ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বহির্বিশ্বে যা বয়ে আনছে ২০২৪!

প্রকাশ: ১২:০৬ পিএম, ০২ জানুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

চলে এসেছে ২০২৪। ইতোমধ্যেই যুগান্তকারী একটি বছর হিসেবে নাম লিখিয়ে ফেলেছে নতুন এই বছরটি। এ বছর বিশ্বজুড়ে প্রায় কয়েক ডজন নির্বাচন, ইউক্রেন এবং রাশিয়ার অমীমাংসিত দ্বন্দ্ব এবং ইসরায়েল ও গাজার মধ্যকার চলমান সংঘাত আরও তীব্রতর হওয়ায় শুরু থেকেই বিশ্ববাসীর নজরে রয়েছে ২০২৪। এ ছাড়া ২০২৩ এ্র ফেলে আসা বিরোধের সমাধান এবং সেই সাথে বৈশ্বিক তাপমাত্রা থেকে শুরু করে মহাকাশ অনুসন্ধান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সবকিছুতেই বিশ্ব এক ভিন্ন মাইলফলকে পৌঁছে যাবে। নতুন বছরে এটাই প্রত্যাশা। চলুন একবার চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক এ বছর ঘটতে যাওয়া কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটানাগুলির দিকে-


বিশ্বজুড়ে চলবে নির্বাচনের জোয়ার:

এ বছর প্রায় ৭০টির বেশি দেশে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। বলা যায়, প্রায় অর্ধেক বিশ্ব নির্বাচনী জোয়ারে ভাসছে। ২০২৪ এ বিভিন্ন দেশে নির্বাচনে ভোট দেবে বিশ্বের প্রায় ৪২০ কোটির বেশি মানুষ। সংখ্যাটি বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি। বাংলাদেশসহ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৭০টির বেশি দেশে। দেশগুলোর জনগণ ভোট দিয়ে এ বছরই নির্বাচিত করবে তাদের পছন্দের প্রতিনিধিকে। এর মধ্যে প্রধান ৫টি নির্বাচনের দিকে নজর থাকবে গোটা বিশ্বের। এ বছরের ৫ নভেম্বর আমেরিকানরা তাদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন। জরিপ অনুসারে, বাইডেন এবং ট্রাম্পই হতে পারেন মুখোমুখী। ডেমোক্রেটিক পার্টির বাইডেনের পর এবার কি রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিরে আসতে পারেন ক্ষমতায়, এমন প্রশ্ন এখনই টক অব দ্য টাউন। সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালসহ বিভিন্ন এর জরিপ অনুযায়ী, জনসমর্থনের দিক দিয়ে বাইডেনের চেয়ে বর্তমানে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। এদিকে মার্চেই আছে রাশিয়ার নির্বাচন। এবার কি কেউ রাশিয়ায় ভ্লাদিমির পুতিনকে চ্যালেঞ্জ করবে? বিশ্লেষকের অনেকের ধারণা, এবারও বিপুল ভোটে জিতে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখবেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একই ধারণা ভারতকে নিয়েও। সূত্র অনুসারে, আগামী এপ্রিল ও মে মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ভারতের জাতীয় নির্বাচন। উচ্চ মূল্যস্ফীতি, কর্মসংস্থান, ধর্ম নিয়ে দাঙ্গা-বিদ্বেষ এসব নিয়ে দেশটির মানুষের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ থাকলেও নির্বাচনে সহজেই জয় পাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল ক্ষমতাসীন বিজেপি এমনটাই সকলের ধারণা। এ ছাড়া এ বছরই ফেব্রুয়ারীতে হতে যাচ্ছে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইমরান খান কারাবন্দী এবং পরে নির্বাচনে অংশগ্রহণে অযোগ্য ঘোষিত হওয়ার পর এ নির্বাচন নিয়েও অনেকের রয়েছে বেশ আগ্রহ। অর্থাৎ, নির্বাচনকে ঘিরে ২০২৪ সালে বাংলাদেশসহ পর্যবেক্ষকদের নজর থাকবে যুক্তরাজ্য, ইরান, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভেনেজুয়েলাসহ বিভিন্ন দেশের দিকেও।

চীনের সাথে যুক্ররাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব বেড়ে যেতে পারে আরও:

এ বছর জানুয়ারি মাসে তাইওয়ানে হতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ধারণা করা হচ্ছে, এ নির্বাচনের ফলাফল চীন-তাইওয়ান সম্পর্কের পাশাপাশি তাইওয়ানকে ঘিরে চীন-মার্কিন দ্বৈরথেও প্রভাব ফেলবে। এ ছাড়াও নতুন বছরের শুরুতেই তাইওয়ান আর চীনের এক হওয়া নিয়ে জোর বার্তা দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। নতুন বছরের এক ভাষণে চীনা প্রেসিডেন্ট শি তাইওয়ান ও চীনের ঐক্য সম্পন্ন হবেই বলে অঙ্গিকার করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি চীনের শিল্পে নতুন বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেছেন। তাইওয়ান নিয়ে শি জিনিপিংয়ের এই মন্তব্য রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ। তার এই মন্তব্য থেকে স্পষ্ট, নতুন বছরে তাইওয়ানের উপর চীন সামরিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে চাপ দিয়ে যাবে। আর এতে করে মার্কিনিদের প্রভাব থেকে অনেকটাই দূরে চলে যাবে দেশটি। ফলস্বরুপ, চীন ও মার্কিনিদের দ্বৈরথে বেশ প্রভাব পড়বে এ বছর।

ইসরায়েল-গাজা সংঘাত:

এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় নিহত হয়েছেন ২১ হাজার ৬০০ জনের বেশি মানুষ। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে উপত্যকাটি। এহেন গণহত্যার অবসান নিয়ে ইসরায়েলের ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর আছেন ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাপে। এসব পরিস্থিতিতে অবিলম্বে দেশটিতে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হবে কিনা বা দেশ দুটির মধ্যে কোনো দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সংঘটন বা সমঝোতা হবে কিনা এসবের আশায়ই রয়েছে গোটা বিশ্ব। ইতোমধ্যেই হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে চলছে দফায় দফায় আলোচনা। বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এ আলোচনা সফলতার মুখ দেখতে পারে। তাই এ বছর বিশ্ববাসীর নজরে থাকবে এই যুদ্ধ। যদিও নেতানিয়াহু সরকার বলছে, যুদ্ধ শেষে অনির্দিষ্টকালের জন্য গাজার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে ইসরায়েলি বাহিনী। এমন পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে যে গাজা শাসনের দায়িত্ব আরব কোনো দেশ, আন্তর্জাতিক সংস্থা—এমনকি ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের হাতেও তুলে দিতে পারেন নেতানিয়াহু।

ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান:

অনেকটাই স্তিমিত হয়ে আসা ইউক্রেন যুদ্ধ ২০২৪ সালে একটি অবস্থানে পোঁছে যেতে পারে বলেই অনেকের ধারণা। বিশ্লেষকরা অনেকে বলছেন, এরই মধ্যে ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সহায়তায় বাধা আসছে। আর এ বছরে নির্বাচনে জয় পেলে দেশটিতে হামলা আরও বাড়াতে পারেন পুতিন। চলতি বছরে ইউক্রেনেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সব মিলিয়ে ক্রেমলিনের সঙ্গে যুদ্ধ নিয়ে একটি চুক্তিতে যেতে কিয়েভের ওপর চাপ বাড়ছে। ২০২৩ এর শেষ দিক থেকে ইতোমধ্যেই রাশিয়া এবং ইউক্রেনে ভয়াবহ ঠান্ডার কারণে যুদ্ধ অনেকটকাই নেতিয়ে গেছে। গত নভেম্বরে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি স্বীকার করে নিয়েছিলেন, যুদ্ধে ইউক্রেনের অগ্রগতি এই মুহূর্তে থমকে আছে। আর আসন্ন দিনগুলোতে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বড় কোনো চমক না আসার সম্ভাবনাই বেশি।

বছরটি অধিবর্ষের:

অধিবর্ষ প্রতি চার বছরে একবার ঘটে। ২০২৪ বছরটি একটি লিপ ইয়ার। এই বছরের লিপ ডে হবে বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ২৯। চার বছর অন্তর অন্তর এমন দিন পাওয়া যায় বলে আগামী লিপ ইয়ারটি হবে ২০২৮।

উড়ন্ত ‘গাড়ি’ দেখবে বিশ্ব:

এক ভিন্ন ধরণের আকাশযান এ বছর দেখতে পাবে বিশ্ব। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৪ সালেই প্রথম ‘গাড়ি’ উড়বে আকাশে। এগুলো একধরনের আকাশযান, যেগুলো কম শব্দ উৎপন্ন করবে, কার্বন নির্গমন করবে না এবং এই গাড়ির দামও হবে কম। সহজেই শহর থেকে আকাশে উড়তে পারবে এবং অবতরণ করতে পারবে এই গাড়িগুলো। সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই আকাশযানগুলো যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি শহরে ২০২৪ সালে বাণিজ্যিকভাবে ছাড়া হতে পারে। আশা করা হয়েছিল, এ বছর প্যারিস অলিম্পিকসের সময় শহরটিতে বিশ্বের প্রথম এ ধরনের ইলেকট্রিক আকাশযানের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে। তবে শহর কর্তৃপক্ষের আপত্তিতে সে পরিকল্পনা বাতিল করা হয়।

বিভিন্ন দেশের মহাকাশ অভিযান:

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে জাপানের মহাশূন্য গবেষণা সংস্থা জাকসা মঙ্গল গ্রহের ছোট দুটি উপগ্রহ, অর্থাৎ মঙ্গল গ্রহের একাধিক চাঁদ আবিষ্কারে অভিযান শুরু করবে, যাদের বলা হয় ফোবোস ও ডেইমোস। এ অভিযানের ল্যান্ডার ২০২৫ সালে ফোবোসে অবতরণ করবে এবং ২০২৯ সালে পৃথিবীতে ফেরত আসবে। এ ছাড়াও এ বছরের অক্টোবর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের মহাশূন্য গবেষণা সংস্থা নাসা বৃহস্পতি গ্রহের বৃহত্তম চাঁদের বাসযোগ্যতা অনুসন্ধানে ইউরোপা ক্লিপার নামে একটি মহাশূন্যযান পাঠাবে। ধারণা করা হয়, ইউরোপার ভূতলে সমুদ্র আছে, যেখানে অ্যালিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণীর অস্তিত্ব থাকতে পারে। আর ডিসেম্বরের দিকে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো শুক্র গ্রহে শুক্রযান প্রেরণ করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ২০১০ সালে জাপানের আকাতসুকি অভিযানের পর ইসরোই প্রথম শুক্র গ্রহে কোনো যান পাঠাবে। এই অভিযানে শুক্র গ্রহের পরিবেশ ও ফসফাইন নামক যৌগের অনুসন্ধান করা হবে। ধারণা করা হয়, এর সঙ্গে প্রাণের সম্পর্ক আছে।


২০২৪   গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী   নির্বাচন   যুক্তরাষ্ট্র   ইসরায়েল   ইউক্রেন   রাশিয়া   বিশ্ব সংবাদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রে ভূলুন্ঠিত মানবাধিকার: সতর্ক করবে কে?

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকারের বড় ফেরিওয়ালা। দেশে দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে, সতর্ক করে, হুমকি দেয়, বিবৃতি দেয়। কিন্তু এখন খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে ঘটনাগুলো ঘটছে তাতে পুরো বিশ্ব স্তম্ভিত। সারা বিশ্ব হতবাক। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত কিছুদিন ধরে ছাত্র আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করছে। বিশ্বের সেরা এবং নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গাঁজার গণহত্যার প্রতিবাদে ছাত্ররা রুখে দাঁড়িয়েছে, প্রতিবাদ করছে, বিক্ষোভ করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভিয়েতনাম যুদ্ধের পর এটি বড় ধরনের ছাত্র বিক্ষোভ। আর এই ছাত্র বিক্ষোভে যারা অংশগ্রহণ করছে তারা মুসলমান নয়, তারা বিভিন্ন ধর্মালম্বী। তারা বিভিন্ন মতে, বিভিন্ন পথে। তারা সরাসরি অনেকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না। তারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন, রাজপথে নেমেছেন, প্রতিবাদ করছেন শুধুমাত্র মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, গাঁজায় গণহত্যার নিন্দা জানাতে। ইসরায়েলকে যেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা না করে সেই আবেদন নিয়ে। 

ছাত্ররা হলো জাতির বিবেক। যে কোনো জাতি রাষ্ট্রের ছাত্রদের সচেতনতা এবং ছাত্রদের দেখানো পথেই মুক্তি আসছে। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই ছাত্ররাই এখন তাদের রাষ্ট্রের ক্ষতগুলোকে উন্মোচন করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে প্রত্যাশিত ছিল ছাত্র আন্দোলনের প্রতি তারা সম্মান দেখাবে, ছাত্রদের ন্যায্য দাবিগুলো তারা মারার চেষ্টা করবে এবং গাঁজায় গণহত্যা এবং মানবিক বিপর্যয় রোধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অভিভাবকের ভূমিকা পালন করবে কিন্তু সেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র করছে না। বরং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পুলিশি আক্রমণ চালাচ্ছে, তাণ্ডব হচ্ছে। ছাত্রদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কোথাও কোথাও যেভাবে শিক্ষার্থীদেরকে নির্মমভাবে পেটানো হচ্ছে সেটি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। 

প্রশ্ন উঠেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বে মানবাধিকারের সবক দেয়। এখন তাদেরকে মানবাধিকার শেখাবে কে? 

মার্কিন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, নয়শ’র বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী মতপ্রকাশের স্বাধীনতা শর্তহীন। সেই দেশের যে কোনো নাগরিক যে কোন মত প্রকাশ করতে পারে। কিন্তু গাঁজার ঘটনা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরীহ শিক্ষার্থীরা যে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছে এবং তাকে যে ভাবে দমন করা হচ্ছে তার নিকৃষ্ট স্বৈরাচারী তৎপরতার একটি অংশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন কী বলবে? অন্য দেশে যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটত তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চয়ই এত দিনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করত, নানারকম বক্তব্য বিবৃতি দিত। 

চীনের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারের ঘটনার কথাই ধরা যাক। সেই সময় চীনের এই ঘটনার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে মানবাধিকার নিয়ে আর্তনাদ করছিল, এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নীরব কেন? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বাংলাদেশের র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বিচার বহির্ভূত একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে। এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে বিচার বহির্ভূত নিপীড়ন নির্যাতন, হত্যাকাণ্ড ঘটছে তাতে বিশ্ব বিবেক স্তব্ধ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন কী আর অধিকার রাখে মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার? অন্য বিশ্বকে মানবাধিকার নিয়ে জ্ঞান দেওয়ার আগে এখন কী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিজেরই লজ্জিত হওয়া উচিত না? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি নিজের মানবাধিকার সুরক্ষা করতে না পারে, নিজ দেশের জনগণ যদি মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয় তাহলে অন্য দেশকে মানবাধিকারের উপদেশ দেওয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কী শোভা পায়? 


যুক্তরাষ্ট্র   মানবাধিকার   ছাত্র আন্দোলন   গাঁজায় গণহত্যা   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের অভিযানে শতাধিক গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৭:৫০ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গত সাড়ে ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে নির্বিচার হামলা ও হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত এক সপ্তাহ ধরে ব্যাপক ধরপাকড় চালাচ্ছে মার্কিন পুলিশ প্রশাসন। সবশেষ যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং নিউইয়র্কের সিটি কলেজ ক্যাম্পাসে রাতের আঁধারে পরিচালিত হয়েছে পুলিশি অভিযান। এ অভিযানে ক্যাম্পাস দুটি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শতাধিক ফিলিস্তিন সমর্থকারীকে।

বুধবার (১ মে) মার্কিন এক পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সিএনএন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতদের বেশিরভাগ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিক্ষোভকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন হ্যামিল্টন হলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর রাতে তাদের সরাতে ভবনে প্রবেশ করে পুলিশ।

নিউইয়র্ক পুলিশ জানিয়েছে, দুই ঘণ্টারও কম সময়ের এ অভিযানে হ্যামিল্টন হল থেকে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসময় কেউ আহত হয়নি বলেও দাবি পুলিশের।

এর আগে আগামী ১৭ মে পর্যন্ত নিউইয়র্ক পুলিশকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে চিঠি পাঠায় কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই চিঠি পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিতে রাতে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে পুলিশের বড় একটি দল।

উল্লেখ্য, গত ১৭ এপ্রিল কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভকারীদের সরাতে প্রথম ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে নিউইয়র্ক পুলিশ। ওই অভিযানে শতাধিক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের পর বিক্ষোভের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে। গত এক সপ্তাহে পুলিশ ৫৫০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র   কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ট্রুডোকে ‘উন্মাদ’ বলায় বিরোধী নেতাকে সংসদ থেকে বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৭:০৮ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

কানাডার বিরোধীদলীয় নেতাকে সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। উত্তর আমেরিকার এই দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে ‘পাগল’ বা ‘উন্মাদ’ আখ্যা দেওয়ার পর প্রধান বিরোধী দলের নেতাকে দিনের বাকি অংশের জন্য পার্লামেন্ট থেকে বের করে দেওয়া হয়।

বুধবার (১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডার প্রধান বিরোধী দলের নেতাকে মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্স থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অস্বাভাবিক এই পদক্ষেপের আগে তিনি প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে ‘পাগল’ বা ‘উন্মাদ’ বলে অভিহিত করেছিলেন।

রয়টার্স বলছে, আনুষ্ঠানিকভাবে বিরোধী দলে থাকা কনজারভেটিভরা জরিপে বেশ এগিয়ে আছে এবং কার্বন ট্যাক্সের জন্য বিরোধী নেতা পিয়েরে পয়লিভের ক্ষমতাসীন লিবারেল সরকারকে নিয়মিত আক্রমণ করছেন। এর ফলে দেশে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে বলেও সমালোচনা করছেন তিনি।

মঙ্গলবার এই বিরোধী নেতা হাউস অব কমন্সে ভাষণ দেওয়ার সময় ট্রুডোকে উদ্দেশ্য করে জিজ্ঞাসা করেন, ‘এই উন্মাদ প্রধানমন্ত্রীর এই উন্মাদ নীতির অবসান কবে হবে?’

এই বক্তব্যের পর স্পিকার গ্রেগ ফার্গাস বিরোধী নেতা পয়লিভেরকে বলেন, তার মন্তব্যটি অসংসদীয় এবং অগ্রহণযোগ্য। এরপর তাকে ওই মন্তব্য প্রত্যাহার করতে চারবার আহ্বান জানান লিবারেল এই স্পিকার।

তবে পয়লিভের প্রতিবারই সেই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন, এর পরিবর্তে তিনি চরমপন্থি বা মৌলবাদী শব্দটি ব্যবহার করতে চান।

এই পর্যায়ে স্পিকার ফার্গাস বিরোধী নেতা পয়লিভেরকে বলেন, তিনি স্পিকারের কর্তৃত্বকে উপেক্ষা করছেন। এরপর তিনি বলেন: ‘আমি আপনাকে আদেশ দিচ্ছি, আপনি হাউস থেকে চলে যান ... দিনের অধিবেশনের বাকি অংশের জন্য।’

এরপর পয়লিভের এবং তার বেশিরভাগ আইনপ্রণেতা তখন চলে যান।

রয়টার্স বলছে, ট্রুডোর সঙ্গে পয়লিভেরের বেশ উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তাকে তিনি (ট্রুডো) একজন চরমপন্থি এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন আন্দোলনের সমর্থক বলে অভিহিত করেছেন।

কানাডা প্রধানমন্ত্রী   জাস্টিন ট্রুডো  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সিনেমা নয় বাস্তবে যুদ্ধ করছে রোবট!

প্রকাশ: ০৪:১০ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

হলিউড সিনেমাতে হরহামেশাই আমরা দেখে থাকি, অস্ত্র চালনা কিংবা হ্যান্ড টু হ্যান্ড কমব্যাট, যুদ্ধক্ষেত্রে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রোবট। কখনো মানুষের পক্ষে কখনো মানুষের বিপক্ষে বিরাট রোবট বাহিনী। এবার সিনেমাতে নয়, বাস্তবেই যুদ্ধের ময়দানে দেখা যাচ্ছে রোবট। সিনেমায় দেখানো রোবটের মতো এত উন্নত প্রযুক্তির না হলেও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে দেখা যাচ্ছে কিলার রোবটের ব্যবহার।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অধ্যাপক টোবি ওয়ালশ বলেন, কিলার রোবট শুনলে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির মুভিতে দেখা রোবটের কথা মনে হয়৷ কিন্তু সমস্যা হলো, এগুলো এখন বাস্তবে হচ্ছে৷ এগুলো টার্মিনেটর রোবট নয়৷ এগুলো একধরনের ড্রোন যার ব্যবহার আমরা ইউক্রেন যুদ্ধে দেখতে পাচ্ছি৷ এসব ড্রোনকে মানুষের চেয়ে কম্পিউটার দিয়ে নিয়ন্ত্রণের পরিমাণ বাড়ছে৷

ট্যাঙ্ক, পরিখায় সৈন্য- ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার শুরুতে আমরা এমনটা দেখেছিলাম৷ কিন্তু পরবর্তীতে দুই পক্ষই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার শুরু করে৷ যেমন বায়রাক্তার ড্রোন৷ একেকটির দাম ১১ মিলিয়ন ইউরোর বেশি৷

জার্মান প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. গারি শাল বলেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার কাছে থাকা অনেক অস্ত্রকে পরবর্তীতে এআই-সমৃদ্ধ করা হয়েছে৷ ফলে যুদ্ধে পরিবর্তন এসেছে৷ যেমন রাশিয়াকে আমরা এআই-সমৃদ্ধ গ্লাইড বোমা ব্যবহার করতে দেখেছি৷ আর ইউক্রেনের এআই-সমৃদ্ধ অস্ত্রের মধ্যে আছে ড্রোন৷ যুদ্ধের প্রথম কয়েক মাসে ইউক্রেন যে কার্যকর ও সফল ছিল, তার কারণ ছিল তারা পরিস্থিতি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছিল৷

সামরিক সংঘাত মানে হলো, তথ্য সংগ্রহ ও সেগুলোর অর্থ বুঝতে পারা৷ কত দ্রুত সেটা করা যাচ্ছে তাও গুরুত্বপূর্ণ৷ এআই সেটা করতে পারে ও সিদ্ধান্ত নিতে পারে৷

মিউনিখের বুন্ডেসভেয়ার ইউনিভার্সিটির আক্সেল শুলটে বলেন, এখন অনেক কিছু স্বয়ংক্রিয় হয়ে যাওয়ায় মানুষ ও যন্ত্রের মধ্যে শ্রম বিভাজন করতে গিয়ে আমাদের সতর্কতার সঙ্গে ভাবতে হবে৷ মানুষের উদ্দেশ্য আছে, যন্ত্রের নেই৷ আমরা এসব যন্ত্রকে, এসব স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাকে, হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করি৷

কিন্তু ড্রোন কি হিউম্যানয়েড কিলার রোবট বা টার্মিনেটর হতে পারে? আক্সেল শুলটে বলেন, টার্মিনেটর? না সেটা সম্ভব না৷ আমরা এখনো প্রযুক্তিগতভাবে অতদূর এগোইনি৷ হ্যাঁ, ইউটিউবে আমরা বস্টন ডাইনামিক্সের দারুন সব ভিডিও দেখি বটে৷ আমরা দেখি, গতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এসব যন্ত্রের দক্ষতা বেশ ভালো৷ তারা ডিগবাজি বা সে রকম কিছু দিতে পারে৷ কিন্তু এর মানে এই নয় যে, সেগুলো বিপজ্জনক কিলার রোবট হয়ে গেছে৷

২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী সামরিক ব্যয় দুই ট্রিলিয়ন ইউরো ছাড়িয়ে গেছে- যা একটি রেকর্ড৷ ৭৫০ বিলিয়ন ইউরো খরচ করে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ তবে চীনও কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করছে৷ ২০২২ সালে রাশিয়া তার সামরিক বাজেট নয় শতাংশ বাড়িয়েছিল৷

জার্মান প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. গারি শাল বলেন, যদি আপনার এমন বাহিনী থাকে যেটা এআই ব্যবহার করে, তাহলে, অন্য যারা এআই ব্যবহার করে না, তাদের চেয়ে আপনার কৌশল ভিন্ন হবে৷ এটা শুধু যন্ত্রের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ঢোকানোর বিষয় নয়৷ এটা পুরো ব্যবস্থা পরিবর্তনের বিষয়: প্রশিক্ষণ, কৌশল, সংগঠন সবক্ষেত্রে৷

স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র তৈরিতে কাজ করছে পৃথিবীর প্রায় ৬০টি দেশ। শান্তিপূর্ণ প্রয়োজনে রোবট বানাচ্ছে তারা। তবে এসকল রোবট বা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের দিকে ঝুঁকলে নিঃসন্দেহে তা হবে ভয়ংকর।


যুদ্ধ   রোবট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্র ‘ভণ্ডামি’ করছে: রাশিয়া

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি)তদন্তের বিরোধিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে এ আদালতের দেওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সমর্থন করেছে। মস্কো ওয়াশিংটনের এই আচরণকে ‘কপট’ উল্লেখ করে বলেছে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের ভণ্ডামি।

আইসিসি যুদ্ধাপরাধের দায়ে ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করার পাশাপাশি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও গণহত্যার তদন্ত করতে পারে। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলা ও সাত মাস ধরে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার তদন্ত করছে সংস্থাটি।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ–পিয়েরে গত সোমবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিসির তদন্ত সমর্থন করে না । এ ছাড়া এই বিষয়ে আদালতের এখতিয়ারের বিষয়টিতেও বিশ্বাস করে না তারা। তবে এর আগে গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি ছিল ন্যায়সংগত। ইউক্রেনে কথিত রুশ যুদ্ধাপরাধের বিবরণ আইসিসির কাছে তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্র।

মস্কো বলেছে, পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতার পরোয়ানা জারি করা পশ্চিমাদের অর্থহীন প্রয়াস। এর মধ্য দিয়ে তারা রাশিয়ার সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। তারা ইউক্রেনে কোনো যুদ্ধাপরাধ করেনি। তবে ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়া যুদ্ধাপরাধ করেছে। রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেন যে অপরাধ করেছে, তা এড়িয়ে গেছে পশ্চিমারা। তবে কিয়েভ এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা টেলিগ্রামে করা এক পোস্টে বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আইসিসির দেওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা পুরোপুরি সমর্থন করে ওয়াশিংটন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এখন তাদের ও তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আইসিসির তদন্তের বৈধতা স্বীকার করতে চাইছে না। জাখারোভা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থান কপটতার শামিল।

রাশিয়া আইসিসির সদস্যদেশ নয়। ইসরায়েলও এর সদস্য নয়। তবে ২০১৫ সালে ফিলিস্তিন আইসিসির সদস্য হয়। গত শুক্রবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, আইসিসির কোনো সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের কার্যক্রমের ওপর প্রভাব ফেলবে না; কিন্তু বিপজ্জনক একটি উদাহরণ তৈরি করবে। ইসরায়েলের কর্মকর্তারা অবশ্য আইসিসির আদেশ নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে। তাঁদের ধারণা, আইসিসির পক্ষ থেকে গাজায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগে নেতানিয়াহু ও ইসরায়েলে অন্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হতে পারে। একই সঙ্গে হামাস নেতাদের বিরুদ্ধেও এ পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।


যুক্তরাষ্ট্র   ভণ্ডামি   রাশিয়া  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন