ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

দুই বিলিয়নেরও বেশি ‘কালো’ ডলারের যে মামলা সিঙ্গাপুরকে নাড়িয়ে দিয়েছে

প্রকাশ: ০১:২১ পিএম, ১৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সিঙ্গাপুরের একটি আদালত স্পর্শকাতর এক মামলার রায় দেয়া শুরু করেছেন। সেখানে ১০ জন চীনা নাগরিককে বিদেশে অপরাধ কার্যক্রম করে কালো অর্থ ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার (২২০ কোটি) আয়ের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এতে বলা হয়, ওই কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছিল সিঙ্গাপুরের কয়েকটি ব্যাংক, প্রপার্টি এজেন্ট, দামী লৌহ ব্যবসায়ী এবং শীর্ষস্থানীয় একটি গলফ ক্লাব। এর জেরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে শত কোটি নগদ টাকা ও সম্পদ জব্দ করেছিল পুলিশ। যার রোমাঞ্চকর বিবরণ দেশটির মানুষকে দারুণভাবে আকৃষ্ট করে।

জব্দ তালিকায় রয়েছে ১৫২টি প্রপার্টিজ (জমি বা ফ্লাটের মতো সম্পদ), ৬২টি গাড়ি, বিলাসবহুল ব্যাগ ও ঘড়ি, শত শত স্বর্ণালংকার এবং কয়েক হাজার বোতল মদ। চলতি মাসের শুরুতে সু ওয়েন জিয়াং এবং সু হাইজিন এই মামলায় প্রথম কারাদণ্ড পান।

পুলিশ জানিয়েছে, সু হাইজিন গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য বাড়ির দ্বিতীয় তলার ব্যালকনি থেকে লাফ দিয়েছিলেন। তিনিসহ দুই আসামিই এক বছরের বেশি কারাগারে থাকবেন। এরপর তাদের সিঙ্গাপুর থেকে বের করে দেয়া হবে। তারা আর দেশটিতে আসতে পারবেন না। এছাড়া বাকি আটজনের বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত এখনো প্রকাশের অপেক্ষায় আছে।

মামলাটি নিষ্পত্তির চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। এই ধরনের মামলার ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুরে এটাই সবচেয়ে বড় মামলা। যা অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। মামলার প্রসিকিউটররা বলেছেন, সিঙ্গাপুরে বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য যে অর্থ ব্যয় করা হয়েছে তা এসেছে বিদেশের অবৈধ উৎস থেকে। যেমন- কেলেঙ্কারি ও অনলাইন জুয়া।

এদের কয়েকজনের একাধিক পাসপোর্ট ছিল কম্বোডিয়া, ভানুয়াতু, সাইপ্রাস ও ডমিনিকার। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, কোনো ধরনের যাচাই- বাছাই ছাড়া কয়েক বছর ধরে তারা কীভাবে সিঙ্গাপুরে বসবাস এবং ব্যাংক লেনদেন করেছেন? ফলে পলিসি পর্যালোচনার বিষয়টি উঠে আসছে আলোচনায়। বিশেষ করে ব্যাংকের নিয়মকানুন শক্ত করার বিষয়ে কিংবা যারা একাধিক পাসপোর্ট ব্যবহার করেন তাদের নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই মামলায় যে বিষয়টির ওপর দৃষ্টি পড়েছে তা হলো অবৈধ আয়ের গন্তব্য দেশে পরিণত না হয়েও ব্যাপক ধনী ব্যক্তিদের স্বাগত জানানো নিয়ে সিঙ্গাপুরের চেষ্টা। দেশটিকে প্রায়শই এশিয়ার সুইজারল্যান্ড হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ’৯০-এর দশকে ব্যাংক ও সম্পদ ব্যবস্থাপকদের আকর্ষণ করতে শুরু করে তারা। চীন ও ভারতের অর্থনৈতিক সংস্কার এবং নতুন করে স্থিতিশীল হওয়া ইন্দোনেশিয়ায় সম্পদের প্রবৃদ্ধি দেখা যেতে শুরু করে। ফলে শিগগিরই বিনিয়োগবান্ধব আইন, কর মওকুফ সুবিধা এবং অন্য সব প্রণোদনার জন্য সিঙ্গাপুর হয়ে ওঠে বিদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য স্বর্গ।

এখন অতি ধনীরা ব্যক্তিগত বিমান নিয়ে সিঙ্গাপুরের প্রাইভেট জেট টার্মিনাল ব্যবহার করতে পারেন। সৈকত এলাকায় বিলাসবহুল বাড়িঘরে বাস করেন। বিমানবন্দরের বাইরেই সর্বোচ্চ নিরাপদ ভল্ট লি ফ্রিপোর্ট আছে তাদের জন্য। এগুলোতে শিল্পকর্ম, অলংকার, ওয়াইন কিংবা এই ধরনের মূল্যবান জিনিসপত্র বিনা শুল্কে রাখা যায়।

সিঙ্গাপুরের অ্যাসেট ম্যানেজাররা ২০২২ সালে বিদেশ থেকে এনেছেন প্রায় ৪৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৭ সালের চেয়ে যা প্রায় দ্বিগুণ। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কেপিএমজি এবং ফ্যামিলি অফিস কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান আগরিয়াসের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্যক্তিগত সম্পদ ব্যবস্থাপনা করে এশিয়ার অর্ধেকেরও বেশি- এমন পারিবারিক অফিস ও ফার্ম এখন সিঙ্গাপুরে।

এর মধ্যে আছেন গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিন, ব্রিটিশ বিলিওনিয়র জেমস ডায়সন এবং বিশ্বের বৃহৎ হটপট রেস্টুরেন্ট চেইন প্রতিষ্ঠান হাইদিলাওয়ের মালিক চীনা-সিঙ্গাপুরিয়ান সু পিং। কর্তৃপক্ষ বলছেন, অর্থপাচার মামলায় কিছু অভিযুক্ত ব্যক্তির ফ্যামিলি অফিসের সঙ্গে যোগসূত্র থাকতে পারে। এই অফিস থেকেই কর প্রণোদনা দেয়া হয়।

কারনেজি চায়নার অনাবাসিক স্কলার চং জা-লান বলেন, সিঙ্গাপুরের মতো দেশের জন্য এটি পরস্পরবিরোধিতা। যেখানে দেশটি স্বচ্ছতা ও সুশাসনের জন্য গর্ব করে। অথচ সেই দেশটিই আবার কম কর এবং ব্যাংকিং গোপনীয়তার সুবিধা দেখিয়ে ব্যাপক সম্পদ এনে তা ব্যবস্থাপনাকে সুযোগ দিতে চায়। যারা অবৈধ পথে অর্থ আয় করে সেসব ব্যক্তিদের ব্যাংকার হওয়াটা ঝুঁকির কাজ।

চীনের সঙ্গে সাংস্কৃতিক নৈকট্য রয়েছে। পাশাপাশি উঁচুমানের শাসন ও স্থিতিশীলতার জন্য ধনী চীনা নাগরিকদের জন্য সিঙ্গাপুর শীর্ষ পছন্দের জায়গা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটিতে এসেছে অনেক অর্থ। এই মামলায় যে ১০ জন অভিযুক্ত তাদের একজন অবৈধ জুয়ায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৭ সাল থেকে চীনে ফেরারি। প্রসিকিউটররা বলছেন, চীনা কর্তৃপক্ষ যাতে খুঁজে না পায় সেজন্য তিনি একটি নিরাপদ জায়গা চেয়েছিলেন।

সিঙ্গাপুরভিত্তিক কোনো ব্যাংকের অর্থনৈতিক অপরাধে জড়ানোর ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ওয়ান এমডিবি কেলেঙ্কারিতে আন্তঃসীমান্ত অর্থপাচারে তাদের ভূমিকা পাওয়া গেছে। যেখানে মালয়েশিয়ার স্টেট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড থেকে বিলিয়ন ডলার অপব্যবহার করা হয়েছিল। একসময় ইন্টারপোল ডান তান কে বিশ্বের সবচেয়ে দুষ্ট ম্যাচ ফিক্সিং সিন্ডিকেট হিসেবে আখ্যায়িত করতো। তারও শক্তিশালী ব্যবসা আছে সিঙ্গাপুরে। তিনি ২০১৩ সালে সেখানে আটক হয়েছেন।

অথচ অর্থপাচার ও সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কে অর্থায়ন ঠেকাতে গঠিত বৈশ্বিক সংস্থা দ্য ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের সদস্য হিসেবে সিঙ্গাপুরে শেয়ার জালিয়াতি, করপোরেট প্রতারণা কিংবা অর্থপাচারের মতো হোয়াইট কালার ক্রাইম প্রতিরোধে শক্ত নিয়ম নীতি আছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাংকগুলো কমপ্লায়েন্স, সম্ভাব্য গ্রাহক যাচাই এবং সন্দেহজনক লেনদেন রিপোর্ট করার জন্য অনেক বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু এর কিছুই নিশ্ছিদ্র নয়। প্রথম নিয়ন্ত্রকদের জন্য অনেক বড় লেনদেনের মাঝে সন্দেহজনক লেনদেনগুলো চিহ্নিত করা কঠিন।

গত অক্টোবরে পার্লামেন্টে সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেকেন্ড মিনিস্টার জোসেফাইন টেও বলেন, এটা শুধু খড়ের গাদায় একটি সুই নয়, বরং অনেক। কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, সিঙ্গাপুরের জমজমাট প্রপার্টি মার্কেটের অর্থ হলো ‘ময়লা অর্থ’ পরিষ্কার করো। আর সেখানে আছে ক্যাসিনো, নাইট ক্লাব ও বিলাসবহুল দোকানপাট।

সিঙ্গাপুর নানইয়াং টেকনলজিক্যিাল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর কেলভিন ল বলেন, প্রতিদিন সিঙ্গাপুরের ব্যাংকিং সিস্টেমের ভেতর দিয়ে প্রচুর অর্থ আসা যাওয়া করছে। অপরাধীরা এই সিস্টেমের অপব্যবহার করতে পারে এবং বৈধ লেনদেনের ভেতর দিয়ে তারা অর্থপাচার কার্যক্রমও চালাতে পারে।

সিঙ্গাপুরে অর্থ বহন করার ক্ষেত্রে কোনো সীমা বেঁধে দেয়া নেই। তবে ২০ হাজার ডলারের ওপর হলে একটি ঘোষণাপত্র দিতে হয়। এটাকেও একটি সুবিধা বলছেন সিঙ্গাপুর ভিত্তিক ইনভেস্টিগেটিভ রিসার্চ অ্যান্ড রিস্ক এডভাইজরি ফার্ম ব্ল্যাকপিকের প্রতিষ্ঠাতা ক্রিস্টোফার লিয়াহি। তিনি বলেন, আপনি যদি অনেক অর্থ সরাতে চান, আপনি সরল দৃষ্টিতে লুকিয়ে রাখুন এবং সিঙ্গাপুর এজন্য দারুণ জায়গা। এখানে কেম্যান আইল্যান্ড বা ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে অর্থ রাখা বা ব্যয় করার বিষয় নেই।

অর্থনৈতিক রাজধানী হিসেবে সিঙ্গাপুরের সুবিধাগুলো কালো টাকাকে আকর্ষণ করছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে সেখানকার কর্তৃপক্ষ আইন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্থানীয় একটি পত্রিকাকে গত বছর দেয়া সাক্ষাতকার বিবিসিকে পাঠিয়েছে। সেখানে কে শানমুগ্যাম বলেন, আমরা জানালা বন্ধ করে দিতে পারি না। কারণ সেটি করলে বৈধ অর্থ আসতে পারবে না। বৈধ ব্যবসাও তাহলে হতে পারবে না কিংবা করা কঠিন হবে। সে কারণে আমাদের যৌক্তিক হতে হয়।

প্রয়াত চীনা নেতা দেং জিয়াওপিংয়ের একটি উদ্ধৃতিকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনি যখন সফল, বড় অর্থনৈতিক কেন্দ্র, অনেক অর্থ আসছে, সঙ্গে কিছু মাছিও চলে আসছে।

কারনেজ চায়নার ড. চং বলেন, সিঙ্গাপুরকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে হবে ‘ধূসর ছায়া ঢাকা অর্থ’গ্রহণে তারা কতদূর যাবে। কিছু বিশ্লেষক মনে করেন, অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রাখার জন্য সিঙ্গাপুর হয়তো এই মূল্য দিচ্ছে। লিয়াহি বলেন, অর্থের বড় অংশই বৈধ। তবে বড় অর্থনৈতিক কেন্দ্র হওয়ার কিছু অনিবার্য মূল্য তো আছে।


দুই বিলিয়নেরও বেশি   কালো ডলার   মামলা   সিঙ্গাপুর  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েল বিরোধীদের গ্রেপ্তার করছে সৌদি আরব

প্রকাশ: ০৪:১৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েল বিরোধী পোস্ট করায় অসংখ্য মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে সৌদি আরব। মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ বৃহস্পতিবার (২ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইসরায়েল বিরোধী মনোভাব প্রকাশের কারণে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের মধ্যে একজন রয়েছেন, যিনি একটি কোম্পানির সর্বোচ্চ কর্মকর্তা। তার কোম্পানিটি সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের একটি প্রজেক্টে কাজ করে। 

নাম গোপন রাখার শর্তে একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই কর্মকর্তা গাজায় চলমান হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করেছিলেন।

আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আমেরিকান মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর পণ্য বয়কটের আহ্বান জানানোয়। 

বিশ্বের বেশিরভাগ মুসলিম দেশে ইসরায়েলি ও মার্কিন কোম্পানির পণ্য বয়কটের আহ্বান জানানো হচ্ছে। এই বয়কটের জেরে অনেক কোম্পানি তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে।

ব্লুমবার্গকে সৌদি সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, আশঙ্কা করা হচ্ছে সৌদিতে ইরানপন্থি একটি প্রভাবের বিস্তার ঘটতে পারে। আর এই আশঙ্কা থেকে এসব ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

তবে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরায়েল বিরোধী অবস্থানের কারণে ঠিক কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেটি স্পষ্ট করে জানায়নি ব্লুমবার্গ।  

দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদির কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরমধ্যেই জানা গেল ইসরায়েল বিরোধীদের ওপর গ্রেপ্তারের মতো কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ক্ষমতাধর মুসলিম দেশ সৌদি আরব।    


ইসরায়েল   গ্রেপ্তার   সৌদি আরব  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বারানসিতে মোদির বিপক্ষে কমেডিয়ান রঙ্গিলা

প্রকাশ: ০৩:৩৫ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের বারানসি আসনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিপক্ষে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন কমেডিয়ান শ্যাম রঙ্গিলা। বুধবার(১ মে) তিনি এই ঘোষণা দেন।   

এক এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্টে রঙ্গিলা জানিয়েছেন,  নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই তিনি সবার কাছ থেকে ভালোবাসা পাচ্ছেন, আর এতে তিনি বেশ উচ্ছ্বসিত।

মোদির মিমিক্রি করেই মূল জনপ্রিয়তা পান রঙ্গিলা। এবার ভোটে তিনি মোদিকেই চ্যালেঞ্জ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

গণমাধ্যমের রঙ্গিলা জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে তিনি মোদির অনুসারী ছিলেন। তার সমর্থনে অনেক ভিডিও শেয়ার করেছেন। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিপক্ষে ভিডিও শেয়ার করেছেন। আর এসব ভিডিও দেখে যে কারো মনে হতেই পারে তিনি আগামী ৭০ বছর কেবল বিজেপিকেই ভোট দেবেন। তবে গত ১০ বছরে পরিস্থিতি পাল্টেছে অনেকটা। এবার তিনি মোদির বিরুদ্ধেই লোকসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

চলতি সপ্তাহেই বারানসিতে গিয়ে মোদির বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।


ভারত   প্রধানমন্ত্রী   নরেন্দ্র মোদী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানে ৫ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত

প্রকাশ: ০৩:১৪ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কেরমান প্রদেশে ৫ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে দেশটিতে ভূমিকম্প আঘাত হানে। তবে ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলেছে, ইরানে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের ছিল মাত্রা ৪ দশমিক ৫।

ইরানের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র (এনসিএম) বলেছে, স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ২৩ মিনিটের দিকে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার ভূগর্ভে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে।

দেশটির গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, কেরমান প্রদেশের ফারিয়াব জেলায় ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল বলে রেকর্ড করা হয়েছে। তবে ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি অথবা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

এর আগে, বুধবার ইরানের একই প্রদেশে ৪ দশমিক ৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে।

ভূমিকম্পের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কয়েকটি বড় টেকটোনিক প্লেটের সীমানায় ইরানের অবস্থান। যে কারণে দেশটিতে প্রায়ই হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার, এমনকি শক্তিশালী ভূমিকম্পও আঘাত হেনে থাকে।

ইরানে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার সবচেয়ে প্রাণঘাতী এক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল ১৯৯০ সালে। ওই ভূমিকম্পে দেশটিতে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত ও আরও ৩ লাখের বেশি আহত হন। এছাড়া এই ভূমিকম্পে গৃহহীন হয়ে পড়েছিলেন দেশটির আরও পাঁচ লাখ মানুষ।

এরপর ২০০৩ সালে ৬ দশমিক ৬ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রাচীন নগরী বাম প্রায় মাটির সাথে মিশে যায়। এতে এই শহরে কমপক্ষে ৩১ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
এছাড়া ২০১৭ সালে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ৬০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন। ওই ঘটনায় আহত হন আরও ৯ হাজারের বেশি মানুষ।


ইরান   ভূমিকম্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হায়! মার্কিন মানবাধিকার

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করছে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা।   আর এই বিক্ষোভকারী যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে মার্কিন পুলিশ। এমনকি এই নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পায়নি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকাও। 

প্রতি বছর প্রায় সব দেশের মানবাধিকার নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকে। বিশ্বের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সোচ্চার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রায় পাঁচ দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র এসব প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। তাহলে, এত এত শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন কিভাবে এড়িয়ে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর! এ কেমন মার্কিন মানবাধিকার! 

প্রায় এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো।

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ভূলুন্ঠিত মানবাধিকার: সতর্ক করবে কে?

কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি, এমোরি ইউনিভার্সিটি, জর্জটাউন ইউনিভার্সিটি, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি ও  হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় আরো অন্তত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ হয়েছে। এছাড়া কিছু হাইস্কুলেও বিক্ষোভ হয়েছে।

ইতিমধ্যে বিভিন্ন কিছু মার্কিন গণমাধ্যম বিক্ষোভের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর চালানো নির্যাতন এর ভিডিও তুলে ধরেছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৯০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অথচ বিষয়টি নিয়ে এখনও নির্বিকার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।

শুধু এখানেই শেষ নয় যুক্তরাষ্ট্রে হরহামেশাই চলছে বর্ণবিদ্বেষ। যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় ছত্রছায়ায় বর্ণবাদী হত্যা-নির্যাতন-বৈষম্য-অবিচার অতি সাধারণ নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের অভিযানে শতাধিক গ্রেপ্তার

সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশের নির্যাতনে এক কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকের অনাকাঙিক্ষত মৃত্যু হয়েছে। ওহাইও রাজ্যের ক্যান্টর শহরে গ্রেফতারের সময় এক পুলিশ কর্মকর্তা ফ্র্যাঙ্ক টাইসন নামের ২০ বছর বয়সী এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির ঘাড়ের ওপর পা দিয়ে চেপে ধরে।

ওহাইও রাজ্যের পুলিশ ঘটনাটির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, একটি বারের মেঝেয় ফেলে ফ্রাঙ্ক টাইসনের ঘাড়ের ওপর পা দিয়ে চেপে ধরে হাতকড়া পরাচ্ছে কয়েকজন পুলিশ সদস্য। আর তিনি বারবার বলছেন, ‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। রয়টার্সের এর প্রতিবেদন

মর্মান্তিক এই চিত্রটি আবারও মনে করিয়ে দিলো ২০২০ সালের জর্জ ফ্লয়েড হত্যার কথা। পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যু হয় কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড নামক এক যুবকের। ঘাড়ের ওপর পা দিয়ে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে মার্কিন পুলিশ। মিনেসোটা রাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে গ্রেফতারের সময় ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েডকে ঘাড়ের ওপর পা দিয়ে চেপে ধরেছিল পুলিশ। সে সময় ফ্লয়েডও বলেছিলেন, 'আই কান্ট ব্রেথ (আমি শ্বাস নিতে পারছি না)।’ কিন্তু এরপরও তার ঘাড়ের ওপর থেকে পা সরায়নি পুলিশ। এতে তার মৃত্যু হয়।

মার্কিন পত্রিকা গুলোতে অপেরেশন গেট্টো স্টর্ম শিরোনামে এক প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে প্রতি ২৮ ঘণ্টায় একজন কৃষ্ণাঙ্গ নর, নারী বা শিশু বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যার শিকার হচ্ছে। 

মার্কিনদের এ কেমন সাদা-কালো বিদ্বেষী মানবাধিকার! যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী মানুষগুলো কি কোনদিন সত্যিকারের মানবাধিকারের দেখা পাবে!


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   মানবাধিকার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ব্রাজিলে ভারীবৃষ্টি ও বন্যায় ১০ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বৃষ্টির থেকে বন্যার সৃষ্ট হয়েছে। এই বন্যায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বুধবার জানিয়েছে, প্রায় ২৪ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারে কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা।  

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল রাজ্যে বন্যার কারণে শতাধিক পৌরসভার প্রায় ৩ হাজার ৩০০ জন বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে অনেককেই আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। 

প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভা এক ঘোষণায় জানিয়েছেন, বন্যাকবলিত স্থান পরিদর্শন করবেন তিনি। রাজ্যের গভর্নর এডুয়ার্ডো লেইট জানিয়েছেন, ওই রাজ্যে ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ বিপর্যয়ের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

আগামী কয়েকদিনে আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ভারী বৃষ্টির মধ্যেও নিখোঁজদের সন্ধানে কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা।

ভারী বৃষ্টিতে বেশ কিছু ব্রিজ ভেঙে পড়েছে এবং রাস্তা-ঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। রাজ্যের বেশ কিছু এলাকা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।


ব্রাজিল   ভারীবৃষ্টি   বন্যা   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন