নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:২০ পিএম, ২৯ মে, ২০২০
বিশ্বের মধ্যে করোভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের নাম যুক্তরাষ্ট্র। মৃতের সংখ্যাতেও তাদের ধারেকাছে নেই কেউ। মহামারির ভয়াবহ পরিস্থিতি তো আছেই, এ নিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্ভট কথাবার্তা আর কার্যকলাপ নিয়েও আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে বেশ।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের করোনা নিয়ন্ত্রণ পরিস্থিতি ও এ বিষয়ে ট্রাম্পের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে অনলাইনে একটি কলাম প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিস্ট। প্রিন্ট পত্রিকাতেও ‘দ্য আমেরিকান ওয়ে’ নামে ছাপা হয়েছে এটি। কলামটির চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
আমেরিকা এক ভয়াবহ মাইলফলক পার করেছে: নভেল করোনাভাইরাসে মৃত্যু এক লাখ ছাড়িয়েছে। অনেক আমেরিকান নাগরিকই ভাবছেন তাদের প্রেসিডেন্ট মহামারি পরিস্থিতি খুব জঘন্যভাবে নিয়ন্ত্রণ করছেন। কারণ এক লাখের কাছাকাছি মৃত্যু আর কোনও দেশে ঘটেনি। এটিকে সবসময়ই ভিয়েতনাম যুদ্ধে ৬০ হাজার মার্কিনির মৃত্যুর সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। এমনকি টাইমস স্কয়ারে ‘ট্রাম্প ডেথ ক্লক’ স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে প্রেসিডেন্টের অদক্ষতায় কতগুলো প্রাণহানি হচ্ছে তার সংখ্যা দেখানো হচ্ছে। তবে ট্রাম্পের অদক্ষতার কারণেই আমেরিকা করোনা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে এটি এখনই নিশ্চিত ধরে নেয়া যায় না।
আমেরিকায় সরকারি হিসাবে মৃত্যুর হার ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রায় সমান। সেখানেও অনেক মৃত্যু হয়েছে, তবে কম অস্থির নেতা এবং সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা রয়েছে তাদের। ইতালির লোম্বার্দি শহরের মতোই আক্রান্ত হয়েছে নিউইয়র্ক, ক্যালিফোর্নিয়া দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ায় তাদের অবস্থা অনেকটা জার্মানির মতো, গ্রামীণ রাজ্যগুলোও অনেকটা মধ্য ইউরোপের মতো সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা থেকে বেঁচে গেছে।
এক্ষেত্রে দু’টি বিষয় পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। প্রথমত, করোনা সংক্রমণ যখন প্রথম শুরু হলো তখন রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে এ নিয়ে পরিকল্পনায় উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে। এটি যখন নিউইয়র্ক, লন্ডন, প্যারিসের মতো বড় ও ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে, তখন সেখানকার লোকেরা কেয়ারহোম, কসাইখানায় দলবদ্ধভাবে ঘুরেছে, এমনকি কারাগারেও গাদাগাদি করে রাখা হয়েছে। সেই সময় আমেরিকাসহ অনেক দেশেই করোনা টেস্ট ছিল অপ্রতুল।
করোনায় চীনে যা ঘটেছে তা দেখে তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনামের মতো ট্রাম্পও দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারতেন। সংকটকালে সুস্পষ্ট সরকারি নির্দেশনা জারি বা কেন্দ্রীয়ভাবে সব ব্যবস্থার সমন্বয় করার মতো প্রত্যাশিত বিষয়গুলো বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। এর বদলে বারবার হাঁতুড়ে চিকিৎসা, ভোটদান পদ্ধতি, এমনকি যে হত্যাকাণ্ড কখনোই ঘটেনি তার জন্য এক টেলিভিশিন উপস্থাপককে দায়ী করায় ব্যস্ত ছিলেন এ রিপাবলিকান নেতা।
তার এসব আচরণের জন্য বড় মূল্য চুকাতে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রকে। তারপরও, দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের দোষ শুধু প্রেসিডেন্টের ঘাঁড়ে দেয়া কঠিন। কারণ বাস্তাবতা বেশ জটিল।
এখানেই উঠে আসে দ্বিতীয় বিষয়টি। করোনাভাইরাস সবসময়ই দরিদ্র ব্যক্তি, স্থূলতা-ডায়বেটিসের মতো অসুখে আক্রান্ত, বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের মধ্যেই বেশি সংক্রমিত হয়েছে। তবে আশার কথা, যে কাজ প্রেসিডেন্টের করার কথা ছিল স্থানীয় সরকারগুলো তার অনেকটাই করে দিয়েছে। এর জন্য অবশ্যই অকেন্দ্রীভূত শাসন ব্যবস্থাকে ধন্যবাদ দিতে হয়।
বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য, শহর ও কাউন্টিতে লকডাউনের ভিন্নতা রয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়া সংক্রমণ শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নিয়েছে। হোয়াইট হাউসকে অনেকটা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় গভর্নরেরা কড়াকড়ি আরোপ করেছেন। এতে ম্যারিল্যান্ড ও ম্যাসাচুসেটসের গভর্নরেরা ট্রাম্পের বিরাগভাজন হলেও তাদের প্রতি সমর্থন বেড়েছে অনেকেরই। ফ্লোরিডাতে গভর্নর না বললেও কাউন্টি কর্মকর্তারা ঠিকই লকডাউন জারি করেছেন।
দেশব্যাপী আইনপ্রয়োগের এই ভিন্নতা দেশের দুর্বলতা নয়, বরং শক্তির দিক। আর মহামারির সময় এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দিয়েছে। সুসংগঠিত অঙ্গরাজ্যগুলো প্রয়োজন অনুসারে তাদের টেস্ট করার সক্ষমতা ও ব্যবস্থা নির্ধারণ করেছে। এতে আক্রান্ত ব্যক্তি বা এলাকা দ্রুত শনাক্ত করে প্রয়োজন অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া সহজ হয়েছে। কারণ প্রতিটি অঞ্চলই আলাদা, তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও আলাদা হওয়া উচিত। দেশব্যাপী উদ্যোগের চেয়ে এক্ষেত্রে আঞ্চলিক উদ্যোগই বেশি কার্যকর।
আমেরিকানরা প্রেসিডেন্ট বা ফেডারেল সরকারের চেয়ে তাদের স্থানীয় কর্মকর্তাদেরই বেশি বিশ্বাস করে। আর যখন প্রশ্ন জনস্বাস্থ্যের, তখন প্রকৃত ক্ষমতা চলে আসে স্থানীয় কর্মকর্তাদের হাতেই। এই ধরনের ব্যবস্থা না থাকলে আজ আমেরিকার অবস্থা হতো ব্রাজিলের মতো। সেখানকার প্রেসিডেন্টেরও হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনপ্রীতি ও মাস্কের ওপর অরূচি রয়েছে।
এদিকে, আমেরিকার জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা যদি ইউরোপের মতো হয়, তবে তাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা আরও ভালো হওয়ার কথা। আর এটাই সত্য।
আমেরিকায় বেকারত্বের হার ১৫ শতাংশ, যা ইউরোপের প্রায় দ্বিগুণ। এখনও ইউরোপের বেশিরভাগ দেশ কর্মীদের চাকরি ধরে রাখার চেষ্টা করছে। তবে লকডাউন শেষ হলেই সেটি হয়তো আর ধরে রাখা যাবে না। ইউরোপ সম্ভবত এক ভয়াবহ পরিস্থিতির আগমন কিছুটা বিলম্বিত করছে। সে তুলনায় আমেরিকার অবস্থা কিছু স্বস্তিদায়ক।
তবে আমেরিকাকে এখনও বহুপথ যেতে হবে। দেশটিতে এখনও যে হারে মানুষ মারা যাচ্ছে তাতে বছর শেষে আরও এক লাখ মৃত্যু দেখতে হতে পারে। এটি থেকে বাঁচতে আমেরিকাকে বর্তমানে যে ব্যবস্থা রয়েছে তা নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। লকডাউন শেষে সব চালু করা ও সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে ভারসাম্য আনতে স্থানীয় রাজনীতিবিদদের প্রতি আস্থা রাখতে হবে।
মন্তব্য করুন
এবার অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) দেশটির সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইউনিভার্সিটি অব সিডনি) তাবু স্থাপন করে অবস্থান নেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। সেসময় তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
এদিনের আন্দোলন থেকে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কযুক্ত সংস্থাগুলো থেকে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিচ্ছিন্ন করার দাবি তোলেন। বিক্ষোভকারীরা অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও তার সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের দাবি, অস্ট্রেলিয়ান সরকার গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যথেষ্ট কাজ করেনি।
ব্রিটিশি বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মেলবোর্ন, ক্যানবেরাসহ অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও একই ধরনের শিবির গড়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলো থেকে পুলিশ ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীদের জোর করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও, অস্ট্রেলিয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।
বিক্ষোভের জায়গাগুলোতে স্বল্পসংখ্যক পুলিশের শান্তিপূর্ণ উপস্থিতিতে ছিল। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে বেশ কয়েকটি পুলিশের গাড়ি পার্ক করা থাকলেও বিক্ষোভে কোনো পুলিশ উপস্থিত ছিল না।
এদিকে, এই বিক্ষোভের কারণে অনিরাপদ বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অধ্যয়নরত ইহুদী শিক্ষার্থীরা। তাদের মতে এ ধরনের আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে করা উচিত।
ইউনিভার্সিটি অব সিডনির উপাচার্য মার্ক স্কট বলেছেন, ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাস আংশিকভাবে অবস্থান করতে পারে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কোনো সহিংসতা দেখা যায়নি।
কয়েক দফা দাবি নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীরা। অস্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে ক্যাম্পাস চত্বরেই তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি ও মিশরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে মিত্র দেশগুলো থেকে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা।
অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভ ফিলিস্তিন
মন্তব্য করুন
গত ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ হাজার ২০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।
এপির হিসেব অনুযায়ী, ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মোট ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৬ বার অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেসব অভিযান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের।
সর্বশেষ স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেসে (ইউসিএলএ) অভিযান চালিয়ে ২০০ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্লাইউড, মেটাল ফেন্স, প্ল্যাকার্ড দিয়ে তৈরি করা ব্যারিকেড এবং ক্যাম্পাস চত্বরের অস্থায়ী তাঁবুগুলো তছনছ করে দিয়েছে পুলিশ। এসব তাঁবুতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রাতে ঘুমাতেন।
ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে গত মার্চের শেষ দিক থেকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ। পরে সেই আন্দোলন দেশটির অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে সেই আন্দোলন চলার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ১৮ এপ্রিল রাতে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এ অভিযানে ১০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ এবং তাদের তাঁবু-ব্যারিকেডও তছনছ করে দিয়েছিল পুলিশ।
কিন্তু পরের দিন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ফের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। মার্কিন এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালিয়েছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ-আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার সদস্যরা মার্কিন শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে 'ইহুদিবিদ্বেষী' আন্দোলন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তবে আন্দোলনের সংগঠকদের (যাদের মধ্যে ইহুধি ধর্মাবলম্বীরাও রয়েছেন) দাবি, তারা কেবল ফিলিস্তিনিদের অধিকার ও গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছেন।
যুক্তরাষ্ট্র বিক্ষোভ গ্রেপ্তার শিক্ষার্থী ইউসিএলএ
মন্তব্য করুন
মুক্ত গণমাধ্যম বাংলাদেশ পাকিস্তান
মন্তব্য করুন
চলন্ত ট্রেনে অপ্রত্যাশিত এক ঘটনার সাক্ষী হলেন যাত্রীরা। স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে পালালেন স্বামী। গত ২৯ এপ্রিল ভারতের জাহাংসি জংশনে এ ঘটনা ঘটে।
২৮ বছর বয়সি মোহাম্মাদ আরশাদ তার ২৬ বছর বয়সি স্ত্রী আফসানাকে নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ করার সময় তালাকের এ ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির।
পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার আরশাদের চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি বিয়ে হয়েছিল আফসানার সঙ্গে। বিয়ের পর দুজনে ভোপালে থাকতেন। এক সপ্তাহ আগে কানপুরের পুখরায়ানে যান দুজনে। সেখানে আরশাদের পৈতৃক বাড়ি। কিন্তু সেখানে গিয়েই চমকে যান আফসানা। জানতে পারেন আরশাদের আরও এক স্ত্রী রয়েছে। এর প্রতিবাদ করলে আরশাদ ও তার মা আফসানার কাছে যৌতুকের দাবি করতে থাকে।
অভিযোগ, মারধরও করা হয় আফসানাকে। এরপর স্ত্রী আফসানাকে নিয়ে ভোপালে ফিরছিলেন আরশাদ। ঝাঁসি স্টেশনে ট্রেন ঢোকার মুখে স্ত্রীকে তিন তালাক দেন আরশাদ। এরপরই ট্রেন থেকে নেমে যান।
এ ছাড়া স্ত্রীকে চলন্ত ট্রেনে মারধরও করেছিলেন আরশাদ। ট্রেন ঝাঁসিতে থামতেই জিআরপিকে সমস্ত ঘটনা জানান আফসানা। এরপরই আফসানাকে ফেরত পাঠানো হয় আরশাদের পৈতৃক বাড়িতে। ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। আরশাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
গোটা ঘটনার কথা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও জানিয়েছেন আফসানা। স্বামীর কড়া শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।
পুলিশের সার্কেল অফিসার জানিয়েছেন, আফসানার অভিযোগের ভিত্তিতে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলা থেকে রেহাই পাইনি তার বাবা-মাও।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র। এই বিক্ষোভ চলাকালে এক অধ্যাপককে গ্রেফতার করার সময় তার পাঁজরের ৯টি হাড় ও একটি হাত ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। ভুক্তভোগী শিক্ষক এক বিবৃতিতে এ কথা জানান।
মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইসে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষক স্টিভ তামারি সাউদার্ন ইলিনয়েস ইউনিভার্সিটি এডওয়ার্ডসভিলের ইতিহাসের অধ্যাপক। মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ তিনি।
এ ঘটনায় ধারণ করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, শনিবার ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্টিভ তামারি দৃশ্যত বিক্ষোভকারীদের ছবি তোলার বা ভিডিও ধারণের চেষ্টা করছিলেন। এ সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য বেপরোয়াভাবে গ্রেফতার করে নিয়ে যান তাকে।
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, গ্রেফতার হওয়ার সময় অধ্যাপক তামারি মাটিতে পড়ে গেলে পুলিশের এক সদস্য তাকে হাঁটু দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। পরে দুই হাত পিছমোড়া করে হাতকড়া পরানো হয়। এরপর কয়েকজন পুলিশ তার নিস্তেজ হয়ে পড়া শরীর টেনেহিঁচড়ে একটি ভ্যানের দিকে নিয়ে যায় ও মাটিতে উপুড় করে ছুড়ে ফেলে।
যুক্তরাষ্ট্র বিক্ষোভ অধ্যাপক পুলিশ
মন্তব্য করুন
গত ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ হাজার ২০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। এপির হিসেব অনুযায়ী, ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মোট ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৬ বার অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেসব অভিযান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের।
ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র। এই বিক্ষোভ চলাকালে এক অধ্যাপককে গ্রেফতার করার সময় তার পাঁজরের ৯টি হাড় ও একটি হাত ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। ভুক্তভোগী শিক্ষক এক বিবৃতিতে এ কথা জানান। মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইসে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষক স্টিভ তামারি সাউদার্ন ইলিনয়েস ইউনিভার্সিটি এডওয়ার্ডসভিলের ইতিহাসের অধ্যাপক। মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ তিনি।