ভারতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দেশটির উত্তরপ্রদেশের আমেথি আসন থেকে নির্বাচনে লড়বেন কংগ্রেস নেতা রাহুল।
বুধবার (৬ মার্চ) এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন উত্তর প্রদেশের কংগ্রেসের জেলা সভাপতি প্রদীপ সিংঘল।
দিল্লিতে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রদীপ সে সময় তিনি বলেন, আমেথি থেকে কংগ্রেসের টিকিটে রাহুলই প্রার্থী হচ্ছেন এবং খুব শিগগিরই তার নামটি ঘোষণা করা হবে।
১৯৬৭ সালে 'আমেথি' লোকসভার কেন্দ্র হিসেবে গঠন হওয়ার পর থেকেই কংগ্রেসের কাছে শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত ছিল। ১৯৭৭ সালে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধীর ছোট পুত্র সঞ্জয় গান্ধী প্রথমবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও হারতে হয়েছিল সঞ্জয়কে। যদিও ১৯৮০ সালে ওই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন সঞ্জয়। কিন্তু ১৯৮১ সালে প্লেন দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়। সঞ্জয়ের মৃত্যুর পর তার বড় ভাই রাজীব গান্ধী রাজনীতিতে যোগদান করেন এবং ওই বছরেই আমেথি থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন রাজীব। এরপর ১৯৮৪, ১৯৮৯ এবং ১৯৯১ সালে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ওই কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন রাজীব গান্ধী।
১৯৯৯ সালে আমেথি কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হন রাজীব গান্ধীর স্ত্রী সোনিয়া গান্ধী। ২০০৪ সালে তিনি 'আমেথি'র বদলে উত্তরপ্রদেশের 'রায়বেরেলি' কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং জয়লাভ করেন। এরপর সোনিয়ার ছেড়ে যাওয়া আসনে আমেথি কেন্দ্র থেকে লড়াই করে আসছেন পুত্র রাহুল গান্ধী। ২০০৪ সাল থেকে পরপর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন রাহুল। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে এক লাখেরও বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু শেষবার ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই আমেথি কেন্দ্রে স্মৃতি ইরানির কাছে ৫৫ হাজারের বেশি ভোটে হেরে যান রাহুল। যদিও গত নির্বাচনে আমেথির পাশাপাশি কেরলের 'ওয়েনাড' কেন্দ্র থেকেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন রাহুল। সিপিআই প্রার্থী পিপি সুনিরকে ৪ লাখ ৩১ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে লোকসভার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী।
আমেথি কেন্দ্রে শেষ পর্যন্ত রাহুল প্রার্থী হলে ফের একবার স্মৃতি ইরানির মুখোমুখি হতে হবে। কারণ ইতোমধ্যেই ওই কেন্দ্র থেকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে স্মৃতি ইরানির নাম ঘোষণা দিয়েছে বিজেপি।
অন্যদিকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের রায়বেরেলি কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী হতে পারেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদরা। অন্তত এমনটাই জল্পনা। আমেথির মতো রায়বেরেলি কেন্দ্রটিও কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। ২০০৪, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে পরপর তিনবার ওই আসনটিতে জিতেছেন সোনিয়া। এমনকি শেষবার ২০১৯ সালের নির্বাচনে দেশজুড়ে কংগ্রেসের অত্যন্ত খারাপ ফলের মধ্যেও রায়বেরেলি আসন আসনটি নিজের দখলে ধরে রাখতে পেরেছিলেন তিনি। এই কেন্দ্র থেকেই প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধী তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সম্প্রতি এই লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সোনিয়া গান্ধী রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে মায়ের ছেড়ে যাওয়া আসনটিতে এবার প্রিয়াঙ্কা লড়তে পারেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। আর তাই যদি হয়, তবে এটাই হবে তার প্রথম নির্বাচনী লড়াই। কারণ, গত ২০১৯ সালের নির্বাচনে বারাণসী কেন্দ্রে মোদির বিরুদ্ধে প্রিয়াঙ্কার দাঁড়ানোর জল্পনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।
ভারতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচন রাহুল গান্ধী প্রিয়াঙ্কা
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বর্জন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে আন্দোলন দমাতে শত শত বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ।
গত ১৮ এপ্রিল নিউইয়র্ক পুলিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থী একটি শিবির সরিয়ে নেয় এবং শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে। এর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলো থেকে অন্তত ৯০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এরপর থেকে কয়েক ডজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে শিবির স্থাপন করেছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রিকারী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছে।
আল জাজিরার খবর অনুসারে, শনিবার বোস্টনের নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি, ব্লুমিংটনের ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি এবং সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভ থেকে ২৯০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এছাড়া ক্যালিফোর্নিয়া, জর্জিয়া এবং টেক্সাসের বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ সদস্যরা তাদের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা ভোট গ্রহণ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ‘গণহত্যা থেকে বিচ্ছিন্ন’ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। যেসব প্রতিষ্ঠান অস্ত্র উৎপাদনসহ নানা উপায়ে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় সহযোগিতা করছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের বৃত্তি না দেওয়ার দাবিও তুলেছেন তারা।
ইসরাইল বিক্ষোভ উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র গ্রেপ্তার ৯০০
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ভয়াবহ তাপপ্রবাহ। গত কয়েকদিন ধরে অসহনীয় তাপমাত্রা সহ্য করতে পারছেন না মানুষ। ফলে হিটস্ট্রোকসহ অন্যান্য স্বাস্থগত ঝুঁকিতে পড়ছেন মানুষ। শুধু বাংলাদেশ নয়, তালিকায় আগে ভারত, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডেও।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, এসব দেশে এপ্রিল মাসে সবচেয়ে বেশি তাপ পরিলক্ষিত হয়েছে। কিন্তু আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা ‘এল নিনোর’ কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এল নিনো এই অঞ্চলে উষ্ণ পানি ও শুষ্ক অবস্থা নিয়ে আসে। বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এটির প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে।
এখন প্রশ্ন হলো- এল নিনো কী? ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের তথ্য অনুযায়ী, এল নিনো হলো একটি জলবায়ু প্যাটার্ন। এটির মাধ্যমে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের পানি উষ্ণ হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, সমুদ্রের তাপমাত্রা, গতি, মহাসাগরীয় স্রোত, উপকূলীয় মৎস্যসম্পদের স্বাস্থ্য এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে দক্ষিণ আমেরিকার এবং এরও বাইরের অঞ্চলের ওপর প্রভাব পড়ে। এল নিনো দুই থেকে সাত বছরের বিরতি দিয়ে অনিয়মিতভাবে হয়ে থাকে। এটি কোনো নিয়মিত চক্র নয় অথবা এ নিয়ে আগে থেকে কোনো ধারণা পাওয়া যায় না।
পেরুর উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেরা এল নিনো সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন সমুদ্রের পানির অস্বাভাবিক উষ্ণতা দেখে। আবহাওয়ার এই বিশেষ অবস্থাকে স্প্যানের অভিবাসীরা এল নিনো নামে ডাকতেন। যার বাংলা অর্থ ‘ছোট বালক’। পরবর্তীতে এল নিনোর মাধ্যমে জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তনের বিষয়টি বোঝানো শুরু হয়। এল নিনোর কারণে প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বাঞ্চলীয় দেশ পেরু, ইকুয়েডর ও চিলির উপকূলে উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে এক প্রকার উষ্ণ সমুদ্র স্রোতের প্রবাহ লক্ষ করা যায়।
এই উষ্ণ স্রোতের কারণে দক্ষিণ থেকে উত্তরমুখী শীতল সামুদ্রিক স্রোতের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়, ফলে প্রশান্ত মহাসাগরের বিভিন্ন অঞ্চলের সমুদ্রে বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়, উদ্ভিদ প্ল্যাংকটনের পরিমাণ হ্রাস পায় এবং মাছের উৎপাদন কমে যায় এবং স্থলভাগের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। এল নিনোর প্রভাবে প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলবর্তী বিস্তীর্ণ অঞ্চলে খরা বা অনাবৃষ্টি দেখা দেয়। কোনো কোনো অঞ্চলে অতিবর্ষণও ঘটে থাকে। সাধারণত ২ থেকে ৪ বছর স্থায়ী হয় এল নিনো।
এদিকে রাজধানী ঢাকাসহ বাংলাদেশে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে আরও ৭২ ঘণ্টা এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ ২৮ এপ্রিল থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিও বৃদ্ধি পেতে পারে।
গত বছরের এপ্রিল মাসে জলবায়ুবিদরা এল নিনোর ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, ২০২৩ সালে এটির প্রভাবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। যদি ২০২৩ সালে প্রভাব না পড়ে তাহলে ২০২৪ সালে এটি বেশ ভালোভাবে পরিলক্ষিত হবে।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদে ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে আমেরিকার ৪০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। কয়েকশ’ বিক্ষোভকারীকে আটক করে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না স্থানীয় প্রশাসন। মূলত নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
এবার কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ। মার্কিন ক্যাম্পাসের আন্দোলনের মিল রেখে ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও তাঁবু টানিয়ে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আন্দোলনে বসেছেন শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা ম্যাকগিল এবং কনকর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে ইহুদিবাদী রাষ্ট্র এবং ইহুদিবাদী একাডেমিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে তহবিল প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষ বলছে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতর এভাবে তাঁবু টানানো অনুমোদিত নয়। এই ধরনের কার্যকলাপ যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো মুখোমুখি পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ফিলিস্তিনি যুব আন্দোলন মন্ট্রিয়েল শাখা অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান (তাঁবুতে) কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। গ্রুপটি বলছে, তারা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে গণহত্যায় অংশীদার হতে দিতে চায় না। ফিলিস্তিনপন্থী একাধিক গ্রুপ এই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে আসছে।
ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা শিক্ষার্থীদের অন্দোলন সম্পর্কে অবগত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন যে পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে অনুমোদন করে সেই সীমা পর্যন্ত তাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে তারা সম্মান করবে।
কানাডা বিশ্ববিদ্যালয় ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ
মন্তব্য করুন
রাশিয়ার অব্যাহত হামলায় রণক্ষেত্র থেকে ইউক্রেনের সেনারা পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল ওলেক্সান্দার সাইরস্কি। রোববার (২৮ এপ্রিল) তিনি এ কথা বলেন। খবর বিবিসি
টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে ইউক্রেনের সেনাপ্রধান বলেন, রাশিয়ার ক্রমাগত হামলায় রণক্ষেত্রে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। ফলে সেনারা পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে। রাশিয়ার হামলার মুখে সাম্প্রতিক সময়ে পূর্ব
ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলে বেশ কিছু অবস্থান থেকে সৈন্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ত্র সংকটে ভুগতে থাকা ইউক্রেন যুদ্ধ ক্ষেত্রে আরও দুর্বল হচ্ছে। ফলে এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে রাশিয়া।
ইউক্রেনের সেনাপ্রধান জেনারেল সাইরস্কি আরও বলেছেন, যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। দোনেৎস্কের কিছু অবস্থান থেকে পিছু হটে প্রতিরক্ষাব্যুহ তৈরি করছেন ইউক্রেনের সেনারা।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে মতপার্থ্যক্যের জেরে গত ফেব্রুয়ারিতে পদত্যাগ করেন দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ভ্যালেরি জালুঝনি। এরপরই তার স্থলাভিষিক্ত হন জেনারেল ওলেক্সান্দার সাইরস্কি।
এদিকে কিয়েভকে নতুন করে অস্ত্র দেওয়া সংক্রান্ত ৬১ বিলিয়ন ডলারের একটি বিল কয়েক মাস আটকে থাকার পর গত সপ্তাহে তাতে অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। যত দ্রুত সম্ভব কিয়েভে নতুন করে অস্ত্র পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ওয়াশিংটন। এতে করে জরুরি হয়ে পড়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাবে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন