ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউরোপীয় সংসদে এআই আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন

প্রকাশ: ০৩:২৫ পিএম, ১৪ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার জন্য ইউরোপীয় সংসদের সদস্যরা যুগান্তকারী একটি আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন। এই আইনের পক্ষে ৫২৩টি ও বিপক্ষে ৪৬টি ভোট পড়ে।

বুধবার (১৩ মার্চ) ইউরোপীয় সংসদে চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া এআই নিয়ন্ত্রণকারী আইনটি এ বছরের শেষ দিকে কার্যকর হবে। দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন এ আইনটি বিশ্বব্যাপী অন্যান্য সরকারের জন্যও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির সাথে সম্পর্কিত সম্ভাব্য ঝুঁকি থেকে ২৭টি সদস্য রাষ্ট্রের নাগরিকদের রক্ষা করা ও একই সাথে উদ্ভাবনকে সমৃদ্ধ করার উদ্দেশ্যে এই আইনটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

যা থাকছে এই আইনে  

আইনটি ঝুঁকি অনুযায়ী বিপজ্জনক বলে বিবেচিত বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে আলাদা আলাদা সাজাবে যেন সেগুলো ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।

বেশিরভাগ এআই সিস্টেম কম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যেমন স্প্যাম সনাক্তের জন্য ব্যবহৃত মডেল। তবে চিকিৎসা, বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোতে এআই-এর উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবহার আরও বেশি পরীক্ষা করা হবে।

এই মডেলগুলো তৈরি করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্ভাব্য ঝুঁকির মূল্যায়ন করতে হবে ও ব্যবহারকারীদের কাছে স্পষ্ট তথ্য সরবরাহ করতে হবে। জনসাধারণের কাছে প্রকাশের আগে সে মডেলগুলো আইন মেনে চলছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। জনপরিসরে ‘রিয়েল-টাইম ফেসিয়াল রিকগনিশন’ নিষিদ্ধ করা কথা রয়েছে। যদিও এ আইন প্রয়োগের জন্য কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে।

কোনো সংস্থা আইন অমান্য করলে তাদের ৭৫ লাখ ইউরো থেকে তিন কোটি ৫০ লাখ ইউরো পর্যন্ত জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে।

এরপর কী?

এআই আইনটি পৃথকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে। এপ্রিল মাসের মধ্যেই এই অনুমোদন পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে আইনটি এ বছরের শেষের দিকে কার্যকর হবে।

চ্যাটজিপিটি-র মতো জেনারেটিভ এআই মডেলগুলো আইনটি কার্যকর হওয়ার ১২ মাস পর চালু হবে। তবে সংস্থাগুলোকে অবশ্যই দুই বছরের মধ্যে অন্যান্য নিয়মের ব্যাপারেও একমত হতে হবে।

নতুন পাস হওয়া আইনটি কার্যকরের ছয় মাস পর বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত এআই সিস্টেমগুলি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হবে।


ইউরোপীয় সংসদ   এআই  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চিকেন শর্মা খেয়ে হাসপাতালে ১২ জন

প্রকাশ: ১১:২৯ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাস্তার পাশের দোকান থেকে চিকেন শর্মা খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অন্তত ১২ জন। এক ব্যক্তির অভিযোগ, খাদ্যে বিষক্রিয়া থেকে এমন তারা অসুস্থ হয়ে থাকতে পারেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আর ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বাইয়ের গোরোগাঁ এলাকায়।

এনডিটিভি জানিয়েছে, গত দুদিনে অন্তত ১২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে রোববার পর্যন্ত ৯ জন হাসপাতাল ছেড়েছেন। অর্থাৎ এখনও হাসপাতালে রয়েছেন অন্তত তিনজন।

তিনি জানান, শুক্রবার গোরেগাঁও (পূর্ব) এলাকার সন্তোষনগরের এটি দোকান থেকে চিকেন শর্মা খাওয়ার পর এমন অসুস্থতা দেখা দিয়েছে।

বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (বিএমসি) এক কর্মকর্তা জানান, শুক্র ও শনিবার অন্তত ১২ জন খাদ্যে বিষক্রিয়ার অভিযোগ করেছিলেন। পরে তাদের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে ৯ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। বাকি তিনজনের চিকিৎসা চলছে।


চিকেন শর্মা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজার রাফায় ইসরায়েলি বিমান হামলা, ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশ: ১০:৪৭ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় মিশর সীমান্তবর্তী শহর রাফায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয় এবং আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

এ হামলায় নিহতের সংখ্যা আরও বেশি বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অবরুদ্ধ গাজার রাফা শহরের তিনটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৩ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা ১৫ বলে জানিয়েছে হামাস মিডিয়া আউটলেট।

রাফায় এই হামলা এমন এক সময়ে হল যখন ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনার জন্য হামাস নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে মিশর।

এই হামলার বিষয়ে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য করেনি।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় বিরামহীনভাবে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি হামলায় সেখানকার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

গাজার এই ধ্বংসস্তূপ সরাতে ১৪ বছর লেগে যাবে বলা হচ্ছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩৪ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ।


গাজা   রাফা   ইসরায়েল   বিমান হামলা   ফিলিস্তিনি   ১৩ নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ব্যালট নয়, ইভিএমের পক্ষে রায় ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। সাত ধাপে অনুষ্ঠিত হবে এই নির্বাচন। এরই মধ্যে দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।

এদিকে, লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা প্রক্রিয়া নিয়ে বড় ধরনের রায় দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। ইভিএম বাদ দিয়ে ভোট গণনার পুরনো ব্যালট পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়ে রায় দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। শুক্রবার এই রায় দেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার দ্বৈত বেঞ্চ।

রায়ে দুই বিচারপতি বলেছেন, “আমরা বিস্তারিতভাবে সমস্ত প্রটোকল, সমস্ত টেকনিকাল দিক মিলিয়ে দেখেছি। একটা সিস্টেমকে (ইভিএম) কিছু না জেনে সেটাকে ভেঙে দেওয়াটা ঠিক হবে না।”

সর্বসম্মত এই রায় দেওয়ার পর বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বলেছেন, “এই ব্যবস্থার যেকোনও দিক নিয়ে অন্ধ আলোচনা অযৌক্তিক সংশয় সৃষ্টি করতে এবং অগ্রগতিতে বাধা দিতে পারে”। “তার চেয়ে বরং সিস্টেমের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে প্রমাণ এবং যুক্তির মাধ্যমে একটি গঠনমূলক পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিত।”

এ নিয়ে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট দুটি নির্দেশনা দিয়েছেন।

১. ভিভিপ্যাট ও ইভিএম সংক্রান্ত নির্দেশিকা। সিম্বল লোডিং ইউনিটকে অন্তত ৪৫দিন স্টোর করে রাখতে হবে। মেশিনে সিম্বল লোড করার পরে এই নির্দেশিকা মানতে হবে। বিশেষত ১ জুন যেদিন ভোট পর্ব শেষ হয়ে যাবে তারপর থেকেই এই সিম্বল লোডিং ইউনিটকে সংরক্ষিত করে রাখতে হবে। এমনকি এই সিম্বল লোডিং ইউনিটকে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। সেখানে প্রার্থীর সইও রাখতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

সেই সিল করা ইভিএমগুলো স্টোর রুমে রাখতে হবে। ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরে অন্তত ৪৫দিন ওই ইভিএমগুলোকে রাখতে হবে।

সেই সঙ্গেই আদালত জানিয়েছেন, ইভিএমের মাইক্রো কন্ট্রোলারকে পরীক্ষা করতে হবে। ইঞ্জিনিয়ারদের টিম দিয়ে তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। প্রার্থীদের অনুরোধ এলেই তা খতিয়ে দেখতে হবে। এই যাচাইয়ের ব্যাপারটির জন্য যে খরচ করা হবে তা বহন করতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকেই। তবে ইভিএমে কোনও সমস্যা দেখা দিলে সেই অর্থ ফেরত দিতে হবে।

২. ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছেন, ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাটের যে ব্যবস্থা থাকে সেটা গণনা করার জন্য কোনও মেশিনের ব্যবস্থা করা যায় কি না সেটা দেখা যেতে পারে।

১৯ এপ্রিল ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। ৪ জুন ভোট গণনা হওয়ার কথা রয়েছে। এবারের নির্বাচনে তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নির্বাচিত হতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০০০ সাল থেকে ভোটের রেকর্ড রাখতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে আসছে ভারত। তবে সম্প্রতি ভোট গনণায় এই সিস্টেমের স্বচ্ছতা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।


ভারত   লোকসভা নিবার্চন   ব্যালট   ইভিএম   সুপ্রিম কোর্ট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র: গ্রেপ্তার ৯০০

প্রকাশ: ০৯:৫১ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বর্জন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে আন্দোলন দমাতে শত শত বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ।

গত ১৮ এপ্রিল নিউইয়র্ক পুলিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থী একটি শিবির সরিয়ে নেয় এবং শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে। এর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলো থেকে অন্তত ৯০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এরপর থেকে কয়েক ডজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে শিবির স্থাপন করেছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রিকারী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছে।

আল জাজিরার খবর অনুসারে, শনিবার বোস্টনের নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি, ব্লুমিংটনের ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি এবং সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভ থেকে ২৯০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এছাড়া ক্যালিফোর্নিয়া, জর্জিয়া এবং টেক্সাসের বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ সদস্যরা তাদের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা ভোট গ্রহণ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ‘গণহত্যা থেকে বিচ্ছিন্ন’ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। যেসব প্রতিষ্ঠান অস্ত্র উৎপাদনসহ নানা উপায়ে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় সহযোগিতা করছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের বৃত্তি না দেওয়ার দাবিও তুলেছেন তারা।


ইসরাইল   বিক্ষোভ   উত্তাল   যুক্তরাষ্ট্র   গ্রেপ্তার ৯০০  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এল নিনোর কারণেই বাংলাদেশে এত গরম!

প্রকাশ: ০৯:৩৬ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ভয়াবহ তাপপ্রবাহ। গত কয়েকদিন ধরে অসহনীয় তাপমাত্রা সহ্য করতে পারছেন না মানুষ। ফলে হিটস্ট্রোকসহ অন্যান্য স্বাস্থগত ঝুঁকিতে পড়ছেন মানুষ। শুধু বাংলাদেশ নয়, তালিকায় আগে ভারত, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডেও।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, এসব দেশে এপ্রিল মাসে সবচেয়ে বেশি তাপ পরিলক্ষিত হয়েছে। কিন্তু আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা ‘এল নিনোর’ কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এল নিনো এই অঞ্চলে উষ্ণ পানি ও শুষ্ক অবস্থা নিয়ে আসে। বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এটির প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে।

এখন প্রশ্ন হলো- এল নিনো কী? ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের তথ্য অনুযায়ী, এল নিনো হলো একটি জলবায়ু প্যাটার্ন। এটির মাধ্যমে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের পানি উষ্ণ হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, সমুদ্রের তাপমাত্রা, গতি, মহাসাগরীয় স্রোত, উপকূলীয় মৎস্যসম্পদের স্বাস্থ্য এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে দক্ষিণ আমেরিকার এবং এরও বাইরের অঞ্চলের ওপর প্রভাব পড়ে। এল নিনো দুই থেকে সাত বছরের বিরতি দিয়ে অনিয়মিতভাবে হয়ে থাকে। এটি কোনো নিয়মিত চক্র নয় অথবা এ নিয়ে আগে থেকে কোনো ধারণা পাওয়া যায় না।

পেরুর উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেরা এল নিনো সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন সমুদ্রের পানির অস্বাভাবিক উষ্ণতা দেখে। আবহাওয়ার এই বিশেষ অবস্থাকে স্প্যানের অভিবাসীরা এল নিনো নামে ডাকতেন। যার বাংলা অর্থ ‘ছোট বালক’। পরবর্তীতে এল নিনোর মাধ্যমে জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তনের বিষয়টি বোঝানো শুরু হয়। এল নিনোর কারণে প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বাঞ্চলীয় দেশ পেরু, ইকুয়েডর ও চিলির উপকূলে উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে এক প্রকার উষ্ণ সমুদ্র স্রোতের প্রবাহ লক্ষ করা যায়।

এই উষ্ণ স্রোতের কারণে দক্ষিণ থেকে উত্তরমুখী শীতল সামুদ্রিক স্রোতের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়, ফলে প্রশান্ত মহাসাগরের বিভিন্ন অঞ্চলের সমুদ্রে বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়, উদ্ভিদ প্ল্যাংকটনের পরিমাণ হ্রাস পায় এবং মাছের উৎপাদন কমে যায় এবং স্থলভাগের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। এল নিনোর প্রভাবে প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলবর্তী বিস্তীর্ণ অঞ্চলে খরা বা অনাবৃষ্টি দেখা দেয়। কোনো কোনো অঞ্চলে অতিবর্ষণও ঘটে থাকে। সাধারণত ২ থেকে ৪ বছর স্থায়ী হয় এল নিনো।

এদিকে রাজধানী ঢাকাসহ বাংলাদেশে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে আরও ৭২ ঘণ্টা এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ ২৮ এপ্রিল থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিও বৃদ্ধি পেতে পারে।

গত বছরের এপ্রিল মাসে জলবায়ুবিদরা এল নিনোর ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, ২০২৩ সালে এটির প্রভাবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। যদি ২০২৩ সালে প্রভাব না পড়ে তাহলে ২০২৪ সালে এটি বেশ ভালোভাবে পরিলক্ষিত হবে।


বাংলাদেশে   গরম   এল নিনো  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন