ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের রাজনীতির দাপুটে নারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:১৬ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০১৯


Thumbnail

ভারতের রাজনীতিতে বহু বছর ধরেই নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছেন। ইন্দিরা গান্ধি তো শুধু ভারতেরই নয়, গোটা উপমাহাদেশের রাজনীতিতেই ছড়ি ঘুরিয়েছেন। আর বর্তমানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মায়াবতী, সুষমা স্বরাজরা দেশটির রাজনীতির ময়দান দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। অনেকেই এমন প্রশ্ন করছেন যে, নারীদের হাতেই কি যাচ্ছে ভারতের নেতৃত্ব? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া অবশ্য সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু বর্তমানে নারী নেত্রীদের নামের বহর এবং তাদের রাজনৈতিক তৎপরতা দেখলে এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে, ভারতের রাজনীতির নাটাই এখন নাড়ছেন মূলত নারীরাই। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের একচ্ছত্র অধিপতি হয়ে বসে আছেন। এবারের নির্বাচনের প্রথম ধাপেও এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, এ রাজ্যে দিদিকে হটাতে পারছে না বিজেপি। শুধু এই রাজ্যই নয় গোটা ভারতে বিজেপি বিরোধী যে মঞ্চ গড়ে উঠেছে তার মূল উদ্যোক্তা ছিলেন এই মমতাই।

মায়াবতী

ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তর প্রদেশেও রয়েছে নারীর দাপট। বর্তমানে সেখানে বিজেপি ক্ষমতায় থাকলেও মায়াবতী রাজ্যটিতে সবসময়ই শক্তিশালী। এবারের নির্বাচনে তিনি সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলেও রাজ্যের রাজনীতির সুক্ষ্ম চালগুলো তিনি নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। ভোটের আগে তিনি প্রধান প্রতিপক্ষ সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট বেঁধেছেন। উত্তর প্রদেশে এবার বিজেপিকে রুখে দিতে এটা একটা বড় সিদ্ধান্ত হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

প্রিয়াঙ্কা গান্ধি

ভারতের নির্বাচনের মাস দুয়েক আগে রাজনীতির সবচেয়ে বড় চমক হয়ে এসেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। তার ভাই রাহুল গান্ধির মধ্যে রাজনৈতিক তেজের ছিটেফোঁটাও নেই বলে অভিযোগ করছিলেন অনেকে। প্রিয়াঙ্কা এসে এখন কংগ্রেসকে নতুন করে উজ্জীবিত করছেন। এবারের নির্বাচনে দলটি নাটকীয় কোনো ফল প্রত্যাশা না করলেও ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রিয়াঙ্কার নেতৃত্বেই বিশাল জয়ের আশা করছে তারা।

সুষমা স্বরাজ

ভারতের রাজনীতির বিজেপির নারী কাণ্ডারি হিসেবে অনেকেই সুষমা স্বরাজের নাম নিয়ে থাকেন। ভারতের যে মন্ত্রণালয়টিকে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং হিসেবে ভাবা হয়, সেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন তিনি। ইন্দিরা গান্ধির পর দ্বিতীয় নারী হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে বসেন তিনি। বিজেপির যে কয়জন কেন্দ্রীয় নেতা সারাদেশেই তুমুল জনপ্রিয় এবং দলের পক্ষে ভোট টানতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন সুষমা তাদের মধ্যে একজন।

সোনিয়া গান্ধি

সোনিয়া গান্ধি এমন একজন নারী, যিনি প্রধানমন্ত্রীত্ব পেয়েও গ্রহণ করেননি। ২০০৪ সালের নির্বাচনে তার নেতৃত্বেই কংগ্রেস জয় পেয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। তিনি চাইলেই প্রধানমন্ত্রীত্ব গ্রহণ করতে পারতেন। কিন্তু বিতর্ক এড়াতে তিনি প্রধানমন্ত্রীত্বের মতো লোভনীয় পদ গ্রহণ করা থেকে বিরত থেকেছিলেন। বর্তমানে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

স্মৃতি ইরানি

তারকা থেকে যারা পুরোদস্তুর রাজনীতিক হয়ে গেছেন তাদের মধ্যে অনেকটাই এগিয়ে স্মৃতি ইরানি। উত্তর প্রদেশের আমেথি থেকে বিজেপির হয়ে প্রার্থীতা করছেন তিনি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস সভিপতি রাহুল গান্ধি। টিভির পর্দার সাদামাটা গৃহিণী স্মৃতি রাজনীতির ময়দানে যেন মুর্তিমান আতঙ্ক। প্রায়ই চাঁছাছোলা ভাষায় রাহুলকে আক্রমণ করতে দেখা যায় তাকে। গতবারের নির্বাচনে রাহুলের কাছে ১ লাখেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে হেরে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পুরো ভারতজুড়েই তার জনপ্রিয়তা ব্যাপক। বিজেপির পক্ষে ভোট টানতেও তিনি এক নির্ভরতার নাম। বর্তমানে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী হিসেবে কাজ করছেন তিনি।

বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া

ভারতীয় রাজনীতির আরেক জাদরেল নারী নেত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া। প্রথম নারী হিসেবে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। বিজেপির এই নেত্রী দলীয় নানা ইস্যুতে খোদ নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহদের সংগেও টক্কর দিয়েছেন। অটল বিহারি বাজপেয়ী ও লাল কৃষ্ণ আদভানিদের আমলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন বসুন্ধরা।

নির্মলা সীতারমন

নির্মলা সীতারমন বর্তমানে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। ইন্দিরা গান্ধির পর প্রথম নারী হিসেবে এই পদে আসীন হন তিনি। ক্লিন ইমেজের কারণে গোটা দেশজুড়েই তার জনপ্রিয়তা আছে।

শীলা দিক্ষিত

ভারতের আরেক দাপুটে নারী নেত্রী শীলা দিক্ষিত। দীর্ঘ ১৫ বছর দিল্লির মূখ্যমন্ত্রীর পদে ছিলেন তিনি। ২০১৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কাছে তিনি পরাজিত হলেও এখনো দিল্লীতে তার প্রভাব রয়েছে।

মানেকা গান্ধি

ইন্দিরা গান্ধির পুত্রবধূ হয়েও কংগ্রেসের প্রধান শত্রু বিজেপির রাজনীতির সংগে যুক্ত মানেকা গান্ধি। ১৯৯৮ সালে প্রথম নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয় পেয়েছিলেন। এরপরের নির্বাচনগুলোতে এই গান্ধিবধূ বিজেপির প্রার্থী হয়েই লড়েছেন। বর্তমানে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভাতেও আছেন মানেকা। কিছুদিন আগে মুসলিমবিদ্বেষী মন্তব্য করে তোপের মুখে পড়েছেন তিনি। কিন্তু তবুও এবারের নির্বাচনে তার জয় অনেকটা নিশ্চিতই বলা চলে।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি

 



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইমরান খানের স্ত্রীকে কারাগারে স্থানান্তরের নির্দেশ

প্রকাশ: ০৪:২৫ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিকে গৃহবন্দী অবস্থা থেকে কারাগারে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির আদালত। বুশরা বিবির পক্ষ থেকে করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রীয় উপহারসামগ্রী অবৈধভাবে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে গত জানুয়ারিতে ইমরান-বুশরা দম্পতির ১৪ বছর করে কারাদণ্ড হয়। ইমরান কারাগারে থাকলেও বুশরাকে ইসলামাবাদের বাড়িতে গৃহবন্দী রাখা হয়েছিল। নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কথা বলে তাকে বাড়িতেই বন্দী রাখার আদেশ দিয়েছিল দেশটির সরকার।

গৃহবন্দী রাখার এ আদেশকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন বুশরা বিবি। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তার আইনজীবী নাঈম পানজুথা এ কথা বলেছেন।

বুশরা বিবির আইনজীবীরা তাকে কারাগারে স্থানান্তরের জন্য ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। আজ আদালত সে আবেদন মঞ্জুর করেন।

ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এক বিবৃতিতে বলা হয়, বুশরা বিবিকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তর করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ওই কারাগারেই আছেন ৭০ বছর বয়সী ইমরান খান।

ইমরানের ইসলামাবাদের বাড়িটিকে সাব কারাগার ঘোষণা করা হয়েছিল। ইমরানের দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, গৃহবন্দী অবস্থায় কর্তৃপক্ষ তাকে বিষ মেশানো খাবার দিচ্ছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন বুশরা। তবে কর্তৃপক্ষ সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে।


ইমরান খান   কারাগার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সিঙ্গাপুরে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

প্রকাশ: ০৪:০৭ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিঙ্গাপুরের পশ্চিমাঞ্চলীয় সামরিক বিমানঘাঁটিতে দেশটির সেনাবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। অত্যাধুনিক এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের এই ঘটনায় কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।  

বুধবার (০৮ মে) সিঙ্গাপুরের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

ভারতীয় গণমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এক বিবৃতিতে জানায়, সিঙ্গাপুরের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তেনগাহ বিমানঘাঁটি থেকে যুদ্ধবিমানটি উড্ডয়নের পরপরই সেটি বিধ্বস্ত হয়। তবে বিমানের পাইলট সফলভাবে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। বিমানের পাইলটের সুস্থ আছেন এবং তিনি হাঁটতে পারছেন। বর্তমানে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এই দুর্ঘটনায় অন্য কোনও কর্মকর্তা আহত হননি।

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে গণমাধ্যমটি বলছে, উড্ডয়নের সময় বিমানটি সমস্যার সম্মুখীন হয়, তখন পাইলট জরুরি প্রক্রিয়া মেনে পদক্ষেপ নেন। যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের এই ঘটনায় প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় অত্যাধুনিক বিমানবাহিনী রয়েছে সিঙ্গাপুরের। নগর রাষ্ট্রটিতে এই ধরনের দুর্ঘটনা প্রায় বিরল। এর আগে, ২০১০ সালে ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয়ায় দেশটির সামরিক বাহিনীর একটি উড়োজাহাজ উন্মুক্ত মাঠে জরুরি অবতরণ করে।


সিঙ্গাপুর   যুদ্ধবিমান   বিধ্বস্ত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গণহারে অসুস্থতার ছুটি ক্রুদের, ৭৯ ফ্লাইট বাতিল

প্রকাশ: ০৩:৪৯ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক অন্তত ৭৯টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। কারণ ক্রুরা হঠাৎ গণহারে অসুস্থতার ছুটি নিয়েছেন।

জানা গেছে, প্রায় ৩০০ সিনিয়র কেবিন ক্রু শেষ মুহূর্তে অসুস্থতার কথা জানিয়ে ফোন বন্ধ করে রেখেছেন।

সূত্র জানিয়েছে, টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন এয়ারলাইনটির চাকরির নতুন নিয়ম নিয়ে ক্ষুব্ধ ক্রুরা এবং এর প্রতিবাদ করছে তারা। তবে এয়ারলাইনটির কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে।

এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বেশ কিছু কেবিন ক্রু শেষ মুহূর্তে অসুস্থতার কথা জানায়। এতে ফ্লাইট বাতিল ও বিলম্বের ঘটনা ঘটছে। আমরা ক্রুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রকৃত কারণ জানার চেষ্টা করছি।

মুখপাত্র বলেন, এমন ঘটনার জন্য আমরা যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। কারণ এটা আমাদের সার্ভিসের প্রতিফলন নয়।

এয়ারলাইনটি জানায়, ভুক্তভোগীদের পুরো টাকা ফেরত দেওয়া হবে অথবা নতুন করে শিডিউল দেওয়া হবে।


অসুস্থ   ছুটি   ক্রু   ফ্লাইট   বাতিল   এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

স্লোভাকিয়ায় একদিনে ১১০০ এর বেশি বোমা হামলার হুমকি

প্রকাশ: ০৩:৩৮ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্লোভাকিয়ায় একদিনে ১১০০টিরও বেশি বোমা হামলার হুমকি দেয়া হয়েছে। ব্যাংক ও স্কুলের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এই হামলার হুমকি দেয়া হয়। এই ঘটনায় দেশজুড়ে মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু হয়। এছাড়া হুমকির বিষয়ে তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ। খবর এএফপি।

মঙ্গলবার (৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্লোভাকিয়ায় মঙ্গলবার স্কুল ও ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১১০০টিরও বেশি বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। মূলত ইমেইলে করে এসব হুমকি দেওয়া হয় এবং এতে দেশজুড়ে মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

হুমকির ঘটনায় তদন্ত শুরুর ঘোষণাও দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের ডেপুটি চিফ রাস্তিসলাভ পোলাকোভিচ বলেছেন, 'সন্ত্রাসী হামলার মতো বিশেষ গুরুতর অপরাধ হিসেবে এই ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।'  

রাস্তিসলাভ পোলাকোভিচ বলেন, 'মঙ্গলবার ভোর পাঁচটা বা ছয়টা থেকে স্কুলগুলোতে ইমেইল আসতে শুরু করে। এর মধ্যে বোমা হামলার প্রায় ১ হাজার হুমকি স্কুলগুলোতে এসেছে এবং ১০০টিরও বেশি ব্যাংক এই ধরনের হুমকি পেয়েছে।'

দেশটির পুলিশ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে লিখেছে, 'পুলিশ সম্পূর্ণ গতিতে কাজ করছে, স্কুলগুলোর নিরাপত্তা পরীক্ষা করছে এবং অপরাধীকে শনাক্ত করতে কাজ করছে।'

এএফপি বলছে, অপরাধীদের সম্ভাব্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সম্মুখীন হতে হবে।

ব্রাতিস্লাভা স্ব-শাসিত অঞ্চলের মুখপাত্র লুসিয়া ফরম্যান এএফপিকে বলেছেন, দেশটি পরিচালিত কয়েক ডজন স্কুলে বোমা হামলার হুমকি নথিভুক্ত করেছে।

তিনি বলেন, 'আমরা সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি, শিশুদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং পুলিশ এখন বিষয়টি দেখছে।'


স্লোভাকিয়া   বোমা হামলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা যাওয়া ২১ ভাগই বাংলাদেশি

প্রকাশ: ০২:২৩ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

সবচেয়ে বেশি অভিবাসী হচ্ছে যেসব দেশের নাগরিকরা সেই বৈশ্বিক তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে ঝুঁকি নিয়ে যত মানুষ ইউরোপে ঢুকেছে, তার মধ্যে ২১ শতাংশ বাংলাদেশি। 

এই তথ্য জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ। তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ জলবায়ু পরিবর্তন ও সংঘাতের কারণে অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি সংখ্যায় অভিবাসী হয়েছেন। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিপুলসংখ্যক মানুষ অভিবাসী হচ্ছেন কি না, সেটা বোঝার জন্য তথ্য-উপাত্ত ও গবেষণার প্রয়োজন। 

বাংলাদেশ সফরে আসা আইওএমের এই শীর্ষ কর্মকর্তা গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপের সময় এসব কথা বলেন। তিনি এর আগে ওই হোটেলে 'আন্তর্জাতিক অভিবাসন প্রতিবেদন-২০২৪' প্রকাশ করেন।  

আইওএমের চলতি বছরের বৈশ্বিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ নিয়ে জানতে চাইলে অ্যামি পোপ বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, গত বছর বিশ্বজুড়ে জলবায়ুর প্রভাব ও সংঘাতের কারণে নতুন বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা বেশি হয়েছে। এটা চমকে দেওয়ার মতো। তিনি বলেন, লাখ লাখ মানুষ এখন জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে বাস করেন।

অ্যামি পোপের মতে, কোন কোন উপাদান মানুষকে অভিবাসনে বাধ্য করে, তার যথাযথ চিত্র নেই। তাই সঠিক চিত্র বোঝার জন্য সরকারগুলোকে বিনিয়োগ করতে হবে।

২১% বাংলাদেশি

বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে ইউরোপে অভিবাসন বাড়ছে। এ নিয়ে জানতে চাইলে অ্যামি পোপ বলেন, এসব অভিবাসীর অনেকেই মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করছেন। ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপ পাড়ির প্রবণতা ২০১৫ সাল থেকে বেড়েছে। ২০২৩ সালে ৫ হাজার অভিবাসী মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ৫২৪ জন মারা গেছেন ভূমধ্যসাগরে, যে রুট (পথ) দিয়ে সাধারণত বাংলাদেশের মানুষেরা ইতালিতে যান।

বাংলাদেশি কতজন মারা গেছেন জানতে চাইলে অ্যামি পোপ বলেন, ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশি মারা গেছেন ২৮৩ জন (ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে যাওয়ার পথে)।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের ১৬ হাজার ২০০ নাগরিক এই পথ দিয়ে ইউরোপে পৌঁছেছেন উল্লেখ করে অ্যামি পোপ বলেন, এর মধ্যে বাংলাদেশের নাগরিক ৩ হাজার ৪২৫ জন। ২০২৩ সালে ভূমধ্যসাগর হয়ে অনিয়মিত অভিবাসনের তালিকায় চতুর্থ স্থানে ছিল বাংলাদেশের মানুষ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অপতথ্য অভিবাসনের ক্ষেত্রে কতটা চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে জানতে চাইলে অ্যামি পোপ বলেন, মানব পাচারকারীরা পরিশীলিতভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে থাকে। কারণ, তারা সারা বিশ্বের পরিস্থিতিকে বিবেচনায় রাখে। কাজেই অভিবাসী হতে আগ্রহী লোকজনের জন্য যে পর্যাপ্ত বৈধ পথ নেই, শুধু সেটিই নয়, অভিবাসনের বৈধ উপায় সম্পর্কে জানার বিষয়ে যথেষ্ট অর্থ বিনিয়োগ করা হয় না। এমনকি বৈধ পথে অভিবাসনের জন্য তাদের কী ধরনের দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং এর উপায় কী সে সম্পর্কে তথ্য তাঁরা যথাযথভাবে জানতে পারেন না।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কিংবা ডিজিটাল মাধ্যমে মানব পাচারকারীদের প্রতিহত করতে হলে মানুষকে বৈধ অভিবাসনের পথ সম্পর্কে যথাযথভাবে জানাতে হবে বলে উল্লেখ করেন অ্যামি পোপ।


আইওএম   অ্যামি পোপ   ভূমধ্যসাগর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন