ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কি আছে বঙ্গবন্ধুর খুনিকে নিয়ে কানাডার টিভি প্রতিবেদনে

প্রকাশ: ১০:০৪ পিএম, ১৮ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি এস এইচ এম বি নূর চৌধুরীকে নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করেছে কানাডিয়ান রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিবিসি। শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে সিবিসি টেলিভিশিনের জনপ্রিয় অনুসন্ধানী বিভাগ “দ্য ফিফথ স্টেট”- এ “দ্য অ্যাসাসিন নেক্সট ডোর” শিরোনামের প্রতিবেদনটি প্রচারিত হয়।

সিবিসির প্রতিবেদনে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিবর্গ, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রত্যক্ষ্যদর্শী, কানাডার বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কানাডার সরকারের সাবেক মন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিদের সাক্ষাতকার নেয়া হয়। প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে দেখা মেলে আত্মগোপনে থাকা নূর চৌধুরীর। সিবিসির ডকুমেন্টরিটির প্রকাশিত ভিডিওর একটি অংশে কানাডায় অবস্থানরত নূর চৌধুরীকে নিজ বাসভবনের বারান্দায় দেখা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর বাংলাদেশের একজন প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর এ হত্যাকান্ডের পেছনে সন্দেহভাজন সেনাসদস্যদের বিভিন্ন দেশে কূটনৈতিক পোস্টিং দেওয়া হয়। এ সময় নূর চৌধুরী ব্রাজিল, হংকংয়ে ইরানে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার হত্যার মাত্র দুই বছর আগে, ১৯৭৩ সালে কমনওয়েলথ সম্মেলনে যোগ দিতে কানাডা সফর করেন। সে সময় পিয়েরে ট্রুডোর সরকার তাকে স্বাগত জানায়। পিয়েরে ট্রুডোর সরকার প্রথমগুলোর মধ্যে একজন যারা স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।

তবে  একটি সমস্যা যা ধীরে ধীরে বন্ধুত্বের মধ্যে একটি ক্ষত হয়ে দাড়াচ্ছে। এক দশকেরও বেশি সময় পরে, এই সম্পর্ক পরীক্ষা হতে চলেছে নূর চৌধুরীর মামলা।

১৯৯৬ সাল, বাংলাদেশে ফিরে শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের জন্য প্রস্তুত ছিলেন। তখনই নূর চৌধুরী ভিজিটর ভিসায় কানাডা আসেন। ২৭  বছর পরে তিনি এখনও এখানে আছেন।

নূর চৌধুরী কানাডায় আসার পরপরই, নূর চৌধুরী একজন আসামী বলে রেড নোটিশ জারি করে ইন্টারপোল। নূর চৌধুরী তখন কানাডায় শরণার্থী মর্যাদার জন্য আবেদন করেন।

কানাডায় বাংলাদেশের নিযুক্ত হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান সিবিসিকে বলেন, কানাডা সবসময়ই আমাদের ভাল বন্ধু, কেবল একটিমাত্র ইস্যু ছাড়া, একজন খুনির জন্য কেন এমন অগ্রগামী সম্পর্ককে নষ্ট করছে।

২০০২ সালে,কানাডার ইমিগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজি বোর্ড (আইআরবি) নূর চৌধুরীকে "বিচার থেকে পলাতক" বলে রায় দেয়। আদালত হত্যাকান্ডে তার অনুপস্থিতির বিষয়টিকে ‘যুক্তির বিচারে অযোগ্য বলে’ মন্তব্য করে।

আদালত বলে, প্রমাণের ভিত্তিত তিনি আসলে, "ষড়যন্ত্রকারীদের একজন।"

২০০৬  সাল নাগাদ, স্টিফেন হারপারের সরকার নির্বাচিত হয় এবং নূর চৌধুরীর মামলা জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্টকওয়েল ডে’র কাছে হস্তান্তর হয়।

সিবিসিকে দেয়া সাক্ষাতকারে কানাডার জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী স্টকওয়েল ডে বলেন, আমি ফাইলটি দেখেছিলাম, এবং তার আগে এটি সম্পর্কে কিছুটা সচেতন ছিলাম।

তিনি বলেন,‘ আমার দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস ছিল, তার এখানে থাকা উচিত নয়।’

নূরকে দেশে পাঠানোর আইআরবি সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় স্টকওয়েল ডে’র ডিপার্টমেন্ট।

একইবছর আইআরবি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়, নূর চৌধুরী আনুষ্ঠানিকভাবে কানাডায় অগ্রহণযোগ্য করা হয়। শেষ পর্যন্ত তার নির্বাসনের আদেশ জারি করা হয়।

কিন্তু চৌধুরীর বাঁচার একটা শেষ লাইফলাইন ছিল।

পাঁচ বছর আগে কানাডার সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় । কোন ব্যাক্তি তার দেশে মৃত্যু বা নির্যাতনের সম্মুখীন হলে তাকে দেশে ফেরত পাঠানো অধিকারের আইনের লঙ্ঘন

স্টকওয়েল ডে বলেন, ‘কানাডা সরকারের নিয়মানুযায়ী, আপনি যদি আমাদের উপকূলে আপনার পায়ের আঙুলও রাখতে পারেন, তবে আপনি কি করেছেন তা কোন ব্যাপার না। আপনি এখানে বেশ কয়েক বছর থাকতে পারবেন।

বাংলাদেশের হাইকমিশনার বলেন, আমরা ২০০৯ সাল থেকে কানাডায় তার অবস্থান সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করছি। ২০১৫-১৬ থেকে মন্ত্রণালয় থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তারা কখনই আমাদের যোগাযোগে সাড়া দেয়নি। কানাডা নিম্ন স্তরের কর্মকর্তাদের একটি বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছিল, কিন্তু তা কখনই হয়নি।’

২০১৮ সালে জাস্টিন ট্রুডো এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি শীর্ষ সম্মেলনের পরে কুইবেকে বৈঠক করেন।

জাস্টিন ট্রুডো বলেন, কানাডায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে পারা খুবই আনন্দের বিষয়।

সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নূর চৌধুরীর বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন।

বাংলাদেশের গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রুডো সহানুভূতিশীল ছিলেন।

তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন ‘আমি বুঝতে পারি এটি আপনার জন্য কতটা বেদনাদায়ক।

ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনে বিশেষজ্ঞ রব কুরি সিবিসিকে বলেন, এটি একটি অন্যতম উদাহরণ যারা আমার মতো মামলাটি দেখছেন, তারা ধরে নিচ্ছেন যে এটি অক্ষমতা বা প্রত্যাখ্যান কারণ যে দেশে তার জন্য মৃত্যুদণ্ড অপেক্ষা করছে। কিন্তু এখানে একটি রাজনৈতিক দিক আছে

সিবিসি থেকে জানতে চাওয়া হয়, ইমিগ্রেশন রিফিউজি বোর্ড যখন তাকে বের করে দিতে চায় এবং তবুও সে থাকতে পারে, তাহলে সমাধান কী?

রব কুরি বলেন, `একটি সমাধানের জন্য আইনি যন্ত্রপাতি রয়েছে। তাকে অগ্রহণযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। তাকে নির্বাসনের আদেশ দেওয়া হয়েছে। একটি প্রাক অপসারণ ঝুঁকি মূল্যায়ন শুরু হয়েছে এবং তারপর নীরবতা।‘

বাংলাদেশ কানাডা সরকারকে চাপ দিতে কানাডার ফেডারেল আদালতে যায় নূর চৌধুরীর আইনি অবস্থান প্রকাশের জন্য । ফেডারেল কোর্ট কানাডার সরকারকে তার অবস্থান পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দেয়।

কানাডা সরকার তাদের অবস্থান জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি পাঠায়। চিঠিতে বলা হয়, নূর চৌধুরী সম্পর্কে তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সুবিধা থাকতে পারে তবে সেসব সুবিধা মৃত্যুদন্ড থেকে বেশি প্রাধান্য পায় না।  

মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে কানাডার অবস্থান নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফাঁক রয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে, "অসাধারণ পরিস্থিতিতে" লোকেদের পাঠানো যেতে পারে।

আইনের এই ক্ষেত্রটি, এটি সম্ভবত সবচেয়ে রহস্যময় বাক্যাংশ।

ঐতিহাসিকভাবে, যখন আদালত প্রথম বাক্যাংশটি প্রণয়ন করেছিল, কিছু লোক এটিকে বিন লাদেন ধারা বলে, যার অর্থ যদি ওসামা বিন লাদেনের মতো কেউ কানাডায় উপস্থিত হতেন, তবে তা কার্যকর হব ।

একজন বিশ্বনেতা এবং তার পরিবারের ২১ জন সদস্যকে হত্যার ঘটনা, যার মধ্যে একটি ১০ বছরের বালক ছিল। এটি কি ‘অসাধারণ পরিস্থিতির’ অন্তর্ভুক্ত নয়।

কানাডায় বাংলাদেশের নিযুক্ত হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান বলেন,আমরা নূর চৌধুরী মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে পাঠানোর জন্য উদারপন্থী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।

যদি কানাডার সুপ্রিম কোর্ট বলে যে, "না, তাকে নির্বাসিত করা যাবে না," আমরা মেনে নেব। তারপর আমরা অন্যান্য বিকল্পগুলি সম্পর্কে কথা বলতে পারি।

হাইকমিশনার বলেন, ‘আমাদের সংলাপ দরকার। বাংলাদেশ সরকার বছরের পর বছর ধরে একজন ফেডারেল মন্ত্রীর সাথে বৈঠকের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেছে। তবে নুর চৌধুরীর মামলা নিয়ে আলোচনার সৌভাগ্য হয়নি এবং মনে হচ্ছে সরকারও আমাদের সাথে কথা বলতে চায় না।

সিবিসি বলছে, নূর চৌধুরীর আইনজীবীর মাধ্যমে তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু তার আইনজীবী বলেছে যে সে তার মক্কেলের সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি।

২০১১ সালের সেই সিবিসি রেডিওর একটি সাক্ষাৎকারে তার আইনজীবী বারবারা জ্যাকম্যান বলেন যে,সুপ্রিম কোর্টের ফাঁকফোকর গলে তার নির্বাসন হতে পারে। নূর চৌধুরী কানাডায় থাকতে পারে এমন কোন রায় হয়নি। ‘ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিকোন ব্যাক্তিকে কানাডার সরকার ফেরত পাঠাতে পারে। কোর্ট কখনো  ‘ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি’র বিষয়টি পরিষ্কার করেনি। ”

নূর চৌধুরীর বিপক্ষে অনেকজন সাক্ষ্য সাক্ষী দিয়েছে। নূর চৌধুরীর সাথে চক্রান্তের সহ-অভিযুক্তদের একজনের কাছ থেকে তার বিরুদ্ধে মূল সাক্ষ্য এসেছে।

তিনি নূর চৌধুরীসহ হত্যাকাণ্ডের কয়েক সপ্তাহ আগে সিনিয়র সেনা কর্মকর্তাদের একটি "গোপন আলোচনা" করতে দেখেছেন।

আরেকজন সৈনিক, সেদিন নূর চৌধুরীকে অস্ত্র নিয়ে বাসভবনের দিকে রওনা হতে দেখেন।

অন্য একজন সৈনিক সাক্ষী দিয়ে বলেছেন যে, ‘তিনি নূর চৌধুরী কর্তৃক রাষ্ট্রপতির হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করেছিলেন।’

ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও রব কুরি সিবিসিকে বলেন , ‘মিঃ চৌধুরী কানাডায় থাকায় আমরা একটি অস্বস্তিকর অবস্থানে আছি। আরও আইনি প্রক্রিয়া এবং সরঞ্জাম আছে এবং কূটনৈতিক স্তরের সরঞ্জাম যা ব্যবহার করা যেতে পারে। আমার কাছে রহস্য হল কেন তাদের সহ্য করা হচ্ছে না।’

তিনি বলেন,‘চৌধুরী সাহেবের জন্য এটা ন্যায়বিচার নয়। এটি বাংলাদেশের জন্য ন্যায়বিচার নয় এবং কানাডার জনগণের জন্য মামলাটি এখন যেভাবে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে তার জন্য এটি ন্যায়বিচার নয়।’

সিবিসি টেলিভিশন থেকে স্টকওয়েল ডের কাছে জানতে চাওয়া হয় কানাডা সরকার একজন হত্যাকারীকে নিরাপত্তা দিবে নাকি মানবাধিকারের পক্ষ নিবে।

জবাবে স্টকওয়েল ডে বলেন, ‘আমরা নৈতিক উচ্চতা গ্রহণ করছি । তিনি যা করেছেন তার জন্য তিনি দায়বদ্ধ এবং আমাদের বাংলাদেশের সাথে আলোচনা করা উচিত আমরা কিভাবে তাকে এখান থেকে বের করে বাংলাদেশের জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে পারি তা দেখার জন্য।’

সিবিসি সাংবাদিক বলেন, কানাডায় নুর চৌধুরী তার শান্ত জীবন চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা তার ভূমিকা সম্পর্কে আরও জিজ্ঞাসা করার জন্য তার কাছে গিয়েছিলাম। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের হত্যাকাণ্ডে তার ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। কানাডিয়ান অফিসিয়ালদের তিনি কি তথ্য জানিয়েছেন সে সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয় তবে তিনি এর কোন উত্তর দেননি।


শেখ মুজিবুর রহমান   জাতির পিতা   বঙ্গবন্ধু   সিবিসি   নূর চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

‌'এমভি আবদুল্লাহ' এখন বাংলাদেশের জলসীমানায়

প্রকাশ: ০১:৫৫ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি দশা থেকে মুক্তির ঠিক এক মাস পর বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ২৩ নাবিক নিয়ে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমানায় পৌঁছেছে। সোমবার কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ভিড়তে যাচ্ছে এমভি আব্দুল্লাহ। 

কুতুবদিয়ায় পৌঁছানোর পর দুই দিন পণ্য খালাস করে চট্টগ্রাম বন্দরের নোঙরে ভেড়ার কথা রয়েছে; সেখানে বাকি পণ্য খালাস করা হবে।  

২৩ নাবিকসহ এমভি আব্দুল্লাহ এখন বঙ্গোপসাগরের জলসীমায় প্রবেশ করেছে জানিয়েছেন জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া ফোকাল পার্সন মিজানুল ইসলাম।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগরের জলসীমায় পৌঁছেছে এমভি আব্দুল্লাহ। ১৩ মে বিকাল নাগাদ আবদুল্লাহ কুতুবদিয়া পৌঁছাতে পারে বলে তিনি জানান। সেখানে কিছু পণ্য খালাস করবে। এতে দুই দিন সময় লাগতে পারে। তারপর চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে বাকি পণ্য খালাস করবে।

এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়া পৌঁছানোর পর নাবিকরা জাহাজে করেই চট্টগ্রামে পৌঁছাবে, নাকি আগেই জাহাজ থেকে নেমে চট্টগ্রাম যাবেন, সে ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান মিজানুল ইসলাম।

জাহাজের মালিকপক্ষ এর আগে জানিয়েছিল, এমভি আবদুল্লাহ দেশে পৌঁছাতে পারে ১২ মে। জাহাজে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন পাথর রয়েছে।

জাহাজ চলচাল পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা মেরিটাইম ট্রাফিক এর ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার রাতে এমভি আবদুল্লাহ শ্রীলঙ্কার কাছেই বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছিল। ভারতের পূর্ব উপকূলে জাহাজের অবস্থান দেখানো হয় মেরিটাইম ট্রাফিকের ওয়েব ম্যাপে।

উল্লেখ্য, ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। অস্ত্রের মুখে জাহাজ ও এর ২৩ নাবিককে জিম্মি করা হয়। এর ৩৩ দিন পর গত ১৩ এপ্রিল জলদস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে চলে যায়। এর পর দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হয় এটি। 


এমভি আবদুল্লাহ   বাংলাদেশ   জলসীমানা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারে আইসিজেতে দক্ষিণ আফ্রিকা

প্রকাশ: ০১:৪৬ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) আবেদন করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফা থেকে ইসরায়েলকে সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিতে তাদের এই আবেদন। শুক্রবার (১০ মে) জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত এই তথ্য জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার।

রাফা হলো মিসর সীমান্তে অবস্থিত গাজার সর্বদক্ষিণের শহর। ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে এই শহরে গাজার ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে ১০ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয়গ্রহণ করেছেন। এত মানুষ আশ্রয়গ্রহণ করলেও বারবার রাফায় স্থল অভিযানের হুমকি দিয়ে আসছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এমন পরিস্থিতিতে রাফায় ইসরায়েলি হামলা ঠেকাতে আরও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আইসিজের দ্বারস্থ হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর আইসিজেতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলা দায়ের করে দক্ষিণ আফ্রিকা। মামলার অভিযোগ দক্ষিণ আফ্রিকা বলেছে, গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড গণহত্যামূলক। কারণ এসব কর্মকাণ্ডের লক্ষ্য হলো ফিলিস্তিনি জাতি, ও গোষ্ঠীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে ধ্বংস।

এরপর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এই মামলার শুনানিতে গাজায় গণহত্যা কনভেনশনের আওতায় পড়তে পারে এমন কোনো কাজ থেকে বিরত থাকতে এবং ইসরায়েলি সৈন্যরা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে কোনো গণহত্যামূলক কাজ না করে তা নিশ্চিত করতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দেন আইসিজে।

আইসিজে বিশ্ব আদালত নামেও পরিচিত। এটি জাতিসংঘের একটি দেওয়ানি আদালত। সদস্যভুক্ত এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের বিরোধের বিচার করে এই আদালত। জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইসরায়েল— দুই দেশই দুই আদালতের রায় মেনে চলতে বাধ্য। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। তেল আবিবের দাবি, তারা গাজায় আন্তর্জাতিক আইন মেনেই কাজ করছে।


ইসরায়েল   আইসিজে   দক্ষিণ আফ্রিকা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সীমান্ত সংঘাত নিয়ে নতুন বার্তা চীনা রাষ্ট্রদূতের

প্রকাশ: ০১:৩৬ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে নিযুক্ত চীনের নতুন রাষ্ট্রদূত সুই ফেইহোং তার নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করতে নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন।

শুক্রবার (১০ মে) ভারতে গিয়েই দিল্লি-বেইজিং বন্ধুত্বকে দৃঢ় করার বার্তা দিলেন এই কূটনীতিক। 

ফেইহোং বলেন, দুই দেশের সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করার জন্য যে সম্মানজনক দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়েছে তা খুবই পবিত্র। 

তিনি বলেন, 'উভয় দেশের উদ্বেগের কথা মাথায় রেখেই পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধান সূত্র বের করতে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে তৈরি চীন। এ জন্য আমরা আলোচনা করব। নির্দিষ্ট ইস্যু ধরে ধরে আমরা এগোব।' পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, দুই দেশের সম্পর্ক যাতে মধুর হয় এবং বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়, তার জন্য তিনি কাজ করবেন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ভারতে কোনো রাষ্ট্রদূত ছিল না চীনের। অবশেষে ভারতের লোকসভা ভোটের মাঝে সুই ফেইহোংকে রাষ্ট্রদূত করে দিল্লিতে পাঠিয়েছে বেইজিং। সুই ফেইহোং হলেন ভারতে চীনের ১৭তম রাষ্ট্রদূত। 


চীনা রাষ্ট্রদূত   ভারত   নয়াদিল্লি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কুয়েতে পার্লামেন্ট ভেঙে দিলেন আমির

প্রকাশ: ১২:৩৮ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। দেশটির আমির শেখ মেশাল আল-আহমদ আল-সাবাহ টেলিভিশন এই ঘোষণা দিয়েছেন। একইসঙ্গে সংবিধানের কিছু অনুচ্ছেদও স্থগিত করেছেন তিনি। শনিবার (১১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুয়েতের আমির শেখ মেশাল আল-আহমদ আল-সাবাহ শুক্রবার এক টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, তিনি পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন। এছাড়া আমির কিছু সাংবিধানিক অনুচ্ছেদকে চার বছরের বেশি সময়ের জন্য স্থগিত করেছেন।

এদিকে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পর ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ক্ষমতা আমির এবং দেশটির মন্ত্রিসভা গ্রহণ করবে বলে উপসাগরীয় এই দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে।

 শুক্রবার টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে আমির শেখ মেশাল আল-আহমদ আল-সাবাহ বলেছেন, ‘কুয়েত ইদানীং কিছু কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছে ... যার ফলে দেশকে বাঁচাতে এবং দেশের সর্বোচ্চ স্বার্থ সুরক্ষিত করার জন্য কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা বা বিলম্বের কোনও অবকাশের সুযোগ নেই।’


কুয়েত   পার্লামেন্ট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় দখলদার ইসরায়েলের ৪ সেনা নিহত

প্রকাশ: ১১:৩৩ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজায় বিস্ফোরণে দখলদার ইসরায়েলের আরও ৪ জন সেনা নিহত হয়েছেন। এঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১০ মে) সকালে গাজা সিটির জেইতুন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, একটি স্কুলে হামলা চালাতে গিয়ে এই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ইসরায়েলি সেনারা। খবর  টাইমস অব ইসরায়েলের।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী জানিয়েছে, জেইতুনের একটি সরু গলিতে বিস্ফোরিত হয়ে তাদের চার সেনা নিহত হয়েছে। নিহত সেনাদের কাছে তথ্য ছিল হামাস সেখানে নিজেদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। যেখানে স্কুলটি অবস্থিত, সেটির পাশে একটি সুড়ঙ্গ ও অস্ত্র পাওয়ার দাবি করেছিল ইসরায়েল।

এদিকে আলাদা একটি ঘটনায় দক্ষিণ গাজার রাফাতে দুই সেনা গুরুতর আহত হয়েছেন। এদিকে শুক্রবার ৪ জনের মৃত্যুর মাধ্যমে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে ইসরায়েলিদের সেনাদের মৃতের সংখ্যা ২৭১ জনে পৌঁছেছে। তবে এ ঘটনা নিয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের।


গাজা   ইসরায়েল   সেনা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন