নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০১ পিএম, ১৮ অগাস্ট, ২০১৮
‘দাও ফিরে সে অরণ্য, লও এ নগর’ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠকুরের ‘সভ্যতার প্রতি’ কবিতার একটি লাইন। নগর সভ্যতায় হাপিয়ে ওঠা বিশ্বকবি ফিরে চেয়েছেন অরণ্য। আমাদের অনেকেও এমনটাই চাওয়া। নগর মানের যেন বসবাস অযোগ্য। তবে অবাক করা বিষয় হলো পৃথিবীতে যেমন বসবাস অযোগ্য শহর আছে তেমনি আছে প্রকৃতি ও সভ্যতার মেলবন্ধনে স্বপ্নের মতো সাজানো শহর, যা মানুষ বসবাসের স্বর্গ বলে পরিচিত। সম্প্রতি ’দি ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট’ এর বার্ষিক জরিপে ২০১৮ সালে বসবাসের উপোযোগী সেরা শহরের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন শহরের জনগণের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জীবনধারার ওপর ভিত্তি করে প্রতি বছর এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। আসুন তাহলে জেনে নেই বিশ্বে বসবাসযোগ্য সেরা ১০ শহর সম্পর্কে:
ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া
বাসযোগ্য নগরীর মধ্যে তালিকার শীর্ষে রয়েছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা। এর আগে তালিকার শীর্ষে ছিল মেলবোর্ন শহর। পশ্চিম ইউরোপের শহর ভিয়েনায় অপরাধ সংগঠনের হার কমিয়ে মেলবোর্নকে হটিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে।
মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া
গত সাত বছর ধরে একটানা শীর্ষস্থান দখল করে রাখা মেলবোর্নের স্থান এবার নেমে এসেছে দ্বিতীয়তে। ‘দি গ্লোবাল লিভেবিল্যাটি ইনডেক্স-২০১৮’ অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ার শহর মেলবোর্নের এবারের স্কোর ৯৮.৪, যেখানে ভিয়েনার স্কোর ৯৯.১।
ওসাকা, জাপান
এই তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে জাপানের ওসাকা শহর। চলতি বছর জাপানের পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য জাপানের দুইটি প্রধান শহর সেরা ১০ এ অবস্থান করছে। গত বছর ওসাকা নগরীর অবস্থান ছিল ৬ নম্বরে।
ক্যালগারি, কানাডা
কানাডার তিনটি শহর রয়েছে বসবাসযোগ্য সেরা ১০ শহরের তালিকায়, এর মধ্যে ক্যালগারি শহরের অবস্থান চতুর্থ। চারদিকে জলে ঘেরা এই শহরটিতে জনগণের উন্নত জীবনযাত্রার জন্য এই শহরটি উত্তর আমেরিকায় বসবাসযোগ্য শহরগুলোর মধ্যে শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে।
সিডনি, অস্ট্রেলিয়া
পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার আরেক শহর সিডনি। সিডনি শহরটি এই শহরটিতে জনসংখ্যার ঘনত্ব তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায়, এটি বিশ্বে বাসযোগ্য শহর গুলোর মধ্যে অন্যতম। দুর্নীতি ও সহিংসতার প্রভাব কম হওয়ার কারণে অস্ট্রেলিয়ার শহরগুলো বাসযোগ্য শহরের শীর্ষে।
ভ্যাঙ্কুভার, কানাডা
গত বছর শীর্ষ তিনে থাকা কানাডার শহর ভ্যাঙ্কুভারের অবস্থান এ বছর নেমে এসেছে ৬ নম্বরে। ছবির মতো সাজানো এই শহরটি বিশ্বের পর্যটকদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয়। কানাডায় রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার কারণে শহরটি এখনো শীর্ষ তালিকায় অবস্থান করছে।
টোকিও, জাপান
শীর্ষ সাতে রয়েছে জাপানের রাজধানী ও প্রধান শহর টোকিও। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে নাগরিকদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানে বরাবরই জাপানের শহরগুলো এগিয়ে। বসবাসের জন্য পূর্ব এশিয়ার এই শহরটি সুবিধাজনক, আরামদায়ক ও আকর্ষনীয়।
টরন্টো, কানাডা
জন জীবনের নিরাপত্তা, বাস যোগ্যতার বিবেচনায় শীর্ষ দশ তালিকায় আটে রয়েছে কানাডার গুরুত্বপূর্ণ শহর টরন্টো। ১৮৬৭ সালে কানাডা ফেডারেশন গঠনের সময় টরন্টোকে অন্টারিও প্রদেশের রাজধানীর মর্যাদা দেওয়া হয়।
কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক
বিশ্বের সেরা ১০ বাসযোগ্য শহরের তালিকায় এবারই প্রথম জায়গা করে নিয়েছে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন শহর। এবার শীর্ষ তালিকায় উঠে এসেছে ইউরোপীয় দুইটি শহর ।এর মধ্যে কোপেনহেগেন রয়েছে নবম স্থানে।
অ্যাডিলেইড, অস্ট্রেলিয়া
সবশেষে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম আরেক শহর অ্যাডিলেইড। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার এই শহরটি টানা ৬ বছর শীর্ষ ৫ এর তালিকায় ছিল। মেলবোর্নের মতো চলতি বছর এটির অবস্থান নেমে একেবারে দশে চলে আসে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডআই/জেডএ
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের গাজায় হামলার কারণে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক
ছিন্ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো। বুধবার এ
ঘোষণা দেন তিনি।
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে জড়ো হওয়া মানুষের সামনে পেত্রো
বলেন, তাঁর দেশ বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক
ছিন্ন করতে যাচ্ছে।
গাজায় হামলার শুরু থেকেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর
কঠোর সমালোচনা করে আসছেন পেত্রো। তিনি অন্যান্য দেশগুলোকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে
(আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে যোগ দেওয়ার
অনুরোধ জানিয়ে আসছেন।
লোকভর্তি জনসমাগমস্থলে পেত্রো তাঁর ঘোষণায় বলেন, ‘আপনাদের সামনে
প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিচ্ছেন যে, আগামীকাল আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক
সম্পর্কগুলো ছিন্ন করব...’। পেত্রো তাঁর বক্তব্যে ইসরায়েলের রাষ্ট্রপ্রধানকে গণহত্যাকারী
বলে আখ্যা দেন।
পেত্রো আরও বলেন, গাজার এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের কোনো দেশ নিষ্ক্রিয়
থাকতে পারে না।
গত বছরের অক্টোবরে গাজায় হামলার পরপরই ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক
সম্পর্ক ছিন্ন করে দক্ষিণ আমেরিকার আরেক দেশ বলিভিয়া। সেসময় কলম্বিয়া, চিলি ও হন্ডুরাসসহ
দক্ষিণ আমেরিকার আরও কয়েকটি দেশ ইসরায়েল থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।
এদিকে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের এমন ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ অভিযোগ করে বলেছেন, পেত্রোর এই ঘোষণা ‘ইহুদিবিদ্বেষী
ও ঘৃণায় পরিপূর্ণ’। তাঁর এই পদক্ষেপ হামাসের জন্য পুরস্কার।
ইসরায়েল কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট ফিলিস্তিন
মন্তব্য করুন
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টাকালে তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে মৃত্যুবরণকারী আট বাংলাদেশি নাগরিকের মরদেহ আজ বৃহস্পতিবার (০২ মে) দুপুরের মধ্যে দেশে পৌঁছানোর কথা।
লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের দেওয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে বলা হয়েছে, লাশবাহী কফিনগুলো সৌদিয়া এয়ারলাইনসের ফ্লাইটযোগে ২ মে দুপুর সোয়া বারোটায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।
মঙ্গলবার লিবিয়ায় নিযুক্ত ও তিউনিসিয়ার অনাবাসিক দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) আবুল হাসনাত মুহাম্মাদ খায়রুল বাশারের উপস্থিতিতে মিশনের কর্মকর্তারা মরদেহগুলো তিউনিস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেন।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষরাতের দিকে এ দুর্ঘটনার পরপরই ত্রিপোলিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় নগর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে মরদেহের সুরতহাল, শনাক্তকরণ, দেশি সংস্থার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করা, মৃত্যু এবং মেডিকেল সনদ ইস্যু সম্পন্ন করেন।
পাশাপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আফ্রিকা উইং মরদেহ ফিরিয়ে আনতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় করে। স্বরাষ্ট্র এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সহায়তা এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যয়ভার মেটানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।
তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় আট বাংলাদেশির কফিন বন্দি মরদেহ। ছবি : সংগৃহীত
৮ নিহতের মধ্যে সজল, নয়ন বিশ্বাস, মামুন শেখ, কাজী সজীব ও কায়সার খলিফা মাদারীপুর জেলার এবং রিফাত, রাসেল ও ইমরুল কায়েস আপন গোপালগঞ্জ জেলার অধিবাসী ছিলেন।
জুয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপ যাত্রাপথে ৫২ জন যাত্রী এবং একজন চালকসহ নৌকাটি তিউনিসিয়া উপকূলে ডুবে গেলে জীবিত উদ্ধার ৪৪ জনের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি ও পাকিস্তানের ৮, সিরিয়ার ৫, মিসরের ৪ জন। নিহত ৯ জনের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি ও অপরজন পাকিস্তানের নাগরিক বলে শনাক্ত হয়েছেন
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার ছাত্র আন্দোলন গাঁজায় গণহত্যা ইসরায়েল
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
মন্তব্য করুন
কানাডা প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গত সাড়ে ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে নির্বিচার হামলা ও হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত এক সপ্তাহ ধরে ব্যাপক ধরপাকড় চালাচ্ছে মার্কিন পুলিশ প্রশাসন। সবশেষ যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং নিউইয়র্কের সিটি কলেজ ক্যাম্পাসে রাতের আঁধারে পরিচালিত হয়েছে পুলিশি অভিযান। এ অভিযানে ক্যাম্পাস দুটি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শতাধিক ফিলিস্তিন সমর্থকারীকে।