ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নির্বাচন পাকিস্তানকে আরও গভীর সংকটে ফেলেছে

প্রকাশ: ১০:১৬ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানে নির্বাচনের পরবর্তী সংকট নিয়ে ‘দ্য হিলে’ নিবন্ধ লিখেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত হোসেন হাক্কানি। পাঠকদের আগ্রহের কথা বিবেচনা করে অনুবাদটি প্রকাশ করা হলো;

বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচন পাকিস্তানের সমস্যাগুলো সমাধান না করে বরং দেশটিকে আরও গভীর সংকটের মধ্যে নিমজ্জিত করেছে৷ দেশের ক্ষমতাধর সামরিক এলিটরা যেমনটা চেয়েছিল তা হয়নি। তারা নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল)-এর জয়ের জন্য চেষ্টার কোনো কমতি রাখেনি। তবে পাকিস্তানি ভোটাররা ইমরান খানকেই বেছে নিতে চেয়েছেন। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) ভোট দিয়ে বংশবাদী রাজনীতির প্রতি মানুষ তাদের চূড়ান্ত অসন্তোষই যেন দেখালেন।

ইমরান খান ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। সেনাবাহিনী সে সময় ইমরান খানকে সমর্থন দিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০২২ সালের এপ্রিলে এক সংসদীয় অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। আগে থেকেই নানামুখী সংকট চলতে থাকা দেশটিতে এই সময়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট আরও তীব্র আকার ধারণ করে।

ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে সেনাবাহিনীর হাত ছিল বলে সন্দেহ করা হয়। ষড়যন্ত্রের জন্য আমেরিকার সঙ্গে সামরিক এলিটদের দায়ী করেছিলেন ইমরান খান। তাই পাকিস্তানের সামরিক এলিটরা কোনোভাবেই চায়নি ইমরান খান আবারও দেশের প্রধানমন্ত্রী হোন। এ কারণে নওয়াজ শরিফ গং-কে সবধরনের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে তারা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার দল পিটিআইকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার সব ধরনের চেষ্টাই করা হয়েছে। এমনকি ইমরান খানকে কারাগারে রেখেই নির্বাচন আয়োজন করা হয় এবং পিটিআইকে নির্বাচন থেকে নিষিদ্ধ করা হয়।

পাকিস্তানি তরুণদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে ইমরান খানের। তারা পিটিআইকে সমর্থন করেছে এবং সব ধরনের বাধা ও প্রতিকূলতা কাটিয়ে দলের জন্য কাজ করে গেছে। তারা ব্যাপক দমন-পীড়নের স্বীকার হয়েও হার মানেনি। তারা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইমরান খানের বক্তব্য দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দিয়েছে। যদিও নির্বাচনে পিটিআইয়ের জনপ্রিয় প্রতীক নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীদের কোনো একক প্রতীকে নির্বাচন করতে দেওয়া হয়নি। তারা স্বতন্ত্রভাবে ভিন্ন ভিন্ন প্রতীকে নির্বাচন করেছেন। মানুষ ভোটের মাধ্যমে ইমরান খানের প্রতি তাদের সমর্থন দেখিয়েছে।

সবধরনের বাধা সত্ত্বেও নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসনে জয় পেয়েছে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা। কারাগারে থেকেও ইমরান খান যে ভোট বিপ্লব দেখিয়েছেন তা অবাক করেছে বিশ্ববাসীকে। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েও সরকার গঠন করতে পারছেন না ইমরান খান। সামরিক পৃষ্ঠপোষকতায় নওয়াজ শরিফ ও বিলাওয়াল ভুট্টো-গং ক্ষমতাসীন হলেও তাতে পাকিস্তানি নাগরিকদের মতের প্রতিফলন ঘটে না। ফলে নির্বাচনের পর পাকিস্তানের রাজনৈতিক সংকটের সমাধান না হয়ে বরং সংকটকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

পিটিআই দাবি করেছে, তারা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্ত্বেও প্রতারিত হয়েছে। পিটিআইকে সরকার গঠন করতে দেওয়ার স্বীকৃতির দাবিতে রাস্তায় নামতে ইচ্ছুক দলটির নেতা-কর্মীরা। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থেকে পিটিআইকে বঞ্চিত করা হয়েছিল এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে পাকিস্তানের পূর্ববর্তী নির্বাচনগুলোতেও সামরিক সংস্থার অপছন্দের যে কোনো দলের ক্ষেত্রে এমনটাই হয়েছে। দলগুলো তখন সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দর কষাকষি করে এগিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজেছে।

পাকিস্তানের প্রতিটি প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রধানরা ক্ষমতায় থাকার জন্য কোনো না কোনো সময়ে সামরিক জেনারেলদের সঙ্গে যোগসাজশ করেছেন। স্থায়ী রাষ্ট্রকাঠামো বিনির্মাণে ব্যর্থ হয়েছেন এবং উচ্ছৃঙ্খলতার শিকারও হয়েছেন একেকজন। পাকিস্তানের জন্য জরুরি হলো- সামরিক বাহিনীকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা এবং রাজনীতিবিদরা সামরিক বাহিনীকে রাজনৈতিক বিরোধের চূড়ান্ত সালিশ হতে না দিয়ে একে অপরের সঙ্গে আপস মীমাংসায় কাজ করা।

তবে ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর এটি আরও বেশি কঠিন হয়ে পড়েছে বলে মনে হচ্ছে। ইমরান খানের রাজনীতির জন্য বড় সুবিধা হলো তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা হয় দুর্বৃত্ত না-হয় বিশ্বাসঘাতক। ইমরান খান সর্বদা রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ মোকাবিলা করতে পছন্দ করেছেন। তিনি আরও বেশি ক্ষমতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অভিপ্রায়ে জনপ্রিয়তা লাভ করতে চান। অন্যদিকে তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা সামরিক বাহিনীর আশীর্বাদে ক্ষমতায় থাকতে চায়। তারা জোট সরকার গঠন করতে আগ্রহী বলে মনে হচ্ছে।

ভোটাররা সামরিক এলিটদের উচিত জবাব দিতে চেয়েছিলেন। তবে ইমরান খানসহ রাজনৈতিক নেতাদের পদক্ষেপ সেনাবাহিনীর রাজনৈতিক ভূমিকা অব্যাহত রাখার মঞ্চ তৈরি করতে পারে। যদি রাজপথে সহিংসতা হয়, তাহলে দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য আবারও সেনাবাহিনী সামনে চলে আসতে পারে। এদিকে ব্যক্তিস্বার্থের খেয়ালে পাকিস্তানের রাজনীতিবিদরা দেশের অর্থনীতিকে সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করেছেন এবং বৈদেশিক সম্পর্ককে বিপর্যস্ত করে তুলেছেন।

পাকিস্তান যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তার সমাধান ছিল একটি সুষ্ঠু নির্বাচন এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসা একটি শক্তিশালী সরকার। ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন সেই পথে শক্ত বাধা হয়ে দাঁড়ালো। নির্বাচন পাকিস্তানকে আরও গভীর সংকটের মধ্যে নিমজ্জিত করেছে৷

নির্বাচন   পাকিস্তান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করে দিলো তুরস্ক

প্রকাশ: ০৮:৪৭ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনি ইস্যুতে দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে তুরস্ক। তারা বলেছেন, ইসরাইল থেকে তুরস্কে আর কোনো পণ্য আসছে না এবং যাচ্ছেও না।
বৃহস্পতিবার (২ মে) মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে এ তথ্য জানিয়েছেন তুরস্কের দুই কর্মকর্তা।
ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বৃহস্পতিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের বিরুদ্ধে এক্সে একটি পোস্ট করেছেন। এতে তিনি অভিযোগ করেছেন, বন্দর দিয়ে ইসরায়েলি পন্য আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ করে দিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বাণিজ্যিক চুক্তি ভঙ্গ করছেন।
তিনি এক্সে লিখেছেন, “স্বৈরশাসক এমন ব্যবহার করে থাকে। তুরস্কের মানুষ ও বাণিজ্য এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তিকে উপেক্ষা করেছেন তিনি।”
তুরস্ক বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ায় বিকল্প হিসেবে অন্য দেশগুলো থেকে পণ্য আমদানি এবং স্থানীয়ভাবে পণ্য উৎপাদনের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দখলদার ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি এক্সে এ ব্যাপারে লিখেছেন, “তুরস্কের সঙ্গে বাণিজ্যের বিকল্প খুঁজে বের করতে আমি ইসরায়েল আইএমএফ-এর মহাপরিচালককে সংশ্লিষ্ট পার্টির সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে কাজ শুরুর নির্দেশনা দিয়েছি। এছাড়া তাকে স্থানীয় উৎপাদন এবং অন্যান্য দেশ থেকে পণ্য আমদানির জন্য বলেছি। ইসরায়েল শক্তিশালী ও ভয়ঙ্কর অর্থনীতি হিসেবে আবির্ভূত হবে। তারা হারবে আমরা জিতব।”
গতকাল বুধবার লাতিন আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দেন। এর একদিন পরই ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করে দিলো তুরস্কও।


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

প্রবল বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ল মসজিদের ছাদ

প্রকাশ: ০৮:৫৬ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

সৌদি আরবের দাহরানের কিং ফাহাদ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবল বৃষ্টিতে একটি মসজিদের ছাদ ভেঙে পড়েছে। সৌদির বিভিন্ন অঞ্চলে গত দুইদিন ধরে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

বুধবার (১ মে) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। তবে মসজিদের ছাদ ভেঙে কেউ আহত হননি। কারণ ওই সময় সেখানে কেউ ছিলেন না। 

নেটিজেনরা জানিয়েছেন, মসজিদটির বাইরের অংশের ছাদটি ধসে পড়েছে। মসজিদ সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে মূল ভবনের বাইরে স্টিলের এই ছাদটি স্থাপন করা হয়েছিল।

স্টিলের ছাদটির ওপর এতই পানি জমা হয়েছিল যে এটি আর ভার বহন করতে পারেনি। এরপর একটি পর্যায়ে এটি ভেতরের দিকে ধসে পড়ে। তখন মসজিদের ভেতর বৃষ্টির পানি প্রবেশ করে এবং মসজিদে যেসব কার্পেট ছিল সেগুলো পানিতে ভিজে যায়।

কেউ একজন মসজিদের মূল ভবনের ভেতর থেকে ছাদ ভেঙে পড়ার মুহূর্তটি নিজের মোবাইল ফোনে ধারণ করেন।

বৃষ্টিপাতের কারণে দেশটিতে সাধারণ মানুষকে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরাসরি ক্যাম্পাসে আসার বদলে অনলাইনে পাঠদান কর্মসূচি চলছে।


মসজিদ   বৃষ্টিপাত   সৌদি আরব  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের ধরপাকড়

প্রকাশ: ০৮:৪৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলেসে (ইউসিএলএ) ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে মার্কিন পুলিশ। ইতিমধ্যে তারা সেখানে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছেন এবং অনেকককে গ্রেপ্তার করেছেন। এমনকি বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ করে তাঁবু সরাতে রাবার বুলেট পর্যন্ত ব্যবহার করেছে মার্কিন পুলিশ। 

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার(২ মে) ভোরে ইউসিএলএ ক্যাম্পাসের বাইরে রাখা ব্যারিকেড সরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে পুলিশ। ভেতরে প্রবেশ করে সেখানে আগে থেকে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের তাঁবু ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ। নির্দেশনা না মানলে গ্রেপ্তার, এমনকি আহত হতে পারেন বলেও জানায় তারা। তবে পুলিশের সতর্কবার্তা আমলে না নিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। তাই অনেক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছোড়া হয়েছে রাবার বুলেট। সিএনএন এর প্রতিবেদন 

বিবিসি জানিয়েছে, মূল আন্দোলনস্থল ডিকসন কোর্টে প্রবেশ করেছে পুলিশ। পুলিশ দেখে অনেক শিক্ষার্থী বিক্ষোভস্থল ত্যাগ করলেও এখানো সেখানে অনেকে অবস্থান করছেন। তবে তাদের ঘিরে রেখেছে পুলিশ সদস্যরা।

পুলিশ এখন তাঁবু সরিয়ে দিচ্ছে। ডিকসন কোর্টে এখন অনেকটা পুলিশে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাসের অন্য কোথাও তাঁবু স্থাপন করেছে কিনা তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে এই ক্যাম্পাসে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিপন্থী শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তবে এই সময় পুলিশ দেরিতে সাড়া দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ জন্য পুলিশের সমালোচনাও করেছে অঙ্গরাজ্যের গভর্নরের কার্যালয়।


যুক্তরাষ্ট্র   ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া   পুলিশ   ইউসিএলএ   লস অ্যাঞ্জেলেস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কেনিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাতে ১৮৮ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৮:৩৫ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

মৌসুমী বৃষ্টির কারণে কেনিয়াসহ পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোতে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকায় বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট, সেতু ও অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে অনেক। 

কেনিয়া জানিয়েছে, দেশটিতে বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বিপর্যয়ে এখন পর্যন্ত ১৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

এই বিপর্যয়ে কেনিয়ায় ১২৫ জন আহত হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৯০ জন। দের লাখের ও  বেশি মানুষের স্থানীয় বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে।   

বুধবার কেনিয়ার বিখ্যাত পর্যন্ত এলাকা মাসাই মারা বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ অঞ্চলের একটি নদী হঠাৎ করে প্লাবিত হলো পর্যটকসহ ১০০ জন হড়কা বানে ভেসে যায়। সেখান থেকে ৯০ জনকে সফলভাবে উদ্ধার করার কথা জানায় কেনিয়া কর্তৃপক্ষ। 


কেনিয়া   বৃষ্টিপাত   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পুলিশের অভিযানে বিপর্যস্ত কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস

প্রকাশ: ০৮:২৮ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজার ঘটনার প্রতিবাদ ঠেকাতে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিলটন হলে অভিযান চালিয়ে একশোর বেশি আটকের ঘটনায় পুরো ক্যাম্পাসই এখন বিপর্যস্ত।

বিশ্ববিদ্যালয়টির সব প্রবেশ পথেই এখন পুলিশ ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মীদের ভিড়, রাস্তায় ব্যারিকেড। জিনিসপত্র নিয়ে শিক্ষার্থীরা বাড়ির উদ্দেশে ক্যাম্পাস ছাড়ছে। ক্লাস বাতিল হয়েছে আর পরীক্ষা কবে হবে ঠিক নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এরপর কী হতে যাচ্ছে তা নিয়েই সর্বত্র এক থমথমে ভাব আর অনিশ্চয়তা।

পুলিশি অভিযানের পর এক বার্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট নেমাত শফিক বলছেন, তাকে গভীর দু:খ নিয়েই শিক্ষার্থী ও অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানের নির্দেশ পুলিশকে দিতে হয়েছে এবং এ ক্ষত শুকাতে সময় লাগবে।

অন্যদিকে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংসতার ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর। সেখানে ক্যাম্পাসে পুলিশকে ডাকার আগেই মুখোশ পরিহিত ইসরায়েলপন্থি একটি গ্রুপ ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের তাবুতে হামলা চালায়।

গভর্নরের মুখপাত্র বলেছেন, এ ঘটনায় 'সীমিত ও বিলম্বিত' পুলিশি হস্তক্ষেপ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। বুধবার ওই ক্যাম্পাসে শত শত পুলিশ কর্মকর্তা অবস্থান নিয়েছিল।

তবে অনেকেই অভিযোগ করেছেন, মঙ্গলবার মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের তাঁবুকে ঘিরে সংঘর্ষের সময় পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়নি। যদিও কর্মকর্তারা বলেছেন সহিংসতার সূচনার পর দ্রুত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।

মূলত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যক্তি ও কোম্পানিকে বয়কটের দাবিতে গত কিছুদিন ধরেই প্রচণ্ড ছাত্র বিক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। মঙ্গলবার রাতে কয়েকটি জায়গায় তা সংঘর্ষের রূপ নেয়।

এর আগে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হার্ভার্ড থেকে ইয়েলসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ফিলিস্তিনের পক্ষে ও ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত কোম্পানি ও ব্যক্তিদের বয়কট করার আহ্বান জানাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা।

সর্বশেষ পহেলা মে রাতে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের দখল করে রাখা অ্যাকাডেমিক ভবন দখলমুক্ত করতে অভিযান চালায় নিউইয়র্ক পুলিশ। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে নয়টায় অভিযান শুরু করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে তারা হ্যামিলটন হল নামে ওই ভবনে প্রবেশ করেছে। সেখানে অবস্থান নেওয়া বিক্ষোভকারীদের সবাইকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।


পুলিশ   কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়   ক্যাম্পাস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন