বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন-পরবর্তী রাজনীতি, অর্থনীতি এবং ভূরাজনীতি বিষয়ে লিখেছেন পঙ্কজ সরণ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপ-উপদেষ্টা পঙ্কজ সরণ পররাষ্ট্র, কৌশলগত ও জাতীয় নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার ও রাশিয়ায় ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। বর্তমানে তিনি নিরাপত্তা ও কৌশলবিষয়ক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ন্যাটস্ট্র্যাট–এর আহ্বায়ক। ভারতভিত্তিক চিন্তন-গোষ্ঠী বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত তাঁর লেখাটি বাংলা ইনসাইডারের পাঠকদের আগ্রহের কথা বিবেচনা করে প্রকাশ করা হলো।
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেমনটি ধারণা করা হচ্ছিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি পঞ্চম মেয়াদে ক্ষমতা ধরে রাখলেন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রথম মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরে ২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত টানা তিন মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সুষ্ঠু হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। এ নির্বাচন ঘিরে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানিয়েছিল। তবে তাদের সে দাবি মেনে নেওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত নির্বাচন বর্জনের পথে হাঁটে দলটি। তবে সরকার নিজেদের দিক থেকে সংবিধান মেনে চলার সিদ্ধান্ত নেয় এবং নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যায়। নির্বাচনপ্রক্রিয়া যেন নাশকতা বা রাজপথে কোনো ধরনের সহিংসতার জেরে বাধাগ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপও নেওয়া হয়।
৭ জানুয়ারির নির্বাচন ত্রুটিমুক্ত ছিল না। বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ নিলে, মানুষ নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেওয়ার সুযোগ পেত। আর সেটা তাদের অধিকার। বিএনপির নির্বাচন বর্জনটা ছিল দুর্ভাগ্যজনক এবং গণতান্ত্রিক রীতির যে চেতনা, তার পরিপন্থী। কারণ, কোনো দেশে রাজনৈতিক বিরোধী থাকার অর্থ হলো, সরকারকে চ্যালেঞ্জ করা এবং ভোটারদের সামনে বিকল্প পথ তুলে ধরা। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ না নিলে রাজনৈতিক দলগুলো টিকে থাকতে পারে না। বিএনপি মনে হচ্ছে পথ হারিয়েছে এবং দলটি কী লক্ষ্য অর্জন করতে চায়, তা-ও স্পষ্ট নয়।
এমন পরিস্থিতিতে যে প্রশ্নটি সামনে আসছে, তা হলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা এবং দেশের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত একটি সরকারকাঠামো। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে চীন ও রাশিয়ার কথা। তারা যে গণতন্ত্রের দাবি করে, তা পশ্চিমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। ইরানের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ইতিহাস রয়েছে। তবে ইরানের শাহের সঙ্গে কাজ করে পশ্চিমারা যে স্বাচ্ছন্দ্য পেত, তা হারানোর অসন্তোষ তাদের এখনো আছে। ইরানে বর্তমানের নির্বাচনী ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যে ফলাফল আসছে, তা-ও পশ্চিমাদের পছন্দ নয়।
মিসরে একমাত্র অবাধ ও সুষ্ঠু যে নির্বাচন হয়েছিল, তাতে মুসলিম ব্রাদারহুড জয় পেয়েছিল। তবে পশ্চিমাদের যোগসাজশে সেই দেশে দ্রুতই গণতন্ত্রকে দমন করা হয়। তখন থেকেই মিসর সামরিক একনায়কতন্ত্রের দিকে ফিরে গেছে, যারা পশ্চিমাদের প্রতি বন্ধুত্বসুলভ। বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের ‘গণতন্ত্রের’ উদাহরণ রয়েছে।
একটি দেশের জন্য কোন ধরনের সরকারকাঠামো সবচেয়ে উপযুক্ত হবে, সেই প্রশ্নের সবচেয়ে ভালো জবাবটা দিতে পারে ওই দেশের জনগণ। সাধারণত, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নানা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এটা নির্ধারিত হয়। প্রতিটি দেশের ভেতরেই বিপ্লব সংঘটিত হয় এবং পরিবর্তন আসে। এর মধ্য দিয়ে নির্ধারিত হয় দেশটি কীভাবে শাসিত হবে এবং ক্ষমতার হাতবদল কোন প্রক্রিয়ায় হবে। কোনো কোনো দেশ অন্যদের অনুকরণ করে। আর কোনো কোনো দেশ ভেতর থেকেই নিজেদের সরকারকাঠামোটা খুঁজে নেওয়ার পথে হাঁটে।
বিতর্ক এখন শেষ। নতুন একটি সরকার ও মন্ত্রিসভা বাংলাদেশে শপথ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের এখন কাজে ফেরার এবং গত এক বছর বা তার বেশি সময় ধরে যে অনিশ্চয়তা চলছিল, তা পেরিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময়। নতুন সরকারের সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেগুলো সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী ভালোভাবে অবগত আছেন। এসব চ্যালেঞ্জ দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে। বাংলাদেশকে এমন একটি প্রবৃদ্ধির হার বজায় রাখতে হবে, যেটি দেশের মানুষের আয় বাড়াবে, কাজের সুযোগ তৈরি করবে এবং ১৭ কোটি মানুষের ক্রমবর্ধমান আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারবে। এসব লক্ষ্য পূরণে সুষ্ঠু ও বিচক্ষণ শাসনব্যবস্থার প্রয়োজন রয়েছে। সামাজিক দিক থেকে একটি জাতীয় পরিচয় গড়ে তোলার কাজ চলমান। বাংলাদেশে সম্পূর্ণ নতুন একটি প্রজন্ম বসবাস করছে। যেভাবে তাদের মনমানসিকতা গড়ে উঠছে এবং যেভাবে তারা নিজেদের দেখছে, সেটা নীরবে তাদের ভবিষ্যতের ভিত গড়ে দিচ্ছে।
বাংলাদেশ বিভিন্ন সময় অভ্যুত্থান, সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতার মধ্য দিয়ে গেছে। জাতিকে রাজনৈতিকভাবে পরিপক্বতার দিকে নিয়ে যেতে একটি শক্ত হাতের প্রয়োজন। একটি শক্ত হাতের প্রয়োজন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে। এটা কোনো সহজসাধ্য কাজ নয়। এমনকি সবচেয়ে উন্নত দেশগুলোর জন্যও এই কাজ যে কঠিন, তা অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে।
উন্নয়নের একটি মূল পূর্বশর্ত নিরাপত্তা ও আইনের শাসন। সমাজ থেকে সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা ও মৌলবাদ নির্মূলে সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি যেসব বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন, তার মধ্যে একটি হলো, ধর্মের প্রতি মানুষের একটি মধ্যপন্থী দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করা এবং মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার আধুনিকায়ন। এ ক্ষেত্রে এখনো অনেক কিছু করা বাকি আছে এবং এটা তাঁর নজরে থাকবে বলেই মনে হয়। আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের পরিণতি সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল। মডেল হিসেবে সৌদি আরব বা তুরস্কের চেয়ে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার দিকে তাঁর নজর বেশি। দেশের জনগণের কাছে আওয়ামী লীগ যে বার্তা দেবে এবং জনগণের কাছে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে, সে অনুযায়ী দলটিকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগীদের জন্যও এটি প্রযোজ্য।
বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলে বদল আসছে। এই দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগ ছাড়াও বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল রয়েছে।
ইসলামী বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ কীভাবে নিজেকে সংজ্ঞায়িত করবে, ভারতের ক্ষেত্রে কীভাবে নিজেদের তুলে ধরবে, সে ব্যাপারে তারা যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটি হবে মৌলিক। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষেত্রেও সেটিই প্রযোজ্য।
এভাবেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কটা বাংলাদেশের
পররাষ্ট্রনীতির পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নীতির ওপরও নির্ভরশীল। বাংলাদেশ যদি তার আশপাশের
ভারতীয় রাজ্যগুলোয় ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো নিবিড়ভাবে অনুসরণ করে, তাহলে ভারতও বাংলাদেশের
ঘটনাবলি অনুসরণ করবে। এটি এমন একটি বাস্তবতা, যা সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দুই দেশই
মেনে নিয়েছে। এটি নেতিবাচক কোনো বিষয় নয়; বরং সীমান্তের দুই পাশের মানুষের উন্নয়নের
জন্য একটি সুযোগ হিসেবে দেখা যেতে পারে।
আগামী পাঁচ বছরে দুই দেশেই বর্তমান নেতৃত্ব
ক্ষমতায় থাকবে বলে মনে হচ্ছে। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে চলমান উদ্যোগ ও প্রকল্পগুলো শেষ
করার একটি ভালো সুযোগ পাওয়া যাবে। একই সঙ্গে দুই দেশের আরও বড় পরিসরে একসঙ্গে কাজ করার
আকাঙ্ক্ষা বাড়াবে। এই সম্পর্কে, আর দশটা সম্পর্কের মতোই সব সময় মতভেদ, অমীমাংসিত সমস্যা
এবং প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার মতো বিষয়গুলো থাকবে। ভারতের উচিত হবে, বাংলাদেশের সমাজের
সব অংশের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর চেষ্টা করা। একই সঙ্গে নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয়ে
দেশটির সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক জোরদার করা।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক কোনো সামরিক
হুমকি নেই। তবে আরও জটিল কিছু বিষয় রয়েছে, যেগুলো হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অভ্যন্তরীণ
কিছু বিষয় রয়েছে, যা দুই দেশের ওপরেই প্রভাব ফেলতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে পরিচিত কিছু
সমস্যা, যেমন সংখ্যালঘুদের প্রতি মনোভাব, অবৈধ অভিবাসন, সন্ত্রাসবাদ ও বিদ্রোহ।
দুই দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক টেকসইভাবে এগিয়ে নিতে ভারতকে বড় বিনিয়োগ করতে হবে, একই সঙ্গে বাংলাদেশকে ইতিবাচকভাবে কাজ করতে হবে। সরবরাহব্যবস্থা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বহুমুখী করতে হবে, যাতে বাংলাদেশের আয় ও কর্মসংস্থান বাড়ানোর যে লক্ষ্য, তা অর্জনে ভারত সক্রিয় অংশীদার হতে পারে এবং বাংলাদেশ ভারতে রপ্তানি বাড়াতে পারে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও মূল্যস্ফীতির কারণে
বাংলাদেশ হয়তো চাপের মুখে পড়তে যাচ্ছে। এ বিষয়ে ভূমিকা পালনের জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান
জানানো হতে পারে। বাংলাদেশকে সহায়তা করার একমাত্র উপায় হবে রুপিতে দুই দেশের মধ্যে
বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ানো। জ্বালানি, টেলিযোগাযোগ, সাগর, নদী, আকাশ ও রেল খাতে যোগাযোগ
আরও বাড়ানো যেতে পারে। দুই দেশের সীমান্তবর্তী অবকাঠামোর উন্নয়ন অব্যাহত রাখা এবং ভ্রমণ
সহজসাধ্য করাটাও জরুরি।
২০২৬ সালে গঙ্গার পানি চুক্তির মেয়াদ শেষ
হচ্ছে। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে পানিবণ্টনের বিষয়টি আবার সামনে আসবে। দুই দেশের অভিন্ন
নদীগুলোর পানি বণ্টন করেই শুধু সমাধান পাওয়া যাবে না। নদীগুলোর পানির ঘাটতিও ভাগ করে
নিতে হবে। যে ব্রহ্মপুত্র নদ দিয়ে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পানি আসে, সেটির উৎপত্তিস্থল
চীনে। তাই বন্যার মৌসুমসহ অন্যান্য সময়ে এই নদের পানির প্রবাহ এবং পানি ব্যবস্থাপনার
জন্য চীনের সহায়তা প্রয়োজন। জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দুই দেশের বড় চ্যালেঞ্জ
হয়ে দাঁড়াতে যাচ্ছে। তাই দুই দেশেরই সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নীতি হলো—সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নীতি কাজে লাগাচ্ছেন। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শীতল সম্পর্ক এবং এর বিপরীতে চীনের দিকে গভীরভাবে ঝুঁকে যাওয়ার কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা এই নীতি অনুযায়ী পাওয়া যায় না। তবে সরকারের নতুন মেয়াদ বাংলাদেশকে এসব সম্পর্ক পুনরায় সাজিয়ে নেওয়ার একটি সুযোগ করে দেবে। এর জন্য দেশটিতে চীনের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে এবং পশ্চিমাদের সঙ্গে দূরত্ব কমাতে হবে। পশ্চিমা দেশগুলোই বাংলাদেশের রপ্তানির সবচেয়ে বড় বাজার। সেখান থেকেই বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় আসে। আর বিশ্বব্যবস্থার সঙ্গে একীভূত হওয়ার সবচেয়ে বড় সুযোগটা আসবে এই পশ্চিমাদের হাত ধরেই। উন্নয়নের অংশীদার করার আড়ালে চীন বাংলাদেশকে ব্যবহার করতে চাইছে। ভারতকে কৌশলগতভাবে চাপে রাখার বেইজিংয়ের যে প্রচেষ্টা, তার একটি অংশ করতে চাইছে বাংলাদেশকে। ভারত এমনটা হতে দেবে না। আর বাংলাদেশ যে এভাবে নিজেকে ব্যবহার হতে দেবে, তা যৌক্তিকও নয়।
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের বিষয়েও
ভালো আভাস পাওয়া যাচ্ছে না। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ নানা সমস্যার কারণে দেশটির সঙ্গে
এ নিয়ে বাংলাদেশের সংলাপ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি এবং সংখ্যার দিক দিয়ে
তাদের বাড়তে থাকা বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একসময় এটা ভারতের জন্যও
একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে। ভারতে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকানো ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে
সীমান্ত ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষকে পরীক্ষার মুখে ফেলবে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কোনো ইচ্ছা নেই ভারতের। সাফ কথা হলো, বাংলাদেশে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তাদের সঙ্গে কাজ করা ছাড়া ভারতের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই। আর ভারত তা করবেও। তবে শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার মধ্য দিয়ে ভারত ঢাকায় এমন একজনকে পেয়েছে, যিনি এই অঞ্চলে একটি অংশীদারত্বের ভবিষ্যতে বিশ্বাস করেন। এই সুযোগ ভারতের কাজে লাগাতে হবে। একই সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ অটুট সম্পর্কের পারস্পরিক সুবিধার প্রতি শেখ হাসিনার যে বিশ্বাস, তার প্রতিদান দিতে হবে।
মন্তব্য করুন
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান। তাদের শোকে পাথর হয়ে গেছে ইরানিরা। দুর্ঘটনার খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে কান্নার রোল পড়ে যায় ইরানের বাড়িতে বাড়িতে, গলি-মহল্লায়। শোক জানাতে রাতেই পথে বসে যান হাজার হাজার মানুষ। মসজিদে মসজিদে চলে রাতভর প্রার্থনা।
তার বেঁচে ফেরার আশায় নারী-পুরুষ নির্বিশেষ মসজিদে প্রার্থনায় বসে যান গোটা দেশবাসী। কেউ কেউ তসবি পাঠ এবং কোরআন তেলাওয়াত করেন সারা রাত। ইরানিরা বলছেন, তাদের আবেগ আর অনুভূতির আরেক নাম প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।
এর আগে ইরানের প্রেসিডেন্টের জন্য দেশবাসীকে দোয়া করতে বলেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তারপরই যে যেখানে পেরেছেন প্রার্থনায় বসে যান। কিন্তু বিশেষ অভিযানের পর জানানো হয়, দুর্ঘটনা কবলিত এলাকায় কোনো প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে হেলিকপ্টার। তবে মরদেহ পাওয়া গেছে কিনা তা নিয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি।
দুর্ঘটনার ঠিক কিছুটা আগ মুহূর্তের একটি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়- হেঁটে স্বাভাবিক ভাবেই হেলিকপ্টারে উঠেছেন। ভেতরে বসে দেখেছেন কোন এলাকায় দুর্যোগে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর অল্প কিছুক্ষণ পরই খবর ছড়ায় তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসি আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে কিজ কালাসি এবং খোদাফারিন বাঁধ দুটি উদ্বোধন করেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি ইরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। এরপরই দুর্ঘটনার খবর আসে।
রাইসি প্রার্থনা শোক পাথর ইরানি
মন্তব্য করুন
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মিলেছে দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর। তবে প্রেসিডেন্ট রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতি কেউই আর বেঁচে নেই।
সোমবার (২০ মে) বিবিসি, রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে প্রশ্ন উঠেছে তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটির কী হয়েছিল। কেনই বা হঠাৎ এমন দুর্ঘটনা। আলোচনায় এসেছে হেলিকপ্টারটির নির্মাণকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্রও।
রাইসি যে হেলিকপ্টারটিতে যাত্রা করেছিলেন সেটির মডেল ছিল বেল ২১২, যা যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি। ইরানের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে দুর্ঘটনায় হেলিকপ্টারটি ‘সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে’।
সোমবার (২০ মে) আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রকাশিত বিভিন্ন ছবি এবং ভিডিওগুলো থেকে বোঝা যাচ্ছে, ইব্রাহিম রাইসি এবং তার সঙ্গীদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি বেল ২১২ মডেলেল ছিল যা যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই হেলিকপ্টারটি মাঝারি আকারের যেখানে ১৫টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে পাইলটের জন্য একটি আসন এবং যাত্রীদের জন্য বাকি ১৪টি।
মন্তব্য করুন
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বাংসাবশেষের সন্ধান মিলেছে দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর। তবে প্রেসিডেন্ট রইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতি কেউই আর বেঁচে নেই।
সোমবার (২০ মে) বিবিসি, রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে, রোববার (১৯ মে) দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি। হেলিকপ্টারে রাইসি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন।
এ ঘটনার পর থেকে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে। উদ্ধারকাজে ইরানের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ। এ ছাড়া বিশ্বনেতারা ইরানের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন।
ইরান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি
মন্তব্য করুন
কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু সহিংসতা-পরবর্তী থমথমে পরিস্থিতিতে শঙ্কা কাটেনি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। এখন শিক্ষার্থীদের প্রায় সবাই দেশে ফিরতে চাচ্ছেন। ওই এলাকার নিরাপত্তায় প্রায় ২-৩ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশিদের হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
কিরগিজস্তানের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি ডা. জেরিত ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, ‘বর্তমানে কিরগিজস্তানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। শিক্ষকরাও স্থানীয়দের বোঝানোর চেষ্টা করছেন, তাদের শান্ত রাখার চেষ্টা করছেন। আমরা শিক্ষার্থীদের হোস্টেল থেকে বের হতে দিচ্ছি না। তবে আনুষঙ্গিক কেনাকাটার জন্য তাদের বাইরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। পরিস্থিতি এখন অনেকটাই শান্ত।
কিরগিজস্তানের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বর্তমানে প্রায় ১ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন, যাদের সবাই মেডিকেল শিক্ষার্থী। ডা. জেরিত বলেন, ‘এখানে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলকভাবে হোস্টেলে থাকতে হয়। তৃতীয় বর্ষে ওঠার পর কেউ চাইলে বাইরে চলে যেতে পারেন। ফলে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বর্তমানে তাদের হোস্টেলে অবস্থান করছেন। অন্যরা বাইরের বিভিন্ন অ্যাপার্টমেন্টে থাকছেন।’
হামলার ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘হোস্টেলে মিসরীয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সমস্যা হয়। পরে মিসরীয় শিক্ষার্থীরা স্থানীয়দের মারধর করেন। ঘটনাটি তিন-চার দিন আগের। এরপর সবকিছু স্বাভাবিকভাবেই চলছিল। কিন্তু পরে সেই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।’
কিরগিজস্তানে স্থানীয়দের সহিংসতায় এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর গুরুতর আহত বা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া তাসখন্দে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে শিগগিরই কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেক সফর করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, আমরা উজবেকিস্তানে আমাদের দূতাবাসের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। দূতাবাস কিরগিজস্তানের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও কিরগিজ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগ রাখছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো গুরুতর আহত বা প্রাণহানির খবর নেই। দূতাবাস এরই মধ্যে তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি জরুরি যোগাযোগ নম্বর শেয়ার করেছে, যাতে এ বিষয়ে যে কোনো সমস্যার জন্য তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তাসখন্দে নিযুক্ত আমাদের রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সুস্থতা সম্পর্কে জানতে শিগগিরই বিশকেক সফর করতে বলা হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গত ১৩ মে কিরগিজ ও মিসরের ছাত্রদের মধ্যে মারামারির একটি ভিডিও ভাইরাল হলে স্থানীয় জনতা বিদেশি ছাত্রদের বিরুদ্ধে সহিংস হয়ে ওঠে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, সংঘবদ্ধ জনতা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বিদেশি ছাত্রদের পেটাচ্ছে। ওই সংঘাতের কারণে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সেখানকার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। দেশটিতে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই। উজবেকিস্তানের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে কিরগিজস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সে দেশের সরকারকে উদ্বেগ জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে নিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টারটির খোঁজ পাওয়া গেছে। তুরস্কের আকিনসি ড্রোন দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টারটির অবস্থান শনাক্ত করেছে। উদ্ধারকারী দল ওই স্থান থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে রয়েছেন। সোমবার (২০ মে) এমন তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
তবে হেলিকপ্টারে থাকা প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সফরসঙ্গীরা বেঁচে আছেন কিনা, সে বিষয়ে এখনো গণমাধ্যমকে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।
এর আগেত রোববার (১৯ মে) দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি। হেলিকপ্টারে রাইসি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন।
এ ঘটনার পর থেকে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে। উদ্ধারকাজে ইরানের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ।
সোমবার (২০ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর রাশিয়া, আজারবাইজান, আর্মেনিয়া এবং ইরাক উদ্ধারকাজে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ঘটনার বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস দুর্ঘটনার খোঁজ নিচ্ছেন।
মন্তব্য করুন
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান। তাদের শোকে পাথর হয়ে গেছে ইরানিরা। দুর্ঘটনার খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে কান্নার রোল পড়ে যায় ইরানের বাড়িতে বাড়িতে, গলি-মহল্লায়। শোক জানাতে রাতেই পথে বসে যান হাজার হাজার মানুষ। মসজিদে মসজিদে চলে রাতভর প্রার্থনা।
কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু সহিংসতা-পরবর্তী থমথমে পরিস্থিতিতে শঙ্কা কাটেনি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। এখন শিক্ষার্থীদের প্রায় সবাই দেশে ফিরতে চাচ্ছেন। ওই এলাকার নিরাপত্তায় প্রায় ২-৩ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশিদের হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।