ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসির মৃত্যু ঘিরে রহস্যময় ৪ প্রশ্ন

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ২৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ বাকি সবার তৃতীয় জানাজা গতকাল ইরানের রাজধানী তেহরানের ইউনিভার্সিটি অব তেহরান ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই জানাজায় অংশ নেয় লাখ লাখ মানুষ। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এক্সিকিউটিভ অ্যাফেয়ার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহসেন মনসুরি গতকাল জানান, মঙ্গলবার তাবরিজ শহরে প্রথম জানাজার পর রাইসির লাশ নিয়ে যাওয়া হয় পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের কোম শহরে। সেখানে স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৪টায় দ্বিতীয় দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

মনসুরি আরও জানিয়েছেন, রাইসির মৃতদেহ আজ সকালে দক্ষিণ খোরাসান প্রদেশের রাজধানী বিরজান্দে নেওয়া হবে। সন্ধ্যায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মাশহাদে অষ্টম শিয়া ইমাম রেজার মাজারে রাইসির দাফন অনুষ্ঠান হবে।

এদিকে রাইসির এই রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে ইরান সহ বিশ্বজুড়ে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। এর মধ্যে বিবিসি, রয়টার্স, আল-জাজিরাতে চারটি প্রশ্ন সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে। আলোচিত এই রহস্যময় প্রশ্ন গুলো হলো:

১) মোসাদের সম্পৃক্ততা:

রইসির মৃত্যুর ঘটনায় ইরানজুড়ে জনসাধারণ এবং গণমাধ্যমগুলো ইসরায়েলি দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদকে দায়ী করে আসছে। কারণ ইসরাইল এবং তার গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদই এক প্রকার ধরতে গেলে রইসির প্রধান শত্রু। এর আগেও ইরানি সেনা কর্মকর্তা কাশেম সোলায়মানিসহ আরও বেশ কয়েকজন সেনা কমান্ডার খুন হন মোসাদের হাতে। এছাড়াও মোসাদ ইরানের সাতজন পরমানু বিজ্ঞানীকে হত্যা করে।

সিরিয়ায় ইরানি কনসুলেটে ইসরায়েলি হামলার জবাবে গত মাসে ইরান ইসরায়েলের ওপর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে। এঘটনার প্রতিশোধ নিতেই মোসাদ রাইসিকে খুন করতে পারে বলে বিশিষ্টজনরা মনে করে। এছাড়াও হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবর যখন ইরানি সরকার সঠিকভাবে শনাক্তই করতে পারেনি এবং বিষয়ে কোনো তথ্যও প্রকাশ করেনি, ঠিক তখন ইসরায়েলি গণমাধ্যমগেুলো রাইসির মৃত্যুর খবর ফলাও করে প্রচার করতে থাকে। এতেই ইরানিদের সন্দেহ, দুর্ঘটনাটি সুপরিকল্পিত এবং এতে মোসাদের হাত রয়েছে।

২) যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সন্দেহ:

যুক্তরাষ্ট্রকে বলা হয় ইসরাইলের প্রধান মিত্র। ইসরাইলকে সব ধরনের অস্ত্র সহায়তা দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। তাই রইসির এই নিহতের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার সন্দেহও প্রবল। তাছাড়া যে হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনা কবলিত হয়েছে সেটিও যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি। যে কারনে যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান সন্দেহের তালিকা থেকে বাদ দিতে পারছে না ।

৩) ইরানের অভ্যন্তরীন রাজনীতি:

বর্তমানে ইরানের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তিত্ব আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তাঁর বয়স প্রায় ৮৫। ধারণা করা হচ্ছিল খামেনির পরই ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা ছিল রাইসির। কিন্তু এর পরের স্থানে যার নাম প্রকাশ্যে আসছিল সে হলে খামেনির ছেলে মোস্তবা খামেনি। সুতরাং এখন বলা যায় যে, রাইসির মৃত্যুতে সবচেয়ে বেশ লাভবান হয়েছেন খামেনির ছেলে মোস্তবা খামেনি। তাছাড়া যে হেলিকপ্টারটির আকাশে ওড়ার প্রাথমিক যোগ্যতা ছিল না সেই হেলিকপ্টারটি ইরানি কর্মকর্তারা কেন রাইসিকে ব্যবহারের জন্য দিয়েছিল সে বিষয়েও রয়েছে যথেষ্ট রহস্য।

৪) ইরানবিরোধী জঙ্গি গোষ্ঠীর সম্পৃক্তা:

কিছু কিছু মহল মনে করে ইরান বিরোধী কট্টরপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠী ‘জয়শাল আদিল’ এই ঘটনার সাথে জড়িত। তারা ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে রাইসির হেলিকপ্টারটি ধ্বংস করতে পারে বলে অনেকের ধারণা। কারন অতীতে এই ইরানবিরোধী জঙ্গি গোষ্ঠীটি এধরনের হামলা চালিয়েছে। তবে এ সংগঠনটির অবস্থান পাকিস্তান সীমান্তে। হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার স্থানে তাদের কোন কার্যক্রম নেই।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সব প্রশ্নের উত্তর হয়তো শিঘ্রই মিলবে। ইরানসহ বিভিন্ন দেশ এ ঘটনায় অনুসন্ধান চালাচ্ছে। সে কারণে দ্রুতই এ রহস্যের সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।


রাইসি   মোসাদ   যুক্তরাষ্ট্র   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় হামাসের অতর্কিত হামলায় ৮ ইসরায়েলি সেনা নিহত

প্রকাশ: ১০:২৫ এএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

রাফা শহরের একটি সামরিক যানবাহনে হামাস যোদ্ধাদের রকেট চালিত গ্রেনেড হামলায় আট ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। 

শনিবার (১৫ জুন) এক বিবৃতিতে হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, তাঁদের সেনারা পশ্চিম রাফা শহরের তাল আস-সুলতান জেলায় ইসরায়েলি সেনাদের গাড়িতে অতর্কিতে হামলা চালিয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনা হতাহত হয়। তাঁদের যোদ্ধারা ইসরায়েলি সেনাদের গাড়ি লক্ষ্য করে প্রথমে রকেট চালিত গ্রেনেড (আরপিজি) নিক্ষেপ করে। এর পরপরই সেখানে ওৎপেতে থাকা তাঁদের আরেকটি সমর্থন বাহিনী গুলি চালায়।

পরবর্তীতে ইসরায়েলে সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে আট সেনা নিহতের কথা নিশ্চিত করে। দক্ষিণ গাজায় অভিযান-সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের সময় তাঁরা নিহত হন বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। তবে কীভাবে হামলাটি সংগঠিত হয়েছে, তা তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি।

গত ২৭ অক্টোবর স্থল অভিযান শুরুর পর গাজায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০৭ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও কয়েক হাজার।

গাজায় স্থল অভিযান শুরু করার পর গত জানুয়ারিতে একদিনে সর্বোচ্চ ২১ সেনা হারিয়েছিল ইসরায়েল। এরপর গতকাল একদিনে আট সেনা নিহত হওয়াটা ইসরায়েলের জন্য একটি বড় ধাক্কা।

এদিকে গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩৭ হাজার ২৯৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের অধিকাংশ নারী, শিশু ও বয়স্ক মানুষ।

আন্তর্জাতিক মহলের নিন্দা ও যুদ্ধবিরতির চাপ সত্ত্বেও গাজার সর্বদক্ষিণের শহর রাফায় স্থল অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। গতকাল ইসরায়েলি হামলায় সেখানে অন্তত ১৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

গতকাল হামাসের ভয়াবহ অতর্কিত হামলার পর রাফার তাল আস-সুলতান এলাকায় হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। সেখানে বিমান, রণতরী ও গোলা হামলা চালানো হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামাস যোদ্ধাদের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। হামাস জিম্মি করে নিয়ে আসে আরও প্রায় ২৫১ জনকে।

গত নভেম্বরে এক চুক্তির মাধ্যমে হামাস ১০৫ জিম্মিকে মুক্তি দেয়। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ২৪০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়।

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে এখনো শতাধিক ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যাঁদের মধ্যে সামরিক বাহিনীর সদস্য ৪১ জন।

যুদ্ধবিরতির জন্য সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র একটি প্রস্তাব দিয়েছে। এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও পাস হয়েছে। হামাস প্রস্তাবটিকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে তাঁরা প্রস্তাবের কয়েক জায়গায় কিছুটা রদবদল চেয়েছে। এখন এটা নিয়ে দর-কষাকষি চলছে।


গাজা   হামাস   হামলা   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

প্রধানমন্ত্রীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন নরেন্দ্র মোদি

প্রকাশ: ০৯:১৮ এএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পবিত্র ঈদুল আজহার উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে মোদির শুভেচ্ছা জানানোর বার্তা, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সূত্রে রোববার (১৬ জুন) নিশ্চিত হওয়া গেছে।

হাইকমিশন জানায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী মোদি জোর দিয়ে উল্লেখ করেছেন, এই উৎসবটি আমাদের ত্যাগ, সহানুভূতি ভ্রাতৃত্বের মূল্যবোধের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। যা একটি শান্তিপূর্ণ অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গড়তে অপরিহার্য। তিনি ঈদুল আজহাকে বহু-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবেও বর্ণনা করেছেন।

চিঠিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য মঙ্গল কামনা করেছেন।


শেখ হাসিনা   মোদি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সোনালী ব্যাংককে ৯৬ লাখ রুপি জরিমানা করলো ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক

প্রকাশ: ১০:১৪ পিএম, ১৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

লেনদেনের বিধি ও নির্দেশনা লঙ্ঘন করায় বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংককে ৯৬ লাখ ৪০ হাজার রুপি জরিমানা করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)। মুম্বাইভিত্তিক সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়াকেও একই অভিযোগে ১ কোটি ৫০ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের। 

২০২২ সালের ৩১ মার্চ থেকে চলমান একটি পর্যবেক্ষণের ফল হিসেবে এই জরিমানা করেছে আরবিআই। পর্যবেক্ষণে বেশ কিছু অসংগতিপূর্ণ আচরণ ধরা পড়ে। এ কারণে ব্যাংক দু’টিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছিল। 

সরকারের ভর্তুকির বিপরীতে একটি প্রতিষ্ঠানকে ঋণের অনুমোদন দিয়েছিল মুম্বাইভিত্তিক সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। এ ছাড়া অননুমোদিত ই–লেনদেনের সঙ্গেও যুক্ত ছিল ব্যাংকটি।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরবিআই জানিয়েছে, এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বিধি প্রতিপালনে ব্যর্থতার কারণে। গ্রাহকের সঙ্গে লেনদেন বা চুক্তি সংক্রান্ত কোনো ব্যত্যয়ের বিষয় নয়। আর এই জরিমানা ছাড়া ব্যাংক দুটির বিরুদ্ধে অন্য কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরবিআই আরও জানিয়েছে, ২০১৬ সালের গ্রাহক নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও তা অনুসরণ না করায় এবং আরও কিছু নির্দেশনা মেনে না চলায় সোনালী ব্যাংকে ৯৪ লাখ ৪ হাজার রুপি জরিমানা করা হয়েছে। 

আরবিআই বলছে, এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বিধি প্রতিপালনে ব্যর্থতার কারণে। গ্রাহকের সঙ্গে লেনদেন বা চুক্তি সংক্রান্ত কোনো ব্যত্যয়ের বিষয় নয়। আর এই জরিমানা ছাড়া ব্যাংক দুটির বিরুদ্ধে অন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।


সোনালী ব্যাংক   ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সুইজারল্যান্ডে সম্মেলন নিয়ে ইউক্রেনের সেনা ও সাধারণ মানুষ কী ভাবছেন?

প্রকাশ: ০৯:১৩ পিএম, ১৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে ‍যাচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন। এ নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বেশ উচ্চাশা পোষণ করছেন। ভালো কিছুর প্রত্যাশা তাঁর। তবে ইউক্রেনের সম্মুখসারির সেনা ও কিয়েভের যুদ্ধক্লান্ত বাসিন্দাদের মতে, সম্মেলন থেকে বড় কোনো অর্জনের সম্ভাবনা কার্যত শূন্য।

রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের দুই বছরের বেশি সময় পেরিয়েছে। এ সময়ে এসে সুইজারল্যান্ডের সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে প্রায় ৯০টি দেশ ও বৈশ্বিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এমন এক সময়ে তাঁরা বসছেন, যখন ইউক্রেনের দোনেৎস্কে রুশ বাহিনীর সঙ্গে জোরালো লড়াই চলছে।

ওই অঞ্চলে যুদ্ধরত একটি ট্যাংক ব্রিগেডের ডেপুটি কমান্ডার সের্গেই। সম্মেলনের ভবিষ্যত নিয়ে খুব একটা আশাবাদী নন ৩৬ বছর বয়সী এ যোদ্ধা। তিনি বলেন, ‘এটা সম্ভবত একটি বিলাসী সম্মেলন হতে যাচ্ছে।’ তাঁর মতে, ভালো অস্ত্র পরিস্থিতি বদলাতে পারে। তাই এ সম্মেলন দোনেৎস্কের পরিস্থিতির আদৌ উন্নতি করবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

২৩ বছর বয়সী দিনাইলো পেশায় ড্রোন পরিচালক। তিনি বলেন, এ জমায়েত ‘যুগান্তকারী’ কোনো পরিবর্তন আনবে না। এটা বরং প্রতীকী একটি আয়োজন হবে।

সীমিত সম্পদ থাকার পরও ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী দেশটির পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলে গ্রামের পর গ্রামে রুশ বাহিনীর সামনে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। সেই সঙ্গে কর্তৃপক্ষকে বাধ্যতামূলক বেসামরিক স্থানান্তর ঘোষণায় বাধ্য করেছে।

প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ায় আটক ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের নিজ দেশে ফেরানোর বিষয়টি সম্মেলনে অগ্রাধিকার পাবে।

এই ইস্যুটা ৪০ বছরের লিদিয়া রাইবাসের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর নিজের ভাই এখন যুদ্ধবন্দী। তাই সুইজারল্যান্ডের আলোচনার দিকে তাঁর মনোযোগ থাকবে। লিদিয়া বলেন, ‘আমার ভাই বন্দী। তাই এ ইস্যুটা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।’

২২ বছরের আলেকজান্দ্রা পেশায় তথ্য নিরাপত্তাবিশেষজ্ঞ। সুইজারল্যান্ডের সম্মেলন নিয়ে তাঁর মনোভাব অনেকটাই স্পষ্ট। বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, নৃশংস সামরিক উপায়ে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটবে। এ সম্মেলন মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার করবে। তবে শেষ পর্যন্ত রণক্ষেত্রে ফয়সালা হবে।’

প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির শান্তি ফর্মুলার ভিত্তিতেই সুইজারল্যান্ড আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করছে। ইউক্রেনের স্বীকৃত ভূখণ্ড থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার, মস্কোর তরফে আর্থিক ক্ষতিপূরণ এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে রুশ কর্মকর্তাদের বিচার চান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।


সুইজারল্যান্ড   সম্মেলন   ইউক্রেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অরুন্ধতীর বিরুদ্ধে কেন রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করল বিজেপি?

প্রকাশ: ০৮:৪৭ পিএম, ১৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বুকারজয়ী ভারতীয় লেখক ও মানবাধিকারকর্মী অরুন্ধতী রায়ের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে (ইউএপিএ) মামলার অনুমতি দিয়েছেন দিল্লির গভর্নর বিনাই কুমার সাক্সেনা। শুক্রবার (১৪ জুন) সন্ত্রাস দমন আইনের (ইউএপিএ) ৪৫ ধারায় তাঁর বিচারের অনুমতি দেন। সেই সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যার জানিয়েছে, অরুন্ধতী ও শওকতের বিরুদ্ধে ‘জনসমক্ষে উসকানিমূলক বক্তব্য’ দেওয়ার অভিযোগ তুলে এফআইআর দায়ের করেছিলেন সুশীল পণ্ডিত নামের একজন সমাজকর্মী। 

বলা হয়, ‘আজাদি: দ্য ওনলি ওয়ে’ শীর্ষক সেই আলোচনা সভায় অরুন্ধতী প্ররোচনামূলক কিছু কথাবার্তা বলেছিলেন। অরুন্ধতী নাকি তাঁর ভাষণে বলেছিলেন কাশ্মীর কখনো ভারতের অংশ ছিল না। ভারতের সেনাবাহিনী জোর করে তা দখল করেছে। সেই বছরের অক্টোবরে অরুন্ধতী ও শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে এফআইআর দাখিল করা হয়েছিল।

এক যুগ পুরোনো সেই মামলা খুঁচিয়ে তোলা হয় গত বছরের অক্টোবরে। দিল্লির উপরাজ্যপাল ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় সম্প্রীতি হানি ও জাতীয় সংহতির পরিপন্থী আচরণের অভিযোগে মামলার অনুমতি দেন। এরপর গতকাল শুক্রবার দিল্লির রাজনিবাস (উপরাজ্যপালের বাসভবন) থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়, অরুন্ধতী ও শওকতের বিরুদ্ধে উপরাজ্যপাল এবার ইউএপিএ আইনে মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন। অর্থাৎ এবার মামলা হবে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে।

উপরাজ্যপালের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। সিপিএম দলের পক্ষ থেকে ‘এক্স’ হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) বলা হয়, ‘এই সিদ্ধান্ত নিন্দনীয়। ১৪ বছর আগের এক অভিযোগ খুঁচিয়ে বের করে ইউএপিএর মতো কালা-কানুনে মামলা করার অনুমতি দেওয়ার পেছনের কারণ একটাই। সেটা স্বৈরতন্ত্রেরই পরিচায়ক।’

সিপিএম বলেছে, ‘সেই অনুমতি এমন সময় দেওয়া হলো, যখন আদালতে ছুটি চলছে। আইনজীবীরাও ছুটিতে। এই সিদ্ধান্ত লজ্জাজনক ও নিন্দনীয়।’

উপরাজ্যপালের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা ও নিন্দা জানিয়েছে কংগ্রেসও। দলের নেতা বি কে হরিপ্রসাদ আজ শনিবার সকালে ‘এক্স’ হ্যান্ডলে বলেন, ‘মানুষের কণ্ঠস্বর চাপা দেওয়ার স্বৈরতান্ত্রিক প্রবণতা অব্যাহত। বিশেষ করে সেই স্বর যদি কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী ও আন্দোলনকর্মীদের হয়। নিজেদের চূড়ান্ত ব্যর্থতা থেকে জনগণের চোখ সরাতে বিজেপি প্রতিদিন মনগড়া সংকট সৃষ্টি করে চলেছে। বাক্স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর এ ধরনের আক্রমণ গ্রহণযোগ্য নয়।’

তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী ও সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র গতকাল শুক্রবার রাতে ‘এক্স’ হ্যান্ডলে বলেছেন, ‘বিজেপি যদি ভেবে থাকে, ইউএপিএতে মামলা করার মধ্য দিয়ে তারা সেই আগের মতোই চলবে, তা হলে তারা ভুল করবে। তারা কিছুতেই সেই পুরোনো কায়দায় ফিরতে পারবে না। কেননা, এ ধরনের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধেই দেশের মানুষ এবার ভোট দিয়েছে।’

বিরোধীদের এই প্রতিবাদের পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি। তাদের মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা আজ শনিবার ‘এক্স’ হ্যান্ডলে কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন, ‘তারা এত চিৎকার-চেঁচামেচি কেন করছে? তারা এখন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জন্য কাঁদছে! ওরা কি কাশ্মীরকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে না? আফজল থেকে ইয়াকুব, কংগ্রেসের কাছে দেশের আগে জরুরি তার ভোটব্যাংক নীতি।’

রাজনৈতিক মহলের তাই ধারণা, যে ঢঙে এতকাল নরেন্দ্র মোদির সরকার চলছিল, যেভাবে বিরুদ্ধ স্বর দমিয়ে আসছিল, নির্বিচার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা রুজু করছিল, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েও তারা হয়তো সেই পথ থেকে সরবে না। এ সিদ্ধান্ত সম্ভবত সেটাই বুঝিয়ে দিচ্ছে।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন