ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাঞ্জাবে চালক ছাড়া ৭০ কিলোমিটার চলল ট্রেন

প্রকাশ: ০৮:১৬ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

অল্পের জন্য ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের সাধারণ মানুষ। 

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) প্রদেশটিতে চালক ছাড়া ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলেছে একটি মালবাহী ট্রেন। চালক ট্রেন থেকে নামার আগে হ্যান্ডব্রেক টানতে ভুলে যান। একপর্যায়ে ট্রেনটি আপনাআপনিই ঢালু রেললাইন ধরে চলতে থাকে।

ওই সময় ট্রেনটি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে চলছিল। এতে জনমনে তীব্র আতঙ্ক দেখা দেয়। ট্রেনটি ছুটে আসার খবরে রেললাইন ও স্টেশনে থাকা মানুষ ছোটাছুটি করেন। 

স্থানীয় রেল কর্মকর্তারা বলছেন, জম্মু থেকে পাঞ্জাবে আসা পণ্যবাহী ট্রেনটি পাথর বহন করছিল। উচি বাসি এলাকায় থামার আগে সেটি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে পাঁচটি স্টেশন অতিক্রম করেছিল। চালক ছাড়াই সেটি চলছে খবর পেয়ে ট্রেনটি থামানোর জন্য ট্র্যাকে কাঠের ব্লক রাখা হয়।

‘এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর এখনো পাওয়া যায়নি। ঘটনার সঠিক কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত চলমান।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রেনটি একটি স্টেশনের পাশ দিয়ে খুব দ্রুত গতিতে চলে যাচ্ছে। রেল লাইনের পাশে থাকা লোকজন আতঙ্কে  ছুটছেন।

ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই বিষয়টি ভারতজুড়ে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। চালককে বরখাস্ত করার পাশাপাশি অনেকে আবার কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন। ভারতের রেল সুরক্ষা বাহনীর (আরপি এফ) উপ-পরিদর্শক অশোক কুমার জানিয়েছেন, এই ঘটনার পর নির্দিষ্ট রুটের সব ট্রেনে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

যদিও ভারতে এমন ঘটনা এবারই প্রথম নয়। ২০২০ সালে ঝাড়খণ্ড রাজ্যে ঠিক এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল। বরসুয়া রেলস্টেশনে থেকে থাকা একটি পণ্যবাহী ট্রেন বিমলগড় রেলওয়ে স্টেশনের দিকে (পেছন বরাবার) যেতে শুরু করে। সেটির গতিবেগও ১০০ কিলোমিটার উঠে গিয়েছিল।

সূত্র: এনডিটিভি


ট্রেন   পাঞ্জাব   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আফগানিস্তানে ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় নিহত অন্তত ৬০, নিখোঁজ শতাধিক

প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আফগানিস্তানে ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় কমপক্ষে ৬০ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির উত্তরাঞ্চলের বাঘলান প্রদেশের আকস্মিক এই বন্যায় আহত হয়েছেন আরও শতাধিক মানুষ। শুধু তাই নয়, ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট এই বন্যায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও বহু মানুষ। শনিবার (১১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ৬০ জন মারা গেছেন এবং আরও ১০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে তালেবান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বিবিসি বলছে, দেশটি উত্তরাঞ্চলীয় বাঘলান প্রদেশের পাঁচটি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের পর আরও কয়েক ডজন লোক নিখোঁজ রয়েছেন। শুক্রবার রাতে এই অঞ্চলে আরও দুটি ঝড়ের পূর্বাভাসের দেওয়া হয়েছিল। এতে করে সেখানে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ছবিতে বেশ কয়েকটি গ্রামের বাড়িঘরের মধ্য দিয়ে পানির স্রোত বয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। এছাড়া ভয়াবহ এই বন্যা দেশটির এই অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে।

মূলত গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আফগানিস্তানে অস্বাভাবিকভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে বন্যায় দেশটিতে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন।

আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল মতিন কানি বিবিসিকে বলেছেন, যারা মারা গেছেন তারা বাঘলান প্রদেশের বোরকা জেলার মানুষ। সেখানে দুই শতাধিক মানুষ তাদের ঘরের মধ্যে আটকা পড়েছেন।

আফগান সরকারের এই কর্মকর্তা এর আগে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারের জন্য হেলিকপ্টারগুলোকে বাঘলানে পাঠানো হয়েছে। এই এলাকাটি রাজধানী কাবুলের সরাসরি উত্তরে অবস্থিত। তবে রাতে দৃষ্টিশক্তির ঘাটতির কারণে ‘অপারেশন সফল নাও হতে পারে’ বলে জানান তিনি।

এদিকে, স্থানীয় কর্মকর্তা হেদায়তুল্লাহ হামদর্দ বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, সেনাবাহিনীসহ জরুরি কর্মীরা ‘কাদা ও ধ্বংসস্তূপের নিচে সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্তদের সন্ধান করছেন’। এই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, ঘরবাড়ি হারিয়েছে এমন কিছু পরিবারকে তাঁবু, কম্বল এবং খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া বন্যার জেরে কাবুলের সাথে উত্তর আফগানিস্তানের সংযোগকারী প্রধান সড়কটিও বন্ধ রয়েছে।


আফগানিস্তান   বন্যা   বৃষ্টিপাত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাশিয়ায় সেতু ভেঙে নদীতে বাস, নিহত ৭

প্রকাশ: ১০:১৭ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে একটি সেতু থেকে রেলিং ভেঙে বাস নদীতে পড়ে ৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। শুক্রবার (১০ মে) জরুরি মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

রুশ তদন্তকারী কমিটি জানিয়েছে, বাস দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছে ছয় জন। ওই বাসে ২০ জনের মতো যাত্রী ছিল।

সেতু ভেঙে বাসটি নদীতে পড়ে যাওয়ার পরই ডুবে যায়। এরপরই উদ্ধারকর্মীরা এটিকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালায়। ওই সেতুর পাশে উদ্ধারকারীদের নৌকা এবং অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে স্থানীয়রা ওই নদীতে নেমে উদ্ধার কাছে অংশ নেয়। এ ঘটনায় স্থানীয়দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।

কর্তৃপক্ষ বাস দুর্ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে এতে দেখা যাচ্ছে সেতুর রেলিং ভেঙে বাসটি নদীতে পড়েই ডুবে যায়। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা রিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই বাসের চালককে আটক করা হয়েছে।


রাশিয়া   বাস দুর্ঘটনা   সেন্ট পিটার্সবার্গ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েল গাজায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে: যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ১০:১৭ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি। বর্বর এই আগ্রাসনের জেরে  বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বাড়ছে ক্ষোভ।

এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র বলছে, গাজায় মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েল হয়তো আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। শনিবার (১১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েল গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা যুদ্ধের সময় কিছু ক্ষেত্রে আমেরিকার সরবরাহকৃত অস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন করেছে বলে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে।

স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, এটি ‘মূল্যায়ন করা যুক্তিসঙ্গত’ যে, যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত অস্ত্রগুলো ব্যবহারের বিষয়ে ইসরায়েলের কিছু বাধ্যবাধকতা থাকলেও সেগুলো ‘অসঙ্গতিপূর্ণ’ উপায়ে ব্যবহার করা হয়েছে।

বিবিসি বলছে, বিলম্বের পর শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে এই রিপোর্ট পেশ করা হয়। হোয়াইট হাউসের নির্দেশিত পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দেশটি কীভাবে গত বছর সংঘর্ষের শুরু থেকে মার্কিন সরবরাহকৃত অস্ত্র ব্যবহার করেছে।

যদিও এই প্রতিবেদনটিতে গাজায় কিছু ইসরায়েলি অভিযানের বিরুদ্ধে স্পষ্টভাবেই তিরস্কার করা হয়েছে, তারপরও ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী গাজায় অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে বলে এটিতে নিশ্চিতভাবে বলা হয়নি।

ইসরায়েলকে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ‘অসাধারণ সামরিক চ্যালেঞ্জ’ মোকাবিলা করতে হয়েছিল বলেও এতে বলা হয়েছে। এমনকি এতে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন অস্ত্রের আইনি ব্যবহার মেনে চলার বিষয়ে ইসরায়েলের কাছ থেকে পাওয়া আশ্বাস ছিল ‘বিশ্বাসযোগ্য এবং নির্ভরযোগ্য’ এবং তাই (ইসরায়েলে) অস্ত্রের চালান অব্যাহত রাখা যেতে পারে।

নথিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যেহেতু হামাস ‘সামরিক উদ্দেশ্যে বেসামরিক অবকাঠামো এবং বেসামরিক নাগরিকদের মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে’, তাই সক্রিয় যুদ্ধের মধ্যে বৈধ লক্ষ্যবস্তুগুলো ঠিক কী তা নির্ধারণ করা প্রায়শই কঠিন হয়ে পড়ে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য ইসরায়েলের প্রচেষ্টাকে ‘অসঙ্গত, অকার্যকর এবং অপর্যাপ্ত’ বলে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ এবং মানবিক সংস্থাগুলো।

স্টেট ডিপার্টমেন্ট দেখতে পেয়েছে, সংঘাতের প্রথম মাসগুলোতে গাজায় মানবিক সহায়তা ‘বাড়ানোর’ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার সাথে পুরোপুরি সহযোগিতা করেনি ইসরায়েল। তবে এতে বলা হয়েছে, এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি সরকার গাজায় মার্কিন মানবিক সহায়তা পরিবহন বা বিতরণ নিষিদ্ধ বা অন্য কোনোভাবে সীমাবদ্ধ করছে বলে আমরা এখন মূল্যায়ন করছি না।’

বিবিসি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রতিবেদনটি এমন এক সময়ে প্রকাশিত হলো যার কয়েকদিন আগেই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, রাফাহতে হামলা করলে ইসরায়েলে কিছু অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করবে যুক্তরাষ্ট্র।

তবে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার যে হুমকি প্রেসিডেন্ট বাইডেন দিয়েছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। প্রতিবেদন প্রকাশের কিছুক্ষণ আগে নেতানিয়াহু বলেন, ‘যদি আমাদের প্রয়োজন হয়, আমরা আমাদের নখ দিয়ে লড়াই করব। কিন্তু আমাদের নখের চেয়ে অনেক বেশি আছে।’ এমনকি প্রয়োজনে ইসরায়েল ‘একাই লড়াই করবে’ বলেও দাবি করেন তিনি।


ইসরায়েল   গাজা   আন্তর্জাতিক   আইন   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পৃথিবীতে দুই দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ শক্তিশালী সৌরঝড়ের আঘাত

প্রকাশ: ০৯:৪৩ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

পৃথিবীতে আঘাত হেনেছে ২০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী সৌরঝড়। এর ফলে শুক্রবার (১০ মে) তাসমানিয়া থেকে শুরু করে যুক্তরাজ্যের আকাশে আকর্ষনীয় মহাকাশীয় আলো বা অরোরা দেখা দিয়েছে। বিরল এই সৌরঝড় আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে এবং এর কারণে বিভিন্ন উপগ্রহ ও বৈদ্যুতিক গ্রিডের কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটতে পারে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওসেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ)-এর স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টারের মতে, বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাত ১০টার পর থেকে বেশ কয়েকটি করোনাল ম্যাস ইজেকশনের (সিএমই)-এর ঘটনা ঘটেছে। সূর্য থেকে প্লাজমা এবং চৌম্বক ক্ষেত্র বেরিয়ে আসার ঘটনাকে সিএমই বলা হয়ে থাকে।

পরে এটি ‘মারাত্মক’ ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ে পরিণত হয়। ২০০৩ সালের অক্টোবরে তথাকথিত ‘হ্যালোইন স্টর্মস’-এর পর এ ধরনের ঘটনা এটিই প্রথম। ২১ বছর আগের ওই সৌর ঝড়ে সুইডেনে ব্ল্যাকআউট এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় বিদ্যুৎ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

আগামী দিনগুলোতে আরও সিএমই পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিরল এই সৌরঝড় যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপর্যয়ের শঙ্কা আনলেও একইসঙ্গে তৈরি করেছে মনোমুগ্ধকর দৃশ্যও।

সৌরঝড়ের কারণে বর্তমানে উত্তর ইউরোপ থেকে করে অস্ট্রেলেশিয়া পর্যন্ত অরোরা বা নর্দার্ন লাইট দেখা যাচ্ছে আকাশে। সেই দৃশ্যের ছবি ও ভিডিও ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সম্ভাব্য ব্যাঘাতের জন্য স্যাটেলাইট অপারেটর, এয়ারলাইনস এবং পাওয়ার গ্রিডগুলোকে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সোলার ফ্লেয়ার বা সৌর অগ্নিশিখা সাধারণত আলোর গতিতে ভ্রমণ করে এবং প্রায় আট মিনিটের মধ্যে পৃথিবীতে এসে পৌঁছায়। সেই তুলনায় সিএমইর গতি অনেকটাই ধীর। এর গড় গতি প্রতি সেকেন্ডে ৮০০ কিলোমিটারের মধ্যে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।


সৌরঝড়   যুক্তরাষ্ট্র   নাসা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৬

প্রকাশ: ০৯:৩৭ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভয়াবহ বন্যায় আরও বিপর্যস্ত পড়েছে ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল। আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় পানি বাড়ার শঙ্কায় বানভাসীরা। এদিকে মৃতের সংখ্যা ঠেকেছে ১২৬ জনে বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসির।

বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। চারদিকে পানি আর পানি। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি। পানিবন্দি দেশটির লাখ লাখ বাসিন্দা। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১শ। নিখোঁজ প্রায় ১৪১ জন। বাস্তুহারা হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৩ লাখ। এরমধ্যে আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর।

দুর্গতদের সাহায্যে উদ্ধারকর্মীদের পাশাপাশি এগিয়ে এসেছে স্থানীয় প্রশাসনসহ বিমান বাহিনী এবং ক্রীড়াবিদেরা। ত্রাণ বিতরণ, মানুষ ও পোষা প্রাণিদের উদ্ধারের সহায়তার পাশাপাশি অনুদান নিয়েও এগিয়ে এসেছেন অনেক খেলোয়াড়। আসন্ন অলিম্পিকের স্বপ্নকে দূরে ঠেলে বন্যা কবলিত অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তারা।

সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে আছে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ রিও গ্র্যান্ডে ডো সুলের বাসিন্দারা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, প্রদেশের রাজধানী পোর্তো অ্যালেগ্রে এবং আশেপাশের শহরে পানির স্তর আরো বাড়তে পারে। এদিকে, বন্যার কারণে বিকল হয়ে পড়েছে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। সঙ্কট দেখা দিয়েছে নিরাপদ খাদ্য ও পানির।

এদিকে, বন্যায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন শহর সাও জেরোনিমোতে হেলিকপ্টারে ত্রাণ সরবরাহ করছে দেশটির বিমানবাহিনী। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অতিরিক্ত বৃষ্টিতে শহরটির পাশে বয়ে যাওয়া জাকুই নদীর পানি ফুলে ফেপে উঠেছে। এতে ডুবে গেছে অসংখ্য ঘরবাড়ি।


ব্রাজিল   বন্যা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন