ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ক্ষমতায় ফিরবেন কে?

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রসিডেন্ট নির্বাচনে জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে বাইডেনের চেয়ে ট্রাম্পই এগিয়ে আছেন বর্তমানে। বিগত বছরের বিভিন্ন জড়িপের ফলাফল অন্তত তাই বলে। তবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চলতে থাকা একের পর এক মামলার কারণে নির্বাচনে তার অংশগ্রহণ নিয়ে চলে এসেছে সংশয়। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয়ের পর শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ট্রাম্প। এ ছাড়া ফৌজদারি অভিযোগের নানা মামলা তো তাঁর ঘাড়ে রয়েছেই। এ কারণেই আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প কি ধোপে টিকে যাবে নাকি তাকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা হয়ে যাবে সফল এ নিয়েও আছে প্রশ্ন। তবে, এতকিছুর পরও অনেক বিশেষজ্ঞরাই মনে করছেন বাইডেনের জায়গা এবার ট্রাম্পই দখল করে নেবে।

২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তাতে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হওয়ার বড় সম্ভাবনা রয়েছে ট্রাম্পের। ক্ষমতায় থাকাকালে দুবার অভিশংসিত হয়েছিলেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। এ ছাড়া বর্তমানে তার বিরুদ্ধে নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেয়ার চেষ্টাসহ আরও ডজনখানেক অভিযোগে প্রচুর মামলা চলমান রয়েছে। এরপরও হোয়াইট হাউসের গদিতে আবার বসার সম্ভাবনা রয়েছে ট্রাম্পের। 

জাতীয় পর্যায়ে করা বিভিন্ন জনমত জরিপের হিসাব বলছে, প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেতে নিজ দলের অন্যদের চেয়ে প্রায় ৫০ শতাংশ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে আছেন তিনি।

এদিকে আগামী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে আবারও মনোনয়ন পেতে পারেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প রিপাবলিকান প্রার্থী হলে নির্বাচনে বাইডেনের মুখোমুখি হতে হবে তাকে। ধারণা করা হচ্ছে, দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্র শাসনের দায়িত্ব পেতে পারেন বহু আলোচনা–বিতর্ক তৈরি করা ট্রাম্প, কিন্তু কিভাবে?

জরুরি পণ্য ও সেবা খাতে খরচ বৃদ্ধি

জো বাইডেনের নেতৃত্বধীন হোয়াইট হাউস বলছে, দেশের অর্থনীতি এখন ভালো অবস্থায় আছে। ট্রাম্প যখন ক্ষমতা ছেড়েছিলেন, তখন যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার ছিল ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। সেই হার এখন কমে এসেছে ৩ দশমিক ৯ শতাংশে। আর ২০২২ সালের জুনে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ শতাংশ। গত অক্টোবরে তা হয়েছে ৩ দশমিক ২ শতাংশ।

তবে তরুণ ভোটারসহ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বড় একটি অংশ অর্থনীতিকে দেখছেন ভিন্নভাবে। তাঁরা বলছেন, মুদিপণ্য, গাড়ি–বাড়ি, শিশু ও বয়স্কদের দেখভালসহ বিভিন্ন জরুরি পণ্য ও সেবা খাতে খরচ বেড়েছে। তবে সে অনুযায়ী বেতন বাড়েনি। জনমত জরিপের তথ্য বলছে, ভোটারদের একটি বড় অংশ মনে করেন, ডেমোক্র্যাটদের চেয়ে রিপাবলিকানদের হাতে মার্কিন অর্থনীতি ভালো থাকে।

নিজেই সমস্যা সৃষ্টি করে নিজেকেই রক্ষাকর্তা হিসেবে জাহির করে

অর্থনীতির বাইরে আরও অনেক কারণে ভোটাররা দোলাচলে রয়েছেন। ট্রাম্প ভোটারদের কাছে নানা দুশ্চিন্তার কথা তুলে ধরেন। তাঁর ভাষ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে বহু শ্বেতাঙ্গ নাগরিক রয়েছেন। তারপরও এই দেশ আরও নানা জাতি ও বর্ণের মানুষের উপস্থিতিতে দিন দিন আরও বৈচিত্র্যপূর্ণ হয়ে উঠছে এবং সাংস্কৃতিকভাবে বদলে যাচ্ছে।

মার্কিনদের মধ্যে আরও একটি মনোভাব কাজ করছে যে—বাড়ির মালিক হওয়া, মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তাল মেলানোর জন্য সম্মানজনক একটি বেতন এবং কলেজে পড়াশোনার মতো বিষয়গুলো অনেকের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এগুলোকেই আমেরিকান জীবনের ভিত্তি হিসেবে মনে করা হয়। এ ছাড়া জরিপে দেখা গেছে, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন মার্কিন ভোটাররা। মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসী প্রবেশও ভাবাচ্ছে তাঁদের।

মার্কিন নাগরিকদের মনে ভীতি ছড়িয়ে এই বিষয়গুলোই রং চড়িয়ে কাজে লাগানোয় বেশ পারদর্শী ট্রাম্প। তিনি একদিকে যেমন লোকজনকে উসকে দিয়ে ‘আগুন লাগান’, অপরদিকে সমাধান বাতলে দিয়ে সেই ‘আগুন নেভানোর’ কাজও করেন। ট্রাম্প প্রথমে ঘোষণা দেন, দেশ বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে। আর তারপরই নিজেকে রক্ষাকর্তা হিসেবে সামনে আনেন। 

ভোটারদের অন্ধ সমর্থন

ট্রাম্পের নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির অনেকেই তাঁর সমালোচনা করেন। ডেমোক্র্যাটদের পাশাপাশি অনেক গণমাধ্যমও তাঁকে হোয়াইট হাউসের জন্য যোগ্য মনে করে না। তবে এমন লাখ লাখ ভোটার রয়েছেন, যাঁরা তা মানতে নারাজ।

এমনকি ট্রাম্পের অনেক সমর্থক মনে করেন, সাবেক এই প্রেসিডেন্ট রাজনৈতিক আক্রোশের শিকার। চলতি বছরের শুরুর দিকে রিপাবলিকান পার্টির সমর্থকদের ওপর একটি জরিপ চালিয়েছিল রয়টার্স ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ইপসস’। তাতে দেখা যায়, ওই সমর্থকদের অন্তত অর্ধেক জানিয়েছেন, ট্রাম্পকে যদি কোনো অপরাধে সাজাও দেওয়া হয়, তারপর তাঁকে ভোট দেবেন তাঁরা।

বাইডেনের কাঁচা কাজ

আবাসন, পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ও চিপ উৎপাদনে বিপুল সরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মসংস্থাননীতি নিয়েছিলেন জো বাইডেন। তবে সেই নীতি যে জীবনে পরিবর্তন এনেছে, তা বেশির ভাগ মার্কিনিকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে দুটি যুদ্ধের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়েছেন বাইডেন। যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এই সংশ্লিষ্টতা মার্কিনিদের মধ্যে বিভক্তি এনেছে। বিদেশে হস্তক্ষেপ না করার জন্য ট্রাম্পের একটি পরিচিতি রয়েছে। তাঁর নীতি হচ্ছে ‘আমেরিকাকে অগ্রাধিকার’। ইউক্রেন বা ইসরায়েল ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের আরও জড়িয়ে যাওয়া নিয়ে যেসব মার্কিনি ভয় পাচ্ছেন, তাঁরা ট্রাম্পের ‘আমেরিকাকে অগ্রাধিকার’ নীতির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে পারেন।

আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে বেশ উত্তেজনার মধ্যেই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সময়। শেষ পর্যন্ত কে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় সেটিই এখন মুখ্য বিষয়।


জো বাইডেন   যুক্তরাষ্ট্র   যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট নির্বাচন   ডোনাল্ড ট্রাম্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

প্রবল বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ল মসজিদের ছাদ

প্রকাশ: ০৮:৫৬ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

সৌদি আরবের দাহরানের কিং ফাহাদ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবল বৃষ্টিতে একটি মসজিদের ছাদ ভেঙে পড়েছে। সৌদির বিভিন্ন অঞ্চলে গত দুইদিন ধরে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

বুধবার (১ মে) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। তবে মসজিদের ছাদ ভেঙে কেউ আহত হননি। কারণ ওই সময় সেখানে কেউ ছিলেন না। 

নেটিজেনরা জানিয়েছেন, মসজিদটির বাইরের অংশের ছাদটি ধসে পড়েছে। মসজিদ সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে মূল ভবনের বাইরে স্টিলের এই ছাদটি স্থাপন করা হয়েছিল।

স্টিলের ছাদটির ওপর এতই পানি জমা হয়েছিল যে এটি আর ভার বহন করতে পারেনি। এরপর একটি পর্যায়ে এটি ভেতরের দিকে ধসে পড়ে। তখন মসজিদের ভেতর বৃষ্টির পানি প্রবেশ করে এবং মসজিদে যেসব কার্পেট ছিল সেগুলো পানিতে ভিজে যায়।

কেউ একজন মসজিদের মূল ভবনের ভেতর থেকে ছাদ ভেঙে পড়ার মুহূর্তটি নিজের মোবাইল ফোনে ধারণ করেন।

বৃষ্টিপাতের কারণে দেশটিতে সাধারণ মানুষকে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরাসরি ক্যাম্পাসে আসার বদলে অনলাইনে পাঠদান কর্মসূচি চলছে।


মসজিদ   বৃষ্টিপাত   সৌদি আরব  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের ধরপাকড়

প্রকাশ: ০৮:৪৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলেসে (ইউসিএলএ) ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে মার্কিন পুলিশ। ইতিমধ্যে তারা সেখানে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছেন এবং অনেকককে গ্রেপ্তার করেছেন। এমনকি বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ করে তাঁবু সরাতে রাবার বুলেট পর্যন্ত ব্যবহার করেছে মার্কিন পুলিশ। 

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার(২ মে) ভোরে ইউসিএলএ ক্যাম্পাসের বাইরে রাখা ব্যারিকেড সরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে পুলিশ। ভেতরে প্রবেশ করে সেখানে আগে থেকে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের তাঁবু ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ। নির্দেশনা না মানলে গ্রেপ্তার, এমনকি আহত হতে পারেন বলেও জানায় তারা। তবে পুলিশের সতর্কবার্তা আমলে না নিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। তাই অনেক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছোড়া হয়েছে রাবার বুলেট। সিএনএন এর প্রতিবেদন 

বিবিসি জানিয়েছে, মূল আন্দোলনস্থল ডিকসন কোর্টে প্রবেশ করেছে পুলিশ। পুলিশ দেখে অনেক শিক্ষার্থী বিক্ষোভস্থল ত্যাগ করলেও এখানো সেখানে অনেকে অবস্থান করছেন। তবে তাদের ঘিরে রেখেছে পুলিশ সদস্যরা।

পুলিশ এখন তাঁবু সরিয়ে দিচ্ছে। ডিকসন কোর্টে এখন অনেকটা পুলিশে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাসের অন্য কোথাও তাঁবু স্থাপন করেছে কিনা তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে এই ক্যাম্পাসে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিপন্থী শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তবে এই সময় পুলিশ দেরিতে সাড়া দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ জন্য পুলিশের সমালোচনাও করেছে অঙ্গরাজ্যের গভর্নরের কার্যালয়।


যুক্তরাষ্ট্র   ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া   পুলিশ   ইউসিএলএ   লস অ্যাঞ্জেলেস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কেনিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাতে ১৮৮ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৮:৩৫ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

মৌসুমী বৃষ্টির কারণে কেনিয়াসহ পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোতে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকায় বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট, সেতু ও অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে অনেক। 

কেনিয়া জানিয়েছে, দেশটিতে বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বিপর্যয়ে এখন পর্যন্ত ১৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

এই বিপর্যয়ে কেনিয়ায় ১২৫ জন আহত হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৯০ জন। দের লাখের ও  বেশি মানুষের স্থানীয় বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে।   

বুধবার কেনিয়ার বিখ্যাত পর্যন্ত এলাকা মাসাই মারা বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ অঞ্চলের একটি নদী হঠাৎ করে প্লাবিত হলো পর্যটকসহ ১০০ জন হড়কা বানে ভেসে যায়। সেখান থেকে ৯০ জনকে সফলভাবে উদ্ধার করার কথা জানায় কেনিয়া কর্তৃপক্ষ। 


কেনিয়া   বৃষ্টিপাত   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পুলিশের অভিযানে বিপর্যস্ত কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস

প্রকাশ: ০৮:২৮ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজার ঘটনার প্রতিবাদ ঠেকাতে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিলটন হলে অভিযান চালিয়ে একশোর বেশি আটকের ঘটনায় পুরো ক্যাম্পাসই এখন বিপর্যস্ত।

বিশ্ববিদ্যালয়টির সব প্রবেশ পথেই এখন পুলিশ ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মীদের ভিড়, রাস্তায় ব্যারিকেড। জিনিসপত্র নিয়ে শিক্ষার্থীরা বাড়ির উদ্দেশে ক্যাম্পাস ছাড়ছে। ক্লাস বাতিল হয়েছে আর পরীক্ষা কবে হবে ঠিক নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এরপর কী হতে যাচ্ছে তা নিয়েই সর্বত্র এক থমথমে ভাব আর অনিশ্চয়তা।

পুলিশি অভিযানের পর এক বার্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট নেমাত শফিক বলছেন, তাকে গভীর দু:খ নিয়েই শিক্ষার্থী ও অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানের নির্দেশ পুলিশকে দিতে হয়েছে এবং এ ক্ষত শুকাতে সময় লাগবে।

অন্যদিকে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংসতার ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর। সেখানে ক্যাম্পাসে পুলিশকে ডাকার আগেই মুখোশ পরিহিত ইসরায়েলপন্থি একটি গ্রুপ ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের তাবুতে হামলা চালায়।

গভর্নরের মুখপাত্র বলেছেন, এ ঘটনায় 'সীমিত ও বিলম্বিত' পুলিশি হস্তক্ষেপ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। বুধবার ওই ক্যাম্পাসে শত শত পুলিশ কর্মকর্তা অবস্থান নিয়েছিল।

তবে অনেকেই অভিযোগ করেছেন, মঙ্গলবার মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের তাঁবুকে ঘিরে সংঘর্ষের সময় পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়নি। যদিও কর্মকর্তারা বলেছেন সহিংসতার সূচনার পর দ্রুত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।

মূলত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যক্তি ও কোম্পানিকে বয়কটের দাবিতে গত কিছুদিন ধরেই প্রচণ্ড ছাত্র বিক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। মঙ্গলবার রাতে কয়েকটি জায়গায় তা সংঘর্ষের রূপ নেয়।

এর আগে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হার্ভার্ড থেকে ইয়েলসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ফিলিস্তিনের পক্ষে ও ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত কোম্পানি ও ব্যক্তিদের বয়কট করার আহ্বান জানাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা।

সর্বশেষ পহেলা মে রাতে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের দখল করে রাখা অ্যাকাডেমিক ভবন দখলমুক্ত করতে অভিযান চালায় নিউইয়র্ক পুলিশ। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে নয়টায় অভিযান শুরু করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে তারা হ্যামিলটন হল নামে ওই ভবনে প্রবেশ করেছে। সেখানে অবস্থান নেওয়া বিক্ষোভকারীদের সবাইকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।


পুলিশ   কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়   ক্যাম্পাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আমিরাতে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতে ১৩ টি ফ্লাইট বাতিল

প্রকাশ: ০৮:১১ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতে ১৩টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া মাঝপথ থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে আরও কয়েকটি বিমান।  

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে ১৩টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং পাঁচটি বিমানকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র। 

তিনি বলেছেন, 'দুবাই বিমানবন্দর নিশ্চিত করেছে খারাপ আবহাওয়ার কারণে রাতের বেলা পাঁচটি বিমানকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং নয়টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।'

এছাড়া বিমানবন্দরে আসার ক্ষেত্রে সময় নিয়ে বের হওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। কারণ বৃষ্টির কারণে রাস্তায় দীর্ঘ জ্যামের সৃষ্টি হতে পারে। 

আরব আমিরাতে সাধারণত এত বৃষ্টিপাত দেখা যায় না। তবে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে দেশটিতে একদিনে এক বছরের সমান বৃষ্টিপাত হয়। এতে বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির পানি জমে যায়। পানির পরিমাণ এতই বেশি ছিল যে রাস্তায় থাকা গাড়িগুলো ভেসে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে যায়।


সংযুক্ত আরব আমিরাত   বৃষ্টিপাত   ফ্লাইট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন