নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:২০ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
যেকোনো দেশেই সরকারপ্রধানরা ক্ষমতাগ্রহণের পর অর্ধেক মেয়াদ পার হতেই তাদের জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করে। এমনটাই বলে থাকেন বিশ্লেষকেরা। কিন্তু এর ব্যতিক্রমও রয়েছে। বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রনেতা বা সরকারপ্রধান রয়েছেন, যারা জনগণের ভোটে জয় পেয়ে বারবার ক্ষমতায় এসেছেন। এখানে এমন কয়েকজন জনপ্রিয় নেতার কথাই তুলে ধরা হলো:
মাহাথির মোহাম্মদ, মালয়েশিয়া
১৯৮১ সালে প্রথম মেয়াদে মালয়েশয়ার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন মাহাথির মোহাম্মদ। টানা ২২ বছর দেশ শাসনের পর ২০০৩ সালে অবসরে যান তিনি। তার শাসনামলে মালয়েশিয়া দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়। মাহাথিরের বিরুদ্ধে বিরোধীপক্ষকে কঠোর হাতে দমন করার অভিযোগ থাকলেও অর্থনৈতিক সাফল্য তাকে মালয়েশিয়ার অবিসংবাদিত নেতার আসনে বসায়। ২০০৩ সালের অক্টোবরে ক্ষমতা ছাড়ার সময় তিনি বলেছিলেন, `আমি অসন্তুষ্ট। কারণ সফল হওয়ার জন্য আমি যেসব অর্জন করতে চেয়েছিলাম, তার সামান্যই অর্জন করতে পেরেছি।’ অবসর ভেঙে এ বছর আবারও জনতার ভোটে জয় পেয়ে ক্ষমতায় এসেছেন ৯২ বছর বয়সী মাহাথির।
ইন্দিরা গান্ধী, ভারত
১৯৬৬ সালে ভারতের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন ইন্দিরা গান্ধী। এরপর ১৯৭১ সালে সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পেয়ে দ্বিতীয় বারের মত প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি। একটানা ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এই নেত্রী। এরপর ১৯৮০ সালে চতুর্থবারের মত নির্বাচনে জয়লাভ করে প্রধাননমন্ত্রী নির্বাচিত হন ইন্দিরা গান্ধী।
অ্যাঞ্জেলা মেরকেল, জার্মানি
জনগণের ভোটে জিতে টানা চতুর্থ মেয়াদে জার্মানির নেতৃত্ব দিচ্ছেন অ্যাঞ্জেলা মেরকেল। শুধু নিজ দেশই নয়; ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জি-সেভেন এর মতো আন্তর্জাতিক জোটগুলোতেও অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন তিনি। জার্মানির ইতিহাসের প্রথম নারী চ্যান্সেলর হিসেবে ২০০৫ সালে দায়িত্ব নেন মেরকেল। এরপর থেকে শুধু তাঁর উত্থানই দেখেছে বিশ্ব। শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার কারণে নিজ দেশে তাঁর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়লেও বহির্বিশ্বে এখনো সমান জনপ্রিয় তিনি। ‘দ্য ডিসাইডার’ নামে পরিচিত এই নেত্রী ২০২১ সালে অবসর গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।
হুগো শাভেজ, ভেনেজুয়েলা
২০১৩ সালে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত টানা ১৪ বছর ভেনেজুয়েলার নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন হুগো শাভেজ। তাকে টানা চারবার রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত করেছিলেন ভেনেজুয়েলার সাধারণ মানুষ। ১৯৯৮ সালে প্রথম রাষ্ট্র প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর শাভেজ তাঁর দেশের তীব্র খাদ্য সংকট দূর করেছিলেন। সেন্টার ফর ইকোনমিক অ্যান্ড পলিসি রিসার্চের ২০০৯ সালের এক রিপোর্টে দেখা যায়, শাভেজের এক দশকের শাসনামলে দেশের দরিদ্রতা ও অপুষ্টিজনিত মৃত্যু হ্রাস পেয়েছিল ৫০ শতাংশ। আর শিশু মৃত্যু কমেছিল এক তৃতীয়াংশ। দেশের শিক্ষার হার ৯৯ শতাংশে উন্নীত করতে পেরেছিলেন তিনি। ভেনেজুয়েলার একটি শিশুও যেন অপুষ্টিতে না ভোগে, এটাই ছিল তাঁর অঙ্গীকার।
জ্যোতি বসু, ভারত (পশ্চিমবঙ্গ)
দমন-পীড়ন বা কোনো ছল-চাতুরির আশ্রয় না নিয়ে গণতান্ত্রিকভাবেই টানা ২৪ বছর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় ছিলেন কমরেড জ্যোতি বসু। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য থাকাকালে ২৫০ টাকা মাসিক বেতনের বড় একটা অংশ তিনি পার্টির ফান্ডে দান করতেন। বিরোধী দলীয় নেতা হওয়ার পর তাঁর বেতন কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৫০ টাকা। সেসময়ও নিজে বেতন না নিয়ে সেটা পার্টির কাজেই ব্যয় করতেন। সততা এবং আদর্শনিষ্ঠতা নিয়ে তাঁর ঘোরতর বিরোধীরাও কখনো প্রশ্ন তুলতে পারেনি। তাঁর নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপে গরীব জনগণও ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছিল। জ্যোতি বসুর সময়ে পশ্চিমবঙ্গে ভারতের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় জাতপাত ও সাম্প্রদায়িকতার বিষয়গুলোও খুবই কম ছিল বলে জানা যায়। ১৯৭৭ সালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। দুই যুগ নেতৃত্ব দেওয়ার পর ২০০০ সালে শারীরিক অসস্থতার কারণে অবসরে যান জনগণের এই নেতা।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/এমআর
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ভয়াবহ তাপপ্রবাহ। গত কয়েকদিন ধরে অসহনীয় তাপমাত্রা সহ্য করতে পারছেন না মানুষ। ফলে হিটস্ট্রোকসহ অন্যান্য স্বাস্থগত ঝুঁকিতে পড়ছেন মানুষ। শুধু বাংলাদেশ নয়, তালিকায় আগে ভারত, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডেও।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, এসব দেশে এপ্রিল মাসে সবচেয়ে বেশি তাপ পরিলক্ষিত হয়েছে। কিন্তু আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা ‘এল নিনোর’ কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এল নিনো এই অঞ্চলে উষ্ণ পানি ও শুষ্ক অবস্থা নিয়ে আসে। বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এটির প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে।
এখন প্রশ্ন হলো- এল নিনো কী? ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের তথ্য অনুযায়ী, এল নিনো হলো একটি জলবায়ু প্যাটার্ন। এটির মাধ্যমে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের পানি উষ্ণ হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, সমুদ্রের তাপমাত্রা, গতি, মহাসাগরীয় স্রোত, উপকূলীয় মৎস্যসম্পদের স্বাস্থ্য এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে দক্ষিণ আমেরিকার এবং এরও বাইরের অঞ্চলের ওপর প্রভাব পড়ে। এল নিনো দুই থেকে সাত বছরের বিরতি দিয়ে অনিয়মিতভাবে হয়ে থাকে। এটি কোনো নিয়মিত চক্র নয় অথবা এ নিয়ে আগে থেকে কোনো ধারণা পাওয়া যায় না।
পেরুর উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেরা এল নিনো সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন সমুদ্রের পানির অস্বাভাবিক উষ্ণতা দেখে। আবহাওয়ার এই বিশেষ অবস্থাকে স্প্যানের অভিবাসীরা এল নিনো নামে ডাকতেন। যার বাংলা অর্থ ‘ছোট বালক’। পরবর্তীতে এল নিনোর মাধ্যমে জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তনের বিষয়টি বোঝানো শুরু হয়। এল নিনোর কারণে প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বাঞ্চলীয় দেশ পেরু, ইকুয়েডর ও চিলির উপকূলে উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে এক প্রকার উষ্ণ সমুদ্র স্রোতের প্রবাহ লক্ষ করা যায়।
এই উষ্ণ স্রোতের কারণে দক্ষিণ থেকে উত্তরমুখী শীতল সামুদ্রিক স্রোতের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়, ফলে প্রশান্ত মহাসাগরের বিভিন্ন অঞ্চলের সমুদ্রে বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়, উদ্ভিদ প্ল্যাংকটনের পরিমাণ হ্রাস পায় এবং মাছের উৎপাদন কমে যায় এবং স্থলভাগের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। এল নিনোর প্রভাবে প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলবর্তী বিস্তীর্ণ অঞ্চলে খরা বা অনাবৃষ্টি দেখা দেয়। কোনো কোনো অঞ্চলে অতিবর্ষণও ঘটে থাকে। সাধারণত ২ থেকে ৪ বছর স্থায়ী হয় এল নিনো।
এদিকে রাজধানী ঢাকাসহ বাংলাদেশে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে আরও ৭২ ঘণ্টা এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ ২৮ এপ্রিল থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিও বৃদ্ধি পেতে পারে।
গত বছরের এপ্রিল মাসে জলবায়ুবিদরা এল নিনোর ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, ২০২৩ সালে এটির প্রভাবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। যদি ২০২৩ সালে প্রভাব না পড়ে তাহলে ২০২৪ সালে এটি বেশ ভালোভাবে পরিলক্ষিত হবে।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদে ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে আমেরিকার ৪০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। কয়েকশ’ বিক্ষোভকারীকে আটক করে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না স্থানীয় প্রশাসন। মূলত নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
এবার কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ। মার্কিন ক্যাম্পাসের আন্দোলনের মিল রেখে ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও তাঁবু টানিয়ে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আন্দোলনে বসেছেন শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা ম্যাকগিল এবং কনকর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে ইহুদিবাদী রাষ্ট্র এবং ইহুদিবাদী একাডেমিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে তহবিল প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষ বলছে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতর এভাবে তাঁবু টানানো অনুমোদিত নয়। এই ধরনের কার্যকলাপ যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো মুখোমুখি পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ফিলিস্তিনি যুব আন্দোলন মন্ট্রিয়েল শাখা অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান (তাঁবুতে) কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। গ্রুপটি বলছে, তারা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে গণহত্যায় অংশীদার হতে দিতে চায় না। ফিলিস্তিনপন্থী একাধিক গ্রুপ এই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে আসছে।
ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা শিক্ষার্থীদের অন্দোলন সম্পর্কে অবগত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন যে পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে অনুমোদন করে সেই সীমা পর্যন্ত তাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে তারা সম্মান করবে।
কানাডা বিশ্ববিদ্যালয় ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ
মন্তব্য করুন
রাশিয়ার অব্যাহত হামলায় রণক্ষেত্র থেকে ইউক্রেনের সেনারা পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল ওলেক্সান্দার সাইরস্কি। রোববার (২৮ এপ্রিল) তিনি এ কথা বলেন। খবর বিবিসি
টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে ইউক্রেনের সেনাপ্রধান বলেন, রাশিয়ার ক্রমাগত হামলায় রণক্ষেত্রে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। ফলে সেনারা পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে। রাশিয়ার হামলার মুখে সাম্প্রতিক সময়ে পূর্ব
ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলে বেশ কিছু অবস্থান থেকে সৈন্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ত্র সংকটে ভুগতে থাকা ইউক্রেন যুদ্ধ ক্ষেত্রে আরও দুর্বল হচ্ছে। ফলে এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে রাশিয়া।
ইউক্রেনের সেনাপ্রধান জেনারেল সাইরস্কি আরও বলেছেন, যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। দোনেৎস্কের কিছু অবস্থান থেকে পিছু হটে প্রতিরক্ষাব্যুহ তৈরি করছেন ইউক্রেনের সেনারা।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে মতপার্থ্যক্যের জেরে গত ফেব্রুয়ারিতে পদত্যাগ করেন দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ভ্যালেরি জালুঝনি। এরপরই তার স্থলাভিষিক্ত হন জেনারেল ওলেক্সান্দার সাইরস্কি।
এদিকে কিয়েভকে নতুন করে অস্ত্র দেওয়া সংক্রান্ত ৬১ বিলিয়ন ডলারের একটি বিল কয়েক মাস আটকে থাকার পর গত সপ্তাহে তাতে অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। যত দ্রুত সম্ভব কিয়েভে নতুন করে অস্ত্র পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ওয়াশিংটন। এতে করে জরুরি হয়ে পড়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাবে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বৈদ্যুতিক গাড়ির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক ইলন মাস্ক ভারতে তার নির্ধারিত সফর স্থগিত করেন এবং এই সফর স্থগিতের কয়েকদিন পরই হঠাৎ করে চীন সফরে গেছেন তিনি।
রোববার(২৮ এপ্রিল) টেসলার একটি ব্যক্তিগত বিমানে করে অনেকটা আকস্মিকভাবেই রোববার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছেছেন তিনি। টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার চীন সফরের বিষয়ে অবগত দুই ব্যক্তি ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
২১ এপ্রিল ভারত সফরে যাবার কথা ছিল ইলন মাস্কের। সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে তার বৈঠক ও ভারতে টেসলার বিনিয়োগ নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করার কথা ছিল।
কিন্তু নির্ধারিত সময়ের একদিন আগে এক্সে দেওয়া বার্তায় টেসলার এই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, 'দুর্ভাগ্যবশত টেসলায় ব্যাপক কাজ জমে যাওয়ায় ভারত সফর পিছিয়ে দিতে হচ্ছে। তবে আমি চলতি বছরের শেষের দিকে ভারতে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত মুখিয়ে আছি।'
টেসলার সিইওর ভারত সফর স্থগিতের এক সপ্তাহ পর চীন সফরের তথ্য এলো। চীনে সফটওয়্যারের মাধ্যমে টেসলার স্বচালিত (এফএসডি) বৈদ্যুতিক গাড়ির যাত্রা শুরুর বিষয়ে আলোচনার জন্য বেইজিংয়ে চীনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করছেন। স্বচালিত ড্রাইভিং প্রযুক্তির উন্নতির জন্য অ্যালগরিদম প্রশিক্ষণে চীনে সংগৃহীত ডাটা বিদেশে স্থানান্তর করার অনুমতির বিষয়েও চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় মাস্ক বলেছেন, চীনে শিগগিরই ব্যবহারকারীদের জন্য এফএসডির সরবরাহ শুরু করবে টেসলা। রয়টার্স বলছে, ২০২১ সাল থেকে চীনা নিয়ন্ত্রকদের শর্ত অনুযায়ী সাংহাইতে টেসলার চীনা বহরের সংগৃহীত সব ডাটা সংরক্ষণ করেছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তা স্থানান্তর করেনি।
মন্তব্য করুন
বৈদ্যুতিক গাড়ির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক ইলন মাস্ক ভারতে তার নির্ধারিত সফর স্থগিত করেন এবং এই সফর স্থগিতের কয়েকদিন পরই হঠাৎ করে চীন সফরে গেছেন তিনি। রোববার(২৮ এপ্রিল) টেসলার একটি ব্যক্তিগত বিমানে করে অনেকটা আকস্মিকভাবেই রোববার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছেছেন তিনি। টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার চীন সফরের বিষয়ে অবগত দুই ব্যক্তি ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন।