ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কোন ধর্মে কত লোক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:২১ পিএম, ২৩ জুলাই, ২০১৯


Thumbnail

পাড়া-মহল্লা, আন্তর্জাতিক রাজনীতি কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ধর্ম নিয়ে তর্ক বিতর্ক চলে সব জায়গাতেই। ধর্ম নিয়ে নানা মতপার্থক্য থাকলেও একটা বিষয় সকলেই জানেন যে, বিশ্বের প্রধান ধর্ম চারটি। পৃথিবীর সিংহভাগ মানুষই হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ নয়তো খ্রিস্টান। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না এই চারটি ধর্মের বাইরে এখনও পৃথিবীতে টিকে আছে চার হাজারেরও বেশি ধর্ম। তবে বৃহত্তম ১০টি ধর্মের বাইরে অন্য ধর্মগুলোর অনুসারীর সংখ্যা একেবারেই কম। আমাদের আজকের প্রতিবেদন বৃহত্তম ১০টি ধর্ম নিয়ে। চলুন জেনে নিই, অনুসারীর সংখ্যার দিক থেকে কোন ধর্মের স্থান কোথায়।

১০. শিন্তো ধর্ম

জাপানের স্থানীয় এবং অনানুষ্ঠানিক একটি রাষ্ট্রীয় ধর্ম শিন্তো। এই ধর্মের অনুসারীরা কোনো ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন না। তাদের কোনো ধর্মপ্রচারক বা ধর্মগুরু নেই। পরকালেও বিশ্বাস করেন না তারা। মজার বিষয় হলো শিন্তোদের কোনো  ধর্মগ্রন্থও নেই। এই ধর্মের মূল কথাই হলো, সৃষ্টিকর্তা বলতে কেউ নেই, তবে কিছু স্বাধীন আত্মা বা স্বর্গীয় স্বত্ত্বা আছেন, যাদের নাম ‘কামি’। এই কামিরা পৃথিবীর মানুষের কল্যাণকামী। তাই মানুষের উচিৎ তাদের পূজা করা, বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে খুশি রাখা। এ ধর্মের মন্দিরগুলোয় কোনো বৃহৎ লোক সমাগম হয় না। বরং অধিকাংশ মানুষের বাড়িতেই ছোট্ট একটি মন্দির থাকে। সেখানেই তারা পূজা করে। যেহেতু শিন্তো ধর্মের কোনো বাঁধাধরা নিয়মকানুন নেই, তাই যে কেই চাইলেই এ ধর্মের অনুসারী হতে পারেন। জাপানজুড়ে ৮১ হাজার শিন্তো মন্দির রয়েছে, যেগুলোতে শিন্ত ধর্মাবলম্বীর চেয়ে সাধারণ মানুষের আনাগোনাই বেশি। পৃথিবীতে এ ধর্মের অনুসারী রয়েছে প্রায় ৪০ লাখ। এদের প্রায় সবারই বাস জাপানে।

৯. জৈন ধর্ম

জৈন ধর্মের উৎপত্তি ভারতে। এ ধর্মের আচার, রীতিনীতিও ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। জৈন ধর্মের মূল বিশ্বাস হলো পৃথিবীতে ২৪ জন ‘তীর্থঙ্কর’ তথা বিজয়ী মহাপুরুষের আগমন, যারা নিজ নিজ সময়ে মানবজাতির ত্রাণকর্তা এবং শিক্ষক ছিলেন। এই ২৪ জনের মাঝে সর্বপ্রথম পৃথিবীতে এসেছিলেন ঋষভ, যার আগমন ঘটেছিল লক্ষ লক্ষ বছর আগে। আর সর্বশেষ ২৪ তম তীর্থঙ্কর মহাবীরের আগমন ঘটে খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতকে। নির্দিষ্ট কোনো ঈশ্বর নয়, বরং কালে কালে তীর্থঙ্কররাই পৃথিবীতে মানবজাতির দিকনির্দেশনার জন্য আসেন। মোটামুটি জৈন ধর্মের মূল বিশ্বাস এটিই। বিশ্বে ৪০ লক্ষাধিক জৈন ধর্মানুসারী মানুষ আছেন, যাদের এক-তৃতীয়াংশের বসবাস ভারতে। তাছাড়া অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, আমেরিকা এবং কিছু ইউরোপীয় দেশেও জৈনদের বসবাস রয়েছে।

৮. বাহাই ধর্ম

বাহাই ধর্মের ইতিহাস একেবারেই আনকোরা। উনবিংশ শতাব্দীতে মির্জা হুসাইন আলী তথা বাহাউল্লাহ তৎকালীন পারস্যে (বর্তমান ইরান) এ ধর্মের সূচনা করেন। অনেকেই একে ধর্ম না বলে একটি বিশেষ বিশ্বাস হিসেবেও উল্লেখ করতে চান। ‘কিতাবুল আকদাস’ এ ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ। আর মানবজাতির ঐক্য ও মেলবন্ধনই এ ধর্মের মূল লক্ষ্য। বাহাই বিশ্বাস হচ্ছে হযরত ইব্রাহীম (আ:), গৌতম বুদ্ধ, যীশুখ্রিস্ট বা হযরত ঈসা (আ:) ও হযরত মুহাম্মদ (স:)- প্রত্যেকেই ছিলেন একেকজন স্বর্গীয় প্রতিনিধি, যারা নিজেদের যুগের প্রয়োজনানুসারে একেকটি ধর্ম প্রবর্তন করেছেন। তাদের পৃথিবীতে আগমনের সেই ধারাবাহিকতা বাহাউল্লাহর মাধ্যমে শেষ হয়েছে। বিশ্বের ২০০টির অধিক দেশে ৭০ লক্ষাধিক মানুষ বাহাই ধর্মের অনুসারী।

৭. ইহুদী ধর্ম

পৃথিবীজুড়ে ইহুদী ধর্মের অনুসারীর সংখ্যা ১ কোটি ৭০ লাখের মতো। এই ধর্মের ৪৩ ভাগেরই বসবাস ইসরায়েলে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় রয়েছেন আরও ৪৩ শতাংশ ইহুদী ধর্মাবলম্বী। বাকিরা লাতিন আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা আর এশিয়ায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন। ইহুদীদের মূল ধর্মগ্রন্থ হিব্রু বাইবেল, যা তানাখ নামে পরিচিত। ইহুদী ধর্মের প্রধান তিনটি সম্প্রদায় হলো অর্থোডক্স, কনজারভেটিভ এবং রিফর্মিস্ট।

৬. শিখ ধর্ম

বিশ্বজুড়ে শিখ ধর্মের অনুসারী প্রায় ৩ কোটি। এদের প্রায় সবারই বাস উত্তর ভারতের পাঞ্জাবে। ১৫ খ্রিস্টাব্দের দিকে পাঞ্জাবেই এ ধর্মের আবির্ভাব ঘটে। শিখদের প্রথম ধর্মগুরু গুরু নানক। তারপর একে একে ৯ জন গুরুর দায়িত্ব পালন করেছেন। একেশ্বরবাদে বিশ্বাস করা এ ধর্মানুসারীদের জীবনধারণের দিকনির্দেশনা ঠিক করে দেন গুরুগণ। তবে, শিখদের দশম তথা বর্তমান গুরু, গুরু গোবিন্দ সিং এই গুরু পরম্পরার ইতি টেনেছেন। শিখ ধর্মের পবিত্র গ্রন্থকেই তিনি নিজের উত্তরাধিকারী হিসেবে মনোনীত করেছেন। অর্থাৎ, এ ধর্মগ্রন্থই অনাগত দিনে শিখদের পথচলার নিদর্শন হবে। তিনি এর নামকরণ করেছেন ‘গুরু গ্রন্থ সাহিব’।

৫. হ্যান ধর্ম

চীনের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সম্প্রদায় হলো হানজু বা হ্যান সম্প্রদায়। তারা যে ধর্মীয় বিশ্বাসে বিশ্বাসী তাকেই চীনা লোক ধর্ম বা হ্যান ধর্ম বলা হয়। তারা একাধিক দেবতায় বিশ্বাস করে। প্রকৃতির বিভিন্ন শক্তিকে পূজাও করে। বর্তমানে এ ধর্মের অনুসারী ৪০ কোটির কাছাকাছি।

৪. বৌদ্ধ ধর্ম

পৃথিবীজুড়ে বৌদ্ধ ধর্মে বিশ্বাসী মানুষের সংখ্যা আনুমানিক ৫১ কোটি। প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম ত্রিপিটক। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বৌদ্ধধর্মালম্বী মানুষের বসবাস চীনে। তাছাড়া থাইল্যান্ড, জাপান, মায়ানমার, শ্রীলংকা, নেপাল ও ভুটানে বৌদ্ধধর্মালম্বীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদেরও বড় অংশ বৌদ্ধ।

৩. হিন্দুধর্ম

বিশ্বে বর্তমানে হিন্দু ধর্মের অনুসারী প্রায় ১২০ কোটি। এদের প্রায় সবারই বাস দক্ষিণ এশিয়ায়। হাজার হাজার বছর পূর্বে মানুষের প্রকৃতি পূজার মাধ্যমে এই ধর্মের সূচনা হয়। বেদ, উপনিষদ, গীতা হলো হিন্দুধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ। হিন্দুধর্মে সৃষ্টিকর্তার সংখ্যা নিয়ে একাধিক বিশ্বাস রয়েছে, রয়েছে একেশ্বরবাদ ও বহু-ঈশ্বরবাদ উভয়ই। তবে ত্রিমূর্তি নামে পরিচিত তিনজন প্রধান ঈশ্বরেই অধিকাংশ হিন্দু বিশ্বাস করেন। তারা হলেন ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং শিব। এ ধর্মে রয়েছে মানুষের চারটি বর্ণ- ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র।

২. ইসলাম ধর্ম

পৃথবীতে ইসলাম ধর্মের অনুসারীর সংখ্যা ১৮০ কোটির বেশি। পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্মও ইসলাম। প্রায় সকল মুসলিমই দুটি সম্প্রদায়ের অন্তর্গত। সুন্নি মতাবলম্বী ৮৫-৯০ ভাগ এবং শিয়া মতাবলম্বী ১০-১৫ ভাগ। পৃথিবীর ৫০টি দেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ।

১. খ্রিস্টান ধর্ম

পৃথিবীজুড়ে প্রায় ২৪০ কোটির মতো মানুষ খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী। এই ধর্মের মূল ধর্মগ্রন্থ পবিত্র বাইবেল, যার রয়েছে দুটি খণ্ড, ‘ওল্ড টেস্টামেন্ট’ এবং ‘নিউ টেস্টামেন্ট’। খ্রিস্টধর্মের অনুসারীদের বড় দুটি সম্প্রদায় হলো ক্যাথলিক ও প্রোটেস্ট্যান্ট। এরমধ্যে রোমান ক্যাথলিক চার্চের অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ১৩০ কোটির মতো। অন্যদিকে প্রোটেস্ট্যান্ট মতের অনুসারী আছে ৯০ লাখের অধিক।

বিশ্বের প্রধান এই ধর্মগুলোর বাইরেও একটি বড় অংশ হলো ধর্মনিরপেক্ষ ও নাস্তিক। এদের সংখ্যা ১২০ কোটিরও বেশি।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি

 



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ট্রাম্পের খোঁচায় বাইডেন, মাদক পরীক্ষার দাবি

প্রকাশ: ১০:৩৪ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে আগামী ২৭ জুন প্রথম দফায় বিতর্কে অংশ নিতে রাজি হয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং নির্বাচনে তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এ বিতর্কের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মাদক নিচ্ছেন কি না, তা পরীক্ষার দাবি করেছেন ট্রাম্প। গত শুক্রবার মিনেসোটায় দলীয় এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প তাঁর বক্তব্যে এ দাবি করেন।

গত মার্চে বাইডেনের স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের ভাষণ উল্লেখ করে সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট মাদক পরীক্ষার দাবি তোলেন। তিনি বলেন, স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের ভাষণের সময় বাইডেন যেন ঘুড়ির মতো উড়ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি এই ব্যক্তির সঙ্গে বিতর্কে অংশ নিতে চাই। কিন্তু তার আগে আমি তাঁর মাদক পরীক্ষা করার দাবি করব।’ ট্রাম্প অবশ্য নিজে এ পরীক্ষা করাবেন কি না, তা বলেননি।

স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের দীর্ঘ ভাষণের সময় ৮১ বছর বয়সী বাইডেন জোরে ও দ্রুত কথা বলছিলেন। ওই বক্তব্যের পর রিপাবলিকানদের ডক্টরস ককাসের কো-চেয়ার গ্রেগ মারফি বাইডেনের সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্পের পক্ষ থেকে অবশ্য বাইডেনের মাদক পরীক্ষা চাওয়ার বিষয়টি নতুন নয়।

এর আগে, ২০২০ সালে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে অভিযোগ তুলে বলা হয়, ডেমোক্র্যাটদের দলীয় নির্বাচনের সময় বাইডেনের আচরণ স্বাভাবিক ছিল না। তিনি বাইডেনের সঙ্গে বিতর্কের আগে তাই তাঁর মাদক পরীক্ষা করার দাবি করেছিলেন। অবশ্য ওই সময় ট্রাম্প বা বাইডেন কেউই মাদক পরীক্ষা করাননি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে ২৭ জুন এবং ১০ সেপ্টেম্বরের দুই বিতর্ক অত্যন্ত উত্তেজনাকর মুহূর্ত হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলেছে, তাদের আটলান্টা স্টুডিওতে প্রথম বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে কোনো দর্শকের উপস্থিতি থাকবে না। বিতর্কটি উপস্থাপনা করবেন জেক ট্যাপার ও ডানা ব্যাশ। ট্রাম্প অবশ্য জেক ট্যাপারের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন।

মার্কিন নির্বাচন সামনে রেখে দ্বিতীয় বিতর্কটির আয়োজন করছে সংবাদমাধ্যম এবিসি। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর এ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। বিতর্কে অংশ নেওয়ার জন্য ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। দুই প্রার্থীই সে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।


যুক্তরাষ্ট্র   প্রেসিডেন্ট নির্বাচন   ডোনাল্ড ট্রাম্প   জো বাইডেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাড়িতে বসেই ভোট দিলেন মনমোহন সিং

প্রকাশ: ০৮:২৯ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে লোকসভার নির্বাচন। গত ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এ নির্বাচন চলবে আগামী ১ জুন পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে দেশটির বৃদ্ধ নাগরিকরা বাড়ি থেকে ভোট দিচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে বাড়িতে বসে ভোট দিয়েছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।

দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ভোট দেওয়ার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে ভোট দিয়ে নিজের হাতের আঙ্গুলের কালি দেখাচ্ছেন তিনি। তবে ছবিটিতে মনমোহনকে দেখে শুরুতে চেনাই যাচ্ছিল না।

বৃদ্ধ বয়সের পুরো ছাপ পড়েছে তার শরীরে। ৯২ বছর বয়সী মনমোহন বয়সের ভারে যেন নুয়ে পড়ছেন। তবে তা সত্ত্বেও নিজের ভোটাধিকারটি প্রয়োগ করেছেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ৯২ বছর বয়সেও নিজের ভোট দিচ্ছেন মনমোহন। তাকে দেখে তরুণদের অনুপ্রাণিত হওয়া উচিত।

এদিকে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) থেকে দিল্লির প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা বাড়ি থেকে ভোট গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেন। এই প্রক্রিয়ায় ভোট দিচ্ছেন বয়স্ক ও শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিরা। এটি আগামী ২৪ মে পর্যন্ত চলবে।


ভোট   মনমোহন সিং  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আট মাসের বেতনের সমান বোনাস দিচ্ছে বিশ্বের সেরা এয়ারলাইনস

প্রকাশ: ০৬:৪১ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

কর্মীদের বোনাস দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে বিশ্বের সেরা বিমান কোম্পানি সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস। সিএনএনের সংবাদে বলা হয়েছে, যে মানদণ্ড তারা স্থাপন করেছে, তার উচ্চতা অনেক বেশি।

বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের এক কর্মী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মী সিএনএনকে এ তথ্য দিয়েছেন যে, ভালো মুনাফা করার কারণে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ তার কর্মীদের আট মাসের বেতনের সমান বোনাস দেবে। কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, এ তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশিত হওয়ার নয়।

এ বিষয়ে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের সঙ্গে সিএনএন যোগাযোগ করলেও তাৎক্ষণিকভাবে তারা মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

গত বুধবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আর্থিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস। সেখানে তারা বলেছে, সেই অর্থবছরে বিমান সংস্থাটি ১৯৮ কোটি ডলার নিট মুনাফা করেছে।

আয়ের বিবরণীতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস বলেছে, উত্তর এশিয়ার দেশগুলো, যেমন চীন, হংকং, জাপান ও তাইওয়ানের মতো দেশ মহামারির পর তাদের সীমান্ত পুরোপুরি খুলে দিয়েছে। সে কারণে এসব দেশে ভ্রমণ বেড়েছে। মানুষের ভ্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসও বড় অঙ্কের মুনাফা করেছে।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস গত অর্থবছরের জন্য স্ক্রাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইনস অ্যাওয়ার্ডস প্রণীত ক্রমতালিকায় বিশ্বের সেরা বিমান সংস্থার পুরস্কার পেয়েছে। সংস্থাটির প্রণীত ক্রমতালিকায় গত ২৩ বছরের মধ্যে এ নিয়ে পঞ্চমবার তারা শীর্ষস্থান পেয়েছে।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোহ চুন ফং বলেছেন, প্রতিষ্ঠানটির সব কর্মী নিরন্তর কাজ করায় এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তাঁদের এই শ্রম–ঘামের কারণে মহামারির পর সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস বাজারে খুব ভালোভাবে ফিরে আসতে পেরেছে।

তবে শুধু সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস নয়, আরও বেশ কয়েকটি এয়ারলাইনস কর্মীদের উদার হস্তে বোনাস দিচ্ছে। জানা গেছে, দুবাইয়ের এমিরেটস এয়ারলাইনস তার কর্মীদের ২০ সপ্তাহের বেতনের সমপরিমাণ বোনাস দিচ্ছে। সিএনএন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

আয় বিবরণীতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস অবশ্য বলেছে, আগামী অর্থবছরে ব্যবসার জগতে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হতে পারে। তারা বলেছে, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা, সামষ্টিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, মূল্যস্ফীতির চাপ ও সরবরাহব্যবস্থায় নানা ধরনের বাধা বৈশ্বিক বিমান পরিবহন শিল্পের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।

মহামারির সময় মানুষের যাতায়াতে বিধিনিষেধের কারণে বিমান সংস্থাগুলো বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছিল। সেই বাস্তবতা এখন আর নেই। বিধিনিষেধ প্রায় সবই উঠে গেছে। ফলে বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোও বড় অঙ্কের মুনাফার মুখ দেখছে।


সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস   সিএনএন সংবাদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলি হামলায় ৮ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশ: ০৬:২৪ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পের পশ্চিমাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় আট ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছেন। নিহতরা জাবালিয়ার আল-ফালুজা নামক একটি এলাকায় পানি আনতে গিয়েছিলেন।

এক প্রত্যক্ষদর্শী হামলার ব্যাপারে বলেন, “আমরা ফালুজা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছিলাম, যেটিকে নিরাপদ স্থান হিসেবে ভাবা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ইসরায়েলিরা সেখানে গোলা ছুড়েছে। আমরা জানি না কোথায় যাব।”

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ হামলার একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

গত কয়েকদিন ধরে জাবালিয়ায় ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। স্থল হামলা ছাড়াও বিমান থেকে প্রতিনিয়ত সেখানে বোমা ফেলছে তারা।

গাজার মধ্যে যেসব শরণার্থী শিবির রয়েছে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো জাবালিয়া। যুদ্ধের আগে এখানে হাজার হাজার মানুষ থাকতেন। এখনো শরণার্থী শিবিরটিতে অসংখ্য মানুষ রয়েছেন।


ইসরায়েল   ফিলিস্তিন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আফগানিস্তানে ভূমিধসে ৫০ জন নিহত

প্রকাশ: ০৫:৫৩ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় ঘোর প্রদেশে হড়কা বান-ভূমিধসে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৮ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ওই প্রদেশের পুলিশ।

শনিবারের বিবৃতিতে ঘোর প্রাদেশিক পুলিশের মুখপাত্র আবদুল রহমান বাদ্রি বলেন, ‘শুক্রবারের হড়কা বান-ভূমিধসে প্রদেশে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন এবং এখনও নিখোঁজ আছেন আরও অনেকে। নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু হয়েছে।’

বিবৃতিতে আবদুল রহমান বাদ্রি আরও জানান, শুক্রবারের হড়কা বানে প্রায় ২ হাজার বাড়িঘর সম্পূর্ণ ধ্বংস এবং আরও কয়েক হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কয়েক হাজার গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে, শত শত একর কৃষিজমির ফসল নষ্ট হয়েছে, শতাধিক সেতু ও কালভার্ট ধ্বংস হয়েছে এবং হাজার হাজার গাছ উপড়ে গেছে। 

বানের পানি, বাড়িঘর-গাছ-পাথরের ধ্বংসস্তূপ জমা হয়ে প্রদেশের অধিকাংশ সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।


আফগানিস্তান   ভূমিধস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন