ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নতুন মার্কিন শ্রম নীতির কি কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে?

প্রকাশ: ০২:০২ পিএম, ২৩ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

মালিক এবং শ্রমিকের মধ্যকার সুসম্পর্ক রক্ষার সেতুবন্ধন হলো একটি দেশের ‘শ্রম নীতি’। এই নীতির মাধ্যমে শ্রম সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা সমাধান এবং শ্রমিকের অধিকারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। একটি দেশের সরকারের উপর সে দেশের শ্রম অধিকার ও শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন নির্ভর করে। শ্রমিকদের জন্য শোষণমুক্ত, শোভন, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন, মানসম্মত জীবন যাপন এবং শ্রম অধিকার নিশ্চিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন একটি শ্রম নীতি প্রণয়ন করেছে। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়। বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করার প্রত্যয় নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শ্রম অধিকার বিষয়ক একটি স্মারকে (প্রেসিডেনশিয়াল মেমোরেন্ডাম) গত ১৬ই নভেম্বর প্রথমবারের মতো সই করেন।

শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে শ্রমিক অধিকার হরণকারীদের দেয়া হবে বাণিজ্য, ভিসাসহ বিভিন্ন ধরণের নিষেধাজ্ঞা। নতুন এই শ্রমনীতি বাস্তবায়নে কাজ করবেন বিশ্বজুড়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এই শ্রমনীতি দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের। বিশেষ করে পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা উদ্বেগ জানিয়ে বলেছেন, কোনো কারণে যদি শ্রম অধিকার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নতুন নীতিটি বাংলাদেশের ওপর কার্যকর করে তাতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এ দেশের রপ্তানি খাতে। কি আছে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এই শ্রমনীতিতে? শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার বিষয়টি ছাড়া এই শ্রম নীতির ভিন্ন কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে কি? এছাড়া এই নীতি বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে কি কোনো প্রভাব ফেলবে?

 

কি আছে মার্কিন নতুন শ্রম নীতিতে?

এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলসহ গোটা বিশ্বের অর্থনীতি ও অবকাঠামো উন্নয়নে শ্রমিকরা যে অবদান রাখছে তার প্রাপ্য সম্মান তাদের দেয়া হয় না বলেই মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এ নীতি জারি হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান ফান্সিসকোতে চলমান এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন বা অ্যাপেক এর নেতাদের সাথে বৈঠকের পাশাপাশি সংবাদ সম্মেলন এ কথা বলেন তিনি। দেশে দেশে নিগৃহীত হওয়া এসব শ্রমিকেদের সুরক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করতেই নতুন এই শ্রম নীতি জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র বলে তিনি জানান। যা তাদের নিজ দেশ ছাড়াও বিশ্বের অন্যসব দেশগুলোর জন্যেও প্রযোজ্য। এই উদ্যোগ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরেও শ্রমিক ও ইউনিয়ন ক্ষমতায়নকে এগিয়ে নেবে বলেই তাদের ধারণা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের অধিকারের প্রতি প্রশাসনের দায়বদ্ধতার একটি রূপরেখা দিয়ে ঐ স্মারকে (প্রেসিডেনশিয়াল মেমোরেন্ডাম) স্বাক্ষর করেন। এই বিষয়টিকে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করে হোয়াইট হাউজ শ্রম অধিকার সংরক্ষণের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যে পাঁচ ধরনের কর্মপরিকল্পনা সেগুলো তুলে ধরেছে এগুলো হচ্ছে-

 

১। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকার প্রচার, শ্রমিকের ক্ষমতায়ন এবং তাদের সুসংগঠিত করার উদ্দেশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কূটনীতি, অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা ও বৈদেশিক সহায়তা ব্যবহার করবে। এর মাধ্যমে মার্কিন সরকার বিভিন্ন দেশের সরকার, শ্রমিক, শ্রমিক সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন, সুশীল সমাজ ও বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করে আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষায় কাজ করবে। আর এ উদ্দেশ্যে যেকোনো জোরপূর্বক শ্রম, শিশু শ্রম এবং অন্যান্য অপব্যবহার প্রতিরোধ করা হবে।

২। শ্রমিক উন্নয়ন নেতা, ইউনিয়ন নেতা বা শ্রম অধিকার রক্ষাকারী যেকোনো ব্যক্তি এবং শ্রম সংস্থার বিরুদ্ধে কোনোপ্রকার হুমকি, ভীতিপ্রদর্শন বা যদি কোনো সহিংসতা করা হয় তবে এর বিরুদ্ধে দ্রুত এবং কঠোর প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া আইনি সহায়তা প্রদানকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান যারা শ্রম অধিকার রক্ষা নিয়ে কাজ করে তারা যেন কোনো দমন পীড়নের শিকার না হয় এক্ষেত্রে তাদের সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।

৩। বিশ্বব্যাপী একটি শ্রম এজেন্ডাকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য এবং শ্রম অধিকারের উপর উন্নত প্রশিক্ষণ ও শ্রম অগ্রাধিকারগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল বিভাগ এবং বিভিন্ন সংস্থাগুলিকে বিশ্বজুড়ে শক্তিশালী করে তুলতে হবে। শ্রম অধিকারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব দেয়া জরুরিভাবে প্রয়োজন, একারণে ফেডারেল বিভাগ এবং সংস্থাগুলিকে দ্বিগুণ শক্তিশালী ও সুসজ্জিত করে গড়ে তুলতে হবে।

৪। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সাথে একসাথে কাজ করে বিশ্বজুড়ে শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়ে সমর্থন আদায়ের জন্য ঐকবদ্ধ হতে হবে। এর মাধ্যমে আন্তজার্তিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকারের  বিষয়ে শ্রমিকরা নিজেদেরকে সুসংগঠিত করে তাদের কাজের অবস্থা আরও ভালো এবং বৈশ্বিক মানের করে গড়ে তোলার দাবি করতে পারবে। যাতে করে বিশ্বের সর্বত্র শ্রমিকদের সাথে ন্যায্য আচরণ করা হয়।

৫। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকার প্রচারের জন্য ট্রেড এনফোর্সমেন্ট এবং এর সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়গুলোকে উন্নত করতে হবে। দেশে এবং বিদেশে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা করা বাণিজ্য নীতির অগ্রগতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে এটি সবসময় অবদান রাখে। তাই, মার্কিন সরকার শ্রম অধিকারকে অগ্রসর করে এমন বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক উদ্যোগ প্রচারের চলমান প্রচেষ্টাকে প্রসারিত করবে এবং বিভিন্ন শ্রম অধিকার লঙ্ঘনকে মোকাবেলা করার জন্য প্রয়োজনীয়প্রযোজ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে।


এই শ্রম নীতির কি ধরণের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে?

যুক্তরাষ্ট্র গত বৃহস্পতিবার নতুন এই যে শ্রম অধিকারবিষয়ক নীতি ঘোষণা করার পর থেকেই বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক এবং ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। কারণ এই নতুন এই শ্রম নীতিতে শ্রমিকের অধিকার হরণ, ভয়ভীতি ও নির্যাতনে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বাণিজ্য ও ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিধান রয়েছে। এ অবস্থায় ব্যবসায়ীরা তাদের কি করণীয় ঠিক বুঝতে পারছেন না। তাদের আশঙ্কা তাদের উপর কি তবে ধেয়ে আসছে এসব ভিসা ও বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা।

এছাড়াও সম্প্রতি বাংলাদেশে ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে বিক্ষোভ ও আন্দোলন করে দেশের তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকরা। ন্যূনতম মজুরির দাবিতে গাজীপুর ও সাভারের আশুলিয়ায় পোশাক কারখানা অধ্যুষিত এলাকায় ব্যাপক বিক্ষোভে নামে।

শ্রমিকদের দাবি ছিল সর্বনিম্ন মজুরি করতে হবে ২৩ হাজার টাকা কিন্তু সরকার সাড়ে ১২ হাজার টাকা মজুরি ঘোষণা করে। কাঙ্ক্ষিত ঘোষণা না পেয়ে সরকারের ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে শ্রমিকদের একটি অংশ। দেশের বিভিন্ন জায়গায় তারা আন্দোলন ও বিক্ষোভ শুরু করে। আশুলিয়ায় কড়া প্রহরায় শ্রমিকরা সড়কে নামতে না পারলেও গাজীপুরের কয়েক এলাকায় ব্যাপক বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ হয়। কিন্তু প্রায় পুরো দেশেই চলমান বিচ্ছিন্ন এসব সংঘর্ষে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর যখন পুলিশি হামলা চালানো হয় তখন পুলিশের ঐ হামলায় ২৬ বছর বয়সী কারখানা কর্মী ও সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সদস্য রাসেল হাওলাদার নামক এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এছাড়া পুলিশের সঙ্গে সংর্ঘষের মধ্যে এক নারী শ্রমিকও নিহত হন।

এরপর থেকেই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে তীব্র নিন্দার বাণী আসতে শুরু করে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। বাংলাদেশে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে চলমান বিক্ষোভ দমনে শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়নকর্মীদের ওপর চালানো সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগও জানায় যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম দপ্তর, এমেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা।

এদিকে আগামী ৭ই জানুয়ারি বাংলাদেশে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। শুরু থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের এ নির্বাচন নিয়ে অনেক তৎপর। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ এই নির্বাচনের বিষয়ে তারা এ পর্যন্ত বহু হস্তক্ষেপও করেছে। এমন সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন শ্রম নীতি বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো বিরুপ প্রভাব ফেলবে কিনা সেটি নিয়ে অনেকের মনেই উঠেছে প্রশ্ন। কারণ, বাইডেনের এ মেমোরেন্ডাম স্বাক্ষরের পরে সানফ্রান্সিসকোর একটি হোটেলে শ্রমিক নেতাদের সামনে এর বিস্তারিত তুলে ধরেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, আর সেসময় তিনি বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার কর্মী কল্পনা আক্তারের উদাহরণও তুলে ধরেন। অর্থাৎ, বর্তমানে বাংলাদেশ তাদের চিন্তাভাবনার একটি বড় অংশ জুড়েই আছে এখনো। আর এ কারণেই তারা এই নীতির মাধ্যমে নানা রকমের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক খাতকে প্রভাবিত করতে পারে কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নির্বাচনের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এই সম্ভাবনাকে কেউ উড়িয়েও দিতে পারছে না। এই শ্রমনীতি একারণেই সকলের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যদিও মার্কিন শ্রমনীতি বাংলাদেশকেন্দ্রিক কোনো ঘোষণা নয়। বিশ্বব্যাপী যেখানে শ্রম অধিকার লঙ্ঘন হয়, সেখানে তারা এ নীতি প্রয়োগ করতে চায়। এটি আমাদের শ্রমিক আন্দোলনের ইস্যুও নয়। আরও বড় প্রেক্ষাপট। এটি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নির্বাচনী সিদ্ধান্তের আলোকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। তবে ব্লিঙ্কেনের ঘোষনায় বাংলাদেশী শ্রমিক নেত্রীর নাম উল্লেখ থাকায় বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতির একটি ইঙ্গিত সেখানে আছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এখন এ বিষয়টি সরকার গুরুত্বসহ নেবে কিনা তা সময়ই বলে দেবে। 


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   পরিস্থিতি   বাংলাদেশ   মার্কিন শ্রম নীতি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: রাহুল-রাজনাথদের ভাগ্য নির্ধারণের দিন আজ

প্রকাশ: ০১:৪৬ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৭ দফায়। নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। 

সোমবার (২০ মে) পঞ্চম পর্বে দেশটির ৬টি রাজ্য ও ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৪৯ টি আসনে ভোট হচ্ছে।

নির্বাচনের এই দফায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জম্মু-কাশ্মীরের ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ, নরেন্দ্র মোদি সরকারের আরও দুজন শীর্ষ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ও পিযূষ গয়ালের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ভোটারা।

লোকসভার সাত দফার ভোট পর্ব শুরু হয় গত ১৯ এপ্রিল। ২৮ রাজ্য ও ৮ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৭ কোটি ভোটারের কাছ থেকে সুষ্টু ভোট নিতে সাত দফায় ভোটের আয়োজন করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।

ক্ষমতাসীন দল বিজেপি, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ও বামপন্থি দলসহ ৬টি সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দল এবং তৃণমূল কংগ্রেস, আরজেডি, জেডিইউ-এর মতো প্রাদেশিক শক্তিশালী রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

এরই মধ্যে চার দফার ভোট শেষ হয়েছে। আজ ৬টি রাজ্য ও ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৪৯ সংসদীয় আসনে ভোট গ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে ভোট গ্রহণ চলবে সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত।

পঞ্চম দফায় ভোট গ্রহণ চলছে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গে ভোট হবে ৭ আসনে। যার মধ্যে ৩টি বিজেপির বাকি সবগুলোই তৃণমূলের দখলে। 

এদিকে, মমতা বাংলায় বিজেপি আসন বাড়ানোর ডাক দিয়েছে। আর আসন বাড়াতে হলে এই দফা থেকেই বিজেপির আসন বাড়াতে হবে।

এই পঞ্চম দফার ভোটে সবার বিশেষ নজর এখন উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলির দিকে। সেখান থেকে লড়ছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এদিকে, লখনৌতে ভাগ্য পরীক্ষা হবে রাজনাথ সিংয়ের, আমেথিতে অভিনেত্রী মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির আর জম্মু-কাশ্মীরে বারামুল্লায় ওমর আবদুল্লার।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের সীমানা ঘেষা বনগাঁ আসনে জাহাজমন্ত্রী শান্তুনু ঠাকুরের, হুগলিতে দুই অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি ও লকেট চট্টোপাধ্যায়ের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ভোটাররা।

উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের ১৯  ও ২৬ এপ্রিল প্রথম ও দ্বিতীয় দফা এবং ৭ ও ১৩ মে যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ দফার ভোট হয়। চার দফায় ভোটের হার ছিল যথাক্রমে ৬৬.১, ৬৬.৭, ৬১ ও ৬৭.৩ শতাংশ। 

লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে চার দফায় ভোট নেয়া হয়েছে ৩৭৯ আসনে। বাকি ১৬৪ আসনের মধ্যে আজ ৪৯ আসনের ভোট শেষ হলে বাকি থাকবে ১১৫টি আসন যা পরবর্তী দুই দফায় সম্পন্ন হবে।


লোকসভা নির্বাচন   রাহুল গান্ধী   রাজনাথ সিং   রচনা ব্যানার্জি   নরেন্দ্র মোদি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসির মৃত্যুতে সিআইএ-মোসাদ’র হাত আছে কি?

প্রকাশ: ১২:৫৮ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসি আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে কিজ কালাসি এবং খোদাফারিন বাঁধ দুটি উদ্বোধন করেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি ইরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। এরপরই দুর্ঘটনার খবর আসে। যদিও দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, হেলিকপ্টারটি গন্তব্যে পৌঁছার আগেই অবতরণে বাধ্য হয়েছে। রাইসির এই হেলিকপ্টার দূর্ঘটনার মৃত্যুতে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা ‘মোসাদ’ এর কোন হাত আছে নাকি সিআইএর কোন ষড়যন্ত্র রয়েছে এ নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।

তবে ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের আরোহীদের কেউই বেঁচে নেই । এমন তথ্যই জানিয়েছে ইরানি রেড ক্রিসেন্ট। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন এটি নেহাত দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

দূর্যোগপূর্ণ বৈরি আহহাওয়ার মধ্যেও প্রেসিডেন্ট রাইসি প্রকল্প উদ্বোধন করতে গেলেন, সেখানে বাঁধ উদ্বোধন করার পর এক ভাষণে রাইসি ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইরানের সমর্থনের উপর জোর দেন। এটাই কি রাইসির জন্য কাল হয়ে দাড়াঁল। নাকি পরিকল্পিত ভাবে রাইসির মৃত্য নিশ্চিত করলো ষড়যন্ত্রকারিরা। এর জন্য কি তবে ইসরায়েল দায়ি এমনটাই মনে করছেন অনেকে।

সন্দেহের আঙুল যাচ্ছে আমেরিকার দিকেও। কারণ একমাত্র ইরানের কারণেই মধ্যেপ্রাচ্যের রাজনীতিতে প্রভাব কমেছে ওয়াশিংটনের। সেখানে জায়গা করে নিচ্ছে আমেরিকার চরম শত্রু চীন। এ ছাড়া কাশেম সোলাইমানির মতো প্রভাবশালী জাঁদরেল নেতাকে হত্যা করতে একটুও বুক কাঁপেনি আমেরিকার।

অনেকেই মনে করছেন রাইসির এই আকস্মিক মৃত্যর পিছনে রহস্য রয়েছে। বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ইরান একটি সামাজিক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল রাইসি এমন সময়ে প্রেসিডেন্ট হন। এবং পারমানবিক কর্মসূচির কারণে দেশের অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার চাপে কঠিন সময় পার করছে। গত বছর ৭ অক্টোবর গাজায় যে যুদ্ধ শুরু হয়, তা আঞ্চলিক উত্তেজনা আবার তুঙ্গে নিয়ে যায়। কয়েক দফা পাল্টা-পালটি ঘটনার পর ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে ইরান সরাসরি ইসরায়েলের উপর শত শত ক্ষেপণাস্ত্র আর ড্রোন নিক্ষেপ করে। তাহলে কি সুস্পষ্ট হচ্ছে রাইসির মৃত্যর কারণ রহস্যে ঘেরা? কিছু কারণ উল্লেখ করা যাক..

১। প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি আজারবাইজানের সীমান্তের কিজ কালাসি এবং খোদাফারিন বাঁধ দুটি উদ্বোধন করতে যাবেন। বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে তাকে হেলিকপ্টারেই কেন যেতে হবে।

২। যেহতেু সিমান্তবর্তি এলাকায় ইব্রাহিম রাইসিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যাবেন সেহেুত দেশটির আবহাওয়া দপ্তর কেন আগে সতর্ক করলেন না।

৩। দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সাধারনত আকাশপথে কোন যানবাহন চলাচল করেনা। করলেও তা আবহাওয়া বিশ্লেষনের মাধ্যমে যাতে কোন ঝুঁকি না থাকে তা নিশ্চিত হয়ে হেলিকপ্টার বা বিমান চলাচল করে। সেখানে এই ঝুঁকি নিয়ে কেন উদ্বোধন করতে গেলেন রাইসি।

৪। যেহেতু হেলিকপ্টার একটি সাধারন হালকা আকাশপথের চলাচলের মাধ্যম সেহেতু একজন গুরুত্বপূর্ণ প্রেসিডেন্ট কেন হেলিকপ্টারেই যাবে। দেশটিতে আবহাওয়ার দূর্যোগ চলা সর্তেও এরকম পরিস্থিতিতে কেন হেলিকপ্টারটি চালান হলো।

৫। আকাশপথের হালকা বাহন হচ্ছে হেলিকপ্টার। পাইলট বা চালক যেহেতু দেখছে আবহাওয়া যাতায়াতের অনুকূলে সেহেতু পাইলট কেন যাত্রা শুরু করে।

৬। সাধারণত যে কোন দেশের রীতি হলো প্রেসিডেন্ট, ফরেন মিনিষ্টার ভিন্ন ভিন্ন হেলিকপ্টারে যাতায়ত করে। তাহলে তারা সবাই একই হেলিকপ্টারে কেন উঠলো? এমনকি হেলিকপ্টারের পাইলট কে ছিল। তাহলে কি হেলিকপ্টারের পাইলটকে নিজের আয়েত্বে নিয়েছিল ষড়যন্ত্রকারীরা। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে তৈরি হচ্ছে সংশয়।

৭। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি হেলিকপ্টারে করে কেন সফরে গেলেন ইব্রাহিম রাইসি।

পাকিস্তানের তৎকালিন জেনারেল জিয়াউল হক বাওয়ালপুর গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের লকহিড মার্টিনের তৈরি এম-৩১ ট্যাংকের মহড়া দেখতে, রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে প্রায় ৩৩০ মাইল দক্ষিণে বাহওয়ালপুর টেস্ট ফিল্ডে যান। ট্যাংকের মহড়া দেখে ফেরার পথে বিধ্বস্ত হয় লকহিড মার্টিনের তৈরি সি-১৩০বি বিমানটি, উড্ডয়নের পাঁচ মিনিটের মধ্যেই মাটিতে আছড়ে পড়ে ৬০-৭০ ডিগ্রি কোণে। আর এতেই মারা গেছেন জেনারেল জিয়াউল হক। একইভাবে সিআইএর কোন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যু হয়েছে। নাকি হেলিকপ্টার দূর্ঘটনার মৃত্যুতে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা ‘মোসাদ’ এর কোন হাত রয়েছে এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে সংশয় দেখা দিয়েছে।।


ইরানের প্রেসিডেন্ট   ইব্রাহিম রাইসি   সিআইএ   মোসাদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসির মৃত্যু: এশিয়া ও ইউরোপীয় ভূরাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে

প্রকাশ: ১২:৫৪ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের সবচেয়ে আলোচিত খবরের মধ্যে গাজা যুদ্ধের পর যুক্ত হল রহস্যজনক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যু। রোববার (১৯ মে) ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রেসিডেন্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন ভূরাজনীতির প্রভাবশালী দুই কর্তা ব্যক্তির মৃত্যুতে অনেকটাই পাল্টে যেতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক সমীকরণ। তবে কি মৃত্যু থেকে সবচেয়ে লাভবান হবে ইসরায়েল? এমন প্রশ্ন ও উঠে আসছে।  

রাইসির মৃত্যু শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয় বরং প্রভাব ফেলবে মধ্য এশিয়া ইউরোপীয় ভূরাজনীতিতেও। বিশেষ করে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে রুশ বাহিনীকে যে বিপুল পরিমাণ ড্রোন সমরাস্ত্র সরবরাহ করেছিল তেহরান এখন সেই পদক্ষেপ কতটা ধারাবাহিক থাকবে সে প্রশ্ন উঠেতে শুরু করেছে অনেক মহলে। এছাড়াও রাইসির নেতৃত্বে আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সংঘাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল তেহরান।

বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চলমান সংঘাতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে ইব্রাহিম রাইসি হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যু। গেল কয়েক দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছিল তেহরান। বিশেষ করে লেবানন, সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন, বাহরাইন ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অর্থ সমরাস্ত্রের অন্যতম যোগানদাতা ছিল ইরানের ইসলামী বিপ্লবী রক্ষীবাহিনী। নতুন প্রেসিডেন্ট এতটা আগ্রাসী হয়ে উঠবেন কিনা সেটা এখন বড় প্রশ্ন এসব সশস্ত্র গোষ্ঠীর কাছে।

এসব গোষ্ঠী মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকা ইসরায়েলের স্বার্থের জন্য ক্রামাগত হুমকি তৈরি করে আসছিল। এর মধ্যেই গত মাসে ইব্রাহিম রাইসির সরকার সরাসরি ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ড্রোন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলও ইরানের ইস্ফাহান শহরে ড্রোন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এই ঘটনার আগে কেউ কখনো কল্পনাই করতে পারেনি মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ ইসরায়েলের হামলার সাহস করতে পারে, সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখিয়েছিলেন ইব্রাহিম রাইসি।

শুধু হামলা নয় কয়েক দশক ধরে ইরানের পরমাণু কার্যক্রম নিয়ে বেশ অসন্তুষ্ট ইসরায়েল পশ্চিমা দেশগুলো। এমনকি তালিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পালিত কুকুর হিসেবে পরিচিত সুন্নি প্রধান দেশ সৌদি আরবও। আর পশ্চিমা এসব শক্তির কোনো তোয়াক্কা না করে পরমাণু কর্মসূচি আরও জোরদার করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছিলেন ইব্রাহিম রাইসি। এমনকি বেশ কয়েকবার ইসরায়েলকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার হুমকিও দিয়েছিলেন সদ্য নিহত ইরানি প্রেসিডেন্ট। বলা হচ্ছে রাইসির মৃত্যু প্রভাব ফেলতে পারে দেশটির পরমাণু কর্মসূচিতেও।


রাইসি   মৃত্যু   এশিয়া   ইউরোপী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি কী হত্যাকাণ্ডের শিকার

প্রকাশ: ১২:২২ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

চিরশত্রু ইসরায়েলসহ পশ্চিমাদের চক্ষু শূল ছিলেন মধ্যপ্রাচ্যের জাঁদরেল নেতা ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি । আমেরিকার কঠোর নিষেধাজ্ঞার পরও কখনো মাথা নত করেননি। রাজি হননি আপোষেও।

তাইতো হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবরে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন মার্কিন সিনেটর রিক স্কট। এই উচ্ছ্বাস শুধু মার্কিন সিনেটরেরই নয়, যেন ইসরায়েল-আমেরিকার প্রতিচ্ছবি। তাই অনেকে প্রশ্ন তুলছেন এটি নেহাত দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কারণ গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের বুকে কাঁপন ধরানো একমাত্র প্লেয়ার ছিলেন ইব্রাহিম রাইসি। তাকে শেষ করতে পারলে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসরায়েলের দিকে মিসাইল তাক করার মতো আর কেউ নেই তা ভালো করেই জানেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

সন্দেহের আঙুল যাচ্ছে আমেরিকার দিকেও। কারণ একমাত্র ইরানের কারণেই মধ্যেপ্রাচ্যের রাজনীতিতে প্রভাব কমেছে ওয়াশিংটনের। সেখানে জায়গা করে নিচ্ছে আমেরিকার চরম শত্রু চীন। ছাড়া কাশেম সোলাইমানির মতো প্রভাবশালী জাঁদরেল নেতাকে হত্যা করতে একটুও বুক কাঁপেনি আমেরিকার। এমনকি বার বার হুঁশিয়ারি দিয়েও ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে ফেরাতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। ফলে রাইসিকে টার্গেট করতে পারে বাইডেন প্রশাসন সেই শঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।


ইরান   প্রেসিডেন্ট   রাইসি হত্যাকাণ্ড  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানি প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে উচ্ছ্বসিত মার্কিন সিনেটর

প্রকাশ: ১২:০১ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ান। তাদের শোকে পাথর হয়ে গেছে ইরানিরা। তবে এই দুর্ঘটনা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একধরনের উচ্ছ্বাস করতে দেখা গেছে একজন মার্কিন সিনেটরকে।সোমবার (২০ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আলজাজিরার প্রতিবেদনে তথ্য জানানো হয়।

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর সোমবার রিক স্কট নামে এক রিপাবলিকান আইন প্রণেতা ইরানের প্রেসিডেন্টের দুর্ঘটনাকে স্বাগত জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন।পোস্টে তিনি বলেন, ‌‘তাকে (রাইসি) ভালোবাসা বা সম্মান নয়, এমনকি কেউ তাকে মিসও করবে না। যদি তিনি মারা যান, আমি সত্যিই আশা করি ইরানি জনগণ তাদের দেশকে খুনি স্বৈরশাসকের হাত থেকে ফিরিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবে।


ইরানি   প্রেসিডেন্ট   মার্কিন সিনেটর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন