ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা চালাচ্ছে চীন: ব্লিঙ্কেন

প্রকাশ: ০৯:১১ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনে চীন হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তবে অভিযোগ নয় বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রমাণও আছে। এমন দাবি করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) চীন সফরের শেষ দিন মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ অভিযোগ করেন।

তিনদিনের চীন সফরের শেষ দিন গত শুক্রবার বেইজিংয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের কাইলি অ্যাটউডকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে চীনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তোলেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

চীন সফরে দেশটির প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। নানা বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে চলমান টানাপোড়েনের মধ্যেই চীন সফরে গিয়েছিলেন তিনি।

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানান, গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোতে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। তখনও ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চীন যাতে হস্তক্ষেপ প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা না চালায়— এমন বার্তা সিকে দিয়েছিলেন জো বাইডেন। সে সময় চিন পিং তাঁকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন চীনের পক্ষ থেকে এমন কোনো কাজ করা হবে না।

শুক্রবার সিএননকে দেওয়া সাক্ষাতকারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীন আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার ও প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ সংক্রান্ত প্রমাণও ওয়াশিংটনের হাতে এসেছে।

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমাদের নির্বাচনে চীনের যেকোনো হস্তক্ষেপের বিষয় আমরা খুবই সতর্কতার সঙ্গে নজর রাখছি। এটা আমাদের কাছে একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। সেই বার্তা আমি দিয়েছি।’

তবে চীনের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে তারা হস্তক্ষেপ করে না। কারণ অন্য কোনো দেশের কোনো অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার নীতি বেইজিং সব সময়ই মেনে চলে।


মার্কিন   পররাষ্ট্রমন্ত্রী   অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন   যুক্তরাষ্ট্র   নির্বাচন   হস্তক্ষেপ   চীন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাশিয়ায় বাস দুর্ঘটনায় নিহত অন্তত ৭

প্রকাশ: ১১:২৪ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সেইন্ট পিটার্সবার্গে সেতুর রেলিং ভেঙে নদীতে বাসডুবির ঘটনায় অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছেন । শনিবার সকালের দিকে ঘটেছে এই ঘটনা।

রাশিয়ার জরুরি পরিষেবা দপ্তরের সেইন্ট পিটার্সবার্গ শাখা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাসটিতে চালকসহ যাত্রী ছিলেন অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে ৯ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। উদ্ধার এই ৯ জনের মধ্যে জীবিত ছিলেন মাত্র ২ জন।

পুলিশ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, নদীতে পড়ার আগে অন্তত  কয়েক জন যাত্রীর বাসের দরজা দিয়ে বেরিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষার সুযোগ ছিল, কিন্তু সম্ভবত পরিস্থিতির আকস্মিকতায় তারা সবাই হতবিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে রাস্তায় মোড় ঘোরার সময় বাসটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন চালক। ওই অবস্থাতে বাসটি এলোমেলোভাবে কয়েকটি গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে ব্রিজের দিকে যেতে থাকে এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেতুর রেলিং ভেঙে নদীতে পড়ে পুরোপুরি ডুবে যায়।

বাসটি ডুবে যাওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে দেশটির দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের ১৮টি বিশেষায়িত ইউনিটের ৬৯ জন কর্মী উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। 


রাশিয়া   বাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হামাস জিম্মিদের মুক্তি দিলে যুদ্ধবিরতি সম্ভব: জো বাইডেন

প্রকাশ: ১০:৫৮ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, হামাস যদি নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের সবাইকে মুক্তি দেয়, তাহলে যুদ্ধবিরতি সম্ভব গাজায়। শুক্রবার রাজধানী ওয়াশিংটনের সিয়াটলে এক জনসভায় এ কথা বলেছেন তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘হামাস যদি (আজ) সব জিম্মিকে ছেড়ে দেয়, তাহলে আগামীকালই গাজায় যুদ্ধবিরতি সম্ভব। ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি এখন পুরোটাই হামাসের ওপর নির্ভর করছে। যদি হামাস (আজ) জিম্মিদের ছেড়ে দেয়, তাহলে আজ থেকেই গাজায় ইসরায়েলি অভিযান বন্ধ করা হবে এবং আগামীকাল থেকে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে।’

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে হামাস যোদ্ধারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জনকে।

হামাসের অতর্কিত সেই হামলার জবাবে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেই অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি এবং গোটা গাজা উপত্যকা কার্যত পরিণত হয়েছে ধ্বংস্তূপে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যাপক প্রচেষ্টায় গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর গাজায় অস্থায়ী বিরতি ঘোষণা করেছিল হামাস এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। সে সময় ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি দেড়শ’ ফিলিস্তিনির বিপরীতে জিম্মিদের মধ্যে থেকে ১০৮ জনকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।


হামাস   জো বাইডেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শিখ নেতা নিজ্জর হত্যা: কানাডায় তিন ভারতীয়সহ গ্রেপ্তার ৪

প্রকাশ: ১০:৪৩ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

শিখ নেতা ও কানাডার নাগরিক হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার ঘটনায় চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৩ মে সন্দেহভাজন তিন ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর শনিবার (১১ মে) কানাডার টরন্টো শহর থেকে আমানদীফ সিংহ (২২) নামের আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ।

এক বিবৃতিতে কানাডিয়ান পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার আমানদীপের বিরুদ্ধে ‘ফার্স্ট ডিগ্রি মার্ডার’ এবং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর আগে যাদের গ্রেপ্তার করা হয় তারা হলেন- করণপ্রীত সিং (২৮), কমলপ্রীত সিং (২২) এবং করণ ব্রার (২২)।

গত বছরের ১৮ জুন ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার ভ্যানকুভারের শহরতলী এলাকা সারেতে একটি গুরুদুয়ারার সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন হরদীপ সিং নিজ্জর।

এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ভারতকে সরাসরি দায়ী করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর কানাডার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে দেওয়া এক ভাষণে ট্রুডো বলেন, তার দেশের গোয়েন্দারা হরদীপ হত্যায় ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছেন। এ ঘটনাকে কানাডার সার্বভৌমত্বের জন্য তীব্র অবমাননাকর বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।


শিখ   নিজ্জর   ভারত   কানাডা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জাতিসংঘের সনদ ছিঁড়লেন ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত

প্রকাশ: ০৯:৫৯ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের পক্ষে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। এজন্য রাগে-ক্ষোভে বৈশ্বিক সংস্থাটির সনদের একটি কপি ছিন্নভিন্ন করেছেন ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান। শুক্রবার (১০ মে) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার একপর্যায়ে তিনি এই কাণ্ড করেন। খবর এনডিটিভির।

শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদের ব্যাপারে একটি ভোটাভুটি হয়। সেখানে প্রস্তাবের পক্ষে ১৪৩ দেশ ভোট পড়ে। অন্যদিকে ২৫টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। আর যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলসহ ৯টি দেশ এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়।

প্রস্তাবে ফিলিস্তিন যে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হওয়ার যোগ্য তার স্বীকৃতি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে গত মাসে মার্কিন ভেটোর কারণে ফিলিস্তিনি পূর্ণ সদস্যপদের আবেদন আটকে যাওয়ার বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করতে নিরাপত্তা পরিষদের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে।

তবে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের ফিলিস্তিনপন্থী এই অবস্থান ভালোভাবে নেয়নি ইসরায়েল। ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত এরদান এই প্রস্তাবটিকে জাতিসংঘ সনদের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছেন।

২০১১ সালে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ পেতে আবেদন করেছিল ফিলিস্তিন। সেই আবেদন এখনো পড়ে আছে। গত মাসে নিরাপত্তা পরিষদে ভোটের আয়োজন করা হয়। সেখানে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের ১২টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবে ভেটো দেওয়ায় তা আর পাস হয়নি।

তবে পূর্ণ সদস্যপদের আবেদন আবারও সচল করার চেষ্টা করছে ফিলিস্তিন। সাধারণ পরিষদে গত শুক্রবারের এই প্রস্তাব পাস হওয়ায় কার্যকরভাবে তা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া হলো।


জাতিসংঘ   ইসরায়েল   রাষ্ট্রদূত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের বিক্ষোভ দমনে চড়াও পুলিশ, হার্ভার্ডে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৮:৩৯ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে ক্যাম্পাসে তাবু গেড়ে বিক্ষোভ করছেন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম নামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) শিক্ষার্থীরা।

গত শুক্রবার ভোরে ক্যাম্পাসে পুলিশ ডেকে তাবু গুঁড়িয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এদিন যুক্তরাষ্ট্রের আরেক নামী প্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার শুরু করেছে তারা।

গাজায় যুদ্ধ বন্ধ ও ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান ও ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসাসহ সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিতে গত ১৭ এপ্রিল ক্যাম্পাসে তাবু গেড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে দেশটির দেড় শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ চলছে ইউরোপের অন্তত এক ডজন দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোররাত চারটার দিকে এমআইটিতে ঢোকে দাঙ্গা পুলিশের একটি দল। সেখানে তারা শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী তাবু ছেড়ে দিতে ১৫ মিনিট সময় দেয়। তাঁবু না ছাড়লে শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। তাবু গুঁড়িয়ে দেয় এবং অন্তত ১০ শিক্ষার্থীকে আটক করে। এদিন যুক্তরাষ্ট্রে আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাবু গুঁড়িয়ে দেয় পুলিশ।

এর আগে গত সোমবার এমআইটিতে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছিল পুলিশ। কিন্তু শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের মুখে পুলিশ পিছু হটে।

শিক্ষার্থীদের তাবু গুঁড়িয়ে দেওয়ার আগে চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে বিক্ষোভকারী কয়েক ডজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে এমআইটি কর্তৃপক্ষ। তারা শিক্ষা কার্যক্রম ও স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন না।

তবে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলেছেন, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে এমআইটির সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিতে তারা অনড়। এভাবে তাদের বিক্ষোভ দমন করা যাবে না।

মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির হিসাবে, এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ৫৭টি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে প্রায় ২ হাজার ৯০০ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।

চড়াও মার্কিন পুলিশ

এমআইটি ছাড়াও শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভকারীদের তাবু ভেঙে দেয় পুলিশ। পাশাপাশি কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়।

পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভরতদের ওপর চড়াও হয়েছে পুলিশ। শুক্রবার ভোরে ক্যাম্পাসে ঢুকে পুলিশ অন্তত ৩৩ শিক্ষার্থীকে আটক করে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁবু ছেড়ে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের চলে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা তাতে সাড়া না দেওয়ায় পুলিশ জোরপূর্বক তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এর কয়েক ঘণ্টা আগে অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়েও পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয়। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের কয়েক ডজন অস্থায়ী তাঁবু।

হার্ভার্ডে বহিষ্কার শুরু

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন ও গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে তাবু গেড়ে বিক্ষোভ করছেন তারা। শুক্রবার থেকে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও ফিলিস্তিন সংহতি কমিটি নামে হার্ভার্ডের একটি সংগঠন এ তথ্য জানিয়েছে।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন না। তাদের পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে যারা আবাসিক শিক্ষার্থী, তাদের আবাসন বাতিল করা হবে। বিক্ষোভে অংশ নিলে বহিষ্কার করার হুমকি এর আগেই দিয়েছিলেন হার্ভার্ডের প্রেসিডেন্ট (অন্তর্বর্তীকালীন) অ্যালান গার্বার।

সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে তাবু গেড়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করার কারণে সামগ্রিক শিক্ষার পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করার পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বিবৃতি দিয়েছে হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ। তবে কত শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে, সে সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।

হার্ভার্ডের এক মুখপাত্র শুক্রবার বিবৃতিতে বলেন, শৃঙ্খলাজনিত সমস্যায় বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া শুরু হয়েছে। আগামী দিনগুলোতেও এ পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে।


যুক্তরাষ্ট্র   বিক্ষোভ   হার্ভার্ড  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন