ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

খাদ্যাভাবে মারা যাচ্ছে গাজার শিশুরা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

প্রকাশ: ১১:১৫ এএম, ০৫ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ইসরাইলের ক্রমাগত হামলায় অবরুদ্ধ্ব গাজা ভূখণ্ড এখন মৃত্যুপুরী। স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জার পাশাপাশি হাসপাতালেও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলিরা। এতে করে হাসপাতাল কতৃপক্ষ পড়েছেন বিপাকে, ভেঙ্গে পড়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। তীব্র মানবিক সংকটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গাজার জনজীবন। এদিকে গাজার উত্তরাঞ্চলে খাদ্যের অভাবে প্রাণ হারাছেন অনেক শিশু। এমন তথ্যই জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস।

অপুষ্টির শিকার এই সিশুদের শারীরিক অবনতির কথাও জানান তিনি। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

গত বছরের অক্টোবরে সংঘাত শুরুর পর থেকে এই সপ্তাহান্তে প্রথমবারের মতো আল-আওদা এবং কামাল আদওয়ান হাসপাতাল পরিদর্শন করে তার সংস্থা, এমনটাই জানান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস ।

পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া একটি পোস্টে হাসপাতাল পরিদর্শনের পর তিনি ‘গুরুতর ফলাফল’ পাওয়ার কথা বলেন। পোস্টে টেড্রোস লিখেছেন, খাবারের অভাবের ফলে ১০ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং গাজার শিশুরা ‘গুরুতর মাত্রায় অপুষ্টির’ শিকার হয়েছে। হাসপাতাল ভবনগুলোও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছ

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোববার জানিয়েছে, কামাল আদওয়ান হাসপাতালে অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার কারণে অন্তত ১৫ শিশু মারা গেছে। ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা সোমবার জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরের একটি হাসপাতালে রোববার ১৬তম শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস বলছেন, উত্তর গাজায় মারাত্মক মাত্রায় অপুষ্টি রয়েছে, শিশুরা অনাহারে মারা যাচ্ছে, জ্বালানি, খাদ্য ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের গুরুতর ঘাটতি রয়েছে এবং হাসপাতাল ভবনগুলোও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। গাজার এই অঞ্চলে আনুমানিক ৩ লাখ মানুষ খুবই অল্প খাদ্য বা বিশুদ্ধ পানি নিয়ে বসবাস করছে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া ওই পোস্টে তিনি আরও বলেছেন, ‘খাদ্যের অভাবে ১০ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।’

তিনি লিখেছেন, ‘গাজার উত্তরাঞ্চলে আরও নিয়মিত যাওয়ার সুযোগ পাওয়ার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও গত কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ডব্লিউএইচওর প্রথম সফর ছিল এটিই। আল-আওদা হাসপাতালের পরিস্থিতি বিশেষভাবে খুবই ভয়াবহ, সেখানকার একটি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে।’

এর আগে জাতিসংঘ গত সপ্তাহে বলেছিল, গাজায় দুর্ভিক্ষ ‘প্রায় অনিবার্য’। জাতিসংঘের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছেন, গাজা উপত্যকাজুড়ে কমপক্ষে ৫ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ - যা ভূখণ্ডটির মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ - বিপর্যয়কর মাত্রার খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হয়েছেন এবং গাজার উত্তরাঞ্চলে দুই বছরের কম বয়সী প্রতি ছয়জন শিশুর মধ্যে একজন তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে।

জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের আঞ্চলিক পরিচালক বলেছেন, ‘আমরা যে শিশু মৃত্যুর আশঙ্কা করছিলাম তা এখানে বিদ্যমান রয়েছে। অপুষ্টি গাজা উপত্যকাকে ধ্বংস করছে।’

মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় ইউনিসেফের আঞ্চলিক পরিচালক অ্যাডেল খোদর এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘গাজার অবশিষ্ট যে কয়েকটি হাসপাতাল চালু আছে তার মধ্যে কোথাও কোথাও সম্ভবত আরও বেশি শিশু তাদের জীবন বাঁচানোর জন্য লড়াই করছে এবং ভূখণ্ডটির উত্তরাঞ্চলে সম্ভবত আরও বেশি শিশু সঠিক যত্ন ও পরিষেবা পাচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘এই মর্মান্তিক এবং ভয়াবহ মৃত্যু মানবসৃষ্ট, পূর্বাভাসযোগ্য এবং সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধযোগ্য।’

জাতিসংঘের এই সংস্থার তথ্য অনুসারে, প্রায় ১৬ শতাংশ বা দুই বছরের কম বয়সী প্রতি ছয়জন শিশুর মধ্যে একজন উত্তর গাজায় তীব্রভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে। অ্যাডেল খোদর সতর্ক করে বলেন, ‘এখন, আমরা যে শিশু মৃত্যুর আশঙ্কা করছিলাম তা এখানে বিদ্যমান রয়েছে এবং যুদ্ধ শেষ না হলে ও মানবিক ত্রাণ বিতরণে প্রতিবন্ধকতাগুলো অবিলম্বে সমাধান করা না হলে তা (শিশু মৃত্যু) দ্রুত বাড়তে পারে।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার ৫৩৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭১ হাজার ৯৮০ জন।

এদিকে ইসরায়েল গাজার ওপর কঠোর অবরোধ আরোপ করে রেখেছে এবং এই পদক্ষেপ গাজার ফিলিস্তিনিদের বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের অনাহারের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে।


গাজা   শিশু হত্যা   বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আরও এক ব্যাংকের পতন যুক্তরাষ্ট্রে

প্রকাশ: ০৬:৫১ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এবার আরেকটি ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিল যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ‘রিপাবলিক ফার্স্ট ব্যাংক করপোরেশন’ নামক ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ তারা। ইতিমধ্যে এ ব্যাংকটি তারা ফুলটন ব্যাংকের কাছে বিক্রি করতেও রাজি হয়েছে।

ফিলাডেলফিয়া-ভিত্তিক রিপাবলিক ফার্স্ট ব্যাংকটি নতুন বিনিয়োগ নিয়ে বেশ কিছু বিনিয়োগকারীর সঙ্গে আলোচনায় ছিল। কিন্তু এসব আলোচনা শেষ পর্যন্ত কোনো ফল আনতে না পারায় পেনসিলভানিয়া ডিপার্টমেন্ট অব ব্যাংকিং অ্যান্ড সিকিউরিটিজ এ ব্যাংকটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের চারটি আঞ্চলিক ব্যাংকের পতনের পর আরও একটি আঞ্চলিক ব্যাংকের এই পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাচ্ছে, দেশটির আঞ্চলিক ব্যাংকগুলোর কী অবস্থা।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশন রিসিভার হিসেবে কাজ করবে। গত শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) তারা বলেছে, আমানতকারীদের সুরক্ষা দিতে ফুলটন ব্যাংক রিপাবলিক ব্যাংকের সব আমানত অধিগ্রহণ করার পাশাপাশি সব সম্পদ কিনে নেবে।

চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত রিপাবলিক ব্যাংকের মোট সম্পদমূল্য ছিল ৬ বিলিয়ন বা ৬০০ কোটি ডলার; তাদের আমানত ৪ বিলিয়ন বা ৪০০ কোটি ডলার। এফডিআইসির আনুমানিক হিসাব, এই ব্যাংকের ব্যর্থতায় তাদের ক্ষতির পরিমাণ ৬৬৭ মিলিয়ন বা ৬৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে।

এদিকে আমানত ছাড়াও রিপাবলিকের ঋণ ও অন্যান্য দায়ের পরিমাণ প্রায় ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ১৩০ কোটি ডলার, এক বিবৃতিতে এ তথ্য দিয়েছে ফুলটন। তারা আরও বলেছে, এই রিপাবলিক ফার্স্ট ব্যাংক কেনার মধ্য দিয়ে ফিলাডেলফিয়া অঞ্চলে তাদের প্রভাব আরও বাড়বে। দুই ব্যাংকের সম্মিলিত আমানতের পরিমাণ ৮ দশমিক ৬ বিলিয়ন বা ৮৬০ কোটি ডলারে উঠতে পারে।

গত বছর যেভাবে ব্যাংক কেনাবেচা হয়েছিল, এবারও সেই পদ্ধতিতে হবে। এমনভাবে তা করা হচ্ছে যাতে গ্রাহকদের গায়ে বিশেষ আঁচড় না লাগে। আগামী সোমবার অর্থাৎ ওইদিন স্থানীয় সময় সকালে নিউ জার্সি, পেনসিলভানিয়া ও নিউইয়র্কে রিপাবলিক ব্যাংকের ৩২টি শাখা ফুলটন ব্যাংকের শাখা হিসেবে কার্যক্রম শুরু করবে। দুরবস্থা কাটিয়ে উঠতে গত বছর বিনিয়োগকারী জর্জ নরক্রস এবং ফিলপ নরক্রসের সঙ্গে চুক্তি করে রিপাবলিক ফার্স্ট ব্যাংক। কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এই উদ্যোগ ব্যর্থ হয়।

ওয়াল স্ট্রিটের সূত্রে রয়টার্স বলেছে, সেই চুক্তি ব্যর্থ হওয়ার পর এফডিআইসি যথারীতি ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে এটি বিক্রি করার চেষ্টা করে। মুনাফা বাড়াতে না পেরে ও উচ্চ ব্যয়ের চাপে ২০২৩ সালে কর্মী ছাঁটাই করার পাশাপাশি মর্টগেজ ব্যবসা থেকে সরে আসে রিপাবলিক ফার্স্ট ব্যাংক।

এই পরিস্থিতিতে রিপাবলিক ফার্স্টের শেয়ারের দামেও পতন ঘটে। বছরের শুরুতে ব্যাংকটির শেয়ারের দাম ছিল দুই ডলারের কিছুটা ওপরে, এখন তা দাঁড়িয়েছে এক সেন্টের সামান্য বেশি। ব্যাংকটির বাজার মূলধন কমে ২০ লাখ ডলারের নিচে নেমে এসেছে। ফলে এই ব্যাংক কোম্পানিটির শেয়ার নাসডাকের লেনদেন থেকে বাদ পড়েছে। এখন শুধু ওটিসিতে লেনদেন হয় তাদের শেয়ার।

২০২৩ সালে বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশের ব্যাংক খাত চাপের মুখেই ছিল। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে চারটি ব্যাংকের পতন হয়, আর সুইজারল্যান্ডের অন্যতম বড় ব্যাংক ক্রেডিট সুইসও বিক্রি হয়ে যায়। বছরের প্রথম ভাগে যুক্তরাষ্ট্রে পরপর দুটি ব্যাংকের পতনের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে আর্থিক খাতে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল। একই বছরে যুক্তরাষ্ট্রে তিন দিনের ব্যবধানে দুটি ব্যাংকের পতন হলে অনেকের মনেই এমন শঙ্কা তৈরি হয় যে ২০০৭-০৮ সালের আর্থিক সংকটের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে কি না। তবে শেষ পর্যন্ত তা ঘটেনি। বছরের শেষ ভাগে এসে অবশ্য আর্থিক খাতে তেমন সংকট দেখা যায়নি। তবে এবার ২০২৪ সালের এপ্রিলে মাসে এসে আবার আরেকটি ব্যাংকের পতন হলো।

ব্যাংকের এই পতনে অবশ্য গ্রাহকদের বিশেষ ক্ষতি হয়নি। নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো শুরু থেকেই সোচ্চার থাকায় তেমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।


ব্যাংক   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফেসিয়াল থেকে এইডসে আক্রান্ত

প্রকাশ: ০৩:৪০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

অনেকেই দীর্ঘ সময়ের জন্য তরুণ দেখাতে কসমেটিক সার্জারি এবং মুখে ইনজেকশনের মাধ্যমে ত্বক সুন্দর ও টানটান রাখতে 'ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল' করেন। সম্প্রতি এই ফেসিয়াল সংক্রান্ত ভীতিকর তথ্য সামনে এসেছে। ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল করে এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ জন নারী। 

বৃহস্পতিবার(২৫ এপ্রিল) ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ অ্যান্ড কন্ট্রোল (সিডিসি) জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো রাজ্যের একটি স্পা'তে ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল করার কারণে সম্ভবত নারীরা এইচআইভিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। 

সিডিসি বলেছে, কসমেটিক ইনজেকশনের মাধ্যমে এইচআইভি সংক্রমণের ঘটনা এটাই প্রথম। এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছে কিনা তাদের জানা নেই। আক্রান্ত মহিলারা লাইসেন্সবিহীন স্পা থেকে ফেসিয়াল করিয়েছিলেন ২০১৮ সালে।

সিডিসির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে একজন মহিলা মেক্সিকোতে একটি লাইসেন্সবিহীন স্পা থেকে প্লেটলেট সমৃদ্ধ প্লাজমা মাইক্রোনিডলিং পদ্ধতির মাধ্যমে ফেসিয়াল করিয়েছিলেন। তারপরে তিনি এইচআইভি পজিটিভ ছিলেন। এরপরে 'সিডিসি' নিউ মেক্সিকোর স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে কসমেটিক ইনজেকশনের মাধ্যমে কীভাবে এইচআইভি সংক্রমণ ঘটেছে তা তদন্ত করে। 

সিডিসি জানিয়েছে, যে মহিলাটি ইনজেকশনের মাধ্যমে ওষুধ গ্রহণ করেননি, তাকে সংক্রামিত রক্ত সঞ্চালনও দেওয়া হয়নি বা এইচআইভি সংক্রামিত কোনও সঙ্গীর সঙ্গে তার যৌন সম্পর্কও হয়নি। তিনি শুধু একটি ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল করেছেন এবং এরপরে তার এইচআইভি পরীক্ষা পজিটিভ পাওয়া গেছে।

২০১৯ সালে নিউ মেক্সিকো হেলথ ডিপার্টমেন্ট বলেছিল, আলবুকার্কের ভিআইপি স্পা-তে ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল গ্রহণের ফলে এইচআইভি সংক্রমণ হয়েছিল। স্পাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এবং সে সময় স্বাস্থ্য বিভাগ বলেছিল, যারা স্পাটিতে ফেসিয়াল করেছেন তাদের এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি এবং হেপাটাইটিস সি বিনামূল্যে পরীক্ষা করা হবে।

সিডিসি বলছে, ২০২৩ সালের মধ্যে চারজন মহিলা এবং একজন পুরুষসহ পাঁচজন এইচআইভি রোগী শনাক্ত হয়েছে। পুরুষটি সেই চারজন নারীর একজনের স্বামী।

সিডিসি জানিয়েছে, দুইজন এইচআইভি-আক্রান্ত রোগী বলেছেন, তারা কসমেটিক ইনজেকশন নেওয়ার আগে কোনোভাবে সংক্রামিত হয়ে থাকতে পারেন। তবে তিনজন রোগী স্পা থেকে এই সংক্রমণ পেয়েছেন। আমেরিকান একাডেমি অব ডার্মাটোলজি জানিয়েছে, ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল পদ্ধতিতে ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা সময় লাগে।

বার্ধক্যের লক্ষণ লুকানোর জন্য মানুষ ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল চিকিৎসা গ্রহণ করে থাকে৷ এতে হাত থেকে রক্ত বের করে একই ব্যক্তির মুখে ইনজেকশন দেওয়া হ


ফেসিয়াল   এইডস   আক্রান্ত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মাঝরাতে আইসক্রিম খাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো ইতালি

প্রকাশ: ১২:৪৮ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যরাতের পর আইসক্রিম খাওয়া নিষিদ্ধ করে একটি আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে ইতালির মিলানে। বাসিন্দাদের প্রশান্তির স্বার্থে এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে মিলানের স্থানীয় সরকার। 

ইতালির সংস্কৃতির অংশ হয়ে আছে আইসক্রিম। অনেকেই গভীর রাতে আইসক্রিম খেয়ে থাকেন। প্রস্তাবিত নতুন আইনের অধীন এভাবে আইসক্রিম খাওয়াকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।

মিলান শহরের স্থানীয় সরকার ইতিমধ্যে আইনের খসড়া তৈরি করে আইনসভায় জমা দিয়েছে। যদি প্রস্তাবিত আইনটি পাস হয়ে যায়, তাহলে আগামী মাস থেকে মধ্যরাতের পর আইসক্রিম খাওয়া নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে।

মিলানের ১২টি এলাকায় আইনটি কার্যকর হবে। এই আইনের অধীনে মধ্যরাতের পর পিৎজা, পানীয়সহ সব ধরনের খাবার বাড়িতে সরবরাহ করা নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। শহরের সড়কে রাতের বেলায় যাতে হইচই না হয় এবং বাসিন্দারা প্রশান্তিতে থাকতে পারেন, সে জন্য এই আইন করা হচ্ছে।

মিলানের ডেপুটি মেয়র মার্কো গ্র্যানেলি বলেন, সামাজিকতা ও বিনোদনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা এবং বাসিন্দাদের শান্তি ও প্রশান্তির কথা বিবেচনায় নিয়ে এই আইনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত এই আইন 'মধ্য মে' থেকে কার্যকর এবং নভেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। 

সপ্তাহের কর্মদিবসে রাত সাড়ে ১২টা এবং সাপ্তাহিক ও অন্যান্য ছুটির দিনে রাত দেড়টা থেকে আইনটির প্রয়োগ শুরু হবে। সড়ককে কোলাহলমুক্ত রাখতে খোলা আকাশের নিচে বসানো খাবার টেবিলে এই আইনের প্রয়োগ করা হবে।

নাগরিকেরা চাইলে মে মাসের গোড়ার দিকে প্রস্তাবিত আইনের কোনো ধারার পরিবর্তন বা সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

মধ্যরাতে আইসক্রিম খাওয়া বন্ধে মিলানের স্থানীয় সরকার এবারই যে প্রথম উদ্যোগ নিচ্ছে, তা নয়। এর আগে ২০১৩ সালে তৎকালীন মেয়র জুইলিয়ানো পিসাপিয়া মধ্যরাতের পর আইসক্রিম নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে তুমুল সমালোচনার মুখে তিনি পিছু হটতে বাধ্য হন।


আইসক্রিম   নিষিদ্ধ   ইতালি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জার্মানির বিরুদ্ধে মামলার রায় ৩০ এপ্রিল

প্রকাশ: ১১:৫৩ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল চলমান যুদ্ধে গণগত্যা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ইসরায়েলের এই অমানবিক কর্মকাণ্ডে সহায়তার অভিযোগ এনে জার্মানির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা করে মধ্য আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়া।

আগামী ৩০ এপ্রিল সেই মামলার রায়ের দিন ঘোষণা করেছে আইসিজে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইসিজে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে- ইসরায়েলকে আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দিয়ে গণহত্যা ‘সহজতর’ করার দায়ে জার্মানিকে অভিযুক্ত করে ১ মার্চ নিকারাগুয়া যে মামলা করে তার রায় ৩০ এপ্রিল ঘোষণা করা হবে।

বিবৃতি অনুসারে, দ্য হেগের পিস প্যালেসে ওই দিন স্থানীয় সময় বিকাল তিনটায় আদালতের প্রধান বিচারপতি নওয়াফ সালাম মামলার রায় পাঠ করবেন।

নিকারাগুয়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের কাছে ‘জার্মানিকে ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা বন্ধ করার নির্দেশ এবং গাজা উপত্যকায় আন্তর্জাতিক আইনের অন্যান্য বিধিনিষেধের বিষয়ে’ জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা জারি করার অনুরোধ জানিয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৪,৩৫৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। এছাড়াও আহত হয়েছে ৭৭,৩৬৮ ফিলিস্তিনি।


জার্মান   বিরুদ্ধে   মামলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের সঙ্গে সশস্ত্র লড়াই বন্ধে ইচ্ছুক হামাস

প্রকাশ: ১১:৪৮ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের সঙ্গে সশস্ত্র লড়াই বন্ধে ইচ্ছুক ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তবে তাদের একটি শর্ত রয়েছে। সংগঠনটির কয়েকজন নেতা এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। তা হলো, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েল যেসব অঞ্চল দখল করেছিল, ওই অঞ্চলগুলো নিয়ে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। 

২০০৭ সাল থেকে গাজা শাসন করেছে হামাস। ইসরায়েলের পতনের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। তবে গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় উপত্যকাটিতে হামাসের ভবিষ্যৎ অনেকটাই অনিশ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে সংগঠনটির নেতাদের এ ইঙ্গিতে বোঝা যায়, আগের অবস্থান নিয়ে সুর নরম করছেন তারা।

হামাসের এই নেতাদের একজন তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বসবাসকারী বাসেম নাইম। তিনি হামাসের রাজনৈতিক শাখার সদস্য। বৃহস্পতিবার নাইম যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, জেরুজালেমকে রাজধানী করে যদি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করা হয়, আর শরণার্থীদের সেখানে ফেরার অধিকার দেওয়া হয়, তাহলে আল কাশেম ব্রিগেডকে (হামাসের সামরিক শাখা) ভবিষ্যতে জাতীয় সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। 

হামাসের শর্তগুলো মেনে নেওয়া হলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াই 'অবশ্যই' বন্ধ করা হবে বলেও জানিয়েছেন বাসেম নাইম। তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) যদি তাদের গঠনতন্ত্র ও প্রশাসনে 'সংস্কার' আনে, তাহলে সংগঠনটির সঙ্গে যোগ দিতে চায় হামাস।

তবে হামাসের নেতারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শর্ত সাপেক্ষে অস্ত্র প্রত্যাহারের কথা বললেও আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এখনো কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। আর বিদেশে অবস্থান করা হামাসের নেতাদের বক্তব্য গাজায় থাকা সংগঠনটির সামরিক শাখার নেতাদের চিন্তাভাবনার সঙ্গে মেলে কি না, তা স্পষ্ট নয়।

হামাস বরাবরই স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠায় দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের বিরোধিতা করে আসছে। দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান অনুযায়ী, ইসরায়েলের পাশাপাশি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করা হবে। এর বিপরীতে এত দিন  ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক সব অঞ্চল নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গড়ে তোলার কথা বলে এসেছে হামাস। এসব অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে আজকের ইসরায়েল, অধিকৃত পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ও গাজা।


ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন