মালয়েশিয়ার পোস ব্লাউয়ের কাম্পুং ওম শহরে বন্য হাতির আক্রমণে বাংলাদেশি এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সময় রোববার বিকেল ৫টার দিকে হাতির আক্রমণে ওই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ব্লাউ কাম্পুং জেলার প্রধান পুলিশ সুপার সিক সিক চুন ফু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, কাম্পুং ওম শহরে রোববার বিকেল ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেছেন, নিহত বৃক্ষরোপণ কর্মীর পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। মো. নওশের আলী (২৯) নামের ওই কর্মী তার এক সহকর্মীকে নিয়ে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে হাতির আক্রমণের শিকার হন।
সোমবার দেশটির পুলিশের এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে হাতির আক্রমণের সময় পালিয়ে যাওয়ার কোনও সুযোগ পাননি ওই ভুক্তভোগী। মরদেহের পাশেই হাতির পায়ে ছাপ পাওয়া গেছে।
পুলিশ সুপার সিক সিক চুন ফু বলেছেন, ওই ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য ওই ব্যক্তির মরদেহ গুয়া মুসাং হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় আকস্মিক মৃত্যুর একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মালয়েশিয়া বন্য হাতি বাংলাদেশি মৃত্যু
মন্তব্য করুন
গত ১০ বছরে জোটধর্ম অথবা ঐকমত্যের কথা মুখে না আনা সেই মোদি আজ শুক্রবার ‘এনডিএ’র জয়গান করলেন। বললেন, সরকার চালাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন, কিন্তু দেশ চালাতে দরকার ঐকমত্য। সবার সম্মতি। এনডিএ সেটাই করে দেখাচ্ছে। জোটবদ্ধতার ক্ষেত্রে এনডিএর মতো সাফল্য অন্য কারও নেই।
এত কাল যিনি সর্বদা নিজের প্রচার করে গেছেন, দলের ঊর্ধ্বে নিজেকে স্থাপন করেছেন, সেই মোদির কণ্ঠে আজ ঝরল জোট–মাহাত্ম্যের কথা। শুক্রবার পুরোনো সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে এনডিএর সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হয়ে মোদি বলেন, ‘এই জোট ক্ষমতার জন্য একত্র হওয়া দলগুলোর জোট নয়, এটা একটা সহজাত জোট। অটল বিহারি বাজপেয়ী, প্রকাশ সিং বাদল, বালাসাহেব ঠাকরে, জর্জ ফার্নান্দেজ, শরদ যাদবেরা এই জোটের বীজ বুনেছিলেন। আজ তা মহিরুহ।’
তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হতে চলা মোদি বলেন, ‘দেশবাসী ও আপনারা যে দায়িত্ব আমায় দিয়েছেন, তা পালন করা আমার কর্তব্য।’ সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তাঁর কণ্ঠে বারবার ভেসে ওঠে জোট রাজনীতি, এনডিএ, সবাইকে নিয়ে চলা ও সর্বসম্মত হওয়ার কথা। ভোটের প্রচার পর্বে যাঁর মুখে ‘জোট’ শব্দটি একবারের জন্যও উচ্চারিত হয়নি, এনডিএ জোটের বৈঠকও যিনি একবারও ডাকেননি, সমন্বয় কমিটি গড়ে তোলেননি, নির্বাচনী ইশতেহারজুড়ে ছিল শুধুই ‘মোদি কি গ্যারান্টি’, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানো সেই নরেন্দ্র মোদি আজ বলেন, ‘এনডিএর আদর্শ ও নীতি হলো “সর্বপন্থা সমভাব”; অর্থাৎ সবাই সমান। আমরা সেই নীতিতে বিশ্বাস রেখে চলেছি। আগামী দিনেও এগিয়ে যাব।’
এই অবসরে মোদি তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতেও অবশ্য ছাড়েননি। তিনি বলেন, বিরোধীরা শুরু থেকেই বোঝাতে চেয়েছে, এনডিএ জেতেনি। এই জয় হারের শামিল। তাদের সেই চেষ্টা বৃথা গেছে। সত্য হলো, গত ১০ বছরেও কংগ্রেস তার আসনসংখ্যা ১০০তে নিয়ে যেতে পারেনি। মোদি বলেন, বিজেপি এবার যত আসন পেয়েছে, গত তিনটি লোকসভা ভোট মিলিয়েও কংগ্রেস তা ছুঁতে পারেনি। কংগ্রেসের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিরোধীদের ভাবখানা এমন, যেন আমরা (এনডিএ) হেরে গেছি। অথচ আমরা কখনো হারিনি। এবারেও নয়। যে কোনো শিশুকে জিজ্ঞেস করুন, কারা এত দিন ক্ষমতায় ছিল? দেখবেন উত্তর দেবে, এনডিএ সরকার। জানতে চান, কারা ২০২৪ সালে সরকার গড়বে? উত্তর পাবেন, এনডিএ। অতীতেও এনডিএরই সরকার ছিল, ভবিষ্যতেও তাদেরই থাকবে।’
আজ সন্ধ্যা ছয়টায় রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বার সরকার গঠনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক দাবি জানান। শপথ গ্রহণ আগামী রোববার। তার আগে তিনি প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি ও মুরলী মনোহর যোশির বাসভবনে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন।
সেন্ট্রাল হলের অনুষ্ঠানে শরিক দলের সব নেতাই মোদির প্রতি আস্থা জ্ঞাপন করেন। জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার আচমকাই মোদির পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে যান। তিনি বলেন, ‘বারবার এদিক-ওদিক গিয়ে লাভ হয় না। আপনার সঙ্গেই থাকব। আপনার নেতৃত্বেই সবাই এগিয়ে যাব।’
মোদি যেমন ‘আমিত্ব’ ভুলে শুরুর আগে থেকেই জোটধর্ম পালনের ইঙ্গিত দিয়েছেন, শরিক দলের নেতারাও তেমনই মোদি নেতৃত্বাধীন সরকারকে নিঃশর্ত সমর্থনের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও মন্ত্রণালয় নিয়ে দর-কষাকষি ছাড়ছে না। নানাভাবে সেই চাপ তাঁরা বড় শরিক বিজেপির ওপর বাড়িয়ে চলেছেন।
বিজেপি যদিও চার বড় মন্ত্রণালয়ের একটিও কারও কাছে ছাড়তে প্রস্তুত নয়। দলের পক্ষ থেকে শরিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনোভাবেই তারা অর্থ, স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ছাড়বে না। এমনকি রেল ও সড়ক পরিবহনের মতো মন্ত্রণালয়, যেখানে সংস্কারের কারণে বিপুল লগ্নি করা হয়েছে, তা ছাড়তেও বিজেপি নারাজ।
আজ শুক্রবারের এনডিএ বৈঠকের পর বিজেপির এক সূত্রের কথায়, ‘জোট র্ম ও সবাইকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী বললেও তিনি চান না কর্মযজ্ঞের ধারাবাহিকতা কোনোভাবে নষ্ট হোক। শরিকদের মনে রাখতে হবে, আমাদের সংখ্যা নয় নয় করেও ২৪০। তাদের গুরুত্ব দেওয়ার অর্থ, সব অন্যায় আবদার মেনে নেওয়া নয়।’
বিজেপির সবচেয়ে বেশি চিন্তা টিডিপি ও জেডিইউকে নিয়ে। চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতীশ কুমার দুজনেই তাঁদের রাজ্য—যথাক্রমে অন্ধ্র প্রদেশ ও বিহারের জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজের দাবি জানিয়ে রেখেছেন। নাইডু তাঁর রাজ্যের নতুন রাজধানী অমরাবতীর জন্য বিপুল আর্থিক সহায়তা দাবি করেছেন। নীতীশও চান পিছিয়ে থাকা বিহারের উন্নতিতে বিশেষ সহায়তা। এর সঙ্গে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দাবি। মোদি আবার অবকাঠামো-সংক্রান্ত মন্ত্রণালয় ছাড়তে রাজি নন। ঘনিষ্ঠদের তিনি বলেছেন, ১০ বছরের সুফল জলাঞ্জলি যাক, তা তিনি চান না। শরিকদের কীভাবে সন্তুষ্ট রাখা যায়, সেদিকেই এখন সবার নজর।
টিডিপি ও জেডিইউ ছাড়াও রয়েছে একনাথ শিন্ডের শিবসেনা ও চিরাগ পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি। তাঁরাও একটি করে গুরুত্বপূর্ণ পূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দাবি জানিয়ে রেখেছেন। মন্ত্রণালয় ভাগাভাগি শরিকদের কতটা সন্তুষ্ট রাখছে, তার ওপরই নির্ভর করবে জোটের ভাগ্য। সরকারের যাত্রা শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদি আপাতত এটুকু বুঝিয়ে দিয়েছেন, ১০ বছরের একাধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে এবার তিনি জোটধর্ম পালনে প্রস্তুত।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ইমরান খান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। সিএনএন সূত্র বলছে, ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তার প্যাকেজ পাসে বিলম্ব হওয়ার কারণে জেলেনস্কির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য সামরিক প্যাকেজ পাসে বিলম্ব করায় ইউক্রেনকে যুদ্ধের সম্মুখসারিতে (ফ্রন্টলাইনে) ব্যাপক ভুগতে হয়েছে। আকস্মিক ব্যাপক আক্রমণ করে গ্রামের পর গ্রাম দখল করে নিয়েছে রুশ সেনারা।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্র বলছে, শুক্রবার (৭ জুন) জেলেনস্কির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেখানে তিনি ইউক্রেনের জন্য নতুন সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। এখানেই তিনি জেলেনস্কির কাছে ক্ষমা চান।
রাশিয়া ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রার সামরিক আক্রমণ শুরু করে। রুশ আক্রমণের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ব্যাপক পরিমাণে সামরিক সহায়তা ছাড়াও অর্থ ও অন্যান্য লজিস্টিক সহায়তা প্রদান করেছে।
শুক্রবার জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বাইডেন বলেন, আপনি মাথা নত করেননি। আপনি বশ্যতা স্বীকার করেননি। আপনি এমনভাবে লড়াই অব্যাহত রেখেছেন যা স্মরণীয়। আমরা আপনাদের থেকে দূরে সরে যাচ্ছি না। বাইডেন আরও বলেন, আমি ক্ষমা চাইছি, কারণ আমাদের বিলটি পাস করতে সমস্যা হয়েছিল। আমাদের অতি রক্ষণশীল সদস্যদের কাছ থেকে অর্থ পেতে সমস্যা হয়েছিল। তবে আমরা সেখান থেকে উত্তোরণ করতে সমর্থ হয়েছি।
মন্তব্য করুন
জাপানের জনসংখ্যা ক্রমশ কমছে।
আর সেই চিন্তার আশু সমাধান করতেই নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির রাজধানী টোকিওর সরকার। রাজধানীর বাসিন্দাদের জন্য একটি ডেটিং অ্যাপ বানাতে এবং বিয়ের প্রচারণা প্রকল্পের জন্য ১.২৮ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে টোকিও প্রশাসন। এবারের গ্রীষ্মেই অ্যাপটি চালু হওয়ার কথা রয়েছে।
ব্যবহারকারীরা যাতে বিয়ে করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন সে কথা মাথায় রেখেই অ্যাপের নানা ফিচার সাজানো হয়েছে। এই অ্যাপের রেজিস্ট্রেশন শুধু ফটো আইডি নয় তার সঙ্গে আয়ের সনদ এবং নিজের সম্পর্কের অবস্থা (রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস) নিশ্চিত করে একটি অফিশিয়াল ডকুমেন্টও দিতে হয় ব্যবহারকারীকে।
অ্যাপে ব্যবহারকারীর উচ্চতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশাসহ ১৫ ক্যাটাগরির ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হবে। এই সব তথ্যই যোগ্য পাত্র/পাত্রী দেখতে পাবেন।
এসব প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর ব্যবহারকারীরা অ্যাপের অপারেটরের সঙ্গে বাধ্যতামূলক সাক্ষাৎ করবেন। সেখানে তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে, তারা বিয়ের জন্য সঙ্গী খুঁজছেন, স্রেফ সময় কাটানোর জন্য নয়।
টোকিওর ৫০ বছর বয়সী বাসিন্দাদের মধ্যেই অবিবাহিতের হার সবচেয়ে বেশি। এই বয়স সীমায় থাকা ৩২ শতাংশ পুরুষ ও ২৪ শতাংশ নারী অবিবাহিত।
তবে টোকিওর বিয়ে করতে ইচ্ছুক ৬৭.৪ শতাংশ বাসিন্দা সক্রিয়ভাবে সঙ্গী খুঁজছেন না এমন তথ্য উঠে এসেছে জাপান স্থানীয় সরকারের ২০২১ সালের এক জরিপে।
মন্তব্য করুন
তালেবান প্রতিনিধি দল ২০২২ সালে প্রথম সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামে যায়। তখন এ নিয়ে কেবল রাশিয়া নয়, পুরো বিশ্বেই অনেক আলোচনা হয়েছিল। রাশিয়ার পররাষ্ট্র ও বিচার মন্ত্রণালয়ের নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়ায় এবারের সফর আবার আলোচনায় উঠে এসেছে। তালেবান এবং আফগানিস্তানের বর্তমান নেতৃত্বের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য এই পদক্ষেপটি প্রয়োজনীয় ছিল বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।