ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

‘ইউক্রেন হারলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে’

প্রকাশ: ০৩:৫০ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়ার সাথে সংঘাতে ইউক্রেন হেরে গেলে ‌‌‘‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ’’ শুরু হয়ে যাবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল। রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা একটি বিদেশি সহায়তা বিল পাসের আহ্বান জানিয়ে এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন তিনি।

ইউক্রেনের এই প্রধানমন্ত্রী বিলটি পাসের বিষয়ে আশাপ্রকাশ করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা কিয়েভের জন্য ৬১ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজটির অনুমোদন দেবেন। আগামী শনিবার মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে এই বিলের ওপর ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ইসরায়েলের পাশাপাশি ইন্দো-প্যাসিফিক সহায়তার বিষয়টিও ওই বিলে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।

বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির সঙ্গে আলাপকালে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী শ্যামিহাল যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সহায়তার বিষয়ে বলেন, ‘‘এই অর্থ আমাদের গতকালই দরকার ছিল, আজ কিংবা আগামীকাল নয়।’’

তিনি বলেন, আমরা যদি এটা না পাই... তাহলে ইউক্রেনের পতন ঘটবে। আর তখন বিশ্ব, বিশ্বের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে...। আর এটা ঘটলে পুরো বিশ্বকে নিরাপত্তার একটি নতুন ব্যবস্থা খুঁজে বের করতে হবে।’’

‘‘অথবা বিশ্বজুড়ে অনেক সংঘাত দেখা দেবে। এই ধরনের অনেক যুদ্ধ বাধবে। দিনের শেষে এটা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে গড়াবে।’’

রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে সম্ভাব্য পরাজয় নিয়ে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এবারই প্রথম যে এভাবে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, বিষয়টি তেমন নয়। কারণ এর আগে গত বছর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, সংঘাতে রাশিয়া যদি জিতে যায়, তাহলে তারা পরবর্তীতে পোল্যান্ডে আক্রমণ করবে; যা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করবে।

তবে পশ্চিমাদের এই ধরনের যুদ্ধভীতির দাবিকে নিয়ে উপহাস করেছেন ক্রেমলিনের কর্মকর্তারা। গত মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়া পূর্ব ইউরোপে একদিন হামলা চালাতে পারে পশ্চিমাদের এমন আশঙ্কাকে ‘‘পুরোপুরি বাজে কথা’’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর ভেতরে কোনও দেশে রাশিয়া কখনই হামলা চালায়নি। ন্যাটোর সামষ্টিক প্রতিরক্ষা চুক্তি অনুযায়ী, কোনও সদস্য দেশের ওপর হামলা হলে তা জোটের সব সদস্যের ওপর আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হয়।

বুধবারের সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শ্যামিহালকে রিপাবলিকান হাউসের পররাষ্ট্রবিষয়ক চেয়ারম্যান মাইকেল ম্যাককালের নিজ দলের সদস্যরা রাশিয়ার প্রচারণায় ‘‘সংক্রমিত’’ হচ্ছেন’, সাম্প্রতিক এমন এক দাবির বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের বোঝা উচিত যে, মিথ্যা তথ্য এবং অপপ্রচার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনেক মানুষের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক লোকজনের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। একইভাবে ইউক্রেনেও ছড়ানো হচ্ছে।’’


ইউক্রেন   হারল   তৃতীয়   বিশ্বযুদ্ধ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মিসাইল, হাজারো গ্রেনেডসহ কলম্বিয়ায় লাখ লাখ বুলেট চুরি

প্রকাশ: ১১:২৬ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো দুটি ঘাঁটিতে অস্ত্র ও গোলাবারুদের বিপুল ক্ষয়ক্ষতির জন্য সামরিক দুর্নীতিকে দায়ী করেছেন

বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি হাজার হাজার গ্রেনেড এবং লাখ লাখ বুলেট হারিয়ে ফেলেছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার সামরিক বাহিনী। দেশটির সামরিক ঘাঁটিগুলোতে পরিদর্শনের পর এই তথ্য সামনে এসেছে।

অভিযোগ উঠেছে, দেশটির সামরিক বাহিনীর সদস্যরা চুরি করে এসব অস্ত্রশস্ত্র বিক্রি করে দিয়েছে। বুধবার (১ মে) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলম্বিয়ার সেনাবাহিনী লাখ লাখ বুলেট, হাজার হাজার গ্রেনেড এবং বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র হারিয়ে ফেলেছে বলে দেশটির প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে সামরিক ঘাঁটিগুলোতে পরিদর্শনের সময় এসব অস্ত্রশস্ত্র নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।

এসব জিনিস নিখোঁজের জন্য অভ্যন্তরীণ দুর্নীতিকে দায়ী করে তিনি বলেছেন, সামরিক বাহিনীর কর্মীরা অস্ত্র ব্যবসায়ীদের কাছে এসব অস্ত্র বিক্রি করেছে। অন্যদিকে কলম্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, অস্ত্রশস্ত্র নিখোঁজের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এই ধরনের ঘাটতি ব্যাখ্যা করার একমাত্র উপায় হলো- সশস্ত্র বাহিনীর ভেতরের বিভিন্ন লোক এবং বেসামরিক ব্যক্তিদের নেটওয়ার্ক দীর্ঘকাল ধরে কলম্বিয়ান রাষ্ট্রের বৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে অস্ত্রের ব্যাপক বাণিজ্যিকীকরণের জন্য নিবেদিত রয়েছে।’

তিনি বলেন, চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি এবং ১ এপ্রিল যথাক্রমে টোলেমাইদা এবং লা গুয়াজিরা নামের দুটি সামরিক ঘাঁটিতে আকস্মিক পরিদর্শনের সময় এসব অস্ত্র নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

এর মধ্যে টোলেমাইদা সামরিক ঘাঁটিতে অফিশিয়াল রেকর্ডের তুলনায় ৮ লাখ ৮ হাজারেরও বেশি বুলেট এবং প্রায় ১০ হাজার গ্রেনেডের ঘাটতি পাওয়া গেছে। অন্যদিকে লা গুয়াজিরা ঘাঁটিতে প্রায় ৪২ লাখ বুলেট এবং ৯ হাজার ৩০০টিরও বেশি গ্রেনেডের বিষয়ে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে।

প্রেসিডেন্ট পেট্রো আরও বলেছেন, এই সামরিক ঘাঁটি থেকে দুটি স্পাইক ক্ষেপণাস্ত্র, ৩৭টি নিমরোড ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৫৫০টি রকেট চালিত গ্রেনেডও হারিয়ে গেছে।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সামরিক এসব অস্ত্রশস্ত্র কলম্বিয়ার মধ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে দেওয়া হতে পারে, আবার এটি হাইতি বা আন্তর্জাতিক কালো বাজারে পাচার করাও হয়ে থাকতে পারে।

কলম্বিয়ার এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো- এই একই অস্ত্রগুলো সামরিক বাহিনীর একই সদস্যদের আহত ও হত্যা করছে।’

উল্লেখ্য, কলম্বিয়ায় সরকারি বাহিনী, বামপন্থি গেরিলা গোষ্ঠী এবং ডানপন্থি আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে কয়েক দশক ধরে সংঘাত চলছে। দীর্ঘ এই সংঘাতে ৪ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

একই সময়ে কলম্বিয়ার সামরিক বাহিনীর সদস্যরা বেশ কয়েকটি দুর্নীতি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগেও দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

কলম্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইভান ভেলাসকুয়েজ একই সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, নিখোঁজ অস্ত্রের আইটেমগুলোর বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং কিছু কর্মকর্তাকে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সারা দেশে সামরিক ঘাঁটিগুলোতে আরও পরিদর্শনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, কলম্বিয়ার সামরিক বাহিনীকে এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সেরা সজ্জিত বাহিনী বলে মনে করা হয়। ড্রাগ কার্টেল মোকাবিলা করার জন্য দেশটির সামরিক বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিলিয়ন ডলার সহায়তা পেয়েছে।


কলম্বিয়া   বুলেট   চুরিমিসাইল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থীদের দখলে নেওয়া ভবনে ঢুকেছে পুলিশ

প্রকাশ: ১০:৩৩ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিল্টন হলে প্রবেশ করেছে পুলিশ। ফলে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনবিরোধী বিক্ষোভ ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে উত্তেজনা আরও বেড়েছে।

গত মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে পুলিশের বিশাল বহর ভবনটিতে প্রবেশ করে। এতে সেখানে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, দাঙ্গার ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে পুলিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছায়। তারা উত্তেজিত জনতার ভিড় ছত্রভঙ্গ করার আধুনিক অস্ত্র, লাঠি, বিশেষ গাড়ি, এপিসি, যন্ত্রচালিত মই নিয়ে সেখানে অবস্থান নেয়। হেলমেট পড়া সব সদস্যই ছিলেন মারমুখী।

ক্যাম্পাসে বিপুল পুলিশ পৌঁছানোর পর রাতে ইসরায়েলি আগ্রাসনবিরোধী বিক্ষোভকারীদের দখলে নেওয়া একাডেমিক ভবন হ্যামিল্টন হলে ক্রেনের মতো গাড়ি থেকে মই লাগিয়ে জানালা দিয়ে একে একে তারা প্রবেশ করে।
পুলিশ জানায়, ভবনটি নিরাপদ করা, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে সেখান থেকে বের করা এবং গ্রেপ্তারের উদ্দেশে একটি অভিযান হতে যাচ্ছে।

এর প্রায় ২৪ ঘণ্টা আগে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ভবনটিতে প্রবেশ করেন। এরপর তারা ভবনের প্রবেশপথ অবরুদ্ধ করে ভেতরে অবস্থান নেন।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হ্যামিল্টন হলে অভিযান শুরু হয়ে গেছে। তবে সেখানে ঠিক কী হচ্ছে বা কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা জানা যায়নি।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ নিয়ে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিতর্ক চলছিল। তখন থেকে দুটি পক্ষ সক্রিয় হয়ে উঠে।

একটি পক্ষ গাজা যুদ্ধকে অনৈতিক দাবি করে গণহত্যা বন্ধে কর্মসূচি পালন শুরু করে। তারা ইহুদিবিরোধী প্রচার অব্যাহত রাখে।

অপরদিকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্যান্য যে কোনো সময়ের চেয়ে ইসলামভীতি বাড়তে থাকে।

এরই মধ্যে গত সপ্তাহে কলাম্বিয়া ও ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল হয়ে উঠে। সেখানে হস্তক্ষেপ করে পুলিশ। এতে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সে সঙ্গে পুলিশের গণগ্রেপ্তার অব্যাহত থাকে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছাড়তে অস্বীকৃতি জানায়।

এদিকে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পাস থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দেয় কলাম্বিয়া কর্তৃপক্ষ। তবে সেই নির্দেশনা অমান্য করে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়েই অবস্থান করেন।
একপর্যায়ে কর্তৃপক্ষের আলটিমেটামের সময়সীমা পার হয়ে গেলেও বিক্ষোভ থেকে শিক্ষার্থীরা সরে না আসায় তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা জানায় কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

গাজা যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের অন্যতম সংগঠন কলাম্বিয়া স্টুডেন্টস ফর জাস্টিস ইন প্যালেস্টাইন (এসজেপি) সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিক্ষোভকারীদের তাঁবুতে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

সংগঠনটি এরপর হ্যামিল্টন হল দখলের কথা ঘোষণা দেয়। তারা জোর দিয়ে বলে, একাডেমিক ভবনটি ১৯৬৮ সালে ছাত্র বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।

বিক্ষোভকারী আরেক সংগঠন কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি অ্যাপার্থেইড ডাইভেস্ট (সিইউএডি) বলেছে, এ বছরের শুরুতে গাজায় মৃত অবস্থায় পাওয়া ছয় বছর বয়সী মেয়ে হিন্দ রাজাবের সম্মানে ভবনটি দখল করেছে তারা।


কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়   ফিলিস্তিনপন্থী   দখল   পুলিশ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে মমতা-অমিত শাহ’র বাকযুদ্ধ!

প্রকাশ: ১০:২২ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয় দফা ভোট হবে আগামী ৭ মে। এদিন ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৫ আসনে ভোট হবে। তীব্র গরম উপেক্ষা করে এ ভোটের আগে প্রচারণা চালাচ্ছেন রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতারা। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছেন বাকযুদ্ধেও।

গতকাল মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের গড় তাপমাত্রা ছিল ৪৩ ডিগ্রির বেশি। উত্তরের দার্জিলিং বাদ দিলে রাজ্যটির প্রায় সব জেলার ওপর দিয়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। ঠিক এর মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো ভোটের প্রচার-প্রচারণায় ঘাম ঝরাচ্ছে রাস্তায় রাস্তায়। তীব্র গরম উপেক্ষা করে মাথায় টুপি কিংবা কাপড় জড়িয়ে নেমে পড়ছেন জনসংযোগ।
 
তীব্র এ গরমের মধ্যে রাজ্যটিতে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন বিজেপির শীর্ষ নেতারাও; বসে নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ৯৫ আসনের মধ্যে ৭ মে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদায় দুটো এবং জঙ্গীপুর ও মুর্শিদাবাদে ভোট। এবার বিজেপির লক্ষ্য ৪২ টির মধ্যে ৩৫ আসন লুফে নেয়া।
 
আর সেই লক্ষ্য নিয়ে বর্ধমানে গেরুয়া শিবিরের পক্ষে ভোট চান অমিত শাহ। নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে বলেন,
 
অন্যদিকে অমিত শাহকেও তুলোধুনা করেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, তৃতীয় দফাতেও পশ্চিমবঙ্গে লড়াই হবে ত্রিমুখী। বিজেপি ও তৃণমূল ছাড়াও কংগ্রেসও এখানে লড়াই করছে। ২০১৯ সালের নির্বাচনে রাজ্যটিতে মাত্র দুটো আসন পেয়েছিল কংগ্রেস।


ভারত   ১৮তম   লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কেনিয়ায় বৃষ্টি-বন্যায় আরও ৬৬ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ১০:১২ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

কেনিয়ায় বৃষ্টি ও বন্যায় গত ২৪ ঘণ্টায় আফ্রিকার এই দেশটিতে ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে করে গত ১ মার্চ থেকে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৬৯ জনে। এছাড়া এখনও প্রায় ১০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বুধবার (১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেনিয়ায় বৃষ্টি ও বন্যায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে মঙ্গলবার দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এতে করে গত ১ মার্চ থেকে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৬৯ জনে। এছাড়া দেশটিতে এখনও ৯১ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

কেনিয়ার সরকারের মুখপাত্র আইজ্যাক মওয়াউরা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মঙ্গলবার কাদা ধসের ঘটনায় বেশ কয়েকটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং এতে করে মৃতের সংখ্যা ১৬৯ জনে পৌঁছেছে। ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা সারা দেশে ৬৬ জনকে হারিয়েছি এবং এর মধ্যে ৬০ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং ছয়জন শিশু রয়েছে।’
‘বন্যার কারণে ৩০ হাজার ২১৪টি কেনিয়ান পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আর জনসংখ্যার হিসেবে বাস্তুচ্যুতদের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার ৯৪২ জন। কেনিয়ার রাজধানীতে বাস্তুচ্যুতরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’

এদিকে ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়া হিসাবে কেনিয়ার সরকার ঘোষণা করেছে, তারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য হাসপাতালের সমস্ত বিল বহন করবে। বিশেষ করে মঙ্গলবার যারা কাদা ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের। এছাড়া বাস্তুচ্যুতির পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার পরিবারগুলোর আর্থিক বোঝাও কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

মূলত ভারী বৃষ্টিপাত এবং নদীর পানি উপচে পড়ে সৃষ্ট বন্যায় ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে, অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। মানবিক সংস্থা এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জরুরি সহায়তা প্রদানের জন্য কাজ করছে কেনিয়ার সরকার।

কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো মারাত্মক বন্যা মোকাবিলায় মঙ্গলবার বিশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠক আহ্বান করেন।

এদিকে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনের চেয়ারপারসন মুসা ফাকি মাহামত দেশজুড়ে বিপর্যয়কর বন্যার ধ্বংসযজ্ঞের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং কেনিয়ার জনগণের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা ও সংহতি প্রকাশ করেছেন।

এর আগে কেনিয়ার নাকুরু কাউন্টিতে গত সোমবার একটি বাঁধ ফেটে ৪০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়। রাজধানী নাইরোবি থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার (৩৭ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত নাকুরু কাউন্টির মাই মাহিউতে ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে।


কেনিয়া   বৃষ্টি-বন্যায়  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ডেটিং অ‌্যাপ যেন লুটের ফাঁদ

প্রকাশ: ১০:০৭ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

লাস্যময়ীদের আবেদনে লুকিয়ে আছে বড় বিপদ। ডেটিং অ‌্যাপ যেন লুটের ফাঁদ। সম্প্রতি এমন ফাঁদে পড়েছেন ভারতের এক ব্যবসায়ী।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, ডেটিংয়ের নাম করে শহরের এক ব‌্যবসায়ীকে হোটেলে ডাকে দুই সুন্দরী। তাকে দক্ষিণ কলকাতার একটি হোটেলের ঘরে নিয়ে গিয়ে মাদকাচ্ছন্ন করে তার সোনার গয়না হাতিয়ে নিয়ে পালায় ওই দুই তরুণী।

পরে প্রায় একশো মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে দুই তরুণীকে গ্রেপ্তার করে দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার তরুণীদের একজনের নাম অঙ্কিতা গুহ। অন‌্যজনের নাম মৌমিতা চক্রবর্তী ওরফে মামণি ওরফে পিউ মিত্র।

পুলিশ জানিয়েছে, কলকাতারই এক ব‌্যবসায়ী একটি ডেটিং অ‌্যাপের মাধ‌্যমে যোগাযোগ করেন। রেজিস্ট্রেশনের পর তিনি একসঙ্গে দুই নারীর সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানান। অ‌্যাপের মাধ‌্যমেই দুজনের মোবাইল নম্বর পান তিনি। যদিও তখনও ব‌্যবসায়ী বুঝতে পারেননি যে, ওই ডেটিং অ‌্যাপটি ভুয়া ও একসঙ্গে লুটের ফাঁদ।

বালিগঞ্জ থানা এলাকার শরৎ বোস রোডের একটি হোটেলে ব‌্যবসায়ী তাদের আসতে বলেন। দুপুরে তারা হোটেলে আসেন। একই রুমে তিনজন সময় কাটাতে থাকেন। এর মধ্যেই ব‌্যবসায়ীর পানীয়র মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয় অভিযুক্ত দুই তরুণী। তিনি কিছুক্ষণের মধ্যেই অচেতন হয়ে পড়েন। সেই সুযোগে তার সোনার চেন, বালা লুট করে অভিযুক্তরা।

রুম থেকে বের হওয়ার আগে তার মোবাইল থেকে তাদের হোয়াটসঅ‌্যাপ নম্বর ও তাদের সঙ্গে হওয়া যাবতীয় হোয়াটস অ‌্যাপ চ‌্যাট মুছেও ফেলেন তারা। দুজন চলে যাওয়ার প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর ব‌্যবসায়ীর চেতনা ফেরে। তাঁর ডাকে হোটেলের কর্মীরা আসেন। তারাই বালিগঞ্জ থানায় খবর দেন।

হাসপাতালে চিকিৎসার পর তিনি অভিযোগ দায়ের করেন। বালিগঞ্জ থানার ওসি বোধিসত্ত্ব প্রামাণিকের নেতৃত্বে একটি টিম তদন্ত শুরু করে। টিমকে সাহায‌্য করে সাউথ ইস্ট ডিভিশনের সাইবার সেল।

তদন্তের শুরুতেই পুলিশ বুঝতে পারে, ডেটিং অ‌্যাপটি ভুয়া। যেহেতু হোয়াটসঅ‌্যাপ নম্বর মুছে ফেলা হয়, তাই ডেটিং অ‌্যাপটির সূত্র ধরেই চলে তদন্ত। ওই ডেটিং অ‌্যাপের ‘হিস্ট্রি’ থেকে বিভিন্ন ব‌্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ হওয়া প্রায় একশো মোবাইল নম্বর পরীক্ষা করতে থাকে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত কয়েকটি মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরেই দুজনকে শনাক্ত করা হয়।


ডেটিং   অ‌্যাপ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন