মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
জনআন্দোলনটি দিয়ে মিশরের ভাগ্য ফিরেছিল। ২০১১ সালের আরব বসন্ত নামের এই আন্দোলন তিউনিসিয়া
থেকে দ্রুতই ছড়িয়ে পড়েছিল মিশরে। ওই আন্দোলনের মাধ্যমেই মিশরে ফিরে আসে গণতন্ত্র।
পতন হয় স্বৈরশাসনের। গণতন্ত্রের এক তীব্র ক্ষুধা নিয়ে ৩০ বছরের স্বৈরশাসক হোসনি মুবারককে
ক্ষমতাচ্যুত করার পর মিশরের প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায়
আসেন মুসলিম ব্রাদারহুডের মোহাম্মদ মুরসি। কিন্তু গণতন্ত্রের সেই ক্ষুধা কি আদতে মেটাতে
পেরেছিল মিশরীয়রা?
মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে ২০১৩ সালে সেই যে সিংহাসনে আরোহন করেছিলেন সেনাবাহিনীর প্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি, আজ পর্যন্ত তিনিই আছেন। বছরের পর বছর, এক এক করে টানা তৃতীয় মেয়াদেও ক্ষমতায় আসার ছক করে রেখে অবশেষে তিনিই এলেন ক্ষমতায়। তৃতীয়বারের মত বিপুল সংখ্যক ভোটে মিসরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন মিশরের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি।
এই ক্ষমতা ধরে রাখা এবং নিজেকে অসীম ক্ষমতার অধিকারী করে তুলতে চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখেননি সিসি। গণভোটের মাধ্যমে নতুন করে সংবিধান সংশোধন করেছেন। সংশোধিত সেই সংবিধানে তাকে যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল তা অসীম।
এই ক্ষমতাবলে প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে
সব শীর্ষ বিচারপতি তিনিই নিয়োগ দিতে পারেন। আর এই ক্ষমতা যাতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত স্থায়ী
হয় সেই বন্দোবস্ত ভালোমতো আগে থেকেই করে রেখেছিএলন সিসি। সে অনুযায়ীই কাজ হয়েছে। তৃতীয়বারের
মত অধিষ্ঠিত হয়েছেন ক্ষমতায়। সংশোধিত সংবিধান এবং নানা কৌশলি কূটনীতি চালে তিনি এমন
এক স্বৈরশাসক হয়ে উঠেছেন যার ক্ষমতা বর্তমানে অসীম।
২০১৯ সালের সংশোধিত সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট
সিসির বর্তমান ক্ষমতার মেয়াদ বৃদ্ধি করে ৬ বছর করা হয়েছে। পরিকল্পনামতো, তিনি তৃতীয়
দফায় নির্বাচন করেছেন এবং জয়লাভও করেছেন। যে শাসককে ২০১১ সালের গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত
করেছিল মিশরের জনগণ, ক্রমে তেমনই এক শাসকের হাতে আছে তারা এখনও।
কি ক্ষমতা নেই সিসির! ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই জেনারেল সিসি ক্রমাগত কর্তৃত্ববাদী হয়েছেন, রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উপর নিজের নিয়ন্ত্রণকে কুক্ষিগত করেছেন। সংশোধিত সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট সিসি বিচার বিভাগের ওপর নিয়ন্ত্রণ কড়াকড়ি করতে পারেন। প্রসিকিউটর জেনারেল ও উচ্চ পর্যায়ের সব বিচারককে নিয়োগ করবার ক্ষমতাও তার। নির্বাচনী কাঠামোকে ধ্বংস করে দিয়েছেন, আইনসভার সদস্যরাও প্রায় সকলেই তার আর্শিবাদপুষ্ট। রাজনৈতিক বহুত্ববাদ নেই, নেই স্বাধীনভাবে রাজনৈতিক দল গঠনের সুযোগ। কোনো গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থরক্ষার জন্য আন্দোলন করতে চাইলে, সেটিও রাষ্ট্র থেকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীদের উপর নির্বিচার দমন-পীড়ন চলে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করা হয়েছে মুসলিম ব্রাদারহুডের কর্মী আর নেতাদের বিপক্ষে।
নির্বাচনে বিরোধী দলের জেতার বাস্তবসম্মত সুযোগ কম, নাগরিকেরাও স্বাধীনভাবে তাদের নির্বাচনী পছন্দ জানাতে পারেন না। বিভিন্ন ধরনের বৈচিত্র্য নিয়ে যেসব কমিউনিটি রয়েছে, তাদের স্বাধীনতার মাত্রাও অত্যন্ত সীমিত। জেনারেল সিসির অধীনে সামরিক আর বেসামরিক আমলাতন্ত্র দুর্নীতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে, সরকারের মধ্যে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা প্রায় নেই বললেই চলে।
এমন যদি হতো, সিসির অধীনে মিশরের জীবনমানের
কোনো পরিবর্তন হয়েছে তা কিন্তু নয়। জেনারেল সিসির অধীনে মিশরের জীবনমানের তেমন কোনো
আহামরি পরিবর্তন হয়নি, ক্ষেত্রবিশেষে জীবনমান কমেছে। একটি ভঙ্গুর অর্থনীতির উত্তরাধিকার
হিসেবে বার বার আইএমএফের দ্বারস্থ হতে হয়েছে জেনারেল সিসিকে, আইএমএফের শর্তের অংশ
হিসেবে জ্বালানীর উপর ভর্তুকি প্রত্যাহার করে জীবনযাত্রাকে তিনি আরো জটিল করেছেন।
এসব সংকটের মধ্যেও, বেশ কিছু মেগা প্রজেক্ট নিয়েছেন জেনারেল সিসি। ৮.২ বিলিয়ন ইউএস ডলার খরচ করে সুয়েজ খাল বর্ধিত করার প্রকল্প হাতে নিয়েছেন সিসি, হাতে নিয়েছেন কায়রো থেকে রাজধানী পরিবর্তনের জন্য ৪৫ বিলিয়নের প্রজেক্ট। এর মধ্যে আরব বসন্তের পরে মিশরে পর্যটন খাত থেকে আয় কমেছে। জেনারেল সিসির অধীনে মিশরের প্রবৃদ্ধির হার ৪ এর ঘরে থেকেছে, বেকারত্বের হার প্রায় ৭.৪ শতাংশ। মুদ্রাস্ফীতির হার ৩২ শতাংশের বেশি, কারেন্ট একাউন্ট ডিফিসিটে পড়ে বার বার আইএমএফের দ্বারস্থ হয়েছে মিশর। ব্যক্তিগত ও শিল্পের করের হার তুলনামূলকভাবে বেশ বেশি, অর্থনৈতিক দুরবস্থায়ও কমেনি সামরিক ব্যয়।
যে গণতন্ত্রের সন্ধানে মিশরীয়রা ছিল বছরের পর বছর, পাওয়া সত্ত্বেও তা টিকিয়ে রাখতে পারেনি তারা। নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করা এসব স্বৈরশাসক নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে নিজেদের দুর্ভাগ্যের পাশাপাশি জনগণের জন্যেও দুর্ভোগ ডেকে নিয়ে আসেন। জনগণকে যেতে হয় দুর্ভিক্ষ, গৃহযুদ্ধ কিংবা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নির্যাতনের মুখে। আর এবারও আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির পুনরায় মিশরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার মাধ্যমে মিশরের গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠোকা হয়ে গেছে তা বলাই যায়।
মন্তব্য করুন
মার্কিন ঘাঁটি রুশ সেনা মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী
মন্তব্য করুন
এবার অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) দেশটির সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইউনিভার্সিটি অব সিডনি) তাবু স্থাপন করে অবস্থান নেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। সেসময় তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
এদিনের আন্দোলন থেকে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কযুক্ত সংস্থাগুলো থেকে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিচ্ছিন্ন করার দাবি তোলেন। বিক্ষোভকারীরা অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও তার সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের দাবি, অস্ট্রেলিয়ান সরকার গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যথেষ্ট কাজ করেনি।
ব্রিটিশি বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মেলবোর্ন, ক্যানবেরাসহ অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও একই ধরনের শিবির গড়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলো থেকে পুলিশ ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীদের জোর করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও, অস্ট্রেলিয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।
বিক্ষোভের জায়গাগুলোতে স্বল্পসংখ্যক পুলিশের শান্তিপূর্ণ উপস্থিতিতে ছিল। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে বেশ কয়েকটি পুলিশের গাড়ি পার্ক করা থাকলেও বিক্ষোভে কোনো পুলিশ উপস্থিত ছিল না।
এদিকে, এই বিক্ষোভের কারণে অনিরাপদ বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অধ্যয়নরত ইহুদী শিক্ষার্থীরা। তাদের মতে এ ধরনের আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে করা উচিত।
ইউনিভার্সিটি অব সিডনির উপাচার্য মার্ক স্কট বলেছেন, ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাস আংশিকভাবে অবস্থান করতে পারে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কোনো সহিংসতা দেখা যায়নি।
কয়েক দফা দাবি নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীরা। অস্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে ক্যাম্পাস চত্বরেই তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি ও মিশরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে মিত্র দেশগুলো থেকে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা।
অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভ ফিলিস্তিন
মন্তব্য করুন
গত ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ হাজার ২০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।
এপির হিসেব অনুযায়ী, ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মোট ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৬ বার অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেসব অভিযান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের।
সর্বশেষ স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেসে (ইউসিএলএ) অভিযান চালিয়ে ২০০ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্লাইউড, মেটাল ফেন্স, প্ল্যাকার্ড দিয়ে তৈরি করা ব্যারিকেড এবং ক্যাম্পাস চত্বরের অস্থায়ী তাঁবুগুলো তছনছ করে দিয়েছে পুলিশ। এসব তাঁবুতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রাতে ঘুমাতেন।
ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে গত মার্চের শেষ দিক থেকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ। পরে সেই আন্দোলন দেশটির অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে সেই আন্দোলন চলার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ১৮ এপ্রিল রাতে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এ অভিযানে ১০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ এবং তাদের তাঁবু-ব্যারিকেডও তছনছ করে দিয়েছিল পুলিশ।
কিন্তু পরের দিন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ফের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। মার্কিন এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালিয়েছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ-আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার সদস্যরা মার্কিন শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে 'ইহুদিবিদ্বেষী' আন্দোলন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তবে আন্দোলনের সংগঠকদের (যাদের মধ্যে ইহুধি ধর্মাবলম্বীরাও রয়েছেন) দাবি, তারা কেবল ফিলিস্তিনিদের অধিকার ও গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছেন।
যুক্তরাষ্ট্র বিক্ষোভ গ্রেপ্তার শিক্ষার্থী ইউসিএলএ
মন্তব্য করুন
মুক্ত গণমাধ্যম বাংলাদেশ পাকিস্তান
মন্তব্য করুন
চলন্ত ট্রেনে অপ্রত্যাশিত এক ঘটনার সাক্ষী হলেন যাত্রীরা। স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে পালালেন স্বামী। গত ২৯ এপ্রিল ভারতের জাহাংসি জংশনে এ ঘটনা ঘটে।
২৮ বছর বয়সি মোহাম্মাদ আরশাদ তার ২৬ বছর বয়সি স্ত্রী আফসানাকে নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ করার সময় তালাকের এ ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির।
পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার আরশাদের চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি বিয়ে হয়েছিল আফসানার সঙ্গে। বিয়ের পর দুজনে ভোপালে থাকতেন। এক সপ্তাহ আগে কানপুরের পুখরায়ানে যান দুজনে। সেখানে আরশাদের পৈতৃক বাড়ি। কিন্তু সেখানে গিয়েই চমকে যান আফসানা। জানতে পারেন আরশাদের আরও এক স্ত্রী রয়েছে। এর প্রতিবাদ করলে আরশাদ ও তার মা আফসানার কাছে যৌতুকের দাবি করতে থাকে।
অভিযোগ, মারধরও করা হয় আফসানাকে। এরপর স্ত্রী আফসানাকে নিয়ে ভোপালে ফিরছিলেন আরশাদ। ঝাঁসি স্টেশনে ট্রেন ঢোকার মুখে স্ত্রীকে তিন তালাক দেন আরশাদ। এরপরই ট্রেন থেকে নেমে যান।
এ ছাড়া স্ত্রীকে চলন্ত ট্রেনে মারধরও করেছিলেন আরশাদ। ট্রেন ঝাঁসিতে থামতেই জিআরপিকে সমস্ত ঘটনা জানান আফসানা। এরপরই আফসানাকে ফেরত পাঠানো হয় আরশাদের পৈতৃক বাড়িতে। ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। আরশাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
গোটা ঘটনার কথা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও জানিয়েছেন আফসানা। স্বামীর কড়া শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।
পুলিশের সার্কেল অফিসার জানিয়েছেন, আফসানার অভিযোগের ভিত্তিতে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলা থেকে রেহাই পাইনি তার বাবা-মাও।
মন্তব্য করুন
গত ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ হাজার ২০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। এপির হিসেব অনুযায়ী, ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মোট ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৬ বার অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেসব অভিযান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের।