্য সন্দেহভাজন ব্যক্তি হবেন।
লুডোভিট একা নন; বরং স্লোভাকিয়ার বড় অংশের মতো পুরো লেভিসবাসী বৃহস্পতিবার এই হামলার কারণ বোঝার চেষ্টা করে কোনো কূলকিনারা পাচ্ছিলেন না।
হামলাকারী কেন এ হামলা করলেন, সেই রহস্য স্পষ্ট না হলেও এমন সময়ে হামলাটি হয়েছে, যখন স্লোভাকিয়ার সমাজে বিভক্তি বাড়ছে।
লুডোভিট জানান, মাঝেমধ্যে সিন্টুলার সঙ্গে রাজনীতি নিয়ে কথা বলতেন তিনি। তবে কখনো তাঁর শক্ত রাজনৈতিক মত রয়েছে বলে তাঁর মনে হয়নি। তবে ফিৎসো সরকারের আমলে বাক্স্বাধীনতার ওপর ক্রমেই আক্রমণ বাড়তে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
স্লোভাকিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, একটি ‘নিঃসঙ্গ নেকড়ে, যে সম্প্রতি কট্টরপন্থী হয়েছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর’, তাঁর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তাতে দেখা যায়, সিন্টুলা স্থির নন, তাঁর মধ্যে পরস্পরবিরোধী অবস্থান কাজ করে। ফিৎসোর এ সমালোচক সহিংসতার বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। আবার মাঝেমধ্যে ‘অতি জাতীয়তাবাদী বয়ানের’ সঙ্গেও তাঁকে একাত্ম হতে দেখা গেছে।
এক বছর পর ২০১৬ সালে সিন্টুলাকে ‘স্লোভাক কন্সক্রিপ্ট’ নামের রুশপন্থী একটি আধা সামরিক সংস্থার সভায় দেখা যায়। সে সময় এক ফেসবুক পোস্টে তিনি ‘দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষার জন্য’ গোষ্ঠীটির প্রশংসা করেন।
ফৌজদারি অপরাধবিষয়ক আইনের সংশোধনে ফিৎসো সরকারের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে গত ফেব্রুয়ারিতে স্লোভাকিয়ার রাজধানী ব্রাতিস্লাভায় এক বিক্ষোভে সিন্টুলাকে অংশ নিতে দেখা গেছে। এ সংশোধনীতে দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক অপরাধের শাস্তি কমানোর প্রস্তাব করা হয়। কয়েক মাস ধরে জনপ্রিয় ফিৎসো সরকারের বিরুদ্ধে স্লোভাকিয়ায় হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। তাঁদের আশঙ্কা এই সরকার দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করবে।
গত কয়েক বছরে স্লোভাকিয়ার রাজনৈতিক পরিমণ্ডল ইউরোপীয় ইউনিয়নপন্থী এবং ফিৎসো নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। সাম্প্রতিক নির্বাচনের পর এ বিভক্তি আরও তীব্র হয়েছে। সমালোচকেরা বলেছেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফিৎসো ও তাঁর সমর্থকেরা ভুয়া তথ্য এবং প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করে দেওয়া বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে যাত্রীবাহী এক বাসে আগুন লেগে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৮ জনের। আহত হয়েছেন অন্তত ২৪ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে কীভাবে বাসটিতে আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, শুক্রবার রাত দেড়টা দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সেই সময় বাসে ছিলেন ৬০ জন। তাদের বেশিরভাগই তীর্থযাত্রী। মৃতদের মধ্যে ৬ জন নারী রয়েছেন। এরই মধ্যে এই ঘটনার একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেগুলোতে দেখা গেছে, একটি ফ্লাইওভারের ওপর দাউদাউ করে জ্বলছে বাসটি।
একজন জানিয়েছেন, বাসটির পিছনে একটি বাইক আ আসেন। পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। পুলিশে খবর দেওয়া হলে দমকলের ৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। আগুন নিভলে দেখা যায় বাসটির আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই। তবে এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি কীভাবে বাসটিতে আগুন লেগেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি চীন সফরে যান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বেইজিং সফরে থাকার সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং একে অপরকে আলিঙ্গন করেছেন। এটুকু ছাড়া চীন ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্কে বিস্ময়কর কোনো অগ্রগতি দেখেনি বলেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সদর দফতর হোয়াইট হাউস।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, 'একে অন্যকে আলিঙ্গন? ভালো, এটা তাদের জন্য চমৎকার।' যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রতিপক্ষের আলিঙ্গনাবদ্ধ অবস্থায় একটি ছবি দেখিয়ে এর তাৎপর্য নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে কিরবি এ কথা বলেন।
কিরবি কৌতুক করে আরও বলেন, শারীরিক ভালোবাসা প্রকাশ নিয়ে কথা বলতে তিনি স্বচ্ছন্দ নন। তারা কেন একে অন্যকে জড়িয়ে ধরা ভালো মনে করেছেন, সেটা নিয়ে তাদের কথা বলাই ভালো হবে।
যুক্তরাষ্ট্র বারবারই চীন ও রাশিয়ার সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে। চীনা প্রতিষ্ঠান রাশিয়াকে ইউক্রেনে হামলার জন্য অস্ত্র সরবরাহ করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে দেশটির।
কিরবি বলেন, পুতিনের সফরে এ ধরনের সম্পর্কে কোনও অগ্রগতি হয়েছে বলে মনে করছে না যুক্তরাষ্ট্র। মস্কোর সশস্ত্র বাহিনীকে শিগগিরই শি জিনপিং সহায়তা করতে চান বলেও মনে করে না ওয়াশিংটন।
কিরবি আরও বলেন, এই বৈঠকে আমাদের বিস্মিত হওয়ার মতো খুব বেশি কিছু ঘটেছে বলে আমরা মনে করছি না।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তৎপরতার মধ্যেই সেখানে দীর্ঘমেয়াদে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। ইসলামপন্থী এই সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠীটির সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবেইদা।
শুক্রবার এক ভিডিওবার্তায় আবু ওবেইদা বলেন, 'আমাদের জনগণের ওপর গত কয়েক মাস ধরে যে নির্মম আগ্রাসন চলছে, তা বন্ধের জন্য আমরা পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এবং একই সঙ্গে শত্রুদের সঙ্গে গাজায় দীর্ঘমেয়াদে লড়াই চালিয়ে যেতেও আমরা প্রস্তুত।'
ভিডিওবার্তায় আল-কাসেম ব্রিগেডের এই মুখপাত্র দাবি করেন, গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে ব্যাপক বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করছে। ইতোমধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি সাধনেও সফল হয়েছে তারা; কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনী নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য প্রকাশ করছে না।
প্রায় দু'সপ্তাহ আগে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত শহর রাফায় অভিযান শুরু করেছে আইডিএফ। সেখানেও ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে হামাস যোদ্ধাদের তীব্র সংঘাত চলছে বলে দাবি করেছেন আবু উবাইদা।
ভিডিওবার্তায় এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'গত ১০ দিনে পুরো গাজা উপত্যকায় অন্তত ১০০ ইসরায়েলি সামরিক সাঁজোয়া যানকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে আল-কাসেম ব্রিগেডের যোদ্ধারা। রাফা শহরে আমাদের যোদ্ধাদের সঙ্গে আগ্রাসনকারী বাহিনীর তীব্র লড়াই হচ্ছে এবং শহরের পূর্বাঞ্চলে শত্রুরা পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে।'
গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস ও তার মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের প্রায় ১ হাজার যোদ্ধা। ওই দিন সীমানাপ্রাচীর ভেঙে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করে তারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ২৪২ জনকে ধরে নিয়ে যায়।
মন্তব্য করুন
গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া থেকে তিন জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের যে দাবি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু করেছেন, তাতে খুশি নন ইসরায়েলিরা। তারা তাদের স্বজনদের ফিরিয়ে আনতে আরও কিছু করার দাবি করেছে।
ইসরায়েল জানায়, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভেতরে হামাসের হামলার সময় নিহত তিন ব্যক্তির মরদেহ তারা গাজা থেকে উদ্ধার করেছে। ওই তিন ব্যক্তি হলেন আইজ্যাক গেলেরেন্টার, অমিত বুসকিলা এবং শানি লুক। তারা নোভা মিউজিক উৎসবে নিহত হয়েছিলেন এবং হামাস লাশগুলো গাজায় নিয়ে গিয়েছিল বলে ইসরায়েল দাবি করছে।
শুক্রবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি এক বিবৃতিতে বলেন, ওই তিন ব্যক্তির লাশ সেনাবাহিনী এবং ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেইতের অভিযানের সময় উদ্ধার করা হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই অভিযানের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, জীবিত হোক বা মৃত হোক, গাজা থেকে সকল জিম্মিকে মুক্ত করে আনব।
গত সপ্তাহে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসসাম ব্রিগেড এক ভিডিও প্রকাশ করে জানায়, ব্রিটিশ-ইসরায়েলি বন্দী নাদাভ পপলওয়েল মারা গেছেন। গ্রুপটি জানায়, এক মাস আগে ইসরায়েলি বোমা হামলায় তিনি আহত হয়েছিলেন। ওই ক্ষত থেকেই তিনি মারা গেছেন।
জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য ইসরায়েল সরকারের ওপর ঘরোয়া চাপ বাড়ার মধ্যে ওই ভিডিও প্রকাশ করা হয়।
জিম্মিদের স্বজন ও বন্ধুসহ হাজার হাজার ইসরায়েলি তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করার দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছে। জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য আরও কিছু করার জন্য তারা নেতানিয়াহুর প্রতি দাবি জানাচ্ছেন। তাদের অনেকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার জন্য নেতানিয়াহুকে চাপ দিচ্ছেন।
এদিকে শুক্রবার জর্ডানের আম্মান থেকে আল জাজিরার সংবাদদাতা ইমরান খান বলেন, তিন লাশ উদ্ধার নিয়ে নেতানিয়াহু যে দাবি করেছেন, তাতে জিম্মিদের পরিবারগুলো সন্তুষ্ট নয়। উল্লেখ্য, ইসরায়েল সরকার নিষিদ্ধ করায় আল জাজিরাকে এখন বাইরে থেকে সংবাদ সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
ইমরান খান বলেন, জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য গঠিত অ্যাডভোকেসি গ্রুপ দি ব্রিং দেম হোম ক্যাম্পেইন বলেছে, নেতানিয়াহু জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য পর্যাপ্ত কিছু করছেন না।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে হামাস। সেসময় নিহতদের মধ্যে ওই তিনজনও ছিল। তখন আরো ২৫২ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস।
মন্তব্য করুন
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে যাত্রীবাহী এক বাসে আগুন লেগে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৮ জনের। আহত হয়েছেন অন্তত ২৪ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে কীভাবে বাসটিতে আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা গেছে, শুক্রবার রাত দেড়টা দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সেই সময় বাসে ছিলেন ৬০ জন। তাদের বেশিরভাগই তীর্থযাত্রী। মৃতদের মধ্যে ৬ জন নারী রয়েছেন। এরই মধ্যে এই ঘটনার একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
সম্প্রতি চীন সফরে যান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বেইজিং সফরে থাকার সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং একে অপরকে আলিঙ্গন করেছেন। এটুকু ছাড়া চীন ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্কে বিস্ময়কর কোনো অগ্রগতি দেখেনি বলেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সদর দফতর হোয়াইট হাউস। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, 'একে অন্যকে আলিঙ্গন? ভালো, এটা তাদের জন্য চমৎকার।' যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রতিপক্ষের আলিঙ্গনাবদ্ধ অবস্থায় একটি ছবি দেখিয়ে এর তাৎপর্য নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে কিরবি এ কথা বলেন।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তৎপরতার মধ্যেই সেখানে দীর্ঘমেয়াদে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। ইসলামপন্থী এই সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠীটির সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবেইদা। শুক্রবার এক ভিডিওবার্তায় আবু ওবেইদা বলেন, 'আমাদের জনগণের ওপর গত কয়েক মাস ধরে যে নির্মম আগ্রাসন চলছে, তা বন্ধের জন্য আমরা পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এবং একই সঙ্গে শত্রুদের সঙ্গে গাজায় দীর্ঘমেয়াদে লড়াই চালিয়ে যেতেও আমরা প্রস্তুত।'
গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া থেকে তিন জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের যে দাবি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু করেছেন, তাতে খুশি নন ইসরায়েলিরা। তারা তাদের স্বজনদের ফিরিয়ে আনতে আরও কিছু করার দাবি করেছে। ইসরায়েল জানায়, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভেতরে হামাসের হামলার সময় নিহত তিন ব্যক্তির মরদেহ তারা গাজা থেকে উদ্ধার করেছে। ওই তিন ব্যক্তি হলেন আইজ্যাক গেলেরেন্টার, অমিত বুসকিলা এবং শানি লুক।