ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় চায় ভারত

প্রকাশ: ১০:১৪ এএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশেরাজনীতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারেই আস্থা ভারতের। আসন্ন নির্বাচনে শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় চায় ভারত। যতটা সম্ভব নির্ঝঞ্ঝাটভাবে শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় ফিরে আসুক এটিই আশা করছে ভারত।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ওয়াশিংটনে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব অরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের (সোয়াস) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক অভিনাশ পালিওয়াল এ কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অব পিস (ইউএসআইপি) ‘সংকটাপন্ন প্রতিবেশিদের প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রনীতি: ড. অভিনাশ পালিওয়ালের সঙ্গে আলোচনা শীর্ষক এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে।

বাংলাদেশে ভারত ও চীনের স্বার্থের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে অভিনাশ পালিওয়াল বলেন, ভারত ও চীনদুই দেশই শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। আবার একই সঙ্গে ভারত ও চীন দুই পক্ষই বাংলাদেশে একে অন্যের প্রভাব কমাতে চায়।

অভিনাশ পালিওয়াল বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনার সময় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও সামরিক বাহিনী এ তিনটি শক্তিশালী গোষ্ঠীর কথা উল্লেখ করেন।

অভিনাশ পালিওয়াল দক্ষিণ এশিয়ার পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতিবিষয়ক বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত। তিনি ‘মাই এনিমিস এনিমি এবং ‘ইন্ডিয়াস নিয়ার ইস্ট: অ্যা নিউ হিস্ট্রি নামে দুটি বই লিখেছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে অভিনাশ পালিওয়াল বলেন, ভারতের কাছে আওয়ামী লীগের বিকল্প বিএনপি নয়।

শেখ হাসিনার জন্য ভারত কতটা করবে জানতে চাইলে অভিনাশ পালিওয়াল বলেন, নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমাদের উদ্বেগ থাকবে। হয়তো নিষেধাজ্ঞার মতো শাস্তিমূলক সিদ্ধান্তও আসতে পারে। কিন্তু এরপরও ভারত চায়, যতটা সম্ভব নির্ঝঞ্ঝাটভাবে শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় ফিরে আসুক।

অভিনাশ বলেন, শারীরিকভাবে শেখ হাসিনার ক্ষতি হয় এমন কিছু ভারত চাইবে না। এ ধরনের কিছু দেখলে তাকে রক্ষায় ভারত সম্ভাব্য সব কিছু করবে ।

উল্লেখ্য, আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজক ইউএসআইপি ১৯৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত একটি স্বতন্ত্র ফেডারেল প্রতিষ্ঠান। এর লক্ষ্য সংঘাত প্রতিরোধ ও প্রশমনে যুক্তরাষ্ট্রের অহিংস উপায়ে কাজ করা। এ প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতি, মধ্যস্থতা ও অন্যান্য শান্তি বিনির্মাণ প্রচেষ্টায় গবেষণা, বিশ্লেষণ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহযোগিতা করে।

আলোচনা অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন ইউএসআইপির দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মার্কি ড্যানিয়েল। তিনি গত অক্টোবরে তাঁর বাংলাদেশ সফরের কথা তুলে ধরে এ দেশে নির্বাচনপূর্ব পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের অবস্থান জানতে চান।

জবাবে অভিনাশ পালিওয়াল বলেন, ভারত বাংলাদেশকে উদ্বেগ নয়, বরং বাস্তবতার দৃষ্টিতে দেখে। ভারত চায়, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় আসুক।

অভিনাশ পালিওয়াল এ ক্ষেত্রে তিনটি কারণের কথা উল্লেখ করেছেন। এগুলো হলো সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা, ভারতের বিরূদ্ধে বাংলাদেশের ভূখন্ড ব্যবহার হতে না দেওয়া এবং অবকাঠামোগত সংযুক্তি।

অভিনাশ পালিওয়াল বলেন, ভারত ১৯৪৭ সালের পর তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও এ বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও ভারতের কাছে এ তিনটি বিষয় অগ্রাধিকার। আর এসব ক্ষেত্রে শেখ হাসিনাই ভারতের সবচেয়ে পছন্দের।

সোয়াসের ওই শিক্ষক বলেন, ভারত মনে করে, শেখ হাসিনার সরকারের সময়ই বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা তুলনামূলক সুরক্ষিত থাকে। শেখ হাসিনার সরকার ভারতের বিরূদ্ধে বাংলাদেশের ভূখন্ড ব্যবহার হতে দেয় না। এ ছাড়া ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সড়কসহ অন্যান্য যোগাযোগের ক্ষেত্রে যে সংযোগ স্থাপন করতে চায় সেখানে শেখ হাসিনার সরকারেরও জোরালো আগ্রহ আছে।

অভিনাশ পালিওয়াল বলেন, ভারত মনে করে, বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে ভারতের স্বার্থবিরোধী কাজ করবে। এতে ভারতের নিরাপত্তা স্বার্থ ব্যাহত হতে পারে। আর এটি ভারতের আঞ্চলিক ভোটের রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে।

শেখ হাসিনার ব্যাপারে ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপি ও বিরোধী কংগ্রেসের মনোভাবের কোনো পার্থক্য আছে কি না এ প্রশ্ন করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত একজন বিশ্লেষক। জবাবে অভিনাশ পালিওয়াল বলেন, ঐতিহাসিকভাবে কোনো পার্থক্য নেই। কারণ ভারতে বিজেপি ও কংগ্রেসদুই দলই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে বাস্তবতার আলোকে দেখে।

বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের অবস্থানের পার্থক্য বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে অভিনাশ পালিওয়াল বলেন, ভারত যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র। এরপরও দক্ষিণ এশিয়া প্রতিবেশিদের ক্ষেত্রে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানগত পার্থক্য আছে। ভারত তার পররাষ্ট্রনীতিও বেছে বেছে প্রয়োগ করে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে অভিনাশ পালিওয়াল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ বিষয়ে সরব। কিন্তু ভারত নিরব। ভারতের ওই নিরবতা বাংলাদেশে ক্ষমতাসীনদের প্রতিপক্ষ অর্থাৎ বিরোধী গোষ্ঠী, বিশেষ করে, বিএনপির জন্য বড় আঘাত। কিন্তু এ নিয়ে ভারত খুব একটা চিন্তিত নয়।

অভিনাশ পালিওয়াল মিয়ানমার ও পাকিস্তান পরিস্থিতিও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মিয়ানমার পরিস্থিতি খুবই জটিল আকার ধারণ করেছে। এর প্রভাব ভারতসহ প্রতিবেশি দেশগুলোতে পড়ছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অনাস্থার।


শেখ হাসিনা   ক্ষমতা   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইমরান খানের স্ত্রীকে কারাগারে স্থানান্তরের নির্দেশ

প্রকাশ: ০৪:২৫ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিকে গৃহবন্দী অবস্থা থেকে কারাগারে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির আদালত। বুশরা বিবির পক্ষ থেকে করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রীয় উপহারসামগ্রী অবৈধভাবে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে গত জানুয়ারিতে ইমরান-বুশরা দম্পতির ১৪ বছর করে কারাদণ্ড হয়। ইমরান কারাগারে থাকলেও বুশরাকে ইসলামাবাদের বাড়িতে গৃহবন্দী রাখা হয়েছিল। নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কথা বলে তাকে বাড়িতেই বন্দী রাখার আদেশ দিয়েছিল দেশটির সরকার।

গৃহবন্দী রাখার এ আদেশকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন বুশরা বিবি। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তার আইনজীবী নাঈম পানজুথা এ কথা বলেছেন।

বুশরা বিবির আইনজীবীরা তাকে কারাগারে স্থানান্তরের জন্য ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। আজ আদালত সে আবেদন মঞ্জুর করেন।

ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এক বিবৃতিতে বলা হয়, বুশরা বিবিকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তর করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ওই কারাগারেই আছেন ৭০ বছর বয়সী ইমরান খান।

ইমরানের ইসলামাবাদের বাড়িটিকে সাব কারাগার ঘোষণা করা হয়েছিল। ইমরানের দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, গৃহবন্দী অবস্থায় কর্তৃপক্ষ তাকে বিষ মেশানো খাবার দিচ্ছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন বুশরা। তবে কর্তৃপক্ষ সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে।


ইমরান খান   কারাগার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সিঙ্গাপুরে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

প্রকাশ: ০৪:০৭ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিঙ্গাপুরের পশ্চিমাঞ্চলীয় সামরিক বিমানঘাঁটিতে দেশটির সেনাবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। অত্যাধুনিক এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের এই ঘটনায় কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।  

বুধবার (০৮ মে) সিঙ্গাপুরের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

ভারতীয় গণমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এক বিবৃতিতে জানায়, সিঙ্গাপুরের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তেনগাহ বিমানঘাঁটি থেকে যুদ্ধবিমানটি উড্ডয়নের পরপরই সেটি বিধ্বস্ত হয়। তবে বিমানের পাইলট সফলভাবে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। বিমানের পাইলটের সুস্থ আছেন এবং তিনি হাঁটতে পারছেন। বর্তমানে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এই দুর্ঘটনায় অন্য কোনও কর্মকর্তা আহত হননি।

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে গণমাধ্যমটি বলছে, উড্ডয়নের সময় বিমানটি সমস্যার সম্মুখীন হয়, তখন পাইলট জরুরি প্রক্রিয়া মেনে পদক্ষেপ নেন। যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের এই ঘটনায় প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় অত্যাধুনিক বিমানবাহিনী রয়েছে সিঙ্গাপুরের। নগর রাষ্ট্রটিতে এই ধরনের দুর্ঘটনা প্রায় বিরল। এর আগে, ২০১০ সালে ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয়ায় দেশটির সামরিক বাহিনীর একটি উড়োজাহাজ উন্মুক্ত মাঠে জরুরি অবতরণ করে।


সিঙ্গাপুর   যুদ্ধবিমান   বিধ্বস্ত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গণহারে অসুস্থতার ছুটি ক্রুদের, ৭৯ ফ্লাইট বাতিল

প্রকাশ: ০৩:৪৯ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক অন্তত ৭৯টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। কারণ ক্রুরা হঠাৎ গণহারে অসুস্থতার ছুটি নিয়েছেন।

জানা গেছে, প্রায় ৩০০ সিনিয়র কেবিন ক্রু শেষ মুহূর্তে অসুস্থতার কথা জানিয়ে ফোন বন্ধ করে রেখেছেন।

সূত্র জানিয়েছে, টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন এয়ারলাইনটির চাকরির নতুন নিয়ম নিয়ে ক্ষুব্ধ ক্রুরা এবং এর প্রতিবাদ করছে তারা। তবে এয়ারলাইনটির কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে।

এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বেশ কিছু কেবিন ক্রু শেষ মুহূর্তে অসুস্থতার কথা জানায়। এতে ফ্লাইট বাতিল ও বিলম্বের ঘটনা ঘটছে। আমরা ক্রুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রকৃত কারণ জানার চেষ্টা করছি।

মুখপাত্র বলেন, এমন ঘটনার জন্য আমরা যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। কারণ এটা আমাদের সার্ভিসের প্রতিফলন নয়।

এয়ারলাইনটি জানায়, ভুক্তভোগীদের পুরো টাকা ফেরত দেওয়া হবে অথবা নতুন করে শিডিউল দেওয়া হবে।


অসুস্থ   ছুটি   ক্রু   ফ্লাইট   বাতিল   এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

স্লোভাকিয়ায় একদিনে ১১০০ এর বেশি বোমা হামলার হুমকি

প্রকাশ: ০৩:৩৮ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্লোভাকিয়ায় একদিনে ১১০০টিরও বেশি বোমা হামলার হুমকি দেয়া হয়েছে। ব্যাংক ও স্কুলের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এই হামলার হুমকি দেয়া হয়। এই ঘটনায় দেশজুড়ে মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু হয়। এছাড়া হুমকির বিষয়ে তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ। খবর এএফপি।

মঙ্গলবার (৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্লোভাকিয়ায় মঙ্গলবার স্কুল ও ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১১০০টিরও বেশি বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। মূলত ইমেইলে করে এসব হুমকি দেওয়া হয় এবং এতে দেশজুড়ে মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

হুমকির ঘটনায় তদন্ত শুরুর ঘোষণাও দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের ডেপুটি চিফ রাস্তিসলাভ পোলাকোভিচ বলেছেন, 'সন্ত্রাসী হামলার মতো বিশেষ গুরুতর অপরাধ হিসেবে এই ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।'  

রাস্তিসলাভ পোলাকোভিচ বলেন, 'মঙ্গলবার ভোর পাঁচটা বা ছয়টা থেকে স্কুলগুলোতে ইমেইল আসতে শুরু করে। এর মধ্যে বোমা হামলার প্রায় ১ হাজার হুমকি স্কুলগুলোতে এসেছে এবং ১০০টিরও বেশি ব্যাংক এই ধরনের হুমকি পেয়েছে।'

দেশটির পুলিশ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে লিখেছে, 'পুলিশ সম্পূর্ণ গতিতে কাজ করছে, স্কুলগুলোর নিরাপত্তা পরীক্ষা করছে এবং অপরাধীকে শনাক্ত করতে কাজ করছে।'

এএফপি বলছে, অপরাধীদের সম্ভাব্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সম্মুখীন হতে হবে।

ব্রাতিস্লাভা স্ব-শাসিত অঞ্চলের মুখপাত্র লুসিয়া ফরম্যান এএফপিকে বলেছেন, দেশটি পরিচালিত কয়েক ডজন স্কুলে বোমা হামলার হুমকি নথিভুক্ত করেছে।

তিনি বলেন, 'আমরা সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি, শিশুদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং পুলিশ এখন বিষয়টি দেখছে।'


স্লোভাকিয়া   বোমা হামলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা যাওয়া ২১ ভাগই বাংলাদেশি

প্রকাশ: ০২:২৩ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

সবচেয়ে বেশি অভিবাসী হচ্ছে যেসব দেশের নাগরিকরা সেই বৈশ্বিক তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে ঝুঁকি নিয়ে যত মানুষ ইউরোপে ঢুকেছে, তার মধ্যে ২১ শতাংশ বাংলাদেশি। 

এই তথ্য জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ। তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ জলবায়ু পরিবর্তন ও সংঘাতের কারণে অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি সংখ্যায় অভিবাসী হয়েছেন। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিপুলসংখ্যক মানুষ অভিবাসী হচ্ছেন কি না, সেটা বোঝার জন্য তথ্য-উপাত্ত ও গবেষণার প্রয়োজন। 

বাংলাদেশ সফরে আসা আইওএমের এই শীর্ষ কর্মকর্তা গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপের সময় এসব কথা বলেন। তিনি এর আগে ওই হোটেলে 'আন্তর্জাতিক অভিবাসন প্রতিবেদন-২০২৪' প্রকাশ করেন।  

আইওএমের চলতি বছরের বৈশ্বিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ নিয়ে জানতে চাইলে অ্যামি পোপ বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, গত বছর বিশ্বজুড়ে জলবায়ুর প্রভাব ও সংঘাতের কারণে নতুন বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা বেশি হয়েছে। এটা চমকে দেওয়ার মতো। তিনি বলেন, লাখ লাখ মানুষ এখন জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে বাস করেন।

অ্যামি পোপের মতে, কোন কোন উপাদান মানুষকে অভিবাসনে বাধ্য করে, তার যথাযথ চিত্র নেই। তাই সঠিক চিত্র বোঝার জন্য সরকারগুলোকে বিনিয়োগ করতে হবে।

২১% বাংলাদেশি

বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে ইউরোপে অভিবাসন বাড়ছে। এ নিয়ে জানতে চাইলে অ্যামি পোপ বলেন, এসব অভিবাসীর অনেকেই মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করছেন। ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপ পাড়ির প্রবণতা ২০১৫ সাল থেকে বেড়েছে। ২০২৩ সালে ৫ হাজার অভিবাসী মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ৫২৪ জন মারা গেছেন ভূমধ্যসাগরে, যে রুট (পথ) দিয়ে সাধারণত বাংলাদেশের মানুষেরা ইতালিতে যান।

বাংলাদেশি কতজন মারা গেছেন জানতে চাইলে অ্যামি পোপ বলেন, ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশি মারা গেছেন ২৮৩ জন (ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে যাওয়ার পথে)।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের ১৬ হাজার ২০০ নাগরিক এই পথ দিয়ে ইউরোপে পৌঁছেছেন উল্লেখ করে অ্যামি পোপ বলেন, এর মধ্যে বাংলাদেশের নাগরিক ৩ হাজার ৪২৫ জন। ২০২৩ সালে ভূমধ্যসাগর হয়ে অনিয়মিত অভিবাসনের তালিকায় চতুর্থ স্থানে ছিল বাংলাদেশের মানুষ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অপতথ্য অভিবাসনের ক্ষেত্রে কতটা চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে জানতে চাইলে অ্যামি পোপ বলেন, মানব পাচারকারীরা পরিশীলিতভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে থাকে। কারণ, তারা সারা বিশ্বের পরিস্থিতিকে বিবেচনায় রাখে। কাজেই অভিবাসী হতে আগ্রহী লোকজনের জন্য যে পর্যাপ্ত বৈধ পথ নেই, শুধু সেটিই নয়, অভিবাসনের বৈধ উপায় সম্পর্কে জানার বিষয়ে যথেষ্ট অর্থ বিনিয়োগ করা হয় না। এমনকি বৈধ পথে অভিবাসনের জন্য তাদের কী ধরনের দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং এর উপায় কী সে সম্পর্কে তথ্য তাঁরা যথাযথভাবে জানতে পারেন না।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কিংবা ডিজিটাল মাধ্যমে মানব পাচারকারীদের প্রতিহত করতে হলে মানুষকে বৈধ অভিবাসনের পথ সম্পর্কে যথাযথভাবে জানাতে হবে বলে উল্লেখ করেন অ্যামি পোপ।


আইওএম   অ্যামি পোপ   ভূমধ্যসাগর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন