প্রাণ বাঁচাতে পালাচ্ছে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী।
মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর উপর্যুপরি হামলায় তারা বর্তমানে দিশেহারা। মিয়ানমার
সামরিক বাহিনীর আরও দুটি হেডকোয়ার্টার দখলে নেওয়ার দাবি করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান
আর্মি। বিদ্রোহীদের হামলায় গতকালও কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং উলুবনিয়া সীমান্ত
দিয়ে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ৬৪ সদস্য পালিয়ে এসেছে বাংলাদেশে।
সব মিলিয়ে গত কয়েকদিনে ৩২৮ বিজিপি সদস্য প্রাণ
বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের অনেকেই আহত। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিবি
পালিয়ে আসাদের নিরস্ত্র করে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এদিকে গতকাল সকালেও বান্দরবানের
নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সংলগ্ন বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে থেমে থেমে
গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। যদিও গত কয়েকদিনের চেয়ে এবার গুলির শব্দ কিছুটা কমেছে।
এদিকে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও সরকারি
বাহিনীর এ যুদ্ধে ওপার থেকে ছুটে আসা গুলিতে বাংলাদেশে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছে
অনেকে। পুড়ে গেছে ঘরবাড়ি, দোকানপাট। আতঙ্কে জনশূন্য হয়ে গেছে সীমান্ত এলাকা। ঘুমধুম-তুমব্রুর
অন্তত ৫ হাজার মানুষ এখন ঘরছাড়া। তারা অন্যত্র আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।
সামরিক বাহিনীর হেডকোয়ার্টার দখল : গত কয়েকদিনের
যুদ্ধে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন ঘাঁটি ও প্রহরাচৌকি দখলে নিয়েছে দেশটির বিদ্রোহী
গ্রুপ আরাকান আর্মি। সোম ও মঙ্গলবার সামরিক বাহিনীর আরও দুটি বড় হেডকোয়ার্টার আরাকান
আর্মি দখল করে নিয়েছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী। এ দুটি হেডকোয়ার্টার
হলো রাখাইন রাজ্যের মরাউক ইউ ও কাউকতোয়া টাউন এলাকায়। আরাকান আর্মি বলেছে, তারা মরাউক
ইউ অঞ্চলে কয়েক দিন তীব্র যুদ্ধের পর সোমবার সকালে দখল করে নিয়েছে লাইট ইনফ্যান্ট্রি
ব্যাটালিয়ন (এলআইবি) ৩৭৮ হেডকোয়ার্টার। মঙ্গলবার দখল করেছে পাশের এলআইবি ৫৪০ হেডকোয়ার্টার।
পাশাপাশি হামলা চালিয়েছে এলআইবি ৩৭৭ ঘাঁটিতে। এ তিনটি ব্যাটালিয়ন মরাউক ইউ আর্কিওলজিক্যাল
মিউজিয়ামে গোলা নিক্ষেপ করছিল। এটি হলো মরাউক ইউ কিংডমের ঐতিহাসিক রাজধানী। এ ছাড়া
২ ফেব্রুয়ারি কাউকতোয়া টাউনশিপের এলআইবি ৩৭৬ হেডকোয়ার্টার দখল করে আরাকান আর্মি। হামলা
চালায় মিনবিয়া, কাউকতোয়া ও মরাউক ইউ টাউনে।
নতুন করে পালিয়ে এসেছে বিজিপির ৬৪ সদস্য
: মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত সীমান্তের কাছাকাছি গোলাগুলির শব্দ অনেকটা
কমেছে। এতে সীমান্তবাসীর মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দেখা গেছে। এ পরিস্থিতিতেও গতকাল সীমান্ত
দিয়ে বিজিপির আরও ৬৪ সদস্য পালিয়ে এসেছে বাংলাদেশে। এর মধ্যে দুপুর পর্যন্ত ৬৩ ও সন্ধ্যায়
একজন প্রবেশ করে বলে জানা গেছে। গতকাল উলুবনিয়া সীমান্ত দিয়ে বিজিপির এ ৬৪ সদস্য পালিয়ে
আসে বলে নিশ্চিত করেছেন হোয়াইক্যং ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারি। তিনি জানান, পালিয়ে
আসাদের অস্ত্র জমা নিয়ে বিজিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বিজিবি সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা
মো. শরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, পালিয়ে আসাদের মধ্যে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি,
সেনা, পুলিশ, ইমিগ্রেশন সদস্য ও বেসামরিক নাগরিক রয়েছে।
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর
উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাত মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বন্ধ বলা
যায়। বিচ্ছিন্ন কিছু শব্দ শোনা গেলেও গোলাগুলির শব্দ আর নেই।
ঘুমধুম-তুমব্রু এলাকার ৫ হাজার মানুষ ঘরছাড়া
: তুমব্রু কোনারপাড়ার বাসিন্দা ও আনসার-ভিডিপির ইউনিয়ন কমান্ডার শাহজাহান (৪০) জানিয়েছেন,
সীমান্তে অস্থিরতার কারণে ঘুমধুম-তুমব্রুর ৫ হাজারের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র
চলে গেছে। বেশির ভাগ লোকজন আত্মীয়স্বজনের বাড়ি আশ্রয় নিয়েছে বলে ধারণা তার। সরেজমিনে
গিয়ে দেখা গেছে, তুমব্রু পশ্চিমকূল গ্রামের দিনমজুর আনোয়ার হোসেনের (৩৩) পরিবারে মোট
সদস্য ১১ জন। বর্তমানে তিনি ছাড়া আর কেউ বাড়ি নেই। তাকেও পাওয়া যায় একটি ব্রিজের নিচে।
গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, খেতখামার দেখাশোনার জন্য রয়ে গেছেন তিনি। আনোয়ার হোসেন বলেন,
কখন মিয়ানমার থেকে মর্টার শেল অথবা গোলাবারুদ এসে পড়ে তার নিশ্চয়তা নেই। মিয়ানমারের
হেলিকপ্টার কিংবা যুদ্ধবিমান দেখলেই তিনি ব্রিজের নিচে ঢুকে পড়েন। ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ
চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, গোলাগুলির শব্দ কমে আসায় ঘুমধুমের বেতবুনিয়া বাজারে
কয়েকটি দোকানপাট খুলেছে।
সেন্টমার্টিনে নৌ চলাচল বন্ধ: মিয়ানমারে সংঘাতে সীমান্তে নিরাপত্তার কারণে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের পথে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছেন টেকনাফের ইউএনও আদনান চৌধুরী। গতকাল সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুকে স্থানান্তর করার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ পদে তিনি সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থনীতিবিদ আন্দ্রেই বেলোসভকে বসাতে যাচ্ছেন। রোববার (১২ মে) ক্রেমলিন এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আল জাজিরা
সেগেই শোইগুকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী থেকে সরিয়ে দিয়ে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করবেন পুতিন। ৬৮ বছর বয়সী শোইগু ২০১২ সাল থেকে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদে রয়েছেন।
রুশ পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ থেকে প্রকাশিত কাগজপত্রে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদে সের্গেই শোইগুর স্থলাভিষিক্ত হবেন সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেই বেলোসভ। প্রেসিডেন্ট পুতিন চান নিকোলাই পাত্রুশেভের কাছ থেকে শক্তিশালী নিরাপত্তা পরিষদের দায়িত্ব নিক শোইগু। তবে পাত্রুশেভের নতুন পোস্ট কী হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সের্গেই শোইগুর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় সামরিক পটভূমি বা অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও শোইগুকে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।
পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার সের্গেই শোইগু ১৯৯০ এর দশকে জরুরি ও দুর্যোগ ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
এদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পতে বেলোসভের নাম আসায় অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তবে বেলোসভের দীর্ঘদিনের সামরিক অভিজ্ঞতার জ্ঞান না থাকলেও তিনি একজন দক্ষ অর্থনীতিবিদ।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন রাশিয়ার অর্থনীতিকে চলমান যুদ্ধের প্রচেষ্টার সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সারিবদ্ধ করতে চাইছেন, আর এ পদক্ষেপটি সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ভ্লাদিমির পুতিন
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের
অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের রাফাতে
ইসরায়েলি হামলা হামাসকে নির্মূল করবে না বলে
মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। একইসঙ্গে রাফাতে আক্রমণ ‘অরাজকতা’ উস্কে দেবে বলেও জানিয়েছেন
তিনি।
এছাড়া
ইসরায়েলি বাহিনী হামাস যোদ্ধাদের চেয়ে বেশি বেসামরিক মানুষকে
হত্যা করেছে; এমন মতের সঙ্গেও
একমত হয়েছেন তিনি। সোমবার (১৩ মে) এক
প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে
বার্তাসংস্থা এএফপি।
এদিকে রাফার পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলের বোমা হামলার কারণে ইতোমধ্যে তিন লাখ গাজাবাসীকে ওই এলাকা থেকে সরে যেতে হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, রাফায় পূর্ণ মাত্রার অভিযানে অবিশ্বাস্য রকমভাবে হতাহতের ঘটনা ঘটবে। এমনকি রাফায় ব্যাপক অভিযান চালানো হলেও হামাসের হুমকিকে শেষ করা যাবে না।
মার্কিন এই কূটনীতিক আরও বলেন, হামাস যোদ্ধারা ইতোমধ্যে উত্তর গাজার নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় ফিরে এসেছে যেগুলোকে ইসরায়েল ‘মুক্ত করেছিল’।
ব্লিংকেন নিশ্চিত করেছেন, ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি স্থগিত রেখেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এছাড়া গাজার বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য আরও কিছু করতে এবং রাফাতে সর্বাত্মক আক্রমণ এড়াতে (ইসরায়েলের ওপর) চাপ অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ব্লিংকেন বলেন, যুদ্ধ শেষ হলে গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিকল্পনা প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলি নেতাদের ওপর চাপ দিয়ে চলেছে। তিনি এনবিসিকে বলেন, ‘গাজায় এই যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরের দিন কী হবে তার জন্য আমরা একটি পরিকল্পনাও দেখিনি। আমরা একটি স্থায়ী ফলাফল পাওয়ার বিষয়ে তাদের সাথে আরও ভালো উপায় সম্পর্কে কথা বলেছি।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান ইসরায়েলের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হানেগবির সাথে টেলিফোনে আলাপকালে রাফা অভিযান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন বলে হোয়াইট হাউস থেকে বলা হয়েছে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইসরায়েল মার্কিন উদ্বেগকে বিবেচনায় নিচ্ছে বলে হানেগবি নিশ্চিত করেছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি এই আক্রমণের ফলে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।
মন্তব্য করুন
আমেরিকায় চলমান ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ থেকে অন্তত ৫০ অধ্যাপককে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ও সংহতি জানানোয় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ,
বিক্ষোভ–সম্পর্কিত সংবাদ ও আদালতের নথি
বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য
পেয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।
জানা
গেছে, বিক্ষোভের ভিডিও চিত্র ধারণ করার কারণে
অধ্যাপকদের গ্রেফতার করার ঘটনা ঘটেছে। গ্রেপ্তারকৃত অধ্যাপকদের কেউ কেউ পুলিশের
মারধর, হয়রানি ও হেনস্তার শিকারও
হয়েছেন।
গত
১৭ এপ্রিল নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভের সূচনা
করেন। বিক্ষোভ থেকে তারা গাজায়
যুদ্ধ বন্ধ, ইসরায়েল সরকার ও ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানের
সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক ছিন্নসহ বেশ কিছু দাবি
জানান।
পরে
এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে দেশটির দেড়
শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এছাড়া ইউরোপের অন্তত ১২টি দেশেও বিক্ষোভ
ছড়িয়ে পড়েছে মার্কিন শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন। এই
সময়ে আমেরিকায় আড়াই হাজারের বেশি
ও ইউরোপে তিন শতাধিক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এক
শিক্ষার্থীকে আটক করতে গেলে
পুলিশকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা
করেন আটলান্টার ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ক্যারলিন ফলিন। এ সময় পুলিশের
পাল্টা বাধার মুখে পড়েন তিনি।
ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, এই
নারী অধ্যাপককে মাটিতে ফেলে হাঁটু দিয়ে
চেপে ধরেছেন এক পুলিশ সদস্য।
আটকের পর এই অধ্যাপকের
বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার
অভিযোগ আনা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের
সঙ্গে সম্প্রতি বিক্ষোভে যোগ দেন ক্যালিফোর্নিয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ অধ্যাপক। সেই
অধ্যাপকদের একজন গ্রায়েম ব্লেয়ার।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, গ্রেফতার
হওয়ার শঙ্কা নিয়েই বিক্ষোভে যোগ দেন তিনি
ও তার সহকর্মীরা। সেদিন
তিনি গ্রেফতার না হলেও তার
অন্তত চার সহকর্মী অধ্যাপককে
ধরে নিয়ে যায় পুলিশ।
এ সময় পুলিশ সদস্যরা
তাদের শারীরিকভাবে হেনস্তাও করেন।
মার্কিন
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের একটি সংগঠন আমেরিকান
অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি প্রফেসরস।
সংগঠনটির সেন্টার ফর দ্য ডিফেন্স
অব একাডেমিক ফ্রিডমের পরিচালক আইজ্যাক কামোলা গণমাধ্যমকে বলেন, অধ্যাপকদের হাতকড়া পরিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার
ঘটনা অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
মন্তব্য করুন
ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৭ দফায়। নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ।
সোমবার (১৩ মে) চতুর্থ পর্বে দেশটির ১০ রাজ্যের ৯৬টি আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
নির্বাচনের চতুর্থ দফায় আজ ভাগ্য নির্ধারণ হবে অখিলেস যাদব, অধীর চৌধুরী, ভারতীয় অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা, শতাব্দি রায়ের মতো তারকা প্রার্থীদেরও।
চতুর্থ দফার ভোটে বিজেপি, কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদি পার্টি ছাড়াও বেশ কয়েকটি প্রাদেশিক রাজনৈতিক দলের মধ্যে তীব্র লড়াই হবে। ভাগ্য নির্ধারণ হবে লোকসভার বিরোধী দলীয় নেতা অধীর চৌধুরী, সমাজবাদি পার্টির শীর্ষ নেতা অখিলেস যাদবসহ ১ হাজার ৭১৭ জন প্রার্থীর। এ দফার ভোটে তারকা প্রার্থী রয়েছেন শত্রুঘ্ন সিনহা ও শতাব্দি রায়। দুজনই গতবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য।
এবারের নির্বাচনকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক দলগুলো। এই দফায় অন্ধ্রপ্রদেশের ২৫, তেলেঙ্গানার ১৭, উত্তরপ্রদেশের ১৩, মহারাষ্ট্রের ১১ এবং পশ্চিমবঙ্গের ৮ আসনকেও ‘অস্তিত্ব রক্ষার চ্যালেঞ্জ’ বলে মনে করছে বিজেপি-কংগ্রেস-তৃণমূল বা ইন্ডিয়া জোট।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অন্ধ্রপ্রদেশের টিডিপি বা তেলেঙ্গানা দেশাম পার্টির সাথে জোট করে নির্বাচন করছে বিজেপি। গত নির্বাচনে প্রদেশটির ২৫ আসনের মধ্যে ২২ আসন পেয়েছিল বিজেপি-বিরোধী শিবির কংগ্রেসপন্থি প্রাদেশিক রাজনৈতিক দল ওয়াইএসআর। অন্যদিকে, ১৭ আসনের তেলেঙ্গানাতেও বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ৪টি আসন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষিণের এই দুটি রাজ্য থেকে বিজেপিকে এবার ভালো ফল করতেই হবে। আর মহারাষ্ট্রের ১১ আসনের সবগুলোই বিজেপির ছিল, ফলে সেটাও ধরে রাখতে হবে তাদের।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের ৮ আসনের মধ্যে তৃণমূলের ছিল ৬টি, বাকি একটি করে কংগ্রেস ও বিজেপির।
রাজনৈতিক মহলগুলো মনে করছেন, মোাদির ঘোষিত ৪০০ আসনের টার্গেট পূরণ করতে হলে মমতার রাজ্য থেকেও এই দফায় মোদিকে ৪-৫টি আসনে জয় পেতে হবে।
যদিও প্রতিটি রাজ্যেই প্রাদেশিক রাজনৈতিক দলগুলো বিজেপির থেকেও শক্তিশালী। তাই এখানে কংগ্রেসের সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের টক্কর হবে না বরং টক্কর হবে প্রাদেশিক তৃণমূল, সমাজবাদি পার্টি কিংবা ওয়াইএসআর’র মতো দলের সঙ্গে। তারাও নিজেদের আসন ধরে রাখতে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছে।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের তিন দফার ভোটে মোট ২৮৩টি সংসদীয় আসনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আরও চার দফায় ভোটগ্রহণের পর শেষ হবে ভারতের মোট সাত দফার লোকসভা নির্বাচন। এর ফল প্রকাশ হবে আগামী ৪ জুন।
মন্তব্য করুন
ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। ৭ দফায় নির্বাচনের চতুর্থ দফার
ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ।
সোমবার (১৩ মে) চতুর্থ পর্বে দেশটির ১০ রাজ্যের ৯৬টি আসনে ভোটগ্রহণ
হচ্ছে।
এই দফায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে হতে যাচ্ছে তারকা প্রার্থীদের মহারণ।
প্রথম তিন ধাপে রাজ্যের ১০ আসনে নির্বাচন হয়েছে। সেগুলোতে তারকা প্রার্থী হিসেবে সিপিএমের
রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ছাড়া তেমন কেউ ছিলেন না।
তবে এবারে নির্বাচনের চতুর্থ দফায় আট আসনে প্রথম তারকা প্রার্থীদের
পাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ।
চতুর্থ দফায় যে আট আসনের ভোট হচ্ছে সেগুলো হলো- বহরমপুর, কৃষ্ণনগর,
রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল, বীরভূম ও বোলপুর।
এসব আসনে তারকা প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার ইউসুফ
পাঠান, কীর্তি আজাদ, শত্রুঘ্ন সিনহা, কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী, মহুয়া মৈত্র, রাজমাতা
অমৃতা রায়, অভিনেত্রী শতাব্দী রায় ও বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। চতুর্থ দফায় এসব প্রার্থীর
মধ্যে জমজমাট লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
বহরমপুর আসনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি ও
পাঁচবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য অধীর চৌধুরী। অধীর চৌধুরী বলেছেন, বহরমপুরের মানুষ
এবারও তাকে সংসদে পাঠাবেন। এবার নির্বাচনে হারলে তিনি দল ছেড়ে বাদাম বেচবেন।
এই আসনে অধীরের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন সাবেক ক্রিকেটার
ও গুজরাটের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের নবাগত প্রার্থী ইউসুফ পাঠান।
মমতা ব্যানার্জি এর আগে রাজ্যের বাইরের প্রার্থীদের বহিরাগত হিসেবে
চিহ্নিত করলেও এবার তিনি তিন ভিনরাজ্যের তিন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছেন। আর এখানের
বিজেপি প্রার্থীও বেশ শক্তিশালী। তিনি স্থানীয় চিকিৎসক নির্মল সাহা। ফলে এই আসনেই লড়াই
হতে যাচ্ছে ত্রিমুখী।
এদিকে, নদীয়ার কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে মূল লড়াই হবে দ্বিমুখী। তৃণমূল
ও বিজেপির প্রার্থীর মধ্যে। তবে এই কেন্দ্রে ভাগ বসাতে পারে কংগ্রেস-বাম জোটের প্রার্থীও।
এই আসনে তৃণমূলের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র, বিজেপির কৃষ্ণনগর রাজবাড়ীর
রাজমাতা অমৃতা রায়। মহুয়া মৈত্র তৃণমূলের তারকা প্রার্থী হলেও সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে
ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সংসদে ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন করেছেন বলে অভিযোগ ওঠায়
সংসদ সদস্যের পদ হারিয়েছেন তিনি।
কৃষ্ণনগরে তৃতীয় প্রার্থী হলেন কংগ্রেস-বাম দলের সিপিএম প্রার্থী
এস এম সাদি। তিনিও এই লড়াইয়ে শামিল হতে পারেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
অন্যদিকে, আসানসোল আসনে লড়াই হচ্ছে তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে।
এই আসনে তৃণমূলের প্রার্থী বলিউড তারকা শত্রুঘ্ন সিনহা। তিনি দ্বিতীয়বারের মত এই আসনে
লড়ছেন। আর বিজেপির প্রার্থী হয়ে লড়ছেন সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া। তিনি বর্তমান সংসদ
সদস্য।
বীরভূম আসনে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন অভিনেত্রী শতাব্দী রায়। এই আসনে
আগে দুবার জিতলেও এবার কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হচ্ছেন তিনি। কারণ, বীরভূমে তৃণমূলের
দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল দুর্নীতির মামলায় কারাগারে। নির্বাচনের মাঠে তার প্রভাব
অস্বীকার করার উপায় নেই। এই আসনের বিজেপির প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্য। আর কংগ্রেস
প্রার্থী করেছে মিল্টন রশিদকে। তিনি যদিও নবাগত তবু এই আসনে লড়াই হচ্ছে তৃণমূল–বিজেপির
মধ্যে।
বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে লড়ছেন তৃণমূলের প্রার্থী সাবেক ক্রিকেটার
কীর্তি আজাদ। একসময় কংগ্রেসে ছিলেন এবং সংসদ সদস্য হয়েছিলেন তিনিও। তার প্রতিদ্বন্দ্বী
রাজ্য বিজেপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য দিলীপ ঘোষ।
দিলীপ ঘোষ মেদিনীপুরের সংসদ সদস্য থাকলেও দল এবার তাকে বর্ধমান-দুর্গাপুর
আসনে প্রার্থী দিয়েছে। আর এখানে সিপিএমের প্রার্থী সুকৃতি ঘোষ। একসময় এই আসনে সিপিএমের
ব্যাপক প্রভাব ছিল। এখন অবশ্য সেই অবস্থা আর নেই। তবু লড়াইয়ের দৌড়ে থাকবেন সিপিএম প্রার্থী।
এদিকে, বোলপুর আসনে লড়ছেন তৃণমূলের বর্তমান সংসদ সদস্য অসিত মাল,
বিজেপির প্রিয়া সাহা এবং সিপিএমের শ্যামলী প্রধান। এখানেও লড়াই হচ্ছে তৃণমূল–বিজেপি
প্রার্থীর মধ্যে।
আবার, নদীয়ার রানাঘাট আসনে এবার লড়ছেন বিজেপির বর্তমান সংসদ সদস্য
জগন্নাথ সরকার, তৃণমূলের মুকুটমণি অধিকারী এবং বাম কংগ্রেস জোটের প্রার্থী সিপিএম নেতা
অলকেশ দাস।
বর্ধমান পূর্ব আসনে এবার লড়ছেন তৃণমূলের নবাগত প্রার্থী এলাকার
জনপ্রিয় চিকিৎসক শর্মিলা সরকার। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রখ্যাত লোকসংগীত শিল্পী
অসীম সরকার। আর সিপিএমের প্রার্থী হয়ে লড়ছেন নীরক খাঁ। এখানে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে
মূল লড়াই হলেও সিপিএম এখানে মোটামুটি একটা জায়গা নেবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
মন্তব্য করুন
ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৭ দফায়। নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। সোমবার (১৩ মে) চতুর্থ পর্বে দেশটির ১০ রাজ্যের ৯৬টি আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। নির্বাচনের চতুর্থ দফায় আজ ভাগ্য নির্ধারণ হবে অখিলেস যাদব, অধীর চৌধুরী, ভারতীয় অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা, শতাব্দি রায়ের মতো তারকা প্রার্থীদেরও। চতুর্থ দফার ভোটে বিজেপি, কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদি পার্টি ছাড়াও বেশ কয়েকটি প্রাদেশিক রাজনৈতিক দলের মধ্যে তীব্র লড়াই হবে। ভাগ্য নির্ধারণ হবে লোকসভার বিরোধী দলীয় নেতা অধীর চৌধুরী, সমাজবাদি পার্টির শীর্ষ নেতা অখিলেস যাদবসহ ১ হাজার ৭১৭ জন প্রার্থীর। এ দফার ভোটে তারকা প্রার্থী রয়েছেন শত্রুঘ্ন সিনহা ও শতাব্দি রায়। দুজনই গতবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য।
ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। ৭ দফায় নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। সোমবার (১৩ মে) চতুর্থ পর্বে দেশটির ১০ রাজ্যের ৯৬টি আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এই দফায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে হতে যাচ্ছে তারকা প্রার্থীদের মহারণ। প্রথম তিন ধাপে রাজ্যের ১০ আসনে নির্বাচন হয়েছে। সেগুলোতে তারকা প্রার্থী হিসেবে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ছাড়া তেমন কেউ ছিলেন না।