নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২০ জুলাই, ২০১৮
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সাম্প্রতিক যুক্তরাজ্য সফরে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে উইন্ডসর ক্যাসেলে সাক্ষাৎ করেন। এই সাক্ষাৎপর্বে ট্রাম্পের কিছু আচরণ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
রয়্যাল গার্ড অব অনার পরিদর্শনের সময় রীতি অনুযায়ী রানির নেতৃত্বে না হেঁটে একা একাই সামনে এগিয়ে যেতে থাকেন ট্রাম্প। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রাম্প রানির পথ আগলে দাঁড়িয়ে আছেন। আর বাধ্য হয়ে রানি তাঁর পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই বলছেন ট্রাম্প ইচ্ছাকৃতভাবে রানীকে অসম্মান করেছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগেও রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ আরও ১১ জন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। কেমন ছিল সেই সাক্ষাৎপর্বগুলো, এখানে সেটাই তুলে ধরা হলো:
হ্যারি ট্রুম্যান (অক্টোবর ৩১, ১৯৫১)
রানি এলিজাবেথ সর্বপ্রথম যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি হলেন, হ্যারি ট্রুম্যান। ১৯৫১ সালের ৩১ অক্টোবরে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রিত ছিলেন ২৫ বছরের প্রিন্সেস এলিজাবেথ এবং তাঁর স্বামী প্রিন্স ফিলিপ। তখনো রানির মর্যাদা পাননি তিনি। বাবা ষষ্ঠ জর্জের প্রতিনিধি হিসেবে ওই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। দু’ দেশের পারস্পারিক সম্পর্ক নিয়ে সেসময় তাদের মধ্যে আলোচনা হয়।
ডোয়াইট ডি. আইসেনহাওয়ার (অক্টোবর ১৭, ১৯৫৭)
যুক্তরাজ্যের রানি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার চার বছর পর দ্বিতীয় এলিজাবেথ যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। সেটাই ছিল রানি হিসেবে তাঁর প্রথম বিদেশ সফর। স্নায়ুযুদ্ধকালীন সেসময়ে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক কিছুটা সঙ্কটপূর্ণ অবস্থায় ছিল। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হ্যারোল্ড ম্যাকমিলানও তখন জরুরি বৈঠকের জন্য ওয়াশিংটনে অবস্থান করছিলেন।
জন এফ. কেনেডি (জুন ১৫, ১৯৬১)
১৯৬১ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ. কেনেডি এবং ফার্স্ট লেডি জ্যাকলিন কেনেডি যুক্তরাজ্য সফর করেন। বাকিংহাম প্যালেসে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সম্মানে সেখানে রাজকীয় ডিনারের আয়োজন করা হয়। সেই সন্ধ্যার স্মৃতি কখনোই ভুলবেননা বলে কেনেডি রানিকে লিখেছিলেন।
রিচার্ড নিক্সন (ফেব্রুয়ারি ১৫, ১৯৬৯)
১৯৫৭ সালে ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়েও নিক্সনের সঙ্গে রানির দেখা হয়েছিলো। তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ১৯৬৯ সালে রানি এলিজাবেথের সঙ্গে রিচার্ড নিক্সনের প্রথম বৈঠক হয়। নিক্সন তখন এক অনির্ধারিত সফরে যুক্তরাজ্যে ছিলেন।
জেরাল্ড ফোর্ড (জুলাই ১৭, ১৯৭৬)
যুক্তরাষ্ট্রের ৩৮তম প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ড ১৯৭৬ সালে হোয়াইট হাউসে রানির সঙ্গে বৈঠক করেন। যুক্তরাষ্ট্র তখন ২০০ তম স্বাধীনতাদিবস উদযাপন করছিল। রানির সম্মানে হোয়াইট হাউসের ডিনারের আয়োজন করা হয়। বলরুমে জেরাল্ড ফোর্ডের সঙ্গে রানিকে সেবার ব্যালে ড্যান্স করতেও দেখা যায়।
জিমি কার্টার (মে ৭, ১৯৭৭)
১৯৭৬ সালের যুক্তরাষ্ট্র সফরের পরের বছরই রানি এলিজাবেথের সঙ্গে দেশটির নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের সাক্ষাৎ হয়। ন্যাটো সম্মেলনে অংশ নিতে কার্টার তখন যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছিলেন। বাকিংহাম প্যালেসে রানি এলিজাবেথের মায়ের ঠোঁটে চুমু দিয়ে কার্টার সেবার রাজকীয় প্রটোকল ভঙ্গ করেছিলেন। রানি এলিজাবেথের মা কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়ে বলেছিলেন, ‘আমার স্বামীর মৃত্যুর পর এই প্রথম কেউ এটা করলো।’
রোনাল্ড রিগ্যান( জুন ৭, ১৯৮২)
১৯৮২ সালে তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান তাঁর স্ত্রী ন্যান্সিকে নিয়ে যুক্তরাজ্য সফর করেন। তিনিই প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি উইন্ডসর ক্যাসলে পুরো রাত কাটিয়েছিলেন। রিগ্যান এরপর আরও দু’বার যুক্তরাজ্য সফরে এসে রানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।
জর্জ এইচ. ডব্লিউ. বুশ (জুন ১, ১৯৮৯)
জর্জ এইচ. ডব্লিউ. বুশ রানির সঙ্গে প্রথম দেখা করেন লন্ডনে ১৯৮৯ সালে। ওই সফরে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের সঙ্গেও বৈঠক করেন সিনিয়র বুশ। এর দু’বছর পর রানি এলিজাবেথের ওয়াশিংটন সফরকালে আবারও তাদের সাক্ষাৎ হয়।
বিল ক্লিনটন (জুন ৪, ১৯৯৪)
প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন তাঁর শাসনামলে বেশ কয়েকবার যুক্তরাজ্য সফর করেন। উত্তর আয়ারল্যান্ডের শান্তি প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত থাকার কারণে একাধিকবার রানির সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছিলো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৫০ তম বার্ষিকীতে ১৯৯৪ সালে যুক্তরাজ্যের পোর্টসমাউথে তাদের প্রথম দেখা হয়। এর ছয় বছর পর রানির আমন্ত্রণে বিল ক্লিনটন তাঁর স্ত্রী হিলারি এবং কন্যা চেলসিয়ার সঙ্গে বাকিংহাম প্যালেসে এক চা চক্রে যোগ দেন।
জর্জ ডব্লিউ. বুশ ( নভেম্বর ২১, ২০০৩)
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে রানির সঙ্গে জর্জ ডব্লিউ. বুশের প্রথম সাক্ষাৎ হয় ২০০৩ সালে লন্ডনে। ট্রাম্পের সফরের আগে এটাই ছিলো কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের সবচেয়ে বিতর্কিত যুক্তরাজ্য সফর। সেসময় অন্তত ১লক্ষ মানুষ ইরাক যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে লন্ডনের রাস্তায় নেমে এসেছিলো।
বারাক ওবামা (মে ২৪, ২০১১)
২০১১ সালে যুক্তরাজ্য সফরকালে রানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তখনকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা। রানিকে ১৯৩৯ সালে তাঁর বাবা-মায়ের যুক্তরাষ্ট্র সফরের কিছু ছবি উপহার দেন ওবামা। রানিও ওবামাকে যুক্তরাজ্যের সাবেক কয়েকজন শাসক এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টদের মধ্যকার চিঠি উপহার দেন। এরপর আরও দু’বার রানির সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছিলো। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ৯০ তম জন্মবার্ষিকীতে ওবামা বলেন, ‘সত্যিই তিনি আমার পছন্দের মানুষদের মধ্যে একজন।’
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ
মন্তব্য করুন
মার্কিন ঘাঁটি রুশ সেনা মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী
মন্তব্য করুন
এবার অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) দেশটির সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইউনিভার্সিটি অব সিডনি) তাবু স্থাপন করে অবস্থান নেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। সেসময় তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
এদিনের আন্দোলন থেকে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কযুক্ত সংস্থাগুলো থেকে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিচ্ছিন্ন করার দাবি তোলেন। বিক্ষোভকারীরা অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও তার সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের দাবি, অস্ট্রেলিয়ান সরকার গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যথেষ্ট কাজ করেনি।
ব্রিটিশি বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মেলবোর্ন, ক্যানবেরাসহ অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও একই ধরনের শিবির গড়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলো থেকে পুলিশ ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীদের জোর করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও, অস্ট্রেলিয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।
বিক্ষোভের জায়গাগুলোতে স্বল্পসংখ্যক পুলিশের শান্তিপূর্ণ উপস্থিতিতে ছিল। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে বেশ কয়েকটি পুলিশের গাড়ি পার্ক করা থাকলেও বিক্ষোভে কোনো পুলিশ উপস্থিত ছিল না।
এদিকে, এই বিক্ষোভের কারণে অনিরাপদ বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অধ্যয়নরত ইহুদী শিক্ষার্থীরা। তাদের মতে এ ধরনের আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে করা উচিত।
ইউনিভার্সিটি অব সিডনির উপাচার্য মার্ক স্কট বলেছেন, ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাস আংশিকভাবে অবস্থান করতে পারে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কোনো সহিংসতা দেখা যায়নি।
কয়েক দফা দাবি নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীরা। অস্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে ক্যাম্পাস চত্বরেই তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি ও মিশরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে মিত্র দেশগুলো থেকে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা।
অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভ ফিলিস্তিন
মন্তব্য করুন
গত ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ হাজার ২০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।
এপির হিসেব অনুযায়ী, ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মোট ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৬ বার অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেসব অভিযান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের।
সর্বশেষ স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেসে (ইউসিএলএ) অভিযান চালিয়ে ২০০ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্লাইউড, মেটাল ফেন্স, প্ল্যাকার্ড দিয়ে তৈরি করা ব্যারিকেড এবং ক্যাম্পাস চত্বরের অস্থায়ী তাঁবুগুলো তছনছ করে দিয়েছে পুলিশ। এসব তাঁবুতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রাতে ঘুমাতেন।
ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে গত মার্চের শেষ দিক থেকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ। পরে সেই আন্দোলন দেশটির অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে সেই আন্দোলন চলার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ১৮ এপ্রিল রাতে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এ অভিযানে ১০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ এবং তাদের তাঁবু-ব্যারিকেডও তছনছ করে দিয়েছিল পুলিশ।
কিন্তু পরের দিন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ফের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। মার্কিন এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালিয়েছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ-আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার সদস্যরা মার্কিন শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে 'ইহুদিবিদ্বেষী' আন্দোলন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তবে আন্দোলনের সংগঠকদের (যাদের মধ্যে ইহুধি ধর্মাবলম্বীরাও রয়েছেন) দাবি, তারা কেবল ফিলিস্তিনিদের অধিকার ও গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছেন।
যুক্তরাষ্ট্র বিক্ষোভ গ্রেপ্তার শিক্ষার্থী ইউসিএলএ
মন্তব্য করুন
মুক্ত গণমাধ্যম বাংলাদেশ পাকিস্তান
মন্তব্য করুন
চলন্ত ট্রেনে অপ্রত্যাশিত এক ঘটনার সাক্ষী হলেন যাত্রীরা। স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে পালালেন স্বামী। গত ২৯ এপ্রিল ভারতের জাহাংসি জংশনে এ ঘটনা ঘটে।
২৮ বছর বয়সি মোহাম্মাদ আরশাদ তার ২৬ বছর বয়সি স্ত্রী আফসানাকে নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ করার সময় তালাকের এ ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির।
পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার আরশাদের চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি বিয়ে হয়েছিল আফসানার সঙ্গে। বিয়ের পর দুজনে ভোপালে থাকতেন। এক সপ্তাহ আগে কানপুরের পুখরায়ানে যান দুজনে। সেখানে আরশাদের পৈতৃক বাড়ি। কিন্তু সেখানে গিয়েই চমকে যান আফসানা। জানতে পারেন আরশাদের আরও এক স্ত্রী রয়েছে। এর প্রতিবাদ করলে আরশাদ ও তার মা আফসানার কাছে যৌতুকের দাবি করতে থাকে।
অভিযোগ, মারধরও করা হয় আফসানাকে। এরপর স্ত্রী আফসানাকে নিয়ে ভোপালে ফিরছিলেন আরশাদ। ঝাঁসি স্টেশনে ট্রেন ঢোকার মুখে স্ত্রীকে তিন তালাক দেন আরশাদ। এরপরই ট্রেন থেকে নেমে যান।
এ ছাড়া স্ত্রীকে চলন্ত ট্রেনে মারধরও করেছিলেন আরশাদ। ট্রেন ঝাঁসিতে থামতেই জিআরপিকে সমস্ত ঘটনা জানান আফসানা। এরপরই আফসানাকে ফেরত পাঠানো হয় আরশাদের পৈতৃক বাড়িতে। ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। আরশাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
গোটা ঘটনার কথা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও জানিয়েছেন আফসানা। স্বামীর কড়া শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।
পুলিশের সার্কেল অফিসার জানিয়েছেন, আফসানার অভিযোগের ভিত্তিতে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলা থেকে রেহাই পাইনি তার বাবা-মাও।
মন্তব্য করুন
গত ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ হাজার ২০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। এপির হিসেব অনুযায়ী, ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মোট ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৬ বার অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেসব অভিযান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের।