ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মালয়েশিয়ায় বন্য হাতির আক্রমণে বাংলাদেশির মৃত্যু

প্রকাশ: ০৮:২২ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

মালয়েশিয়ার পোস ব্লাউয়ের কাম্পুং ওম শহরে বন্য হাতির আক্রমণে বাংলাদেশি এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। 

স্থানীয় সময় রোববার বিকেল ৫টার দিকে হাতির আক্রমণে ওই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

ব্লাউ কাম্পুং জেলার প্রধান পুলিশ সুপার সিক সিক চুন ফু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, কাম্পুং ওম শহরে রোববার বিকেল ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেছেন, নিহত বৃক্ষরোপণ কর্মীর পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। মো. নওশের আলী (২৯) নামের ওই কর্মী তার এক সহকর্মীকে নিয়ে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে হাতির আক্রমণের শিকার হন। 

সোমবার দেশটির পুলিশের এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে হাতির আক্রমণের সময় পালিয়ে যাওয়ার কোনও সুযোগ পাননি ওই ভুক্তভোগী। মরদেহের পাশেই হাতির পায়ে ছাপ পাওয়া গেছে।

পুলিশ সুপার সিক সিক চুন ফু বলেছেন, ওই ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য ওই ব্যক্তির মরদেহ গুয়া মুসাং হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় আকস্মিক মৃত্যুর একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।


মালয়েশিয়া   বন্য হাতি   বাংলাদেশি   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মোদির মুখে এখন জোটধর্মের জয়গান

প্রকাশ: ০৯:৪৯ পিএম, ০৭ জুন, ২০২৪


Thumbnail

গত ১০ বছরে জোটধর্ম অথবা ঐকমত্যের কথা মুখে না আনা সেই মোদি আজ শুক্রবারএনডিএ জয়গান করলেন। বললেন, সরকার চালাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন, কিন্তু দেশ চালাতে দরকার ঐকমত্য। সবার সম্মতি। এনডিএ সেটাই করে দেখাচ্ছে। জোটবদ্ধতার ক্ষেত্রে এনডিএর মতো সাফল্য অন্য কারও নেই।

এত কাল যিনি সর্বদা নিজের প্রচার করে গেছেন, দলের ঊর্ধ্বে নিজেকে স্থাপন করেছেন, সেই মোদির কণ্ঠে আজ ঝরল জোটমাহাত্ম্যের কথা। শুক্রবার পুরোনো সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে এনডিএর সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হয়ে মোদি বলেন, এই জোট ক্ষমতার জন্য একত্র হওয়া দলগুলোর জোট নয়, এটা একটা সহজাত জোট। অটল বিহারি বাজপেয়ী, প্রকাশ সিং বাদল, বালাসাহেব ঠাকরে, জর্জ ফার্নান্দেজ, শরদ যাদবেরা এই জোটের বীজ বুনেছিলেন। আজ তা মহিরুহ।

তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হতে চলা মোদি বলেন, দেশবাসী আপনারা যে দায়িত্ব আমায় দিয়েছেন, তা পালন করা আমার কর্তব্য। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তাঁর কণ্ঠে বারবার ভেসে ওঠে জোট রাজনীতি, এনডিএ, সবাইকে নিয়ে চলা সর্বসম্মত হওয়ার কথা। ভোটের প্রচার পর্বে যাঁর মুখে জোট শব্দটি একবারের জন্যও উচ্চারিত হয়নি, এনডিএ জোটের বৈঠকও যিনি একবারও ডাকেননি, সমন্বয় কমিটি গড়ে তোলেননি, নির্বাচনী ইশতেহারজুড়ে ছিল শুধুই মোদি কি গ্যারান্টি, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানো সেই নরেন্দ্র মোদি আজ বলেন, এনডিএর আদর্শ নীতি হলো সর্বপন্থা সমভাব; অর্থাৎ সবাই সমান। আমরা সেই নীতিতে বিশ্বাস রেখে চলেছি। আগামী দিনেও এগিয়ে যাব।

এই অবসরে মোদি তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতেও অবশ্য ছাড়েননি। তিনি বলেন, বিরোধীরা শুরু থেকেই বোঝাতে চেয়েছে, এনডিএ জেতেনি। এই জয় হারের শামিল। তাদের সেই চেষ্টা বৃথা গেছে। সত্য হলো, গত ১০ বছরেও কংগ্রেস তার আসনসংখ্যা ১০০তে নিয়ে যেতে পারেনি। মোদি বলেন, বিজেপি এবার যত আসন পেয়েছে, গত তিনটি লোকসভা ভোট মিলিয়েও কংগ্রেস তা ছুঁতে পারেনি। কংগ্রেসের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিরোধীদের ভাবখানা এমন, যেন আমরা (এনডিএ) হেরে গেছি। অথচ আমরা কখনো হারিনি। এবারেও নয়। যে কোনো শিশুকে জিজ্ঞেস করুন, কারা এত দিন ক্ষমতায় ছিল? দেখবেন উত্তর দেবে, এনডিএ সরকার। জানতে চান, কারা ২০২৪ সালে সরকার গড়বে? উত্তর পাবেন, এনডিএ। অতীতেও এনডিএরই সরকার ছিল, ভবিষ্যতেও তাদেরই থাকবে।

আজ সন্ধ্যা ছয়টায় রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বার সরকার গঠনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক দাবি জানান। শপথ গ্রহণ আগামী রোববার। তার আগে তিনি প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি মুরলী মনোহর যোশির বাসভবনে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন।

সেন্ট্রাল হলের অনুষ্ঠানে শরিক দলের সব নেতাই মোদির প্রতি আস্থা জ্ঞাপন করেন। জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার আচমকাই মোদির পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে যান। তিনি বলেন, ‘বারবার এদিক-ওদিক গিয়ে লাভ হয় না। আপনার সঙ্গেই থাকব। আপনার নেতৃত্বেই সবাই এগিয়ে যাব।

মোদি যেমন আমিত্ব ভুলে শুরুর আগে থেকেই জোটধর্ম পালনের ইঙ্গিত দিয়েছেন, শরিক দলের নেতারাও তেমনই মোদি নেতৃত্বাধীন সরকারকে নিঃশর্ত সমর্থনের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও মন্ত্রণালয় নিয়ে দর-কষাকষি ছাড়ছে না। নানাভাবে সেই চাপ তাঁরা বড় শরিক বিজেপির ওপর বাড়িয়ে চলেছেন।

বিজেপি যদিও চার বড় মন্ত্রণালয়ের একটিও কারও কাছে ছাড়তে প্রস্তুত নয়। দলের পক্ষ থেকে শরিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনোভাবেই তারা অর্থ, স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ছাড়বে না। এমনকি রেল সড়ক পরিবহনের মতো মন্ত্রণালয়, যেখানে সংস্কারের কারণে বিপুল লগ্নি করা হয়েছে, তা ছাড়তেও বিজেপি নারাজ।

আজ শুক্রবারের এনডিএ বৈঠকের পর বিজেপির এক সূত্রের কথায়, ‘জোট র্ম সবাইকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী বললেও তিনি চান না কর্মযজ্ঞের ধারাবাহিকতা কোনোভাবে নষ্ট হোক। শরিকদের মনে রাখতে হবে, আমাদের সংখ্যা নয় নয় করেও ২৪০। তাদের গুরুত্ব দেওয়ার অর্থ, সব অন্যায় আবদার মেনে নেওয়া নয়।

বিজেপির সবচেয়ে বেশি চিন্তা টিডিপি জেডিইউকে নিয়ে। চন্দ্রবাবু নাইডু নীতীশ কুমার দুজনেই তাঁদের রাজ্যযথাক্রমে অন্ধ্র প্রদেশ বিহারের জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজের দাবি জানিয়ে রেখেছেন। নাইডু তাঁর রাজ্যের নতুন রাজধানী অমরাবতীর জন্য বিপুল আর্থিক সহায়তা দাবি করেছেন। নীতীশও চান পিছিয়ে থাকা বিহারের উন্নতিতে বিশেষ সহায়তা। এর সঙ্গে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দাবি। মোদি আবার অবকাঠামো-সংক্রান্ত মন্ত্রণালয় ছাড়তে রাজি নন। ঘনিষ্ঠদের তিনি বলেছেন, ১০ বছরের সুফল জলাঞ্জলি যাক, তা তিনি চান না। শরিকদের কীভাবে সন্তুষ্ট রাখা যায়, সেদিকেই এখন সবার নজর।

টিডিপি জেডিইউ ছাড়াও রয়েছে একনাথ শিন্ডের শিবসেনা চিরাগ পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি। তাঁরাও একটি করে গুরুত্বপূর্ণ পূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দাবি জানিয়ে রেখেছেন। মন্ত্রণালয় ভাগাভাগি শরিকদের কতটা সন্তুষ্ট রাখছে, তার ওপরই নির্ভর করবে জোটের ভাগ্য। সরকারের যাত্রা শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদি আপাতত এটুকু বুঝিয়ে দিয়েছেন, ১০ বছরের একাধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে এবার তিনি জোটধর্ম পালনে প্রস্তুত।


মোদি   জোটধর্ম  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার পথে রাশিয়া

প্রকাশ: ০৯:৩৯ পিএম, ০৭ জুন, ২০২৪


Thumbnail

তালেবান প্রতিনিধি দল ২০২২ সালে প্রথম সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামে যায়। তখন এ নিয়ে কেবল রাশিয়া নয়, পুরো বিশ্বেই অনেক আলোচনা হয়েছিল। রাশিয়ার পররাষ্ট্র ও বিচার মন্ত্রণালয়ের নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়ায় এবারের সফর আবার আলোচনায় উঠে এসেছে। তালেবান এবং আফগানিস্তানের বর্তমান নেতৃত্বের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য এই পদক্ষেপটি প্রয়োজনীয় ছিল বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

কাউন্টার এক্সট্রিমিজম প্রজেক্ট এর মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ হান্স-জ্যাকব শিন্ডলার মনে করেন, তালেবানকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দেয়ার বিনিময়ে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরও কিছু প্রত্যাশা রয়েছে। কিন্তু সেটা এতটা সহজ নাও হতে পারে।

শিন্ডলার বলেন, ‘বাড়তি ছাড় নিতে সবসময়ই তালেবান খুবই ইচ্ছুক, কিন্তু প্রতিদান দেওয়ার বিষয় এলেই সেটা জটিল হয়ে যায়।’

আফগানিস্তান অ্যানালিসিস নেটওয়ার্কের সহ-প্রতিষ্ঠাতা টমাস রুটিশ ক্রেমলিনের সাম্প্রতিক পদক্ষেপকে ধাপে ধাপে এগোনোর কৌশল হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন৷ তিনি মনে করেন, রাশিয়া তালেবানের সরকারি স্বীকৃতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

এরপর কী?

২০১৫ সাল থেকে তালেবানের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক রেখেছে মস্কো। সংগঠনটির কাছে রাশিয়া অতীতে অস্ত্র সরবরাহ করেছে বলেও সন্দেহ করা হয়।

২০২১ সালের আগস্টে তেমন কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই আশরাফ গানী সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখলে নেয় তালেবান। ২০ বছর পর আফগানিস্তানকে সমর্থন জুগিয়ে যাওয়া পশ্চিমা সামরিক বাহিনী এবং কূটনীতিকেরা দ্রুতই আফগানিস্তান ছেড়ে যান। এর ছয় মাস পর ২০২২ সালের মার্চে তালেবান ও রাশিয়া আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে।

এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ছিল তালেবান। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর কোনো রাষ্ট্রই আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবানকে আফগানিস্তানের বৈধ সরকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। ২০০৩ সালে রাশিয়াও তালেবানকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করে।

২০২৩ সালে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে তালেবানের নাম সরিয়ে দেয় কাজাখস্তান। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাশিয়াও অর্থনৈতিক ফোরামে একই পথ অনুসরণ করতে পারে। তবে শিন্ডলার মনে করেন, এর প্রতিদানে কোনো কিছু আশা না করেই এমন ঘোষণা করা হলে একটি ‘কূটনৈতিক অস্থিরতা’ তৈরি হবে।

তিনি বলেন,‘চাইলেই কারো পক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত কোনো সংগঠনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কোনো বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করা সম্ভব না।’

তালেবানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য রাশিয়া খুব হিসাব করে এগোচ্ছে এবং এর ঝুঁকিও বিবেচনায় রাখছে বলে মনে করেন এই কূটনীতি বিশেষজ্ঞ।

তিনি মনে করেন, ‘যতক্ষণ নিউইয়র্কে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ তালেবানকে তার নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রাখছে, ততক্ষণ রাশিয়া তালেবানকে তার সন্ত্রাসের তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছে কিনা এটা খুব কমই গুরুত্বপূর্ণ।’ জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার তালিকা মেনে চলা রাশিয়ার জন্যও আইনত বাধ্যতামূলক।

সেন্ট পিটার্সবার্গেও এমন সব তালেবান প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা নেই।

আফগানিস্তান   রাশিয়া  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শক্ত অবস্থান থেকে পিছু হঠছেন ইমরান খান

প্রকাশ: ০৯:৩১ পিএম, ০৭ জুন, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই ইনসাফ পাকিস্তানের প্রধান ইমরান খান তার দৃঢ় অবস্থান থেকে সরে আসছেন। খবর জিও নিউজ।  

গণমাধ্যমটির খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনা হ্রাস করতেই ইমরান খান এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পাশাপাশি তার দলের নেতাদের সংসদের ভেতরে এবং বাইরে যোগাযোগ স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন। 

সূত্রের বরাতে জিও নিউজ বলছে, ইমরান খানের দলের নেতারা সংসদের বাইরে বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে সংলাপে বসবেন। এছাড়া ইমরান খানের দলের নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা সরকার দলীয় জোট নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।   

সম্প্রতি এক শুনানিতে পাকিস্তানের প্রধান বিচারক কাজী ফায়েজ ইসার সঙ্গে ইমরান খানের কথা হয়। ওই শুনানিতে প্রধান বিচারক ইমরান খানকে পাকিস্তানের সমস্যা নিরসনে তাকে সংসদে যাওয়ার আহ্বান জানান। প্রধান বিচারক ফোকাস করেন–পাকিস্তানের সামনে এগোনো উচিত।

মূলত এরপরেই ইমরান খান সরকার দলীয় জোট নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় না বসার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন। 

ইমরান খান ২০২২ সালের এপ্রিলে বিরোধীদের ‘নো কনফিডেন্স’ ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন। তার পরে গত বছরের আগস্ট থেকে তিনি কারাগারে আছেন। সম্প্রতি একটি ভিডিও লিংকের মাধ্যমে ইমরান খান প্রধান বিচার কাজী ফায়েজ ইসার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের একটি শুনানিতে আসেন এবং তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেন।

ইমরান খানের নির্দেশনার বিষয়ে খবরে বলা হয়েছে, তিনি তার দলের তিন সদস্যের কমিটি করে দিয়েছেন এবং এই কমিটিকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনায় বসার নির্দেশনা দিয়েছেন। অন্যদিকে, খাইবার পাখতুনখাওয়ার মূখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গেন্দাপুর আলোচনায় যুক্ত হয়েছেন।

সূত্র বলেছে, পাকিস্তানে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে ইমরান খানের দল প্রয়োজনীয় সকল কিছুতে সমর্থন দিবেন।

ইমরান খান   তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জেলেনস্কির কাছে ক্ষমা চাইলেন বাইডেন!

প্রকাশ: ০৯:০৪ পিএম, ০৭ জুন, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। সিএনএন সূত্র বলছে, ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তার প্যাকেজ পাসে বিলম্ব হওয়ার কারণে জেলেনস্কির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য সামরিক প্যাকেজ পাসে বিলম্ব করায় ইউক্রেনকে যুদ্ধের সম্মুখসারিতে (ফ্রন্টলাইনে) ব্যাপক ভুগতে হয়েছে। আকস্মিক ব্যাপক আক্রমণ করে গ্রামের পর গ্রাম দখল করে নিয়েছে রুশ সেনারা।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্র বলছে, শুক্রবার (৭ জুন) জেলেনস্কির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেখানে তিনি ইউক্রেনের জন্য নতুন সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। এখানেই তিনি জেলেনস্কির কাছে ক্ষমা চান।

রাশিয়া ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রার সামরিক আক্রমণ শুরু করে। রুশ আক্রমণের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ব্যাপক পরিমাণে সামরিক সহায়তা ছাড়াও অর্থ অন্যান্য লজিস্টিক সহায়তা প্রদান করেছে।

শুক্রবার জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বাইডেন বলেন, আপনি মাথা নত করেননি। আপনি বশ্যতা স্বীকার করেননি। আপনি এমনভাবে লড়াই অব্যাহত রেখেছেন যা স্মরণীয়। আমরা আপনাদের থেকে দূরে সরে যাচ্ছি না। বাইডেন আরও বলেন, আমি ক্ষমা চাইছি, কারণ আমাদের বিলটি পাস করতে সমস্যা হয়েছিল। আমাদের অতি রক্ষণশীল সদস্যদের কাছ থেকে অর্থ পেতে সমস্যা হয়েছিল। তবে আমরা সেখান থেকে উত্তোরণ করতে সমর্থ হয়েছি।


বাইডেন   জেলেনস্কি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জন্মহার বাড়াতে জাপানে ডেটিং অ্যাপ চালু!

প্রকাশ: ০৮:৫৫ পিএম, ০৭ জুন, ২০২৪


Thumbnail

জাপানের জনসংখ্যা ক্রমশ কমছে। আর সেই চিন্তার আশু সমাধান করতেই নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির রাজধানী টোকিওর সরকার। রাজধানীর বাসিন্দাদের জন্য একটি ডেটিং অ্যাপ বানাতে এবং বিয়ের প্রচারণা প্রকল্পের জন্য .২৮ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে টোকিও প্রশাসন। এবারের গ্রীষ্মেই অ্যাপটি চালু হওয়ার কথা রয়েছে।

ব্যবহারকারীরা যাতে বিয়ে করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন সে কথা মাথায় রেখেই অ্যাপের নানা ফিচার সাজানো হয়েছে। এই অ্যাপের রেজিস্ট্রেশন  শুধু ফটো আইডি নয় তার সঙ্গে আয়ের সনদ এবং নিজের সম্পর্কের অবস্থা (রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস) নিশ্চিত করে একটি অফিশিয়াল ডকুমেন্টও দিতে হয় ব্যবহারকারীকে।

অ্যাপে ব্যবহারকারীর উচ্চতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশাসহ ১৫ ক্যাটাগরির ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হবে। এই সব তথ্যই যোগ্য পাত্র/পাত্রী দেখতে পাবেন।

এসব প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর ব্যবহারকারীরা অ্যাপের অপারেটরের সঙ্গে বাধ্যতামূলক সাক্ষাৎ করবেন। সেখানে তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে, তারা বিয়ের জন্য সঙ্গী খুঁজছেন, স্রেফ সময় কাটানোর জন্য নয়।

টোকিওর ৫০ বছর বয়সী বাসিন্দাদের মধ্যেই অবিবাহিতের হার সবচেয়ে বেশি। এই বয়স সীমায় থাকা ৩২ শতাংশ পুরুষ ২৪ শতাংশ নারী অবিবাহিত।

তবে টোকিওর বিয়ে করতে ইচ্ছুক ৬৭. শতাংশ বাসিন্দা সক্রিয়ভাবে সঙ্গী খুঁজছেন না  এমন তথ্য উঠে এসেছে জাপান স্থানীয় সরকারের ২০২১ সালের এক জরিপে। 


অ্যাপ   জাপান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন