নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০১ পিএম, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
ভ্রমন মানেই তো আনন্দ! এই ব্যস্ত জীবনে ভ্রমনে আগ্রহ নেই, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। অবশ্য ইচ্ছা থাকলেও অনেকে হয়তো সময় করে উঠতে পারে না। আবার সময় পেলেও ভাবতেই চলে যায় অনেক সময়। তা সত্ত্বেও ভ্রমনপ্রেমীরা সব সময়ই খোঁজ রাখেন ভ্রমনের সেরা জায়গাগুলোর, যাতে সুযোগ পেলেই ঢুঁ মেরে আসতে পারেন। টাইমস ম্যাগাজিনে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে, বিশ্বে ভ্রমনের উপযুক্ত স্থানগুলোর তালিকা। আসুন তবে জেনে নেই ২০১৮ সালে ভ্রমনে সেরা ১০ স্থান সম্পর্কে।
তিয়ানজিন বিনহাই লাইব্রেরি
তিয়ানজিন, চীন
চীনের উত্তর উপকূলের শহর তিয়ানজিনের এই লাইব্রেরিটি বর্তমানে পর্যটকদের কাছে বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। জ্ঞানপিপাসুদের জন্যও অন্যতম প্রিয় স্থান এই লাইব্রেরি। গত বছর অক্টোবরে লাইব্রেরিটির উদ্বোধন করা হয়। খোলার প্রথম দিনেই এখানে দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১০ হাজার। প্রচুর দর্শক সমাগম আর তাদের প্রশংসায় লাইব্রেরিটি এরই মধ্যে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। এই লাইব্রেরিতে রয়েছে প্রায় ১ দশমিক ২ মিলিয়ন বই।
সাইক্লিং থ্রু ওয়াটার
জেঙ্ক, বেলজিয়াম
পানির মধ্য দিয়ে সাইকেল চালানো কষ্টকর মনে হলেও, পানির ওপর দিয়ে সাইকেল চালানো কিন্তু বেশ আনন্দের। তাই তো উত্তর বেলজিয়ামের এ স্থানটি প্রায় ৫ লাখ সাইক্লিস্টকে আকর্ষণ করেছে। জেঙ্ক শহরে অবস্থিহ প্রায় ১২৪০ মাইল দীর্ঘ এই পথ। ভ্রমন পিপাসু যেকোনো মানুষের কাছে এমনিতেই বেলজিয়াম আকর্ষণীয় স্থান। তার ওপর পানির ওপর সাইকেল চালানোর মজা নিতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন বেলজিয়ামের জেঙ্ক থেকে।
মরগ্যান’স ইনস্পিরেশন আইল্যান্ড
সান আন্টোনিও, টেক্সাস
প্রতিবন্ধীদের জন্য চালু এই বিশেষ পার্কটি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে অবস্থিত। টেক্সাসের সান আন্তোনিয়োয় গড়ে উঠেছে এই ওয়াটার থিম পার্ক। এটি খোলা হয় ২০১০ সালে। পার্কটির প্রতিষ্ঠাতা গর্ডন হার্টম্যানের দাবি, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তুচ্ছ করে, বিশেষ ওই মানুষগুলো যাতে চুটিয়ে মজা করতে পারেন, সেজন্যই তৈরি করা হয়েছে এই পার্ক। শুধুমাত্র প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশ্বের আর কোথাও এমন ওয়াটার পার্ক তৈরি হয়নি।
গোল্ডেন ব্রিজ
বা না হিলস, ভিয়েতনাম
ভিয়েতনামের সোনালি রঙের এই সেতুটি পুরো বিশ্বের জন্য এক বিস্ময়ের নাম। দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে এই সেতুর অবস্থান। ৪৯০ ফুট দীর্ঘ এই সেতুটি তৈরি করা হয় প্রায় ৯৯ বছর আগে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪৬০০ ফুট ওপরে এই সেতুটি অবস্থিত। নতুন করে চলতি বছরের জুনে সেতুটি আবার পর্যটকদের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। ডানাং শহরে অবস্থিত এই সেতুটি বর্তমানে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের স্থান।
টিপেট রাইজ আর্ট সেন্টার,
মন্টেনা, যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানায় অবস্থিত এই আর্ট সেন্টারটি। প্রায় ১১ হাজার ৫০০ একরের বিশাল ভূমির উপর নির্মিত হয়েছে টিপেট রাইজ আর্ট সেন্টার। এটি ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্ক থেকে মাত্র ১৫০ মাইল দূরে অবস্থিত। ২০১৬ সালে চালু হয় বিশ্বের অন্যতম এই আর্ট সেন্টারটি । এতে চিত্র প্রদর্শনীর হল এবং কনসার্ট হল ছাড়াও বাইরের উন্মুক্ত স্থান জুড়ে আছে বিশাল আকৃতির অসাধারণ কিছু ভাস্কর্য। পর্যটক আকর্ষনের অন্যতম স্থান এটি।
প্যানডোরা: দ্য ওয়ার্ল্ড অব অ্যাভাটার
বে লেক, ফ্লোরিডা
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অবস্থিত ডিজনি অ্যানিমেল ল্যাণ্ড থিমপার্ক। আর এই ডিজনি অ্যানিমেল ল্যান্ডেরই সাম্প্রতিক সংযোজন প্যানডোরা। জেমস ক্যামেরনের অ্যাভাটার চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি করা হয় এই কৃত্রিম পার্ক। প্রায় ১২ একর আয়তনের এই থিম পার্কটিতে রয়েছে ভাসমান পর্বত, ভিনগ্রহের কৃত্রিম প্রাণী, আলোকোজ্জ্বল গাছপালা ইত্যাদি। ভার্চুয়াল রিয়ালিটির মাধ্যমে এলিয়েন গ্রহের উপর দিয়ে উড়ে বেড়ানোর সুযোগ এই পার্কটির অন্যতম আকর্ষণ।
এবফিলহারমনি
হামবুর্গ, জার্মানি
জার্মানির হামবুর্গে গ্রাসব্রুক দ্বীপের উপর অবস্থিত এই কনসার্ট হলটির নাম এলফি। এটি ২০১৭ সালে চালু হয়। ইটের তৈরি পুরনো একটি ওয়্যারহাউজের উপরে অবস্থিত কনসার্ট হলটি কাঁচের তৈরি। দেখতে অনেকটা পাল তোলা নৌকার মতো হলটি শুধুমাত্র এর নান্দনিকতাই না, একই সাথে অত্যাধুনিক সাউন্ড সিস্টেমের জন্যও বিশ্ব বিখ্যাত। জার্মানির বিশাল এই হলঘরটিতে একসঙ্গে ২১৫০ জন দর্শকের বসার ব্যবস্থা রয়েছে।
মিউজিয়াম মাকান
জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া
ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থিত এই জাদুঘরটির পুরো নাম দ্ ’মিউজিয়াম অব মডার্ন অ্যান্ড কন্টেম্পোরারি আর্ট নসান্ত্রা’। রাজধানী জাকার্তার নসান্ত্রায় প্রায় ৪ হাজার বর্গমিটার ভূমির উপর নির্মিত এই জাদুঘরটি। চোখ ধাঁধানো সব চিত্র ও শিল্পকর্মের অপূর্ব সংগ্রহশালা। সব বয়সী দর্শকদের জন্য উপযোগী এ জাদুঘরটি দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয় ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে। ইতোমধ্যেই এই জাদুঘরটি পর্যটকদের নজড় কেড়েছে।
সিউলো ৭০১৭ স্কাইগার্ডেন
সিউল, দক্ষিণ কোরিয়া
বন্ধ হয়ে যাওয়া হাইওয়ে ওভারপাসের উপর নির্মিত হয়েছে সিউলো স্কাইগার্ডেন নামের এই এলিভেটেড পার্কটি। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অবস্থিত এটি। প্রায় ১ কিলোমিটার দীর্ঘ পায়ে চলার উপযোগী পথটিতে বিভিন্ন ক্যাফে, ফুটবাথ ছাড়াও আছে প্রায় ২৪ হাজার গাছপালার এক বিশাল বাগান। ২০১৭ সালের মে মাসে চালু হয় এই পার্কটি। এই স্কাই গার্ডেনটির রাতের দৃশ্য পথচারীদেরকে দারুণভাবে আকৃষ্ট করে।
সেন্ট্রাল আইডাহো ডার্ক স্কাই রিজার্ভ
আইডাহো, যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম এবং একমাত্র ডার্ক স্কাই রিজার্ভ হলো সেন্ট্রাল আইডাহো ডার্ক স্কাই রিজার্ভ। সারা বিশ্বে মাত্র এমন ১২টি স্থান আছে, যেগুলোকে ইন্টারন্যাশনাল ডার্ক স্কাই অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ ডার্ক স্কাই রিজার্ভ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই স্থানগুলোর বায়ুমণ্ডল এতই পরিষ্কার যে, এখান থেকে খালি চোখে রাতের আকাশে সবচেয়ে বেশি তারা দেখা সম্ভব। গত বছর এই তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল আইডাহোর ২ হাজার ২৫০ বর্গকিলোমিটারের একটি এলাকা।
বাংলা ইনসাইডার/জেডআই
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার ছাত্র আন্দোলন গাঁজায় গণহত্যা ইসরায়েল
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
মন্তব্য করুন
কানাডা প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো
মন্তব্য করুন
হলিউড সিনেমাতে হরহামেশাই আমরা দেখে থাকি, অস্ত্র চালনা কিংবা হ্যান্ড টু হ্যান্ড কমব্যাট, যুদ্ধক্ষেত্রে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রোবট। কখনো মানুষের পক্ষে কখনো মানুষের বিপক্ষে বিরাট রোবট বাহিনী। এবার সিনেমাতে নয়, বাস্তবেই যুদ্ধের ময়দানে দেখা যাচ্ছে রোবট। সিনেমায় দেখানো রোবটের মতো এত উন্নত প্রযুক্তির না হলেও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে দেখা যাচ্ছে কিলার রোবটের ব্যবহার।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অধ্যাপক টোবি ওয়ালশ বলেন, কিলার রোবট শুনলে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির মুভিতে দেখা রোবটের কথা মনে হয়৷ কিন্তু সমস্যা হলো, এগুলো এখন বাস্তবে হচ্ছে৷ এগুলো টার্মিনেটর রোবট নয়৷ এগুলো একধরনের ড্রোন যার ব্যবহার আমরা ইউক্রেন যুদ্ধে দেখতে পাচ্ছি৷ এসব ড্রোনকে মানুষের চেয়ে কম্পিউটার দিয়ে নিয়ন্ত্রণের পরিমাণ বাড়ছে৷
ট্যাঙ্ক, পরিখায় সৈন্য- ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার শুরুতে আমরা এমনটা দেখেছিলাম৷ কিন্তু পরবর্তীতে দুই পক্ষই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার শুরু করে৷ যেমন বায়রাক্তার ড্রোন৷ একেকটির দাম ১১ মিলিয়ন ইউরোর বেশি৷
জার্মান প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. গারি শাল বলেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার কাছে থাকা অনেক অস্ত্রকে পরবর্তীতে এআই-সমৃদ্ধ করা হয়েছে৷ ফলে যুদ্ধে পরিবর্তন এসেছে৷ যেমন রাশিয়াকে আমরা এআই-সমৃদ্ধ গ্লাইড বোমা ব্যবহার করতে দেখেছি৷ আর ইউক্রেনের এআই-সমৃদ্ধ অস্ত্রের মধ্যে আছে ড্রোন৷ যুদ্ধের প্রথম কয়েক মাসে ইউক্রেন যে কার্যকর ও সফল ছিল, তার কারণ ছিল তারা পরিস্থিতি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছিল৷
সামরিক সংঘাত মানে হলো, তথ্য সংগ্রহ ও সেগুলোর অর্থ বুঝতে পারা৷ কত দ্রুত সেটা করা যাচ্ছে তাও গুরুত্বপূর্ণ৷ এআই সেটা করতে পারে ও সিদ্ধান্ত নিতে পারে৷
মিউনিখের বুন্ডেসভেয়ার ইউনিভার্সিটির আক্সেল শুলটে বলেন, এখন অনেক কিছু স্বয়ংক্রিয় হয়ে যাওয়ায় মানুষ ও যন্ত্রের মধ্যে শ্রম বিভাজন করতে গিয়ে আমাদের সতর্কতার সঙ্গে ভাবতে হবে৷ মানুষের উদ্দেশ্য আছে, যন্ত্রের নেই৷ আমরা এসব যন্ত্রকে, এসব স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাকে, হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করি৷
কিন্তু ড্রোন কি হিউম্যানয়েড কিলার রোবট বা টার্মিনেটর হতে পারে? আক্সেল শুলটে বলেন, টার্মিনেটর? না সেটা সম্ভব না৷ আমরা এখনো প্রযুক্তিগতভাবে অতদূর এগোইনি৷ হ্যাঁ, ইউটিউবে আমরা বস্টন ডাইনামিক্সের দারুন সব ভিডিও দেখি বটে৷ আমরা দেখি, গতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এসব যন্ত্রের দক্ষতা বেশ ভালো৷ তারা ডিগবাজি বা সে রকম কিছু দিতে পারে৷ কিন্তু এর মানে এই নয় যে, সেগুলো বিপজ্জনক কিলার রোবট হয়ে গেছে৷
২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী সামরিক ব্যয় দুই ট্রিলিয়ন ইউরো ছাড়িয়ে গেছে- যা একটি রেকর্ড৷ ৭৫০ বিলিয়ন ইউরো খরচ করে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ তবে চীনও কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করছে৷ ২০২২ সালে রাশিয়া তার সামরিক বাজেট নয় শতাংশ বাড়িয়েছিল৷
জার্মান প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. গারি শাল বলেন, যদি আপনার এমন বাহিনী থাকে যেটা এআই ব্যবহার করে, তাহলে, অন্য যারা এআই ব্যবহার করে না, তাদের চেয়ে আপনার কৌশল ভিন্ন হবে৷ এটা শুধু যন্ত্রের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ঢোকানোর বিষয় নয়৷ এটা পুরো ব্যবস্থা পরিবর্তনের বিষয়: প্রশিক্ষণ, কৌশল, সংগঠন সবক্ষেত্রে৷
স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র তৈরিতে কাজ করছে পৃথিবীর প্রায় ৬০টি দেশ। শান্তিপূর্ণ প্রয়োজনে রোবট বানাচ্ছে তারা। তবে এসকল রোবট বা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের দিকে ঝুঁকলে নিঃসন্দেহে তা হবে ভয়ংকর।
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি)তদন্তের বিরোধিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে এ আদালতের দেওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সমর্থন করেছে। মস্কো ওয়াশিংটনের এই আচরণকে ‘কপট’ উল্লেখ করে বলেছে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের ভণ্ডামি।
আইসিসি যুদ্ধাপরাধের দায়ে ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করার পাশাপাশি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও গণহত্যার তদন্ত করতে পারে। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলা ও সাত মাস ধরে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার তদন্ত করছে সংস্থাটি।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ–পিয়েরে গত সোমবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিসির তদন্ত সমর্থন করে না । এ ছাড়া এই বিষয়ে আদালতের এখতিয়ারের বিষয়টিতেও বিশ্বাস করে না তারা। তবে এর আগে গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি ছিল ন্যায়সংগত। ইউক্রেনে কথিত রুশ যুদ্ধাপরাধের বিবরণ আইসিসির কাছে তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মস্কো বলেছে, পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতার পরোয়ানা জারি করা পশ্চিমাদের অর্থহীন প্রয়াস। এর মধ্য দিয়ে তারা রাশিয়ার সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। তারা ইউক্রেনে কোনো যুদ্ধাপরাধ করেনি। তবে ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়া যুদ্ধাপরাধ করেছে। রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেন যে অপরাধ করেছে, তা এড়িয়ে গেছে পশ্চিমারা। তবে কিয়েভ এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা টেলিগ্রামে করা এক পোস্টে বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আইসিসির দেওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা পুরোপুরি সমর্থন করে ওয়াশিংটন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এখন তাদের ও তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আইসিসির তদন্তের বৈধতা স্বীকার করতে চাইছে না। জাখারোভা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থান কপটতার শামিল।
রাশিয়া আইসিসির সদস্যদেশ নয়। ইসরায়েলও এর সদস্য নয়। তবে ২০১৫ সালে ফিলিস্তিন আইসিসির সদস্য হয়। গত শুক্রবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, আইসিসির কোনো সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের কার্যক্রমের ওপর প্রভাব ফেলবে না; কিন্তু বিপজ্জনক একটি উদাহরণ তৈরি করবে। ইসরায়েলের কর্মকর্তারা অবশ্য আইসিসির আদেশ নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে। তাঁদের ধারণা, আইসিসির পক্ষ থেকে গাজায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগে নেতানিয়াহু ও ইসরায়েলে অন্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হতে পারে। একই সঙ্গে হামাস নেতাদের বিরুদ্ধেও এ পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গত সাড়ে ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে নির্বিচার হামলা ও হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত এক সপ্তাহ ধরে ব্যাপক ধরপাকড় চালাচ্ছে মার্কিন পুলিশ প্রশাসন। সবশেষ যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং নিউইয়র্কের সিটি কলেজ ক্যাম্পাসে রাতের আঁধারে পরিচালিত হয়েছে পুলিশি অভিযান। এ অভিযানে ক্যাম্পাস দুটি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শতাধিক ফিলিস্তিন সমর্থকারীকে।
হলিউড সিনেমাতে হরহামেশাই আমরা দেখে থাকি, অস্ত্র চালনা কিংবা হ্যান্ড টু হ্যান্ড কমব্যাট, যুদ্ধক্ষেত্রে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রোবট। কখনো মানুষের পক্ষে কখনো মানুষের বিপক্ষে বিরাট রোবট বাহিনী। এবার সিনেমাতে নয়, বাস্তবেই যুদ্ধের ময়দানে দেখা যাচ্ছে রোবট। সিনেমায় দেখানো রোবটের মতো এত উন্নত প্রযুক্তির না হলেও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে দেখা যাচ্ছে কিলার রোবটের ব্যবহার।