ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নতুন বইয়ে বাইডেনের দীর্ঘ দাম্পত্যজীবনের রহস্য

প্রকাশ: ০৯:৩৮ এএম, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের স্ত্রী বা ফার্স্ট লেডিদের নিয়ে একটি বই লিখেছেন নিউইয়র্ক টাইমসের হোয়াইট হাউস প্রতিনিধি কেটি রজার্স। চলতি সপ্তাহে বইটি প্রকাশিত হয়েছে। সেই বইয়ে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাঁর স্ত্রী জিল বাইডেনের দাম্পত্যজীবনের নানা দিকও এসেছে।

বইটির নাম ‘আমেরিকান উইমেন—দ্য ট্রান্সফরমেশন অব দ্য মডার্ন ফার্স্ট লেডি, ফ্রম হিলারি ক্লিনটন টু জিল বাইডেন’। সেই বইয়ে দাম্পত্যজীবন নিয়ে জো বাইডেনের একটি মন্তব্য রয়েছে। সেই মন্তব্যে বাইডেন বলেছিলেন, দাম্পত্যজীবন দীর্ঘ হওয়ার মূলে রয়েছে ‘আনন্দময় সহবাস’।

বইয়ের ২৭৬ পৃষ্ঠায় মাত্র কয়েকটি অনুচ্ছেদে সহবাস বিষয়ে আলোকপাত করা হলেও বইটি প্রকাশিত হওয়ার পরে সেই অংশটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা শুরু হয়েছে।

কেটি রজার্স লিখেছেন, আলোচনা ছিল ২০০৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন বাইডেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচন করেননি। বাইডেনের উপদেষ্টারা জানান, জিল বাইডেন তাঁর পোশাকে বড় করে ‘না’ লিখে কক্ষে ঢোকার পরই বাইডেন জানান, তিনি নির্বাচন করবেন না।

জো বাইডেন তখন তাঁর একদল সমর্থকদের বলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য নির্বাচন করা নিয়ে তাঁর তেমন আগ্রহ নেই। বাইডেন বলেন, এর বদলে স্ত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ হওয়া তাঁর বেশি পছন্দের।

কেটি রজার্স লিখেছেন, বাইডেনের এমন মন্তব্য শুনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেই সময়ে তাঁর একজন মুখপাত্র তাঁকে বলেছিলেন, ‘সিনেটর বাইডেন তাঁর স্ত্রীর ভালোবাসায় পুরো মজে আছেন।’

কেটি রজার্স লিখেছেন, ‘বাইডেন এখন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে তিনি ঘরের খবর বাইরের মানুষকে তেমন একটা বলেন না। তবে একবার বাইডেন তাঁর উপদেষ্টাদের ঠাট্টাচ্ছলে বলেছিলেন, একটি দীর্ঘ ও সুখী দাম্পত্যজীবনের মূলে রয়েছে “আনন্দময় সহবাস”।’

১৯৭৭ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন জো বাইডেন ও জিল বাইডেন। তবে পঞ্চম দফায় প্রস্তাব দেওয়ার পর জিল বিয়ের ব্যাপারে রাজি হয়েছিলেন। রজার্সের ভাষ্য অনুযায়ী শেষবার বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার সময় বাইডেন জিলকে বলেন,

‘যত সম্ভব আমি ধৈর্য দেখিয়েছি। কিন্তু একজন আইরিশ হিসেবে এটা আমার সঙ্গে যায় না। হয় রাজি হও, না হয় হয়ো না। আমি যাচ্ছি। আর কখনো জিজ্ঞাসা করব না।’

বইয়ে বাইডেনের প্রথম স্ত্রী নেইলিয়া ও তাঁদের সন্তান নাওমির মৃত্যুর বিষয়ও এসেছে। ১৯৭২ সালের এক গাড়ি দুর্ঘটনায় তাঁরা নিহত হন। রজার্স লিখেছেন, এ ঘটনায় মুষড়ে পড়েন বাইডেন।




যুক্তরাষ্ট্র   জো বাইডেন   জিল বাইডেন   মার্কিন প্রেসিডেন্ট   ফার্স্ট লেডি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: মহিষে চড়ে ভোট দিতে গেলেন যুবক, ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশ: ০৮:১১ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভোটাধিকার মানুষের অন্যতম রাজনৈতিক অধিকার। প্রথমবার ভোট দেওয়ার দিনটি মানুষের জীবনে স্মরণীয় একটি দিন বটে। তাই তো ভারতের এক যুবক তার প্রথম ভোটের দিনকে স্মরণীয় করতে মহিষের পিঠে চড়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে এলেন। এরই মধ্যে যুবকের এই কাণ্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। 

ভারতের বিহার রাজ্যের উজিয়ারপুর এলাকার। ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, এক যুবক মহিষে চড়ে ভোট দিতে এসেছেন। কালো শার্ট, ধূসর রঙের প্যান্ট ও মাথায় পাগড়ি পরে আছেন তিনি। মহিষের মাথায়ও সবুজ রঙের কাপড় জড়ানো। তাকে এভাবে আসতে দেখে আশেপাশে লোকজন ভিড় করেছেন। অনেকে ছবি তুলছেন কিংবা ভিডিও করে রেখে দিচ্ছেন তার এই কাণ্ড। 

অজ্ঞাতপরিচয় ওই যুবক বলেন, প্রথমবার ভোট দিতে এসে এক ধরনের উদ্দীপনা কাজ করছে। আশা করি, নির্বাচনে যিনি জিতবেন, তিনি আমাদের গ্রামের দারিদ্র্য দূর করবেন, তরুণদের চাকরি ব্যবস্থা করবেন ও মুদ্রাস্ফীতি কমানোর চেষ্টা করবেন।

বিহারের সমস্তিপুর জেলার উজিয়ারপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ ভোটার। এই আসনে বিভিন্ন দলে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে হেভিওয়েট প্রার্থী হলেন বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। এবার জিতলে এই আসন থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো জয়লাভ করবেন তিনি। তার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরজেডি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আলোক মেহতা।


লোকসভা নির্বাচন   ভোট   ভিডিও   ভাইরাল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: চতুর্থ দফায় পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা

প্রকাশ: ০৭:৪১ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। ভারতের লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ কেন্দ্র করে সহিংসতা ও গণ্ডগোল হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্ধ্রপ্রদেশে। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং প্রধান বিরোধী দল বিজেপি পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে। 

অন্যদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশে তেলেগু দেশম পার্টি এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেসের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। 

নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ভারত জুড়েই একাধিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে ছিল কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী। এছাড়াও নির্বাচন কেন্দ্রিক যেকোনো অশান্তি রুখতে প্রস্তুত রাখা ছিল কুইক রেসপন্স টিম, ফ্লাইং স্কোয়াড, ভিডিও সার্ভেলেন্স টিম, স্ট্যাটিক সার্ভেলেন্স টিমের সদস্যরা। কিন্তু ঠেকানো গেলো না সহিংসতা। ঝরলো রক্ত, প্রাণ গেল। গণমাধ্যমের গাড়িও হামলার শিকার হয়েছে।

সোমবার চতুর্থ দফায় ১০টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জুড়ে ৯৬টি সংসদীয় আসনে ভোট নেওয়া হয়। এই কেন্দ্রগুলি হল- অন্ধ্রপ্রদেশের (২৫), তেলেঙ্গানা (১৭), উত্তরপ্রদেশ (১৩), মহারাষ্ট্র (১১), পশ্চিমবঙ্গ (৮), মধ্য প্রদেশ (৮), বিহার (৫), ঝাড়খন্ড (৪), ওড়িশা (৪) এবং  জম্মু-কাশ্মীর (১)। 

লোকসভার পাশাপাশি এদিন অন্ধপ্রদেশের ১৭৫ আসনে এবং উড়িষ্যার ২৮টি আসনে বিধানসভার ভোট নেওয়া হয়। 

গোটা ভারতে ভোট শুরু হয় স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় তা চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। কিন্তু ভোট শুরুর আগে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসাতায় প্রাণ যায় এক তৃণমূল কর্মীর। বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কেতুগ্রামের চেঁচুড়ি গ্রামে তাকে হত্যা করা হয়। রবিবার রাতে মিন্টু শেখ নামে ৪৫ বছর বয়সি ওই ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর পাশাপাশি বোমা মেরে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে খবর মিন্টু শেখ যখন তার এক সঙ্গীকে নিয়ে বাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন, সে সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার বাইক আটকায়। তিনি বাইক থামাতেই তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। 

এদিন সকালের দিকে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের মন্তেশ্বর ব্লকের টুললা এলাকায় বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা। দিলীপ ঘোষের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে এক গ্রামবাসী। এ সময় দিলীপ ঘোষকে ঘিরে 'গো ব্যাক' স্লোগানও দেওয়া হয়। এই সংবাদসংগ্রহ করতে গিয়ে গণমাধ্যমের গাড়িও ভাংচুর করা হয়। বেলা গড়াতেই বিকেলে ফের দিলীপ ঘোষের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। বর্ধমান-উত্তর ২০৪ নম্বর বুথের দলীয় এজেন্টকে বের করে দেওয়ার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান দিলীপ ঘোষ। এই হামলায় আহত হন দিলীপ ঘোষের দুই নিরাপত্তারক্ষী। এর মধ্যে একজনের মাথা ফেটে রক্ত বেরোতে থাকে। নিরাপত্তা রক্ষীদের গাড়ি বহরেও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। 

দুর্গাপুর ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি কর্মীদের মারধর ও গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী ও এলাকাবাসী রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। 

কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তেহট্টের রামজীবনপুরের কয়েকটি বুথে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ভোট দিতে আসার সময় বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বাঁশ ও লাঠি দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমুলের দাবি এটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। 

ভোট পরিদর্শনে গিয়ে গ্রামবাসীদের অভাব অভিযোগের মুখে পড়েন বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। 

বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের নানুর বিধানসভার অধীন আট গ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি বুথে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এছাড়া একাধিক জায়গা থেকেই ইভিএম বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটে, ফলে সেইসব কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হতে দেরী হয় কিভাবে সেসব কেন্দ্রগুলিতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। 

দুর্গাপুরে তানসেন রোডের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিস ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ তারা যখন মধ্যাহ্ন ভোজনের জন্য গিয়েছিলেন সেই সুযোগে বিজেপির বহিরাগতরা বাইক বাহিনী নিয়ে এসে তাদের নারী সদস্যদের উপর হামলা চালায় এবং ক্যাম্প অফিসে ভাঙচুর করে। এই ঘটনায় তৃণমূলের বেশ কয়েকজন মহিলা তৃণমূল কর্মী আহত হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি লেগে গেলে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় পুলিশ বাহিনী। 

এ দফায় ভারতে মোট ভোটার ছিল ১৭ কোটি ৭০ লাখ। ভাগ্য নির্ধারণ হয় মোট ১৭১৭ জন প্রার্থীর। হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (বেগুসারাই), বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা (কুন্তী), সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব (কনৌজ), সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কংগ্রেস প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরী (বহরমপুর), ওই কেন্দ্রেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সাবেক ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান, তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র (কৃষ্ণনগর), তৃণমূলের প্রার্থী অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা (আসানসোল), তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী শতাব্দী রায় (বীরভূম), তৃণমূল নেত্রী সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ (বর্ধমান-দুর্গাপুর), ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রার্থী ওমর আব্দুল্লাহ (জম্মু-কাশ্মীর), অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েসি (হায়দরাবাদ)। 

ভোটের পরবর্তী ধাপে পঞ্চম দফা ২০ মে, ষষ্ঠ দফা ২৬ মে এবং সপ্তম ও শেষ দফার ভোট ১ জুন। গণনা আগামী ৪ জুন।


লোকসভা নির্বাচন   চতুর্থ দফা. পশ্চিমবঙ্গ   সহিংসতা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাফা ছেড়ে পালালেন ৩ লাখ ফিলিস্তিনি

প্রকাশ: ০৬:৫২ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বেশিরভাগই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এখন বাকি রয়েছে অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটির রাফা শহর। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় এই শহরেই ইতোমধ্যেই হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল।

আর এরই জেরে শহরটি ছেড়ে ইতোমধ্যেই পালিয়ে গেছেন ৩ লাখ মানুষ। জাতিসংঘ এই তথ্য সামনে এনেছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজার অন্যান্য অংশ থেকে এসব মানুষ এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

রোববার (১২ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ৩ লাখ মানুষ গত সপ্তাহে রাফা থেকে পালিয়ে গেছে বলে গাজায় ফিলিস্তিনিদের সাহায্যকারী জাতিসংঘের প্রধান সংস্থা রোববার জানিয়েছে। ইসরায়েলি আগ্রাসন থেকে বাঁচতে গাজা উপত্যকার দক্ষিণ প্রান্তের এই শহরটি গত সাত মাস ধরে ১০ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষের কাছে আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে।

ইসরায়েলি সরকার রাফা এবং গাজার অন্যত্র নতুন স্থানান্তর আদেশ জারি করার কয়েক ঘণ্টা পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘোষণা দেয় ইউএনআরডব্লিউএ নামে পরিচিত জাতিসংঘের সংস্থা। আন্তর্জাতিক সতর্কতা সত্ত্বেও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী শহরটিতে আক্রমণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে গত কয়েকদিনে আশঙ্কা আরও গভীর হয়েছে।


রাফা   ফিলিস্তিন   জাতিসংঘ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউক্রেনের ৩১টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি রাশিয়ার

প্রকাশ: ০৬:২৮ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ক্রিমিয়াসহ রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে রাতভর পাঠানো ইউক্রেনের ৩১টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রাম চ্যানেলে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, রাতে কিয়েভ সরকার ড্রোনের সাহায্যে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর নতুন প্রচেষ্টা করে। রুশ ফেডারেশনের ভূখণ্ডে লক্ষ্যবস্তু বানচাল করা হয়েছে। 

ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী বেলগোরোদ অঞ্চলে ১২টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। এই অঞ্চলে ইউক্রেনের হামলায় ১৫ জন নিহত হয়। ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চলে আটটি এবং পার্শ্ববর্তী লিপেটস্ক অঞ্চলে চারটি ড্রোন প্রতিহত করা হয়েছে। এ বিষয়ে ইউক্রেনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


ইউক্রেন   ড্রোন   রাশিয়া  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের সদস্যপদে দেখতে চান উত্তর কোরিয়া

প্রকাশ: ০৫:১৬ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দিতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।  সাধারণ পরিষদে এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে উত্তর কোরিয়া। 

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া রবিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের একটি প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে যে প্রস্তাবে ফিলিস্তিনকে পর্যবেক্ষকের মর্যাদায় 'অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা' দিয়েছে এবং জাতিসংঘের ১৯৪তম সদস্য হওয়ার জন্য ফিলিস্তিনের আবেদন পুনর্বিবেচনা করার জন্য নিরাপত্তা পরিষদকে আহ্বান জানানো হয়েছে। 

উত্তর কোরিয়ার সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) একটি বিবৃতি উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, 'উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাবটিকে সমর্থন করেছে এবং এটিকে সময়োপযোগী বলে মনে করেছে।'

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রস্তাবটি মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃঢ় আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করে।

'দুই-রাষ্ট্র সমাধান নীতি' এর উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের 'এক ইহুদি রাষ্ট্র নীতি' এর নিন্দা করা হয়েছে। একই সাথে ১৮ এপ্রিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রাসঙ্গিক খসড়া প্রস্তাবে ওয়াশিংটনের ভেটোর সমালোচনা করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারিত্বের অবসান এবং একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে উত্তর কোরিয়া ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি তার পূর্ণ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।


ফিলিস্তিন   জাতিসংঘ   সদস্যপদ   উত্তর কোরিয়া  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন