নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:২৪ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০১৮
ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলোজি রিভিউ (এমআইটি রিভিউ) ২০১৮ সালের সেরা ১০ প্রযুক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে। ধারণা করা হচ্ছে নতুন এই প্রযুক্তি ২০১৮ সালকে অন্য যে কোন সময়ের তুলনায় বদলে দেবে। চলুন দেখে নেই চমৎকার এই প্রযুক্তি কিভাবে ২০১৮ কে বদলে দেবে।
১। থ্রি ডি মেটাল প্রিন্টিং
বিগত বছরগুলোতে আমরা থ্রি ডি প্লাস্টিক প্রিন্টিং এ অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। এবার থেকে সহজেই থ্রি ডি মেটাল প্রিন্টিং করা যাবে। নতুন এই প্রযুক্তিতে চাহিদা অনুযায়ী যে কোন পরিমাণে প্রিন্ট করা যাবে। ভোক্তারা তাই ছোট বড় যে কোন অর্ডার দিতে পারবেন। এমনকি যেকোনো জটিল আকারের থ্রি ডি মেটাল প্রিন্টও করা যাবে।
২। কৃত্রিম ভ্রূণ
গবেষকরা প্রথম বারের মতো শুধুমাত্র শস্য কোষ থেকে ভ্রূণ আবিষ্কার করেছেন। এখানে ডিম্বাণু কিংবা শুক্রাণু ব্যবহার করা হয়নি। এই আবিষ্কারের মাধ্যমে জীবের অস্তিত্বের ধারণা আরও সহজ হবে। সেই অনেক দার্শনিক ও নৈতিক সংকটের সমাধান পাওয়া যাবে বলে আশা করছে বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীতে জিবের উৎপত্তি সম্পর্কিত ধারণা আরও স্পষ্ট কতে এই প্রযুক্তি কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
৩। সেন্সিং সিটি
গুগলের মাদার কোম্পানি এলফাবেট কানাডার ওয়াটার ফ্রন্ট জেলায় সেন্সর বসাচ্ছে। এর মাধ্যমে একটি শহরের কী ভাবে গড়ে উঠছে, পরিচালিত হচ্ছে এবং মানুষের জীবন যাত্রা মান উন্নয়নে নতুন করে চিন্তা করতে সাহায্য করবে। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য আধুনিক স্মার্ত নগর প্রতিষ্ঠা করা।
৪। ক্লাউড নির্ভর আর্টিফিশিয়াল ইনটিলিজেন্স সার্ভিস
আমাজন, গুগল, আইবিএম, মাইক্রোসফট এর মতো কোম্পানি দীর্ঘ দিন ধরেই মেশিন লার্নিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করে আসছে। নয়া এই প্রযুক্তিতে আর্টিফিশিয়াল ইনটিলিজেন্স বিশ্বব্যাপী ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে। এবং এই বিষয়ে গবেষণার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
৫। ডুয়েলিং নিউরাল নেটওয়ার্ক
নতুন এই প্রযুক্তি কল্পনা শক্তি ও আর্টিফিশিয়াল ইনটিলিজেন্সের দ্বান্দিকতা তৈরির মাধ্যমে উন্নয়নে কাজ করবে। গুগল ব্রেইন, ডিপ মাইন্ড, এনভিডিয়া বাস্তব চিত্র ও শব্দ তৈরিতে কাজ করে চলেছে। ডুয়েলিং নিউরাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে আর্টিফিশিয়াল ইনটিলিজেন্স এমন ছবি তৈরি করতে পারে যা সে আগে দেখেনি।
৬। বাবেল ফিস ইয়ারবাডস
এই ইয়ারবাড ব্যবহার করে অজানা ভাষা বোঝা সম্ভব হবে। শব্দ ইয়ারবাডে পৌছতেই তা দ্রুত অনুবাদ করে দেবে। আর তাই এই মাধ্যমে যে কোন ব্যক্তি খুব সহজেই যে কারো সঙ্গে কথা বলতে পারবে। এবং অন্য ভাষা সহজেই বুঝতে পারবে।
৭। কার্বন মুক্ত প্রাকৃতিক গ্যাস
নতুন এই প্রযুক্তিগত প্রাকৃতিক গ্যাস পোড়ার সময়ে কে কার্বন উৎপন্ন হয় তা ধরে ফেলবে। এর মাধ্যমে গ্রিন হাউজ প্রতিক্রিয়া রোধ করা সম্ভব হবে। আর শক্তি সম্পদ উৎপাদনের কারণে পরিবেশ দূষিত হবে না।
৮। অনলাইন প্রাইভেসি রক্ষা
ব্লক চেইন ভিত্তিক প্রাইভেসি ব্যবস্থা অনলাইনে লেনদেনের সকল তথ্য নিরাপদে সংরক্ষণ করে। এতে তথ্য বেহাত হবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্যও প্রকাশ করা সম্ভব কিন্তু আপনি যা গোপন রাখতে চান তা অপ্রকাশিতই থাকবে।
৯। জেনেটিক ফরচুন টেলিং
জিনগত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এই প্রযুক্তি ভবিষ্যৎ বলতে পারে। এবং এটি বেশ সঠিক। যেমন একজন মানুষের জীবনে ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা কতটুকু তা জেনেটিক ফরচুন টেলিং এর মাধ্যমে নিরূপণ করা যায়। এছাড়া যে কোন ব্যক্তির ভবিষ্যতে বুদ্ধিমত্তা কোন পর্যায়ে যাবে তাও এর মাধ্যমে বলা যায়।
১০। ‘ম্যাটারিয়ালস’ কোয়ান্টাম লিপ
আইবিএম এর সাত কিউবিট কোয়ান্টাম কম্পিউটার ব্যবহার করে পূর্ণ অণুর বাস্তব ভিডিও চিত্র তৈরি করা সম্ভব। বেরিলিয়াম হাইড্রাইট অণুর সিমুলেশন তৈরি এখন পর্যন্ত সব থেকে বড় অর্জন। এই নতুন প্রযুক্তির উদ্দেশ্য বিজ্ঞানীরা যেন যে নতুন সকল ধাতুর নকশা করতে পারে। এবং নিজেদের ইচ্ছা মত ধাতুর গুণাগুণ নির্ধারণ করতে পারে। এই প্রযুক্তিতে অদ্ভুত সব ধাতু তৈরি করা যাবে।
বাংলা ইনসাইডার/ডিজি/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
সৌদি আরবের দাহরানের কিং ফাহাদ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবল বৃষ্টিতে একটি মসজিদের ছাদ ভেঙে পড়েছে। সৌদির বিভিন্ন অঞ্চলে গত দুইদিন ধরে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
বুধবার (১ মে) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। তবে মসজিদের ছাদ ভেঙে কেউ আহত হননি। কারণ ওই সময় সেখানে কেউ ছিলেন না।
নেটিজেনরা জানিয়েছেন, মসজিদটির বাইরের অংশের ছাদটি ধসে পড়েছে। মসজিদ সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে মূল ভবনের বাইরে স্টিলের এই ছাদটি স্থাপন করা হয়েছিল।
স্টিলের ছাদটির ওপর এতই পানি জমা হয়েছিল যে এটি আর ভার বহন করতে পারেনি। এরপর একটি পর্যায়ে এটি ভেতরের দিকে ধসে পড়ে। তখন মসজিদের ভেতর বৃষ্টির পানি প্রবেশ করে এবং মসজিদে যেসব কার্পেট ছিল সেগুলো পানিতে ভিজে যায়।
কেউ একজন মসজিদের মূল ভবনের ভেতর থেকে ছাদ ভেঙে পড়ার মুহূর্তটি নিজের মোবাইল ফোনে ধারণ করেন।
বৃষ্টিপাতের কারণে দেশটিতে সাধারণ মানুষকে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরাসরি ক্যাম্পাসে আসার বদলে অনলাইনে পাঠদান কর্মসূচি চলছে।
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলেসে (ইউসিএলএ) ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে মার্কিন পুলিশ। ইতিমধ্যে তারা সেখানে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছেন এবং অনেকককে গ্রেপ্তার করেছেন। এমনকি বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ করে তাঁবু সরাতে রাবার বুলেট পর্যন্ত ব্যবহার করেছে মার্কিন পুলিশ।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার(২ মে) ভোরে ইউসিএলএ ক্যাম্পাসের বাইরে রাখা ব্যারিকেড সরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে পুলিশ। ভেতরে প্রবেশ করে সেখানে আগে থেকে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের তাঁবু ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ। নির্দেশনা না মানলে গ্রেপ্তার, এমনকি আহত হতে পারেন বলেও জানায় তারা। তবে পুলিশের সতর্কবার্তা আমলে না নিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। তাই অনেক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছোড়া হয়েছে রাবার বুলেট। সিএনএন এর প্রতিবেদন
বিবিসি জানিয়েছে, মূল আন্দোলনস্থল ডিকসন কোর্টে প্রবেশ করেছে পুলিশ। পুলিশ দেখে অনেক শিক্ষার্থী বিক্ষোভস্থল ত্যাগ করলেও এখানো সেখানে অনেকে অবস্থান করছেন। তবে তাদের ঘিরে রেখেছে পুলিশ সদস্যরা।
পুলিশ এখন তাঁবু সরিয়ে দিচ্ছে। ডিকসন কোর্টে এখন অনেকটা পুলিশে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাসের অন্য কোথাও তাঁবু স্থাপন করেছে কিনা তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে এই ক্যাম্পাসে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিপন্থী শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তবে এই সময় পুলিশ দেরিতে সাড়া দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ জন্য পুলিশের সমালোচনাও করেছে অঙ্গরাজ্যের গভর্নরের কার্যালয়।
যুক্তরাষ্ট্র ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া পুলিশ ইউসিএলএ লস অ্যাঞ্জেলেস
মন্তব্য করুন
মৌসুমী বৃষ্টির কারণে কেনিয়াসহ পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোতে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকায় বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট, সেতু ও অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে অনেক।
কেনিয়া জানিয়েছে, দেশটিতে বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বিপর্যয়ে এখন পর্যন্ত ১৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এই বিপর্যয়ে কেনিয়ায় ১২৫ জন আহত হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৯০ জন। দের লাখের ও বেশি মানুষের স্থানীয় বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
বুধবার কেনিয়ার বিখ্যাত পর্যন্ত এলাকা মাসাই মারা বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ অঞ্চলের একটি নদী হঠাৎ করে প্লাবিত হলো পর্যটকসহ ১০০ জন হড়কা বানে ভেসে যায়। সেখান থেকে ৯০ জনকে সফলভাবে উদ্ধার করার কথা জানায় কেনিয়া কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন
গাজার ঘটনার প্রতিবাদ ঠেকাতে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিলটন হলে অভিযান চালিয়ে একশোর বেশি আটকের ঘটনায় পুরো ক্যাম্পাসই এখন বিপর্যস্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়টির সব প্রবেশ পথেই এখন পুলিশ ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মীদের ভিড়, রাস্তায় ব্যারিকেড। জিনিসপত্র নিয়ে শিক্ষার্থীরা বাড়ির উদ্দেশে ক্যাম্পাস ছাড়ছে। ক্লাস বাতিল হয়েছে আর পরীক্ষা কবে হবে ঠিক নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এরপর কী হতে যাচ্ছে তা নিয়েই সর্বত্র এক থমথমে ভাব আর অনিশ্চয়তা।
পুলিশি অভিযানের পর এক বার্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট নেমাত শফিক বলছেন, তাকে গভীর দু:খ নিয়েই শিক্ষার্থী ও অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানের নির্দেশ পুলিশকে দিতে হয়েছে এবং এ ক্ষত শুকাতে সময় লাগবে।
অন্যদিকে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংসতার ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর। সেখানে ক্যাম্পাসে পুলিশকে ডাকার আগেই মুখোশ পরিহিত ইসরায়েলপন্থি একটি গ্রুপ ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের তাবুতে হামলা চালায়।
গভর্নরের মুখপাত্র বলেছেন, এ ঘটনায় 'সীমিত ও বিলম্বিত' পুলিশি হস্তক্ষেপ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। বুধবার ওই ক্যাম্পাসে শত শত পুলিশ কর্মকর্তা অবস্থান নিয়েছিল।
তবে অনেকেই অভিযোগ করেছেন, মঙ্গলবার মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের তাঁবুকে ঘিরে সংঘর্ষের সময় পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়নি। যদিও কর্মকর্তারা বলেছেন সহিংসতার সূচনার পর দ্রুত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।
মূলত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যক্তি ও কোম্পানিকে বয়কটের দাবিতে গত কিছুদিন ধরেই প্রচণ্ড ছাত্র বিক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। মঙ্গলবার রাতে কয়েকটি জায়গায় তা সংঘর্ষের রূপ নেয়।
এর আগে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হার্ভার্ড থেকে ইয়েলসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ফিলিস্তিনের পক্ষে ও ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত কোম্পানি ও ব্যক্তিদের বয়কট করার আহ্বান জানাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা।
সর্বশেষ পহেলা মে রাতে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের দখল করে রাখা অ্যাকাডেমিক ভবন দখলমুক্ত করতে অভিযান চালায় নিউইয়র্ক পুলিশ। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে নয়টায় অভিযান শুরু করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে তারা হ্যামিলটন হল নামে ওই ভবনে প্রবেশ করেছে। সেখানে অবস্থান নেওয়া বিক্ষোভকারীদের সবাইকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
মন্তব্য করুন
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতে ১৩টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া মাঝপথ থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে আরও কয়েকটি বিমান।
বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে ১৩টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং পাঁচটি বিমানকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র।
তিনি বলেছেন, 'দুবাই বিমানবন্দর নিশ্চিত করেছে খারাপ আবহাওয়ার কারণে রাতের বেলা পাঁচটি বিমানকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং নয়টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।'
এছাড়া বিমানবন্দরে আসার ক্ষেত্রে সময় নিয়ে বের হওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। কারণ বৃষ্টির কারণে রাস্তায় দীর্ঘ জ্যামের সৃষ্টি হতে পারে।
আরব আমিরাতে সাধারণত এত বৃষ্টিপাত দেখা যায় না। তবে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে দেশটিতে একদিনে এক বছরের সমান বৃষ্টিপাত হয়। এতে বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির পানি জমে যায়। পানির পরিমাণ এতই বেশি ছিল যে রাস্তায় থাকা গাড়িগুলো ভেসে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে যায়।
সংযুক্ত আরব আমিরাত বৃষ্টিপাত ফ্লাইট
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলেসে (ইউসিএলএ) ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে মার্কিন পুলিশ। ইতিমধ্যে তারা সেখানে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছেন এবং অনেকককে গ্রেপ্তার করেছেন। এমনকি বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ করে তাঁবু সরাতে রাবার বুলেট পর্যন্ত ব্যবহার করেছে মার্কিন পুলিশ।
মৌসুমী বৃষ্টির কারণে কেনিয়াসহ পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোতে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকায় বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট, সেতু ও অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে অনেক। কেনিয়া জানিয়েছে, দেশটিতে বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বিপর্যয়ে এখন পর্যন্ত ১৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই বিপর্যয়ে কেনিয়ায় ১২৫ জন আহত হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৯০ জন। দের লাখের ও বেশি মানুষের স্থানীয় বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
গাজার ঘটনার প্রতিবাদ ঠেকাতে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিলটন হলে অভিযান চালিয়ে একশোর বেশি আটকের ঘটনায় পুরো ক্যাম্পাসই এখন বিপর্যস্ত। বিশ্ববিদ্যালয়টির সব প্রবেশ পথেই এখন পুলিশ ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মীদের ভিড়, রাস্তায় ব্যারিকেড। জিনিসপত্র নিয়ে শিক্ষার্থীরা বাড়ির উদ্দেশে ক্যাম্পাস ছাড়ছে। ক্লাস বাতিল হয়েছে আর পরীক্ষা কবে হবে ঠিক নেই।