পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিকে নিয়ে রহস্যের শেষ নেই। আসলে কি আছে ইমরানপত্নী বুশরা বিবির মধ্যে? এর নিয়েই রহস্য।
পাকিস্তানের জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক থেকে রাজনীতিক ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিকে নিয়ে গুঞ্জন রয়েছে- তেরো শতকে নির্মিত একটি সুফি দরগায় ইমরানের সঙ্গে পাঁচ সন্তানের জননী বুশরার প্রথম সাক্ষাৎ হয়। তখন বুশরা প্রথম স্বামীর সংসার করছিলেন। এরপর থেকে বিশ্বজুড়ে বুশরাকে নিয়ে আগ্রহ দেখা গেছে। অনেকেই বুশরা বিবি নামটি গুগলে অনুসন্ধান করছেন। জানতে চাইছেন ‘রহস্যময়’ এই নারী সম্পর্কে।
সাবেক সরকারি কর্মকর্তা স্বামী খাওয়ার মানেকার উপাধি যুক্ত ছিল বুশরার নামের শেষে। ইমরানকে বিয়ে করে বুশরা বিবি নামে পরিচিত হন তিনি। অনেকেই বলেন, বুশরা সুফি সাধনার সঙ্গে যুক্ত। তবে আরেক দল এ মতবাদ মানতে নারাজ। যদিও ইমরান জানিয়েছেন, সুফিবাদে আত্ম-অনুসন্ধানের প্রতি তার তিন দশকের বেশি সময় ধরে আগ্রহ রয়েছে।
বুশরার আগে ইমরানের জীবনে ছিলেন দুজন স্ত্রী। প্রথমজন ব্রিটিশ সমাজকর্মী জেমিমা গোল্ডস্মিথ। এরপর পাকিস্তানি সাংবাদিক রেহাম খান। দুজনই গ্ল্যামারাস। বিভিন্ন সময় সাময়িকীর প্রচ্ছদে ও টেলিভিশনের পর্দায় দেখা গেছে জেমিমা আর রেহামকে। এর ঠিক উল্টো বুশরা।
২০১৮ সালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গর্ব করে ইমরান বলেছিলেন, বিয়ের আগে তিনি বুশরার মুখও দেখেননি। গত শতকের আশির দশকে যদি ইমরান এ কথা বলতেন, তাহলে তা বিশ্বাস করা কষ্টকর ছিল। কেননা দীর্ঘদিন ধরে প্লেবয়ের ভাবমূর্তি ছিল সাবেক এই তারকা ক্রিকেটারের। ওই সময় লন্ডনের নাইট ক্লাবগুলোয় অবাধ যাতায়াত ছিল ইমরানের। এখন তিনিও নিজের ভাবমূর্তি বদলেছেন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, গত বুধবার পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের সঙ্গে তার স্ত্রী বুশরা বিবিও সাজা পেয়েছেন। তোশাখানা দুর্নীতির এক মামলার তাদের ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। তাদের প্রত্যেককে ২০ লাখ ডলারের বেশি জরিমানা করা হয়েছে।
জেমিমা ও রেহাম—দুজনকেই ধুমধামের সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন ইমরান। সেই তুলনায় ২০১৮ সালে বুশরার সঙ্গে তার বিয়ে ছিল সাদাসিধে ঘরোয়াভাবে।
ইমরান-জেমিমার বিয়ে হয়েছিল ১৯৯৫ সালে। তখন ইমরানের বয়স ৪৩ বছর। জেমিমার ২১ বছর। ওই সময়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ একজন ধনীর মেয়ে জেমিমা। ইমরান-জেমিমার বিয়ে টিকেছিল ৯ বছর। তাদের সংসারে দুই ছেলে।
দুই দশক পেরিয়ে ২০১৫ সালে সাংবাদিক ও বিবিসির আবহাওয়া-বিষয়ক সাবেক উপস্থাপক রেহাম খানকে বিয়ে করেন ইমরান; কিন্তু এক বছরেরও কম সময় টিকে তাদের সংসার। রেহাম অভিযোগ করেন, ইমরানের সমর্থকরা তার উদ্দেশ্যে তির্যক মন্তব্য করেছেন। রেহাম সেসব তার আত্মজীবনীতেও লিখেছেন।
বলা হয়ে থাকে, বুশরার পরামর্শ নিতে ওই দরগায় গিয়েছিলেন ইমরান। এরপর ইমরান ও বুশরা বিয়ে করেন। তারও মাসছয়েক পর ইমরান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন। সমালোচকরা বলে থাকেন- প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নপূরণে বুশরাকে বিয়ে করেছিলেন ইমরান।
বুশরার বয়স এখন ৪০-এর কোঠায়। ২০১৮ সালের অক্টোবরে টেলিভিশনে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন বুশরা। এরপর আর কখনোই তাকে সংবাদমাধ্যমের সামনে দেখা যায়নি। ওই সাক্ষাৎকারে এসব গুঞ্জন-সমালোচনাকে ‘আবর্জনা’ বলে খারিজ করে দিয়েছিলেন তিনি।
ওই সাক্ষাৎকারে বুশরা বলেছিলেন, ইমরানের নেতৃত্বে পাকিস্তানের দ্রুত উন্নতি হবে বলে নিশ্চয়তা দিচ্ছেন তিনি; কিন্তু বাস্তবে তেমনটা হয়নি। ইমরানের আমলে পাকিস্তানের অর্থনীতি বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে। জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। রাজনৈতিক বিরোধীদের অনেককে কারাগারে ঢোকানো হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সংকুচিত করা হয়েছে। ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন আর সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা বেড়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ইমরানকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ঘনিষ্ঠ ধরা হতো। বলা হয়, সেনাবাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় ক্ষমতায় বসেছিলেন ইমরান। যদিও চার বছর ক্ষমতায় থাকলেও ইমরানের রাজনৈতিক উত্থানের পেছনের শক্তি অজানা রয়ে গেছে। ২০২২ সালে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেন ইমরান। এরপর গ্রেফতার হতে হয়। একের পর এক মামলায় জড়ায় তার নাম। কারাগারেই ছিলেন। এখন সাজা পেয়েছেন ইমরান।
শুধু ইমরান নন, তার সঙ্গে বুশরার ১৪ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ক্ষমতায় থাকাকালে পাওয়া রাষ্ট্রীয় উপহার থেকে বেআইনিভাবে লাভ করেছেন ইমরান-বুশরা দম্পতি। যদিও বাড়িতেই থাকবেন বুশরা। বুশরার বাড়িকে সাব-কারাগার ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া আরও আইনি লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হচ্ছে বুশরাকে। ইমরানের সঙ্গে বিয়ে নিয়ে মামলা করেছেন বুশরার সাবেক স্বামী খাওয়ার মানেকা। ইমরান-বুশরার বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক বিয়ে ও ব্যভিচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
খাওয়ার মানেকার অভিযোগ, তিনি ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর বুশরাকে তালাক দেন। ইদ্দতকাল (অপেক্ষার সময়কাল) শেষ হওয়ার আগেই ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি বিয়ে করেন ইমরান ও বুশরা। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তারা আবার বিয়ে করেন। মুসলিম আইনে এটা রীতিসিদ্ধ নয়। এই আইনি লড়াই এখনো চলছে।
পাকিস্তান ইমরান খান বুশরা বিবি
মন্তব্য করুন
এবার অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) দেশটির সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইউনিভার্সিটি অব সিডনি) তাবু স্থাপন করে অবস্থান নেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। সেসময় তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
এদিনের আন্দোলন থেকে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কযুক্ত সংস্থাগুলো থেকে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিচ্ছিন্ন করার দাবি তোলেন। বিক্ষোভকারীরা অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও তার সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের দাবি, অস্ট্রেলিয়ান সরকার গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যথেষ্ট কাজ করেনি।
ব্রিটিশি বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মেলবোর্ন, ক্যানবেরাসহ অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও একই ধরনের শিবির গড়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলো থেকে পুলিশ ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীদের জোর করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও, অস্ট্রেলিয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।
বিক্ষোভের জায়গাগুলোতে স্বল্পসংখ্যক পুলিশের শান্তিপূর্ণ উপস্থিতিতে ছিল। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে বেশ কয়েকটি পুলিশের গাড়ি পার্ক করা থাকলেও বিক্ষোভে কোনো পুলিশ উপস্থিত ছিল না।
এদিকে, এই বিক্ষোভের কারণে অনিরাপদ বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অধ্যয়নরত ইহুদী শিক্ষার্থীরা। তাদের মতে এ ধরনের আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে করা উচিত।
ইউনিভার্সিটি অব সিডনির উপাচার্য মার্ক স্কট বলেছেন, ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাস আংশিকভাবে অবস্থান করতে পারে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কোনো সহিংসতা দেখা যায়নি।
কয়েক দফা দাবি নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীরা। অস্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে ক্যাম্পাস চত্বরেই তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি ও মিশরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে মিত্র দেশগুলো থেকে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা।
অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভ ফিলিস্তিন
মন্তব্য করুন
গত ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ হাজার ২০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।
এপির হিসেব অনুযায়ী, ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মোট ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৬ বার অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেসব অভিযান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের।
সর্বশেষ স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেসে (ইউসিএলএ) অভিযান চালিয়ে ২০০ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্লাইউড, মেটাল ফেন্স, প্ল্যাকার্ড দিয়ে তৈরি করা ব্যারিকেড এবং ক্যাম্পাস চত্বরের অস্থায়ী তাঁবুগুলো তছনছ করে দিয়েছে পুলিশ। এসব তাঁবুতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রাতে ঘুমাতেন।
ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে গত মার্চের শেষ দিক থেকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ। পরে সেই আন্দোলন দেশটির অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে সেই আন্দোলন চলার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ১৮ এপ্রিল রাতে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এ অভিযানে ১০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ এবং তাদের তাঁবু-ব্যারিকেডও তছনছ করে দিয়েছিল পুলিশ।
কিন্তু পরের দিন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ফের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। মার্কিন এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালিয়েছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ-আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার সদস্যরা মার্কিন শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে 'ইহুদিবিদ্বেষী' আন্দোলন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তবে আন্দোলনের সংগঠকদের (যাদের মধ্যে ইহুধি ধর্মাবলম্বীরাও রয়েছেন) দাবি, তারা কেবল ফিলিস্তিনিদের অধিকার ও গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছেন।
যুক্তরাষ্ট্র বিক্ষোভ গ্রেপ্তার শিক্ষার্থী ইউসিএলএ
মন্তব্য করুন
মুক্ত গণমাধ্যম বাংলাদেশ পাকিস্তান
মন্তব্য করুন
চলন্ত ট্রেনে অপ্রত্যাশিত এক ঘটনার সাক্ষী হলেন যাত্রীরা। স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে পালালেন স্বামী। গত ২৯ এপ্রিল ভারতের জাহাংসি জংশনে এ ঘটনা ঘটে।
২৮ বছর বয়সি মোহাম্মাদ আরশাদ তার ২৬ বছর বয়সি স্ত্রী আফসানাকে নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ করার সময় তালাকের এ ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির।
পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার আরশাদের চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি বিয়ে হয়েছিল আফসানার সঙ্গে। বিয়ের পর দুজনে ভোপালে থাকতেন। এক সপ্তাহ আগে কানপুরের পুখরায়ানে যান দুজনে। সেখানে আরশাদের পৈতৃক বাড়ি। কিন্তু সেখানে গিয়েই চমকে যান আফসানা। জানতে পারেন আরশাদের আরও এক স্ত্রী রয়েছে। এর প্রতিবাদ করলে আরশাদ ও তার মা আফসানার কাছে যৌতুকের দাবি করতে থাকে।
অভিযোগ, মারধরও করা হয় আফসানাকে। এরপর স্ত্রী আফসানাকে নিয়ে ভোপালে ফিরছিলেন আরশাদ। ঝাঁসি স্টেশনে ট্রেন ঢোকার মুখে স্ত্রীকে তিন তালাক দেন আরশাদ। এরপরই ট্রেন থেকে নেমে যান।
এ ছাড়া স্ত্রীকে চলন্ত ট্রেনে মারধরও করেছিলেন আরশাদ। ট্রেন ঝাঁসিতে থামতেই জিআরপিকে সমস্ত ঘটনা জানান আফসানা। এরপরই আফসানাকে ফেরত পাঠানো হয় আরশাদের পৈতৃক বাড়িতে। ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। আরশাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
গোটা ঘটনার কথা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও জানিয়েছেন আফসানা। স্বামীর কড়া শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।
পুলিশের সার্কেল অফিসার জানিয়েছেন, আফসানার অভিযোগের ভিত্তিতে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলা থেকে রেহাই পাইনি তার বাবা-মাও।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র। এই বিক্ষোভ চলাকালে এক অধ্যাপককে গ্রেফতার করার সময় তার পাঁজরের ৯টি হাড় ও একটি হাত ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। ভুক্তভোগী শিক্ষক এক বিবৃতিতে এ কথা জানান।
মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইসে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষক স্টিভ তামারি সাউদার্ন ইলিনয়েস ইউনিভার্সিটি এডওয়ার্ডসভিলের ইতিহাসের অধ্যাপক। মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ তিনি।
এ ঘটনায় ধারণ করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, শনিবার ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্টিভ তামারি দৃশ্যত বিক্ষোভকারীদের ছবি তোলার বা ভিডিও ধারণের চেষ্টা করছিলেন। এ সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য বেপরোয়াভাবে গ্রেফতার করে নিয়ে যান তাকে।
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, গ্রেফতার হওয়ার সময় অধ্যাপক তামারি মাটিতে পড়ে গেলে পুলিশের এক সদস্য তাকে হাঁটু দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। পরে দুই হাত পিছমোড়া করে হাতকড়া পরানো হয়। এরপর কয়েকজন পুলিশ তার নিস্তেজ হয়ে পড়া শরীর টেনেহিঁচড়ে একটি ভ্যানের দিকে নিয়ে যায় ও মাটিতে উপুড় করে ছুড়ে ফেলে।
যুক্তরাষ্ট্র বিক্ষোভ অধ্যাপক পুলিশ
মন্তব্য করুন
গত ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ হাজার ২০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। এপির হিসেব অনুযায়ী, ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মোট ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৬ বার অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেসব অভিযান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের।
ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র। এই বিক্ষোভ চলাকালে এক অধ্যাপককে গ্রেফতার করার সময় তার পাঁজরের ৯টি হাড় ও একটি হাত ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। ভুক্তভোগী শিক্ষক এক বিবৃতিতে এ কথা জানান। মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইসে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষক স্টিভ তামারি সাউদার্ন ইলিনয়েস ইউনিভার্সিটি এডওয়ার্ডসভিলের ইতিহাসের অধ্যাপক। মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ তিনি।