যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র বাকি ৭ মাস। তবে এই নিবার্চনে বেশ কয়েতজন প্রার্থী থাকলেও প্রধান দুই প্রার্থী বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডেমোক্রেটিক পার্টির জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প।তবে দুঃখজনক ব্যাপার হলো বাইডেন এবং ট্রাম্প কেউই প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য নয়।
নির্বাচন সামনে রেখে নিয়মিত যেসব জনমত প্রকাশ পাচ্ছে তাতে দেখা যাচ্ছে, মার্কিন ভোটাররা জো বাইডেন কিংবা ডোনাল্ড ট্রাম্প কাউকে নির্বাচনে দেখতে চান না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জনগণ তাদেরকেই আবারও প্রার্থী হিসেবে পেতে যাচ্ছেন।
প্রেসিডেন্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং বিভিন্ন সম্ভাবনার খাত খুঁজে বের করে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া। হুমকি থাকলে তা মোকাবিলার উপায় বের করা এবং দেশের স্বার্থ এগিয়ে নেয়া।
তবে অযোগ্যতা, দুর্বল মানসিক সক্ষমতা এবং যেটা সবচেয়ে খারাপ, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করে বাইডেন ও ট্রাম্প বারবার সেই কাজটি সম্পাদন করতে ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছেন।
অনেকগুলো বছর ধরে তারা দেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু বরাবরই বন্ধু থেকে শত্রুকে আলাদা করার ক্ষেত্রে বাজে পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে উভয়ই ফ্লপ। কিন্তু উভয় আরও একবার ওভাল অফিসে যাওয়ার লড়াইয়ে নেমেছেন।
ন্যাটোর জন্য ক্রমশ হুমকি হয়ে উঠছেন ট্রাম্প। সামরিক জোট থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করতে চান তিনি। ট্রাম্পের এই হুমকি ২০১৮ সালে ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলনকালে বাস্তবায়ন হওয়ার অনেকটা কাছাকছি চলে গিয়েছিল। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে পারেননি।
কিন্তু নিজের সেই পরিকল্পনা (ন্যাটো থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার) থেকে সরে এখনও সরে আসেননি ট্রাম্প। নির্বাচনী প্রচারণায় সে কথাই বারবার বলছেন তিনি। তিনি প্রকাশ্যেই বলছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি ন্যাটোর অর্থায়ন বন্ধ করে দেবেন।
রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পর থেকে ইউক্রেনকে সব ধরনের সহযোগিতা করে আসছে ন্যাটো। এ বিষয়ে ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি বিপজ্জনক। তিনি অর্থহীনভাবে বলে আসছেন, মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেন সংঘাত সমাধান করতে সক্ষম।
আরও বাজে ব্যাপার হলো মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে ট্রাম্পের বন্ধু হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান জানিয়েছেন, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে এক পয়সাও খরচ করবেন না। যুদ্ধ এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে। মার্কিনিরা যদি টাকা না দেয় ইউরোপীয়রা এই যুদ্ধে তহবিল যোগাতে অক্ষম।
বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতিও ত্রুটিপূর্ণ। বর্তমান মধ্যপ্রাচ্য সংকটে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ ছাড়া আর কিছুই দেখছেন না তিনি। ইরান যে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মাধ্যমে কয়েকটি ফ্রন্ট থেকে ইসরাইলের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে তা তিনি দেখতে অক্ষম অথবা অনাগ্রহী।
প্রাথমিকভাবে ইসরাইল ও এর প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিলেও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যকার জায়নবাদবিরোধী বামপন্থীদের চাপের মুখে পিছু হটছেন বাইডেন। এদিকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরানের আক্রশের জবাব না দিয়ে তেল আবিবের প্রতি রাজনৈতিক সমর্থন হ্রাস করছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুধু তাই নয়, হোয়াইট হাউস ও কংগ্রেসনাল ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে ইসরাইলকে সামরিক সহায়তার ওপর শর্ত আরোপ করার হুমকি রয়েছে যার ফলে সামরিক সহায়তা হ্রাস বা নিঃশেষ হতে পারে।
ইরান ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর মতো প্রকৃত অপরাধীর দিকে মনযোগ দেয়ার বদলে বাইডেন এখন ইসরাইলের সমালোচনা করছেন। গোয়েন্দা তথ্য প্রকাশ করে তিনি বুঝাতে চাইছেন যে, ইসরাইল সরকার যদি তার মতামতকে গুরুত্ব না দেয় তাহলে তাদের পতন হতে পারে এবং ইসরাইলের বর্তমান নীতিগুলো সন্ত্রাসবাদকে আরও উৎসাহিত করবে।
নেতানিয়াহুকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য মার্কিন সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা চাক শুমার ইসরাইলে যে আগাম নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে তাকে সমর্থন করেছেন বাইডেন। বলেছেন, চাক শুমারের যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এটা শুধু তার একার নয়, বহু মার্কিন নাগরিকেরও।
চীনের ব্যাপারে ট্রাম্প ও বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতিও ত্রুটিপূর্ণ। ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হয়ে এলেও চীনকে না ঘাটানোর চেষ্টা জারি রেখেছেন বাইডেন। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ব্যাপারেও কোনো কথা বলেননি তিনি। এদিকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল ঘিরে চীনের হুমকি বেড়েই চলেছে।
বাইডেন ও ট্রাম্প উভয়েই অবশ্য বিশ্বাস করেন যে, পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে তাদের নেয়া কৌশল থেকে থেকে রাজনৈতিকভাবে লাভবান হবেন তারা। দুর্ভাগ্যবশত বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের সঠিক অবস্থান এবং বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো যেসব হুমকি মোকাবিলা করছে সে সম্বন্ধে তাদের উপলব্ধি খুব বাজেভাবে ত্রুটিপূর্ণ।
অনেক মার্কিন ভোটারই এই দুই প্রার্থীকে ঘৃণা করেন এবং তা সঙ্গত কারণেই। যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুদের জন্য বিষয়টি বেশ আনন্দের যে, এই দুই জনের মধ্যে যেই জিতুক, সামনেরে চারটি বছর হবে দীর্ঘ ও ভয়াবহ।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পররাষ্ট্রনীতি ফ্লপ বাইডেন-ট্রাম্প
মন্তব্য করুন
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টির ট্রুডোর উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠানে ‘খালিস্তানপন্থী’ স্লোগান দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর সোমবার ( ২৯ এপ্রিল ) কানাডার ডেপুটি হাই কমিশনারকে তলব করেছে ভারত। খালিস্তান আন্দোলন নিয়ে সম্প্রতি ভারত-কানাডার কূটনীতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। এর মধ্যে বাড়তি উত্তেজনা যুক্ত হলো।
এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘এ ঘটনায় ভারত সরকার গভীর উদ্বেগ এবং দৃঢ় প্রতিবাদ জানিয়েছে। কানাডা এ ধরনের কর্মকাণ্ড অনিয়ন্ত্রিতভাবে চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে যা উদ্বেগের। আবারও প্রমাণ হলো, কানাডায় বিচ্ছিন্নতাবাদ, চরমপন্থা ও সহিংসতাকে রাজনৈতিক প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে।’
আরও বলা হয়েছে, ‘তাদের অভিব্যক্তি শুধু ভারত-কানাডা সম্পর্ককে প্রভাবিত করে না বরং কানাডায় সহিংসতা ও অপরাধের পরিবেশকে তার নিজের নাগরিকদের ক্ষতির জন্য উৎসাহিত করে।’
কানাডাভিত্তিক সিপিএসি টিভিতে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, ট্রুডো খালসা দিবস উপলক্ষে ভাষণের মঞ্চে উঠার পর ‘খালিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান আরও জোরে দেওয়া হতে থাকে। হাজার হাজার মানুষ রবিবার শহরের সবচেয়ে বড় বার্ষিক সমাবেশের উদ্দেশে টরন্টোর কেন্দ্রস্থলে উপস্থিত হয়।
ট্রুডো তার ভাষণে গত বছর শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যায় ভারত জড়িত বলে অভিযোগ করে। এছাড়াও কানাডায় শিখদের অধিকার ও স্বাধীনতা সর্বদা রক্ষা করার এবং সম্প্রদায়কে ঘৃণা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রুডো।
ভারত কানাডা সরকারের অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। বরং অটোয়া শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে দিল্লি।
কানাডা প্রধানমন্ত্রী জাস্টির ট্রুডোর তলব ভারত
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মানবতার স্বার্থে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রসহ আর নতুন কোনো অস্ত্র গ্রহণ না করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, 'মানবতাকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অস্ত্র ব্যবস্থা নয় বরং মানুষের কল্যাণে কৃষি, চিকিৎসা, মহাকাশ অন্বেষণ, জলবায়ু পরিবর্তন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ মানবজাতির সুবিধার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপকারী প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।'
সোমবার (২৯ এপ্রিল) ভিয়েনার হফবার্গ প্রাসাদে 'হিউম্যানিটি অ্যাট দ্য ক্রসরোডস: অটোনোমাস উইপনস সিস্টেমস অ্যান্ড দ্য চ্যালেঞ্জ অব রেগুলেশন' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ বিষয়ে উচ্চ-পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় তিনি এ আহ্বান জানান।
মানুষের ওপর অস্ত্রবল প্রয়োগে নিয়ন্ত্রণ রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে ড. হাছান মাহমুদ প্রশ্ন রাখেন, যদি রাষ্ট্রবহির্ভূত এবং সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাপূর্ণ স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ পায় তবে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার কী হবে।
স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থাকে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিশ্বব্যাপী নীতি নির্ধারণের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, প্রাণহানির ক্ষমতাসম্পন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাপূর্ণ এবং স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র উভয়ের বিষয়েই উপযুক্ত আন্তর্জাতিক আইন বিচক্ষণতার সঙ্গে প্রয়োগ করা বাঞ্ছনীয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় গাজার অনিশ্চিত পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবং সংঘাত ও উত্তেজনার নতুন ফ্রন্ট খোলার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করেন।
অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গ, কোস্টারিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্নল্ডো আন্দ্রে টিনোকো, নরওয়েজিয়ান স্টেট সেক্রেটারি ইভিন্ড ভাদ পিটারসন এবং রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির সভাপতি মির্জানা স্পোলজারিক এগার সহ-প্যানেলিস্ট হিসেবে যোগ দেন।
অস্ট্রিয়ার ইউরোপীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই সম্মেলনে ১২০টিরও বেশি দেশ জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা, অধিকার গোষ্ঠী এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার আট শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অস্ত্র পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
মন্তব্য করুন
স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম ফার্স্ট মিনিস্টার ও স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা হামজা ইউসুফ পদত্যাগ করার কথা ভাবছেন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।
স্কটিশ গ্রিনস পার্টির সঙ্গে জোট করে স্কটল্যান্ডে সরকার গঠন করেছিল হামজার দল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি। তবে এই দলের সঙ্গে সম্প্রতি তার দল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির জোট ভেঙে যায়। এরপর তাকে ক্ষমতা থেকে হটাতে দুটি অনাস্থা ভোটের ডাক দেন বিরোধীরা। একটি ফার্স্ট মিনিস্টার ও আরেকটি স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির সরকারের বিরুদ্ধে। এসব অনাস্থা ভোটে হামজা হেরে যেতে পারেন, এটা অনেকটা নিশ্চিত। তাই অনাস্থা ভোটের আগেই পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন তিনি।
সোমবার এক ভাষণে হামজা বলেছেন, আমি আমার মূল্যবোধ ও নীতি নিয়ে ব্যবসা করতে চাই না। অথবা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য যার-তার সঙ্গে চুক্তি করতে চাই না।
এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে হামজা বলেছিলেন, বিরোধীদের ডাকা অনাস্থা ভোটে তিনি জিততে পারবেন বলে বেশ আত্মবিশ্বাসী। তবে সোমবারের মধ্যেই নিজের সংখ্যালঘু সরকারকে শক্তিশালী করতে অন্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
গত বছর স্কটল্যান্ডের ক্ষমতাসীন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা নির্বাচিত হন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হামজা ইউসেফ। এরপর সাবেক ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জেনের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। স্কটল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম হিসেবে ফার্স্ট মিনিস্টার নির্বাচিত হয়েছিলেন হামজা।
পদত্যাগ স্কটল্যান্ড ফার্স্ট মিনিস্টার
মন্তব্য করুন
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে মিয়ানমার। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। যা মিয়ানমারের ইতিহাসেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। খবর এপি ও দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমার। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮.৭৬ ফারেনহাইট)। যা মিয়ানমারের ইতিহাসেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এই তথ্যটি জানিয়েছে, মিয়ানমারের আবহাওয়া বিভাগ।
আবহাওয়া বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোববার মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় ম্যাগওয়ে রাজ্যের চাউক শহরে তাপমাত্রা পারদ ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। ৫৬ বছর আগে রেকর্ড সংরক্ষণ শুরু করার পর মিয়ানমারের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
একই দিন দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত ইয়াঙ্গুনে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ছুঁয়েছে। এছাড়া দেশটির আরেক শহর মান্দালয়ে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলের শুষ্ক সমতলে অবস্থিত চাউক শহরের একজন বাসিন্দা বলেছেন, 'এখানে অত্যন্ত গরম এবং আমরা সবাই বাড়িতেই ছিলাম।' নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, 'এই পরিস্থিতিতে আমরা কিছুই করতে পারছি না।'
দেশটির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে দিনের তাপমাত্রা এপ্রিলের গড়ের তুলনায় ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।
জাতিসংঘের বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) বলেছে, ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে এশিয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে বেশি। এ কারণে এই মহাদেশের তাপমাত্রাও বাড়ছে। ১৯৯১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এশিয়ার গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকি ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর এশিয়ার গড় তাপমাত্রা ছিল দশমিক ৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে স্মরণকালের ভয়াবহ তাপপ্রবাহ। গত কয়েকদিন ধরে দেশের তাপমাত্রা এতটাই বাড়ছে যে অনেকে এটি সহ্য করতে পারছেন না। ফলে হিটস্ট্রোকসহ অন্যান্য স্বাস্থগত ঝুঁকিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। শুধু বাংলাদেশ নয়, তালিকায় আছে মিয়ানমার, ভারত, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া। সব দেশেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও এল নিনোর প্রভাবে তাপপ্রবাহ ধীরে ধীরে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে, যা নীরব ঘাতকে পরিণত হচ্ছে।
মানবতার স্বার্থে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রসহ আর নতুন কোনো অস্ত্র গ্রহণ না করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, 'মানবতাকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অস্ত্র ব্যবস্থা নয় বরং মানুষের কল্যাণে কৃষি, চিকিৎসা, মহাকাশ অন্বেষণ, জলবায়ু পরিবর্তন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ মানবজাতির সুবিধার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপকারী প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।'
স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম ফার্স্ট মিনিস্টার ও স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা হামজা ইউসুফ পদত্যাগ করার কথা ভাবছেন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। খবর আলজাজিরার। স্কটিশ গ্রিনস পার্টির সঙ্গে জোট করে স্কটল্যান্ডে সরকার গঠন করেছিল হামজার দল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি। তবে এই দলের সঙ্গে সম্প্রতি তার দল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির জোট ভেঙে যায়।
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে মিয়ানমার। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। যা মিয়ানমারের ইতিহাসেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। খবর এপি ও দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমার। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮.৭৬ ফারেনহাইট)। যা মিয়ানমারের ইতিহাসেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এই তথ্যটি জানিয়েছে, মিয়ানমারের আবহাওয়া বিভাগ।