ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আরব বিশ্বে বয়কটের মুখে পশ্চিমা পণ্য, বিক্রিতে ব্যাপক ধ্বস

প্রকাশ: ১০:০১ পিএম, ২৩ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পশ্চিমা পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ ব্যাপক সাড়া দিয়েছেন। যার প্রভাবে মিসর, জর্ডান, কুয়েত এবং মরক্কোর বেশ কয়েকটি পশ্চিমা পণ্যের বিক্রিতে ধস নেমেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েকটি পণ্যের তালিকা প্রকাশ করে সেগুলো পুরোপুরি বর্জনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

যেসব ব্র্যান্ডের পণ্য বর্জনের ডাক দেওয়া হয়েছে, সেগুলো মূলত ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তাছাড়া কয়েকটি ব্র্যান্ডের সঙ্গে ইসরায়েলের অর্থনৈতিক সম্পর্কও রয়েছে। 

জানা গেছে, জর্ডানে বয়কটে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা ম্যাকডোনাল্ডস ও স্টারবাকসের শাখাগুলোতে প্রবেশ করছেন। সেখানে তারা যেসব ক্রেতাদের পাচ্ছেন, তাদেরকে বয়কটে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করছেন।  এছাড়া স্থানীয় দোকানদাররাও বিদেশী পণ্য সরিয়ে স্থানীয় পণ্য বিক্রি করছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বিশ্বের জনপ্রিয় একটি ডিটারজেন্ট দিয়ে কাপড় পরিষ্কার করছেন ইসরায়েলি সেনারা। সেই ডিজারজেন্টও বয়কটের আহ্বান জানানো হয়েছে।

জর্ডানের রাজধানী আম্মানের একটি বড় সুপারশপের ক্যাশিয়ার আহমাদ আল-জারো বলেছেন, কেউ এখন পশ্চিমা পণ্য কিনছেন না। এগুলোর বদলে সবাই স্থানীয় পণ্য কিনছেন।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিনিধি জানান, কয়েকদিন আগে মিসরের রাজধানী কায়রোতে ম্যাকডোনাল্ডসের একটি রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে দেখেন খালি রেস্টুরেন্টটি পরিষ্কার করছেন একজন কর্মী। কায়রোতে অন্যান্য পশ্চিমা ফাস্টফুড চেইনের শাখাগুলোও এমনই খালি যাচ্ছে ।

রয়টার্স বলছে, এখন আপাতত মিশর ও জর্ডানে বয়কটের বড় প্রভাব টের পাচ্ছে বড় পশ্চিমা ব্র্যান্ডগুলো ।  কুয়েত এবং মরক্কোতেও ধীরে ধীরে বয়কটের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। তবে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তুরস্কে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি।

রিহাম হামেদ (৩১) নামে কায়রোর এক বাসিন্দা বলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রের ফাস্টফুড চেইন শপ ও কিছু পণ্যকে বয়কট করছি। যদিও যুদ্ধে এটি বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না, কিন্তু অন্য দেশের মানুষ হিসেবে গাজাবাসীর জন্য আমরা এটি করতেই পারি।

কুয়েতে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্টারবাকস, ম্যাকডোনাল্ডস ও কেএফসির সাতটি শাখায় গিয়েছিলেন রয়টার্সের প্রতিনিধি। তিনি সবগুলো শাখাই প্রায় খালি পেয়েছেন।

মরক্কোর রাজধানী রাবাতে অবস্থিত স্টারবাকসের এক কর্মী রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এ সপ্তাহে তাদের কাস্টমারের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমে গেছে।

ফিলিস্তিনিদের পক্ষে একটি পোস্ট দেওয়া কেন্দ্র করে স্টারবাকস তাদের ইউনিয়ন কর্মীদের শোকজ করেছিল। অন্যদিকে, ম্যাকডোনাল্ডসের ইসরায়েলি শাখা ইসরায়েলি সেনাদের বিনামূল্যে খাবার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। এ দুটি বিষয়ই মূলত সবার চোখে পড়েছে।

তবে গতমাসে ম্যাকডোনাল্ডস এক বিবৃতিতে দাবি করেছিল, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের অবস্থান নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। অন্যদিকে, স্টারবাকস তাদের ওয়েবসাইটে দাবি করেছে, ইসরায়েলি সরকার ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের বিশেষ কোনো সম্পর্ক নেই।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে মিশরে ম্যাকডোনাল্ডসের করপোরেট অফিসের এক কর্মকর্তা বলেছেন, গত বছরের তুলনায় এ বছরের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে তাদের বিক্রির পরিমাণ ৭০ শতাংশ কমেছে। এখন নিজেদের খরচ মেটাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে।

অন্যদিকে, আরব বিশ্বের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে এ বয়টক। মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুর্তোজায়ায় ম্যাকডোনাল্ডসের বিক্রি ২০ শতাংশ কমেছে বলে জানা গেছে। তবে এ তথ্যর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।

মালেয়েশিয়ার রাইড শেয়ারিং অ্যাপ গ্র্যাবের প্রধান নির্বাহীর স্ত্রীর এক বক্তব্যর পর বয়কটের মুখে পড়েছে এই অ্যাপটিও। নির্বাহীর স্ত্রী বলেছিলেন, ইসরায়েল ভ্রমণে গিয়ে তিনি দেশটির প্রেমে পড়ে গেছেন। পরে অবশ্য তিনি দাবি করেছেন, তার কথাকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। 

এমন পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়ার গ্র্যাব ও ম্যাকডোনাল্ডস বলেছে, তারা ফিলিস্তিনিদের জন্য সাহায্য পাঠাবে।


আরব বিশ্ব   বয়কট   পশ্চিমা প্রতিষ্ঠান   ব্যাপক ধস   ম্যাকডোনাল্ডস   স্টারবাকস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গ্রিসে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ

প্রকাশ: ১০:১২ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পথ ধরে এবার ইউরোপেও ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ। ফিলিস্তিনের গাজায় উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে ইউরোপে অন্যান্য দেশের মতো গ্রিসেও বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা।

গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে ফিলিস্তিনপন্থি সমাবেশ চলাকালে পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার পূর্বাঞ্চলীয় রাফায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর স্থল ও আকাশপথে হামলা শুরুর পরদিন এথেন্সে এই সংঘর্ষ হয়েছে। 

ফিলিস্তিনি পতাকা ও ব্যানার বহনকারী ৩০০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারী ওই সমাবেশে অংশ নেন। এ সময় তাদের হাতে ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে লেখা বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। গ্রিসের রাজধানীতে অবস্থিত সংসদ ভবনের বাইরে সমাবেশ করেছেন তারা।

দেশটির ৬০ বছর বয়সী পেনশনভোগী আন্তোনিস দাভানেলোস বলেন, ‌‌‘আমরা এখানে সংহতি জানাতে এসেছি এবং ফিলিস্তিনিরা যখনই (সংহতির জন্য) ডাকবে, আমরা তখনই সাড়া দেব।’

এথেন্সে সংসদ ভবনের বিপরীত পাশে অবস্থিত মিসরীয় দূতাবাসের ফটকে উঠে একদল বিক্ষোভকারী বিক্ষোভ করেন। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ওই দলকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। পরে বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

গ্রিস   ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইমরান খানের স্ত্রীকে কারাগারে স্থানান্তরের নির্দেশ

প্রকাশ: ০৪:২৫ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিকে গৃহবন্দী অবস্থা থেকে কারাগারে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির আদালত। বুশরা বিবির পক্ষ থেকে করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রীয় উপহারসামগ্রী অবৈধভাবে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে গত জানুয়ারিতে ইমরান-বুশরা দম্পতির ১৪ বছর করে কারাদণ্ড হয়। ইমরান কারাগারে থাকলেও বুশরাকে ইসলামাবাদের বাড়িতে গৃহবন্দী রাখা হয়েছিল। নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কথা বলে তাকে বাড়িতেই বন্দী রাখার আদেশ দিয়েছিল দেশটির সরকার।

গৃহবন্দী রাখার এ আদেশকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন বুশরা বিবি। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তার আইনজীবী নাঈম পানজুথা এ কথা বলেছেন।

বুশরা বিবির আইনজীবীরা তাকে কারাগারে স্থানান্তরের জন্য ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। আজ আদালত সে আবেদন মঞ্জুর করেন।

ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এক বিবৃতিতে বলা হয়, বুশরা বিবিকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তর করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ওই কারাগারেই আছেন ৭০ বছর বয়সী ইমরান খান।

ইমরানের ইসলামাবাদের বাড়িটিকে সাব কারাগার ঘোষণা করা হয়েছিল। ইমরানের দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, গৃহবন্দী অবস্থায় কর্তৃপক্ষ তাকে বিষ মেশানো খাবার দিচ্ছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন বুশরা। তবে কর্তৃপক্ষ সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে।


ইমরান খান   কারাগার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সিঙ্গাপুরে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

প্রকাশ: ০৪:০৭ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিঙ্গাপুরের পশ্চিমাঞ্চলীয় সামরিক বিমানঘাঁটিতে দেশটির সেনাবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। অত্যাধুনিক এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের এই ঘটনায় কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।  

বুধবার (০৮ মে) সিঙ্গাপুরের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

ভারতীয় গণমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এক বিবৃতিতে জানায়, সিঙ্গাপুরের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তেনগাহ বিমানঘাঁটি থেকে যুদ্ধবিমানটি উড্ডয়নের পরপরই সেটি বিধ্বস্ত হয়। তবে বিমানের পাইলট সফলভাবে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। বিমানের পাইলটের সুস্থ আছেন এবং তিনি হাঁটতে পারছেন। বর্তমানে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এই দুর্ঘটনায় অন্য কোনও কর্মকর্তা আহত হননি।

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে গণমাধ্যমটি বলছে, উড্ডয়নের সময় বিমানটি সমস্যার সম্মুখীন হয়, তখন পাইলট জরুরি প্রক্রিয়া মেনে পদক্ষেপ নেন। যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের এই ঘটনায় প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় অত্যাধুনিক বিমানবাহিনী রয়েছে সিঙ্গাপুরের। নগর রাষ্ট্রটিতে এই ধরনের দুর্ঘটনা প্রায় বিরল। এর আগে, ২০১০ সালে ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয়ায় দেশটির সামরিক বাহিনীর একটি উড়োজাহাজ উন্মুক্ত মাঠে জরুরি অবতরণ করে।


সিঙ্গাপুর   যুদ্ধবিমান   বিধ্বস্ত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গণহারে অসুস্থতার ছুটি ক্রুদের, ৭৯ ফ্লাইট বাতিল

প্রকাশ: ০৩:৪৯ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক অন্তত ৭৯টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। কারণ ক্রুরা হঠাৎ গণহারে অসুস্থতার ছুটি নিয়েছেন।

জানা গেছে, প্রায় ৩০০ সিনিয়র কেবিন ক্রু শেষ মুহূর্তে অসুস্থতার কথা জানিয়ে ফোন বন্ধ করে রেখেছেন।

সূত্র জানিয়েছে, টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন এয়ারলাইনটির চাকরির নতুন নিয়ম নিয়ে ক্ষুব্ধ ক্রুরা এবং এর প্রতিবাদ করছে তারা। তবে এয়ারলাইনটির কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে।

এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বেশ কিছু কেবিন ক্রু শেষ মুহূর্তে অসুস্থতার কথা জানায়। এতে ফ্লাইট বাতিল ও বিলম্বের ঘটনা ঘটছে। আমরা ক্রুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রকৃত কারণ জানার চেষ্টা করছি।

মুখপাত্র বলেন, এমন ঘটনার জন্য আমরা যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। কারণ এটা আমাদের সার্ভিসের প্রতিফলন নয়।

এয়ারলাইনটি জানায়, ভুক্তভোগীদের পুরো টাকা ফেরত দেওয়া হবে অথবা নতুন করে শিডিউল দেওয়া হবে।


অসুস্থ   ছুটি   ক্রু   ফ্লাইট   বাতিল   এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

স্লোভাকিয়ায় একদিনে ১১০০ এর বেশি বোমা হামলার হুমকি

প্রকাশ: ০৩:৩৮ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্লোভাকিয়ায় একদিনে ১১০০টিরও বেশি বোমা হামলার হুমকি দেয়া হয়েছে। ব্যাংক ও স্কুলের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এই হামলার হুমকি দেয়া হয়। এই ঘটনায় দেশজুড়ে মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু হয়। এছাড়া হুমকির বিষয়ে তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ। খবর এএফপি।

মঙ্গলবার (৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্লোভাকিয়ায় মঙ্গলবার স্কুল ও ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১১০০টিরও বেশি বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। মূলত ইমেইলে করে এসব হুমকি দেওয়া হয় এবং এতে দেশজুড়ে মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

হুমকির ঘটনায় তদন্ত শুরুর ঘোষণাও দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের ডেপুটি চিফ রাস্তিসলাভ পোলাকোভিচ বলেছেন, 'সন্ত্রাসী হামলার মতো বিশেষ গুরুতর অপরাধ হিসেবে এই ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।'  

রাস্তিসলাভ পোলাকোভিচ বলেন, 'মঙ্গলবার ভোর পাঁচটা বা ছয়টা থেকে স্কুলগুলোতে ইমেইল আসতে শুরু করে। এর মধ্যে বোমা হামলার প্রায় ১ হাজার হুমকি স্কুলগুলোতে এসেছে এবং ১০০টিরও বেশি ব্যাংক এই ধরনের হুমকি পেয়েছে।'

দেশটির পুলিশ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে লিখেছে, 'পুলিশ সম্পূর্ণ গতিতে কাজ করছে, স্কুলগুলোর নিরাপত্তা পরীক্ষা করছে এবং অপরাধীকে শনাক্ত করতে কাজ করছে।'

এএফপি বলছে, অপরাধীদের সম্ভাব্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সম্মুখীন হতে হবে।

ব্রাতিস্লাভা স্ব-শাসিত অঞ্চলের মুখপাত্র লুসিয়া ফরম্যান এএফপিকে বলেছেন, দেশটি পরিচালিত কয়েক ডজন স্কুলে বোমা হামলার হুমকি নথিভুক্ত করেছে।

তিনি বলেন, 'আমরা সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি, শিশুদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং পুলিশ এখন বিষয়টি দেখছে।'


স্লোভাকিয়া   বোমা হামলা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন