আবগারি দুর্নীতি মামলায় ভারতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গ্রেপ্তার হওয়ায় তার ক্ষমতাসীন সরকার ও দল আম আদমি পার্টি বড় ধরনের নেতৃত্বের সংকটে পড়েছে।
দিল্লি হাইকোর্টে তার আগামী জামিনের জন্য রক্ষাকবচের আর্জি খারিজ হতেই রাতে অ্যাকশন নেয় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এই গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে আম আদমি পার্টি। শুক্রবার সকালে রয়েছে শুনানি। তবে ইস্তফা দেবেন না কেজরিওয়াল। জেল থেকেই সরকার চালাবেন তিনি। ঘোষণা করেছে দল।
জেল থেকে সরকার চালানো সম্ভব?
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রেপ্তারের পর ইস্তফা দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। গ্রেফতার হওয়ার অর্থ আইনের চোখে যে দোষী নয়। কোনও মুখ্যমন্ত্রী গ্রেপ্তার হলে তার পদ চলে যায় না। তবে এক্সপার্টও এটিও খতিয়ে দেখছেন, জেল থেকে সরকার চালানো আদৌ কতটা বাস্তবচিত। গণতান্ত্রিক পদ্ধতির মধ্যে থেকে তেমনটা সম্ভব কি না, সেটিও বিচার করে দেখা হচ্ছে। জেলের নিয়মবিধির উপরও অনেক কিছু নির্ভর করছে।
লোকসভার প্রাক্তন মহাসচিব এবং সংবিধান বিশেষজ্ঞ পি ডি টি আচার্যর মতে, 'ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ক্যাবিনেট মিটিং সম্ভব। তবে জেল থেকে ক্যাবিনেট মিটিং করার জন্য জেল প্রশাসনের অনুমতির প্রয়োজন। অরবিন্দ কেজরিওয়াল জেলবন্দি হলে এবং কর্তৃপক্ষ তাকে অনুমতি দিলে তিনি জেল থেকেই সরকার চালাতে পারবেন। দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তারের পর মামলা চালানোর জন্য রাজ্যপালের মঞ্জুরী নেওয়া বাধ্যতামূলক। ফলে জেল থেকে সরকার চালানো কতটা বাস্তবচিত তা বিচারযোগ্য। অনেকটাই নির্ভর করবে আদালতের নির্দেশের উপর।'
এমন সংকটকালে সরকার ও দল পরিচালনায় নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে কেজরিওয়ালের এমন যোগ্য উত্তরসূরি খুঁজে বের করাই দলটির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
এনডিটিভির খবর অনুযায়ী, অরবিন্দের অনুপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী পদে স্ত্রী সুনিতা কেজরিওয়ালের নাম আলোচনায় রয়েছে। তিনি একজন সাবেক আইআরএস কর্মকর্তা। এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সদস্য অতীশি ও সৌরভ ভরদ্বাজের নাম আলোচনায় আসছে।
আবার, কেজরিওয়ালের মন্ত্রিসভার বেশ প্রভাবশালী সদস্য অতীশি। তিনি একাই বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় সামলে আসছেন। এদের মধ্যে রয়েছে শিক্ষা, অর্থ, পিডব্লিউডি, রাজস্ব ও পরিষেবা। তাকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এমনকি, তিনি আম আদমি পার্টি সরকার ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পক্ষে কথা বলে আসছেন।
অন্যদিকে, সৌরভ ভরদ্বাজও দিল্লি মন্ত্রিসভার এক পরিচিত মুখ। তিনি স্বাস্থ্য ও নগর উন্নয়নসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় সামলে আসছেন তিনি। এ ছাড়া দলের একজন সুপরিচিত মুখও সৌরভ। তিনি দলের নেতাদের ঢাল হিসেবে কাজ করছেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপি ও ভারতীয় ক্ষমতাসীন সরকারের ওপর তোপ দাগিয়ে আসছেন।
এর আগে, গত ডিসেম্বরে 'আমিও কেজরিওয়াল' নামে একটি প্রতীকী জরিপ পরিচালনা করে আম আদমি পার্টি। সেখানে মানুষে কাছে জানতে চাওয়া হয় যে গ্রেপ্তার হলে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে কেজরিওয়ালের পদত্যাগ করা উচিত হবে নাকি জেলে বসে সরকার পরিচালনা করা উচিত হবে। এই জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ বলেছেন কেজরিওয়ালের প্রতি দিল্লির জনরায় রয়েছে। তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। তাই যেখান থেকেই হোক না কেন শুধু তিনিই দিল্লিতে সরকার চালাবেন।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল দুর্নীতি মামলা দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী গ্রেফতার সুপ্রিম কোর্ট
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার ছাত্র আন্দোলন গাঁজায় গণহত্যা ইসরায়েল
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
মন্তব্য করুন
কানাডা প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো
মন্তব্য করুন
হলিউড সিনেমাতে হরহামেশাই আমরা দেখে থাকি, অস্ত্র চালনা কিংবা হ্যান্ড টু হ্যান্ড কমব্যাট, যুদ্ধক্ষেত্রে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রোবট। কখনো মানুষের পক্ষে কখনো মানুষের বিপক্ষে বিরাট রোবট বাহিনী। এবার সিনেমাতে নয়, বাস্তবেই যুদ্ধের ময়দানে দেখা যাচ্ছে রোবট। সিনেমায় দেখানো রোবটের মতো এত উন্নত প্রযুক্তির না হলেও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে দেখা যাচ্ছে কিলার রোবটের ব্যবহার।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অধ্যাপক টোবি ওয়ালশ বলেন, কিলার রোবট শুনলে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির মুভিতে দেখা রোবটের কথা মনে হয়৷ কিন্তু সমস্যা হলো, এগুলো এখন বাস্তবে হচ্ছে৷ এগুলো টার্মিনেটর রোবট নয়৷ এগুলো একধরনের ড্রোন যার ব্যবহার আমরা ইউক্রেন যুদ্ধে দেখতে পাচ্ছি৷ এসব ড্রোনকে মানুষের চেয়ে কম্পিউটার দিয়ে নিয়ন্ত্রণের পরিমাণ বাড়ছে৷
ট্যাঙ্ক, পরিখায় সৈন্য- ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার শুরুতে আমরা এমনটা দেখেছিলাম৷ কিন্তু পরবর্তীতে দুই পক্ষই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার শুরু করে৷ যেমন বায়রাক্তার ড্রোন৷ একেকটির দাম ১১ মিলিয়ন ইউরোর বেশি৷
জার্মান প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. গারি শাল বলেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার কাছে থাকা অনেক অস্ত্রকে পরবর্তীতে এআই-সমৃদ্ধ করা হয়েছে৷ ফলে যুদ্ধে পরিবর্তন এসেছে৷ যেমন রাশিয়াকে আমরা এআই-সমৃদ্ধ গ্লাইড বোমা ব্যবহার করতে দেখেছি৷ আর ইউক্রেনের এআই-সমৃদ্ধ অস্ত্রের মধ্যে আছে ড্রোন৷ যুদ্ধের প্রথম কয়েক মাসে ইউক্রেন যে কার্যকর ও সফল ছিল, তার কারণ ছিল তারা পরিস্থিতি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছিল৷
সামরিক সংঘাত মানে হলো, তথ্য সংগ্রহ ও সেগুলোর অর্থ বুঝতে পারা৷ কত দ্রুত সেটা করা যাচ্ছে তাও গুরুত্বপূর্ণ৷ এআই সেটা করতে পারে ও সিদ্ধান্ত নিতে পারে৷
মিউনিখের বুন্ডেসভেয়ার ইউনিভার্সিটির আক্সেল শুলটে বলেন, এখন অনেক কিছু স্বয়ংক্রিয় হয়ে যাওয়ায় মানুষ ও যন্ত্রের মধ্যে শ্রম বিভাজন করতে গিয়ে আমাদের সতর্কতার সঙ্গে ভাবতে হবে৷ মানুষের উদ্দেশ্য আছে, যন্ত্রের নেই৷ আমরা এসব যন্ত্রকে, এসব স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাকে, হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করি৷
কিন্তু ড্রোন কি হিউম্যানয়েড কিলার রোবট বা টার্মিনেটর হতে পারে? আক্সেল শুলটে বলেন, টার্মিনেটর? না সেটা সম্ভব না৷ আমরা এখনো প্রযুক্তিগতভাবে অতদূর এগোইনি৷ হ্যাঁ, ইউটিউবে আমরা বস্টন ডাইনামিক্সের দারুন সব ভিডিও দেখি বটে৷ আমরা দেখি, গতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এসব যন্ত্রের দক্ষতা বেশ ভালো৷ তারা ডিগবাজি বা সে রকম কিছু দিতে পারে৷ কিন্তু এর মানে এই নয় যে, সেগুলো বিপজ্জনক কিলার রোবট হয়ে গেছে৷
২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী সামরিক ব্যয় দুই ট্রিলিয়ন ইউরো ছাড়িয়ে গেছে- যা একটি রেকর্ড৷ ৭৫০ বিলিয়ন ইউরো খরচ করে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ তবে চীনও কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করছে৷ ২০২২ সালে রাশিয়া তার সামরিক বাজেট নয় শতাংশ বাড়িয়েছিল৷
জার্মান প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. গারি শাল বলেন, যদি আপনার এমন বাহিনী থাকে যেটা এআই ব্যবহার করে, তাহলে, অন্য যারা এআই ব্যবহার করে না, তাদের চেয়ে আপনার কৌশল ভিন্ন হবে৷ এটা শুধু যন্ত্রের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ঢোকানোর বিষয় নয়৷ এটা পুরো ব্যবস্থা পরিবর্তনের বিষয়: প্রশিক্ষণ, কৌশল, সংগঠন সবক্ষেত্রে৷
স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র তৈরিতে কাজ করছে পৃথিবীর প্রায় ৬০টি দেশ। শান্তিপূর্ণ প্রয়োজনে রোবট বানাচ্ছে তারা। তবে এসকল রোবট বা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের দিকে ঝুঁকলে নিঃসন্দেহে তা হবে ভয়ংকর।
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি)তদন্তের বিরোধিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে এ আদালতের দেওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সমর্থন করেছে। মস্কো ওয়াশিংটনের এই আচরণকে ‘কপট’ উল্লেখ করে বলেছে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের ভণ্ডামি।
আইসিসি যুদ্ধাপরাধের দায়ে ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করার পাশাপাশি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও গণহত্যার তদন্ত করতে পারে। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলা ও সাত মাস ধরে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার তদন্ত করছে সংস্থাটি।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ–পিয়েরে গত সোমবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিসির তদন্ত সমর্থন করে না । এ ছাড়া এই বিষয়ে আদালতের এখতিয়ারের বিষয়টিতেও বিশ্বাস করে না তারা। তবে এর আগে গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি ছিল ন্যায়সংগত। ইউক্রেনে কথিত রুশ যুদ্ধাপরাধের বিবরণ আইসিসির কাছে তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মস্কো বলেছে, পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতার পরোয়ানা জারি করা পশ্চিমাদের অর্থহীন প্রয়াস। এর মধ্য দিয়ে তারা রাশিয়ার সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। তারা ইউক্রেনে কোনো যুদ্ধাপরাধ করেনি। তবে ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়া যুদ্ধাপরাধ করেছে। রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেন যে অপরাধ করেছে, তা এড়িয়ে গেছে পশ্চিমারা। তবে কিয়েভ এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা টেলিগ্রামে করা এক পোস্টে বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আইসিসির দেওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা পুরোপুরি সমর্থন করে ওয়াশিংটন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এখন তাদের ও তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আইসিসির তদন্তের বৈধতা স্বীকার করতে চাইছে না। জাখারোভা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থান কপটতার শামিল।
রাশিয়া আইসিসির সদস্যদেশ নয়। ইসরায়েলও এর সদস্য নয়। তবে ২০১৫ সালে ফিলিস্তিন আইসিসির সদস্য হয়। গত শুক্রবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, আইসিসির কোনো সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের কার্যক্রমের ওপর প্রভাব ফেলবে না; কিন্তু বিপজ্জনক একটি উদাহরণ তৈরি করবে। ইসরায়েলের কর্মকর্তারা অবশ্য আইসিসির আদেশ নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে। তাঁদের ধারণা, আইসিসির পক্ষ থেকে গাজায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগে নেতানিয়াহু ও ইসরায়েলে অন্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হতে পারে। একই সঙ্গে হামাস নেতাদের বিরুদ্ধেও এ পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গত সাড়ে ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে নির্বিচার হামলা ও হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত এক সপ্তাহ ধরে ব্যাপক ধরপাকড় চালাচ্ছে মার্কিন পুলিশ প্রশাসন। সবশেষ যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং নিউইয়র্কের সিটি কলেজ ক্যাম্পাসে রাতের আঁধারে পরিচালিত হয়েছে পুলিশি অভিযান। এ অভিযানে ক্যাম্পাস দুটি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শতাধিক ফিলিস্তিন সমর্থকারীকে।
হলিউড সিনেমাতে হরহামেশাই আমরা দেখে থাকি, অস্ত্র চালনা কিংবা হ্যান্ড টু হ্যান্ড কমব্যাট, যুদ্ধক্ষেত্রে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রোবট। কখনো মানুষের পক্ষে কখনো মানুষের বিপক্ষে বিরাট রোবট বাহিনী। এবার সিনেমাতে নয়, বাস্তবেই যুদ্ধের ময়দানে দেখা যাচ্ছে রোবট। সিনেমায় দেখানো রোবটের মতো এত উন্নত প্রযুক্তির না হলেও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে দেখা যাচ্ছে কিলার রোবটের ব্যবহার।