ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত, বিপদে জর্ডান

প্রকাশ: ০৮:৩৪ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যপ্রাচ্যে শক্তিশালী দুই দেশ—ইরান ও ইসরায়েলকে নিয়ে মহাবিপত্তিতে আছে জর্ডান। দেশ দুটির মধ্যে শত্রুতা দিন দিন বাড়ছে। আর এই শত্রুতার জেরে আঞ্চলিক সংঘাত বাড়লে মারাত্মক আঘাত আসতে পারে জর্ডানের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজের ওপর।

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যদি চূড়ান্তরূপে যুদ্ধ বেধে যায়, তাহলে জর্ডান বড় সংকটে পড়তে পারে বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের টেম্পল ইউনির্ভাসিটির জর্ডান–বিশেষজ্ঞ সেন ইয়োম। তিনি বলেন, ‘জর্ডানকে খোলাখুলিভাবে এই ঝঞ্ঝাটের বাইরে থাকতে হবে। যুদ্ধে কোনো এক পক্ষের সঙ্গে হাত মেলাতে পারবে না তারা।’ খবর আল জাজিরার।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জর্ডান আরেকটা পরিচিতি পেয়েছে। সেটি ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারী হিসেবে। এ ছাড়া উপত্যকাটিতে পর্যাপ্ত ত্রাণসহায়তা প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টাও চালাচ্ছে তারা। তবে এসব কর্মকাণ্ড দেশটির রাজপথে নামা বিক্ষোভকারীদের অতটাও মন ভরাতে পারেনি।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এরই প্রতিবাদে জর্ডানে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, এই দুই দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে আম্মানকে।

এরই মধ্যে সাম্প্রতিক আরেকটি ঘটনা জর্ডানের মানুষকে আরও বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে। ঘটনাটি ১৩ এপ্রিল রাতের। জর্ডানের আকাশে কয়েক ডজন ইরানি ড্রোন ধ্বংস করে দেশটির বিমানবাহিনী। সেদিন রাতে ইসরায়েল লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছুড়েছিল তেহরান।

ইরানের ওই হামলা ছিল ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলের হামলা জবাব। ওই হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) কয়েক কর্মকর্তা নিহত হন। তাদের মধ্যে ছিলেন শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদিও।

ইরানের ড্রোন ধ্বংসের বিষয়ে জর্ডানের ভাষ্য, তারা নিজেদের সীমান্ত রক্ষায় ওই পদক্ষেপ নিয়েছিল। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেছিলেন, ইরানের ছোড়া ড্রোন ও ক্ষেপাণাস্ত্রগুলো জর্ডানের ভূখণ্ডে পড়ার সম্ভাব্য বিপদ ছিল। জর্ডানের সশস্ত্র বাহিনী উপযুক্ত কৌশলে সেই বিপদ মোকাবিলা করেছে।

আয়মান সাফাদি আরও বলেন, জর্ডানের নিরাপত্তাকে বিপন্ন করার সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না। এটি জর্ডানের মূলনীতির বিষয়। ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও একই কাজ করা হবে। হুমকিগুলো ইসরায়েল, ইরান বা অন্য কোনো জায়গা থেকে আসছে কি না, তা বিবেচনায় নেওয়া হবে না।

ফিলিস্তিনিদের প্রতি জর্ডানের বাসিন্দাদের গভীর সহানুভূতি রয়েছে। দেশটিতে আনুমানিক ২০ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থী রয়েছেন। এ ছাড়া দেশটির জনসংখ্যার বড় একটি অংশ ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত। এমন পরিস্থিতিতে ১৩ এপ্রিল রাতে ইরানের ড্রোন ধ্বংসের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ আখ্যা দিয়েছেন।

জর্ডানের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির কারণে দেশটির রাজতন্ত্র চাপে রয়েছে। এমনকি ৭ অক্টোবরের আগেও দেশটির ভেতরে ও সীমান্তে বহু চ্যালেঞ্জ ছিল। জর্ডানের পদক্ষেপে প্রথম দিকে চটেছিল তেহরানও। রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ইরানি বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের চালানো কোনো অভিযানে নাক গলালে জর্ডানকেও ভবিষ্যতে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হতে পারে বলে হুমকি দিয়েছে তেহরান।

তবে দ্রুতই নিজেদের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নেয় দুই দেশ। ইরানের সংবাদমাধ্যম মেহর নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানকে ফোনে জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাফাদি বলেছেন, ইসরায়েলকে তাদের ‘আকাশসীমার অপব্যবহার করতে দেওয়া হবে না’।

টেম্পল ইউনির্ভাসিটির সেন ইয়োমের ভাষ্যমতে, ইসরায়েলকে সহযোগিতার অভিযোগ তুলে ১৪ এপ্রিল জর্ডানকে সম্ভাব্য হামলার লক্ষ্যবস্তু করার হুমকি দিয়েছিল রেভল্যুশনারি গার্ড কোর। তবে পরদিনই নরম সুরে কথা বলতে শোনা যায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে। তিনি জর্ডানকে কূটনৈতিক অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ইরানের সঙ্গে জর্ডানের স্বাভাবিক সম্পর্ক রয়েছে।


ইরান   ইসরায়েল   সংঘাত   বিপদে   জর্ডান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মন্ত্রীর পিএসের গৃহকর্মীর বাসায় কোটি কোটি টাকা

প্রকাশ: ০৪:১০ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে এক মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারীর (পিএস) গৃহকর্মীর বাসায় পাওয়া গেল কোটি কোটি টাকা।

সোমবার (৬ মে) দেশটির আর্থিক দুর্নীতিসংক্রান্ত তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অভিযান চালিয়ে সেসব উদ্ধার করে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ঝাড়খণ্ড রাজ্যের রাজধানী রাঁচির একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়েছে ইডি। অভিযানে ২৫ কোটি রুপি নগদ উদ্ধার করা হয়। এসব আয় বহির্ভূত কালো অর্থ।

এ দিন ঝাড়খণ্ডের গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী আলমগীর আলমের ব্যক্তিগত সচিব সঞ্জীব লালের এক গৃহকর্মীর বাসায় অভিযান চালানো হচ্ছে। ৭০ বছর বয়সী আলমগীর একজন কংগ্রেস নেতা। তিনি ঝাড়খণ্ডের পাকুড় আসনের বিধায়ক।

তবে ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই টাকার স্তূপে ২০ থেকে ৩০ কোটি রুপি থাকতে পারে। এখনো গণনার কাজ চলছে। এসব খুব চতুরতার সঙ্গে এখানে লুকানো ছিল।

এ বিষয়ে ঝাড়খণ্ড বিজেপির মুখপাত্র প্রতুল শাহদেব বলেন, এই অর্থ উদ্ধারের ঘটনা ইঙ্গিত দেয়, চলমান লোকসভা নির্বাচনে তা ব্যয় করার পরিকল্পনা ছিল।


মন্ত্রী   পিএস   ঝাড়খণ্ড   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস অফিসে হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

প্রকাশ: ০৩:৫৪ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। ইতোমধ্যেই প্রথম দুই দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফা ভোটের আগে উত্তরপ্রদেশের আমেঠিতে হামলা হয়েছে কংগ্রেস অফিসে।

ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের আমেঠিতে বিরোধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের অফিসে হামলা চালিয়েছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। 

রবিবার (৫ মে) মধ্যরাতে  পার্টি অফিসের বাইরে পার্ক করা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।

গাড়ি ভাংচুরের শব্দ পেয়ে পার্টি অফিসের সামনে আসেন দলীয় কর্মীরা। এ সময় কর্মীদের সাথে দুর্বৃত্তদের হট্টগোল হয়। পরে তারা পালিয়ে যায়। ঘটনার প্রতিবাদে সঙ্গে সঙ্গেই বিক্ষোভ শুরু করেন কর্মীরা।

ঘটনার পরই পার্টি অফিসে ছুটে আসেন কংগ্রেস জেলা সভাপতি প্রদীপ সিঙ্গল।

এই ঘটনায় কংগ্রেসের কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং তারা রাতেই উত্তেজিত হয়ে বিক্ষোভে নামেন। ঘটনার পরই পার্টি অফিসে ছুটে আসেন কংগ্রেস জেলা সভাপতি প্রদীপ সিঙ্গল।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, বিজেপির দুর্বৃত্তরা উত্তরপ্রদেশের এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। যুব কংগ্রেস নেতা শুভম সিংকেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যেই এই ঘটনায় দুই বিজেপি নেতাসহ আটজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

মধ্যরাতের এই ঘটনার পর পার্টি অফিসে পৌঁছান কংগ্রেসের জেলা সভাপতি প্রদীপ সিঙ্গল। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ বাহিনী। পার্টি অফিসের বাইরেই হাঙ্গামা শুরু করেন দলীয় কর্মী সমর্থকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছান সিও মায়াঙ্ক দ্বিবেদীও। ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত শাস্তির আশ্বাস দেওয়ার পর পরিস্থিতি কিছুটা ঠান্ডা হয়।

গোটা ঘটনার জন্য কংগ্রেস স্মৃতি ইরানিকে দায়ী করেছে। এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আমেঠির বিজেপি প্রার্থীকে অভিযুক্ত করে পোস্ট করা হয়েছে। এতে লেখা হয়েছে, 'স্মৃতি ইরানি এবং বিজেপি কর্মীরা আমেঠিতে ভয় পেয়ে গেছে। পরাজয়ের ভয়ে বিজেপির দুষ্কৃতীরা লাঠি, রড নিয়ে কংগ্রেসের পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে। অফিসের বাইরে রাখা গাড়িও ভাঙচুর করেছে তারা। আমেঠির মানুষ এবং কংগ্রেসের কর্মীদের ওপর আঘাত হানার চেষ্টা হয়েছে। অনেকেই এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন। জঘন্য হামলা চালানো হয়েছে।' 

কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও ফুটেজও শেয়ার করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, 'ঘটনার সময় সাধারণ মানুষের গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গোটা ঘটনায় পুলিশ নির্বাক। এই হামলা প্রমাণ করছে আমেঠিতে বিজেপি হারছে।' 


উত্তরপ্রদেশ   কংগ্রেস   হামলা   গাড়ি ভাঙচুর  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সোনা কিনতে দুবাই ছুটছেন ভারতীয়রা

প্রকাশ: ০২:৫০ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

দুবাইয়ে সারা বছর লেগে থাকে পর্যটকদের ভিড়। এদের একটি বড় অংশই ভারতীয়। অন্যসময় এসব পর্যটক দুবাই ঘুরতে যান ধরে নিলেও এই সময়টায় যারা যাচ্ছেন, তাদের অনেকেরই উদ্দেশ্য ভিন্ন। এখন বহু ভারতীয় পর্যটক সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাঁকজমক শহরটিতে ছুটছেন কেবল সোনার কেনার উদ্দেশ্যে।

আগামী ১০ মে অক্ষয় তৃতীয়া উৎসব উদযাপন করবেন ভারতসহ গোটা বিশ্বের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। অক্ষয় তৃতীয়া হলো হিন্দু পঞ্জিকার বৈশাখ মাসের শুক্লা তৃতীয়া অর্থাৎ শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি। এটি হিন্দু ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ সময়।

অক্ষয় শব্দের অর্থ হলো যা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না। বৈদিক বিশ্বাস অনুসারে, এই পবিত্র তিথিতে কোনো শুভকাজ সম্পন্ন হলে তা অনন্তকাল অক্ষয় হয়ে থাকে। আধুনিককালে এই তিথিতে সোনার বা রূপার গয়না কেনা হয়। মনে করা হয়, এই শুভ তিথিতে রত্ন বা জিনিসপত্র কিনলে গৃহে শুভযোগ হবে, সুখ-শান্তি ও সম্পদ বৃদ্ধি হবে। এই আশাতেই এদিন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা কিছু না কিছু কিনে থাকেন।

বর্তমানে সোনা ক্রেতা ভারতীয়দের মধ্যে অনেকেরই প্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে দুবাই। অন্যবারের মতো এবারও অক্ষয় তৃতীয়া উপলক্ষে সোনাদানা কিনতে শহরটিতে ছুটছেন অনেকে।

লিয়ালি জুয়েলারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনুরাগ সিনহা বলেন, হ্যাঁ! কিছু লোক সোনা কেনার জন্য ভারত থেকে দুবাই ভ্রমণ করেন, বিশেষ করে অক্ষয় তৃতীয়ার মতো উৎসবের সময়। তিনি বলেন, এখানে বিভিন্ন ধরনের সোনার গয়না, কয়েন ও বার পাওয়া যায়। এ কারণে ভারত এবং অন্যান্য দেশের সোনা ক্রেতাদের কাছে আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে দুবাই।

পাভাদ গোল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রফুল ঢাকন বলেন, দুবাইয়ের সোনার বাজার এর বৈচিত্র্য এবং প্রতিযোগিতামূলক দামের জন্য পরিচিত। এটি অবশ্যই দুবাইকে সোনা কেনার জন্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল গন্তব্য করে তুলেছে। অক্ষয় তৃতীয়া উদযাপনকারী ভারতীয়রাও এতে আকৃষ্ট হচ্ছেন।

বাফলেহ জুয়েলার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রমেশ ভোরা জানান, ভারতীয় পর্যটকরা জানেন, অক্ষয় তৃতীয়ার সময় দুবাইয়ে বিভিন্ন ধরনের অফার থাকে। তাই সেই অনুযায়ী তারা ভ্রমণের তারিখ নির্ধারণ করেন।

খালিজ টাইমসের খবর অনুসারে, অক্ষয় তৃতীয়া উৎসব চলাকালীন দুবাইয়ের অনেক জুয়েলার্স সোনা, হীরা এবং মূল্যবান ধাতব গহনা কেনার জন্য ক্রেতাদের জন্য বিশেষ ছাড়, গহনা বানাতে শূন্য মজুরি এবং উপহারের অফার দিচ্ছে।

কল্যাণ জুয়েলার্সের নির্বাহী পরিচালক রমেশ কল্যাণরামন বলেন, দুবাই সারা বছরই জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। তবে এই মৌসুমে ভারতীয় পর্যটকরা যদি মধ্যপ্রাচ্যে ভ্রমণ করেন, তাহলে তারা সোনা কেনার সম্ভাবনাই বেশি।


দুবাই   ভারত   সোনা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আবহাওয়া অফিস স্বস্তির খবর দিলো পশ্চিমবঙ্গে

প্রকাশ: ০২:৪৭ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহের পর স্বস্তির পূর্বাভাস দিয়েছে কলকাতা আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ মে) কালবৈশাখী ঝড়ে সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। সোমবার (৬ মে) বিকেল থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার থেকে আগামী শনিবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে ভিজবে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জেলা। এছাড়াও পূর্বাভাস অনুযায়ী, একাধিক জেলায় কালবৈশাখীর সম্ভাবনাও রয়েছে। বৃষ্টি শুরু হলেই তাপমাত্রা স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

সোমবার বিকেল থেকে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, নদিয়া, উত্তর২৪ পরগনা, দক্ষিণ২৪ পরগনা, হুগলি, পুরুলিয়া, মেদিনীপুরসহ একাধিক জেলায় প্রতি ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। কোথাও কোথাও ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

কলকাতা আবহাওয়া দফতরের পরিচালক সোমনাথ দত্ত জানিয়েছেন, সোমবার কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি বেশি হতে পারে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রী বেশি। কলকাতায় বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতা সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশের কাছাকাছি থাকতে পারে। সোমবার সকালে কলকাতায় বৃষ্টি না হলেও বিকেলে বা সন্ধ্যার দিকে বজ্রপাত আঘাত হানতে পারে। সোমবার সকাল থেকেই আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে।

উত্তরবঙ্গের দুই পাহাড়ি জেলা দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে বজ্রপাতসহ মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। এছাড়াও কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে বজ্রপাতসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতি ঘন্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, সাগর থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস ঢুকেছে রাজ্যে। ফলে বিকেল থেকেই শুরু হতে পারে বৃষ্টি। বঙ্গোপসাগরে বিপরীত ঘূর্ণবাতের প্রভাবের ফলে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। সমুদ্র উপকূল ও সমুদ্রের মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া থাকবে। সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতা জারি করেছে কলকাতা আবহাওয়া দফতর। মৎস্যজীবীদের সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।


আবহাওয়া অফিস   পশ্চিমবঙ্গে  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলে গোলাবারুদের একটি চালান বন্ধ করল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ১২:৫০ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাফায় বড় পরিসরে স্থল অভিযান চালাতে অনড় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। কিন্তু মার্কিন কর্মকর্তারা রাফায় সম্ভাব্য ইসরায়েলি অভিযান নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। এমন পরিস্থিতির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ইসরায়েলে গোলাবারুদের একটি চালান থামিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

বাইডেন প্রশাসন কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল খবরে তা প্রকাশ করা হয়নি। সূত্রের বরাতে খবরে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার রাফায় সম্ভাব্য ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের সঙ্গে বাইডেন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের যোগসূত্র নেই। তা ছাড়া এই সিদ্ধান্ত ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য চালান পাঠানোর বিষয়টিকে প্রভাবিত করবে না।

চালানটির বিষয়ে জানতে চাইলে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক মুখপাত্র বলেন, গত ৭ অক্টোবরের হামলার পর থেকে ইসরায়েলের জন্য নিরাপত্তা সহায়তা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলকে জরুরি সহায়তা দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সর্ববৃহৎ সম্পূরক বরাদ্দ পাস করেছে। ইরানের হামলা থেকে ইসরায়েলকে রক্ষা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র একটি অভূতপূর্ব জোটের নেতৃত্ব দিয়েছে। ইসরায়েল যেসব হুমকির মুখোমুখি হচ্ছে, তা থেকে তারা যাতে নিজেদের রক্ষা করতে পারে, সেটি নিশ্চিতের জন্য যা যা করা দরকার, তা করতে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা দাবি করছেন, ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন একটি বৈদেশিক সহায়তা বিলে সই করেন। এতে ইসরায়েল-হামাস সংঘাতকে কেন্দ্র করে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ১৫ বিলিয়ন ডলার ইসরায়েলের জন্য সামরিক সহায়তা। ৯ বিলিয়ন ডলার গাজার জন্য মানবিক সহায়তা। আর ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার অঞ্চলটিতে মার্কিন সামরিক কার্যক্রমের জন্য রাখা হয়েছে।

সাত মাস ধরে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এই হামলার মুখে গাজার বেশির ভাগ মানুষ উপত্যকাটির রাফায় আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আছে।

ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তির লক্ষ্যে বর্তমানে আলোচনায় যুক্ত আছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই আলোচনায় কোনো অগ্রগতি নেই। ইসরায়েল ও হামাসের অনড় অবস্থানের কারণে গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। সূত্র : সিএনএন


ইসরায়েল   যুক্তরাষ্ট্র   গোলাবারুদ   চালান বন্ধ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন