ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিশ্বের ঝুঁকিপূর্ণ ১০ সড়ক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:২২ পিএম, ১৮ জুন, ২০১৮


Thumbnail

নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে প্রতিনিয়ত আমাদের কোনো না কোন পথ চলতে হয়। অনেক সময় আগে জানা থাকা সত্ত্বেও বিপদজনক পথটিকেই অনুসরণ করি আমরা। অনেক দ্বিধা সংশয়ের মধ্যেই পথ চলতে থাকি। কেননা জীবনের তাগিদ আমাদেরকে বিপদজনক পথ চলতে বাধ্য করে। তবে চলুন আজ এমনই দশটি ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা সম্পর্কে জেনে নেই। হরহামেশাই এখানে ঘটে দুর্ঘটনা। তবুও মানুষ এই পথেই বার বার যাত্রা করে।

১. খারদুঙ্গ লা, ভারত

বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু গিরি পথের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত রাস্তা হলো ‘খারদুঙ্গ লা’। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এবং গিনেস বিশ্ব রেকর্ড অনুযায়ী এই রাস্তাটি ভয়ঙ্কর ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা হিসেবে বিবেচিত। রাস্তাটি ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে অবস্থিত। এর উচ্চতা পাঁচ হাজার ৩৫৯ মিটার। এটি ভারতের উচ্চতম গিরিপথ। ১৯৮৮ সালে এটিকে যান চলাচলের জন্য মুক্ত করে দেওয়া হয়। পৃথিবীর উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত ‘সিয়াচেন’ হিমবাহের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য এর গুরুত্ব অপরিসীম।

২. গউলিয়াং টানেল, চীন

‘গউলিয়াং টানেল’ চীনের হেনান প্রদেশে অবস্থিত। এক হাজার ২০০ মিটার লম্বা এই সুড়ঙ্গটি পার্বত্য অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এই সুড়ঙ্গ পথের মাধ্যমে চীন হেনান প্রদেশের গউলিয়াং গ্রামের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে।

৩. ডালটন হাইওয়ে, আলাস্কা

‘ডালটন হাইওয়ে’ আলাস্কাতে অবস্থিত। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে তুষারময় ও সোজা রাস্তা হিসেবে পরিচিত। ৬৬৬কিলেমিটার দৈর্ঘ্যের এই রাস্তাটি ১৯৭৪ সালে ট্রান্স আলাস্কা পাইপ লাইন সিস্টেমের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য এটি তৈরি করা হয়েছিল। তুষারময় অঞ্চলে এর অবস্থান হওয়ার কারণে এটি খুব ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা হিসেবে বিবেচিত।

৪. ইশিমা ওহাশি ব্রিজ, জাপান

‘রোলার কোস্টার সেতু’ হিসেবে পরিচিত জাপানের এই সেতুটির নাম ইশিমা ওহাশি। এই শক্ত কাঠামোর খাড়া সেতুটি তৈরি করেছে জাপান। এটি ১৯৯৭ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যবর্তী সময়ে তৈরি করা হয়। নীচ দিয়ে খুব সহজে জাহাজ চলাচল করার উদ্দেশ্যে সেতুটির এইরূপ নকশা করা হয়েছে। এটি জাপানের প্রথম এবং পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তর কঠিন কাঠামো দিয়ে তৈরি সেতু। এর দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ৭ কিলোমিটার, উচ্চতা ৪৪ দশমিক ৭ মিটার এবং প্রস্থ ১১ দশমিক ৩ মিটার।

৫. আটলান্টিক ওসেন রোড, নরওয়ে

‘আটলান্টিক ওসেন রোড’ নরওয়ে অবস্থিত। এর দৈর্ঘ্য হল ৮ দশমিক ৩ কিলোমিটার। সমুদ্রের মাঝখানে বেশ কয়েকটি দ্বীপের সাথে মোট আটটি সেতু জুড়ে এই রাস্তাটি তৈরি করা হয়েছে। এটি তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয় ১৯৭০ সালে। কাজ শুরু হয় ১লা আগষ্ট ১৯৮৩ সালে এবং শেষ হয় ৭ জুলাই ১৯৮৯ সালে। এটি তৈরি করার সময় ১২টি বৃহৎ সামুদ্রিক ঝড়ের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। ২০০৯ সালে এটিকে ‘নরওয়ে কনস্ট্রাকশন অফ দ্যা সেঞ্চুরি’ পুরষ্কারে ভূষিত করা হয়। বর্তমানে এই স্থানটি পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয় একটি জায়গা।

৬. জোজি লা, ভারত

‘জোজি লা’ পশ্চিম হিমালয় পর্বতশ্রেণীতে শ্রীনগর হতে লেহ যাওয়ার ১ডি নং জাতীয় রাস্তার ওপর অবস্থিত। এই রাস্তাটি তৈরি করা হয়েছে লাদাখ ও কাশ্মীরের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করার জন্য। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৯ কিলোমিটার। এটি প্রায় ৯৫২৮ মিটার উচ্চতায় অবস্থান করছে। এই সড়কটি এতটা সংকীর্ণ যে এখান থেকে যেকোন গাড়ি যেতে সংকোচ বোধ করবে। প্রতি বছর ছয় মাস প্রচন্ড তুষারপাতে জোজি লা’তে বরফ জমে থাকে। লেহ সড়কপথ তখন সমগ্র দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ২০০৮ সালে এখানে প্রায় ১৮ মিটার তুষারপাত হয়। প্রতি বছর বসন্তকালে সীমান্ত সড়ক সংস্থা এই স্থানের বরফ পরিষ্কার করে জুনের শুরু থেকে নভেম্বরের মধ্যভাগ পর্যন্ত ১ডি নং জাতীয় রাস্তাটি খোলার ব্যবস্থা করে।

৭. হানা, হাওয়াই

‘হানা’ হাইওয়েটি হাওয়াই দ্বীপে অবস্থিত। প্রশান্ত মহাসাগরের তীর বরাবর প্রবাহিত এক অপরূপ রাস্তা এটি। এর দৈর্ঘ্য ১০৩ কিলোমিটার।

৮. কলিমা, রাশিয়া

‘কলিমা’ সড়কটি রাশিয়াতে অবস্থিত। এটি ‘মৃত্যু রাস্তা’ নামেও পরিচিত। ১৯৩২ সালে রাস্তাটির কাজ শুরু হয়। তখন রাস্তাটির প্রথম অংশ কারাগারের বন্দিদের দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। এই রাস্তার কাজ শেষ করতে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত সময় লেগেছিল।

৯. লে প্যাসেজ ডি গইস, ফান্স

‘লে প্যাসেজ ডি গইস’ রাস্তাটি ফ্রান্সে অবস্থিত। রাস্তাটি তৈরি সম্পূর্ণ তৈরি হওয়ার পর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। তবে কিছু ঘন্টা পরই এটিকে আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারণ, সেসময় রাস্তাটি সম্পূর্ণ রূপে নদীর মধ্যে তলিয়ে যায়। জানা যায়, রাস্তাটির দৈর্ঘ্য ছিল ৪.১২৫ কিলোমিটার।

১০. ট্রান্সফার্গাসন, রোমানিয়া

এই রোমাঞ্চিত ও ভয়ংকর রাস্তাটি রোমানিয়ার পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থতি। কয়েক বছর আগে এক জরিপে দেখা যায়, বিশ্বের দর্শনীয় রাস্তা গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। ভয়ংকর হলেও রমণী‘র কার্লি চুলে মতো আঁকাবাঁকা ট্রান্সফার্গাসন রাস্তাটি ভ্রমণ পিপাসুদের মন কাড়ে।


বাংলা ইনসাইডার/ বিপি/জেডএ 



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পেঁয়াজ রপ্তানি থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলল ভারত

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রায় ৬ মাস পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রাখার পর অবশেষে তা তুলে নিল ভারত। আজ শনিবার দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।

বিজ্ঞপ্তিতে প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য (মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস- এমইপি) ৫৫০ ডলার নির্ধারণ করে দিয়েছে ডিজিএফটি।

ভারতের রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, চলমান লোকসভা নির্বাচনের কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারে আসীন দল বিজেপি। গত বছর ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রদানের কারণে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের কৃষকরা ব্যাপক লোকসানের শিকার হন; ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি ক্ষোভ রয়েছে তাদের। অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে রাজ্যটির প্রতিটি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপি প্রার্থীরা।

ভোটের ফলাফলে যেন কৃষকদের ক্ষোভের আঁচ না থাকে— সেজন্যই বিজেপি এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বলে ধারণা অনেক রাজনীতি বিশ্লেষকের।

প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রকে বলা হয় ভারতের পেঁয়াজের রাজধানী। দেশটির মোট উৎপাদিত পেঁয়াজের অধিকাংশই আসে এই রাজ্য থেকে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পর বাংলাদেশ, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মরিশাসসহ আফ্রিকার কয়েকটি দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করে ভারত।

ভারতের রাজনৈতিক অর্থনীতিতেও পেঁয়াজ বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ফসল, বিশেষ করে ভোটের সময়। ১৯৮০ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ওই নির্বাচনকে ‘পেঁয়াজের নির্বাচন’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং কংগ্রেসের সভানেত্রী ইন্দিরা গান্ধী। কারণ নির্বাচনের কয়েক মাস আগে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধজ্ঞা দিয়েছিল নয়াদিল্লিতে সে সময়ে আসীন কংগ্রেসবিরোধী সরকার।

নির্বাচনে জয়ের পর পেঁয়াজের ওপর থেকে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় কংগ্রেস সরকার; এতে কৃষক ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে রীতিমতো পেঁয়াজ রপ্তানির হিড়িক পড়ে যায় এবং বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। এক পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজের মূল্য ৬ রুপি পর্যন্ত উঠেছিল, যা ওই সময়ের প্রেক্ষাপটে রীতিমতো ‘রাজকীয় মূল্য’।

গত বছর ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথম পর্যায়ে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত হলেও পরে তা আরও বাড়ানো হয়। তার আগে ২০২৩ সালের আগস্টে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করেছিল নয়াদিল্লি।


পেঁয়াজ   রপ্তানি   নিষেধাজ্ঞা   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পুরুষদের বিদেশ গমন নিষিদ্ধ করলো মিয়ানমার

প্রকাশ: ১২:৪৫ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে পুরুষদের জন্য কাজের সন্ধানে বিদেশ গমন নিষিদ্ধ করেছে মিয়ানমারের সামরিক সরকার। দেশটির প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের জন্য সামরিক বাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করায় দেশ ত্যাগে আগ্রহ বেড়েছে নাগরিকদের। ফলে কাজের নামে মিয়ানমারের পুরুষ নাগরিকদের দেশ ত্যাগ রোধে এই নীতি আরোপ করেছে জান্তা বাহিনী। 

বৃহস্পতিবার জান্তার তথ্য টিমের পোস্ট করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

এর আগে সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক নিয়োগ আইন প্রণয়ন করে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। 

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদেশে কাজ করতে ইচ্ছুক পুরুষদের আবেদন গ্রহণ 'সাময়িকভাবে স্থগিত' করেছে দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়।

‘বহির্গমন প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য বিষয় অনুসারে যাচাই করতে আরও সময় নিতে’ এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।

দেশটির প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের জন্য সামরিক বাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করায় দেশ ত্যাগে আগ্রহ বেড়েছে নাগরিকদের। ফলে কাজের নামে মিয়ানমারের পুরুষ নাগরিকদের দেশ ত্যাগ রোধে এই নীতি আরোপ করেছে জান্তা বাহিনী।


মিয়ানমার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ফিলিপাইন

প্রকাশ: ১২:৩২ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

৬ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে ফিলিপাইনে। স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা ১৬ মিনিটে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে দেশটির ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরি পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা সংস্থা ফিলিপাইন ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি (পিআইভিএস)।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মধ্যাঞ্চলীয় লেইতে প্রদেশের উপকূলীয় শহর দুলাংয়ের সাগরতীর থেকে ৩২ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে সমুদ্রের তলদেশের ৮ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূকম্পটির উৎপত্তিস্থল।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ভূগর্ভস্থ টেকটোনিক প্লেটের অবস্থান পরিবর্তন এই ভূমিকম্পের প্রধান কারণ। একই কারণে নিকট ভবিষ্যতে এ অঞ্চলে ফের ভূমিকম্প দেখা দিতে পারে বলে সতর্কবার্তাও দিয়েছে পিভিআইএস।

ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

প্রসঙ্গত, প্রশান্ত মহাসাগরের 'আগ্নেয় মেখলা' (রিং অব ফায়ার) অঞ্চলের টেকটোনিক প্লেটের ওপর অবস্থান হওয়ার কারণে ফিলিপাইনে ছোট-বড় মাত্রার ভূমিকম্প প্রায় নিয়মিত একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ।


ভূমিকম্প   ফিলিপাইন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

স্ত্রীকে পিটিয়ে মারলেন কাজাখস্তানের সাবেক মন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:১৪ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কাজাখস্তানের সাবেক অর্থমন্ত্রী কুয়েঞ্জিক বিশিমবায়েভের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি ওই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ সামনে আসার পর দেশটিতে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

কখনও ঘুষি, কখনও লাথি। স্ত্রীকে এভাবে নির্যাতন চালিয়েছেন টানা আট ঘণ্টা। 

এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ঘটনায় বেকায়দায় পড়েছেন দেশে সাম্যের অধিকার প্রতিষ্ঠা, সকলকে সুবিচার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া প্রেসিডেন্টও।  

ঘটনাটি গেল নভেম্বর মাসের। ওই মাসে একটি রেস্তোরাঁয় মিলেছিল বিশিমবায়েভের স্ত্রী সালতানাত নুকেনোভার মরদেহ। যে রেস্তোরাঁতে তার মরদেহ পাওয়া যায় সেটি বিশিমবায়েভের এক আত্মীয়ের। আগের দিন রাত থেকে সেখানে ছিলেন স্বামী-স্ত্রী। 

ওই রেস্তোরাঁর সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে পেশ করেছে পুলিশ। সেখানে দেখা গেছে, কাজাখস্তানের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী স্ত্রীকে টানা আট ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চালিয়েছেন। ঘুষি-লাথির পর সালতানাতকে চুলের মুঠি ধরে পাশের ঘরে টেনে নিয়ে যান।  

আদালতে সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, স্বামীর হাত থেকে বাঁচতে শৌচালয়ে গিয়ে লুকিয়েছিলেন সালতানাত। দরজা ভেঙে তাকে সেখান থেকে বার করে এনে মারধর শুরু করেন প্রাক্তন মন্ত্রী। 

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন সালতানাত। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে লেখা হয়েছে, মাথায় আঘাত লেগে মৃত্যু হয়েছে সালতানাতের। 


অর্থমন্ত্রী   কাজাখস্তান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কংগ্রেস ৫০ আর তৃণমূল ১৫ আসনও পাবে না: মোদি

প্রকাশ: ১১:৩৯ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, এবার লোকসভা নির্বাচনে সারা দেশে ১৫ আসনও পাবে না পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল। এ ছাড়া আরেক রাজনৈতিক দল কংগ্রেস ৫০ আসনও পেরোতে পারবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন। 

তৃণমূল ও কংগ্রেসের আমলে দুর্নীতি হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, তৃণমূল যাই করুক না কেন তারা বেশি আসন পাবে না। তাদের পক্ষে সরকার গঠন করাও সম্ভব নয়। যতই লড়ুক না কেন।

শুক্রবার নির্বাচনী প্রচারণায় তৃণমূল ও কংগ্রেসকে নিয়ে এমন মন্তব্য করেন মোদি।

তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটই (এনডিএ) সরকার গঠন করবে। এনডিএ ৪০০ পার করবে কি না সেটাই এখন চর্চা চলছে। একটা সময় বামেদের সূর্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে অস্ত হতেই চাইত না। তবে এখন দেখুন বামেদের একটা পতাকাও দেখা যায় না।

মোদি বলেন, কংগ্রেস দেশ বিভাজন করেছিল ধর্মের ভিত্তিতে। তোষণের রাজনীতি করে ইন্ডিয়া জোট। মতুয়া সম্প্রদায়ের জন্য ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) আনা হয়েছে। এর সবচেয়ে বিরোধিতা করছে তৃণমূল। এরা সিএএ নিয়ে ভুল প্রচার চালাচ্ছে। তৃণমূল এসব করে সিএএ করা আটকাতে পারবে না। মানুষ অধিকার পাবেই।


কংগ্রেস   তৃণমূল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন