ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আমাজনে ভেঙে পড়লো বিমান, নিহত ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:১৩ এএম, ২৫ অগাস্ট, ২০১৯


Thumbnail

ইকুয়েডরের আমাজন অঞ্চলে একটি বিমান ভেঙে পড়ে অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছে। বিধ্বস্ত বিমানটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান কোম্পানি সিসেনা এয়ারক্রাফটের বলে জানা গেছে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, ইকুয়েডরের আমাজন অঞ্চলের মোরোনা স্যান্টিয়াগো ও জামোরা চিনচিপে সীমান্তের কাছে শুক্রবার রাতে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। সিসেনা এয়ারক্রাফটের সিসেনা-১৮২ বিমানটিতে পাইলট ও তিন আরোহী ছিলেন। বিধ্বস্ত হয়ে তাদের প্রত্যেকেরই মৃত্যু হয়েছে। কয়েক ঘণ্টার দীর্ঘ অভিযানের পর ইকুয়েডরের সেনাবাহিনী ও অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তারা আরোহীদের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। তাৎক্ষণিকভাবে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কোনো কারণ জানা যায়নি। তবে বিমান বিধ্বস্তের এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি

 



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কেনিয়ায় বৃষ্টি-বন্যায় আরও ৬৬ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ১০:১২ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

কেনিয়ায় বৃষ্টি ও বন্যায় গত ২৪ ঘণ্টায় আফ্রিকার এই দেশটিতে ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে করে গত ১ মার্চ থেকে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৬৯ জনে। এছাড়া এখনও প্রায় ১০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বুধবার (১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেনিয়ায় বৃষ্টি ও বন্যায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে মঙ্গলবার দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এতে করে গত ১ মার্চ থেকে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৬৯ জনে। এছাড়া দেশটিতে এখনও ৯১ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

কেনিয়ার সরকারের মুখপাত্র আইজ্যাক মওয়াউরা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মঙ্গলবার কাদা ধসের ঘটনায় বেশ কয়েকটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং এতে করে মৃতের সংখ্যা ১৬৯ জনে পৌঁছেছে। ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা সারা দেশে ৬৬ জনকে হারিয়েছি এবং এর মধ্যে ৬০ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং ছয়জন শিশু রয়েছে।’
‘বন্যার কারণে ৩০ হাজার ২১৪টি কেনিয়ান পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আর জনসংখ্যার হিসেবে বাস্তুচ্যুতদের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার ৯৪২ জন। কেনিয়ার রাজধানীতে বাস্তুচ্যুতরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’

এদিকে ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়া হিসাবে কেনিয়ার সরকার ঘোষণা করেছে, তারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য হাসপাতালের সমস্ত বিল বহন করবে। বিশেষ করে মঙ্গলবার যারা কাদা ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের। এছাড়া বাস্তুচ্যুতির পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার পরিবারগুলোর আর্থিক বোঝাও কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

মূলত ভারী বৃষ্টিপাত এবং নদীর পানি উপচে পড়ে সৃষ্ট বন্যায় ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে, অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। মানবিক সংস্থা এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জরুরি সহায়তা প্রদানের জন্য কাজ করছে কেনিয়ার সরকার।

কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো মারাত্মক বন্যা মোকাবিলায় মঙ্গলবার বিশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠক আহ্বান করেন।

এদিকে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনের চেয়ারপারসন মুসা ফাকি মাহামত দেশজুড়ে বিপর্যয়কর বন্যার ধ্বংসযজ্ঞের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং কেনিয়ার জনগণের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা ও সংহতি প্রকাশ করেছেন।

এর আগে কেনিয়ার নাকুরু কাউন্টিতে গত সোমবার একটি বাঁধ ফেটে ৪০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়। রাজধানী নাইরোবি থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার (৩৭ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত নাকুরু কাউন্টির মাই মাহিউতে ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে।


কেনিয়া   বৃষ্টি-বন্যায়  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ডেটিং অ‌্যাপ যেন লুটের ফাঁদ

প্রকাশ: ১০:০৭ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

লাস্যময়ীদের আবেদনে লুকিয়ে আছে বড় বিপদ। ডেটিং অ‌্যাপ যেন লুটের ফাঁদ। সম্প্রতি এমন ফাঁদে পড়েছেন ভারতের এক ব্যবসায়ী।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, ডেটিংয়ের নাম করে শহরের এক ব‌্যবসায়ীকে হোটেলে ডাকে দুই সুন্দরী। তাকে দক্ষিণ কলকাতার একটি হোটেলের ঘরে নিয়ে গিয়ে মাদকাচ্ছন্ন করে তার সোনার গয়না হাতিয়ে নিয়ে পালায় ওই দুই তরুণী।

পরে প্রায় একশো মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে দুই তরুণীকে গ্রেপ্তার করে দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার তরুণীদের একজনের নাম অঙ্কিতা গুহ। অন‌্যজনের নাম মৌমিতা চক্রবর্তী ওরফে মামণি ওরফে পিউ মিত্র।

পুলিশ জানিয়েছে, কলকাতারই এক ব‌্যবসায়ী একটি ডেটিং অ‌্যাপের মাধ‌্যমে যোগাযোগ করেন। রেজিস্ট্রেশনের পর তিনি একসঙ্গে দুই নারীর সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানান। অ‌্যাপের মাধ‌্যমেই দুজনের মোবাইল নম্বর পান তিনি। যদিও তখনও ব‌্যবসায়ী বুঝতে পারেননি যে, ওই ডেটিং অ‌্যাপটি ভুয়া ও একসঙ্গে লুটের ফাঁদ।

বালিগঞ্জ থানা এলাকার শরৎ বোস রোডের একটি হোটেলে ব‌্যবসায়ী তাদের আসতে বলেন। দুপুরে তারা হোটেলে আসেন। একই রুমে তিনজন সময় কাটাতে থাকেন। এর মধ্যেই ব‌্যবসায়ীর পানীয়র মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয় অভিযুক্ত দুই তরুণী। তিনি কিছুক্ষণের মধ্যেই অচেতন হয়ে পড়েন। সেই সুযোগে তার সোনার চেন, বালা লুট করে অভিযুক্তরা।

রুম থেকে বের হওয়ার আগে তার মোবাইল থেকে তাদের হোয়াটসঅ‌্যাপ নম্বর ও তাদের সঙ্গে হওয়া যাবতীয় হোয়াটস অ‌্যাপ চ‌্যাট মুছেও ফেলেন তারা। দুজন চলে যাওয়ার প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর ব‌্যবসায়ীর চেতনা ফেরে। তাঁর ডাকে হোটেলের কর্মীরা আসেন। তারাই বালিগঞ্জ থানায় খবর দেন।

হাসপাতালে চিকিৎসার পর তিনি অভিযোগ দায়ের করেন। বালিগঞ্জ থানার ওসি বোধিসত্ত্ব প্রামাণিকের নেতৃত্বে একটি টিম তদন্ত শুরু করে। টিমকে সাহায‌্য করে সাউথ ইস্ট ডিভিশনের সাইবার সেল।

তদন্তের শুরুতেই পুলিশ বুঝতে পারে, ডেটিং অ‌্যাপটি ভুয়া। যেহেতু হোয়াটসঅ‌্যাপ নম্বর মুছে ফেলা হয়, তাই ডেটিং অ‌্যাপটির সূত্র ধরেই চলে তদন্ত। ওই ডেটিং অ‌্যাপের ‘হিস্ট্রি’ থেকে বিভিন্ন ব‌্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ হওয়া প্রায় একশো মোবাইল নম্বর পরীক্ষা করতে থাকে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত কয়েকটি মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরেই দুজনকে শনাক্ত করা হয়।


ডেটিং   অ‌্যাপ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাফাহতে ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে বৈশ্বিক পদক্ষেপ চায় জাতিসংঘ

প্রকাশ: ০৯:২৩ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার শেষ নিরাপদস্থল রাফাহ শহরে হামলার পরিকল্পনার কথা আগেই জানিয়েছে ইসরায়েল। এমনকি হামাসের সঙ্গে চুক্তি হোক বা না হোক, ইসরায়েল রাফাহতে হামলা চালাবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।

এমন অবস্থায় রাফাহতে হামলার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। একইসঙ্গে রাফাহতে ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে দেওয়া কঠোর সতর্কবার্তায় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মঙ্গলবার আরও বেসামরিক হতাহতের ঘটনা এবং বাস্তুচ্যুতি রোধে পদক্ষেপ নিতে ‘ইসরায়েলের ওপর প্রভাব’ রয়েছে এমন দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

গুতেরেস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘রাফাহতে সামরিক হামলা হলে তা পরিস্থিতি অসহনীয়ভাবে উত্তপ্ত করবে, আরও হাজার হাজার বেসামরিক লোক প্রাণ হারাবে এবং হাজার হাজার মানুষকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করবে।’

পরিস্থিতির গুরুত্বকে তুলে ধরে জাতিসংঘের প্রধান জোর দিয়ে বলেন, রাফাহতে সামরিক হামলা শুধুমাত্র ‘গাজার ফিলিস্তিনিদের ওপর ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলবে’ তা নয়, বরং পুরো অঞ্চল জুড়ে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।

জাতিসংঘের এই প্রধান গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর গাজায় ক্রমবর্ধমান মানবিক পরিস্থিতির ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতি, সমস্ত বন্দিদের অবিলম্বে এবং নিঃশর্ত মুক্তি এবং মানবিক সহায়তায় ব্যাপক বৃদ্ধির’ জন্য তিনি ধারাবাহিকভাবে আহ্বান জানালেও তা শোনা হয়নি।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘গাজার জনগণের স্বার্থে, ইসরায়েলি বন্দি এবং তাদের পরিবারের স্বার্থে এবং এই অঞ্চল ও বিস্তৃত বিশ্বের স্বার্থে আমি ইসরায়েলি সরকার এবং হামাস নেতৃত্বকে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য জোরালোভাবে উৎসাহিত করছি।’

গুতেরেস গাজা থেকে পাওয়া উদ্বেগজনক নানা প্রতিবেদন নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মূলত ইসরায়েলের ধ্বংসাত্মক অভিযানের পর গাজায় গণকবর আবিষ্কার হয়েছে এবং ভূখণ্ডটির হাসপাতালগুলোকে এখন কবরস্থানের সাথে তুলনা করা হচ্ছে।

গুতেরেস বলেছেন, ‘আল শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্স এবং নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সসহ গাজার বেশ কয়েকটি স্থানে গণকবর আবিষ্কৃত হওয়ার খবরে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
গণকবরের বিষয়ে স্বাধীন ও আন্তর্জাতিক তদন্তের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে গুতেরেস বলেন, ‘ফরেনসিক দক্ষতাসহ স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের এই গণকবরগুলোর স্থানগুলোতে অবিলম্বে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া অপরিহার্য, যাতে সুনির্দিষ্ট কারণ উদঘাটন করা যায় যে ঠিক কোন অবস্থায় শত শত ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন এবং তাদের কবর দেওয়া হয়েছে।’

তিনি উল্লেখ করেছেন, শিশু এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা উত্তর গাজায় ক্ষুধা ও রোগের কারণে মারা যাচ্ছে এবং সবাইকে ‘সম্পূর্ণ প্রতিরোধযোগ্য, মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ এড়াতে সম্ভাব্য সবকিছু করতে’ হবে।

ভয়ঙ্কর ট্র্যাজেডি প্রতিরোধে সব ধরনের চাপ প্রয়োগের গুরুত্ব উল্লেখ করে গুতেরেস বলেন, গাজায় সাহায্যের সবচেয়ে বড় বাধা মানবিক কর্মীদের নিরাপত্তার অভাব। তিনি বলেন, মানবিক সহায়তার কনভয়, সুযোগ-সুবিধা, কর্মী এবং সুবিধাভোগীদের হামলার লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়।

গুতেরেস আকাশপথে এবং সমুদ্রপথের মাধ্যমে সাহায্য দেওয়ার বিষয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, এই পদ্ধতিগুলো স্থলপথের মাধ্যমে সহায়তা বিতরণের বিকল্প হতে পারে না। তিনি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে নিরাপদ, দ্রুত এবং নিরবচ্ছিন্ন সাহায্য বিতরণের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)-এর বিষয়ে গুতেরেস উল্লেখ করেছেন, এই সংস্থাটি গাজা, পূর্ব জেরুজালেম, জর্ডান, সিরিয়া এবং লেবাননসহ অধিকৃত পশ্চিম তীরে লাখ লাখ মানুষকে সহায়তা করার জন্য ‘অপরিবর্তনীয় এবং অপরিহার্য কাজ’ করছে।


রাফাহ   ইসরায়েল   হামলা   বিরুদ্ধে   বৈশ্বিক   পদক্ষেপ   জাতিসংঘ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিলিস্তিনিদের ধাওয়ায় দৌড়ে পালালেন জার্মান রাষ্ট্রদূত

প্রকাশ: ০৯:১১ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনিদের ধাওয়ায় দৌড়ে পালালেন জার্মান রাষ্ট্রদূত ওলিভার ওকজা। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভিডিও। পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিন জাদুঘর পরিদর্শনে গিয়ে এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হন জার্মান রাষ্ট্রদূত।

ভিডিওতে দেখা গেছে, স্যুট-কোট পরিহিত এক ব্যক্তি জনরোষ থেকে বাঁচতে দৌড়ে পালাচ্ছেন। তিনি আর কেউ নন, ফিলিস্তিনে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ওলিভার ওকজা।

মঙ্গলবার পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিন জাদুঘর পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি। এ সময় জনরোষে পড়েন তিনি। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, জার্মান রাষ্ট্রদূত প্রাণভয়ে দৌড়াচ্ছেন। এ সময় তার পেছনে বেশ কয়েকজন বিক্ষুব্ধ যুবক ছুটে আসছে।

জনরোষ থেকে বাঁচতে দৌড়ে নিজের গাড়িতে আশ্রয় নেন জার্মান দূত। গাড়িতে ওঠার পর তার গাড়িকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে। ওই সময় ‘গুলির শব্দও’ শোনা যায়।

এদিকে এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট লিখেছেন ফিলিস্তিনে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ওলিভার ওকজা। তিনি লিখেছেন, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ও সংলাপের জায়গা সব সময় থাকে। তবে বিরজেতের জাতীয় জাদুঘরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিশনপ্রধানদের বৈঠকটি প্রতিবাদকারীদের জন্য বাধাগ্রস্ত হওয়ায় আমরা দুঃখিত।
তবুও, আমরা আমাদের ফিলিস্তিনি অংশীদারদের সঙ্গে গঠনমূলক কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

গেল বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায় গাজার স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী। ওইদিন থেকেই গোষ্ঠীটিকে নির্মূলের নামে গাজায় গণহত্যা শুরু করে তেল আবিব।

৭ অক্টোবরের ওই হামলার পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে দেখা করতে ও ইসরায়েলিদের প্রতি সংহতি জানাতে সরাসরি দেশটিতে ছুটে যান জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ। এ ছাড়া ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকা গণহত্যার যে অভিযোগ এনেছে, সেটির বিরুদ্ধেও লড়ার ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি। ফলে, দেশটির ওপর তীব্র ঘৃণা ও ক্ষোভ থেকে রাষ্ট্রদূতকে ধাওয়া দিল ফিলিস্তিনি তরুণরা।

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ধসে পড়েছে শত শত ভবন। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে প্রায় ১০ হাজার মরদেহ পচে যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।


ফিলিস্তিন   জার্মান   রাষ্ট্রদূত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে মধ্যরাতে উত্তাল জর্ডান

প্রকাশ: ০৯:০৪ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

জর্ডানে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে আবারও বিক্ষোভ করেছে হাজারো মানুষ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাতে আম্মানে এ বিক্ষোভ হয়।

ফিলিস্তিনি মিডিয়ার বরাতে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা ইরনা জানায়, গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে হামলা বন্ধে মধ্যরাতে উত্তাল হয়ে উঠে আম্মান। বিক্ষোভকারীরা তেলআবিবের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি জানায়।

বিক্ষোভকারীরা জানান, তারা গাজা উপত্যকার নিপীড়িত জনগণের পক্ষে। ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক সংঘটিত অপরাধের বিরুদ্ধে তারা নিন্দা জানান। ইসরায়েলকে এখনই থামাতে হবে। এ বর্বরতা চলতে থাকায় তারা মানসিক যন্ত্রণায় ঘরে শান্তিতে ঘুমাতে পারছেন না। বিবেকের তাড়নায় মধ্যরাতে রাস্তায় নেমে এসেছেন।

এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আম্মান সফর করছেন। তিনি জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকের এক ঘণ্টা পর এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

গত বছর গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে জর্ডানে ইহুদিবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারী কিছু দিন পর পরই ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন। এতে বিভিন্ন সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জর্ডানিদের দাবি, গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ করতে হবে এবং অভিযানের নামে ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে ওঠা মানবাধিকার লঙ্ঘনের আন্তর্জাতিক বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া বাদশাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে সহায়তা করার অভিযোগ তুলছেন বিক্ষোভকারীরা। তারা শরণার্থী ফিলিস্তিনিদের গণহারে জর্ডানে আশ্রয় দেওয়ার দাবিও জানিয়ে আসছেন।

এ ছাড়া ইসরায়েলে হামলা করতে ইরানের ছোড়া ড্রোন ভূপাতিত করে মুসলমান বিশ্বে সমালোচিত হয় জর্ডান। জর্ডানিরা বলেন, ইসরায়েলকে সহায়তা করে জর্ডান সরকার ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, যা লজ্জার।


ইসরায়েলবিরোধী   বিক্ষোভ   মধ্যরাত   জর্ডান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন