নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩০ পিএম, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
সাহিত্যানুরাগী হিসেবে সুনাম ছিল তাঁর। বেশ কিছু উপন্যাস আর কবিতাও লিখেছিলেন তিনি। তবে সব কিছু ছাপিয়ে যে পরিচয়টি বড় হয়ে উঠেছিল তা হলো, উদ্ভট ও নিষ্ঠুর এক স্বৈরশাসক। যিনি নিজ দেশেই রাসায়নিক গ্যাস ও বোমা বর্ষণ করে নির্দ্বিধায় লাখো সাধারণ মানুষ হত্যা করেছিলেন। বলা হচ্ছে, সাদ্দাম হোসেনের কথা। ইরাকের সমৃদ্ধির নায়ক বলা হয় তাঁকে, একই সঙ্গে ধ্বংসেরও।
নিজের ছেলেদের প্রতি অস্বাভাবিক স্নেহশীল ছিলেন সাদ্দাম হোসেন। ছোট ছেলে উদয় হোসেন এক বিয়ের অনুষ্ঠানে আনন্দ উদযাপন করতে গিয়ে গুলিবর্ষণ করেছিলেন। ওই ঘটনায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছিল। এই অপরাধের জন্য সাদ্দাম তাঁর পুত্রকে হাস্যকর এক শাস্তি দিয়েছিলেন। উদয়ের রোলস রয়েস, ফেরারিসহ দামি কয়েকটি গাড়ি পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
১৯৭৯ সালের ১৬ জুলাই ইরাকের পঞ্চম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসেন সাদ্দাম হোসেন। পুরো নাম ছিলো সাদ্দাম হোসেন আব্দুল মজিদ আল তিকরিতি। তাঁর শাসনামলে দেশটি অর্থনৈতিক দিক থেকে সমৃদ্ধশালী হয়ে ওঠে। সাধারণ মানুষের জীবনমানের উন্নতি ঘটে। তাঁর এক বড় সংস্কার ছিলো ইরাকের তেল সম্পদের জাতীয়করণ। যার ফলে দেশটির বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় হয়েছিল এবং ব্যাপক সমৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়েছিল।
দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সাদ্দাম বিরোধীদের ওপরও দমন পীড়ন শুরু করেন। ক্ষমতাগ্রহণের পরপরই তিনি নতুন একটি বাহিনী গঠন করেছিলেন। এর কাজ ছিলো সরকারের জন্য হুমকিস্বরুপ বিভিন্ন ক্ষুদ্র গোষ্ঠী ও বাহিনীকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। তাঁর নির্দেশেই ১৯৭৪ সালে দেশটির দাওয়া পার্টির নেতাদের হত্যা করা হয়। এরপর ’৮০ সালে হাজার খানেক কুর্দি হত্যা এবং ’৮৮ তে রাসায়নিক হামলা চালিয়ে আনুমানিক পঞ্চাশ হাজার থেকে এক লাখ মানুষ হত্যা করেন তিনি। ১৯৯০ সালে এই স্বৈরশাসকের নির্দেশে একটি নদীর গতিপথ পরিবর্তন করা হয়। যার ফলে ‘মার্শ আরব’ নামক আদিবাসীগোষ্ঠীর বসতভিটা পানির নিচে তলিয়ে যায়।
১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত সাদ্দামের নেতৃত্বে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালিত হয়। প্রায় নয় বছর দীর্ঘস্থায়ী এ যুদ্ধে ইরাকের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। যুদ্ধের মূল কারণ হিসেবে সাদ্দামের উচ্চাভিলাষ ও আগ্রাসী মনোভাবকেই দায়ী করা হয়। বলা হয়ে থাকে, তাঁর স্বপ্ন ছিল পারস্য উপসাগরের ওপর নিজের একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা। ১৯৯০ সালে কুয়েতে হামলা চালায় ইরাকি বাহিনী। মাত্র ১৩ ঘণ্টার মধ্যে দেশটির ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয় তারা। সাদ্দাম দাবি করে বসেন, ঐতিহাসিকভাবেই এটি ইরাকের অংশ ছিল। কিন্তু ’৯১ এ মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোটের কাছে হার মেনে যুদ্ধ-বিরতিতে সম্মত হন তিনি।
ইরান এবং কুয়েত দু’টি দেশের ওপরেই অন্যায়ভাবে যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিলেন সাদ্দাম হোসেন। বলা হয়ে থাকে, ইতিহাস কাউকেই ক্ষমা করে না। সীমান্ত বিরোধ, ইরাকের অভ্যন্তরে শিয়া জঙ্গিদের মদদ দেওয়া ও ইরাকি পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারিক আজিজের হত্যাচেষ্টাসহ আরও কিছু অবান্তর অভিযোগ দেখিয়ে দেশ দু’টিতে আক্রমণ চালিয়েছিলেন তিনি। ঠিক একইভাবে ইরাক আক্রমণের সময়ও তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ সাদ্দাম প্রশাসনের বিরুদ্ধে গণবিধ্বংসী অস্ত্র নির্মাণের মিথ্যা অভিযোগ তুলেছিলেন।
২০০৩ সালের ২০ মার্চ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইরাকে আগ্রাসন শুরু হলে আত্মগোপনে চলে যান লৌহমানব খ্যাত সাদ্দাম। সেপ্টেম্বরে জন্মস্থান তিকরিতের একটি খামারবাড়ি সংলগ্ন ভূগর্ভস্থ গর্ত থেকে তাকে আটক করা হয়।
বলা হয়ে থাকে, নিরাপত্তার জন্য সাদ্দাম তাঁর মতো চেহারার বেশ কয়েকজনকে তৈরি করেছিলেন। মার্কিন বাহিনী তাঁকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজন বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিয়েছিল। এই বিশেষজ্ঞের প্রথম কাজ ছিল আটক ব্যক্তিই প্রকৃত সাদ্দাম কি না তা নিশ্চিত করা। জন নিক্সন নামের ওই বিশেষজ্ঞ ১৯৯৮ সালে সিআইএতে যোগদানের পর থেকেই সাদ্দামকে নিয়ে অধ্যয়ন শুরু করেছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর নিক্সন জানিয়েছিলেন, আমার দেখা মানুষদের মধ্যে সাদ্দামই সবচেয়ে সন্দেহপ্রবণ ব্যক্তি। তাঁকে করা প্রতিটি প্রশ্নের জবাবে তিনি আমাকে পাল্টা প্রশ্ন করতেন।
বন্দী অবস্থায় জীবনের শেষ সময়ে সাদ্দাম মার্কিন গায়িকা মেরি জে ব্লাইজার গান শুনতেন নিয়মিত। নিজের এক্সারসাইজ বাইকে চড়তেও পছন্দ করতেন তিনি। মার্কিন রক্ষীরা জানান, জীবনের শেষ দিনগুলোতে সাদ্দাম তাঁদের সঙ্গে খুব ভালো ব্যবহার করতেন। তাঁর ব্যবহার দেখে বোঝাই যেত না যে সাদ্দাম হোসেন কোনো এক সময়ে একজন নিষ্ঠুর শাসক ছিলেন।
কিউবান `কোহিবা` সিগার খাওয়ার খুব নেশা ছিল সাদ্দামের। বন্দি অবস্থায়ও তিনি ওই নেশা ছাড়তে পারেননি। অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে ভেজা ওয়াইপে জড়িয়ে একটা বাক্সে সেগুলো রাখতেন তিনি। কিউবার নেতা ফিদেল কাস্ত্রো তাকে সিগার খাওয়া শিখিয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন সাদ্দাম।
বার্ডেনওয়ার্পার নামের একজন রক্ষী জানান, সাদ্দাম হোসেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আশা করতেন যে তাঁর ফাঁসি হবে না। নতুন করে কোনো নারীর সঙ্গে প্রেম করার ইচ্ছা পোষণ করতেন সাদ্দাম। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে আবারও বিয়ে করার ইচ্ছা ছিল তাঁর।
বন্দিশালাতেও নাস্তার ব্যাপারে খুঁতখুঁতে স্বভাব ছিল সাদ্দামের। ডিমের অমলেট টুকরো হয়ে গেলে, সেটা আর খেতেন না তিনি।
২০০৬ সালের ডিসেম্বরে ঈদের দিনে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় সাদ্দামের। কিন্তু ইরাকের বহু মানুষ এখনো বিশ্বাস করে এই লৌহমানব এখনো বেঁচে আছেন। তাদের দাবি, সাদ্দাম মারা যায়নি। যাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে সে সাদ্দামের মতো দেখতে অন্য কেউ।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ
মন্তব্য করুন
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টির ট্রুডোর উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠানে ‘খালিস্তানপন্থী’ স্লোগান দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর সোমবার ( ২৯ এপ্রিল ) কানাডার ডেপুটি হাই কমিশনারকে তলব করেছে ভারত। খালিস্তান আন্দোলন নিয়ে সম্প্রতি ভারত-কানাডার কূটনীতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। এর মধ্যে বাড়তি উত্তেজনা যুক্ত হলো।
এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘এ ঘটনায় ভারত সরকার গভীর উদ্বেগ এবং দৃঢ় প্রতিবাদ জানিয়েছে। কানাডা এ ধরনের কর্মকাণ্ড অনিয়ন্ত্রিতভাবে চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে যা উদ্বেগের। আবারও প্রমাণ হলো, কানাডায় বিচ্ছিন্নতাবাদ, চরমপন্থা ও সহিংসতাকে রাজনৈতিক প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে।’
আরও বলা হয়েছে, ‘তাদের অভিব্যক্তি শুধু ভারত-কানাডা সম্পর্ককে প্রভাবিত করে না বরং কানাডায় সহিংসতা ও অপরাধের পরিবেশকে তার নিজের নাগরিকদের ক্ষতির জন্য উৎসাহিত করে।’
কানাডাভিত্তিক সিপিএসি টিভিতে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, ট্রুডো খালসা দিবস উপলক্ষে ভাষণের মঞ্চে উঠার পর ‘খালিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান আরও জোরে দেওয়া হতে থাকে। হাজার হাজার মানুষ রবিবার শহরের সবচেয়ে বড় বার্ষিক সমাবেশের উদ্দেশে টরন্টোর কেন্দ্রস্থলে উপস্থিত হয়।
ট্রুডো তার ভাষণে গত বছর শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যায় ভারত জড়িত বলে অভিযোগ করে। এছাড়াও কানাডায় শিখদের অধিকার ও স্বাধীনতা সর্বদা রক্ষা করার এবং সম্প্রদায়কে ঘৃণা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রুডো।
ভারত কানাডা সরকারের অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। বরং অটোয়া শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে দিল্লি।
কানাডা প্রধানমন্ত্রী জাস্টির ট্রুডোর তলব ভারত
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মানবতার স্বার্থে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রসহ আর নতুন কোনো অস্ত্র গ্রহণ না করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, 'মানবতাকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অস্ত্র ব্যবস্থা নয় বরং মানুষের কল্যাণে কৃষি, চিকিৎসা, মহাকাশ অন্বেষণ, জলবায়ু পরিবর্তন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ মানবজাতির সুবিধার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপকারী প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।'
সোমবার (২৯ এপ্রিল) ভিয়েনার হফবার্গ প্রাসাদে 'হিউম্যানিটি অ্যাট দ্য ক্রসরোডস: অটোনোমাস উইপনস সিস্টেমস অ্যান্ড দ্য চ্যালেঞ্জ অব রেগুলেশন' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ বিষয়ে উচ্চ-পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় তিনি এ আহ্বান জানান।
মানুষের ওপর অস্ত্রবল প্রয়োগে নিয়ন্ত্রণ রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে ড. হাছান মাহমুদ প্রশ্ন রাখেন, যদি রাষ্ট্রবহির্ভূত এবং সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাপূর্ণ স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ পায় তবে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার কী হবে।
স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থাকে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিশ্বব্যাপী নীতি নির্ধারণের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, প্রাণহানির ক্ষমতাসম্পন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাপূর্ণ এবং স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র উভয়ের বিষয়েই উপযুক্ত আন্তর্জাতিক আইন বিচক্ষণতার সঙ্গে প্রয়োগ করা বাঞ্ছনীয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় গাজার অনিশ্চিত পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবং সংঘাত ও উত্তেজনার নতুন ফ্রন্ট খোলার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করেন।
অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গ, কোস্টারিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্নল্ডো আন্দ্রে টিনোকো, নরওয়েজিয়ান স্টেট সেক্রেটারি ইভিন্ড ভাদ পিটারসন এবং রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির সভাপতি মির্জানা স্পোলজারিক এগার সহ-প্যানেলিস্ট হিসেবে যোগ দেন।
অস্ট্রিয়ার ইউরোপীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই সম্মেলনে ১২০টিরও বেশি দেশ জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা, অধিকার গোষ্ঠী এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার আট শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অস্ত্র পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
মন্তব্য করুন
স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম ফার্স্ট মিনিস্টার ও স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা হামজা ইউসুফ পদত্যাগ করার কথা ভাবছেন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।
স্কটিশ গ্রিনস পার্টির সঙ্গে জোট করে স্কটল্যান্ডে সরকার গঠন করেছিল হামজার দল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি। তবে এই দলের সঙ্গে সম্প্রতি তার দল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির জোট ভেঙে যায়। এরপর তাকে ক্ষমতা থেকে হটাতে দুটি অনাস্থা ভোটের ডাক দেন বিরোধীরা। একটি ফার্স্ট মিনিস্টার ও আরেকটি স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির সরকারের বিরুদ্ধে। এসব অনাস্থা ভোটে হামজা হেরে যেতে পারেন, এটা অনেকটা নিশ্চিত। তাই অনাস্থা ভোটের আগেই পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন তিনি।
সোমবার এক ভাষণে হামজা বলেছেন, আমি আমার মূল্যবোধ ও নীতি নিয়ে ব্যবসা করতে চাই না। অথবা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য যার-তার সঙ্গে চুক্তি করতে চাই না।
এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে হামজা বলেছিলেন, বিরোধীদের ডাকা অনাস্থা ভোটে তিনি জিততে পারবেন বলে বেশ আত্মবিশ্বাসী। তবে সোমবারের মধ্যেই নিজের সংখ্যালঘু সরকারকে শক্তিশালী করতে অন্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
গত বছর স্কটল্যান্ডের ক্ষমতাসীন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা নির্বাচিত হন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হামজা ইউসেফ। এরপর সাবেক ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জেনের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। স্কটল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম হিসেবে ফার্স্ট মিনিস্টার নির্বাচিত হয়েছিলেন হামজা।
পদত্যাগ স্কটল্যান্ড ফার্স্ট মিনিস্টার
মন্তব্য করুন
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে মিয়ানমার। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। যা মিয়ানমারের ইতিহাসেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। খবর এপি ও দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমার। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮.৭৬ ফারেনহাইট)। যা মিয়ানমারের ইতিহাসেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এই তথ্যটি জানিয়েছে, মিয়ানমারের আবহাওয়া বিভাগ।
আবহাওয়া বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোববার মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় ম্যাগওয়ে রাজ্যের চাউক শহরে তাপমাত্রা পারদ ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। ৫৬ বছর আগে রেকর্ড সংরক্ষণ শুরু করার পর মিয়ানমারের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
একই দিন দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত ইয়াঙ্গুনে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ছুঁয়েছে। এছাড়া দেশটির আরেক শহর মান্দালয়ে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলের শুষ্ক সমতলে অবস্থিত চাউক শহরের একজন বাসিন্দা বলেছেন, 'এখানে অত্যন্ত গরম এবং আমরা সবাই বাড়িতেই ছিলাম।' নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, 'এই পরিস্থিতিতে আমরা কিছুই করতে পারছি না।'
দেশটির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে দিনের তাপমাত্রা এপ্রিলের গড়ের তুলনায় ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।
জাতিসংঘের বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) বলেছে, ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে এশিয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে বেশি। এ কারণে এই মহাদেশের তাপমাত্রাও বাড়ছে। ১৯৯১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এশিয়ার গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকি ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর এশিয়ার গড় তাপমাত্রা ছিল দশমিক ৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে স্মরণকালের ভয়াবহ তাপপ্রবাহ। গত কয়েকদিন ধরে দেশের তাপমাত্রা এতটাই বাড়ছে যে অনেকে এটি সহ্য করতে পারছেন না। ফলে হিটস্ট্রোকসহ অন্যান্য স্বাস্থগত ঝুঁকিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। শুধু বাংলাদেশ নয়, তালিকায় আছে মিয়ানমার, ভারত, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া। সব দেশেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও এল নিনোর প্রভাবে তাপপ্রবাহ ধীরে ধীরে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে, যা নীরব ঘাতকে পরিণত হচ্ছে।
মানবতার স্বার্থে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রসহ আর নতুন কোনো অস্ত্র গ্রহণ না করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, 'মানবতাকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অস্ত্র ব্যবস্থা নয় বরং মানুষের কল্যাণে কৃষি, চিকিৎসা, মহাকাশ অন্বেষণ, জলবায়ু পরিবর্তন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ মানবজাতির সুবিধার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপকারী প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।'
স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম ফার্স্ট মিনিস্টার ও স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা হামজা ইউসুফ পদত্যাগ করার কথা ভাবছেন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। খবর আলজাজিরার। স্কটিশ গ্রিনস পার্টির সঙ্গে জোট করে স্কটল্যান্ডে সরকার গঠন করেছিল হামজার দল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি। তবে এই দলের সঙ্গে সম্প্রতি তার দল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির জোট ভেঙে যায়।
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে মিয়ানমার। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। যা মিয়ানমারের ইতিহাসেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। খবর এপি ও দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমার। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮.৭৬ ফারেনহাইট)। যা মিয়ানমারের ইতিহাসেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এই তথ্যটি জানিয়েছে, মিয়ানমারের আবহাওয়া বিভাগ।