এবার ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় ১০০ কংগ্রেস
সদস্যসহ প্রায় ৩০০ নাগরিক। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও আইনের শাসনে বাধাগ্রস্ত করায় মধ্য
আমেরিকার দেশ গুয়েতেমালার ১০০ কংগ্রেস সদস্যসহ প্রায় ৩০০ নাগরিকের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ
দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে এই পদক্ষেপ
নেওয়ার কথা জানানো হয়।
গুয়েতেমালার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত বেরনারডো
আরেভালো শুক্রবার তাঁর বিরুদ্ধে প্রসিকিউটরদের আনা আইনি পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করার
পর যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যবস্থা নিয়েছে। এই ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় আসা ব্যক্তিদের মধ্যে
বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন।
এদিকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত
করার জন্য গুয়েতেমালার ‘পাবলিক মিনিস্ট্রি’র বিভিন্ন পদক্ষেপেরও কঠোর সমালোচনা করেছে
ওয়াশিংটন।
অন্যান্য দেশে অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর
যে ভূমিকা পালন করে, সেই কাজ গুয়েতেমালায় করে থাকে ‘পাবলিক মিনিস্ট্রি’। তাদের পক্ষ
থেকে গুয়েতেমালার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বাতিল ছাড়াও নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা–কর্মচারী
এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ছাড়া কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত
বেরনারডো আরেভালোর একটি বিষয়ে দায়মুক্তি প্রত্যাহারেরও অনুরোধ করেছে পাবলিক মিনিস্ট্রি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র
ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘গণতন্ত্রবিরোধী বহু কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় এসব
নির্লজ্জ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেছেন, গুয়েতেমালার জনগণ তাঁদের
কথা বলেছেন। তাঁদের বক্তব্যকে অবশ্যই শ্রদ্ধা জানাতে হবে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা আরেভালো
গত জুনে অনুষ্ঠিত গুয়েতেমালার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে প্রত্যাশার
চেয়ে ভালো করেন। এর মধ্য দিয়ে আগস্টের দ্বিতীয় দফা ভোটের জন্য উপযুক্ত বিবেচিত হন তিনি।
এর মধ্যে আরেভালো ও তাঁর মধ্য বামপন্থী দল সিড মুভমেন্ট পার্টির বিরুদ্ধে কয়েক দফা
তদন্ত করে অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর। বেশ কয়েক বছর আগে দলের নিবন্ধন নেওয়ার সময় অনিয়ম
হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে এসব তদন্ত হয়।
গত আগস্টে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফা ভোটে গুয়েতেমালার সেনাবাহিনীর সমর্থনপুষ্ট প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিপুল ভোটে জয় পান আরেভালো। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো তাঁর পক্ষে অবস্থান জানিয়ে আসছে।
গণতন্ত্র ভিসা নীতি ভিসা যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অরবিন্দ কেজরিওয়াল লোকসভা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
ভারতের
নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছে রাশিয়া। তবে
মস্কোর সেই অভিযোগকে উড়িয়ে দিল ওয়াশিংটন।
মার্কিন
পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার নিয়মিত প্রেস কনফারেন্সে সাংবাদিকদের প্রশ্নের
জবাবে বলেন, আমরা ভারতীয় নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপ করছি না। এমনকি আমরা পৃথিবীর কোনো
নির্বাচনেই হস্তক্ষেপ করি না।
এর
আগে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ করে, ভারতে অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনকে অস্থিতিশীল
করার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন ফেডারেল কমিশনের রিপোর্টে ধর্মীয় স্বাধীনতা
লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ভারতের সমালোচনা করার পর ওয়াশিংটেনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করে
মস্কো।
রাশিয়ার
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা মার্কিন অভিযোগকে দেশ ও রাষ্ট্র
হিসেবে ভারতের প্রতি ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।
ভারতীয় নির্বাচন মার্কিন রাশিয়া
মন্তব্য করুন
রাশিয়ার
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মিখাইল মিশুস্তিনের নাম প্রস্তাব করেছেন
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার (১০ মে) প্রধানমন্ত্রী
হিসেবে পুতিন তার নাম প্রস্তাব
করেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির
সংসদের নিম্নকক্ষের স্পিকার। খবর রয়টার্সের।
মিখাইল মিশুস্তিন এর আগেও পুতিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০২০ সাল থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবার নতুনভাবে ক্ষমতায় এসে এই মিশুস্তিনকেই সরকার প্রধানের দায়িত্ব দিতে চলেছেন পুতিন।
এর আগে মিশুস্তিন রাশিয়ার কর বিভাগের প্রধান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। ৫৮ বছর বয়সী মিশুস্তিন ১৯৯৯ সাল থেকে আমলা হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। তিনি ২০১০ সাল থেকে ফেডারেল ট্যাক্স সার্ভিসের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার
আগে গত মঙ্গলবার পঞ্চমবারের
মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন
পুতিন। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার
দিকে মস্কোর গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্যালেসের সুসজ্জিত সেইন্ট অ্যান্ড্রিউ হলে শপথ নেন
তিনি। রাশিয়ার সরকারি-বেসরকারি সকল টেলিভিশন চ্যানেল
সরাসরি এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান
সম্প্রচার করা হয়। গত
মার্চে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৮৭ শতাংশ ভোট
পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন পুতিন।
মঙ্গলবারের শপথ গ্রহণের মধ্যে
দিয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হলেন তিনি।
রাশিয়া প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন
মন্তব্য করুন
গাজার রাফাহয় সেনা অভিযান চালালে ইসরায়েলকে অস্ত্র দেবে না যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এমন ঘোষণা দেয়ার পর আরও বেঁকে বসেছেন ইসরায়েলি
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এবার নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, ইসরায়েল একাই
লড়বে।
এই ইসরায়েলি কট্টরপন্থী নেতা বলেছেন, ‘যদি আমাদের দরকার পড়ে...
আমরা একাই লড়বো। আমি বলছি যদি প্রয়োজন হয় আমরা আমাদের হাতের আঙুলের (অস্ত্রের বদলে)
নখ দিয়েই লড়াই
করবো।’
এরইমধ্যে ইসরায়েলকে বোমা সরবরাহ করা বন্ধ রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে
নেতানিয়াহু ১৯৪৮ সালের প্রসঙ্গ টেনে মার্কিন চোখ রাঙানি গায়েই মাখেননি।
তিনি বলেছেন, ‘৭৬ বছর আগের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমরা ছিলাম কয়েকজন,
বিপক্ষে ছিলো অনেকেই।’ ‘আমাদের অস্ত্র ছিলো না। ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ছিলো।
তবে আমাদের মধ্যে চরম উদ্যম, নায়কত্ব ও একতা ছিলো। আমরা জয়ী হয়েছিলাম।’
তিনি আরও বলেছেন, মার্কিন অস্ত্রের চেয়েও বেশি কিছু করার ক্ষমতা
ইসরায়েলিদের নখের আছে!
যুক্তরাষ্ট্র নেতানিয়াহু ইসরায়ল গাজা
মন্তব্য করুন