ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিরে দেখা ২০২৩ এর আন্তর্জাতিক অঙ্গন

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

শেষের পথে ২০২৩। দরজায় কড়া নাড়ছে নতুন বছর ২০২৪। এ বছর আন্তজার্তিক অঙ্গন ছিল বেশ ঘটনাবহুল। বিশ্ববাসীর ব্যাপক ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিয়েছে এ বছরটি। চলমান যুদ্ধগুলো বেগবান হওয়ার সাথে সাথে নতুন যুদ্ধ শুরু হয়েছে প্রবলভাবে। ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা চরম আকার ধারণ করেছে। ২০২৩ এর এমনই বেশ কিছু ঘটনাবলী আমাদের জীবনকে করেছে প্রভাবিত। চলুন এ বছর ঘটে যাওয়া আলোচিত বেশ কিছু ঘটনার স্মৃতি আবারও রোমন্থন করা যাক..

 

- ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ -

শত শত হামাস বন্দুকধারী গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে প্রায় ১২০০ লোককে হত্যা করে, যাদের বেশিরভাগই ছিল বেসামরিক এবং সাথে করে ২৪০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। ইসরায়েলের ইতিহাসে এর চেয়ে নজিরবিহীন হামলা আর হয়নি যা ইসরায়েলের পাশাপাশি গোটা বিশ্বকে স্তম্ভিত করে দিয়েছিল। এই ঘটনার জেরে পরদিন থেকেই ইসিরায়েলি বাহিনী গাজায় বর্বর ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েই যাচ্ছে। বিমান হামলা থেকে শুরু করে স্থল অভিযান, কিছুই তারা বাদ দেয়নি। এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকা। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হামাসকে "ধ্বংস" করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু হামাস নির্মূলে নামা ইসরায়েলিদের এ অব্যাহত নৃশংস হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ১৯,০০০ হাজার ফিলিস্তিনি এই বর্বর আগ্রাসনে নিহত হয়েছে। গাজার ধ্বংসযজ্ঞ ও মৃতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায়, ইতোমধ্যেই ইসরায়েলের ওপর আক্রমন থামানোর জন্য আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে।

- ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণে কঠোর লড়াই –

এই বছরের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধে ইউক্রেনের কঠোর পাল্টা আক্রমণ। ইউক্রেনের ওপর রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পূর্ণমাত্রার আক্রমণ শুরু করেছিল। প্রতিবেশী এই দেশটিতে ব্যাপকভাবে আক্রমণ করার ষোল মাস পর অবশেষে এ বছর ইউক্রেন তাদের রুশ-দখলকৃত ভূখন্ড উদ্ধারের জন্য পশ্চিমা-তৈরি কোটি কোটি শক্তিশালী অস্ত্রশস্ত্রে এবং নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রশিক্ষণের পর অনেক প্রত্যাশার পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। কিন্তু এই পুশব্যাক রাশিয়ার কঠিন রক্ষণাত্মক প্রতিরোধের দেয়াল ভেদ করতে অনেকটাই ব্যর্থ হয়। তবে এ বছর নভেম্বরের শেষের দিকে, ইউক্রেন ঘোষণা করে যে তারা রাশিয়ান-নিয়ন্ত্রিত ডিনিপ্রো নদীর বাম তীরে প্রবেশ করেছে। আর এটি কয়েক মাসের মধ্যে এই যুদ্ধে ইউক্রেনের প্রথম বড় কোনো সাফল্য। যদিও বর্তমানে শীত শুরু হওয়ার সাথে সাথে উভয় পক্ষের যুদ্ধই অনেকটা খেই হারিয়ে ফেলেছে।

- বিধ্বংসী ভূমিকম্প -

এ বছর প্রথম দিকে শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প দেখে বিশ্ববাসী। ৬ ফেব্রুয়ারি আঘাত হানা এই ভূমিকম্পে হাজার হাজার মানুষ নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়। এ ভূমিকম্পের পরেও প্রায় ১০০ বার আফটার শকে কেঁপে উঠে তুরস্ক ও সিরিয়া। সিরিয়ার সীমান্তের কাছে দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কে আঘাত হানা এই ভয়ংকর ভূমিকম্পে দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের সমগ্র শহরগুলি এই বিধ্বংসী ভূকম্পনে প্রায় মাটির সাথে মিশে গিয়েছিল এবং সেখানে কমপক্ষে ৫৬০০০ মানুষ ও সিরিয়া সীমান্তে প্রায় ৬০০০ জন মানুষ মারা যায়। ৭.৮ মাত্রার বিধ্বংসী এ ভূমিকম্পে বহু বেদনাদায়ক দৃশ্যের সাক্ষী হতে হয় বিশ্ববাসীকে। এ ঘটনার সাত মাস পরে, 8 সেপ্টেম্বর, মরক্কো তার ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক ভূমিকম্পের শিকার হয়, যা আটলাস পর্বতকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হয়। এই ভূমিকম্পে প্রায় তিন হাজার মানুষ নিহত হয়।

বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের অবনতি -

২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিঘ্নিত হয়েছে। আফ্রিকায় একের পর এক সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছে, থাইল্যান্ডে একটি প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল ক্ষমতায় এলেও দেশটির সামরিক বাহিনী তাদেরকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। ভারত সরকার বিভিন্ন নিবর্তনমূলক আইন ব্যবহার করে সমালোচকদের বাকরুদ্ধ করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সমালোচকদের ‘জীবানু' আখ্যা দিয়েছেন। সব মিলিয়ে ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক পরিবেশ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

- আফ্রিকায় আরও অভ্যুত্থান -

২০২২ সালের মতো ২০২৩ সালজুড়েও চলেছে চরম ভূরাজনৈতিক নাটকীয়তা এবং অর্থনৈতিক সংকট। একের পর এক নতুন নতুন সংকটের আবির্ভাবের কারণে ২০২২ সালের মতো এ বছরও সেনা অভ্যুত্থান ও অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছে আফ্রিকা। হয়েছে আরও অভ্যুত্থান। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত আফ্রিকার  প্রায় ১২টি দেশে অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়েছে। ২০২৩ সালে পশ্চিম আফ্রিকার নাইজার ও গ্যাবনে সেনা অভ্যুত্থান হয়। এ ছাড়া এই অঞ্চলের দেশ সিয়েরা লিওন এবং বুরকিনা ফাসোতে অভ্যুত্থান চেষ্টা হলেও তা ব্যর্থ হয়। অগণতান্ত্রিক পন্থায়, জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করলেও এসব অঞ্চলের মানুষ সেটিকে সমর্থক জানাচ্ছে। কারণ, আফ্রিকায় বেসামরিক নেতৃত্ব নিয়ে সাধারণ মানুষ হতাশ। সামরিক নেতৃত্ব নিয়ে তাদের এই আশাবাদ সেসব হতাশারই প্রতিফলন। গত ২৬ জুলাই নাইজারে সেনা অভ্যুত্থান হয়। সামরিক সরকার বন্দী করে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে। অভ্যুত্থানের পর পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর অর্থনৈতিক জোট-ইকোয়াস থেকে নিন্দা ও হুমকি দেওয়া হয়। জোটের বিভিন্ন দেশ নাইজারের সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিত করে। এরপর দেশটির সঙ্গে তাদের স্থল ও আকাশ সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। পশ্চিম আফ্রিকার আরেক দেশ গ্যাবন। ৩০ আগস্ট আলী বঙ্গোকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণার পরই সেখানে অভ্যুত্থান হয়। এ খবরে দেশটির সাধারণ মানুষকে রাস্তায় নেমে উদ্‌যাপন করতে দেখা যায়। যদিও জাতিসংঘ, আফ্রিকান ইউনিয়ন ও ফ্রান্স এই অভ্যুত্থানের তীব্র নিন্দা জানায়। এ ছাড়া বুরকিনা ফাসোতে ২৬ সেপ্টেম্বর অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়। নভেম্বরে সিয়েরা লিওনেও অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়েছে। দেশটির কর্মকর্তারা জানান, ওই ঘটনার পর ১৩ সামরিক কর্মকর্তা ও একজন বেসামরিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

- যুক্তরাষ্ট্র-চীন দ্বন্দ্ব -

২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বালিতে পরস্পরের সাথে কথা বলার পর সবাই ধারণা করেছিলো দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে চীনা গোয়েন্দা বেলুনের অস্তিত্ব দুই দেশের মাঝে আবারও সম্পর্কের অবনতি ঘটায়। এই বছরের জুনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিংকেন চীন সফরে গেলেও সম্পর্কের কোনো উন্নতি তো ঘটেইনি বরং যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে চীনের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। বিশ্বের প্রধান দুই পরাশক্তির মধ্যকার এই সম্পর্কের টানাপোড়েন ২০২৪ সালকেও প্রভাবিত করবে বলে সবাই প্রায় নিশ্চিত।

- ধর্মঘটে হলিউড –

এ বছরের অন্যতম চমকপ্রদ খবর ছিল ন্যায্য পারিশ্রমিকসহ একাধিক দাবিতে হাজার হাজার হলিউড অভিনেতার ধর্মঘট। এ ছাড়া এই ধর্মঘটে চিত্রনাট্যকারদের সঙ্গে যোগ দেন হলিউডের অভিনেতাদের ইউনিয়ন। ন্যায্য পারিশ্রমিকের দাবিতে এ বছরের মে থেকে হলিউডের সাড়ে ১১ হাজার লেখক ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছিলেন। ১৯৬০ সালের পর হলিউডে এমন ধর্মঘট আর হয়নি। এ ধর্মঘট চলতে থাকলে ইন্ডাস্ট্রি স্তব্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকাও করেছিল অনেকে। একাধিক বিষয়কে সামনে রেখে ধর্মঘটে নেমেছিল হলিউডের লেখক সংগঠন। তাদের বক্তব্য ছিল, ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলি জনপ্রিয় সিরিজ এবং সোপগুলির জন্য লেখকদের ইনসেনটিভ দিচ্ছে না। স্টুডিওগুলি টাকা বাঁচাতে স্ক্রিপ্টের ক্ষেত্রে এআই ব্যবহারের চেষ্টা করছে। এমন আরো বেশ কিছু অভিযোগ সামনে এনেছিলেন তারা। বিষয়গুলি নিয়ে স্টুডিওগুলির সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে লেখক সংগঠনের। হলিউডের অভিনয়শিল্পীদের সংগঠন দ্য স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড (এসএজি–সেগ) নেটফ্লিক্সসহ স্ট্রিমিং জায়ান্টগুলোর সঙ্গে বৈঠকে কোনো সুরাহা না হওয়ায় লেখকদের ধর্মঘটে যোগ দেয়ার ঘোষণা দেয়। শেষপর্যন্ত একটি আশাপ্রদ চুক্তি হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। চুক্তিতে বলা হয়, ইন্টারনেটে দেখানো সিরিজ এবং সিরিয়ালগুলির ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তার নিরিখে ইনসেনটিভ দেওয়া হবে। স্টুডিওগুলি স্ক্রিপ্টের ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সুযোগ নেবে না। তবে লেখকেরা চাইলে এআই ব্যবহার করতে পারেন। তবে এআই ব্যবহার করলে তা জানাতে হবে। চুক্তিতে এই ধরনের আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে বলে লেখক সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে। সকল জল্পনা কল্পনা শেষে অবশেষে ১৪৮ দিন পর প্রত্যাহার করা হয় হলিউডের লেখকদের ধর্মঘটকাজে যোগ দেন লেখকেরা। লেখকদের এই ধর্মঘটের জন্য হলিউডে বহু কাজ থমকে গিয়েছিল বলে জানিয়েছিল স্টুডিও-র মালিকেরা।

- মারাত্মক দাবানল -

এ বছর শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলের শিকার হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই রাজ্যের মাউই দ্বীপ। ৮ই আগস্ট সংঘটিত এ মারাত্মক ভয়াবহ দাবানলে কমপক্ষে ১১৫ জন প্রাণ হারিয়েছিল। নিঁখোজ ছিল প্রায় ১০০০ মানুষ। মাউই দ্বীপে দাবানল শুরু হলে পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ডোরার বাতাসের তোড়ে অল্প সময়ের মধ্যেই এই দাবানল চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়া দাবানলে অবকাশ যাপনের জন্য বিখ্যাত শহর লাহাইনার বেশিরভাগ অবকাঠামো পুড়ে ছাই হয়ে যায়। লাহাইনার পুনর্নির্মাণের প্রাক্কলিত খরচ ধরা হয়েছে সাড়ে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দাবানলের আগুনে প্রায় ২ হাজার ১০০ একর ভূখণ্ড পুড়ে গিয়েছিল শহরটির এবং ২ হাজার ২০০ অবকাঠামো ধ্বংস বা ক্ষতির শিকার হয়। এ দাবানলের পর সময়মতো ও সঠিকভাবে বাসিন্দাদের আগুন সম্পর্কে সতর্ক করা হলে হতাহতের সংখ্যা আরো কম হতো বলে কিছু বাসিন্দা অভিযোগ করেন। কিছু মানুষের বাসার একদম কাছাকাছি দাবানলের আগুন চলে আসার আগে তারা বিষয়টি সম্পর্কেই কিছুই জানতে পারেনি। অনেকে প্রশান্ত মহাসাগরে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ বাঁচাতে বাধ্য হন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করার জন্য দ্বীপে সাইরেন ব্যবস্থা চালু থাকলেও দাবানলের সময় একটি সাইরেনও বাজেনি বলেও অভিযোগ করা হয়।

- ভারতের চন্দ্রজয়

২০২৩ সালের ২৩ আগস্ট সকল শঙ্কা কাটিয়ে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করে ভারতের চন্দ্রযান-৩। এর মধ্য দিয়ে সফলভাবে চাঁদে নভোযান পাঠানো চতুর্থ দেশ হিসেবে চন্দ্রজয়ীর তালিকায় যুক্ত হয় ভারত। তবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথমবারের মতো নভোযান পাঠিয়ে ইতিহাস তৈরি করে দেশটি। এর আগে চাঁদে সফল অবতরণ করেছিল মাত্র তিনটি দেশ যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীন। ভারতের স্থানীয় সময় ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান-৩ অবতরণ করে। অবতরণের দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার হয়। এ বছরই রাশিয়ার চন্দ্রাভিযান লুনা-২৫ ব্যর্থ হয়। তাই সবার মাঝে এক ধরনের কৌতূহল ও সংশয় ছিল। এর আগে ২০১৯ সালে ভারতের চন্দ্রযান-২ চাঁদে অবতরণ করতে ব্যর্থ হয়েছিল। তবে এ বছর ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো সফল অবতরণের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিল। আর অবশেষে এ বছরই হলো ভারতের চন্দ্রজয়।

- জনসংখ্যার দিক দিয়ে চীনকে ভারতের ছাড়িয়ে যাওয়া -

গত এক শতাব্দী ধরে সবচেয়ে বেশি মানুষের দেশ হিসেবে রেকর্ড ছিলো চীনের হাতে, যা ভঙ্গ হয়েছে ২০২৩ সালে। চীনকে ছাপিয়ে ভারত এখন বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ। প্রায় ১ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন মানুষের বসবাস এখন ভারতে, এবং চীনের নাগরিকেরা যেখানে বুড়িয়ে যাচ্ছেন সেখানে ভারতের জনসংখ্যা আগামী কয়েক দশক ধরে কেবলই বাড়তে থাকবে। এই শতাব্দীর মাঝামাঝি নাগাদ চীনের জনসংখ্যা কমে যাবে প্রায় ১০০ মিলিয়ন এবং চীনা নাগরিকদের গড় বয়স হবে ৩৯ বছর থেকে ৫১ বছর। এর বিপরীতে এই শতাব্দীর মাঝামাঝি নাগাদ ভারতের জনসংখ্যা হবে ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন এবং এই বিপুল পরিমাণ ভারতীয় নাগরিকদের গড় বয়স হবে ৩৯ বছর।

- আর্মেনিয়ার আত্মসমর্পন -

বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান কয়েক দশক ধরে বিবাদে লিপ্ত রয়েছে। নাগোরনো-কারাবাখ আজারবাইজানের ভূখণ্ডের ভেতরে অবস্থিত হলেও ১৯৯৪ সালের এক যুদ্ধের পর থেকে আর্মেনিয়ার সমর্থনে জাতিগত আর্মেনীয় বাহিনী ওই অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। ইতোমধ্যে নাগোরনো-কারাবাখ ঘিরে দুই প্রতিবেশী আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়া অন্তত দুবার যুদ্ধে জড়িয়েছে। ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর প্রথমবার যুদ্ধে জড়ায় দেশ দুটি। সাবেক সোভিয়েত এ দুই রাষ্ট্র বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে ২০২০ সালে ফের প্রাণঘাতী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। দুই দেশের সৈন্যদের হামলা-পাল্টা হামলায় সেই যুদ্ধে উভয়পক্ষের সাড়ে ৬ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এ বছর ফের দু দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়। বিতর্কিত ওই ভূখণ্ডে মাইন বিস্ফোরণ ও অন্য এক ঘটনায় আজারবাইজানের ১১ পুলিশ সদস্য ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর ককেশাস অঞ্চলের দেশ আজারবাইজান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ অভিযান শুরু করে আজারি সৈন্যরা। মঙ্গলবার দেশটির সামরিক বাহিনী সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে এবং দাবি করে যে কারাবাখ বাহিনী সাদা পতাকা উত্তোলন করেছে এবং তাদের ‘অবৈধ রাজত্বের’ অবসান ঘটিয়েছে। অবশেষে, ‘নাগোর্নো-কারাবাখে অবস্থিত রুশ শান্তিরক্ষা মিশনের কমান্ডের মধ্যস্থতায় ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৩, সকাল ৯টা থেকে সামরিক অভিযান সম্পূর্ণ বন্ধ করার বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছায় দুই দেশ।’ প্রতিবেশী আর্মেনিয়ার কোনো সমর্থন ছাড়াই প্রায় নয় মাসের কার্যকর একটি অবরোধের পর এথনিক আর্মেনিয়ানরা হাল ছাড়ে। আজারবাইজানও এই চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। চুক্তি ফলে নাগোরনো-কারাবাখের প্রায় এক লাখ ২০ হাজার জাতিগত আর্মেনীয়কে নিজেদের সমাজে একীভূত করে নেয়ার কথা ভাবছে আজারবাইজান। কিন্তু অনেক আর্মেনীয় আজারবাইজানের এই পদক্ষেপের ব্যাপারে ভীত। এই চুক্তি অনুযায়ী জাতিগত আর্মেনীয়রা কারাবাখে আজারি নিয়ন্ত্রণে থাকবেন নাকি আর্মেনিয়ায় চলে যাবেন, সেটি এখনও পরিষ্কার নয়।


ফিরে দেখা   ২০২৩ আন্তর্জাতিক অঙ্গন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসির মৃত্যুতে ইরানে আতশবাজি ফুটিয়ে উদযাপন

প্রকাশ: ০৭:২৮ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির রহস্যজনক মৃত্যুতে একদিকে যখন শোকের ছায়ায় ভাসছে বিশ্বের একাংশ অন্যদিকে উল্লাসেও ফেটে পড়েছে আরেক অংশ। যেখানে ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী জনগণ, ইসরায়েল-আমেরিকাবিরোধীরা রাইসির মৃত্যুতে অনেকটাই হতভম্ব সেখানে খোদ ইরানে রীতিমতো আতশবাজি ফাটিয়ে উৎসবে মেতেছে ইরানিদের একাংশ।

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনির নির্দেশে একসময় রাইসি নৃশংসতা চালিয়েছেন। তিনি ১৯৮৮ সালে দেশটির হাজার হাজার কারাবন্দীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।

রাইসির মৃত্যুতে দেশটিতে যারা আতশবাজি ফুটিয়ে উদযাপন করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম মিনু মাজিদির মেয়েরা। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মাহশা আমিনির মৃত্যু ঘিরে প্রতিবাদ দমনে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে যারা হতাহত হন তাদের মধ্যে একজন মিনু মাজিদি (৬২)। রাইসির মৃত্যুতে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করেছেন।

তাদের উদযাপনের পরেই দুই ইরানি নারী মারসেদেহ শাহিনকার ও সিমা মোরাদবেগি, নেচে এবং হাসি দিয়ে রাইসির মৃত্যুর সংবাদে প্রতিক্রিয়া জানান। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাইসির মৃত্যু ঘিরে আতশবাজি ফুটিয়ে উদযাপনের বিভিন্ন ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এসব ভিডিও- এর সত্যতা যাচাই করা যায়নি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া ইরান ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাইসি বিমান দুর্ঘটনার খবর শুনেই অনেকে উদযাপন শুরু করে। এ নিয়ে তেহরানের এক বাসিন্দা তাদের কাছে ভিডিও পাঠিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আসুন রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার সুসংবাদ উদযাপন করি। এ ছাড়া আরও অনেক ভিডিওতে রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবরে অনেককে উল্লাস করতে দেখা গেছে।

এক ব্যবহারী এক্সে লিখেছেন, আমার মনে হয় পৃথিবীর ইতিহাসে এটি একমাত্র দুর্ঘটনা যেখানে কেউ বেঁচে গেলে মানুষ চিন্তায় পড়বেন। হ্যাপি ওয়ার্ল্ড হেলিকপ্টার ডে। অন্যদিকে রাইসির বিমান দুর্ঘটনার খবরে লন্ডনে ইরানি প্রবাসীরাও উল্লাস প্রকাশ করেছেন।

ইরানি প্রেসিডেন্ট   ইব্রাহিম রাইসি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত সিরিয়ার ফার্স্ট লেডি

প্রকাশ: ০৪:০৩ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের স্ত্রী এবং দেশটির ফার্স্ট লেডি আসমা আল-আসাদ লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে ২০১৯ সালে তিনি ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেন। কিন্তু এবার তিনি লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হলেন। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। খবর এএফপির।

এতে বলা হয়েছে, ৪৮ বছর বয়সী আসমা বিশেষ চিকিৎসা প্রোটোকলের মধ্য দিয়ে যাবেন; যার জন্য তাকে আইসোলেশনে থাকতে হবে। এর ফলে তিনি সরকারি কিংবা জনসংশ্লিষ্ট কোনও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারবেন না।

এর আগে, ২০১৯ সালের আগস্টে সিরিয়ার এই ফার্স্ট লেডি বলেছিলেন, তিনি ব্রেস্ট ক্যানসার থেকে পুরোপুরি সেরে উঠেছেন। ব্রেস্ট ক্যানসার একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে থাকাকালীন তা শনাক্ত করায় চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি।

২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ব্রিটিশ-বংশোদ্ভূত সাবেক এই ব্যাংকার বিভিন্ন ধরনের দাতব্য প্রতিষ্ঠানের কাজকর্মে জড়িয়ে পড়েন। দেশটিতে যুদ্ধে নিহত সৈনিকদের পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। দাতব্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণের সাথে সংশ্লিষ্টতা বাড়ালেও দেশটিতে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।

সিরিয়ার অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সিরিয়া ট্রাস্ট ফর ডেভেলপমেন্ট পরিচালনা করেন আসমা আল-আসাদ। তার এই প্রতিষ্ঠানের ছায়াতলে সিরিয়াজুড়ে অনেক দাতব্য ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে অন্যান্য সংস্থা।

সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গত বছর প্রথমবারের মতো স্বামী বাশার আল-আসাদের সাথে বিদেশ সফরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান আসমা আল-আসাদ। ওই সফরে তিনি আমিরাতের প্রেসিডেন্টের মা শেখ ফাতিমা বিনতে মুবারকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।


লিউকেমিয়া   সিরিয়া   ফার্স্ট লেডি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসির শেষ বিদায়ে লাখো মানুষের ঢল তাবরিজে

প্রকাশ: ০২:১৬ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তাবরিজে দেশটির সদ্য প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আব্দোল্লাহিয়ান ও অন্যান্য সহযাত্রীদের দাফন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় জানাতে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে তাবরিজে।

মঙ্গলবার (২১ মে) এ তথ্য দিয়ে ইরানের সংবাদমাধ্যম মেহের জানিয়েছে, সকালে ইরানের তাবরিজ শহরে নিহতদের জানাজা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সাত সহযাত্রীর দাফনে যোগ দিতে শহরটির একটি কেন্দ্রীয় স্কয়ার থেকে হেঁটে রওনা হন লাখো ইরানি। এ সময় তাদের হাতে ছিল ইরানের পতাকা ও প্রয়াত প্রেসিডেন্টের ছবি।

উল্লেখ্য, রবিবার আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় গত দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন। তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ অন্য কর্মকর্তারা। পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী বেল-২১২ মডেলের হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়।

প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর সোমবার ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজের খবরে বলা হয়, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি দেশটির জনগণের জন্য তার দায়িত্ব পালন করার সময় একটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। তিনি শহীদ হয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ বাকিরাও নিহত হয়েছেন।


ইব্রাহিম রাইসি   পররাষ্ট্রমন্ত্রী   হোসেন আমির-আব্দোল্লাহিয়ান   ইরান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহায়তা চেয়েও পায়নি ইরান

প্রকাশ: ০১:১৫ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান ও উচ্চপদস্থ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা। হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর দীর্ঘ তল্লাশি অভিযান শেষে পাহাড়ি ও তুষারাবৃত এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর তাদের সন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহায়তা চেয়েছিল ইরান। যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এই তথ্য সামনে এনেছে।

তবে 'কোনও কারণে' ইরানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিকে সেই সহায়তা করতে পারেনি। মঙ্গলবার (২১ মে) এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি। 

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার সাংবাদিকদের বলেন, এ ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত বলছেন না। তবে ইরান সরকার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহায়তা চেয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত মূলত ব্যবস্থাপনাগত কারণে তারা সেটা দিতে পারেননি।

ম্যাথু মিলার ইঙ্গিত দেন, রবিবার দুপুরে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর সেটিকে খুঁজে পেতে দ্রুত সাহায্য চেয়েছিল ইরান। 

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টার চেষ্টার পর বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি উদ্ধার করে ইরান। ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর ঘটনায় আনুষ্ঠানিক শোক জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ওয়াশিংটন বলেছে, রাইসির হাতে 'রক্ত' লেগে আছে। 

১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে তেহরানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তা সত্ত্বেও দুই দেশের মধ্যে কীভাবে যোগাযোগ হলো, তা বলতে অস্বীকৃতি জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র।

ম্যাথু মিলার শুধু বলেন, রবিবার কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইরান। যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে বলে, এ ধরনের পরিস্থিতিতে বিদেশি সরকারের অনুরোধে তারা সাড়া দেয়। এ ক্ষেত্রেও তারা ইরানকে সাহায্য করত। তবে মূলত ব্যবস্থাপনাগত কারণে সেটা সম্ভব হয়নি।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের শোকবার্তায় বলা হয়েছে, ইরান এখন নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নিচ্ছে। এ অবস্থায় ইরানের জনগণ ও তাদের মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র আবার তার সমর্থন জানাচ্ছে।

মার্কিন প্রশাসন বলেছে, এটি একটি রেওয়াজমাফিক শোকবার্তা। এটি রাইসির প্রতি কোনো রকম সমর্থন প্রকাশ করছে না। রাইসি সেই ব্যক্তি, যিনি বিচারক থাকাকালে গণহারে রাজবন্দীদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। তিনি প্রেসিডেন্ট থাকাকালে কর্তৃপক্ষ নারীদের গণ–আন্দোলন কঠোরভাবে দমন করেছে।

এদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট-পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে তাদের কোনো হাত নেই বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত নিয়ে ইরান এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ করেনি।


যুক্তরাষ্ট্র   ইরান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে না: বাইডেন

প্রকাশ: ১১:৫৪ এএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের নির্বিচার হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জোরালোভাবে ইসরায়েলের পক্ষে তার অবস্থান পূনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী গণহত্যা করছে না এবং গাজায় যা হচ্ছে তা গণহত্যা নয়।

সোমবার (২১ মে) হোয়াইট হাউসে ইহুদিদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।রয়টার্সের খবর 

হোয়াইট হাউসে ইহুদি আমেরিকান হেরিটেজ মান্থ উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে বাইডেন বলেন, 'আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিপরীতে আমি বলতে চাই, গাজায় যা ঘটছে তা গণহত্যা নয়। আমরা এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করি।'  

এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কৌঁসুলি করিম খান কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ আরও দুই ইসরায়েলি কর্মকর্তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়ার সিদ্ধান্তও প্রত্যাখ্যান করেন।

এদিকে গাজায় চলমান যুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কৌঁসুলি করিম খান ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। 


গাজা   ইসরায়েল   গণহত্যা   জো বাইডেন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন