ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বেঙ্গালুরুতে ৪৪ স্কুলে বোমা হামলার হুমকি, আতঙ্কে অভিভাবকরা

প্রকাশ: ১০:০৫ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ভারতের বেঙ্গালুরুর ৪৪টি স্কুলে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সকালে ই-মেইলের মাধ্যমে এ হুমকি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। 

পাঠানো ই-মেইলে দাবি করা হয়, স্কুল চত্বরে বিস্ফোরক রাখা আছে। এমন মেইল পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে তা পুলিশকে জানায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। এরপর ‘সন্দেহজনক বস্তুর’ খোঁজে স্কুলগুলোতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

 তবে, ওই ৪৪টি স্কুলে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে এনডিটিভির প্রতিবেদনে। তবে এমন হুমকির পর চারদিকে, বিশেষ করে অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

বেঙ্গালুরু পুলিশের কমিশনার বি দিয়ানন্দ বলেন, হুমকিগুলো প্রতারণা বলে মনে হলেও পুলিশ কোনো সুযোগ নিচ্ছে না এবং দোষীদের খুঁজে বের করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।

 এতে স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, আমরা আজ স্কুলে একটি অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির সম্মুখীন। আমাদের স্কুল অজানা সূত্র থেকে নিরাপত্তা হুমকি পেয়েছে।  

এতে স্কুল কর্তৃপক্ষ আরও বলছে, যেহেতু আমরা স্কুলের শিশুদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি, তাই আমরা অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া শুক্রবার অভিভাবকদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে, এবং অভিভাবকদের আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। পুলিশ তদন্ত করবে। আমি তাদের নির্দেশ দিয়েছি।

গত বছরও বেঙ্গালুরুর বেশ কয়েকটি স্কুলে একই ধরনের হুমকি ই-মেইল এসেছিল। কিন্তু সেগুলোর সবকটিই পরে ভুয়া হুমকি বলে প্রমাণিত হয়।


ভারত   বেঙ্গালুরু   স্কুল   বোমা হামলা   হুমকি   অভিভাবক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় ৫৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশ: ০৫:২৩ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইন্দোনেশিয়ায় সপ্তাহব্যাপী চলা ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে একটি আগ্নেয়গিরির শীতল লাভা এবং আকস্মিক বন্যার কারণে এখনো অনেক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার অভিযান এখনও চলমান। বন্যার কারণে রাস্তা-ঘাট, বাড়ি-ঘর, মসজিদ প্লাবিত হয়েছে। খবর এএফপির।

স্থানীয় সময় শনিবার মুষলধারে বৃষ্টির কারণে ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরিগুলোর একটি থেকে শীতল লাভা নির্গত হয়েছে। ফলে এর কাছাকাছি অবস্থিত বিভিন্ন জেলার বাড়ি-ঘর, রাস্তা এবং মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আগ্নেয়গিরির শীতল লাভা লাহার নামেও পরিচিত। আগ্নেয়গিরির প্রধান উপাদান যেমন ছাই, বালি এবং নুড়ি পাথর বৃষ্টির কারণে আগ্নেয়গিরির ঢালে নেমে আসে। তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠে।

বুধবার এক বিবৃতিতে জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার প্রধান সুহরিয়ানতো বলেন, সাম্প্রতিক তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে মৃতের সংখ্যা ৫৮ জন। তিনি জানিয়েছেন, এখনো ৩৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া আরও ৩৩ জন বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।

এদিকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকার ধ্বংসস্তুপ পরিষ্কার করতে ইতোমধ্যেই ভারী সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে ৩ হাজার ৩০০ জনের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।


ইন্দোনেশিয়া   ভারী বৃষ্টি   বন্যা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কুরকুরে চিপস আনতে ভুলে যাওয়ায় ডিভোর্স চাইলেন স্ত্রী

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বারবার বলে দেওয়া সত্ত্বেও কুরকুরে চিপস আনতে ভুলে গেলেন স্বামী। আর এতে রেগে গিয়ে স্ত্রী চেয়ে বসলেন ডিভোর্স। অভিযোগ জানাতে ছুটলেন পুলিশের কাছেও।

ব্যতিক্রমী এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের আগ্রায়। মঙ্গলবার (১৪ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, উত্তর প্রদেশের আগ্রায় এক যুবতী তার স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স চেয়েছেন। তাদের ঝগড়ার কারণ, বাড়ি ফেরার পথে কুরকুরে আনেননি স্বামী। আর সেটি নিয়েই তুমুল ঝগড়া বাঁধে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। একপর্যায়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই যুবতী। তিনি বলেন, তিনি স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স চান।

এদিকে স্বামীর অভিযোগ, স্ত্রী কুরকুরে-তে অস্বাভাবিক রকমের আসক্ত। রোজ তার ৫ রুপির এক প্যাকেট কুরকুরে চাই-ই চাই। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নিত্যদিন মনোমালিন্য লেগেই থাকত। সম্প্রতিই চিপসের প্যাকেট নিয়ে ফের ঝগড়া হয়।

আর এরপরই রেগে বাপের বাড়ি চলে যান ওই যুবতী। পরে পুলিশের কাছে গিয়ে স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স চান। যদিও যুবতীর দাবি, স্বামী তাকে শারীরিক নির্যাতন করেছে।

সংবাদমাধ্যম বলছে, গত বছরই বিয়ে হয়েছে ওই দম্পতির। তবে যুবতীর ডিভোর্সের দাবির বিপরীতে তাদের মতভেদ মেটানোর এবং সংসার রক্ষা করার প্রচেষ্টায় পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের ফ্যামিলি কাউন্সেলিংয়ে পাঠানো হয়েছে।

উত্তর প্রদেশের শাহগঞ্জ থানা এলাকার ওই তরুণীর বিয়ে হয় সদর থানা এলাকার বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে। ২০২৩ সালে হিন্দু রীতি অনুযায়ী তাদের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর বেশ সুখেই সংসার করছিলেন তারা। কিন্তু স্ত্রীর অতিরিক্ত কুরকুরে খাওয়ার অভ্যাসই দুজনের মধ্যে বিবাদ তৈরি করে বলে অভিযোগ স্বামীর। 

এদিকে ৫ রুপির কুরকুরের জন্য স্ত্রী যে বিবাহবিচ্ছেদের পথে যেতে পারেন এমনটা ভাবতেও পারেননি ওই যুবক। স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে বাপের বাড়িতেই রয়েছেন স্ত্রী। যুবকের অভিযোগ, 'আমার স্ত্রী প্রতিদিন কুরকুরে খেতে চায়। প্রতিদিন কুরকুরে আনতে আনতে আমি ক্লান্ত।'

সংবাদমাধ্যম বলছে, স্বামী-স্ত্রী ইতোমধ্যেই মনোরোগ চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু এখনও কোনও সমাধান আসেনি। চিকিৎসক তাদের নিজেদের মধ্যে কথা বলে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। 


কুরকুরে চিপস   ডিভোর্স   স্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পেরুতে বাস দুর্ঘটনায় ১৬জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০১:৩৭ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

পেরুতে পাহাড়ী আয়াকুচো অঞ্চলে বাস উল্টে একটি ঢালে গড়িয়ে পরে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছে।  

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার(১৫ মে) এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। বাসটি ৪০ জন আরোহী নিয়ে আন্দিজ পর্বতের দিকে যাচ্ছিল। সেখানে প্রায়ই এ ধরনের দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। খবর এএফপির। 

আয়াকুচোর কর্মকর্তা ওয়াইবার ভেগা সাংবাদিকদের বলেন, ইতোমধ্যেই ১৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আরও তিনজনের মরদেহ বাসের নিচে আটকা পড়ে আছে। তিনি ওই দুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওয়াইবার ভেগা জানিয়েছেন, শিলাবৃষ্টিসহ খারাপ আবহাওয়ার কারণে বাকি তিনজনের মরদেহ উদ্ধারে সময় লাগছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে লিমা থেকে আয়াকুচো শহরের যাওয়ার সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।

দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে পেরুতে ট্রাফিক দুর্ঘটনায় মোট তিন হাজার ১৩৮ জন প্রাণ হারায়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ৭০ শতাংশ দুর্ঘটনা চালকের দক্ষতার অভাব, ক্লান্তি বা সাধারণ কিছু কারণে হয়ে থাকে।


পেরু   বাস দুর্ঘটনা   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ছাত্র আন্দোলনে কেন বার বার জড়াচ্ছে মার্কিন শিক্ষার্থীরা?

প্রকাশ: ১২:০১ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। গত ১৭ এপ্রিল কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপর দাবানলের মত বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরে বিশ্বের বিভিন্ন  দেশে। 

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ থামাতে মারমুখী অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অনেক ক্যাম্পাসে গুঁড়িয়ে দেয়া হয় শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী তাঁবু। শুধু তাই নয়, তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে প্রাণঘাতী নয়, এমন গ্রেনেড ও গুলিও ব্যবহার করেছে পুলিশ। এছাড়াও গ্রেপ্তার করেছে হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে। এ ঘটনায়, বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদেরও গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু এত কিছুর পরেও পিছপা হয়নি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তারা এখনও অটুট। 

মূলত, দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ইতিহাস বহু পুরনো। যুক্তরাষ্ট্রের ছাত্র আন্দোলন এটাই প্রথম নয়। প্রায় প্রতি বছরই মার্কিন শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্ন বিক্ষোভ বা আন্দোলন করতে দেখা যায়। আর এই আন্দোলন গুলো সব সবসময় তাদের নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য  করে না। বরং বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে নানা তারা আন্দোলন করে।   

এর আগেও, ১৯৬৮ সালে ভিয়েতনামে যুদ্ধের সময় কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের দেশের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন শুরু করেছিল। আর এই আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ায় মাত্র ৭ দিনে ৭০০ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছিল নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এনওয়াইপিডি)। কিন্তু তারপরেও দমিয়ে রাখতে পারেনি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। ভিয়েতনাম যুদ্ধের শেষ পর্যন্ত তারা কমান্ড দিয়ে গেছে। 

সেসময় শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিলেও চলমান আন্দোলনের  কোনো দাবি এখনও পর্যন্ত মেনে নেয়নি মার্কিন সরকার। 

দীর্ঘ ৫৬ বছর পর আবারও যখন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের ক্ষতির কথা না ভেবে আন্দোলনের জড়ালো তখন শুধু একটা প্রশ্ন থেকেই যায় যে, কেন বারবার যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত হয়?

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চিন্তা-চেতনায় থাকে মানবতাবাদ। যেখানে ধর্ম,বর্ণ বা জাতি কোনটাই ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে না। এখন যে আন্দোলনটা চলমান সেখানেও সবাই মুসলমান বা সবাই ইহুদি নয়। সব ধর্মের ছেলেমেয়েরাই রয়েছে আন্দোলনে। এমনকি অনেক ইহুদি ছেলেমেয়েরাও এ আন্দোলনে রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ফলে শিক্ষার্থীদের চিন্তা-চেতনায় যে মানবতাবাদ সেটা স্পষ্ট হয়েছে।

আর এই মানবতাবাদী চিন্তা থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


ছাত্র আন্দোলন   মার্কিন শিক্ষার্থী   ফিলিস্তিন   ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আর্জেন্টিনার বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার প্রায় ৩০০ শতাংশ

প্রকাশ: ১১:৫২ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত মার্চের তুলনায় এই মাসে আর্জেন্টিনায় মুদ্রাস্ফীতির হার কমেছে। মার্চে এই হার ছিল ১১ শতাংশ। এপ্রিলে তা হয়েছে আট দশমিক আট শতাংশ। এটাকেই তাদের জয় হিসাবে দেখছে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট মিলেইয়ের অফিস।

তিনি যখন দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তখন মাসিক মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ছিল ২৫ শতাংশ। প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, মুদ্রাস্ফীতির হার কমানোই হবে তার প্রথম কাজ।

প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র সামাজিক মাধ্যমে বলেছেন, মুদ্রাস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। তার মৃত্যু-পরোয়ানায় সই করা হয়ে গেছে। কিন্তু সরকারি রিপোর্ট বলছে, এপ্রিলে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার দেখানো হয়েছে ২৮৯ দশমিক চার শতাংশ।

মিলেই যখন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন, তখন আর্জেন্টিনার অর্থনীতির অবস্থা ভালো নয়। মুদ্রাস্ফীতিতে আর্জেন্টিনা বিশ্বের শীর্ষে থাকা দেশগুলোর মধ্যে একটি। মিলেই কড়া হাতে অর্থনীতির হাল ধরেন। সরকারি খরচ বাজেট ঘাটতির পরিমাণ কম করার চেষ্টা করেন।

তিনি ৫০ হাজার সরকারি চাকরি শেষ করে দেন। সরকারি কাজের জন্য নতুন বরাদ্দ দেয়া বন্ধ করেন। তেল পরিবহনে ভর্তুকি দেয়া বন্ধ করেন। আইএমএফ এবং বিনিয়োগকারীরা এই সব সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। আইএমএফ মঙ্গলবারই আর্জেন্টিনাকে ৮০ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার কথা ঘোষণা করেছে।

মিলেইয়ের সমালোচকরা দাবি করেছেন, তার নীতির ফলে গরিব শ্রমিকদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ হয়েছে। সরকারি তথ্য বলছে, গরিবদের সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশে পৌঁছেছে। তার সমালোচকদের মতে, খরচ কমানো অর্থ না থাকার কারণে এটা ঘটেছে।

আর্জেন্টিনার জিডিপি এই বছর দুই দশমিক আট শতাংশ কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আর্থিক মন্দার দিকে যেতে পারে মেসির দেশ।


আর্জেন্টিনা   মুদ্রাস্ফীতি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন