ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এমপি আনার হত্যা: ঢাকায় আসছে ভারতের স্পেশাল টিম

প্রকাশ: ০১:২৬ পিএম, ২৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনা তদন্ত করতে ভারত পুলিশের একটি স্পেশাল টিম ঢাকায় আসছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) তাদের ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।

এদিকে এই হত্যার ঘটনায় তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগও। ইতোমধ্যেই তারা মূল হোতাসহ কয়েকজনকে আটকও করেছে।

ঢাকার তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, শাহীন কিলার আমানুল্লাহকে নিয়ে কলকাতায় যান গত ৩০ এপ্রিল। সংসদ সদস্য আনার হত্যার ছক কষেন ওই ফ্ল্যাটে বসেই। এরপর সেখান থেকে ১০ মে দেশে ফেরেন শাহীন। তখন ওই ফ্ল্যাটে অবস্থান করেন শাহীনের বান্ধবী শিলাস্তি রহমান, মূল কিলার আমানুল্লাহ, জিহাদ, সিয়াম, মোস্তাফিজ ফয়সাল শাহীনের ভাড়া করা ফ্ল্যাটে অবস্থান করেন। ১৩ মে রাতে হত্যা মিশন বাস্তবায়ন করে আমানুল্লাহ, শিলাস্তি ফয়সাল দেশে ফেরেন। তাদের আটকের পর হত্যারহস্য উদ্ঘাটন হয়। তাদের কাছে পাওয়া যায় এমপি আনার হত্যার লোমহর্ষক কাহিনি।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই ফ্ল্যাটে যাওয়ার পর আনারকে শাহীনের টাকার জন্য চাপ দেন আমানুল্লাহ তার সহযোগীরা। একপর্যায়ে আনারের গলায় চাপাতি ধরেন আমানুল্লাহ। নিয়ে ধস্তাধস্তি হয়। পরে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কলকাতার ওই ফ্ল্যাট থেকে সব তথ্য দেশে অবস্থানকারী মূলহোতা শাহীনকে জানানো হয়। হত্যার পর আমানুল্লাহ ঘটনা জানান শাহীনকে। তখন শাহীন লাশ গুম করার নির্দেশ দেন।

আমানুল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে ডিবির ওই কর্মকর্তা বলেন, শাহীন আমানকে নির্দেশ দেন লাশ গুম করতে। সেই নির্দেশ পেয়ে আমান এমপি আনারের লাশটি কেটে টুকরো টুকরো করেন। এরপর বাইরে থেকে কিনে আনা হয় সাদা পলিথিন, ব্লিচিং পাউডার দুটি বড় সাইজের ট্রলি ব্যাগ। লাশ টুকরো করার পর তা ঢোকানো হয় পৃথক দুটি ট্রলিতে। লাশের টুকরোগুলো ব্যাগে ঢোকানোর পর বাইরে থেকে আনা ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ওই ফ্ল্যাটের মেঝে পরিষ্কার করে ফেলা হয়।

সূত্র বলছে, এমপি আনোয়ারুল আজিমকে ১৩ মে হত্যা করা হলেও তার মরদেহের টুকরো ভর্তি প্রথম ট্রলিটি ওই বাসা থেকে বের করে সরানো হয় পরদিন ১৪ মে। ফ্ল্যাট কম্পাউন্ডের বাইরে নিয়ে পাশের একটি শপিংমলের সামনে দাঁড়ায় কিলার গ্রুপের দুই সদস্য। এরপর কিলার গ্রুপের সদস্য সিয়ামকে এই ট্রলি তুলে দেওয়া হয়। সিয়াম একটা গাড়িতে উঠে কিছুদূর যাওয়ার পর সেটি নিয়ে নেমে যান। এরপর এই ব্যাগ কোথায় নিয়ে গেছেন, তা আর জানাতে পারেননি আমানুল্লাহ। আরেকটি ব্যাগ ফ্ল্যাটে রেখেই ১৫ মে আমানুল্লাহ শাহীনের বান্ধবী শিলাস্তি আকাশপথে ঢাকায় চলে আসেন। অন্য ট্রলি ব্যাগটি মোস্তাফিজ, ফয়সালসহ অন্যরা সরিয়ে ফেলেন।

ডিবি সূত্র জানিয়েছে, আমানুল্লাহর নেতৃত্বে কিলার গ্রুপের সদস্য মোস্তাফিজ, ফয়সাল, জিহাদ সিয়াম হত্যা মিশনে অংশ নেন। আমানুল্লাহ শিলাস্তি ঢাকায় ফেরার পর ১৭ মে মোস্তাফিজুর এবং পরের দিন দেশে ফেরেন ফয়সাল। সিয়াম জিহাদ অবৈধ পথে বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়েছিল। তাদের অবস্থান শনাক্তের কাজ চলছে।

সূত্র জানায়, আমানুল্লাহ, শাহীন এমপি আনার পূর্বপরিচিত। তবে আমানুল্লাকে আনার হত্যায় বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে কাজে লাগান শাহীন। চুক্তিবদ্ধ হয়ে আমানুল্লাহ ভাড়া করেন মোস্তাফিজুর ফয়সাল সাহাজিকে। আর শাহীন আগে থেকেই ভারতে জিহাদ সিয়ামকে ভাড়া করে রাখেন।

ডিবির অন্য এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আনারের লাশের টুকরোগুলো কোথায়, তা জানার চেষ্টা চলছে। জন্য আমানুল্লাহকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি দাবি করেছেন, ফ্ল্যাট থেকে লাশের টুকরো ভর্তি ট্রলি বের করার পর কয়েক ব্যক্তির হাত ঘুরে গুম করা হয়েছে। বিষয়ে তিনি জানেন না।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পশ্চিমবঙ্গে বাড়ছে তিস্তার পানি, শঙ্কায় নদী তীরবর্তী পরিবার

প্রকাশ: ১২:৪১ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের সিকিম রাজ্য থেকে নেমে আসা তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। ফলে উত্তর সিকিমে তিস্তায় পানি বেড়ে যাওয়ায় ধসের ঘটনা ঘটেছে। ইতোমধ্যে সিকিম রাজ্য সরকার নিচু এলাকার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে।

তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় জলপাইগুড়ির গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজের ১ হাজার ১০০ কিউসেক পানি গতকাল শনিবার ছাড়া হয়েছে। এই গজলডোবা থেকে তিস্তা নদী বাংলাদেশে গিয়ে পড়েছে।

গজলডোবা এলাকায় তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নদীর দুই পারের মানুষ। তাঁদের আশঙ্কা, সিকিম থেকে নেমে আসা তিস্তার পানিতে বন্যা দেখা দিতে পারে।

উত্তর সিকিমে বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় ধস নামায় ১ হাজার ২০০ পর্যটক আটকা পড়েছেন। এই পর্যটকদের সিংহভাগ পশ্চিমবঙ্গের। তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশের ১০ পর্যটকসহ থাইল্যান্ডের ২ জন এবং নেপালের ৩ পর্যটক রয়েছেন। তাঁদের উদ্ধারে সেনা নামানো হয়েছে।

সড়ক ও পাহাড়ের অংশে ধস নামায় পর্যটকেরা আটকা পড়েছেন। পর্যটকদের উদ্ধারে সিকিম সরকার সেনা নামিয়ে নতুন করে বেইলি ব্রিজ তৈরি করে পর্যটকদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রবল বৃষ্টি হওয়ায় উত্তর সিকিমে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। কুয়াশার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। সিকিম সরকার ওই রাজ্যে আসা পর্যটকদের হোটেল বা যে যেখানে আছেন, সেখানে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

সিকিমের পর্যটনসচিব সি এস রাও বলেন, আটকে পড়া বা হোটেলে অবস্থান করা কোনো পর্যটক যেন ঝুঁকি না নেন। তাঁদের জন্য মজুত রয়েছে প্রচুর খাবার। যদিও তিস্তা বাজার থেকে দার্জিলিংয়ে যাওয়ার পেশক রোড এখনো বন্ধ রয়েছে। এ রাস্তার পাশে বিপজ্জনকভাবে বইছে তিস্তা নদী।


পশ্চিমবঙ্গ   তিস্তার পানি   শঙ্কা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জাপানে ছড়াচ্ছে মাংসখেকো ব্যাকটেরিয়া, সংক্রমণের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু

প্রকাশ: ১২:১৩ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

করোনা ভাইরাসের পর ফের উদ্বেগ ছড়াচ্ছে নতুন এক ব্যাকটেরিয়া। যা এখন জাপানজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। মাংসখেকো এ ব্যাকটেরিয়া এতটাই মারাত্মক যে, এর সংক্রমণের পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

এই ব্যাকটেরিয়ার নাম গ্রুপ এ স্ট্রেপ্টোককাস (জিএএস)। এর সংক্রমণে যে রোগ সৃষ্টি হচ্ছে, তার নাম স্ট্রেপ্টোককাল টক্সিক শক সিনড্রোম।

জাপানের সংক্রামক রোগ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফেকশাস ডিজিজের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে ২ জুন পর্যন্ত দেশটিতে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭৭ জন। গত বছর এসটিএসএসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯৪১ জন মানুষ। ১৯৯৯ সাল থেকে এই রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর তথ্য রেকর্ড করছে।

সংক্রমণের এই ধারা অব্যাহত থাকলে এই বছরে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াবে আড়াইহাজারে। এই রোগে মৃত্যুর হার ভয়ঙ্করজনকভাবে বেশি, শতকরা ৩০ শতাংশ।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফেকশাস ডিজিজের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতি বছরই জাপানে এসটিএসসে আক্রান্ত হওয়া রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে।

এই ব্যাকটেরিয়াটির বিভিন্ন প্রজাতি রয়েছে। কিছু কিছু প্রজাতির মূলত শিশুদের আক্রান্ত করে। এতে আক্রান্ত শিশুর গলা ফুলে যায়, সঙ্গে ব্যথাও থাকে। তবে কিছু প্রজাতি মূলত ৫০ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী লোকজনকে আক্রমণ করে ।

এসব প্রজাতির সংক্রমণ ঘটলে প্রথমে গলা ব্যথা এবং পরে মাংসপেশীতে ব্যথা শুরু হয়। হাত-পা-মুখ ফুলে যায়, রক্তচাপ নেমে আসে এবং একপর্যায়ে মাংশপেশিতে পচন ধরে, শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হয়, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে পড়ে এবং রোগীর মৃত্যু ঘটে।

টোকিও উইম্যান্স মেডিকেল ইউনিভার্সিটির সংক্রামক রোগ বিভাগের অধ্যাপক কেন কিকুচি বলেন, এসব লক্ষণ দেখা দিলে একজন রোগীর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হতে পারে।

এই রোগের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা পেতে হাত পরিষ্কার রাখা এবং শরীরের যে কোনো ক্ষতস্থান খোলা অবস্থায় না রাখার পরামর্শ দিয়েছেন অধ্যাপক কেন কিকুচি। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া


মাংসখেকো   ব্যাকটেরিয়া   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

১০ জিলহজ: আজ হাজিরা যা করবেন

প্রকাশ: ১১:৫০ এএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

আজ হজের তৃতীয়দিন ১০ জিলহজ। আজকের কার্যক্রম শুরু হয় মুজদালিফা থেকে। গতকাল জিলহজ আরাফাতের ময়দান থেকে ফিরে এসে মুজদালিফায় অবস্থান করেছিলেন হাজিরা। আজ সূর্য ওঠার পর জামারাতে কঙ্কর নিক্ষেপের জন্য রওনা হন মিনার পথে।

হাজিরা আজ মুজদালিফায় ফজরের নামাজ পড়ে সূর্য ওঠা পর্যন্ত দোয়া জিকির করেন। এরপর তালবিয়া পাঠ করতে করতে মিনার পথে রওনা হন। সেখানে বড় জামারায় কঙ্কর নিক্ষেপ শেষে পশু কোরবানি বা হাদির পর মাথামুণ্ডন শেষে ইহরাম ত্যাগ করেন হাজিরা। ১০ জিলহজ মোট ৫টি আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে থাকেন তারা। এরমধ্যে ৩টি কাজ  সবাইকেই করতে হয়। নিম্নে সেই পাঁচটি কাজ তুলে ধরা হলো।

মিনায় গমন: হাজিরা আজ মুজদালিফায় ফজরের নামাজ পড়ে সূর্য ওঠা পর্যন্ত দোয়া জিকির করবেন। এরপর তালবিয়া পাঠ করতে করতে মিনার পথে রওনা হবেন। 

কঙ্কর নিক্ষেপ: মিনায় আসার পথে হাজিরা কঙ্কর সংগ্রহ করবেন। কেউ মুজদালিফা থেকে আবার কেউ মিনার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে কঙ্কর সংগ্রহ করবেন। এরপর মিনায় গিয়ে বড় জামারায় সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করবেন। দিন শুধু এই এক জামারায় কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হয়।

কোরবানি বা হাদি আদায়: আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য তামাত্তু কিরান হজ আদায়কারীরা যে উট, গরু, ছাগল, ভেড়া দুম্বা ইত্যাদি পশু বাধ্যতামূলকভাবে জবেহ করে থাকেন তাকে হাদি বলা হয়। যারা কিরান তামাত্তু হজ করছেন তাদের কেনা পশু আজ জবাই করা হবে।

চুল কাটা: কোরবানি বা হাদি শেষে চুল কেটে ইহরামের কাপড় খুলে ফেলবেন হাজিরা। এরপর থেকে ইহরাম অবস্থায় যেসব কাজ হারাম ছিল তার প্রায় সবই হালাল হয়ে যাবে। শুধু স্ত্রী সহবাস করা যাবে না।

তাওয়াফে জিয়ারত আদায়: হজের সর্বশেষ ফরজ বিধান হলো তাওয়াফে জিয়ারত। একে তাওয়াফে ইফাদাও বলা হয়। ১০ জিলহজ ফজরের সূর্য উদয়ের পর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত তাওয়াফ করা যায়। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাওয়াফ করে নেওয়াই উত্তম। তাই আজ কঙ্কর নিক্ষেপ শেষ হলে কেউ কেউ মক্কায় গিয়ে তাওয়াফে জিয়ারত করবেন।

এরপর ১১ জিলহজ তিনটি শয়তানকে ২১টি পাথর মেরে হাজিরা তাওয়াফে জিয়ারত করবেন। তাওয়াফে জিয়ারতের মাধ্যমে হজের সবকটি ফরজকাজ সম্পন্ন হবে।


হাজি   হজ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজা গণহত্যার প্রভাব নিয়ে অ্যাসাইনমেন্ট করার প্রস্তাব দেওয়ায় মার্কিন অধ্যাপককে বরখাস্ত

প্রকাশ: ১১:৪৮ এএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

গাজা যুদ্ধ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের একটি ঐচ্ছিক অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়ায় আমেরিকার শিকাগো অঙ্গরাজ্যের ডি পল ইউনিভার্সিটির একজন অধ্যাপককে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এই নারী অধ্যাপক অ্যান ডি'অ্যাকুইনোকে গত মাস থেকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিভাগে পড়াতে নিষেধ করা হয়। পার্সটুডে'র প্রতিবদেন অনুসারে, অ্যান ডি'অ্যাকুইনো গত মাসে একটি ঐচ্ছিক অ্যাসাইনমেন্ট উপস্থাপন করেছিলেন যেখানে তিনি শিক্ষার্থীদের মানব স্বাস্থ্য এবং জীববিজ্ঞানের ওপর গাজার গণহত্যার প্রভাব নিয়ে মূল্যায়ন করতে বলেছিলেন।

কয়েকদিন আগে ডি'অ্যাকুইনো একটি সংবাদ সম্মেলনে প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে এই বিষয়টি উল্লেখ করে বলেছিলেন, ‌‘আমাকে বরখাস্ত করা একাডেমিক স্বাধীনতার লঙ্ঘন এবং ফিলিস্তিন ইস্যুতে যেকোনো আলোচনাকে ইহুদি-বিরোধী মিথ্যা দাবিতে পরিণত করার এই প্রশাসনের প্রচেষ্টার আরেকটি উদাহরণ।’

এই অধ্যাপককে সমর্থন করতে প্রায় ৫০ জন লোক দি পল বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে জড়ো হন। তারা ফিলিস্তিনি পতাকা নাড়ছিলেন এবং তাদের হাতে বহন প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল: ‘একাডেমিক স্বাধীনতা ফিলিস্তিন অন্তর্ভুক্ত।’

এদিকে, শিক্ষার্থীরা দি পল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ভবনের প্রশাসনিক কার্যালয়ে মিসেস ডি'অ্যাকুইনোর প্রত্যাবর্তনের দাবিতে একটি আবেদন জানায়। শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে উপস্থাপিত পিটিশনে ১,৫০০টিরও বেশি স্বাক্ষর রয়েছে। ডি'অ্যাকুইনো ক্লাসে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে প্রায় তিন সপ্তাহ আগে একটি আপিল দায়ের করেছিলেন এবং কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এখনও কোনো নির্দিষ্ট জবাব পাননি।


গাজা   মার্কিন অধ্যাপক   গণহত্যা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাখাইনের রাজধানী সিত্তের আশপাশের গ্রাম খালি করার নির্দেশ জান্তার

প্রকাশ: ১১:২৪ এএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তে শহরের আশপাশের গ্রামগুলো খালি করার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির জান্তা। গ্রামে সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ বাস করে।

সম্প্রতি দেশটির জান্তাবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি সিত্তে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার হুমকি দেওয়ার পর সবাইকে গ্রাম ছেড়ে শহরের দিকে চলে যেতে বলেছে জান্তা।

রাখাইনে আরাকান আর্মির কাছে অনেক এলাকা হারিয়েছে জান্তা।

আরাকান আর্মির পক্ষ থেকে সিত্তে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার হুমকির পর জান্তার পক্ষ থেকে সেখানকার ১৫টি গ্রামের বাসিন্দাদের পাঁচ দিন সময় দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা রাজধানীতে চলে যেতে পারে।

সিত্তের পাশের গ্রামের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, শনিবারের পর কাউকে গ্রামে পাওয়া গেলে তাদের গুলি করা হবে। গতকাল (শনিবার) সকাল ১০টার মধ্যে গ্রামগুলো খালি করার শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে গ্রামের এসব মানুষের জন্য থাকার কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি।


রাখাইন   জান্তা   মিয়ানমার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন