ভারতের নির্বাচনী ইতিহাসে এই প্রথম
লোকসভার প্রথম ধাপের ভোটে পূর্ব নাগাল্যান্ডের ছয় জেলায় ৪ লাখ ৬৩২ ভোটারের মধ্যে
কেউ ভোট দেননি। নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তা অবশ্য দাবি করেন, দু–একজন ভোট দিয়ে
থাকতে পারেন, কিন্তু শতাংশের হিসাবে তা শূন্য। এক কথায় বলা যায়, ওই ছয় জেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে
শূন্য শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন অথবা কেউই ভোট দেননি। এটা ভারতে অতীতে কবে ঘটেছে, তা
করে বলা সম্ভব নয়।
এদিকে ভোট বর্জনের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের
জন্য ছয় জেলায় যে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল, বর্জন সফল হওয়ার পরে আজ শনিবার সকালে
তা তুলে নেওয়া হয়েছে। যে সংগঠনের ডাকে ভোট বর্জন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল এবং তা
সফলভাবে গতকাল শুক্রবার ভোটের দিন পালন করা হয়েছে, সেই সংগঠনের নাম ইস্টার্ন নাগাল্যান্ড
পিপলস অর্গানাইজেশন (ইএনপিও)। ইএনপিওর ডাকা কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়েছিল ছয় জেলার
একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
পূর্ব নাগাল্যান্ডের যে ছয় জেলায়
ভোট বর্জনের এমন অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে সেগুলো হচ্ছে কিপিরে, লংলেং, মোন, নকলাক, শামাটোর
ও টুয়েনসাঙ। নাগাল্যান্ডের মোট ১৩ লাখ ২৫ হাজার ভোটারের মধ্যে ৪ লাখ ৬৩২ অর্থাৎ ৩০
শতাংশ ভোটার এই ছয় জেলার বাসিন্দা।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ওই অঞ্চলে
ভোট নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা ৯ ঘণ্টা বুথে অপেক্ষা
করেন। কিন্তু কোনো স্থানীয় মানুষ ভোট দিতে আসেননি।
এই পরিস্থিতিকে সংকটজনক বলে মনে করছে
নির্বাচন কমিশন। কারণ, এই ঘটনা স্মরণকালের মধ্যে ঘটেনি। নির্বাচন কমিশনের সূত্র বলছে,
এমন পরিস্থিতির জন্য তারা প্রস্তুতও ছিল না।
নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তা স্থানীয়
গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এমন কিছু একটা ঘটতে পারে, এ ধরনের কোনো তথ্য প্রশাসনিক সূত্রে আমাদের
আগে জানানো হয়নি। তারা জানালে আমরা বিষয়টি নিয়ে অন্যভাবে ভাবতাম, প্রচার–প্রচারণা
চালাতাম বা ব্যবস্থা নিতাম।’
মাওবাদী–অধ্যুষিত মধ্য ভারতের বস্তার
ডিভিশনেও গতকাল প্রথম ধাপের নির্বাচন ছিল। সেখানে ৬৪ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। নাগাল্যান্ডে
ভোট পড়েছে ৫৬ শতাংশ।
নাগাল্যান্ডে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের
মুখ্য কর্মকর্তা আর ভায়াসান গতকালই একটি শোকজ নোটিশ পাঠিয়ে ইএনপিওর কাছে জানতে চেয়েছেন,
ভারতীয় দণ্ডবিধির নির্দিষ্ট ধারায় নির্বাচন ব্যাহত করার জন্য কেন ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। এই নোটিশের উত্তরও ইএনপিও নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়েছে। একই
সঙ্গে আজ শনিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ এক বিবৃতিতে ইএনপিও জানিয়েছে, অনির্দিষ্টকালের
জন্য যে ধর্মঘটের ডাক তারা দিয়েছিল, তা তুলে নেওয়া হলো।
যে কারণে ভোট দিলেন না চার লাখ ভোটার
নাগাল্যান্ডের বিধানসভায় যে সরকার রয়েছে,
কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি সেই সরকারের প্রধান শরিক দল।
ইএনপিও এক দশকের বেশি সময় ধরে নাগাল্যান্ডের
ছয় অনুন্নত পূর্বাঞ্চলীয় জেলা নিয়ে একটি ভিন্ন প্রশাসনিক অঞ্চল ‘ফ্রন্টিয়ার নাগাল্যান্ড
টেরিটরি’ (এফএনটি) গঠনের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। কার্যত এর অর্থ একটি ভিন্ন রাজ্য। ইএনপিও
ওই অঞ্চলের সাতটি আদিবাসী সংগঠনের প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত একটি সার্বিক সংগঠন।
নাগাল্যান্ডের এই সাত আদিবাসী গোষ্ঠী
হলো কনিয়াক, চাং, ইমখিয়াং, শ্যাংট্যম, ফোম, খিয়ামনিউনগান ও টিখির। এই ৬ জেলার সাত
আদিবাসী গোষ্ঠী নাগাল্যান্ডের ৬০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ২০টিকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা
রাখে।
ইএনপিও দীর্ঘ এক দশক ধরে অনুন্নত পূর্বাঞ্চলীয়
জেলাগুলোর জন্য আলাদা প্রশাসন ও সম্ভবত রাজ্যের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। সম্প্রতি তাদের
তৎপরতা আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। নাগাল্যান্ডের অন্য অঞ্চলের বিশেষত রাজধানী কোহিমাভিত্তিক
বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন এবং ছাত্রসংগঠনের নেতারা এই শক্তিবৃদ্ধির একটি ব্যাখ্যা প্রথম
আলোকে অতীতে দিয়েছেন। এই ছাত্রসংগঠনের কিছু কিছু নেতা বর্তমানে নাগাল্যান্ডের বাইরে
রয়েছেন। কারণ, তাঁদের বিরুদ্ধে নানা মামলা রাজ্যে চলছে।
এসব ছাত্রসংগঠনের এক নেতা সম্প্রতি
মুম্বাই থেকে টেলিফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা
করে দিয়েছিলেন, নাগাল্যান্ড সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। কারণ, নাগাল্যান্ডের প্রধান
বিচ্ছিন্নতাবাদী ও রাজনৈতিক শক্তি এনএসসিএনআইএম (ন্যাশনালিস্ট সোসালিস্ট কাউন্সিল অব
নাগাল্যান্ড-আইজ্যাক মুইভা) ভারত সরকারের সঙ্গে ‘ফ্রেমওয়ার্ক অ্যাগ্রিমেন্ট’ সই করেছে।
কিন্তু ২০২৪ সালে এসে ভারত সরকার দেখতে পাচ্ছে, সেই সমস্যার সমাধান হয়নি। কারণ, এনএসসিএনের
প্রধান দাবি তাদের পৃথক সংবিধান, পৃথক পতাকা ইত্যাদি থেকে সরে আসেনি।
এনএসসিএনআইএম এসব সমস্যার সমাধান তো
দূরের কথা, গত ১০ বছরে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এটা বুঝতে পেরে ঘুমিয়ে থাকা ইএনপিওকে
জাগিয়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। ইএনপিওকে চাঙা করে এটা বোঝানোর চেষ্টা করে,
নাগারা বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে বিভাজিত এবং এনএসপিএন যে দাবি তুলেছে, গোটা নাগাল্যান্ড
সেই দাবিতে মোটেই সংঘবদ্ধ নয়। ফলে নাগাল্যান্ডের পৃথক পতাকা বা সংবিধান দেওয়া যাবে
না। এখন ইএনপিও বুঝতে পেরেছে, তারা যথেষ্ট শক্তিশালী এবং মাথা তুলেছে।
ইএনপিওর এই শক্তি বৃদ্ধির কারণেই গতকাল নাগাল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় ছয় জেলায় কেউই ভোট দিতে যাননি। বিপদ বুঝে ভারত সরকারেরই সংস্থা জাতীয় নির্বাচন কমিশন এখন ইএনপিওকে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছে।
মন্তব্য করুন
মার্কিন ঘাঁটি রুশ সেনা মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী
মন্তব্য করুন
এবার অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) দেশটির সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইউনিভার্সিটি অব সিডনি) তাবু স্থাপন করে অবস্থান নেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। সেসময় তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
এদিনের আন্দোলন থেকে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কযুক্ত সংস্থাগুলো থেকে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিচ্ছিন্ন করার দাবি তোলেন। বিক্ষোভকারীরা অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও তার সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের দাবি, অস্ট্রেলিয়ান সরকার গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যথেষ্ট কাজ করেনি।
ব্রিটিশি বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মেলবোর্ন, ক্যানবেরাসহ অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও একই ধরনের শিবির গড়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলো থেকে পুলিশ ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীদের জোর করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও, অস্ট্রেলিয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।
বিক্ষোভের জায়গাগুলোতে স্বল্পসংখ্যক পুলিশের শান্তিপূর্ণ উপস্থিতিতে ছিল। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে বেশ কয়েকটি পুলিশের গাড়ি পার্ক করা থাকলেও বিক্ষোভে কোনো পুলিশ উপস্থিত ছিল না।
এদিকে, এই বিক্ষোভের কারণে অনিরাপদ বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অধ্যয়নরত ইহুদী শিক্ষার্থীরা। তাদের মতে এ ধরনের আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে করা উচিত।
ইউনিভার্সিটি অব সিডনির উপাচার্য মার্ক স্কট বলেছেন, ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাস আংশিকভাবে অবস্থান করতে পারে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কোনো সহিংসতা দেখা যায়নি।
কয়েক দফা দাবি নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীরা। অস্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে ক্যাম্পাস চত্বরেই তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি ও মিশরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে মিত্র দেশগুলো থেকে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা।
অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভ ফিলিস্তিন
মন্তব্য করুন
গত ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ হাজার ২০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।
এপির হিসেব অনুযায়ী, ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মোট ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৬ বার অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেসব অভিযান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের।
সর্বশেষ স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেসে (ইউসিএলএ) অভিযান চালিয়ে ২০০ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্লাইউড, মেটাল ফেন্স, প্ল্যাকার্ড দিয়ে তৈরি করা ব্যারিকেড এবং ক্যাম্পাস চত্বরের অস্থায়ী তাঁবুগুলো তছনছ করে দিয়েছে পুলিশ। এসব তাঁবুতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রাতে ঘুমাতেন।
ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে গত মার্চের শেষ দিক থেকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ। পরে সেই আন্দোলন দেশটির অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে সেই আন্দোলন চলার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ১৮ এপ্রিল রাতে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এ অভিযানে ১০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ এবং তাদের তাঁবু-ব্যারিকেডও তছনছ করে দিয়েছিল পুলিশ।
কিন্তু পরের দিন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ফের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। মার্কিন এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালিয়েছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ-আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার সদস্যরা মার্কিন শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে 'ইহুদিবিদ্বেষী' আন্দোলন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তবে আন্দোলনের সংগঠকদের (যাদের মধ্যে ইহুধি ধর্মাবলম্বীরাও রয়েছেন) দাবি, তারা কেবল ফিলিস্তিনিদের অধিকার ও গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছেন।
যুক্তরাষ্ট্র বিক্ষোভ গ্রেপ্তার শিক্ষার্থী ইউসিএলএ
মন্তব্য করুন
মুক্ত গণমাধ্যম বাংলাদেশ পাকিস্তান
মন্তব্য করুন
চলন্ত ট্রেনে অপ্রত্যাশিত এক ঘটনার সাক্ষী হলেন যাত্রীরা। স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে পালালেন স্বামী। গত ২৯ এপ্রিল ভারতের জাহাংসি জংশনে এ ঘটনা ঘটে।
২৮ বছর বয়সি মোহাম্মাদ আরশাদ তার ২৬ বছর বয়সি স্ত্রী আফসানাকে নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ করার সময় তালাকের এ ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির।
পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার আরশাদের চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি বিয়ে হয়েছিল আফসানার সঙ্গে। বিয়ের পর দুজনে ভোপালে থাকতেন। এক সপ্তাহ আগে কানপুরের পুখরায়ানে যান দুজনে। সেখানে আরশাদের পৈতৃক বাড়ি। কিন্তু সেখানে গিয়েই চমকে যান আফসানা। জানতে পারেন আরশাদের আরও এক স্ত্রী রয়েছে। এর প্রতিবাদ করলে আরশাদ ও তার মা আফসানার কাছে যৌতুকের দাবি করতে থাকে।
অভিযোগ, মারধরও করা হয় আফসানাকে। এরপর স্ত্রী আফসানাকে নিয়ে ভোপালে ফিরছিলেন আরশাদ। ঝাঁসি স্টেশনে ট্রেন ঢোকার মুখে স্ত্রীকে তিন তালাক দেন আরশাদ। এরপরই ট্রেন থেকে নেমে যান।
এ ছাড়া স্ত্রীকে চলন্ত ট্রেনে মারধরও করেছিলেন আরশাদ। ট্রেন ঝাঁসিতে থামতেই জিআরপিকে সমস্ত ঘটনা জানান আফসানা। এরপরই আফসানাকে ফেরত পাঠানো হয় আরশাদের পৈতৃক বাড়িতে। ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। আরশাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
গোটা ঘটনার কথা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও জানিয়েছেন আফসানা। স্বামীর কড়া শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।
পুলিশের সার্কেল অফিসার জানিয়েছেন, আফসানার অভিযোগের ভিত্তিতে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলা থেকে রেহাই পাইনি তার বাবা-মাও।
মন্তব্য করুন
গত ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ হাজার ২০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। এপির হিসেব অনুযায়ী, ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মোট ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৬ বার অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেসব অভিযান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের।