২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। রাশিয়ার হামলার পর থেকে এই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ এখনো চলমান রয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার জোরালো হামলায় কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছে সাধারণ ইউক্রেনীয়রা। যুদ্ধে ইউক্রেনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, জনসাধারণের বসতি ইত্যাদির ব্যাপক ক্ষতি হয়। হামলা শুরুর পর থেকে দেশ ছেড়ে নিরাপত্তার খোঁজে অন্য দেশে পাড়ি জমাতে শুরু করে ইউক্রেনিয়রা।
দেশ ছেড়ে অন্য দেশে পাড়ি জমানো ইউক্রেনীয়দের মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে বিপদে রয়েছে অন্তঃসত্ত্বা নারীরা। বিদেশের ভিন্ন পরিবেশে এসব অন্তঃসত্ত্বা নারীদের মানিয়ে নেওয়া যেমনটা কষ্টকর তেমনি চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাড়িয়েছে।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর পাঁচ বছরের পুত্রসন্তানকে নিয়ে দেশ ছেড়ে পোল্যান্ডে কর্মরত স্বামীর কাছে চলে গিয়েছিলেন তামারা জাইভা। পোল্যান্ডে ১৮ মাস অবস্থান করেন তিনি। এরপর সন্তানকে জন্ম দেওয়ার জন্য ২২ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় যুদ্ধ পরিস্থিতি মাথায় নিয়েও মাতৃভূমি ওদেসায় ফেরেন জাইভা।
জাইভা ইউক্রেনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় একটি হাসপাতালে পাঁচ মাস আগে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সেখানে তাকে জটিল পরিস্থিকির মুখে পড়তে হয়।
জাইভা বলেন, ভাষার কারণে পোল্যান্ডের চিকিৎসকদের সাথে ভুল বোঝাবুঝি হয়ে। তিনি ভেবেছিলেন তার সন্তানের ডাউন সিন্ড্রম আছে। এ ভুল বোঝাবুঝি থেকে তাঁর মনে আশঙ্কা তৈরি হয় এখানে পরীক্ষা করাতে অনেক অর্থ খরচ হবে, যা তিনি সামাল দিতে পারবেন না। পরে নিজ দেশে ফিরে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন জাইভা। সুস্থ অবস্থাতেই জন্ম নিয়েছে তাঁর সন্তান।
সম্প্রতি ছেলেকেও ইউক্রেনের স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন জাইভা। তবে আবার কখন না জানি পালাতে হয়—সে আশঙ্কাও ঘিরে থাকে তাঁকে। এ জন্য সন্তানদের পাসপোর্টগুলো হাতের কাছেই রেখে দিয়েছেন।
জাইভার মতো ৩০ বছর বয়সী আরেক ইউক্রেনীয় নারী অ্যানাও সন্তান জন্ম দিতে পোল্যান্ড থেকে ইউক্রেনে ফিরেছেন। তিনি গর্ভাবস্থার শুরুর দিকেই ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছিলেন। তবে পোল্যান্ডে থাকতে গিয়ে অ্যানা বুঝতে পারেন, সেখানে রোগীদের অনেকটাই ঝক্কি পোহাতে হয়। রোগীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়, তা ছাড়া পর্যাপ্ত পরিচর্যারও অভাব আছে সেখানে।
অন্তঃসত্ত্বা অ্যানা বলেন, ‘এটা খুব কঠিন হয়ে পড়েছিল।’
আগামী বছরের জানুয়ারিতে তাঁর সন্তান প্রসব করার কথা। অ্যানা বললেন, পরিস্থিতি (নিরাপত্তা) পাল্টালে সন্তানকে নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমানোর ইচ্ছা আছে তাঁর।
ইউক্রেনের স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার তথ্য এবং নিউইয়র্কের সেন্টার ফর রিপ্রোডাক্টিভ রাইটসের (সিআরআর) গবেষণা অনুসারে, শুধু এই দুই নারীই নন, বিদেশ থেকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ইউক্রেনে ফিরেছেন শত শত নারী। মূলত তাঁরা যেসব দেশে গিয়েছিলেন, সেখানে মাতৃত্বকালীন পর্যাপ্ত পরিচর্যার ব্যবস্থা না থাকায় যুদ্ধকবলিত ইউক্রেনে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন।
সিআরআরের ইউরোপবিষয়ক প্রধান লিয়াহ হক্টর আল–জাজিরাকে বলেন, এসব দেশে নারীরা যে ধরনের প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছেন, তাতে তাঁদের মনে হয়েছে ইউক্রেনে ফিরে যাওয়াটাই তুলনামূলক সহজ।
শরণার্থীদের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকে। যেমন ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা এবং তথ্যের ঘাটতি। এ ছাড়া কিছু কাঠামোগত সমস্যাও আছে। যেমন সম্পদ কিংবা তহবিলের ঘাটতি।
হক্টর বলেছেন, গবেষণার স্বার্থে যাঁদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, তাঁদের অনেকেই বলেছেন, ইউক্রেনের তুলনায় বিদেশের মাটিতে পরিচর্যার মাত্রাটা অনেক কম।
হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া ও পোল্যান্ড—এই চার দেশে সিপিআর তাদের গবেষণা চালিয়েছে। এসব দেশে এনজিওগুলো নারীদের সহযোগিতায় তৎপর আছে।
হাঙ্গেরির নারী অধিকারবিষয়ক সংগঠন এমার কর্মী আনা ইভানিয়ি দেশটির স্বাস্থ্যব্যবস্থা সম্পর্কে বলেন, এই ব্যবস্থায় ঢুকলে একেবারেই হাবুডুবু খেতে হয়। শরণার্থীদের জন্য আলাদা করে এ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয় না।
এমার স্বেচ্ছাসেবীরা চিকিৎসকের সঙ্গে নারীদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দেন, তাঁদের সঙ্গে থাকেন। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরূপ আচরণ থেকে ইউক্রেনীয় নারীদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন তাঁরা।
রোমানিয়ায় ইনডিপেনডেন্ট মিডওয়াইভস অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাডভোকেসি কর্মকর্তা কারমেন রাডু বলেন, দেশটিতে শরণার্থীদের জন্য সরকারি খরচে স্বাস্থ্য সুরক্ষাসেবা দেওয়ার নিয়ম থাকলেও কোনো কোনো চিকিৎসক চিকিৎসা ফি চেয়ে বসেন। আবার কেউ কেউ ইউক্রেনীয়দের চিকিৎসা দিতে চান না।
কারমেন রাডুর তথ্যমতে, রাশিয়ার হামলা শুরুর পর শত শত ইউক্রেনীয় নারী রোমানিয়া ছেড়ে দেশে চলে গেছেন।
ইউক্রেনের রোমা শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করছে পোল্যান্ডের এনজিও ফাউন্ডেশন টুওয়ার্ডস ডায়ালগ। এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মালগোরজাতা কোলাচজেকও বলেছেন, শত শত অন্তঃসত্ত্বা নারী পোল্যান্ড ছেড়ে চলে গেছেন।
ইউরোপজুড়ে রোমা জনগোষ্ঠীর মানুষেরা নিপীড়নের শিকার হয়ে থাকে। কোলাচজেক বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে আমি মনে করি না, এখানে থাকার জন্য পোল্যান্ড তাঁদের উৎসাহিত করে।’
আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যান্ড প্যারেন্টহুডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইউক্রেনে কাজ করছে ওম্যান হেলথ অ্যান্ড ফ্যামিলি প্ল্যানিং (ডব্লিউএইচএফপি) নামের প্রতিষ্ঠানটি।
ডব্লিউএইচএফপির ইউক্রেনের প্রধান এবং স্ত্রীরোগ–বিশেষজ্ঞ গালিনা মাইসত্রুক বলেন, ‘কিছু দেশের তুলনায় আমাদের এখানে স্ত্রীরোগের ক্ষেত্রে উন্নত চিকিৎসা এবং পারিবারিক চিকিৎসকের ব্যবস্থা আছে। এমনকি যুদ্ধের সময়েও এ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েনি।’
কিয়েভভিত্তিক সংস্থাটি ইউক্রেনের প্রসূতি ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করে থাকে। বর্তমানে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা মারিউপোল শহরের তিনটি হাসপাতালেও তারা চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠায়। ২০২২ সালের মার্চে মারিউপোলে একটি প্রসূতি ওয়ার্ডে বোমা হামলা চালায় রাশিয়া। এতে অন্তত তিনজন নিহত হন।
কিয়েভের ১ নম্বর প্রসূতি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা এখন শীতের প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত। হাসপাতালের সহপরিচালক ওলেকসান্দ্রা লিসেঙ্কো বলেন, গত বছর হাসপাতালটির চিকিৎসক এবং কর্মীরা বিদ্যুৎ ও পানির সংকটে ছিলেন। তুষার গলিয়ে সে পানি ব্যবহার করেছিলেন তাঁরা। এখন হাসপাতালে নিজস্ব পানির উৎস আছে, দুটি জেনারেটর আছে। পাশাপাশি বোমা হামলার সময় নিরাপদ থাকতে হাসপাতালটিতে বিশেষ ব্যবস্থাসম্পন্ন একটি আশ্রয়কেন্দ্রও আছে। তবে এরপরও হাসপাতালটির কর্মীরা দুশ্চিন্তামুক্ত হতে পারছেন না।
লিসেঙ্কো মজা করে বলছিলেন, প্রতি রাতে এক চুমুক বিয়ার পান করে তিনি তাঁর অনিদ্রা কাটানোর চেষ্টা করেন।
ডব্লিউএইচএফপির প্রধান মাইসত্রুক বলেন, ইউক্রেনীয়রা মানসিকভাবে ভীষণ পীড়ার মধ্যে আছেন। চিকিৎসকেরা বলেছেন, রোগীদের মধ্যে অনেক ধরনের জটিলতা তাঁরা দেখতে পেয়েছেন।
কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, ইউক্রেনে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে গর্ভকালীন জটিলতা ও গর্ভপাত বেড়েছে।
ইউক্রেনের স্ত্রীরোগ–বিশেষজ্ঞ লিউদমিলা ইভানোভা বলেন, ‘আমরা অপরিণত শিশু জন্মহার এবং গর্ভকালীন জটিলতা বাড়তে দেখেছি।’
লিউদমিলা ইভানোভা আরও বলেন, তাঁর রোগীদের প্রায় ৪০ শতাংশই যুদ্ধের শুরুতে চলে গেছে। তবে এখনো অনেকে তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। একবার নেদারল্যান্ডসের হাসপাতালে একজন সন্তান প্রসবের সময় ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ জুমের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
ইভানোভার মতে, যুদ্ধকালীন মানসিক চাপের কারণে নারীরা নানা স্ত্রীরোগসংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছেন।
সন্তান জন্ম ঝুঁকি ইউক্রেন অন্তঃসত্ত্বা নারী রাশিয়া
মন্তব্য করুন
মুক্ত গণমাধ্যম বাংলাদেশ পাকিস্তান
মন্তব্য করুন
চলন্ত ট্রেনে অপ্রত্যাশিত এক ঘটনার সাক্ষী হলেন যাত্রীরা। স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে পালালেন স্বামী। গত ২৯ এপ্রিল ভারতের জাহাংসি জংশনে এ ঘটনা ঘটে।
২৮ বছর বয়সি মোহাম্মাদ আরশাদ তার ২৬ বছর বয়সি স্ত্রী আফসানাকে নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ করার সময় তালাকের এ ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির।
পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার আরশাদের চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি বিয়ে হয়েছিল আফসানার সঙ্গে। বিয়ের পর দুজনে ভোপালে থাকতেন। এক সপ্তাহ আগে কানপুরের পুখরায়ানে যান দুজনে। সেখানে আরশাদের পৈতৃক বাড়ি। কিন্তু সেখানে গিয়েই চমকে যান আফসানা। জানতে পারেন আরশাদের আরও এক স্ত্রী রয়েছে। এর প্রতিবাদ করলে আরশাদ ও তার মা আফসানার কাছে যৌতুকের দাবি করতে থাকে।
অভিযোগ, মারধরও করা হয় আফসানাকে। এরপর স্ত্রী আফসানাকে নিয়ে ভোপালে ফিরছিলেন আরশাদ। ঝাঁসি স্টেশনে ট্রেন ঢোকার মুখে স্ত্রীকে তিন তালাক দেন আরশাদ। এরপরই ট্রেন থেকে নেমে যান।
এ ছাড়া স্ত্রীকে চলন্ত ট্রেনে মারধরও করেছিলেন আরশাদ। ট্রেন ঝাঁসিতে থামতেই জিআরপিকে সমস্ত ঘটনা জানান আফসানা। এরপরই আফসানাকে ফেরত পাঠানো হয় আরশাদের পৈতৃক বাড়িতে। ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। আরশাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
গোটা ঘটনার কথা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও জানিয়েছেন আফসানা। স্বামীর কড়া শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।
পুলিশের সার্কেল অফিসার জানিয়েছেন, আফসানার অভিযোগের ভিত্তিতে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলা থেকে রেহাই পাইনি তার বাবা-মাও।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র। এই বিক্ষোভ চলাকালে এক অধ্যাপককে গ্রেফতার করার সময় তার পাঁজরের ৯টি হাড় ও একটি হাত ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। ভুক্তভোগী শিক্ষক এক বিবৃতিতে এ কথা জানান।
মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইসে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষক স্টিভ তামারি সাউদার্ন ইলিনয়েস ইউনিভার্সিটি এডওয়ার্ডসভিলের ইতিহাসের অধ্যাপক। মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ তিনি।
এ ঘটনায় ধারণ করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, শনিবার ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্টিভ তামারি দৃশ্যত বিক্ষোভকারীদের ছবি তোলার বা ভিডিও ধারণের চেষ্টা করছিলেন। এ সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য বেপরোয়াভাবে গ্রেফতার করে নিয়ে যান তাকে।
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, গ্রেফতার হওয়ার সময় অধ্যাপক তামারি মাটিতে পড়ে গেলে পুলিশের এক সদস্য তাকে হাঁটু দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। পরে দুই হাত পিছমোড়া করে হাতকড়া পরানো হয়। এরপর কয়েকজন পুলিশ তার নিস্তেজ হয়ে পড়া শরীর টেনেহিঁচড়ে একটি ভ্যানের দিকে নিয়ে যায় ও মাটিতে উপুড় করে ছুড়ে ফেলে।
যুক্তরাষ্ট্র বিক্ষোভ অধ্যাপক পুলিশ
মন্তব্য করুন
পাকিস্তানের কারাকোরাম হাইওয়েতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২১ জন। শুক্রবার ভোরে উচ্চগতির একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে গেলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, এতে বলা হয়েছে, শুক্রবার ভোরে গিলগিট-বালতিস্তানের দিয়ামার জেলার কারাকোরাম হাইওয়েতে একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে যাওয়ার পর কমপক্ষে ২০ জন নিহত এবং আরও ২১ জন আহত হয়েছেন বলে উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
দিয়ামের জেলা উদ্ধার কর্মকর্তা শওকত রিয়াজের মতে, বেসরকারি সংস্থার ওই বাসটি রাওয়ালপিন্ডি থেকে গিলগিটের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে কারাকোরাম হাইওয়ের কাছে গুনার ফার্মের কাছে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। পরে বাসটি উল্টে সিন্ধু নদীর তীরে পড়ে যায়, এতেই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পাকিস্তান সড়ক দুর্ঘটনা নিহত আহত
মন্তব্য করুন
ভারত ও জাপানকে 'জেনোফোবিক' আখ্যা দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জেনোফোবিক বলতে অন্য দেশের মানুষ বা অভিবাসীদের প্রতি ভীতি বা নেতিবাচক মনোভাবকে বোঝায়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসীদের আমন্ত্রণ জানায় বলে তাদের অর্থনীতি ভালো অবস্থানে রয়েছে। এদিকে চীন, জাপান, রাশিয়া ও ভারতের অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের মতো নয় বলে দাবি করেন বাইডেন।
মূলত চীন, রাশিয়ার সঙ্গে একই আসনে বসিয়ে ভারত ও জাপানকে জেনোফোবিক আখ্যা দেন জো বাইডেন।
বাইডেন বলেন, আমাদের অর্থনীতি কীভাবে এগিয়ে চলেছে। কারণ আমরা অভিবাসীদের আমন্ত্রণ জানাই। চীনের অর্থনীতির হাল কেন এত খারাপ। জাপানে এত সমস্যা কেন। কেন রাশিয়া ও ভারতেরও এই হাল? কারণ তারা সবাই জেনোফোবিক। তারা অভিবাসীদের চায় না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে অভিবাসন নীতি একটি বড় ইস্যু। রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প একদিকে যেখানে অভিবাসনবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেছেন। সেখানে ডেমোক্র্যাটরা অভিবাসনপন্থি।
বাইডেনের সমালোচনামূলক এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল যখন কয়েক সপ্তাহ আগেই জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা রাষ্ট্রীয় সফরে ওয়াশিংটন গিয়েছিলেন। সে সময় যক্তরাষ্ট্র-জাপান জোটকে 'অলঙ্ঘনীয়' বলে অভিহিত করেছিলেন বাইডেন।
তাছাড়া মানবাধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও ভারত বর্তমানে দেশটির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। এ বিষয়ে হোয়াইট হাউজ জানায়, নিজের মন্তব্যের মাধ্যমে বাইডেন কোনো দেশের অপরাধের কথা বলেননি।
বাইডেনের এই মন্তব্যের সমালোচনা করছেন অনেকে। ট্রাম্প প্রশাসনের সবেক উপ-সহকারী প্রতিরক্ষা সচিব এলব্রিজ কোলবি বলছেন, জাপান ও ভারত আমাদের দুটি অত্যন্ত শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। তাদের প্রতি সম্মান রেখেই আমাদের কথা বলা উচিত।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র বলেছেন, মার্কিন অভিবাসী নীতি নিয়ে কথা বলতে গিয়েই বাইডেন এসব কথা বলেছেন। কোনো দেশকে তিনি অবমূল্যায়ন করেননি।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র। এই বিক্ষোভ চলাকালে এক অধ্যাপককে গ্রেফতার করার সময় তার পাঁজরের ৯টি হাড় ও একটি হাত ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। ভুক্তভোগী শিক্ষক এক বিবৃতিতে এ কথা জানান। মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইসে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষক স্টিভ তামারি সাউদার্ন ইলিনয়েস ইউনিভার্সিটি এডওয়ার্ডসভিলের ইতিহাসের অধ্যাপক। মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ তিনি।
ভারত ও জাপানকে 'জেনোফোবিক' আখ্যা দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জেনোফোবিক বলতে অন্য দেশের মানুষ বা অভিবাসীদের প্রতি ভীতি বা নেতিবাচক মনোভাবকে বোঝায়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসীদের আমন্ত্রণ জানায় বলে তাদের অর্থনীতি ভালো অবস্থানে রয়েছে। এদিকে চীন, জাপান, রাশিয়া ও ভারতের অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের মতো নয় বলে দাবি করেন বাইডেন।