ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিল গেটসের ম্যানহোলে ঢুকার ভিডিও ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল

প্রকাশ: ০৮:০৮ পিএম, ২১ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী বিল গেটস ম্যানহোলের ভেতরে ঢুকছেন । মূলত, বিশ্ব টয়লেট দিবসে সচেতনতার বৃদ্ধির পদক্ষেপ হিসেবে এই ভিডিও তৈরি করা হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসের রাস্তার একটি ম্যানহোলের ঢাকনা খুলে ঢুকে সেখানকার একটি জাদুঘরে যাচ্ছেন মাইক্রেসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। মূলত বিশ্ব টয়লেট দিবস উপলক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে ভিডিওটি তৈরি করা হয়। 

স্যানিটেশন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে ১৯ নভেম্বর পালন করা হয় বিশ্ব টয়লেট দিবস।

ভিডিওতে দেখা যায়, ম্যানহোলের ভেতরে ঢুকে তিনি বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কথা বলছেন। ব্রাসেলসের অজানা অনেক ইতিহাসও জানছেন সেখানে।

ভিডিওর ক্যাপশনে বিল গেটস বলেন, ‘আমি বিশ্ব স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই সুয়েজ ব্যবস্থার ভূমিকা ও ব্রাসেলসের সুয়েজ ব্যবস্থার অজানা ইতিহাস জানলাম।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশনের অভাবে প্রতি বছর ৮ লাখ ২৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।


বিল গেটস   ম্যানহোল   ভিডিও   ইনস্টাগ্রাম   ভাইরাল   বিশ্ব টয়লেট দিবস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

স্যাটেলাইট ইস্যুতে যুদ্ধ বাধিয়ে দিতে চায় উত্তর কোরিয়া

প্রকাশ: ০১:৫৮ পিএম, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

সম্প্রতি প্রথমবারের মতো মহাকাশে গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। উৎক্ষেপণের পরপরই এই স্যাটেলাইট দিয়ে মার্কিন হোয়াইট হাউস, সেনা সদর দপ্তর পেন্টাগনসহ বিভিন্ন সামরিক স্থাপনার ছবি তুলে নিয়ে আসে কিম জং উনের দেশ। এবার তারা জানিয়ে দিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার স্যাটেলাইটে হস্তক্ষেপ করা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তারা পাল্টা ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবে না। খবর রয়টার্সের।

উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের দেওয়া এক বিবৃতির বরাতে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি উত্তরের স্যাটেলাইট চলাচলে বাধা দেয় তাহলে মার্কিন গোয়েন্দা স্যাটেলাইটের কার্যকারিতা বিনষ্ট করে পাল্টা জবাব দেবে উত্তর কোরিয়া।

বিবৃতিতে বলা হয়, অবৈধ ও অন্যায়ভাবে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র যদি একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের বৈধ সীমা লঙ্ঘন করার চেষ্টা করে তাহলে আত্মরক্ষার্থে পাল্টা ব্যবস্থা নেবে উত্তর কোরিয়া। অথবা মার্কিন গোয়েন্দা স্যাটেলাইটের কার্যকারিতা ধ্বংস করে দেবে দেশটি।

গত ২১ নভেম্বর প্রথমবারের মতো সামরিক গোয়েন্দা স্যাটেলাইট সফলভাবে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া। এরপর কেসিএনএ জানায়, তাদের উৎক্ষেপণ করা স্যাটেলাইট দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলসহ বেশ কয়েকটি শহর ও সেনাঘাঁটির ছবি পাঠিয়েছে। এ ছাড়া স্যাটেলাইট থেকে হোয়াইট হাউসসহ পেন্টাগনের ছবি পাঠানোর দাবি করেছে দেশটি। এসব ছবি পর্যালোচনা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট কিম জং উন।

উত্তরের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর গত বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দেশটির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, এ নিষেধাজ্ঞা মূলত সাইবার গ্রুপ কিমসুকির ওপর আরোপ করা হয়েছে। এ গ্রুপটিকে দেশটির কৌশলগত এবং পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করার জন্য গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারের এ নিষেধাজ্ঞা অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে সমন্বয় করে আরোপ করা হয়েছে।


উত্তর কোরিয়া   স্যাটেলাইট   হুমকি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অনিয়মে মার্কিন কংগ্রেসের পদ হারালেন জর্জ সান্তোস

প্রকাশ: ০৯:২২ এএম, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

অনিয়ম এবং নৈতিকতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য অভিযুক্ত রিপাবলিকান জর্জ সান্তোসের কংগ্রেস সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। শুক্রবার মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ভোটে সদস্যপদ হারিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) ভোটাভুটিতে হাউসে সান্তোসের নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির শীর্ষ চার নেতাসহ ১১২ জন সদস্য তাকে রাখার পক্ষে ভোট দিলেও শেষ রক্ষা হয়নি। সান্তোসকে বহিষ্কারের পক্ষে ভোট দিয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির ১০৫ জন সদস্য। এর সঙ্গে ডেমোক্রেটিক পার্টির ২০৬ ভোট মিলিয়ে প্রস্তাবের পক্ষে দুই–তৃতীয়াংশ ভোট পড়েছে।

এর আগে নিউইয়র্কের রিপাবলিকান নেতা সান্তোসকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কারের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৩১১ জন সদস্য। আর প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ১১৪ জন। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ষষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত হলেন সান্তোস।

আগেও একবার সান্তোসকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কারের প্রস্তাবের ওপর প্রতিনিধি পরিষদে ভোটাভুটি হয়েছিল। তবে সেবার ডেমোক্রেটিক পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতারা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেওয়ায় রক্ষা পেয়েছিলেন তিনি।

সম্প্রতি প্রতিনিধি পরিষদের নৈতিকতাবিষয়ক কমিটির এক প্রতিবেদনে উঠে আসে, সান্তোস নির্বাচনী প্রচারের জন্য সংগৃহীত তহবিলের অর্থ নিজের জন্য ব্যবহার করেছিলেন। সান্তোস কীভাবে ভ্রমণ, সৌন্দর্য বৃদ্ধির চিকিৎসা ও বিলাসী পণ্য কেনায় এসব অর্থ ব্যয় করেছিলেন, সেগুলো বিস্তারিত উঠে আসে এই প্রতিবেদনে।

এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর সান্তোষের সংকট বাড়ে। চাপের মুখে তিনি আর পরবর্তী নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না বলে ঘোষণা দেন। তবে তাতে সন্তুষ্ট হননি কংগ্রেস সদস্যরা।

গত মে মাসে প্রতারণা, সরকারি তহবিল তছরুপ, মুদ্রা পাচার এবং কংগ্রেসে মিথ্যা বক্তব্য দেওয়াসহ ১৩টি অভিযোগে সান্তোসকে অভিযুক্ত করেন আদালত। এরপর অক্টোবরে তাঁর বিরুদ্ধে আরও ১০টি অভিযোগ তোলা হয় আদালতে। এসব অভিযোগে আগামী বছর তাঁর বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


যুক্তরাষ্ট্র   জর্জ সান্তোস   কংগ্রেস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুদ্ধবিরতির পর গাজায় হামলা, নিহত ১৮৪

প্রকাশ: ০৯:১৪ এএম, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পরপরই ফিলিস্তিনের গাজায় আবার হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে শেষ বেলা পর্যন্ত এই হামলা চালানো হয়। আল-জাজিরার খবরে গাজার স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকর্তাদের বরাতে জানানো হয়েছে, হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় ১৮৪ জন নিহত হয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন ৫৮৯ জন। কমপক্ষে ২০টি ঘরবাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলি হামলার জবাবে হামাস ও ইসলামিক জিহাদসহ গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলো ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী এলাকা লক্ষ্য করে রকেট ও মর্টার হামলা চালিয়েছে। এ সময় ইসরায়েলের পাঁচ সেনা আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

গাজায় গত ২৪ নভেম্বর শুরু হওয়া চার দিনের যুদ্ধবিরতি দুই দফা বাড়িয়ে সাত দিন করা হয়। মেয়াদ বাড়াতে আন্তর্জাতিক চাপ ও হামাসের পক্ষ থেকে নতুন করে প্রস্তাব দেওয়া হলেও রাজি হয়নি ইসরায়েল।

ইসরায়েল সেনাবাহিনী গতকাল দাবি করেছে, ‘হামাস যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করেছে। পাশাপাশি তারা ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। পরে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে আবারও হামলা শুরু করেছে।’

তবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে হামলা শুরুর জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে হামাস। সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ নেতা খলিল আল-হায়া আল-জাজিরাকে বলেন, জিম্মি মুক্তি নিয়ে সমঝোতায় তিনটি প্রস্তাব দিয়েছিল হামাস। তবে ইসরায়েল এতে রাজি হয়নি।

গাজা নগরীতে অবস্থানরত এএফপির একজন সাংবাদিক বলেন, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে এখানে বেশ কয়েকটি হামলা চালানো হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি ড্রোনের শব্দ পাওয়া গেছে।

গাজার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, অবরুদ্ধ এ উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাঁদের ৭০ ভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার ১৭ লাখই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

গাজায় ইসরায়েলের টানা ৪৭ দিনের হামলার পর ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এ যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। এরপর দুই দফায় মোট তিন দিন বাড়ানো হয় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ।

সর্বসাকল্যে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চলাকালে হামাস ১০৫ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৮০ জন ইসরায়েলি নাগরিক ও অন্যরা বিদেশি। বিনিময়ে ২৪০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। এ ছাড়া যুদ্ধবিরতির আওতায় ত্রাণবাহী গাড়িগুলোকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় ঢুকতে দিয়েছে।

অন্যদিকে, গাজায় আবারও যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে, এমন আশা ব্যক্ত করে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘গাজায় আবারও সামরিক অভিযান শুরু হওয়ায় আমি অত্যন্ত মর্মাহত।’

আর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবে মানবিক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরেক দফা বাড়ানোর খবরই পছন্দ করব।’ একই সঙ্গে জিম্মি রুশ নাগরিকদের মুক্তির প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।


ফিলিস্তিন   ইসরায়েল   যুদ্ধবিরতি   হামলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০৮:৫৩ এএম, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংসতায় জড়িত উগ্র ইসরায়েলিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। এরই মধ্যে বিষয়টি ইসরায়েলকে জানিয়ে দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাতে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, ওয়াশিংটনের দাবি ছিল ইসরায়েল যেন অধিকৃত পশ্চিম তীরে সহিংসতায় জড়িত ইসরায়েলিদের বিচারের আওতায় আনে। তবে নেতানিয়াহু সরকার এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাই এই নিষেধাজ্ঞা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আসতে পারে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছেন।

এর আগে গত ১৮ নভেম্বর মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে লেখা এক উপসম্পাদকীয়তে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বন্ধ না করলে ইসরায়েলিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেন বাইডেন।

বাইডেন লেখেন, আমি ইসরায়েলের নেতাদের জোর দিয়েছি বলেছে যে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। যারা সহিংসতার সঙ্গে জড়িত তাদের অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। পশ্চিম তীরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞাসহ নিজস্ব পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

তিনি আরও লেখেন, এটা অনেকটাই স্পষ্ট যে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি উভয় জনগণের দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একমাত্র উপায় হলো দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান। এর আগেও ফিলিস্তিন ইস্যু সমাধানে বেশ কয়েকবার দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের কথা বলেছেন বাইডেন।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে সমান তালে হামলা করে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। ইসরায়েলি এসব হামলায় গাজায় ১৫ হাজারের বেশি এবং পশ্চিম তীরে কয়েকশ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।


বাইডেন   ইসরায়েল   নিষেধাজ্ঞা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাংলাদেশে জঙ্গি দমন কঠোরভাবে অব্যাহত

প্রকাশ: ০৮:৪৬ এএম, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশে কঠোরভাবে জঙ্গী দমন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন ‘কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেররিজম–২০২২’–এর বাংলাদেশ অংশে এ কথা বলা হয়েছে। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ কঠোরভাবে জঙ্গি দমন অব্যাহত রাখায় ২০২২ সালে এ দেশে এ ধরনের অল্প কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। বিশেষত আল-কায়েদাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গোষ্ঠী, যেমন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) এবং ইসলামিক স্টেটসংশ্লিষ্ট (আইএস) নব্য জেএমবির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য কর্মকর্তা প্রায়ই সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে জিরো টলারেন্সের (শূন্য সহিষ্ণুতা) ওপর জোর দেন। তবে বাংলাদেশ বরাবরই আল–কায়েদা ও আইএসের মতো বৈশ্বিক জঙ্গিগোষ্ঠীর উপস্থিতি অস্বীকার করে আসছে।

২০২২ সালের ঘটনাবলির ওপর তৈরি করা প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জঙ্গিগোষ্ঠী জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া নির্মূলে অভিযানের ঘোষণা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রশিক্ষিত বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে। অবশ্য নিরাপত্তা বাহিনীর অন্যান্য অংশ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটিয়েছে।

প্রতিবেদনে ২০২২ সালে বাংলাদেশে জঙ্গিগোষ্ঠীসংশ্লিষ্ট ঘটনা নিয়ে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার বিরুদ্ধে অভিযান ছাড়া ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই জঙ্গিকে ছিনতাইয়ের ঘটনা উল্লেখ করেছে। এতে বলা হয়, আল-কায়েদা অনুপ্রাণিত গোষ্ঠী জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালানোর প্রশিক্ষণ নিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে অবস্থান করছিল। এ অবস্থায় ওই বছরের অক্টোবরে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, জঙ্গিগোষ্ঠীটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ বছরের বাকি সময়জুড়ে বেশ কয়েকজন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া সদস্যকে গ্রেপ্তারের ঘোষণা দেয়।

২০২২ সালের অপর ঘটনায় ২০ নভেম্বর জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্যরা ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে হামলা চালিয়ে মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেলকে ছিনিয়ে নেন। তাঁরা দুজনই ২০১৫ সালে প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যার মামলায় দণ্ডিত হয়েছিলেন। এ ঘটনায় আনসার আল-ইসলামের ২০ জন সন্দেহভাজন সদস্যকে অভিযুক্ত করেছে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ।

অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা জোরদার ও সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টারটেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসিইউ) এবং বাংলাদেশ পুলিশের অ্যান্টিটেররিজম ইউনিটকে (এটিইউ) এবং দেশজুড়ে পুলিশের অন্যান্য ইউনিটকে নানা ধরনের সহযোগিতা দিয়ে থাকে। এ ছাড়া বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের (এটিটি) বিচারক ও কৌঁসুলিদেরও প্রশিক্ষণ দেয় যুক্তরাষ্ট্র। নথিপত্র ব্যবস্থাপনা, তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা, সন্ত্রাসীদের বিচার করা এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নবিষয়ক মামলা পরিচালনার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, জল ও স্থল সীমান্তে টহল দেওয়ার সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে। বন্দরে উন্নততর সরঞ্জাম ব্যবহার ও পদ্ধতি অনুসরণ এবং জনবল বৃদ্ধির মাধ্যমে পণ্য ও যাত্রীদের স্ক্রিনিং করার ক্ষেত্রে উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ বন্দরের নিরাপত্তা, বিশেষ করে প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। ঢাকা বিমানবন্দরেও আরও কার্যকর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষগুলো এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে উৎসাহী।


বাংলাদেশ   যুক্তরাষ্ট্র   জঙ্গীবাদ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন