নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০২ পিএম, ১২ জানুয়ারী, ২০১৯
কোনো ধরনের জটিলতা ছাড়াই জন্মেছিল এঞ্জেলা। কিন্তু পৃথিবীতে আসার কিছুদিনের মধ্যেই দেখা গেল তার শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হচ্ছে। বিচলিত হয়ে পড়লেন ওর মা-বাবা। ছোট্ট এঞ্জেলাকে হাসপাতালে নেওয়া হলো। দীর্ঘ একমাস ইমার্জেন্সি রুমে চিকিৎসা নেওয়ার পর জানা গেল, সে বিরল ধরনের জিনগত অসুখে ভুগছে। যেটা তার মাইটোকন্ড্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। পৃথিবীর প্রতি চার হাজার মানুষের মধ্যে মাত্র একজন এই রোগে আক্রান্ত হয়। আর যুক্তরাষ্ট্রে এই হার ২০ হাজারে একজন। মানুষের শরীরের কোষের ব্যাটারি হিসেবে কাজ করে এই মাইটোকন্ড্রিয়া। এঞ্জেলার মা-বাবা আর চিকিৎসকদের অনেক চেষ্টার পরেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। পৃথিবীতে আসার মাত্র তিন মাসের মধ্যেই বিদায় নেয় সে। ছোট্ট শিশুটির মৃত্যুটা মেনে নেওয়া ওর মা বাবার জন্য ছিল খুবই কষ্টসাধ্য। কিন্তু বাস্তবকে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন তারা।
এঞ্জেলার মা বাবা আবারও সন্তান চাইছিলেন। কিন্তু চিকিৎসকরা জানালেন, যে মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিজঅর্ডারে ভুগে এঞ্জেলার মৃত্যু হয়েছিল সেটা মূলত মায়ের কাছ থেকেই সে পেয়েছিল। এঞ্জেলার মায়ের আবারও সন্তান হলে তার পরিণতিও এঞ্জেলার মতোই হতে পারে। তাই তাদের নিজেদের জৈব শিশু আশা না করাই শ্রেয়। এঞ্জেলার মা ক্রিস্টিনাকে চিকিৎসকরা ডোনার খোঁজার পরামর্শ দিলেন, যার থেকে ডিম্বানু নেওয়া যাবে। কিন্তু পৃথিবীর অধিকাংশ মায়ের মতোই ক্রিস্টিনা কোনো ডোনারের থেকে নয় বরং নিজের সুস্থ স্বাভাবিক একটি সন্তান চাচ্ছিলেন। শুধু ক্রিস্টিনাই নন, পৃথিবীর নানা প্রান্তে বহু দম্পতি এমন সমস্যার সম্মুখীন হন। চিকিৎসা বিজ্ঞান এর একটি সমাধানও আবিষ্কার করেছে। তা হলো, এমআরটি বা মাইটোকন্ড্রিয়াল রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি। বিশ্বের হাজার হাজার নিঃসন্তান দম্পতির মুখে হাসি ফোটাতে পারে এই পদ্ধতি। কিন্তু সমস্যাটা হলো, শুধুমাত্র যুক্তরাজ্য ছাড়া বিশ্বের আর কোন দেশই এমআরটিকে বৈধতা দেয়নি। সারা বিশ্বেই এমআরটির ব্যাপক সমালোচনাও রয়েছে। প্রশ্ন হলো, যে পদ্ধতিটি হাজার হাজার মানুষের জীবনে স্বস্তি এনে দিতে পারে, সেই এমআরটি নিয়ে কেন এতো সমালোচনা?
এমআরটি হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে জিনগত পরিবর্তন আনা হয়। কোন নারীর ডিম্বানুতে লক্ষ লক্ষ মাইটোকন্ড্রিয়া থাকে। এমআরটির মাধ্যমে এই মাইটোকন্ড্রিয়াই পরিবর্তন করা হয়। যে পরিবর্তিত মাইটোকন্ড্রিয়ার কারণে সুস্থ সন্তান পাওয়া অসম্ভব হয়ে যায়, এই পদ্ধতিতে মাইটোকন্ড্রিয়ার মধ্যে ডিএনএ প্রতিস্থাপন করে সুস্থ সন্তান পাওয়া সম্ভব হয়। বর্তমানে ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশনের (আইভিএফ) মাধ্যমে অনূর্বর ভ্রূণ থেকে সুস্থ সন্তান পাওয়া সম্ভব। কিন্তু যদি মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিজিস থাকে তাহলে আইভিএফ কোন উপকার করতে পারে না। তাই উক্ত পরিবর্তিত মাইটোকন্ড্রিয়ায় সুস্থ ও কাঙ্ক্ষিত ডিএনএ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে সু্স্থ সন্তান পাওয়া সম্ভব। এই থেরাপির মাধ্যমে ডিম্বানুর সক্ষমতা ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। যদি কোন দম্পতি মনে করেন তারা অ্যাথলেটিক ধাঁচের সন্তান নেবেন এমআরটির মাধ্যমে সেটা সম্ভব। পিতা-মাতার বৈশিষ্ট্যের বাইরে সম্পূর্ণ নতুন বৈশিষ্ট্যের শিশু পাওয়া সম্ভব এই এমআরটির মাধ্যমে।
মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিজিসে আক্রান্ত মায়ের সন্তান লাভের একমাত্র পদ্ধতি হতে পারে এই এমআরটি। কিন্তু অদ্ভুতভাবে অজানা এক কারণে বিশ্বের অধিকাংশ দেশই এই পদ্ধতিকে স্বীকৃতি দিতে নারাজ। বিশ্বের প্রথম ও একমাত্র দেশ হিসেবে ২০১৫ সালে এমআরটিকে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পুরোপুরি এর বিপক্ষে থাকলেও এটি নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির নীতিনির্ধারনী পর্যায়ে এটি নিয়ে বিতর্ক চলছে। কিন্তু কেন স্বীকৃতি দেওয়া হবে না মানবজাতিকে মাইটোকন্ড্রিয়াল মিউটেশনের মতো ভয়ঙ্কর একটি রোগ থেকে মুক্তি দিয়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক সন্তান পেতে সাহায্য করা যুগান্তকারী এই পদ্ধতিকে? এই প্রক্রিয়ায় কোনো শিশু জন্মানোর আগেই সে কেমন হবে সেটা ঠিক করে দেওয়া সম্ভব। এ কারণেই হয়তো অনেকে একে সৃষ্টিকর্তার ওপর খবরদারি বলে মনে করছেন!
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
সৌদি আরবের দাহরানের কিং ফাহাদ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবল বৃষ্টিতে একটি মসজিদের ছাদ ভেঙে পড়েছে। সৌদির বিভিন্ন অঞ্চলে গত দুইদিন ধরে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
বুধবার (১ মে) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। তবে মসজিদের ছাদ ভেঙে কেউ আহত হননি। কারণ ওই সময় সেখানে কেউ ছিলেন না।
নেটিজেনরা জানিয়েছেন, মসজিদটির বাইরের অংশের ছাদটি ধসে পড়েছে। মসজিদ সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে মূল ভবনের বাইরে স্টিলের এই ছাদটি স্থাপন করা হয়েছিল।
স্টিলের ছাদটির ওপর এতই পানি জমা হয়েছিল যে এটি আর ভার বহন করতে পারেনি। এরপর একটি পর্যায়ে এটি ভেতরের দিকে ধসে পড়ে। তখন মসজিদের ভেতর বৃষ্টির পানি প্রবেশ করে এবং মসজিদে যেসব কার্পেট ছিল সেগুলো পানিতে ভিজে যায়।
কেউ একজন মসজিদের মূল ভবনের ভেতর থেকে ছাদ ভেঙে পড়ার মুহূর্তটি নিজের মোবাইল ফোনে ধারণ করেন।
বৃষ্টিপাতের কারণে দেশটিতে সাধারণ মানুষকে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরাসরি ক্যাম্পাসে আসার বদলে অনলাইনে পাঠদান কর্মসূচি চলছে।
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলেসে (ইউসিএলএ) ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে মার্কিন পুলিশ। ইতিমধ্যে তারা সেখানে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছেন এবং অনেকককে গ্রেপ্তার করেছেন। এমনকি বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ করে তাঁবু সরাতে রাবার বুলেট পর্যন্ত ব্যবহার করেছে মার্কিন পুলিশ।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার(২ মে) ভোরে ইউসিএলএ ক্যাম্পাসের বাইরে রাখা ব্যারিকেড সরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে পুলিশ। ভেতরে প্রবেশ করে সেখানে আগে থেকে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের তাঁবু ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ। নির্দেশনা না মানলে গ্রেপ্তার, এমনকি আহত হতে পারেন বলেও জানায় তারা। তবে পুলিশের সতর্কবার্তা আমলে না নিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। তাই অনেক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছোড়া হয়েছে রাবার বুলেট। সিএনএন এর প্রতিবেদন
বিবিসি জানিয়েছে, মূল আন্দোলনস্থল ডিকসন কোর্টে প্রবেশ করেছে পুলিশ। পুলিশ দেখে অনেক শিক্ষার্থী বিক্ষোভস্থল ত্যাগ করলেও এখানো সেখানে অনেকে অবস্থান করছেন। তবে তাদের ঘিরে রেখেছে পুলিশ সদস্যরা।
পুলিশ এখন তাঁবু সরিয়ে দিচ্ছে। ডিকসন কোর্টে এখন অনেকটা পুলিশে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাসের অন্য কোথাও তাঁবু স্থাপন করেছে কিনা তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে এই ক্যাম্পাসে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিপন্থী শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তবে এই সময় পুলিশ দেরিতে সাড়া দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ জন্য পুলিশের সমালোচনাও করেছে অঙ্গরাজ্যের গভর্নরের কার্যালয়।
যুক্তরাষ্ট্র ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া পুলিশ ইউসিএলএ লস অ্যাঞ্জেলেস
মন্তব্য করুন
মৌসুমী বৃষ্টির কারণে কেনিয়াসহ পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোতে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকায় বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট, সেতু ও অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে অনেক।
কেনিয়া জানিয়েছে, দেশটিতে বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বিপর্যয়ে এখন পর্যন্ত ১৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এই বিপর্যয়ে কেনিয়ায় ১২৫ জন আহত হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৯০ জন। দের লাখের ও বেশি মানুষের স্থানীয় বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
বুধবার কেনিয়ার বিখ্যাত পর্যন্ত এলাকা মাসাই মারা বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ অঞ্চলের একটি নদী হঠাৎ করে প্লাবিত হলো পর্যটকসহ ১০০ জন হড়কা বানে ভেসে যায়। সেখান থেকে ৯০ জনকে সফলভাবে উদ্ধার করার কথা জানায় কেনিয়া কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন
গাজার ঘটনার প্রতিবাদ ঠেকাতে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিলটন হলে অভিযান চালিয়ে একশোর বেশি আটকের ঘটনায় পুরো ক্যাম্পাসই এখন বিপর্যস্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়টির সব প্রবেশ পথেই এখন পুলিশ ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মীদের ভিড়, রাস্তায় ব্যারিকেড। জিনিসপত্র নিয়ে শিক্ষার্থীরা বাড়ির উদ্দেশে ক্যাম্পাস ছাড়ছে। ক্লাস বাতিল হয়েছে আর পরীক্ষা কবে হবে ঠিক নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এরপর কী হতে যাচ্ছে তা নিয়েই সর্বত্র এক থমথমে ভাব আর অনিশ্চয়তা।
পুলিশি অভিযানের পর এক বার্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট নেমাত শফিক বলছেন, তাকে গভীর দু:খ নিয়েই শিক্ষার্থী ও অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানের নির্দেশ পুলিশকে দিতে হয়েছে এবং এ ক্ষত শুকাতে সময় লাগবে।
অন্যদিকে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংসতার ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর। সেখানে ক্যাম্পাসে পুলিশকে ডাকার আগেই মুখোশ পরিহিত ইসরায়েলপন্থি একটি গ্রুপ ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের তাবুতে হামলা চালায়।
গভর্নরের মুখপাত্র বলেছেন, এ ঘটনায় 'সীমিত ও বিলম্বিত' পুলিশি হস্তক্ষেপ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। বুধবার ওই ক্যাম্পাসে শত শত পুলিশ কর্মকর্তা অবস্থান নিয়েছিল।
তবে অনেকেই অভিযোগ করেছেন, মঙ্গলবার মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের তাঁবুকে ঘিরে সংঘর্ষের সময় পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়নি। যদিও কর্মকর্তারা বলেছেন সহিংসতার সূচনার পর দ্রুত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।
মূলত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যক্তি ও কোম্পানিকে বয়কটের দাবিতে গত কিছুদিন ধরেই প্রচণ্ড ছাত্র বিক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। মঙ্গলবার রাতে কয়েকটি জায়গায় তা সংঘর্ষের রূপ নেয়।
এর আগে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হার্ভার্ড থেকে ইয়েলসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ফিলিস্তিনের পক্ষে ও ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত কোম্পানি ও ব্যক্তিদের বয়কট করার আহ্বান জানাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা।
সর্বশেষ পহেলা মে রাতে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের দখল করে রাখা অ্যাকাডেমিক ভবন দখলমুক্ত করতে অভিযান চালায় নিউইয়র্ক পুলিশ। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে নয়টায় অভিযান শুরু করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে তারা হ্যামিলটন হল নামে ওই ভবনে প্রবেশ করেছে। সেখানে অবস্থান নেওয়া বিক্ষোভকারীদের সবাইকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
মন্তব্য করুন
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতে ১৩টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া মাঝপথ থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে আরও কয়েকটি বিমান।
বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে ১৩টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং পাঁচটি বিমানকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র।
তিনি বলেছেন, 'দুবাই বিমানবন্দর নিশ্চিত করেছে খারাপ আবহাওয়ার কারণে রাতের বেলা পাঁচটি বিমানকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং নয়টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।'
এছাড়া বিমানবন্দরে আসার ক্ষেত্রে সময় নিয়ে বের হওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। কারণ বৃষ্টির কারণে রাস্তায় দীর্ঘ জ্যামের সৃষ্টি হতে পারে।
আরব আমিরাতে সাধারণত এত বৃষ্টিপাত দেখা যায় না। তবে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে দেশটিতে একদিনে এক বছরের সমান বৃষ্টিপাত হয়। এতে বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির পানি জমে যায়। পানির পরিমাণ এতই বেশি ছিল যে রাস্তায় থাকা গাড়িগুলো ভেসে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে যায়।
সংযুক্ত আরব আমিরাত বৃষ্টিপাত ফ্লাইট
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলেসে (ইউসিএলএ) ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে মার্কিন পুলিশ। ইতিমধ্যে তারা সেখানে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছেন এবং অনেকককে গ্রেপ্তার করেছেন। এমনকি বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ করে তাঁবু সরাতে রাবার বুলেট পর্যন্ত ব্যবহার করেছে মার্কিন পুলিশ।
মৌসুমী বৃষ্টির কারণে কেনিয়াসহ পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোতে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকায় বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট, সেতু ও অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে অনেক। কেনিয়া জানিয়েছে, দেশটিতে বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বিপর্যয়ে এখন পর্যন্ত ১৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই বিপর্যয়ে কেনিয়ায় ১২৫ জন আহত হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৯০ জন। দের লাখের ও বেশি মানুষের স্থানীয় বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
গাজার ঘটনার প্রতিবাদ ঠেকাতে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিলটন হলে অভিযান চালিয়ে একশোর বেশি আটকের ঘটনায় পুরো ক্যাম্পাসই এখন বিপর্যস্ত। বিশ্ববিদ্যালয়টির সব প্রবেশ পথেই এখন পুলিশ ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মীদের ভিড়, রাস্তায় ব্যারিকেড। জিনিসপত্র নিয়ে শিক্ষার্থীরা বাড়ির উদ্দেশে ক্যাম্পাস ছাড়ছে। ক্লাস বাতিল হয়েছে আর পরীক্ষা কবে হবে ঠিক নেই।