ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মোদির পতন ঘটাতে চাওয়া কে এই সুনীল কানুগোলু

প্রকাশ: ০৫:৩৯ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সুনীল কানুগোলুর নাম খুবই অপরিচিত। বললে কেউ মনে করতে পারবেন কিনা সন্দেহ যে, এই লোকটা কে? হ্যাঁ, এই সেই লোক, যিনি কংগ্রেসের ২০২৪ সালের নির্বাচনী কৌশল তৈরি করেছেন। যে কৌশলের কাছে নরেন্দ্র মোদি ধরা খেলেও খেতে পারেন। তবে বিভিন্ন পূর্বাভাস বলছে, মোদিই আবার জিতবেন। 

এই সুনীল কানুগোলু কিন্তু ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির কোর টিমের সদস্য। এই টিমের প্রধান প্রশান্ত কিশোর মার্কিন কোম্পানি ম্যাকেঞ্জি থেকে সুনীলকে ধরে এনেছিলেন। আর সেই টিমের সুফল নরেন্দ্র মোদি এখনো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভোগ করছেন। 

প্রশান্তর মতো সুনীলও নরেন্দ্র মোদির সংস্পর্শ ত্যাগ করেছেন। বন্ধুমহলে তার বক্তব্য, মোদির ধর্ম-কেন্দ্রিক রাজনীতি তাঁর একেবারেই পছন্দ না। এই কারণে হয়তো বনিবনা হয়নি। সেজন্য প্রশান্ত কিশোরের মতো নিজের প্রতিষ্ঠান খুলে ফিরে এসেছেন নিজের রাজ্য কর্ণাটকে। ব্যাঙ্গালুরুর অফিসে বসে তিনি এবার কংগ্রেস দলকে পরামর্শ দিচ্ছেন। রাহুল গান্ধীসহ কংগ্রেসের ঊর্ধ্বতন নেতাদের সাথে পরামর্শের জন্য তাঁকে নিয়মিত বাঙ্গালুরু-দিল্লি করতে হয়। 

প্রশান্ত কিশোর যেখানে প্রচারভিলাষী, সুনীল কানুগোলু সেখানে পুরোই উল্টো। তাঁর টিকিটিও দেখা যায় না কোথাও, এমনকি ছবিতেও। আল জাজিরার পক্ষ থেকে বারবার তাঁর সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছে সে চেষ্টা। শেষ পর্যন্ত তাঁর ঘনিষ্ঠদের সাথে কথা বলে তারা সুনীলকে জেনেছে। 

এদিকে রাহুল গান্ধী তাঁকে রাজ্যসভার এমপি হতে বললে তিনি অবলীলায় তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। অথচ এই সুনীলের কারণে তেলেঙ্গানা উদ্ধার করতে পেরেছে কংগ্রেস। কর্ণাটকে সফল হয়েছে। অথচ সমস্যা হলো কংগ্রেস তাঁর সব পরামর্শ শোনে না। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের কথাই ধরুন। সুনীল কানুগোলু চেয়েছিলেন, কংগ্রেস এই নির্বাচনে একটি মন্ত্রের ভিত্তিতে পরিচালিত হোক। কিন্তু হয়নি। তাঁর বক্তব্য—যুক্তি দিয়ে কোনো নির্বাচনে জেতা যায় না। জিততে হয় আবেগ দিয়ে। সুনীলের কথা, ‘আমি একাধিক বিষয় নিয়ে নির্বাচনে লড়তে বিশ্বাসী নই। একটি একক আখ্যান থাকতে হবে, যেটি আপনি ঠেলে নিতে পারবেন।’ 

সুনীল কানুগোলুর নিজের প্রতিষ্ঠান ইনক্লুসিভ মাইন্ডস। এর সদর দপ্তর বেঙ্গালুরুতে। এক দশক আগেও কানুগোলু ছিলেন ম্যাকেঞ্জির একজন প্রাক্তন পরামর্শদাতা। নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদে তুলে ধরার রূপকার যারা তাদের একজন। এখন তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবে কংগ্রেসের সাথে কাজ করছেন, যার মূল প্রধানমন্ত্রী মোদীর পতন। 

২০২২ সালের মে মাসে কানুগোলু আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগ দেন। তখন তাঁকে আট সদস্যের ‘টাস্ক ফোর্স-২০২৪’-এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাঁর দায়িত্ব ছিল নয়টি রাজ্যে কংগ্রেসের প্রচারে নেতৃত্ব দেওয়া, যেখানে ২০২৪ সালে বিধানসভা নির্বাচন হবে। পাশাপাশি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া। 

কিন্তু কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি শুরুতেই কানুগোলুর পরিকল্পনা ও কাজকে সংকুচিত করতে বাধ্য করে। এখন তিনি প্ল্যান-বি নিয়ে কাজ করছেন। যেখানে ১০০–১২০টি নির্বাচনী এলাকায় নজর দেওয়া হয়েছে, যেখানে কংগ্রেসের জয়ের সুযোগ রয়েছে বা অন্তত জোর লড়াই করার মতো জায়গায় আছে। মোদির বিজেপির সাথে সমানে সমানে লড়ে যার ক্ষমতায় যাওয়ার লক্ষ্য ছিল, সেই জেনারেলকে অনেকটাই বাঁধা গতে হাঁটতে হচ্ছে। 

সে কারণে দিল্লিভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান লোকনীতির সহপরিচালক সঞ্জয় কুমার বলছেন, ‘রাজনৈতিক পরামর্শদাতারা জাদুকর নন। একটি দল ভালো অবস্থায় থাকলে তারা একটি গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু সীমিত ভূমিকা পালন করে।’ তাঁর মতে, ‘এমন কোনো জাদুকর আছে, যে কংগ্রেসকে ২০২৪ সালের নির্বাচনে জিতিয়ে দিতে পারে? এমনকি ৫০ জন জাদুকরও কংগ্রেসকে জেতাতে পারবে না।’

সুনীল কানুগোলুর সাবেক সহকর্মী অভিমন্যু ভারতীর মতে, ‘নির্বাচনে জয়ী হওয়ার দুটি উপায় আছে—হয় আপনি আপনার লাইন বড় করুন, অথবা আপনি অন্যদের লাইন কেটে ফেলুন।’ অভিমন্যু নিজেই এখন অনলাইনে স্কুল অব পলিটিক্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালান। 

বন্ধু ও সহকর্মীদের মতে, কানুগোলু বিজেপির ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিরোধী। যদিও ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় তিনি স্বীকার করেছেন যে, মোদির পক্ষ ত্যাগের জন্য আরও কিছু মৌলিক কারণ আছে তাঁর। 

কানুগোলু বিজেপির কোনো কিছুতে কোনো চ্যালেঞ্জ খুঁজে পাচ্ছেন না। কারণ ১০ বছর ধরে দলটি ক্ষমতায়। অন্যদিকে কংগ্রেস লড়াই-সংগ্রামের মধ্যে আছে। ফলে এর মধ্যে একটা উত্তজনা আছে।

সাধারণ মানুষ জানে সুনীল কানুগোলু মূলত কর্ণাটকের একটি পিছিয়ে পড়া বালিজা সম্প্রদায়ের। কিন্তু তিনি চেন্নাইতে বড় হয়েছেন। সেখানে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়েছেন। এরপর ম্যাকেঞ্জিতে যোগ দেওয়ার আগে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। লোকেরা জানে, তিনি তামিল, তেলুগু, কন্নড়, হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারেন। তবে বলেন কম, শোনেন বেশি। 

সুনীল কানুগোলু দেখতে কেমন, তা বিশেষ কেউ জানে না। তিনি হুইস্কি-বিলাসী। গত ২৫ বছরে একবেলাও নিরামিষ খাবার খাননি। তিনি লম্বা, শুশ্রুমণ্ডিত ও সুগঠিত। তবুও তিনি প্রায়শই অদৃশ্য থাকতে পারেন। একবার এক প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সুনীলের ছবি ভেবে ভুল করে তাঁর ভাইয়ের ছবি দিয়েছিলেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী এক রাজনৈতিক পরামর্শদাতার অভিযোগ, ম্যাকেঞ্জিতে কাজ করার কারণে তাঁর বড় অহংকার আছে। এমনকি কংগ্রেসের মধ্যেও কানুগোলু নিজের বস। তিনি অন্যদের জন্য লক্ষণ রেখা টেনে দিয়েছেন। 

সুনীল কানুগোলু মনে করেন, নির্বাচনী সাফল্যের প্রধান কৃতিত্ব জনগণের, তারপর প্রার্থী ও দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের। যেমন ভারত জোড়ো যাত্রার সময় তিনি খুবই পরিকল্পিতভাবে রাহুল গান্ধীর ছবি ও বক্তব্য প্রচারের বিষয়টি সাজান। যে কারণে এরপর থেকে নেতা হিসেবে রাহুলকে অনেক বেশি ম্যাচিওর মনে হয়েছে।

চলতি নির্বাচনে সুনীল কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীসহ সব নেতাকে রামমন্দির নিয়ে বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। সেজন্য দেখবেন কংগ্রেসের প্রচারে কোথাও রামমন্দির নেই। এমনকি বিজেপিতে দুর্নীতিবাজ বিরোধী নেতাদের স্থান দিয়ে কটাক্ষ করে মোদি ওয়াশিং পাউডার নামে একটি বিজ্ঞাপন তৈরি করে কংগ্রেস। সুনীলের পরামর্শে সেটাও বন্ধ করে দিয়েছে কংগ্রেস।

বরং সুনীল দেশব্যাপী বর্ণ-শুমারির বা গণনার পক্ষে কথা বলে প্রান্তিক মানুষজনের সমর্থন পাওয়ার কথা বলেছেন। মোদি সরকার ১০ বছরের সমৃদ্ধির চিত্র এঁকে যে প্রচার চালাচ্ছে, তার পাল্টা বক্তব্য তুলে ধরতে বলছেন।  এরই প্রভাব দেখা যায় কংগ্রেসের প্রচারে, যেখানে বলা হচ্ছে—মোট সম্পদের ৭০ শতাংশ এখন ভারতের ২২টি পরিবারের হাতে। কেউ যদি গত ১৭ এপ্রিল রাহুল বা প্রিয়াঙ্কার নির্বাচনী প্রচারে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার বিষয়টি দেখেন, তাহলেই বুঝতে পারবেন বিষয়টি। তাঁরা বারবার বলছেন, আসুন বেকারত্ব, জিনিসপত্রের দাম, মানুষের কষ্ট, গণতন্ত্র, সংবিধান—এসব নিয়ে কথা বলুন; উত্তর দেব। কিন্তু এর বাইরে আর কিছু না। কারণ ওগুলোতে মানুষের কিছু যায়–আসে না, বরং দৃষ্টি ঘুরে যায়।

সুনীল কানুগোলু মনে করেন, নির্বাচনে হারলাম মানে এই নয় যে, সব শেষ হয়ে গেল। বরং ওই দিন থেকে কৌশল নির্ধারণ করে পরের লড়াইয়ের জন্য তৈরি হোন। তাঁর কথায়, ভবিষ্যতের কথা ভাবুন এবং এগিয়ে যান। প্রতিপক্ষের ভুল খুঁজতে থাকুন।

লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউক্রেনের ১২টি গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার

প্রকাশ: ০৮:৩২ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলে যুদ্ধের সম্মুখসারি থেকে এ অঞ্চলের অন্তত ১০ কিলোমিটার ভেতরে প্রবেশ করেছে  রুশ বাহিনী। এছাড়া সম্মুখসারিতে ইউক্রেনের কামানগুলোকে লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু ড্রোন হামলা চালানো হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কিয়েভ জানিয়েছে, সেখানে অতিরিক্ত সেনা পাঠানো হয়েছে।

চলতি মাস থেকে খারকিভে হামলা বাড়িয়েছে রাশিয়া। এ অঞ্চলের ১২টি গ্রাম দখলের দাবি করেছে তারা। খারকিভের গভর্নর ওলেগ সিনেগুবোভ বৃহস্পতিবার বলেছেন, খারকিভের সীমান্তবর্তী গ্রাম লিপৎসির কাছে পৌঁছেছেন রুশ সেনারা। ভভেচানস্ক শহর দখলের চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এই মুহূর্তে ইউক্রেন বাহিনীর মূল লক্ষ্যটা হলো এ অঞ্চলে যুদ্ধের সম্মুখসারিতে স্থিতিশীলতা আনা।

তবে খারকিভের পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শুক্রবার দেশটির একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, খারকিভের ১০ কিলোমিটার ভেতরে অগ্রসর হয়েছে রুশ বাহিনী। এর বেশি তারা এগোতে পারেনি। ইউক্রেনের সেনাসদস্যরা রুশ বাহিনীকে থামিয়ে দিয়েছেন।

এদিকে চীন সফরে গিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খারকিভ প্রসঙ্গ তোলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, খারকিভ শহর দখল করাটা মস্কোর বর্তমান পরিকল্পনায় নেই। এই অঞ্চলে রুশ সেনারা অভিযান চালিয়ে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য একটি বেসামরিক এলাকা তৈরি করতে চাচ্ছেন। আর তা পরিকল্পনামাফিক এগোচ্ছে।


ইউক্রেন   রাশিয়া  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ট্রাম্প নাকি বাইডেন, বিশ্বের স্বার্থে কে এগিয়ে

প্রকাশ: ০৮:১৮ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান পার্টির পক্ষ থেকে মনোনয়ন পাওয়া নিশ্চিত করেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

মতামত জরিপে জানা গেছে বেশিরভাগ মার্কিন জনগণ উভয় প্রার্থীর কাউকেই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে তেমন আগ্রহী নন। তা সত্ত্বেও ট্রাম্প-বাইডেনের মনোনয়ন পাওয়াকেই স্বাভাবিক বলছেন বিশ্লেষকরা। তবে এই দুই প্রার্থীর কাকে বিশ্বের স্বার্থে এগিয়ে রাখা যায় এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা শ্রম ও পেনশন কমিটির চেয়ারম্যান বার্নি স্যান্ডার্স 
দ্য গার্ডিয়ানে একটি নিবন্ধ লিখেছেন। 

বার্নি স্যান্ডার্স দ্য গার্ডিয়ানে লিখেছেন যে,  আমি জানি বাইডেন তেমন জনপ্রিয় নন এবং আমিসহ অনেক প্রগতিশীল চিন্তার মানুষ ইসরায়েলের চলমান বিপর্যয়কর যুদ্ধ–সম্পর্কিত তার অনুসৃত নীতির সঙ্গে একেবারেই একমত নন।

তবে আমাদের মনে রাখতে হবে, বাইডেন আসন্ন ভোটে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন না। তিনি যার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তিনি আমেরিকান ইতিহাসের সবচেয়ে বিপজ্জনক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ট্রাম্প যদি পুনরায় নির্বাচিত হন, তাহলে তিনি আগের চেয়ে খারাপ আচরণ করবেন। সেই দিক তুলনা করে বলছি, বাইডেন যেকোনো বিবেচনায় ট্রাম্পের চেয়ে হাজার গুণ ভালো হবেন।

আপনি যদি জলবায়ু সংকট নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে থাকেন, তাহলে ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচন নিয়ে আপনাকে দুশ্চিন্তায় পড়তে হবে। কারণ, ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যা আলোচনা হয়ে থাকে, সেটি একটি ‘ফালতু আলাপ’।

অন্যদিকে বাইডেন টেকসই জ্বালানি ও জ্বালানি দক্ষতায় ইতিহাসের যেকোনো প্রেসিডেন্টের চেয়ে বেশি অর্থ বিনিয়োগ করতে সহায়তা করেছেন।

ইসরায়েলের বিষয়ে বাইডেনের অবস্থান নিয়ে যদি আপনার নেতিবাচক ধারণা থাকে, তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে, এ ক্ষেত্রে ট্রাম্পের অবস্থান বাইডেনের চেয়ে অনেক বেশি খারাপ।

বাইডেন একজন প্রথাগত আমেরিকান রাজনীতিবিদ, যিনি গণতন্ত্র, অবাধ নির্বাচন এবং ভিন্নমতের অধিকারে বিশ্বাস করেন। আর ট্রাম্প এর কোনোটাতেই বিশ্বাস করেন না। যারা ক্যাপিটল হিলে আক্রমণ করেছিলেন, সেই আট শতাধিক আক্রমণকারীকে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ক্ষমা করে দেবেন বলে ভাবছেন।



জো বাইডেন   ডোনাল্ড ট্রাম্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলকে নিশানা করে ৭৫টি রকেট ছুড়ল হিজবুল্লাহ

প্রকাশ: ০৮:২০ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ৭৫টি রকেট ছুড়েছে লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। 

শুক্রবার(১৭ মে) দখলদার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এই তথ্য জানিয়েছে। 

তবে কয়েক ডজন রকেট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোন ব্যবহার করে ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্স সংস্থা জানিয়েছে, আপার গ্যালিলিতে রকেট হামলায় দুজন সামান্য আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহত দুজনের বয়সেই ৬০ বছরের কাছাকাছি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, চলমান যুদ্ধের মধ্যে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চল লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহ যেসব হামলা চালিয়েছে সেগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম বড় ছিল।

হিজবুল্লাহর রকেট হামলার মধ্যে গোলান হাইটস এবং লেবানন সীমান্তবর্তী কয়েকটি অঞ্চলে সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে উঠে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। পরের দিন ৮ অক্টোবর থেকে যুদ্ধে যোগ দেয় লেবাননের হিজবুল্লাহ।

এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় হিজবুল্লাহর ৩০০ যোদ্ধা প্রাণ হারিয়েছেন। অপরদিকে হিজবুল্লাহর হামলায় কতজন ইসরায়েলি সেনা প্রাণ হারিয়েছেন সেটি নিশ্চিত নয়। তবে তাদের এ সংঘর্ষে অনেক নিরীহ বেসামরিকও নিহত হয়েছেন।


ইসরায়েল   রকেট   হিজবুল্লাহ   আইডিএফ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কানাডার শাস্তিমূলক পদক্ষেপ

প্রকাশ: ০৮:০৭ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে কানাডা। ফিলিস্তিনি বেসামরিক বাসিন্দাদের রক্ষায় প্রথমবারের মতো দেশটি এ ধরনের শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিল।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কানাডার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা ফিলিস্তিনিদের (পশ্চিম তীরে) বিরুদ্ধে 'হিংসাত্মক ও অস্থিতিশীল' পদক্ষেপের জন্য প্রথমবারের মতো ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বসতি স্থাপনকারীদের সঙ্গে লেনদেন এবং কানাডায় তাদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, দখলকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ বেশ পুরোনো। গত বছর গাজা যুদ্ধ শুরুর পর ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলার ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। উগ্র ইহুদিরা আদিবাসীদের বসতঘরে হামলা করছে। প্রকাশ্যে দোকানে ভাঙচুর করে লুটপাট করছে।

এ সংক্রান্ত একটি ছবিও প্রকাশ করে আলজাজিরা। তাতে দেখা যায়, দিনেদুপুরে কয়েকজন ইহুদি বসতি স্থাপনকারী হাতে কুড়াল ও লোহার পাইপ নিয়ে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার জন্য এগিয়ে যাচ্ছেন।

নিষেধাজ্ঞার জন্য প্রাথমিকভাবে মনোনীত ইসরায়েলিরা হলেন- ডেভিড চাই চাসদাই, ইয়িনন লেভি, জাভি বার ইয়োসেফ ও মোশে শারভিত। তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা ও লুটের সঙ্গে জড়িত বলে প্রমাণ পেয়েছে কানাডা।


ইসরায়েল   নিষেধাজ্ঞা   কানাডা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মাটিচাপা দেওয়ার ৪দিন পর বৃদ্ধকে জীবিত উদ্ধার

প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

জীবন্ত কবর দেওয়ার চারদিন পরে এক বৃদ্ধকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ইউরোপের দেশ মলদোভায়। 

সোমবার (১৩ মে) দেশটির উতসিয়া অঞ্চল থেকে ৬২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেইল অনলাইন ও ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ওই দিন নিজ বাড়িতে ৭৪ বছর বয়সী এক নারীর মরদেহ পাওয়ার খবর পায় পুলিশ। পরে সেখানে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন পুলিশ কর্মকর্তারা। সেসময় তারা এক ব্যক্তির চিৎকার শুনতে পান। পরে মাটি খুঁড়ে ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে স্থানীয় পুলিশ। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ সদস্যরা কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়তে গিয়ে একটি অস্থায়ী বেজমেন্ট খুঁজে পান। সেটির ভেতর থেকেই এক বৃদ্ধকে টেনে বের করে আনছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত বৃদ্ধের ঘাড়ে ক্ষত ছিল। এ ঘটনায় এরই মধ্যে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৮ বছর বয়সী এক তরুণকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ায় ওই কিশোরের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, এই কিশোরই রোববার (১২ মে) রাতে কিংবা সোমবার সকালে ৭৪ বছর বয়সী নারীকে হত্যা করেছে।

ওই বৃদ্ধ জানিয়েছেন, রোববার অভিযুক্ত ওই কিশোরের সঙ্গে মদপান করছিলেন তিনি। সেসময় একটি বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। কিশোরটি তখন বৃদ্ধকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে ও তাকে বেজমেন্টের ভেতর নিয়ে যায়। পরে বৃদ্ধকে ভেতরে রেখেই বাইরে তালা লাগিয়ে দিয়ে বেজমেন্টের প্রবেশদ্বার মাটি দিয়ে ঢেকে দেয় অভিযুক্ত কিশোর।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, অভিযুক্ত কিশোরকে রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও প্রসিকিউটররা হত্যাকাণ্ড ও হত্যা চেষ্টার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। দোষী প্রমাণিত হলে ওই কিশোরের যাবজ্জীবন কারাবাসের সম্মুখীন হতে হবে।


ইউরোপ   মলদোভা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন