নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩২ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
চীনের পর এবার দক্ষিণ কোরিয়া লাগাম ছাড়া করোনাভাইরাস। বুধবার দেশটিতে নতুন করে আরো ২০জন ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫১ জনে।
বুধবার নতুন করে যে ২০ করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হলো তাদের মধ্যে ১৪ জনই একই চার্চের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। ওই চার্চ সংশ্লিষ্টতার কারণে এখন পর্যন্ত ৩১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ৬১ বছর বয়সী এক কোরিয়ান নারীর শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
তবে ওই নারী কীভাবে করোনা আক্রান্ত হলেন এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি, কেননা ওই নারী সম্প্রতি দেশের বাইরে কোথাও ভ্রমণ করেননি এবং করোনা আক্রান্ত কোনো রোগীর সংস্পর্শেও জাননি তিনি। তবে তার সংস্পর্শে আসা ১৬৬ জনের সবাই কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছেন তার স্বামী ও দুই সন্তানও।
কোরিয়ার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (কেসিডিসি) বলছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় এক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ওই নারী। গাড়ি দুর্ঘটনার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ৯ ফেব্রুয়ারি তিসি স্থানীয় চার্চে দুই ঘণ্টার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তারপর থেকেই তিনি করোনায় আক্রান্ত।
কেসিডিসি বুধবার জানিয়েছে, আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তারা ওই পুরো চার্চের সবার শারীরিক পরীক্ষা করবেন। তারপর তারা এ নিয়ে তদন্তে নামলে জানা যাবে যে কীভাবে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, করোনা পরীক্ষায় অসহযোগিতা করলে পুলিশে ডেক শারীরিক পরীক্ষা করা হবে।
বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়া করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়ায় ১০ হাজার ৪১১ জনকে পরীক্ষা করেছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৩০ জন এখন কোয়ারেন্টাইনে। এছাড়া সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার কারণে ১৬ জনকে হাসপতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এদিকে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ২ হাজার ১০ এবং আক্রান্ত ৭৫ হাজারের বেশি।
মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ১১ জন। যার মধ্যে শুধু উৎপত্তিস্থল চীনেই মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৫ জন। এর বাইরে জাপান, ফ্রান্স, ফিলিপাইন ও তাইওয়ানে একজন করে মারা গেছে। নতুন করে চীনের বাইরে এই ভাইরাসের কবলে আজ হংকং এ ১ জন মারা যায়। এই ১ জন নিয়ে হংকং এ মৃতের সংখ্যা ২ জন।
চীনে এখনো পর্যন্ত মরণব্যাধি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৭৪ হাজার ১৮৬ জন, যার মধ্যে শুধু নতুন করে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তির সংখ্যাই ১ হাজার ৭৫০ জন। আর নতুন মৃতের সংখ্যা ১৩৭। অবশ্য আশার কথা হচ্ছে, দেশটিতে এ পর্যন্ত ১৪ হাজার ৪৫১ জন রোগী আরোগ্য লাভ করে। তবে শুধু চীনেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে প্রায় ১২ হাজার ১৭ জন।
করোনাতে আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ‘ডায়মন্ড প্রিন্সেস’ জাহাজ। বিশাল এই প্রমোদতরীতে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে দাড়ায় ৫৪২ জনে। এর মধ্যে ২০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আর সুস্থ হয়েছেন ১৭ জন। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে নগররাষ্ট্র সিঙ্গাপুর। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ জন। এ পর্যন্ত কেও নিহত না হলেও ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে সিঙ্গাপুরে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২৯ জন।
বাংলা ইনসাইডার/এসএস
মন্তব্য করুন
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি
মন্তব্য করুন
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত ইরানের প্রেসিডেন্ট
মন্তব্য করুন
সৌদি আরব বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ
মন্তব্য করুন
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি আল-জাজিরার
মন্তব্য করুন
কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে আটকে পড়া ১৪০ শিক্ষার্থীকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পাকিস্তান। গতকাল শনিবার রাতে বিশকেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের হামলার পর একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে পাকিস্তানে ফেরেন এই শিক্ষার্থীরা।
আজ রবিবার (১৯ মে) আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের পাকিস্তানে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি জানিয়েছেন, কিরগিজস্তান থেকে পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি বিশেষ ফ্লাইট লাহোরের আল্লামা ইকবাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। সহিংসতার পর যেসব পাকিস্তানি শিক্ষার্থী দেশে ফিরতে চান, তাদের জন্য এমন আরও ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মে একদল কিরগিজ নাগরিকের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ান মিশরীয় শিক্ষার্থীরা। ওই ঘটনার জেরে শুক্রবার রাতে বিশকেকের বিভিন্ন হোস্টেলে থাকা বিদেশি মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকি, শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত বাসভবনে ঢুকেও হামলা চালানো হয়। সেসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশি, পাকিস্তানি ও ভারতীয়রাও রয়েছেন।
মন্তব্য করুন