ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কে এই আবি আহমেদ আলী?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:৩৭ পিএম, ১১ অক্টোবর, ২০১৯


Thumbnail

শান্তিতে এবছর নোবেল জিতেছেন আবি আহমেদ আলী। তিনি ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী। পূর্ব আফ্রিকার এমন একটি দেশ থেকে নোবেল জিতে নেওয়ার কারণগুলোই এখন জানাবো আপনাদের।

দুর্নীতি, একনায়কতন্ত্র, রাজনৈতিক অস্থিরতা, সংঘাত-সংঘর্ষ, বাকস্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ, সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর নিজেদের মধ্যে বিবাদে দেশটি প্রায় গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিল ইথিওপিয়া। আবি ক্ষমতায় এলেন, আর জাদুর কাঠির ছোঁয়ায় বদলে দিলেন সবকিছু।

মাত্র গত বছরেই ক্ষমতায় এসেছেন আবি। এরই মধ্যে তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন অনেকটাই।

২০১৮’র বছরের জুলাইয়ে আবি ইথিওপীয় অধ্যুষিত যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গরাজ্য সফরে যান। সবার শেষে তিনি যান মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে। সেই অঙ্গরাজ্যের টার্গেট অ্যারেনা স্টেডিয়ামে জনসভার আয়োজন করা হয়। ভোর ৬টার মধ্যেই পুরো স্টেডিয়াম ভরপুর। প্রায় ২০ হাজার ইথিওপীয় তাদের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে সামনাসামনি দেখতে ও তার কথা শুনতে জড়ো হন।

তাকে দেখে চারপাশে সবাই আনন্দে কাঁদছিল। মনে হচ্ছিল সবার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। মানুষ কাঁদছিল কারণ এই প্রথম তারা আশার আলো দেখতে পেয়েছিল। মানুষ অবশেষে তাদের মনের মতো একজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে, সে খুশিতে কাঁদছিল।

কেন এত জনপ্রিয়তা?

২০১৮’র ২ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর আফ্রিকা মহাদেশের সর্বকনিষ্ঠ এ সরকারপ্রধান খুব দ্রুত এমনকিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন, যেগুলো দেশে-বিদেশে ইথিওপীয়দের মনে আশার সঞ্চার করেছে। ক্ষমতায় এসেই তিনি হাজারো রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দিয়েছেন, সেন্সরশিপের নামে বন্ধ থাকা শত শত ওয়েবসাইট চালু করেছেন, ইরিত্রিয়ার সঙ্গে ২০ বছর ধরে চলা যুদ্ধের ইতি টেনেছেন, রাষ্ট্রের জরুরি অবস্থা তুলে নিয়েছেন, দেশের অর্থনীতি ও ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সকে নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা করেন।

রাজধানী আদ্দিস আবাবার চিত্রটাই পাল্টে যায়। আগের সরকারের চাপে পিষ্ট মানুষগুলো এখন বুক উঁচিয়ে হাঁটতে পারছে। কয়েক দশক ধরে যেটি তাদের জীবনে ছিল না।

আদ্দিস আবাবার রাস্তাঘাট থেকে গাড়ির সামনে-পেছনের গ্লাসে প্রধানমন্ত্রীর ছবির স্টিকার সেঁটে রেখেছিল সবাই, তার ছবি সংবলিত টি-শার্টের জন্য তাদের জনগণ যেন হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল।

লোকজন তাদের ফেসবুক-টুইটার-ইনস্টাগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ও তার বিভিন্ন বার্তা দিয়ে প্রোফাইল ছবি দিতো। গত বছরের জুনে প্রধানমন্ত্রী আহমেদ রাজধানীর মেসকেল স্কয়ারে একটি ভাষণ দিয়েছিলেন, যেখানে প্রায় ৪০ লাখ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

ইথিওপিয়ায় ৯০টিরও বেশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আছে। সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলো একটি অন্যটির সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত। দশকের পর দশক দেশটির রাজনীতি যে ঘূর্ণাবর্তে ছিল, তাতে এ বিভেদ আরও বেড়েছে। সবচেয়ে বড় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাম ‘ওরোমো’। দেশের মোট জনসংখ্যার তিন ভাগের এক ভাগ মানুষই এ সম্প্রদায়ের। প্রধানমন্ত্রী আবিও এ সম্প্রদায়ের। ইথিওপিয়ার অবস্থা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছিল যে, ওরোমো থেকে কেউ প্রধানমন্ত্রী না হলে গৃহযুদ্ধ নিশ্চিত।

১৯৯১ সালে দ্য টাইগারিয়ান পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (টিপিএলএফ) একনায়ক মেঙ্গিস্টু হাইলে মারিয়ামের বিরুদ্ধে প্রথম বাধা হয়ে দাঁড়ায়, যিনি ১৯৭৪ সাল থেকে ইথিওপিয়ায় সেনা শাসন জারি রেখেছেন এবং ক্ষমতায় থাকাকালীন রাজনৈতিক বিবেচনায় হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছেন। তার সময়ে দুর্ভিক্ষে কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষ মারা গেছে।

টাইগারি নৃ-গোষ্ঠী থেকে কিছু গেরিলা যোদ্ধা নিয়ে টিপিএলএফ প্রথম বিদ্রোহ শুরু করে। টিপিএলএফের ক্ষমতা যখন বাড়ছিল, তখন তারা সিদ্ধান্ত নিল দেশের বড় বড় নৃ-গোষ্ঠীগুলোকে তাদের দলে টানতে হবে, তাহলে তাদের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়বে।

১৯৮৯ সালে টিপিএলএফ ওরোমো এবং আমরাহার মতো সবচেয়ে বড় দুটি নৃ-গোষ্ঠীর সঙ্গে জোট করতে সক্ষম হয়। জোটের নাম দেওয়া হয় ইথিওপিয়ান পিপলস রেভ্যুলুশনারি ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইপিআরডিএফ)। দেশের অস্থিরতা দিন দিন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী হাইলে মারিয়াম পদত্যাগ করেন, যেটি আফ্রিকা মহাদেশে খুবই বিরল ঘটনা। ১৮ মাসের মধ্যে দেশে দ্বিতীয়বারের মতো জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয় এবং দেশজুড়ে ইন্টারনেট ব্যবহার কমিয়ে ফেলা হয়।

আবি আফ্রিকা অঞ্চলের অন্যান্য রাষ্ট্রনায়কের মতো নন। জনগণের সঙ্গে তার দূরত্ব কম, জনবহুল স্থানে গিয়ে তিনি মানুষ ও অন্যান্য রাজনীতিকদের সঙ্গে কোলাকুলি করেন, সেলফি তোলেন, জনসভা মাতিয়ে রাখেন। ইথিওপিয়ার নৃ-গোষ্ঠীগুলোকে তিনি নিজেদের মধ্যে ‘দেয়াল তৈরি না করে সেতু তৈরি করতে’ বলেন।

মিনেসোটার জনসভায় আবি বলেন, ‘আপনারা যদি এই প্রজন্মের গর্ব হতে চান, তাহলে ওরোমো, আমহারা, ওলেয়টাস, সিলটেসসহ সব নৃ-গোষ্ঠীর মানুষকে সমান মর্যাদা দিতে হবে। সবাইকে সমান ইথিওপীয় হিসেবে গণ্য করতে হবে।’

এটা একটা বৈপ্লবিক বার্তা। ইথিওপিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে যে গোষ্ঠীগত বিভেদ, সর্বমহলে জনপ্রিয় একজন প্রধানমন্ত্রীর এমন বার্তায় সেটি কমে আসবে।

প্রধানমন্ত্রী আবি বিস্ময়করভাবে সব নৃগোষ্ঠীর মধ্যে সমান জনপ্রিয়। তার নিজের নৃতাত্ত্বিক পরিচয়ও এর পেছনে অনেকাংশে দায়ী। তার বাবা ছিলেন ওরোমো মুসলমান এবং মা ছিলেন খ্রিস্টান। তিনি ওরোমো, আমরাহা, টাইগারি ও ইংরেজি ভাষায় সমান পারদর্শী। মিনেসোটার ওই জনসভার ভাষণে তিনি ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রীয় তিনটি ভাষাই ব্যবহার করেছিলেন। এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ সোমালিয়ার মানুষদের সম্মানে তিনি সোমালি ভাষায়ও কথা বলেছিলেন।

বহু নৃ-গোষ্ঠীর ভাষায় পারদর্শী হওয়ার ফলে জনগণ প্রধানমন্ত্রীকে তাদের নিজেদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ভাবতে পারেন। আবার তার বর্ণময় জীবনও এ জনপ্রিয়তার পেছনে ভূমিকা রেখেছে।

১৯৯০-এর দশকে আবি রুয়ান্ডায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ইথিওপিয়ার সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি আইএনএসএর প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন এবং দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ ওরোমিয়া অঞ্চলের ডেপুটি প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।

ইতোমধ্যে মিসর, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জিবুতি ও যুক্তরাষ্ট্র সফর করে ওই অঞ্চলের সবচেয়ে সক্রিয় রাজনীতিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছেন আবি।

ক্ষমতায় এসেই আগের সরকারগুলোর সময়ে রাজনৈতিক বন্দীদের ওপর চালানো নির্যাতনের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন আবি।

অনেক আলোচনা-সমালোচনার মাঝেও ইথিওপিয়বাসী মনে করে আবি’র মতো মানুষ লাখে একজন পাওয়া যায়। আফ্রিকার ইতিহাসে সবচেয়ে সেরা নেতা হওয়ার সম্ভাবনা তার মধ্যে আছে। এখন বিশ্বও জানবে আবিকে।

 

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মার্কিন পররাষ্ট্র মুখপাত্রের পদত্যাগ

প্রকাশ: ১০:০৬ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গাজা যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির প্রতিবাদ করে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের আরবি ভাষার মুখপাত্র হালা রারিত পদত্যাগ করেছেন। গাজায় ইসরাইলি হামলা শুরুর পর থেকে এটি মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের তৃতীয় পদত্যাগ।

হালা রাহারিত লিঙ্কডইন পোস্টে জানিয়েছেন,'পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মানজনক পদে ১৮ বছর চাকরি করার পর ২০২৪ সালের এপ্রিলে আমি পদত্যাগ করেছি। গাজা ইস্যুতে মার্কিন সরকারের নীতিই এর কারণ।'

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, হালা রাহারিত একসময় মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত সংস্থা দুবাই রিজিওনাল মিডিয়া হাবের উপ-পরিচালক ছিলেন। আরব বিশ্বের সংবাদমাধ্যমগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে সংস্থাটি। তারপর ২০০৬ সালে রাজনৈতিক ও মানবাধিকার কর্মকর্তা এবং আরবি ভাষার মুখপাত্র হিসেবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগ দেন হালা রাহারিত।

অবশ্য হালা রাহারিতই প্রথম কর্মকর্তা নন, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের গাজা নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন। একই কারণে গত মার্চে পদত্যাগ করেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের মানবাধিকার ব্যুরোর কর্মকর্তা অ্যানেলি শেলিন। এর আগে গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তারিক হাবাশ পদত্যাগ করেছিলেন।


মার্কিন পররাষ্ট্র   মুখপাত্র   পদত্যাগ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত ইসরায়েলি নিরাপত্তামন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:৪৭ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের উগ্র ডানপন্থি জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গভির গাড়ি দুর্ঘটনায় সামান্য আহত হয়েছেন। এখন তিনি হাসপাতালে ভর্তি। 

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ইসরায়েলি পুলিশের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

পুলিশ জানিয়েছে, এই দুর্ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছে। বিস্তারিত তথ্য জানতে তদন্ত চলছে।

ইসরায়েলের গণমাধ্যম জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার তেলআবিবের কাছের রামলি শহর থেকে ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ওই শহরে ১৯ বছরের এক তরুণীকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। তাকে দেখতেই দেখতেই সেখানে গিয়েছিলেন তিনি।

সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট পুলিশপ্রধান আভি বিটন বলেছেন, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন এমন এক ব্যক্তি ওই নারীকে আক্রমণ করেন। তবে একজন বেসামরিক নাগরিক তাকে গুলি করে হত্যা করেন। ব্যক্তিকে গুলি করে নিরস্ত্র করেন।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জরুরি যুদ্ধকালীন সরকারের একজন বিতর্কিত সদস্য এই বেন-গভির। সম্প্রতি ইসরায়েলের ওপর তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পর ইরানের বিরুদ্ধে পূর্ণ মাত্রার সামরিক জবাব দেওয়ার আহ্বান জানান।


গাড়ি দুর্ঘটনা   আহত   ইসরায়েল   নিরাপত্তামন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ব্রিটিশ রাজা চার্লস জনসমক্ষে দায়িত্বে ফিরছেন

প্রকাশ: ০৯:১৯ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্রিটেনের রাজা চার্লসের ক্যানসার ধরা পড়ার পরে জনসমক্ষে সব ধরনের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত ছিলেন তিনি। তবে বাকিংহাম প্যালেস জানিয়েছে, রাজা চার্লসের চিকিৎসা শেষের পরের সপ্তাহে জনসমক্ষে সব ধরনের দায়িত্ব পালন শুরু করবেন তিনি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী মঙ্গলবার থেকে রাজা চার্লস একটি ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্রে যাওয়া শুরু করবেন। এছাড়াও তার গ্রীষ্মকালীন পরিকল্পনার মধ্যে একটি রাষ্ট্রীয় সফরও রয়েছে। যেখানে তিনি জাপানের সম্রাটের সঙ্গে দেখা করবেন।

বাকিংহাম প্যালেসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তার চিকিৎসা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তবে এখন পর্যন্ত যে অগ্রগতি হয়েছে তাতে ডাক্তাররা যথেষ্ট সন্তুষ্ট। তার ক্যানসারের চিকিৎসা কতদিন স্থায়ী হবে এ বিষয়ে যদিও পরিষ্কার করে কিছু বলেনি ডাক্তাররা। তবে আশা করছেন তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ব্রিটেনের রাজা হিসেবে অভিষেক ঘটে চার্লসের তার মা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর। তারপর ক্যানসার ধরা পড়েছিল গত ফেব্রুয়ারিতে। তখন বাকিংহাম প্রাসাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, চিকিৎসায় সেরে ওঠার ব্যাপারে সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে ৭৫ বছর বয়সী রাজা চার্লসের। যত দ্রুত সম্ভব আবার স্বাভাবিক দায়িত্ব পালনে ফিরবেন বলেও আশাবাদী তিনি।

গত জানুয়ারিতে তিন রাত হাসপাতালে কাটিয়েছেন চার্লস। সেখানে তার প্রোস্টেটের চিকিৎসা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাকালে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে অন্য একটি বিষয়ে উদ্বেগ দেখা দেয় বলে বাকিংহাম প্রাসাদ জানিয়েছিল। তবে তার কোন ধরনের ক্যানসার হয়েছে, সেসময় সে বিষয়ে কিছু জানায়নি তারা। ব্রিটেনের রাজপরিবারের সদস্যরা সাধারণত অসুস্থতার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে না। তারা চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে ব্যক্তিগত বিষয় হিসেবে বিবেচনা করে।


ব্রিটিশ   রাজা চার্লস   জনসমক্ষে   দায়িত্ব  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: গরমে ৫ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৯:১১ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রচণ্ড গরমের মধ্য চলছে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। সাত দফার নির্বাচনে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দ্বিতীয় দফার ভোটে প্রচণ্ড গরমে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

ভারতের কেরালায় এমন ঘটনা ঘটেছে। মৃতদের মধ্যে চারজন ভোটার এবং অপর একজন পোলিং এজেন্ট। বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে এই খবর পাওয়া গেছে।

রাজ্যের ওট্টাপালামে এদিন দুপুরে ভোট দেয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন ৬৮ বছর বয়সী চন্দ্রন নামে এক ভোটার। পরে দ্রুত ওট্টাপালাম স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এদিন সেখানে তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

এদিকে, ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মাল্লাপুরম জেলার ত্রিরুরে ৬৩ বছর বয়সী এক মাদরাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়। তার নাম এ. টি. সিদ্দিকী। তাপপ্রবাহের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিন সেখানে তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৬০ শতাংশ।

ঠিক একইভাবে ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মৃত্যু হয় ৭৬ বছর বয়সী কোমবোত্তাইল কন্দন নামে ভিলায়োদি এলাকার এক বাসিন্দার। ঘটনাটি ঘটে আলাপ্পুঝা জেলার আমবালাপুঝা এলাকায়। এই এলাকায় তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৬৮ শতাংশ। 

এদিকে, শুক্রবার এস.এন.ভিটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৩৮ নম্বর বুথে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন কাক্কাঝাম ভেলিপাড়াম্ভু সোমারাজন। এরপর বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন ৮২ বছর বয়সী ওই ভোটার। পরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। 

অন্যদিকে, কোঝিকোড় টাউনের ১৬ নম্বর বুথে দায়িত্বে ছিলেন বামেদের জোটের ‘লেফট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’ (এলডিএফ) পোলিং এজেন্ট আনিস আহমেদ। হঠাৎ করেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি ৬৬ বছর বয়সী আনিসকে। এখানে তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৬১ শতাংশ। 


লোকসভা নির্বাচন   গরম   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ব্রাজিলে গেস্টহাউসে অগ্নিকাণ্ড, নিহত ১০

প্রকাশ: ০৮:৪৫ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দক্ষিণ ব্রাজিলের পোর্তো অ্যালেগ্রে শহরে এক গেস্টহাউসে আগুন লেগে কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মীরা ১০ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল প্রদেশের ফায়ার বিভাগ বলেছে, শুক্রবার(২৬ এপ্রিল) রাজধানী পোর্তো আলেগ্রে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যমের ছবিতে দেখা গেছে তিনতলা ভবনটি আগুনে পুড়ছে দমকলকর্মীরা আগুন নেভানোর জন্য চেষ্টা করছেন। ফায়ার বিভাগের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ক্ষতিগ্রস্তদের শনাক্ত করতে এবং আগুনের কারণ অনুসন্ধান করতে ঘটনাস্থলে রয়েছেন।  

প্রদেশের গভর্নর এডুয়ার্ডো জানান, অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনা তাকে গভীরভাবে বিচলিত করেছে। তিনি এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম 'এক্স' এ পোস্টে জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কয়েক ডজন কর্মীসহ ৫টি ইউনিট কাজ করছে। ভয়াবহ এ ট্র্যাজেডির কারণ অনুসন্ধান করা হবে। নিহতদের পরিবারের প্রতি তার সমবেদনা। শহরের মেয়র সেবাস্তিয়াও মেলো এক্স-এ লিখেছেন, একাধিক আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 


ব্রাজিল   গেস্টহাউস   অগ্নিকাণ্ড   নিহত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন