এবার ইরানগামী পণ্যবাহী একটি কার্গো জাহাজে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি। এতে জাহাজটির সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) লোহিত সাগরে বাব আল-মান্দেব প্রণালি পার হওয়ার সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে। জাহাজটির নাম এমভি স্টার আইরিস। ব্রাজিল থেকে খাদ্যশস্য নিয়ে ইরানে যাচ্ছিল এটি। এ সময় দুটি মিসাইল নিক্ষেপ করে হুথিরা।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ ও যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে নভেম্বর থেকে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজে হামলা শুরু করে ইয়েমেনে হুথিরা। পরবর্তীতে আমেরিকা ও ব্রিটেন ইয়েমেনে হামলা চালালেও তাদেরকে জাহাজকেও লক্ষ্যবস্তু করে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। এদিকে, নভেম্বর পর থেকে ইরানগামী নৌযানকে হুথিদের লক্ষ্যবস্তু করার এটিই প্রথম ঘটনা।
হুথির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এমভি স্টার আইরিসকে মার্কিন কার্গো জাহাজ হিসেবে উল্লেখ করেছে। তবে জাহাজ শনাক্তকারী সংস্থাগুলোর দাবি, গ্রিসের মালিকানাধীন জাহাজটি মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী ছিল।
মন্তব্য করুন
দিনকে দিন বিশ্বব্যাপী ছোট হয়ে আসছে মাছের আকার। এর ফলে বর্তমানে যেসব দীর্ঘাকৃতির মাছ সাগরে পাওয়া যাচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে হয়তো তেমনটি আর পাওয়া যাবে না। বিশ্বজুড়ে মাছের আবাসস্থল নিয়ে এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এমন চমক জাগানিয়া তথ্য উঠে এসেছে।
মেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে মাছ সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় প্রজাতি। এদের মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র গবি ও জেব্রাফিশ থেকে শুরু করে বিশালাকার টুনা, তিমি ও হাঙর। মাছের মাধ্যমে অত্যাবশ্যক খাদ্য সরবরাহ হয় বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষের। স্বাভাবিকভাবেই মাছ জলজ বাস্তুতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সেই গুরুত্বপূর্ণ অংশটিই বিশ্বজুড়ে এখন হুমকির মুখে।
বিশ্বজুড়ে মাছের আবাসস্থল নিয়ে পরিচালিত এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের ওপর উল্লেখযোগ্যহারে প্রভাব ফেলছে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন। এর ফলে ধীরে ধীরে বিশ্বজুড়ে উষ্ণ হয়ে আসছে মাছের আবাসস্থল। আর এতে দিনকে দিন ছোট হয়ে আসছে মাছের আকার। বলা হচ্ছে, গত ৪০ বছরে উত্তর সাগরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক মাছের প্রজাতি আকারে ১৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। কারণ এই সময়ে সেখানে পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গবেষণায় দেখা গেছে, মাছের ওপর উষ্ণ জল অত্যন্ত খারাপ ধরনের প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে, বড় মাছের ক্ষেত্রে এই প্রভাব খুবই উল্লেখযোগ্য। বড় মাছ আকারে ছোট হয়ে গেলে দ্রুত পরিপক্ব হয় এবং অল্প বয়সে প্রজননে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এতে আকারে ছোট হতে থাকে মাছের পরবর্তী প্রজন্ম।
তাড়াতাড়ি পরিপক্ব হওয়ার এই বৈশিষ্ট্যটি মাছের বর্তমান থেকে নতুন প্রজন্মে স্থানান্তরিত হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, এটি ‘মৎস্য-প্ররোচিত বিবর্তন‘ নামে পরিচিত। এর ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মাছ আকারে হ্রাস পেতে থাকে।
বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ছোট মাছ আনুপাতিকভাবে কম সন্তান উৎপাদন করে। মাছের আকার ছোট হওয়ার অর্থ হলো প্রতিটি মাছের কম সন্তান হবে এবং বেশি বেশি মাছ ধরা পড়বে। পরিবেশগত এবং বাণিজ্যিকভাবে এই প্রক্রিয়ার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে এবং তা সরাসরি আঘাত করবে মানবজাতিকে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি
মন্তব্য করুন
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত ইরানের প্রেসিডেন্ট
মন্তব্য করুন